শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৪. যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩০৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৩২
৪. মুক্তভাবে বিচরণকারী ঘােড়ার ক্ষেত্রে যাকাত আছে কি-না ?
৩০৩০-৩২। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একবার ঘােড়ার আলােচনা প্রসঙ্গে বললেন, তা তিন প্রকার। (ক) (ঘােড়া) মানুষের জন্য সাওয়াবের উপায় (খ) মানুষের (অভাবের) জন্য পর্দা (ঘ) এবং মানুষের গুনাহ্ (ও শাস্তির কারণ) ।
বস্তুত সে ঘােড়া তার জন্য পর্দা (স্বরূপ) যে ব্যক্তি তা অনুগ্রহ করা ও সৌন্দর্যের জন্য পালন করে এবং কঠিন ও সহজ (সর্বাবস্থায়) তার পেট-(খাদ্য) ও পিঠের (অতিরিক্ত ভার বহনে বিরত থাকা) হক সম্পর্কে ভুলে যায় না।


ইউনুস (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর থেকে অনুরূপ বিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি বলেনঃ তার গর্দান ও পিঠের ব্যাপারে আল্লাহর হক ভুলে না শুধু এতটুকু বলেছেন।


ইউনুস (রাহঃ) ….. যায়দ ইব্‌ন আসলাম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ একদল আলিম ঘােড়ার ক্ষেত্রে যাকাত ওয়াজিব হওয়ার মত পােষণ
করেন। যখন তা পুরুষ (ঘােড়া) ও স্ত্রী (ঘােড়া) হবে এবং এর মালিক-এর বংশ বৃদ্ধির প্রত্যাশা করে। তাঁরা
তাতে যাকাত ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর উক্তি وَلَمْ يَنْسَ حَقَّ اللهِ فِيهَا (এবং তাতে আল্লাহর হক ভুলে না) দ্বারা দলীল পেশ করেন। তারা বলেছেন যে, এটা প্রমাণ করে যে, এতে আল্লাহর হক (যাকাত) রয়েছে। আর এটি অপরাপর সমস্ত সম্পদের হকের (যাকাতের) ন্যায় যাতে যাকাত ওয়াজিব হয়।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁরা উমার ইব্‌নুল খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেনঃ
بَابٌ الْخَيْلُ السَّائِمَةُ هَلْ فِيهَا صَدَقَةٌ أَمْ لَا؟
32 - 3030 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ , عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ الْخَيْلَ فَقَالَ: «هِيَ لِثَلَاثَةٍ , لِرَجُلٍ أَجْرٌ , وَلِرَجُلٍ سِتْرٌ , وَعَلَى رَجُلٍ وِزْرٌ , فَأَمَّا الَّذِي هِيَ لَهُ سِتْرٌ , فَالرَّجُلُ يَتَّخِذُهَا تَكَرُّمًا وَتَجَمُّلًا , وَلَا يَنْسَى حَقَّ ظُهُورِهَا وَبُطُونِهَا فِي عُسْرِهَا وَيُسْرِهَا»

حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا , حَدَّثَهُ , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ , عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ «وَلَمْ يَنْسَ حَقَّ اللهِ فِي رِقَابِهَا وَلَا فِي ظُهُورِهَا» فَقَطْ

حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى وُجُوبِ الصَّدَقَةِ فِي الْخَيْلِ , إِذَا كَانَتْ ذُكُورًا وَإِنَاثًا , وَكَانَ صَاحِبُهَا يَلْتَمِسُ نَسْلَهَا. وَاحْتَجُّوا فِي إِيجَابِهِمُ الزَّكَاةَ فِيهَا بِقَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَلَمْ يَنْسَ حَقَّ اللهِ فِيهَا» . قَالُوا: فَفِي هَذَا دَلِيلٌ أَنَّ لِلَّهِ فِيهَا حَقًّا , وَهُوَ كَحَقِّهِ فِي سَائِرِ الْأَمْوَالِ الَّتِي يَجِبُ فِيهَا الزَّكَاةُ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৩১
empty
৩০৩১।
- 3031
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৩২
empty
৩০৩২।
- 3032
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৩৩
মুক্তভাবে বিচরণকারী ঘােড়ার ক্ষেত্রে যাকাত আছে কি-না ?
৩০৩৩। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... সায়িব ইব্‌ন ইয়াযীদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ
আমার পিতাকে দেখেছি তিনি ঘােড়ার মূল্য নির্ধারণ করে এর যাকাত উমর ইব্‌নুল খাত্তাব (রাযিঃ)-কে প্রদান করতেন।
3033 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ , قَالَ: ثنا جُوَيْرِيَةُ , عَنْ مَالِكٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , أَنَّ السَّائِبَ بْنَ يَزِيدَ , أَخْبَرَهُ , قَالَ: «رَأَيْتُ أَبِي يُقَوِّمُ الْخَيْلَ , وَيَدْفَعُ صَدَقَتَهَا إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৩৫
মুক্তভাবে বিচরণকারী ঘােড়ার ক্ষেত্রে যাকাত আছে কি-না ?
৩০৩৪-৩৫। সুলায়মান ইব্‌ন শু'আয়ব (রাহঃ) ….. আনাস ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উমর (রাযিঃ) (আরবী) ঘােড়া থেকে দশ দিরহাম এবং (ইরানী কিংবা তু্র্কী ঘােড়া) থেকে পাঁচ দিরহাম আদায় করতেন।


আবু বাকরা (রাহঃ) ….. হাম্মাদ ইব্‌ন সালামা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
এই অভিমত যাঁরা ব্যক্ত করেছেন তাঁদের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম যুফার (রাহঃ) ও অন্যতম।
পক্ষান্তরে এই বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরােধিতা করেছেন। তাঁদের মধ্যে ইমাম আবু ইউসুফ
(রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইব্‌নুল হাসান (রাহঃ) অন্যতম। তাঁরা বলেছেনঃ মুক্তভাবে বিচরণকারী ঘোড়ার ক্ষেত্রে
অবশ্যই যাকাত নেই।

প্রথমােক্ত আলিমদের পেশকৃত দলীলের উত্তরঃ প্রথমোক্ত বক্তব্য পেশকারীদের বিরুদ্ধে তাঁদের (দ্বিতীয় মত পােষণকারীদের) দলীল। তাঁরা যে তাদের মতের স্বপক্ষে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিম্মােক্ত বাণী দ্বারা দলীল দিয়েছেনঃ وَلَمْ يَنْسَ حَقَّ اللهِ فِيهَا [এবং তাতে আল্লাহর হক (যাকাত) ভুলে না ] বস্তুত হতে পারে, উক্ত হক দ্বারা যাকাত ব্যতীত অন্য হক (নফল সাদাকা) উদ্দেশ্য । যেহেতু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর থেকে নিন্মোক্ত সনদে বর্ণিত আছেঃ
3034 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ , قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ بْنُ نَاصِحٍ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ , أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ كَانَ يَأْخُذُ مِنَ الْفَرَسِ عَشْرَةً , وَمِنِ الْبِرْذَوْنِ خَمْسَةً "

3035 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ , وَالْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ , قَالَا: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى هَذَا الْقَوْلِ أَيْضًا , أَبُو حَنِيفَةَ , وَزُفَرُ رَحِمَهُمَا اللهُ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , مِنْهُمْ أَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحِمَهُمَا اللهُ , فَقَالُوا: لَا صَدَقَةَ فِي الْخَيْلِ السَّائِمَةِ الْبَتَّةَ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى فِيمَا احْتَجُّوا بِهِ لِقَوْلِهِمْ , مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَلَمْ يَنْسَ حَقَّ اللهِ فِيهَا» . أَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ الْحَقُّ حَقًّا سِوَى الزَّكَاةِ
فَإِنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৩৫
empty
৩০৩৫।
- 3035
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৩৬
মুক্তভাবে বিচরণকারী ঘােড়ার ক্ষেত্রে যাকাত আছে কি-না ?
৩০৩৬। রবী'উল মুয়াযযিন (রাহঃ) ….. ফাতিমা বিনত কায়স (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ যাকাত ছাড়াও ধন-সম্পদে অবশ্যই আরাে হক রয়েছে। তারপর তিনি এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেন। (অর্থ): কোন পুণ্য নেই তােমাদের মুখ ফিরানােতে ….. শেষ পর্যন্ত (২ বাকারা : ১৭৭)
সুতরাং যখন আমরা দেখছি যে, সম্পদে যাকাত ব্যতীত অন্য হক সাব্যস্ত করা হয়েছে তাহলে সম্ভাবনা থাকছে যে, সেই হক যা কিনা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঘােড়ার ক্ষেত্রে উল্লেখ করেছেন, সেটি এই দ্বিতীয় হক।
আরেকটি দলীলঃ হাদীসে ব্যক্ত যাকাত, যা আমরা আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি, তা আব্দ্ধ
ঘােড়ার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, মুক্তভাবে বিচরণকারী ঘােড়ার ক্ষেত্রে বলা হয়নি।
আরেকটি দলীলঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুক্তভাবে বিচরণকারী উটের (বিষয়টি) ও উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেনঃ এতে হক রয়েছে। এ হক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলাে, তা কিরূপ ? তিনি বলেনঃনর উটকে (মাদী উটের সাথে) প্রজননের জন্য দেয়া, উটকে পানি পান করানাের জন্য বালতি ধার দেয়া ও দুগ্ধবতী উটনীকে (নিজের অভাবগ্রস্ত প্রতিবেশীকে দুধ পান করার নিমিত্ত কিছু দিনের জন্য) প্রদান করা।
3036 - مَا حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللهِ , عَنْ أَبِي حَمْزَةَ , عَنْ عَامِرٍ , عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «فِي الْمَالِ حَقٌّ سِوَى الزَّكَاةِ , وَتَلَا هَذِهِ الْآيَةَ {» لَيْسَ الْبِرَّ أَنْ تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ "} [البقرة: 177] إِلَى آخِرِ الْآيَةِ ". فَلَمَّا رَأَيْنَا الْمَالَ قَدْ جُعِلَ فِيهِ حَقٌّ سِوَى الزَّكَاةِ , احْتُمِلَ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ الْحَقُّ , الَّذِي ذَكَرَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْخَيْلِ , هُوَ ذَلِكَ الْحَقُّ أَيْضًا. وَحُجَّةٌ أُخْرَى أَنَّ الزَّكَاةَ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَيْنَاهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , إِنَّمَا هُوَ فِي الْخَيْلِ الْمُرْتَبِطَةِ , لَا فِي الْخَيْلِ السَّائِمَةِ وَحُجَّةٌ أُخْرَى
أَنَّا قَدْ رَأَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ الْإِبِلَ السَّائِمَةَ أَيْضًا فَقَالَ فِيهَا حَقٌّ فَسُئِلَ عَنْ ذَلِكَ الْحَقِّ مَا هُوَ فَقَالَ «إِطْرَاقُ فَحْلِهَا , وَإِعَارَةُ دَلْوِهَا , وَمَنِيحَةُ سَمِينِهَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৩৭
মুক্তভাবে বিচরণকারী ঘােড়ার ক্ষেত্রে যাকাত আছে কি-না ?
৩০৩৭। ইবরাহীম ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) জাবির (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) এ থেকে বর্ণনা করেন। যখন কিনা উটের ক্ষেত্রেও যাকাত ভিন্ন অন্য হক রয়েছে তাহলে সম্ভাবনা থাকছে যে, ঘােড়ার ক্ষেত্রেও অনুরূপ হবে! তাঁরা যে সেই রিওয়ায়াত দ্বারা দলীল পেশ করেছেন যা আমরা উমর ইব্‌নুল খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছি, আমাদের মতে এতেও তাঁদের জন্য দলীল নেই। যেহেতু উমর (রাযিঃ) তা তাদের থেকে (ঘােড়ার ক্ষেত্রে) ওয়াজিব হওয়ার কারণে গ্রহণ করেননি।

বস্তুত যে কারণে উমর ইব্‌নুল খাত্তাব (রাযিঃ) তা গ্রহণ করেছেন, তা হারিসা ইব্‌ন মুযাররিব (রাহঃ) নিম্মােক্ত
রিওয়ায়াতে বর্ণনা করেছেনঃ
3037 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ , إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو حُذَيْفَةَ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا كَانَتِ الْإِبِلُ أَيْضًا فِيهَا حَقٌّ غَيْرُ الزَّكَاةِ , احْتُمِلَ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ , الْخَيْلُ. وَأَمَّا مَا احْتَجُّوا بِهِ , مِمَّا رَوَيْنَاهُ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَلَا حُجَّةَ لَهُمْ فِيهِ أَيْضًا عِنْدَنَا , لِأَنَّ عُمَرَ لَمْ يَأْخُذْ ذَلِكَ مِنْهُمْ , عَلَى أَنَّهُ وَاجِبٌ عَلَيْهِمْ. وَقَدْ بَيَّنَ السَّبَبَ الَّذِي مِنْ أَجْلِهِ أَخَذَ ذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ , حَارِثَةُ بْنُ مُضَرِّبٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৩৮
মুক্তভাবে বিচরণকারী ঘােড়ার ক্ষেত্রে যাকাত আছে কি-না ?
৩০৩৮। ফাহাদ (রাহঃ) ….. হারিসা ইব্‌ন মুযাররিব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার
উমর ইব্‌নুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর সাথে হজ্জ পালন করেছি। সে সময়ে তার নিকট সিরিয়ার অভিজাত লােকেরা এলেন এবং তাঁরা বললেন, হে আমীরুল মু'মিনীন, আমরা জন্তু এবং সম্পদ লাভ করেছি। সুতরাং আমাদের সম্পদ থেকে সাদাকা (যাকাত) গ্রহণ করুন, এর দ্বারা আমাদেরকে পবিত্র করুন এবং আমাদের জন্য যাকাত (পবিত্রতা) হবে । তিনি বললেন, এটি এমন বস্তু যা আমার পূর্ববর্তী দুই ব্যক্তি (রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও আবু বাকর রা.) করেন নি। বরং তােমরা অপেক্ষা কর, আমি মুসলমানদেরকে (বিষয়টি সম্পর্কে) জিজ্ঞাসা (পরামর্শ) করি। তারপর তিনি সাহাবা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলেন, তাদের মধ্যে আলী ইব্‌ন আবী তালিব (রাযিঃ) বিদ্যমান ছিলেন। তাঁরা তা উত্তম বলে মন্তব্য করলেন। আলী (রাযিঃ) চুপ রইলেন, তাঁদের সাথে মন্তব্য করলেন না।
উমার (রাযিঃ) বললেন, হে আবুল হাসান! আপনার কি হলাে, কথা বলছেন না যে? তিনি বললেন, লােকরা
আপনাকে যে পরামর্শ দিয়েছেন তাতে কোন অসুবিধা নেই যদি তা ওয়াজিব বা নিয়মিত জিযয়া হিসাবে না হয় (বরং নফল হিসাবে হয়)। রাবী বলেন, তারপর তিনি বার্ষিক প্রত্যেক গােলামের ক্ষেত্রে দশ (দিরহাম), প্রত্যেক ঘােড়ার ক্ষেত্রে দশ (দিরহাম), প্রত্যেক এরূপ ঘােড়ার ক্ষেত্রে আট (দিরহাম) যার মা আরবী এবং বাপ অনারবী, প্রত্যেক ফারসী বা অনারবী ঘােড়ার ক্ষেত্রে অথবা খচ্চরের ক্ষেত্রে পাঁচ (দিরহাম) করে আদায় করতেন। তারপর (বায়তুল মাল থেকে) মাসিক রিযিক হিসাবে ঘােড়ার ক্ষেত্রে দশ দিরহাম, এরূপ ঘােড়ার ক্ষেত্রে যার মা আরবী এবং বাপ অনারবী আট (দিরহাম), খচ্চরের ক্ষেত্রে পাঁচ (দিরহাম) ও গােলামের ক্ষেত্রে দুই জারিব (গম)।

সুতরাং এই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, উমর (রাযিঃ) তাদের থেকে যা গ্রহণ করেন তা যাকাত ছিলাে না; বরং যাকাত ব্যতীত (নফল) সাদাকা ছিলাে। উমার (রাযিঃ) তাঁদেরকে বলেছিলেনঃ এটি সেই দুই ব্যক্তি করেন নি যারা আমার পূর্বে ছিলেন। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও আবু বাকর (রাযিঃ)। এটি প্রমাণ বহন করে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও আবু বাকর (রাযিঃ) তাঁদের কালে উপস্থিত ঘােড়া থেকে সাদাকা (যাকাত) গ্রহণ করেন নি। আর এ বিষয়ে উমর (রাযিঃ) যা বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কোন সাহাবী এর প্রতিবাদ করেননি, আবার উমর (রাযিঃ)-এর উদ্দেশ্যে আলী (রাযিঃ)-এর উক্তি “লােকেরা তাে আপনাকে পরামর্শ দিয়েছে, যদি তা জিযয়া (কর) এবং ওয়াজিব খারাজ (ভূমিকর) হিসেবে না হয়" এবং উমর (রাযিঃ) কর্তৃক তা গ্রহণ করাতে বুঝা যাচ্ছে যে, উমর (রাযিঃ) তাঁদের থেকে যা গ্রহণ করেছেন তা তাদের প্রস্তাবের কারণে এবং তা সাদাকার মধ্যে খরচ করার জন্য। আর তারা যখন ইচ্ছা করে তা তাঁকে দেয়া বন্ধ করে দিতে পারত। তারপর উমর (রাযিঃ) উক্ত বিষয়ে
গােলামের ব্যাপারে ও ঘােড়ার অনুরূপ পন্থা অবলম্বন করেছেন। আর এটি একথার দলীল নয় যে, সেই সমস্ত গােলাম যেগুলাে ব্যবসায়ের জন্য নয়, তাদের ক্ষেত্রে সাদাকা ওয়াজিব হবে। তা ছিলো তাদের গােলামদের ক্ষেত্রে নফল দান।
দ্বিতীয় পক্ষের আলিমগণের দলীলঃ আলী (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ আমি তােমাদের জন্য ঘােড়া ও গােলামদের যাকাত মাফ করে দিলাম ।
3038 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ الْمَعْرُوفُ بِسُحَيْمٍ الْحَرَّانِيُّ , قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ ,عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُضَرِّبٍ , قَالَ: حَجَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فَأَتَاهُ أَشْرَافٌ مِنْ أَشْرَافِ أَهْلِ الشَّامِ، فَقَالُوا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ , إِنَّا قَدْ أَصَبْنَا دَوَابَّ وَأَمْوَالًا , فَخُذْ مِنْ أَمْوَالِنَا صَدَقَةً تُطَهِّرُنَا بِهَا , وَتَكُونُ لَنَا زَكَاةً. فَقَالَ: هَذَا شَيْءٌ لَمْ يَفْعَلْهُ اللَّذَانِ كَانَا قَبْلِي , وَلَكِنِ انْتَظِرُوا حَتَّى أَسْأَلَ الْمُسْلِمِينَ , فَسَأَلَ أَصْحَابَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فِيهِمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَقَالُوا: حَسَنٌ , وَعَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ سَاكِتٌ لَمْ يَتَكَلَّمْ مَعَهُمْ. فَقَالَ: مَا لَكَ يَا أَبَا الْحَسَنِ لَا تَتَكَلَّمُ قَالَ: قَدْ أَشَارُوا عَلَيْكَ , وَلَا بَأْسَ بِمَا قَالُوا , إِنْ لَمْ يَكُنْ أَمْرًا وَاجِبًا وَلَا جِزْيَةً رَاتِبَةً يُؤْخَذُونَ بِهَا. قَالَ: «فَأَخَذَ مِنْ كُلِّ عَبْدٍ عَشَرَةً , وَمِنْ كُلِّ فَرَسٍ عَشْرَةً , وَمِنْ كُلِّ هَجِينٍ ثَمَانِيَةً , وَمِنْ كُلِّ بِرْذَوْنٍ أَوْ بَغْلٍ , خَمْسَةَ دَرَاهِمَ فِي السَّنَةِ , وَرَزَقَهُمْ كُلَّ شَهْرٍ , وَلِلْفَرَسِ عَشَرَةَ دَرَاهِمَ , وَالْهَجِينِ ثَمَانِيَةً , وَالْبَغْلِ خَمْسَةً خَمْسَةً , وَالْمَمْلُوكُ جَرِيبَيْنِ كُلَّ شَهْرٍ» فَدَلَّ هَذَا الْحَدِيثُ عَلَى أَنَّ مَا أَخَذَ مِنْهُمْ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ أَجَلِهِ , مَا كَانَ أَخَذَ مِنْهُمْ فِي ذَلِكَ , أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ زَكَاةً وَلَكِنَّهَا صَدَقَةٌ غَيْرَ زَكَاةٍ. وَقَدْ قَالَ لَهُمْ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِنَّ هَذَا لَمْ يَفْعَلْهُ اللَّذَانِ كَانَا قَبْلِي , يَعْنِي رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لَمْ يَأْخُذَا , مِمَّا كَانَ بِحَضْرَتِهِمَا , مِنَ الْخَيْلِ صَدَقَةً , وَلَمْ يُنْكِرْ عَلَى عُمَرَ مَا قَالَ مِنْ ذَلِكَ , أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَدَلَّ قَوْلُ عَلِيٍّ لِعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: قَدْ أَشَارُوا عَلَيْكَ , إِنْ لَمْ يَكُنْ جِزْيَةً رَاتِبَةً , وَخَرَاجًا وَاجِبًا ". وَقَبُولُ عُمَرَ ذَلِكَ مِنْهُ , أَنَّ عُمَرَ إِنَّمَا كَانَ أَخَذَ مِنْهُمْ بِسُؤَالِهِمْ إِيَّاهُ أَنْ يَأْخُذَ مِنْهُمْ , فَيَصْرِفَهُ فِي الصَّدَقَاتِ , وَأَنَّ لَهُمْ مَنْعَ ذَلِكَ مِنْهُ , مَتَى أَحَبُّوا , ثُمَّ سَلَكَ عُمَرُ بِالْعَبِيدِ أَيْضًا فِي ذَلِكَ , مَسْلَكَ الْخَيْلِ , وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ بِدَلِيلٍ عَلَى أَنَّ الْعَبِيدَ الَّذِينَ لِغَيْرِ التِّجَارَةِ , يَجِبُ فِيهِمْ صَدَقَةٌ وَإِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ عَلَى التَّبَرُّعِ مِنْ مَوَالِيهِمْ بِإِعْطَاءِ ذَلِكَ
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «عَفَوْتُ لَكُمْ عَنْ صَدَقَةِ الْخَيْلِ وَالرَّقِيقِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৪১
মুক্তভাবে বিচরণকারী ঘােড়ার ক্ষেত্রে যাকাত আছে কি-না ?
৩০৩৯-৪১। এটি ফাহাদ (রাহঃ) ….. আলী (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন।


আলী ইব্‌ন শায়বা (রাহঃ) ….. আলী (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।


রবী'উল জীযী (রাহঃ) ….. আলী (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
এটিও ঘােড়ার ক্ষেত্রে যাকাতের বিষয়টি অস্বীকার করছে।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, এতে তাে গােলামকেও একত্র করা হয়েছে। যখন
ব্যবসায়িক গােলামের মধ্যে যাকাত ওয়াজিব হওয়াকে তা স্বীকার করে না। অনুরূপভাবে তা মুক্তভাবে
বিচরণকারী ঘােড়ার ক্ষেত্রেও যাকাত ওয়াজিব হওয়াকে অস্বীকার করবে না। অনুরূপভাবে তাঁর উক্তিঃ “আমি তােমাদের জন্য গােলামের ক্ষেত্রে যাকাতকে মাফ করে দিলাম” এর দ্বারা বিশেষভাবে খিদমতের গােলামকে বুঝানাে হয়েছে। অনুরূপভাবে তাঁর উক্তিঃ “আমি তােমাদের জন্য ঘোড়ার ক্ষেত্রে যাকাতকে মাফ করে দিলাম” এর দ্বারা বিশেষ ভাবে সাওয়ারীর ঘােড়াকে বুঝানাে হয়েছে।

উত্তরে তাকে বলা হবে যে, আপনি যা উল্লেখ করেছেন, এটি তার সম্ভাবনা রাখছে। তবে এই হাদীস দ্বারা যাকাত নাকচ হওয়াটা যখন বাতিল হয়ে যাবে, তাহলে এর পূর্বে আমাদের উল্লেখ করা হাদীস দ্বারা যাকাত নাকচ হয়ে যাবে, যা হারিসা (রাহঃ)-এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে। যেহেতু তাতে আলী (রাযিঃ) উমার (রাযিঃ)-কে তাই বলেছেন যা আমরা উল্লেখ করেছি। সুতরাং তা প্রমাণ বহন করে যে, আলী (রাযিঃ)-এর নিকট রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর এই উক্তির মর্ম হচ্ছে তা থেকে যাকাত নাকচ হওয়া। যদিও তা বিচরণকারী (ঘােড়া) হয়ে থাকে।

আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে, যার মর্ম আলী (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত আসিম (রাহঃ) ও হারিস (রাহঃ)-এর হাদীসের মর্মের নিকটবর্তী।
41 - 3039 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ , فَهْدٌ قَالَ: ثنا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ , قَالَ: ثنا أَبِي , عَنِ الْأَعْمَشِ , قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ , عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ , عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ , قَالَ: أنا سُفْيَانُ , وَشَرِيكٌ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , عَنِ الْحَارِثِ , عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ أَبِي عُبَادَةَ , قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , عَنِ الْحَارِثِ , عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ فَذَلِكَ أَيْضًا يَنْفِي أَنْ يَكُونَ فِي الْخَيْلِ صَدَقَةٌ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ قَرَنَ مَعَ ذَلِكَ الرَّقِيقَ , فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ لَا يَنْفِي أَنْ تَكُونَ الصَّدَقَةُ وَاجِبَةً فِي الرَّقِيقِ إِذَا كَانُوا لِلتِّجَارَةِ , فَكَذَلِكَ لَا يَنْفِي ذَلِكَ أَنْ تَكُونَ الزَّكَاةُ وَاجِبَةً فِي الْخَيْلِ إِذَا كَانَتْ سَائِمَةً. وَكَمَا كَانَ قَوْلُهُ «قَدْ عَفَوْتُ لَكُمْ عَنْ صَدَقَةِ الرَّقِيقِ» إِنَّمَا هُوَ عَلَى الرَّقِيقِ لِلْخِدْمَةِ خَاصَّةً , فَكَذَلِكَ قَوْلُهُ: «قَدْ عَفَوْتُ لَكُمْ عَنْ صَدَقَةِ الْخَيْلِ» إِنَّمَا هُوَ عَلَى خَيْلِ الرُّكُوبِ خَاصَّةً. قِيلَ لَهُ: هَذَا يَحْتَمِلُ مَا ذَكَرْتَ , وَإِذَا بَطَلَ أَنْ يَنْتَفِيَ الزَّكَاةُ بِهَذَا الْحَدِيثِ , انْتَفَتْ بِمَا ذَكَرْنَا قَبْلَهُ , مِمَّا فِي حَدِيثِ حَارِثَةَ , لِأَنَّ فِيهِ أَنَّ عَلِيًّا قَالَ لِعُمَرَ مَا قَدْ ذَكَرْنَا , فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ مَعْنَى قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا , كَانَ عِنْدَ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَلَى نَفْيِ الزَّكَاةِ مِنْهَا , وَإِنْ كَانَتْ سَائِمَةً. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مَعْنَاهُ قَرِيبٌ مِنْ مَعْنَى حَدِيثِ عَاصِمٍ , وَالْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৪০
empty
৩০৪০।
- 3040
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৪১
empty
৩০৪১।
- 3041
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৪৮
মুক্তভাবে বিচরণকারী ঘােড়ার ক্ষেত্রে যাকাত আছে কি-না ?
৩০৪২-৪৮। হুসাইন ইব্‌ন নসর (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ মুসলিমের ঘােড়া ও দাসের উপর কোন যাকাত নেই।


ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।


ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ ইব্‌ন দীনার (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।


সালিহ্ ইব্‌ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ ইব্‌ন দীনার (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।


মুহাম্মাদ ইব্‌ন ঈসা (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ ইব্‌ন দীনার (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।


ইউনুস (রাহঃ) ….. ইরাক (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।


রবী'উল মু'আযযিন (রাহঃ) ….. খায়সাম ইব্‌ন ইরাক (রাহঃ)-এর পিতা ইরাক (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ
করেছেন।
অতএব যখন আমাদের উল্লিখিত এই সমস্ত হাদীস থেকে কোন হাদীসেই মুক্তভাবে বিচরণকারী ঘােড়ার
ক্ষেত্রে যাকাত ওয়াজিব হওয়ার দলীল নেই, উপরন্তু তাতে রয়েছে এমন বক্তব্য, যা তা থেকে যাকাতকে
নাকচ করে দেয়, তাহলে এই সমস্ত হাদীসের সঠিক মর্ম নিরূপণ দ্বারা সেই সমস্ত আলিমদের অভিমত সাব্যস্ত হলাে যারা তাতে যাকাত (ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে) অভিমত ব্যক্ত করেন না। বস্তুত এটিই হচ্ছে,
রিওয়ায়াতের দিক থেকে এই অনুচ্ছেদের হাদীস সমূহের সঠিক বিশ্লেষণ।

ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
সুতরাং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণঃ আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যারা তাতে যাকাত ওয়াজিব করেন, তাঁরা নর ও মাদী মিলিত ঘােড়ার ক্ষেত্রে তা ওয়াজিব বলেন এবং তাঁর মালিক তা থেকে বংশ বিস্তারের প্রত্যাশা করে। পক্ষান্তরে শুধু নর ঘােড়ার ক্ষেত্রে এবং শুধু মাদী ঘােড়ার ক্ষেত্রে যাকাত ওয়াজিব হয় না। আমরা সেই সমস্ত মুক্তভাবে বিচরণকারী জন্তুদের ব্যাপারে চিন্তা করে দেখেছি যেগুলাের ক্ষেত্রে সর্ববাদিসন্মত ভাবে যাকাত ওয়াজিব হয়, যেমন উট, গরু ও বকরী (ইত্যাদি), চাই সবগুলাে নর হােক কিংবা মাদী। যখন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শুধু নর জন্তু, শুধু মাদী জন্তুর বিধান এবং মিলিত ভাবে নর ও মাদী জন্তুর বিধান অভিন্ন, তাই যখন শুধু নর ঘােড়া ও শুধু মাদী ঘােড়ার ক্ষেত্রে যাকাত ওয়াজিব হয় না। অনুরূপ ভাবে যুক্তির চাহিদা মুতাবিক মিলিতভাবে নর ও মাদী ঘােড়ার ক্ষেত্রেও যাকাত ওয়াজিব হবে না।

আরেকটি দলীলঃ আমরা লক্ষ্য করেছি যে, খচ্চর ও গাধার ক্ষেত্রে (ঐকমত্যভাবে) যাকাত নেই, যদিও তা
মুক্তভাবে বিচরণকারী হয়ে থাকে। আর উট, গরু ও বকরীর ক্ষেত্রে (ঐকমত্যভাবে) যাকাত রয়েছে, যদি তা মুক্তভাবে বিচরণকারী হয়। আর মত বিরােধ হচ্ছে ঘােড়ার ক্ষেত্রে। অতএব আমরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে চাচ্ছি যে, উক্ত দুই প্রকার জন্তুর মধ্যে কোনটি ঘােড়ার সাথে অধিক সাদৃশ্য পূর্ণ। তাহলে আমরা এটির হুকুমকে সেটির সাথে মিলাব। সুতরাং আমরা ঘােড়াকে দেখছি ক্ষুর (হাফির) বিশিষ্ট (জন্তু) অনুরূপভাবে গাধা ও খচ্চরও ক্ষুর বিশিষ্ট (জন্তু)। আর গরু, বকরী ও উট এরূপ জন্তু যা 'খুফ’ বিশিষ্ট (অর্থাৎ উটের পায়ে তাে ক্ষুরের কোন আকৃতি নেই, গরু ও বকরীতে তাে ক্ষুর হয় কিন্তু মাঝখানে কাটা বিদ্যমান থাকে) সুতরাং 'খুফ' বিশিষ্ট জন্তু অপেক্ষা ক্ষুর (হাফির) বিশিষ্ট জন্তু, ক্ষুর বিশিষ্ট জন্তুর সাথে অধিক সাদৃশ্য পূর্ণ। এতে প্রমাণিত হলাে যে, ঘােড়ার ক্ষেত্রে যাকাত নেই যেমনি ভাবে যাকাত নেই গাধা ও খচ্চরের ক্ষেত্রে। এটি হচ্ছে-ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ), ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত, আর এটি আমাদের নিকট দুই অভিমতের মধ্যে অধিক পছন্দনীয় অভিমত। সাঈদ ইব্‌নুল মুসায়য়িব (রাহঃ) থেকে বিষয়টি বর্ণিত আছেঃ
48 - 3042- حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ , قَالَ: سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ , يُحَدِّثُ , عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَيْسَ عَلَى الْمُسْلِمِ فِي عَبْدِهِ وَلَا فِي فَرَسِهِ صَدَقَةٌ»

حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبٌ , وَسَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ , قَالَا: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ , عَنْ سُلَيْمَانَ , عَنْ عِرَاكٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.

حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو حُذَيْفَةَ , قَالَ ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا الْقَعْنَبِيُّ , قَالَ: ثنا مَالِكٌ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى بْنِ فُلَيْحٍ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَسْوَدِ النَّضْرُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ , عَنْ سُلَيْمَانَ , قَالَ أَحْمَدُ بْنُ عَلِيٍّ هُوَ ابْنُ بِلَالِ بْنِ فُلَيْحٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ اللَّيْثِيُّ , عَنْ مَكْحُولٍ , عَنْ عِرَاكٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ خُثَيْمِ بْنِ عِرَاكٍ , عَنْ أَبِيهِ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَلَمَّا لَمْ يَكُنْ فِي شَيْءٍ مِمَّا ذَكَرْنَا مِنْ هَذِهِ الْآثَارِ , دَلِيلٌ عَلَى وُجُوبِ الزَّكَاةِ فِي الْخَيْلِ السَّائِمَةِ , وَكَانَ فِيهَا مَا يَنْفِي الزَّكَاةَ مِنْهَا , ثَبَتَ بِتَصْحِيحِ هَذِهِ الْآثَارِ قَوْلُ الَّذِينَ لَا يَرَوْنَ فِيهَا زَكَاةً. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ , مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. [ص:30] وَأَمَّا وَجْهُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا رَأَيْنَا الَّذِينَ يُوجِبُونَ فِيهَا الزَّكَاةَ , لَا يُوجِبُونَهَا حَتَّى تَكُونَ ذُكُورًا وَإِنَاثًا , يَلْتَمِسُ مِنْهَا صَاحِبُهَا نَسْلَهَا , وَلَا تَجِبُ الزَّكَاةُ فِي ذُكُورِهَا خَاصَّةً , وَلَا فِي إِنَاثِهَا خَاصَّةً , وَكَانَتِ الزَّكَوَاتُ الْمُتَّفَقُ عَلَيْهَا فِي الْمَوَاشِي السَّائِمَةِ , تَجِبُ فِي الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ وَالْغَنَمِ , ذُكُورًا كَانَتْ كُلُّهَا , أَوْ إِنَاثًا. فَلَمَّا اسْتَوَى حُكْمُ الذُّكُورِ خَاصَّةً فِي ذَلِكَ , وَحُكْمُ الْإِنَاثِ خَاصَّةً , وَحُكْمُ الذُّكُورِ وَالْإِنَاثِ , وَكَانَتِ الذُّكُورُ مِنَ الْخَيْلِ خَاصَّةً , وَالْإِنَاثُ مِنْهَا خَاصَّةً لَا تَجِبُ فِيهَا زَكَاةٌ، كَانَ كَذَلِكَ فِي النَّظَرِ الْإِنَاثُ مِنْهَا وَالذُّكُورُ إِذَا اجْتَمَعَتْ , لَا تَجِبُ فِيهَا زَكَاةٌ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى , أَنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْبِغَالَ وَالْحَمِيرَ , لَا زَكَاةَ فِيهَا , وَإِنْ كَانَتْ سَائِمَةً , وَالْإِبِلَ وَالْبَقَرَ وَالْغَنَمَ , فِيهَا الزَّكَاةُ إِذَا كَانَتْ سَائِمَةً , وَإِنَّمَا الِاخْتِلَافُ فِي الْخَيْلِ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ أَيُّ الصِّنْفَيْنِ هِيَ بِهِ أَشْبَهُ , فَنَعْطِفُ حُكْمَهُ عَلَى حُكْمِهِ , فَرَأَيْنَا الْخَيْلَ ذَوَاتِ حَوَافِرَ , وَكَذَلِكَ الْحَمِيرَ وَالْبِغَالَ , هِيَ ذَوَاتُ حَوَافِرَ أَيْضًا , وَكَانَتِ الْمَوَاشِي مِنَ الْبَقَرِ وَالْغَنَمِ وَالْإِبِلِ , ذَوَاتِ أَخْفَافٍ , فَذُو الْحَافِرِ بِذِي الْحَافِرِ أَشْبَهُ مِنْهُ بِذِي الْخُفِّ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنْ لَا زَكَاةَ فِي الْخَيْلِ , كَمَا لَا زَكَاةَ فِي الْحَمِيرِ وَالْبِغَالِ , وَهَذَا قَوْلُ أَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمَا اللهُ , وَهُوَ أَحَبُّ الْقَوْلَيْنِ إِلَيْنَا , وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৪৩
empty
৩০৪৩।
- 3043
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৪৪
empty
৩০৪৪।
- 3044
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৪৫
empty
৩০৪৫।
- 3045
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৪৬
empty
৩০৪৬।
- 3046
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৪৭
empty
৩০৪৭।
- 3047
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৪৮
empty
৩০৪৮।
- 3048
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩০৪৯
মুক্তভাবে বিচরণকারী ঘােড়ার ক্ষেত্রে যাকাত আছে কি-না ?
৩০৪৯। ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইব্‌ন দীনার (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি সাঈদ ইব্‌নুল মুসায়য়িব (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ফারসী বা তুর্কী ঘােড়াসমূহের ক্ষেত্রে কি যাকাত আছে? তিনি বললেন, ঘােড়ার ক্ষেত্রে কি যাকাত আছে?
3049 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبٌ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ , وَقَالَ: قُلْتُ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , أَعْلَى الْبَرَاذِينِ صَدَقَةٌ؟ فَقَالَ: «أَوَ عَلَى الْخَيْلِ صَدَقَةٌ؟»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান