শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৪. যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩০৮৭
৮. (যাকাতের জন্য) ফসলাদি অনুমান করা
৩০৮৭। ইয়াযীদ ইব্‌ন সিনান (রাহঃ) ….. ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যুগে এই ভিত্তিতে জমি চাষাবাদ করা হতাে যে, জমি মালিকের জন্য ফসলের সেই অংশ নির্দিষ্ট হবে যা নালার কিনারায় অবস্থিত। এবং ভুষির কিছু অংশ, যার পরিমাণ আমি জানি না। নাফি' (রাহঃ) বলেন,তারপর রাফি' ইব্‌ন খাদিজ (রাযিঃ) এলেন এবং আমি তাঁর সাথে রয়েছি। তিনি বললেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইয়াহূদীদেরকে খায়বার (যমীন) এই শর্তে প্রদান করলেন যে, তারা তা চাষাবাদ করবে, তারা তা থেকে
উৎপাদিত ফলাদি ও ফসলের অর্ধেক পাবে এবং এই শর্তে, আমরা তােমাদেরকে সেখানে যত দিন ইচ্ছা বহাল রাখব। রাবী বলেন, এরপর তাদের উপর সেই ফসলাদির অনুমান করলেন আব্দুল্লাহ ইব্‌ন রাওয়াহা (রাযিঃ)। তারা তাঁর অনুমানে (অসন্তুষ্ট হয়ে) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট আওয়াজ (অভিযােগ) তুলল। আব্দুল্লাহ ইব্‌ন রাওয়াহা (রাযিঃ) তাদেরকে বললেন, তােমাদের ইচ্ছা, যদি তােমরা চাও তাহলে এই অংশ তােমাদের, আর যদি চাও তবে তা আমাদের, আমরা তা অনুমান করব এবং তার অর্ধেক তােমাদেরকে আদায় করে দেব। তারা বলল, এই (ইনসাফের) কারণেই আসমান ও যমীন প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।
بَابُ الْخَرْصِ
3087 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ نَافِعٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: " كَانَتِ الْمَزَارِعُ تُكْرَى عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , عَلَى أَنَّ لِرَبِّ الْأَرْضِ , مَا عَلَى السَّاقِي مِنَ الزَّرْعِ , وَطَائِفَةٍ مِنَ التِّبْنِ , لَا أَدْرِي كَمْ هُوَ؟ . قَالَ نَافِعٌ: فَجَاءَ رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ , وَأَنَا مَعَهُ , فَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَى خَيْبَرَ يَهُودَ , عَلَى أَنَّهُمْ يَعْمَلُونَهَا وَيَزْرَعُونَهَا , عَلَى أَنَّ لَهُمْ نِصْفَ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا مِنْ ثَمَرٍ أَوْ زَرْعٍ , عَلَى أَنْ نُقِرَّكُمْ فِيهَا مَا بَدَا لَنَا. قَالَ: فَخَرَصَهَا عَلَيْهِمْ عَبْدُ اللهِ بْنُ رَوَاحَةَ , فَصَاحُوا إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ خَرْصِهِ؟ . فَقَالَ لَهُمْ عَبْدُ اللهِ بْنُ رَوَاحَةَ: أَنْتُمْ بِالْخِيَارِ , إِنْ شِئْتُمْ فَهِيَ لَكُمْ , وَإِنْ شِئْتُمْ فَهِيَ لَنَا , نَخْرُصُهَا وَنُؤَدِّي إِلَيْكُمْ نِصْفَهَا. فَقَالُوا: بِهَذَا قَامَتِ السَّمَوَاتُ , وَالْأَرْضُ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৮৮
(যাকাতের জন্য) ফসলাদি অনুমান করা
৩০৮৮। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা
খায়বার দান করেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের কে (ইয়াহূদী) তারা যেভাবে ছিলাে সেভাবে বহাল রেখেছেন এবং তা (খায়বার) তাঁর ও তাদের মাঝে সমান অংশ সাব্যস্ত করেছেন। এরপর তিনি (তাদের সম্পদ অনুমানের জন্য) আব্দুল্লাহ ইব্‌ন রাওয়াহা (রাযিঃ)-কে প্রেরণ করেন, তিনি গিয়ে তাদের তা অনুমান করেন। তারপর তিনি বললেন, হে ইয়াহূদী সমাজ, তােমরা আমার কাছে সর্বাপেক্ষা অপছন্দনীয় সৃষ্টি, তােমরা আল্লাহর নবীগণকে হত্যা করেছ, আল্লাহর উপর মিথ্যারোপ করেছ। তােমাদের প্রতি ঘৃণা পােষণের কারণে আমাকে উৎসাহিত করেনি যে, আমি তােমাদের প্রতি জুলুম ও অবিচার করি। বরং আমি তােমাদের উৎপাদিত পণ্যের অনুমান করেছি। তাতে আমি বিশ হাজার ওয়াসাক খেজুর পেয়েছি। অতএব যদি তােমরা ইচ্ছা কর তা তােমাদের আর যদি চাও তবে তা আমাদের।
3088 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو عَوْنٍ الزِّيَادِيُّ , قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ , قَالَ: ثنا أَبُو الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: أَفَاءَ اللهُ خَيْبَرَ فَأَقَرَّهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَمَا كَانُوا , وَجَعَلَهَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ. فَبَعَثَ عَبْدَ اللهِ بْنَ رَوَاحَةَ فَخَرَصَهَا عَلَيْهِمْ ثُمَّ قَالَ: «يَا مَعْشَرَ الْيَهُودِ , أَنْتُمْ أَبْغَضُ الْخَلْقِ إِلَيَّ , قَتَلْتُمْ أَنْبِيَاءَ اللهِ , وَكَذَبْتُمْ عَلَى اللهِ , وَلَيْسَ يَحْمِلُنِي بُغْضِي إِيَّاكُمْ أَنْ أَحِيفَ عَلَيْكُمْ , وَقَدْ خَرَصْتُ عَلَيْكُمْ بِعِشْرِينَ أَلْفِ وَسْقٍ مِنْ تَمْرٍ , فَإِنْ شِئْتُمْ فَلَكُمْ , وَإِنْ شِئْتُمْ فَلِي»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৮৯
(যাকাতের জন্য) ফসলাদি অনুমান করা
৩০৮৯। আহমদ ইব্‌ন দাউদ (রাহঃ) ….. আত্তাব ইব্‌ন আসীদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে , রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন, আঙ্গুরকে কিসমিস হিসাবে নির্ণয়ের (অর্থাৎ, এ থেকে যাকাত হিসাবে কিসমিস দেয়া হবে)। যেমনি ভাবে তাজা খেজুর নির্ণয় করা হয়। (এর পরিবর্তে শুকনো খেজুর নির্ণয় করা হয়। (এর পরিবর্তে শুকনো খেজুর যাকাত 'উশর' হিসাবে নেয়া
হয়)।

আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ একদল 'আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, যে ফলাদিতে উশর ওয়াজিব হয় তার হুকুম হচ্ছে অনুরূপ। তাজা খেজুর নির্ণয় করে শুকনাে খেজুর উশর হিসাবে নেয়া হবে। এতে তার পরিমাণ জ্ঞাত হয়ে মালিকের কাছে সােপর্দ করে দিবে এবং এর দ্বারা তাতে আল্লাহ্ হকের (যাকাতের) মালিকানা লাভ করবে। আর তার উপর অনুরূপ পরিমাপে শুকনো খেজুর জরুরী হবে । অনুরূপ ভাবে আঙ্গুরের বেলায় করা হবে। তারা এই বিষয়ে এই সমস্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন।

পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরােধিতা করেছেন। তাঁরা তা মাকরূহ বলেছেন। তাঁরা
বলেছেনঃ এই সমস্ত হাদীসে কোন একটিতে একথা সেই যে, ইব্‌ন উমার (রাযিঃ) ও জাবির (রাযিঃ)-এর হাদীসে
নির্ণয়ের সময়ে খেজুর তাজা ছিলাে। আর সে সময়ে তাজা হওয়াটা কিভাবে সম্ভব হতে পারে, এর পরে এর মালিকের জন্য তাতে আল্লাহর হক (যাকাত) সাব্যস্ত করা তাজা খেজুরের পরিমাপে শুকনাে খেজুর প্রদান করে। বস্তুত এটি তার জন্য বাকী হয়ে যায়। অথচ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) গাছে থাকা খেজুরকে তুলে ফেলা খেজুরের বিনিময়ে পরিমাপ করে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন এবং তাজাপাকা খেজুর শুকনাে খেজুরের বদলে বাকীতে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। তাঁর (ﷺ) থেকে এ সম্পর্কীয় সহীহ হাদীস সমূহ বর্ণিত রয়েছে, যা আমরা আমাদের এই গ্রন্থের অন্য স্থানে উল্লেখ করেছি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাতে কোন কিছু বাদ দেন নি।

সুতরাং আমাদের মতে নির্ণয় সম্পর্কিত রিওয়ায়াতে সেই কারণ নয় যা আপনারা উল্লেখ করেছেন। বরং
আমাদের মতে এর কারণ হলােঃ (আল্লাহ্ই ভাল জানেন) ইব্‌ন রাওয়াহা (রাযিঃ)-এর নির্ণয়ের দ্বারা উদ্দেশ্য
হচ্ছে, যাতে করে প্রত্যেক লােকের হাতে (আয়ত্তে) কি পরিমাণ ফলাদি রয়েছে তা জ্ঞাত হয়ে, ফল কাটা বা উঠানাের সময় (উশর হিসাবে) সেই পরিমাণে (অনুপাতে) গ্রহণ করা যায় । এমনটি নয় যে, তারা ওর থেকে এমন বস্তুর মালিকানা লাভ করবে যা আল্লাহর জন্য বদল সহকারে ওয়াজিব হয়, যেই বদল তাদের থেকে বিদূরিত হয় না। আর তা কিভাবে সম্ভব ? হতে পারে (নির্ণয়ের) পরবর্তীতে কোন দুর্যোগে ফসলকে ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত করে দিলাে অথবা আগুন জ্বালিয়ে দিলাে। সুতরাং এর মালিক থেকে যা গ্রহণ করা হবে সেটি তাতে আল্লাহর হকের বদল হিসাবে বিবেচিত হবে, তার থেকে এরূপ বদল গ্রহণ করা হবে যা তাকে সােপর্দ করা হয় নি।

অতএব উক্ত নির্ণয়ের দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে তাই যা আমরা উল্লেখ করেছি। অনুরূপভাবে আততাব ইব্‌ন আসীদ (রাযিঃ)-এর হাদীসে, সেটিতেও সেই মর্মব্যক্ত হয়েছে যা আমরা বর্ণনা করেছি। নিম্মােক্ত হাদীসও উক্ত বিষয় বস্তুর প্রমাণ বহন করেঃ
3089 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ نَافِعٍ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , " عَنْ عَتَّابِ بْنِ أُسَيْدٍ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهُ أَنْ يَخْرُصَ الْعِنَبَ زَبِيبًا , كَمَا يَخْرُصَ الرُّطَبَ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ , أَنَّ الثَّمَرَةَ الَّتِي يَجِبُ فِيهَا الْعُشْرُ , هَكَذَا حُكْمُهَا , تُخْرَصُ وَهِيَ رُطَبٌ تَمْرًا , فَيُعْلَمُ مِقْدَارُهَا , فَتُسَلَّمُ إِلَى رَبِّهَا , وَيُمْلَكُ بِذَلِكَ حَقُّ اللهِ تَعَالَى فِيهَا , وَيَكُونُ عَلَيْهِ مِثْلُهَا مَكِيلَةً ذَلِكَ تَمْرًا , وَكَذَلِكَ يُفْعَلُ فِي الْعِنَبِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَكَرِهُوا ذَلِكَ وَقَالُوا: لَيْسَ فِي شَيْءٍ مِنْ هَذِهِ الْآثَارِ أَنَّ التَّمْرَةَ كَانَتْ رُطَبًا فِي وَقْتِ مَا خُرِصَتْ فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ وَجَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا. وَكَيْفَ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ كَانَتْ رُطَبًا حِينَئِذٍ , فَتُجْعَلُ لِصَاحِبِهَا حَقَّ اللهِ فِيهَا بِمَكِيلَةِ ذَلِكَ تَمْرًا يَكُونُ عَلَيْهِ نَسِيئَةً. وَقَدْ «نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ التَّمْرِ فِي رُءُوسِ النَّخْلِ بِالتَّمْرِ كَيْلًا» , «وَنَهَى عَنْ بَيْعِ الرُّطَبِ بِالتَّمْرِ نَسِيئَةً» , وَجَاءَتْ بِذَلِكَ عَنْهُ الْآثَارُ الْمَرْوِيَّةُ الصَّحِيحَةُ , قَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا , وَلَمْ يَسْتَثْنِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ شَيْئًا. فَلَيْسَ وَجْهُ مَا رَوَيْنَا فِي الْخَرْصِ عِنْدَنَا , عَلَى مَا ذَكَرْتُمْ , وَلَكِنَّ وَجْهَ ذَلِكَ عِنْدَنَا، وَاللهُ أَعْلَمُ، أَنَّهُ إِنَّمَا أُرِيدَ بِخَرْصِ ابْنِ رَوَاحَةَ , لِيَعْلَمَ بِهِ مِقْدَارَ مَا فِي أَيْدِي كُلِّ قَوْمٍ مِنَ الثِّمَارِ , فَيُؤْخَذُ مِثْلُهُ بِقَدْرِهِ فِي وَقْتِ الصِّرَامِ , لَا أَنَّهُمْ يَمْلِكُونَ مِنْهُ شَيْئًا مِمَّا يَجِبُ لِلَّهِ فِيهِ بِبَدَلٍ لَا يَزُولُ ذَلِكَ الْبَدَلُ عَنْهُمْ. وَكَيْفَ يَجُوزُ ذَلِكَ؟ وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ تُصِيبَ بَعْدَ ذَلِكَ آفَةٌ فَتُتْلِفَهَا , أَوْ نَارٌ فَتُحْرِقَهَا , فَتَكُونُ مَا يُؤْخَذُ مِنْ صَاحِبِهَا بَدَلًا مِنْ حَقِّ اللهِ تَعَالَى فِيهَا مَأْخُوذًا مِنْهُ , بَدَلًا مِمَّا لَمْ يُسَلَّمْ لَهُ. وَلَكِنَّهُ إِنَّمَا أُرِيدَ بِذَلِكَ الْخَرْصِ مَا ذَكَرْنَا , وَكَذَلِكَ فِي حَدِيثِ عَتَّابِ بْنِ أُسَيْدٍ , فَهُوَ عَلَى مَا وَصَفْنَا مِنْ ذَلِكَ أَيْضًا
وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৯০
(যাকাতের জন্য) ফসলাদি অনুমান করা
৩০৯০। ইব্‌ন মারয়ূক (রাহঃ) ….. সাহল ইব্‌ন আবী হাসমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ তােমরা (যাকাত আদায়কারী) যদি ফসলাদির অনুমান কর, তবে সে মতে (যাকাত) গ্রহণ করবে এবং (যাকাত পরিমাণ থেকেও) এক তৃতীয়াংশ পরিমাণ (যাকাত দাতার জন্য) ছেড়ে দিবে। যদি এক তৃতীয়াংশ না ছাড় তবে এক চতুর্থাংশ ছেড়ে দিবে।

এতে আমরা অবগত হলাম যে, তা যাকাত সংগ্রহের সময়ে হবে না। যেহেতু তার ফসলাদি, যদি তাতে
যাকাত ওয়াজিব হওয়ার পরিমাণে পৌঁছে, তাহলে তাতে যা ওয়াজিব হয়েছে তার থেকে কোন কিছু হ্রাস পাবে না। সুতরাং তার উপর যা ওয়াজিব হয়েছে তা পরিপূর্ণভাবে তার থেকে সংগ্রহ করা হবে। এটি মুসলমানদের ঐকমত্যের বিষয়। কিন্তু এই হাদীসে উল্লিখিত কমতি তা তখন গ্রহণযােগ্য হবে, যখন ফলাদির মালিকগণ তার থেকে যাকাত সগ্রহের পূর্বে আহার করবে। সুতরাং অনুমানকারীদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন তারা যা অনুমান করেছে তার থেকে এই হাদীসে উল্লিখিত পরিমাণ যেন ছেড়ে দেয়। যাতে ফল মালিকদের উপর যাকাত সংগ্রহের সময় এর হিসাব করা না হয়। উমার ইব্‌নুল খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনিও অনুমানকারীদেরকে এর নির্দেশ দিতেন।
3090 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَسْعُودِ بْنِ نِيَارٍ , عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا خَرَصْتُمْ فَخُذُوا , وَدَعُوا الثُّلُثَ , فَإِنْ لَمْ تَدْعُوَا الثُّلُثَ , فَدَعُوا الرُّبُعَ» فَقَدْ عَلِمْنَا أَنَّ ذَلِكَ لَا يَكُونُ فِي وَقْتِ مَا يُؤْخَذُ الزَّكَاةُ , لِأَنَّ ثَمَرَتَهُ لَوْ بَلَغَتْ مِقْدَارَ مَا يَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ , لَمْ يُحَطَّ عَنْهُ شَيْءٌ مِمَّا وَجَبَ عَلَيْهِ فِيهَا , فَأَخَذَ مِنْهُ مَا وَجَبَ عَلَيْهِ فِيهَا بِكَمَالِهِ , هَذَا مِمَّا اتَّفَقَ عَلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ. وَلَكِنَّ الْحَطِيطَةَ الْمَذْكُورَةَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ إِنَّمَا هِيَ قَبْلَ ذَلِكَ فِي وَقْتِ مَا يَأْكُلُ مِنَ الثَّمَرَةِ أَهْلُهَا , قَبْلَ أَوَانِ أَخْذِ الزَّكَاةِ مِنْهَا. فَأَمَرَ الْخُرَّاصَ أَنْ يُلْقُوا مِمَّا يَخْرُصُونَ , الْمِقْدَارَ الْمَذْكُورَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , لِئَلَّا يُحْتَسَبَ بِهِ عَلَى أَهْلِ الثِّمَارِ فِي وَقْتِ أَخْذِ الزَّكَاةِ مِنْهُمْ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ كَانَ يَأْمُرُ الْخُرَّاصَ بِذَلِكَ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৯১
(যাকাতের জন্য) ফসলাদি অনুমান করা
৩০৯১। রাওহ ইব্‌নুল ফারাজ (রাহঃ) ..... সাঈদ ইব্‌নুল মুসাইয়্যিব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,উমর ইব্‌নুল খাত্তাব (রাযিঃ) সাহল ইব্‌ন আবী হাসমা (রাযিঃ)-কে লােকদের (ফলাদি) অনুমান করার নিমিত্ত প্রেরণ করেন। তিনি তাকে এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করেন যে, লােকদেরকে যখন তাদের বাগানে পাওয়া যাবে, তখন তারা যা (উশর উসূল করা পর্যন্ত) আহার করবে তা যেন তাদের উপর অনুমান করা না হয়।
এটিও আমরা যা উল্লেখ করেছি তার প্রমাণ বহন করে।
আবু হুমায়দ আস্ সাঈদী (রাযিঃ) থেকেও রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক অনুমান করার বিবরণ বর্ণিত আছে, যা আমাদের বর্ণনাকৃত বিষয়ের উপর প্রমাণ বহন করে।
3091 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , قَالَ: بَعَثَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ سَهْلَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ يَخْرُصُ عَلَى النَّاسِ , فَأَمَرَهُ، إِذَا وَجَدَ الْقَوْمَ فِي نَخْلِهِمْ، أَنْ لَا يَخْرُصَ عَلَيْهِمْ مَا يَأْكُلُونَ " فَهَذَا أَيْضًا دَلِيلٌ عَلَى مَا ذَكَرْنَا وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ أَيْضًا فِي صِفَةِ خِرْصِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى مَا ذَكَرْنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৯৩
(যাকাতের জন্য) ফসলাদি অনুমান করা
৩০৯২-৯৩। ইব্‌রাহীম ইব্‌ন দাউদ (রাহঃ), আব্দুর রহমান ইব্‌ন আমর আদদামেশকী (রাহঃ), আলী ইব্‌ন আব্দুর
রহমান (রাহঃ) ও আহমদ ইব্‌ন দাউদ (রাহঃ) ….. আবু হুমায়দ আস্ সাঈদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আমরা একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাল্লামের সাথে তাবুক অভিযানে বের হই। আমরা (চলতে চলতে) এক পর্যায়ে ‘ওয়াদিল কূরা'য় জনৈকা মহিলার (ফল) বাগানে উপনীত হলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন এটার অনুমান কর। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা অনুমান করলেন এবং তা আমরা দশওয়াসাক (এক ওয়াসাক = ৬০ সা') অনুমান করলাম। আর তিনি (মহিলাকে) বললেন, ইনশাআল্লাহ আমি তােমার নিকট প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত তা সংরক্ষণ করে রেখ। (প্রত্যাবর্তন কালে) আমরা যখন তার কাছে এলাম, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে তার বাগান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন যে, তার ফলের পরিমাণ কতটুকু দাঁড়িয়েছে? সে বলল, দশ ওয়াসাক।

বস্তুত এই হাদীসেও ব্যক্ত হয়েছে যে, তাঁরা তা অনুমান করেছেন এবং যতক্ষণ না তাঁরা তার কাছে প্রত্যাবর্তন করবেন তাঁরা তাকে সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, উক্ত মহিলা তাঁদের
কর্তৃক অনুমান করার কারণে বাগানের মালিকানা লাভ করেনি, যদি না সে তার অনুমানের পূর্বে মালিকানা লাভ করে থাকে। অবশ্য এর দ্বারা তাঁদের উদ্দেশ্য হলাে, বিশেষত তার খেজুর বাগানের উৎপাদিত ফলাদির পরিমাণ অবগত হওয়া। তারপর ফলকাটার সময় তাতে ওয়াজিব অনুযায়ী তাঁরা তা থেকে যাকাত সংগ্রহ করবেন। আমাদের মতে এই সমস্ত হাদীস সমূহের মর্ম এটিই। আল্লাহ্ উত্তম ভাবে জ্ঞাত আছেন।

অনুমান সংক্রান্ত বিষয়ে একদল আলিম অন্য বক্তব্য পেশ করেছেন। তাঁরা বলেছেনঃ তা প্রথম যুগে ছিলাে, প্রথমােক্ত বক্তব্য প্রদানকারীরা যা বলেছেন তা করা হতাে, অর্থাৎ অনুমানকারীরা ফল মালিকদের তাতে আল্লাহর হকের মালিক বানিয়ে দেয়া আর তা হচ্ছে তাজা খেজুরের বদলে তাদের থেকে তাঁরা শুকনাে খেজুর সংগ্রহ করবেন। তারপর সুদ রহিত হয়ে যাওয়ার সাথে তা রহিত হয়ে যায়। এরপর বিষয়টি এই দিকে প্রত্যাবর্তিত হলাে যে, ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে যা বৈধ কেবল মাত্র তাই যাকাতের ক্ষেত্রে নেয়া হবে।
93 - 3092 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ , وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الدِّمَشْقِيُّ , قَالَا: ثنا الْوُحَاظِيُّ ,

ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , وَأَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَا: ثنا الْقَعْنَبِيُّ , قَالَا: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ , قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى الْمَازِنِيُّ , عَنْ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلِ بْنِ سَعْدِ السَّاعِدِيِّ , " عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ , قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فَأَتَيْنَا وَادِيَ الْقُرَى عَلَى حَدِيقَةِ امْرَأَةٍ , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اخْرُصُوهَا فَخَرَصَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَرَصْنَاهَا عَشْرَةَ أَوْسُقٍ وَقَالَ أَحْصِيهَا حَتَّى أَرْجِعَ إِلَيْكَ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. فَلَمَّا قَدِمْنَاهَا سَأَلَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ حَدِيقَتِهَا كَمْ بَلَغَ تَمْرُهَا؟ قَالَتْ: عَشْرَةَ أَوْسُقٍ " فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَيْضًا أَنَّهُمْ خَرَصُوهَا وَأَمَرُوهَا بِأَنْ تُحْصِيَهَا حَتَّى يَرْجِعُوا إِلَيْهَا. فَذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهَا لَمْ تُمْلَكْ بِخَرْصِهِمْ إِيَّاهَا مَا لَمْ تَكُنْ مَالِكَةً لَهُ قَبْلَ ذَلِكَ. وَإِنَّمَا أَرَادُوا بِذَلِكَ أَنْ يَعْلَمُوا مِقْدَارَ مَا فِي نَخْلِهَا خَاصَّةً , ثُمَّ يَأْخُذُونَ مِنْهَا الزَّكَاةَ فِي وَقْتِ الصِّرَامِ , عَلَى حَسَبِ مَا يَجِبُ فِيهَا. فَهَذَا هُوَ الْمَعْنَى فِي هَذِهِ الْآثَارِ عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ قَوْمٌ فِي الْخَرْصِ غَيْرَ هَذَا الْقَوْلِ , قَالُوا: إِنَّهُ قَدْ كَانَ فِي أَوَّلِ الزَّمَانِ يَفْعَلُ مَا قَالَ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى مِنْ تَمْلِيكِ الْخُرَّاصِ أَصْحَابَ الثِّمَارِ حَقَّ اللهِ فِيهَا , وَهِيَ رُطَبٌ , بِبَدَلٍ يَأْخُذُونَهُ مِنْهُمْ تَمْرًا , ثُمَّ نُسِخَ ذَلِكَ بِنَسْخِ الرِّبَا فَرُدَّتِ الْأُمُورُ إِلَى أَنْ لَا يُؤْخَذَ فِي الزَّكَوَاتِ إِلَّا مَا يَجُوزُ فِي الْبَيْعَاتِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৯৩
empty
৩০৯৩।
- 3093
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৯৪
(যাকাতের জন্য) ফসলাদি অনুমান করা
৩০৯৪। তাঁরা এই বিষয়ে নিম্মােক্ত হাদীস পেশ করেছেনঃ
রবী'উল মু'আযযিন (রাহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অনুমান করা থেকে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেনঃ (এই বিষয়ে) তােমাদের ধারণা কি? যদি ফল ধ্বংস প্রাপ্ত হয়ে যায়, তােমাদের কেউ কি চাইবে যে, নিজের ভাইয়ের সম্পদ বাতিল (অবৈধ) পন্থায় আহার করবে ?
সুতরাং এটি হচ্ছে এই অনুচ্ছেদের হাদীস সমূহের সঠিক বিশ্লেষণ।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ) এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
বস্তুত এর যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ হচ্ছে নিম্নরূপঃ আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যাকাত বিভিন্ন বস্তুর ক্ষেত্রে ওয়াজিব হয়। তার মধ্যে স্বর্ণ, রৌপ্য, যমীন থেকে উৎপাদিত ফলাদি, খেজুর গাছ ও মুক্তভাবে বিচরণকারী জন্তু অন্তর্ভুক্ত সমস্তু আলিমদের ঐক্যমত্য রয়েছে যে, কারো স্বর্ণ বা রৌপ্য বা মুক্তভাবে বিচরণকারী জন্তুর ক্ষেত্রে যদি তার উপর যাকাত ওয়াজিব হয়। তারপর যাকাত উসূলকারী তা তাকে এমন বস্তুর বিনিময়ে সােপর্দ করে যা ক্রয়-বিক্রয়ে তার জন্য জায়িয নয়, তাহলে তা তার জন্য জায়িয হবে না। তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না ? যদি করো উপর তার দিরহামের ক্ষেত্রে যাকাত ওয়াজিব হয় এবং তা তার কাছে যাকাত উসূলকারী স্বর্ণের বিনিময়ে বাকীতে বিক্রয় করে, তাহলে এটি জায়েয হবে না। অনুরূপ ভাবে যদি তা তার কাছে স্বর্ণের বিনিময়ে বিক্রয় করে তারপর তা হস্তগত করার পূর্বে তার থেকে পৃথক হয়ে যায় তবে তা জায়িয হবে না। অনুরূপভাবে তার জন্তুর ক্ষেত্রে তার উপর যদি যাকাত ওয়াজিব হয়। তারপর যাকাত উসূলকারী তা তাকে,অজ্ঞাত বস্তুর বিনিময়ে অথবা জ্ঞাত বস্তুর বিনিময়ে অজ্ঞাত মেয়াদ পর্যন্ত সােপর্দ করে, এই সমস্ত সব কিছু হারাম । সুতরাং যখন উল্লিখিত ক্রয়-বিক্রয় হারাম সাব্যস্ত হলো, যা লােকেরা কতক কতকের সাথে ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে (হারাম-বিবেচিত)। তাতে সম্পদ মালিকের সাথে যাকাত উসূলকারীর বিক্রয়ের বিধান অন্তর্ভুক্ত হবে। যে সম্পদে যাকাত রয়েছে এবং যে যাকাত তার থেকে সংগ্রহের দায়িত্ব প্রাপ্ত হলো যাকাত উসূলকারী ।

অতএব আমরা যা উল্লেখ করেছি, অনুরূপ ভাবে সেই সমস্ত সম্পদে যা আমরা বর্ণনা করেছি। উপরােক্ত যুক্তির চাহিদা মুতাবিক ফলাদির বিধানও অনুরূপ হবে। যেমনি ভাবে যাকাত ব্যতীত অন্য ক্ষেত্রে শুকনা খেজুরের বিনিময়ে বাকীতে তাজাপাকা খেজুর বিক্রয় করা জায়িয নয়। অনুরূপ ভাবে যাকাতের ক্ষেত্রে যা যাকাত উসূলকারী ও সম্পদের মালিকের মাঝে (বাকীতে) হয় জায়িয নয়। এটিই হচ্ছে এই অনুচ্ছেদের যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ। আর তার সেই মর্মই গৃহীত হবে যা আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর থেকে বর্ণিত হাদীস সমূহের মর্ম রূপে গ্রহণ করেছি। যে সমস্ত হাদীসের আলােচনা আমরা পূর্বে করে এসেছি। তাই আমরা গ্রহণ করি। আর তা হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
- 3094 - وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ مَا حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: نَهَى عَنِ الْخَرْصِ وَقَالَ أَرَأَيْتُمْ إِنْ هَلَكَ الثَّمَرُ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ مَالَ أَخِيهِ بِالْبَاطِلِ " فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. وَأَمَّا وَجْهُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الزَّكَاةَ تَجِبُ فِي أَشْيَاءَ مُخْتَلِفَةٍ , مِنْهَا: الذَّهَبُ , وَالْفِضَّةُ , وَالثِّمَارُ الَّتِي تُخْرِجُهَا الْأَرْضُ , وَالنَّخْلُ , وَالشَّجَرُ , وَالْمَوَاشِي السَّائِمَةُ. فَكُلٌّ قَدْ أَجْمَعَ أَنَّ رَجُلًا لَوْ وَجَبَتْ عَلَيْهِ عَلَى مَالِهِ وَهُوَ ذَهَبٌ أَوْ فِضَّةٌ , أَوْ مَاشِيَةٌ سَائِمَةٌ , فَسَلَّمَ ذَلِكَ لَهُ الْمُصَدِّقُ , عَلَى مَا لَا يَجُوزُ عَلَيْهِ الْبَيَّاعَاتُ , أَنَّ ذَلِكَ غَيْرُ جَائِزٍ لَهُ. أَلَا تَرَى أَنَّ رَجُلًا لَوْ وَجَبَتْ عَلَيْهِ فِي دَرَاهِمِهِ الزَّكَاةُ , فَبَاعَ ذَلِكَ مِنْهُ الْمُصَدِّقُ بِذَهَبٍ نَسِيئَةً , أَنَّ ذَلِكَ لَا يَجُوزُ. وَكَذَلِكَ لَوْ بَاعَهُ مِنْهُ بِذَهَبٍ , ثُمَّ فَارَقَهُ قَبْلَ أَنْ يُقْبِضَهُ , لَمْ يَجُزْ ذَلِكَ. وَكَذَلِكَ لَوْ وَجَبَتْ عَلَيْهِ فِي مَاشِيَتِهِ الزَّكَاةُ , ثُمَّ سَلَّمَ ذَلِكَ لَهُ الْمُصَدِّقُ , بِبَدَلٍ مَجْهُولٍ , أَوْ بِبَدَلٍ مَعْلُومٍ إِلَى أَجْلٍ مَجْهُولٍ , فَذَلِكَ كُلُّهُ حَرَامٌ غَيْرُ جَائِزٍ. فَكَانَ كُلُّ مَا حَرُمَ فِي الْبَيَّاعَاتِ فِي بَيْعِ النَّاسِ ذَلِكَ , بَعْضِهِمْ مِنْ بَعْضٍ , قَدْ دَخَلَ فِيهِ حُكْمُ الْمُصَدِّقِ فِي بَيْعِهِ إِيَّاهُ مِنْ رَبِّ الْمَالِ الَّذِي فِيهِ الزَّكَاةُ , الَّتِي يَتَوَلَّى الْمُصَدِّقُ أَخْذَهَا مِنْهُ. فَلَمَّا كَانَ مَا ذَكَرْنَا كَذَلِكَ فِي الْأَمْوَالِ الَّتِي وَصَفْنَا , كَانَ النَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ حُكْمُ الثِّمَارِ. فَكَمَا لَا يَجُوزُ بَيْعُ رُطَبٍ بِتَمْرٍ نَسِيئَةً , فِي غَيْرِ مَا فِيهِ الصَّدَقَاتُ , فَكَذَلِكَ لَا يَجُوزُ فِيمَا فِيهِ الصَّدَقَاتُ , فِيمَا بَيْنَ الْمُصَدِّقِ , وَبَيْنَ رَبِّ الْمَالِ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ أَيْضًا فِي هَذَا الْبَابِ , وَقَدْ عَادَ ذَلِكَ أَيْضًا إِلَى مَا صَرَفْنَا إِلَيْهِ الْآثَارَ الْمَرْوِيَّةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّتِي قَدَّمْنَا ذِكْرَهَا. فَبِذَلِكَ نَأْخُذُ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান