শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৪. যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩০৫০
৫. ইমাম (শাসনকর্তা) যাকাত উসূল করবেন কি-না?
৩০৫০। আহমদ ইব্ন দাউদ (রাহঃ) ..... উসমান ইব্ন আবীল আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, (যখন) সাকীফ প্রতিনিধিদল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দরবারে আগমন করল, তখন তিনি তাদেরকে বললেনঃ যাকাত উসূলকারীয় নিকট তােমাদেরকে একত্রিত করা হবে না এবং তোমাদের থেকে তােমাদের ভূমির 'উশর' আদায় করা যাবে না।
بَابٌ الزَّكَاةُ هَلْ يَأْخُذُهَا الْإِمَامُ أَمْ لَا؟
3050 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ حُمَيْدٍ , عَنِ الْحَسَنِ , عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ " أَنَّ وَفْدَ ثَقِيفٍ قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُمْ: «لَا تُحْشَرُوا وَلَا تُعْشَرُوا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৫২
ইমাম (শাসনকর্তা) যাকাত উসূল করবেন কি-না?
৩০৫১-৫২। আহমদ ইব্ন দাউদ (রাহঃ) ..... সাঈদ ইব্ন যায়দ ইব্ন আমর ইব্ন নুফায়ল (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ হে আরব সমাজ! আল্লাহর প্রশংস কর, যেহেতু তিনি তােমাদের থেকে উশর (রাজকীয় কর) উঠিয়ে নিয়েছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ….. সাঈদ ইব্ন যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি (ﷺ) রাসূলুল্লাহ্ কে বলতে শুনেছি, তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ হে আরব সমাজ! আল্লাহর প্রশংস কর, যেহেতু তিনি তােমাদের থেকে উশর (রাজকীয় কর) উঠিয়ে নিয়েছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ….. সাঈদ ইব্ন যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি (ﷺ) রাসূলুল্লাহ্ কে বলতে শুনেছি, তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
3051 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ , عَنْ إِسْرَائِيلَ بْنِ يُونُسَ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ الْبَجَلِيِّ , عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا مَعْشَرَ الْعَرَبِ , احْمَدُوا اللهَ , إِذْ رَفَعَ عَنْكُمُ الْعُشُورَ»
3052 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو أَحْمَدَ , قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُهَاجِرِ , عَنْ رَجُلٍ حَدَّثَهُ , عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ , قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ
3052 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو أَحْمَدَ , قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُهَاجِرِ , عَنْ رَجُلٍ حَدَّثَهُ , عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ , قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৫২
empty
৩০৫২।
- 3052

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৫৩
ইমাম (শাসনকর্তা) যাকাত উসূল করবেন কি-না?
৩০৫৩। ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) …..হারব ইব্ন উবায়দুল্লাহ (রাহঃ)-এর পিতামহ, তিনি তাঁর পিতা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ মুসলিমদের উপরে উশর নেই, উশর তাে হচ্ছে যিম্মীদের উপরে।
আবু জা'ফর (তাহাবী র.) বলেনঃ একদল 'আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, ইমামের জন্য বৈধ নয় মুসলমানদের উপর যাকাত উসূলকারী নিয়ােগ করা, যে তাদের যাকত উসূল করবে। বরং মুসলমানদের
ইচ্ছাধীন ব্যাপার, যদি তায়া চায় ইমামের নিকট তা আদায় করে দিবে এবং ইমাম তা তার খাতসমূহে
(অভাবগ্রস্তদের মধ্যে) খরচ করার দায়িত্ব প্রাপ্ত হবেন, যে খাতসমূহের নির্দেশ আল্লাহ্ তা'আলা দিয়েছেন।
আর যদি তারা চায় তাহলে তা ঐ সমস্ত খাতসমূহে তাদের এলাকায় (অভাবগ্রস্তদের মাঝে) ভাগ করে দিবে এবং তাদের সম্মতি ব্যতীত জবরদস্তি মূলকভাবে তা তাদের থেকে আদায় করা ইমামের জন্য জায়িয নয়। তাঁরা এই বিষয়ে এই সমস্ত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন, যা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি এবং সেই হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন যা উমার ইব্নুল খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছেঃ
আবু জা'ফর (তাহাবী র.) বলেনঃ একদল 'আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, ইমামের জন্য বৈধ নয় মুসলমানদের উপর যাকাত উসূলকারী নিয়ােগ করা, যে তাদের যাকত উসূল করবে। বরং মুসলমানদের
ইচ্ছাধীন ব্যাপার, যদি তায়া চায় ইমামের নিকট তা আদায় করে দিবে এবং ইমাম তা তার খাতসমূহে
(অভাবগ্রস্তদের মধ্যে) খরচ করার দায়িত্ব প্রাপ্ত হবেন, যে খাতসমূহের নির্দেশ আল্লাহ্ তা'আলা দিয়েছেন।
আর যদি তারা চায় তাহলে তা ঐ সমস্ত খাতসমূহে তাদের এলাকায় (অভাবগ্রস্তদের মাঝে) ভাগ করে দিবে এবং তাদের সম্মতি ব্যতীত জবরদস্তি মূলকভাবে তা তাদের থেকে আদায় করা ইমামের জন্য জায়িয নয়। তাঁরা এই বিষয়ে এই সমস্ত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন, যা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি এবং সেই হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন যা উমার ইব্নুল খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছেঃ
3053 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , وَالْحِمَّانِيُّ , قَالَا: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ , عَنْ حَرْبِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ , عَنْ جَدِّهِ أَبِي أُمِّهِ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ عُشُورٌ , إِنَّمَا الْعُشُورُ عَلَى أَهْلِ الذِّمَّةِ» . قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْإِمَامَ لَيْسَ لَهُ أَنْ يَبْعَثَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ مَنْ يَتَوَلَّى عَلَى أَخْذِ صَدَقَاتِهِمْ , وَلَكِنَّ الْمُسْلِمِينَ بِالْخِيَارِ , إِنْ شَاءُوا أَدَّوْهَا إِلَى الْإِمَامِ فَتَوَلَّى وَضْعَهَا فِي مَوَاضِعِهَا الَّتِي أَمَرَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهَا , وَإِنْ شَاءُوا فَرَّقُوهَا فِي تِلْكَ الْمَوَاضِعِ. وَلَيْسَ لِلْإِمَامِ أَنْ يَأْخُذَهَا مِنْهُمْ بِغَيْرِ طِيبِ أَنْفُسِهِمْ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ الَّتِي رَوَيْنَاهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِمَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৫৪
ইমাম (শাসনকর্তা) যাকাত উসূল করবেন কি-না?
৩০৫৪। ফাহাদ (রাহঃ) ..... মুসলিম ইব্ন ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ইব্ন
উমার (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, উমার (রাযিঃ) কি মুসলমানদের থেকে উশর আদায় করতেন ? তিনি
বললেন, না।
পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এই বিষয়ে তাঁদের বিরােধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, ইমামের জন্য
ইখ্তিয়ার রয়েছে, তিনি ইচ্ছা করলে সম্পদের মালিকদেরকে দায়িত্ব দিয়ে দিতে পারেন যেন তারা তাদের সম্পদের যাকাত খাত অনুযায়ী আদায় করে দেয়। আর ইমাম ইচ্ছা করলে যাকাতের জন্য উসূলকারী প্রেরণ করতে পারেন, তারা তাদের থেকে উশর ও যাকাত আদায় করবে।
বস্তুত প্রথমােক্ত মত পােষণকারীদের বিরুদ্ধে তাদের দলীলঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুসলমানদের থেকে যে উশর উঠিয়ে দিয়েছেন তা হচ্ছে, জাহিলিয়্যাতের যুগে যে উশর নেয়া হতাে, যেটি যাকাত পরিপন্থী এবং যেটিকে তারা ট্যাক্স (মুকস) হিসাবে আখ্যায়িত করত। আর সেই ট্যাক্স সম্পর্কে উকবা ইব্ন আমির (রাযিঃ) রিওয়ায়াত করেছেন। এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে নিম্মােক্ত হাদীস বর্ণিত আছেঃ
উমার (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, উমার (রাযিঃ) কি মুসলমানদের থেকে উশর আদায় করতেন ? তিনি
বললেন, না।
পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এই বিষয়ে তাঁদের বিরােধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, ইমামের জন্য
ইখ্তিয়ার রয়েছে, তিনি ইচ্ছা করলে সম্পদের মালিকদেরকে দায়িত্ব দিয়ে দিতে পারেন যেন তারা তাদের সম্পদের যাকাত খাত অনুযায়ী আদায় করে দেয়। আর ইমাম ইচ্ছা করলে যাকাতের জন্য উসূলকারী প্রেরণ করতে পারেন, তারা তাদের থেকে উশর ও যাকাত আদায় করবে।
বস্তুত প্রথমােক্ত মত পােষণকারীদের বিরুদ্ধে তাদের দলীলঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুসলমানদের থেকে যে উশর উঠিয়ে দিয়েছেন তা হচ্ছে, জাহিলিয়্যাতের যুগে যে উশর নেয়া হতাে, যেটি যাকাত পরিপন্থী এবং যেটিকে তারা ট্যাক্স (মুকস) হিসাবে আখ্যায়িত করত। আর সেই ট্যাক্স সম্পর্কে উকবা ইব্ন আমির (রাযিঃ) রিওয়ায়াত করেছেন। এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে নিম্মােক্ত হাদীস বর্ণিত আছেঃ
3054 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ , قَالَ: أنا سُفْيَانُ , عَنْ عَمْرٍو , عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ , قَالَ قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ , أَكَانَ عُمَرُ يُعَشِّرُ الْمُسْلِمِينَ؟ قَالَ: «لَا» وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لِلْإِمَامِ أَنْ يُوَلِّيَ أَصْحَابَ الْأَمْوَالِ صَدَقَاتِ أَمْوَالِهِمْ , حَتَّى يَضَعُوهَا مَوَاضِعَهَا , وَلِلْإِمَامِ أَيْضًا أَنْ يَبْعَثَ عَلَيْهَا مُصَدِّقِينَ , حَتَّى يَعْشُرُوهَا , وَيَأْخُذُوا الزَّكَاةَ مِنْهَا. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لَهُمْ , أَنَّ الْعُشْرَ الَّذِي كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَفَعَهُ عَنِ الْمُسْلِمِينَ , هُوَ الْعَشْرُ الَّذِي كَانَ يُؤْخَذُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ , وَهُوَ خِلَافُ الزَّكَاةِ , وَكَانُوا يُسَمُّونَهُ الْمَكْسَ , وَهُوَ الَّذِي رَوَى عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ فِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৫৫
ইমাম (শাসনকর্তা) যাকাত উসূল করবেন কি-না?
৩০৫৫। ফাহাদ (রাহঃ) …… উকবা ইব্ন আমির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ অন্যায়ভাবে ট্যাক্স আদায়কারী (উশর আদায়কারী) জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
বস্তুত এটিই হচ্ছে মুসলিমদের থেকে উঠিয়ে নেয়া উশর, পক্ষান্তরে যাকাত উঠিয়ে নেয়া হয়নি নিম্মােক্ত
হাদীসেও বিষয়টি বর্ণনা করা হয়েছেঃ
বস্তুত এটিই হচ্ছে মুসলিমদের থেকে উঠিয়ে নেয়া উশর, পক্ষান্তরে যাকাত উঠিয়ে নেয়া হয়নি নিম্মােক্ত
হাদীসেও বিষয়টি বর্ণনা করা হয়েছেঃ
3055 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحِيمِ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شِمَاسَةَ , عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ صَاحِبُ مَكْسٍ» . يَعْنِي: عَاشِرًا فَهَذَا هُوَ الْعَشْرُ الْمَرْفُوعُ عَنِ الْمُسْلِمِينَ , وَأَمَّا الزَّكَاةُ , فَلَا. وَقَدْ بَيَّنَ ذَلِكَ أَيْضًا مَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৫৬
ইমাম (শাসনকর্তা) যাকাত উসূল করবেন কি-না?
৩০৫৬। সুলায়মান ইব্ন শু'আয়ব (রাহঃ) ..... হারব ইব্ন উবায়দুল্লাহ (রাহঃ)-এর কোন এক মামা থেকে বর্ণনা
করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে যাকাত উসূলকারী নিয়ােগ করেছিলেন এবং তাকে ইসলামের (বিধান) সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছিলেন, আর তাকে কী আদায় করবেন তাও বলে দিয়েছিলেন। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সাদাকা (যাকাত) ব্যতীত ইসলামের সমস্ত কিছু (বিধান) আমি শিক্ষা করেছি। (বলুন!)
মুসলিমদের উপর থেকে উশর নেয়া হবে কিনা? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন : ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের থেকে উশর আদায় করা হবে।
এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে যাকাত আদায়ের জন্য প্রেরণ করেছেন এবং তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন মুসলিমদের থেকে উশর আদায় করা না হয়। আর তাঁকে বলেছেন উশর একমাত্র ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের উপর (থেকে নেয়া হবে)।
এতে প্রমাণিত হলাে যে, মুসলিমদের থেকে উঠিয়ে নেয়া উশর তা যাকাত ভিন্ন (অর্থাৎ তা যাকাত নয়)।
নিম্মােক্ত হাদীসেও এটি বর্ণিত হয়েছেঃ
করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে যাকাত উসূলকারী নিয়ােগ করেছিলেন এবং তাকে ইসলামের (বিধান) সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছিলেন, আর তাকে কী আদায় করবেন তাও বলে দিয়েছিলেন। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সাদাকা (যাকাত) ব্যতীত ইসলামের সমস্ত কিছু (বিধান) আমি শিক্ষা করেছি। (বলুন!)
মুসলিমদের উপর থেকে উশর নেয়া হবে কিনা? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন : ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের থেকে উশর আদায় করা হবে।
এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে যাকাত আদায়ের জন্য প্রেরণ করেছেন এবং তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন মুসলিমদের থেকে উশর আদায় করা না হয়। আর তাঁকে বলেছেন উশর একমাত্র ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের উপর (থেকে নেয়া হবে)।
এতে প্রমাণিত হলাে যে, মুসলিমদের থেকে উঠিয়ে নেয়া উশর তা যাকাত ভিন্ন (অর্থাৎ তা যাকাত নয়)।
নিম্মােক্ত হাদীসেও এটি বর্ণিত হয়েছেঃ
3056 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ , قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ , عَنْ حَرْبِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ , عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَخْوَالِهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَعْمَلَهُ عَلَى الصَّدَقَةِ , وَعَلَّمَهُ الْإِسْلَامَ , وَأَخْبَرَهُ بِمَا يَأْخُذُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ كُلُّ الْإِسْلَامِ قَدْ عَلِمْتُهُ إِلَّا الصَّدَقَةَ , أَفَأُعْشِرُ الْمُسْلِمِينَ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا يُعَشَّرُ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى " فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَهُ عَلَى الصَّدَقَةِ , وَأَمَرَهُ أَنْ لَا يُعَشِّرَ الْمُسْلِمِينَ , وَقَالَ لَهُ: إِنَّمَا الْعُشُورُ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الْعُشُورَ الْمَرْفُوعَةَ عَنِ الْمُسْلِمِينَ , هِيَ خِلَافُ الزَّكَاةِ
وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا
وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৫৭
ইমাম (শাসনকর্তা) যাকাত উসূল করবেন কি-না?
৩০৫৭। হুসাইন ইব্ন নসর (রাহঃ) ….. হারব ইব্ন উবায়দুল্লাহ আসসাকাফী (রাহঃ)-এর মামা বাকর ইব্ন ওয়াইল (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি নবী করীম (ﷺ) -এর খিদমতে এলাম এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, উট এবং বকরীতে উশর আছে কি না ? তিনি বললেন, উশর একমাত্র ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের উপর, মুসলিমদের উপর নয়।
এটিও প্রমাণ বহন করছে যে, মুসলিমদের উপর (থেকে) যে উশর নেয়া হয় না (বরং) ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের থেকে যে উশর নেয়া হয় সেটি যাকাত থেকে ভিন্ন। যেহেতু ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের থেকে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যা নেয়া হয় তা মুসুলমাদের হক তাদের উপর ওয়াজিব জিযয়া'র ন্যায় তা ওয়াজিব। আর যাকাত অনুরূপ নয়।যেহেতু যাকাত নেয়া হয় সম্পদের মালিকের পবিত্রতার জন্য এবং তা আদায়ের জন্য সে সাওয়াব প্রাপ্ত হয়। আর ইয়াহূদীও খ্রিষ্টানদের থেকে যে ট্যাক্স নেয়া হয় এটি তাদের জন্য পবিত্রতা নয় এবং এতে তারা সাওয়াব প্রাপ্তও নয়। এ কারণে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের থেকে যা নেয়া হত এবং যা তাদের জন্য সাওয়াব বয়ে আনত না তা মুসলিমদের থেকে উঠিয়ে দিয়েছেন এবং তা ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের উপর বহাল রেখেছেন।
এটিও প্রমাণ বহন করছে যে, মুসলিমদের উপর (থেকে) যে উশর নেয়া হয় না (বরং) ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের থেকে যে উশর নেয়া হয় সেটি যাকাত থেকে ভিন্ন। যেহেতু ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের থেকে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যা নেয়া হয় তা মুসুলমাদের হক তাদের উপর ওয়াজিব জিযয়া'র ন্যায় তা ওয়াজিব। আর যাকাত অনুরূপ নয়।যেহেতু যাকাত নেয়া হয় সম্পদের মালিকের পবিত্রতার জন্য এবং তা আদায়ের জন্য সে সাওয়াব প্রাপ্ত হয়। আর ইয়াহূদীও খ্রিষ্টানদের থেকে যে ট্যাক্স নেয়া হয় এটি তাদের জন্য পবিত্রতা নয় এবং এতে তারা সাওয়াব প্রাপ্তও নয়। এ কারণে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের থেকে যা নেয়া হত এবং যা তাদের জন্য সাওয়াব বয়ে আনত না তা মুসলিমদের থেকে উঠিয়ে দিয়েছেন এবং তা ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের উপর বহাল রেখেছেন।
3057 - أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ نَصْرٍ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ , قَالَ: أنا سُفْيَانُ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ , " عَنْ حَرْبِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ الثَّقَفِيِّ , عَنْ خَالٍ لَهُ مِنْ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ , قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلْتُهُ عَنِ الْإِبِلِ وَالْغَنَمِ أَعْشُرُهُنَّ؟ قَالَ: «إِنَّمَا الْعُشُورُ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى , وَلَيْسَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ» فَدَلَّ هَذَا عَلَى أَنَّ الْعُشْرَ الَّذِي لَيْسَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ , الْمَأْخُوذَ مِنَ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى , هُوَ خِلَافُ الزَّكَاةِ , لِأَنَّ مَا يُؤْخَذُ مِنَ النَّصَارَى وَالْيَهُودِ مِنْ ذَلِكَ , إِنَّمَا هُوَ حَقٌّ لِلْمُسْلِمِينَ وَاجِبٌ عَلَيْهِمْ , كَالْجِزْيَةِ الْوَاجِبَةِ لَهُمْ عَلَيْهِمْ , وَالزَّكَاةُ لَيْسَتْ كَذَلِكَ , لِأَنَّهَا إِنَّمَا تُؤْخَذُ طَهَارَةً لِرَبِّ الْمَالِ , وَهُوَ مُثَابٌ عَلَى أَدَائِهَا. وَالْيَهُودِ وَالنَّصَارَى لَيْسَ مَا يُؤْخَذُ مِنْهُمْ مِنَ الْعُشْرِ , طَهَارَةً لَهُمْ , وَلَا هُمْ مُثَابُونَ عَلَيْهِ. فَرَفَعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مَا يُؤْخَذُ مِنْهُمْ , مِمَّا لَا ثَوَابَ لَهُمْ عَلَيْهِ , وَأَقَرَّ ذَلِكَ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৫৮
ইমাম (শাসনকর্তা) যাকাত উসূল করবেন কি-না?
৩০৫৮। আবু বাকরা (রাহঃ) ও ইবরাহীম ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... আব্দুল রহমান ইব্ন মিহরান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা
করেন যে, একবার উমার ইব্ন আব্দুল আযীয (রাহঃ) আয়্যূব ইব্ন শুরাহবিল (রাহঃ)-কে এই মর্মে লিখলেন যে,
মুসলিমদের থেকে প্রতি চল্লিশ দিনারে (স্বর্ণ মুদ্রায়) এক দিনার এবং আহলে কিতাবদের থেকে তারা ইচ্ছুক
হলে প্রতি বিশ দিনারে এক দিনার গ্রহণ করবে। তারপর বর্ষপূর্তি ব্যতীত তাদের থেকে কিছু নিবে না।
যেহেতু আমি তা সেই ব্যক্তি থেকে শুনেছি যিনি নবী করীম (ﷺ) কে তা বলতে শুনেছেন। এই হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যাকাত উশূল কারীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তারা মুসলিমদের সেই সম্পদ গ্রহণ করেন যা আমরা উল্লেখ করেছি এবং যিম্মীদের সেই সম্পদ গ্রহণ করেন যা আমরা ব্যক্ত করেছি।
উমর ইব্নুল খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে এর অনুকূলে বর্ণিত আছেঃ
করেন যে, একবার উমার ইব্ন আব্দুল আযীয (রাহঃ) আয়্যূব ইব্ন শুরাহবিল (রাহঃ)-কে এই মর্মে লিখলেন যে,
মুসলিমদের থেকে প্রতি চল্লিশ দিনারে (স্বর্ণ মুদ্রায়) এক দিনার এবং আহলে কিতাবদের থেকে তারা ইচ্ছুক
হলে প্রতি বিশ দিনারে এক দিনার গ্রহণ করবে। তারপর বর্ষপূর্তি ব্যতীত তাদের থেকে কিছু নিবে না।
যেহেতু আমি তা সেই ব্যক্তি থেকে শুনেছি যিনি নবী করীম (ﷺ) কে তা বলতে শুনেছেন। এই হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যাকাত উশূল কারীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তারা মুসলিমদের সেই সম্পদ গ্রহণ করেন যা আমরা উল্লেখ করেছি এবং যিম্মীদের সেই সম্পদ গ্রহণ করেন যা আমরা ব্যক্ত করেছি।
উমর ইব্নুল খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে এর অনুকূলে বর্ণিত আছেঃ
3058 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَا: ثنا أَبُو عَامِرٍ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مِهْرَانَ , «أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ , كَتَبَ إِلَى أَيُّوبَ بْنِ شُرَحْبِيلَ أَنْ خُذْ , مِنَ الْمُسْلِمِينَ , مِنْ كُلِّ أَرْبَعِينَ دِينَارًا , دِينَارًا , وَمِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ كُلِّ عِشْرِينَ دِينَارًا , دِينَارًا , إِذَا كَانُوا يُرِيدُونَهَا , ثُمَّ لَا تَأْخُذْ مِنْهُمْ شَيْئًا حَتَّى رَأْسِ الْحَوْلِ , فَإِنِّي سَمِعْتُ ذَلِكَ مِمَّنْ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يَقُولُ ذَلِكَ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُصَدِّقِينَ أَنْ يَأْخُذُوا مِنْ أَمْوَالِ الْمُسْلِمِينَ مَا ذَكَرْنَا , وَمِنْ أَمْوَالِ أَهْلِ الذِّمَّةِ مَا وَصَفْنَا وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , مَا قَدْ وَافَقَ هَذَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০৫৯
ইমাম (শাসনকর্তা) যাকাত উসূল করবেন কি-না?
৩০৫৯। আবু বিশর আররকী (রাহঃ) ….. অনাস ইব্ন সীরীন (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
আনাস ইব্ন মালিক (রাযিঃ) আমাকে ডেকে পাঠালেন, তাঁর কাছে আমার আসতে বিলম্ব হলাে। তারপর তিনি
আবারাে আমাকে ডেকে পাঠালেন, আমি তাঁর কাছে এলাম। তিনি বললেন, আমি জানতাম, আমি যদি
তােমাকে আমার সন্তুষ্টির নিমিত্ত অমুক অমুক পাথর কামড়ে ধরার নির্দেশ দেই অবশ্যই তুমি তা করতে।
আমি তােমার জন্য একটি কাজের ব্যবস্থা করেছি, তারপর তা আমি অপছন্দ করেছি। তারপর তিনি বললেন, আমি কি তােমাকে উমার (রাযিঃ)-এর সুন্নত লিখে দিব ? তিনি বলেন, আমি বললাম, আমাকে উমার (রাযিঃ)-এর সুন্নত লিখে দিন। তিনি বলেন, এরপর তিনি লিখলেনঃ “মুসলমানের থেকে প্রতি চল্লিশ দিরহাম থেকে এক দিরহার করে আর যিম্মীদের থেকে প্রতি বিশ দিরহাম থেকে এক দিরহাম করে আদায় কর এবং যিম্মী ব্যতীত (অন্য কাফির)দের থেকে প্রতি দশ দিরহামে এক দিরহাম করে আদায় কর। তিনি বলেন, আমি বললাম,যিম্মাদারী কার জন্য নেই ? (অর্থাৎ কে যিম্মী নয়) তিনি বলেন, রােমানরা (ব্যবসার উদ্দেশ্যে) সিরিয়া থেকে আসা যাওয়া করে।
বস্তুত যখন উমার (রাযিঃ) এটি রাসূলুল্মাহ্ (ﷺ)-এর সাহাবীগণের উপস্থিতিতে করেছেন, তাঁদের থেকে কেউ তাঁর এ কাজের প্রতি আপত্তি জ্ঞাপন করেন নি। তাহলে এটি দলীল এবং এর প্রতি তাঁদের ইজ্মা (ঐকমত্য) বলে
বিবেচিত হবে। সুতরাং এটি এ অনুচ্ছেদের হাদীস সমূহের সঠিক বিশ্লেষণ।
ইমাম তাহাৰী (রাহঃ)-এর মুক্তিভিত্তিক দলীল
এ বিষয়ের যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ হচ্ছে, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, আলিমগণ এ ব্যাপারে ঐকমত্য পােষণ করেন যে, ইমামের জন্য বৈধ রয়েছে মুক্তভাবে বিচরণকারী পশুমালিকদের নিকট যাকাত উশূলকারীকে প্রেরণ করা, যাতে সে তাদের থেকে তাদের পশুগুলাের যাকাত আদায় করে যখন তাতে যাকাত ওয়াজিব হয়। অনুরূপভাবে তাদের ফলাদির ব্যাপারে করবেন। তারপর তা যাকাতের খাতসমূহে ব্যয় করবেন, যেভাবে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন। এর প্রতি মুসলমানদের মধ্যেকার কেউ অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেনি। সুতরাং যুক্তির দাবি অনুযায়ী স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্যবসায়িক সম্পদ সহ অপরাপর সম্পদ (এর বিধান) অনুরূপ হবে।
পক্ষান্তরে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর উক্তির “মুসলিমদের উপর উশর নেই, উশর হচ্ছে একমাত্র ইয়াহূদীও খ্রিষ্টানদের উপর"-এর অর্থ সেটি, যা আমি পূর্ব অনুচ্ছেদে ব্যাখ্যা করে এসেছি।
আমি আবু বাকরা (রাহঃ)-কে শুনেছি, তিনি তা আবু উমার আযযরির (রাহঃ) থেকে উদ্ধৃত করেছেন । (উল্লিখিত)
এই সবই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) -এর অভিমত।
ইয়াহ্ইয়া ইব্ন আদম (রাহঃ) থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর (নিম্মােক্ত) উক্তির ব্যাখ্যায় আমাদের উল্লেখ করা অর্থ থেকে ভিন্ন অর্থ বর্ণিত আছেঃ “মুসলিমদের উপর উশর নেই, উশর হচ্ছে কেবল মাত্র ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের উপর”। আর তা হচ্ছে, তিনি বলেছেন, মুসলিমদের উপর তাদের উশর উসূলকারীর কাছ দিয়ে অতিক্রম করার কারণে তার সম্পদের উপর উশর (দেয়া) ওয়াজিব হবে না, যতক্ষণ না তাদের উপর উশর ওয়াজিব হয়, যদি তারা তা নিয়ে তার কাছ দিয়ে অতিক্রম না করে। যেহেতু তাদের উপর যাকাত সর্বাবস্থায় ওয়াজিব হয় যদি কিনা বর্ষপূর্তি হয়, উশর উসূলকারীর কাছ দিয়ে অতিক্রম করুক বা না করুক। পক্ষান্তরে ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানরা যদি তাদের সম্পদ নিয়ে উশর উসূলকারীর কাছ দিয়ে অতিক্রম না করে তাহলে তাতে তাদের উপর কোন কিছু ওয়াজিব হবে না। মুসলিমদেব থেকে যে উশর উঠিয়ে দেয়া হয়েছে, সেটিই অপরিহার্য হয় উশর উসূলকারীর কাছ দিয়ে সম্পদ নিয়ে অতিক্রম করায়। আর ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের থেকে তা (উশর) উঠিয়ে নেয়া হয়নি।
আনাস ইব্ন মালিক (রাযিঃ) আমাকে ডেকে পাঠালেন, তাঁর কাছে আমার আসতে বিলম্ব হলাে। তারপর তিনি
আবারাে আমাকে ডেকে পাঠালেন, আমি তাঁর কাছে এলাম। তিনি বললেন, আমি জানতাম, আমি যদি
তােমাকে আমার সন্তুষ্টির নিমিত্ত অমুক অমুক পাথর কামড়ে ধরার নির্দেশ দেই অবশ্যই তুমি তা করতে।
আমি তােমার জন্য একটি কাজের ব্যবস্থা করেছি, তারপর তা আমি অপছন্দ করেছি। তারপর তিনি বললেন, আমি কি তােমাকে উমার (রাযিঃ)-এর সুন্নত লিখে দিব ? তিনি বলেন, আমি বললাম, আমাকে উমার (রাযিঃ)-এর সুন্নত লিখে দিন। তিনি বলেন, এরপর তিনি লিখলেনঃ “মুসলমানের থেকে প্রতি চল্লিশ দিরহাম থেকে এক দিরহার করে আর যিম্মীদের থেকে প্রতি বিশ দিরহাম থেকে এক দিরহাম করে আদায় কর এবং যিম্মী ব্যতীত (অন্য কাফির)দের থেকে প্রতি দশ দিরহামে এক দিরহাম করে আদায় কর। তিনি বলেন, আমি বললাম,যিম্মাদারী কার জন্য নেই ? (অর্থাৎ কে যিম্মী নয়) তিনি বলেন, রােমানরা (ব্যবসার উদ্দেশ্যে) সিরিয়া থেকে আসা যাওয়া করে।
বস্তুত যখন উমার (রাযিঃ) এটি রাসূলুল্মাহ্ (ﷺ)-এর সাহাবীগণের উপস্থিতিতে করেছেন, তাঁদের থেকে কেউ তাঁর এ কাজের প্রতি আপত্তি জ্ঞাপন করেন নি। তাহলে এটি দলীল এবং এর প্রতি তাঁদের ইজ্মা (ঐকমত্য) বলে
বিবেচিত হবে। সুতরাং এটি এ অনুচ্ছেদের হাদীস সমূহের সঠিক বিশ্লেষণ।
ইমাম তাহাৰী (রাহঃ)-এর মুক্তিভিত্তিক দলীল
এ বিষয়ের যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ হচ্ছে, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, আলিমগণ এ ব্যাপারে ঐকমত্য পােষণ করেন যে, ইমামের জন্য বৈধ রয়েছে মুক্তভাবে বিচরণকারী পশুমালিকদের নিকট যাকাত উশূলকারীকে প্রেরণ করা, যাতে সে তাদের থেকে তাদের পশুগুলাের যাকাত আদায় করে যখন তাতে যাকাত ওয়াজিব হয়। অনুরূপভাবে তাদের ফলাদির ব্যাপারে করবেন। তারপর তা যাকাতের খাতসমূহে ব্যয় করবেন, যেভাবে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন। এর প্রতি মুসলমানদের মধ্যেকার কেউ অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেনি। সুতরাং যুক্তির দাবি অনুযায়ী স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্যবসায়িক সম্পদ সহ অপরাপর সম্পদ (এর বিধান) অনুরূপ হবে।
পক্ষান্তরে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর উক্তির “মুসলিমদের উপর উশর নেই, উশর হচ্ছে একমাত্র ইয়াহূদীও খ্রিষ্টানদের উপর"-এর অর্থ সেটি, যা আমি পূর্ব অনুচ্ছেদে ব্যাখ্যা করে এসেছি।
আমি আবু বাকরা (রাহঃ)-কে শুনেছি, তিনি তা আবু উমার আযযরির (রাহঃ) থেকে উদ্ধৃত করেছেন । (উল্লিখিত)
এই সবই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) -এর অভিমত।
ইয়াহ্ইয়া ইব্ন আদম (রাহঃ) থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর (নিম্মােক্ত) উক্তির ব্যাখ্যায় আমাদের উল্লেখ করা অর্থ থেকে ভিন্ন অর্থ বর্ণিত আছেঃ “মুসলিমদের উপর উশর নেই, উশর হচ্ছে কেবল মাত্র ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের উপর”। আর তা হচ্ছে, তিনি বলেছেন, মুসলিমদের উপর তাদের উশর উসূলকারীর কাছ দিয়ে অতিক্রম করার কারণে তার সম্পদের উপর উশর (দেয়া) ওয়াজিব হবে না, যতক্ষণ না তাদের উপর উশর ওয়াজিব হয়, যদি তারা তা নিয়ে তার কাছ দিয়ে অতিক্রম না করে। যেহেতু তাদের উপর যাকাত সর্বাবস্থায় ওয়াজিব হয় যদি কিনা বর্ষপূর্তি হয়, উশর উসূলকারীর কাছ দিয়ে অতিক্রম করুক বা না করুক। পক্ষান্তরে ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানরা যদি তাদের সম্পদ নিয়ে উশর উসূলকারীর কাছ দিয়ে অতিক্রম না করে তাহলে তাতে তাদের উপর কোন কিছু ওয়াজিব হবে না। মুসলিমদেব থেকে যে উশর উঠিয়ে দেয়া হয়েছে, সেটিই অপরিহার্য হয় উশর উসূলকারীর কাছ দিয়ে সম্পদ নিয়ে অতিক্রম করায়। আর ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের থেকে তা (উশর) উঠিয়ে নেয়া হয়নি।
3059 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ , قَالَ: ثنا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ , عَنِ ابْنِ عَوْنٍ , عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ , قَالَ: أَرْسَلَ إِلَيَّ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَأَبْطَأْتُ عَلَيْهِ ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَيَّ فَأَتَيْتُهُ , فَقَالَ إِنْ كُنْتُ أَرَى إِنِّي لَوْ أَمَرْتُكَ أَنْ تَعَضَّ عَلَى حَجَرِ كَذَا وَكَذَا , ابْتِغَاءَ مَرْضَاتِي , لَفَعَلْتُ , أَخْبَرْتُ لَكَ عَمَلًا فَكَرِهْتُهُ، أَوَأَكْتُبُ لَكَ سُنَّةَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ؟ قَالَ: قُلْتُ , اكْتُبْ لِي سُنَّةَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. قَالَ: فَكَتَبَ خُذْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , مِنْ أَرْبَعِينَ دِرْهَمًا , دِرْهَمًا , وَمِنْ أَهْلِ الذِّمَّةِ مِنْ كُلِّ عِشْرِينَ دِرْهَمًا , دِرْهَمًا , وَمِمَّنْ لَا ذِمَّةَ لَهُ , مِنْ كُلِّ عَشَرَةِ دَرَاهِمَ , دِرْهَمًا. قَالَ: قُلْتُ , مَنْ لَا ذِمَّةَ لَهُ؟ قَالَ: الرُّومُ كَانُوا يَقْدُمُونَ مِنَ الشَّامِ " فَلَمَّا فَعَلَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هَذَا بِحَضْرَةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَلَمْ يُنْكِرْهُ عَلَيْهِ مِنْهُمْ أَحَدٌ مُنْكِرٌ , كَانَ ذَلِكَ حُجَّةً وَإِجْمَاعًا مِنْهُمْ عَلَيْهِ. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. وَأَمَّا وَجْهُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَاهُمْ , أَنَّهُمْ لَا يَخْتَلِفُونَ أَنَّ لِلْإِمَامِ أَنْ يَبْعَثَ إِلَى أَرْبَابِ الْمَوَاشِي السَّائِمَةِ حَتَّى يَأْخُذَ مِنْهُمْ صَدَقَةَ مَوَاشِيهِمْ إِذَا وَجَبَتْ فِيهَا الصَّدَقَةُ , وَكَذَلِكَ يَفْعَلُ فِي ثِمَارِهِمْ , ثُمَّ يَضَعُ ذَلِكَ فِي مَوَاضِعِ الزَّكَوَاتِ عَلَى مَا أَمَرَهُ بِهِ عَزَّ وَجَلَّ , لَا يَأْبَى ذَلِكَ أَحَدٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ بَقِيَّةُ الْأَمْوَالِ أَنَّ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَأَمْوَالَ التِّجَارَاتِ كَذَلِكَ. فَأَمَّا مَعْنَى قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ عُشُورٌ» , إِنَّمَا الْعُشُورُ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى ". فَعَلَى مَا قَدْ فَسَّرْتُهُ فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْبَابِ وَقَدْ سَمِعْتُ أَبَا بَكْرَةَ يَحْكِي ذَلِكَ , عَنْ أَبِي عُمَرَ الضَّرِيرِ. وَهَذَا كُلُّهُ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ يَحْيَى بْنِ آدَمَ فِي تَفْسِيرِ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ عُشُورٌ , إِنَّمَا الْعُشُورُ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى» مَعْنًى غَيْرُ الْمَعْنَى الَّذِي ذَكَرْنَا , وَذَلِكَ أَنَّهُ قَالَ: إِنَّ الْمُسْلِمِينَ لَا يَجِبُ عَلَيْهِمْ بِمُرُورِهِمْ عَلَى الْعَاشِرِ فِي أَمْوَالِهِمْ مَا لَمْ يَكُنْ وَاجِبًا عَلَيْهِمْ , لَوْ لَمْ يَمُرُّوا بِهَا عَلَيْهِ , لِأَنَّ عَلَيْهِمُ الزَّكَاةَ عَلَى أَيِّ حَالٍ كَانُوا عَلَيْهَا. وَالْيَهُودُ وَالنَّصَارَى لَوْ لَمْ يَمُرُّوا بِأَمْوَالِهِمْ عَلَى الْعَاشِرِ , لَمْ يَجِبْ عَلَيْهِمْ فِيهَا شَيْءٌ. فَالَّذِي رَفَعَ عَنِ الْمُسْلِمِينَ , هُوَ الَّذِي يُوجِبُهُ الْمُرُورُ بِالْمَالِ عَلَى الْعَاشِرِ , وَلَمْ يُرْفَعْ ذَلِكَ عَنِ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান