শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৪. যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৯৪৬
১- বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৪৬। ইবরাহীম ইবন দাউদ (রাহঃ) ..... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, (একবার) মদীনার ব্যবসায়ী কাফেলা আগমন করলে নবী করীম (ﷺ) তাদের থেকে কিছু সামগ্রী খরিদ করে তা তিনি কয়েক উকিয়া রৌপ্যের মুনাফা গ্রহণ করে বিক্রি করে দিলেন। তারপর তা (মুনাফা ও পুঁজি) বনু আব্দুল মুত্তালিবের অভাবীদের উপর সাদাকা করে দিলেন। এরপর তিনি বললেন, আগামীতে আর আমি কখনাে কোন বস্তুই খরিদ করব না যার মূল্য আমার নিকট থাকবে না।
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ একদল 'আলিম এই হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তারা বনু হাশিমের উপর সাদাকা প্রদানকে বৈধ বলেছেন। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরােধিতা করে বলেছেন ও ফরয যাকাত ও নফল সাদাকা ইত্যাদি বনু হাশিম-এর জন্য জায়িয নয়। বস্তুত তারা ধনীদের ন্যায়, ধনীদের উপরে যে সমস্ত সাদাকা হারাম তা বনু হাশিমের উপরেও হারাম, তাঁরা ধনী হােন কিংবা গরীব (অসহায়) হোন। পক্ষান্তরে বনু হাশিম ব্যতীত অন্য ধনীদের জন্য যা হালাল তা বনু হাশিমের ধনী কিংবা ফকীরদের জন্যও হালাল বলে গণ্য।
বস্তুত আমাদের মতে প্রথম হাদীসে প্রথম দল আলিমদের জন্য দলীল বহন করে না। যেহেতু হতে পারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনু আব্দুল মুত্তালিবের অসহায় (ও বিধবা) দের যে সাদাকা দান করেছেন ওটি এরপ (ওয়াজিব) সাদাকা ছিল না যা বনু হাশিমের উপর হারাম, তাদের মতে যারা তা তাদের জন্য হারাম মনে করেন। বরং তিনি তা এরূপ (নফল দান, হিবা, হাদিয়া) সাদাকা হিসাবে দান করেছেন যা তাদের জন্য হালাল। যেহেতু আমরা লক্ষ্য করছি যে, বনু হাশিম ব্যতীত অন্য ধনীগণের মধ্যে কোন ব্যক্তি যদি তাদের অন্য কাউকে নিজ বাড়ি অথবা গোলাম (হিবা, হাদিয়া রূপে) প্রদান করে তাহলে তা জায়িয ও হালাল বিবেচিত হয় এবং তার জন্য তার সম্পদ (গ্রহণ করা) হারাম হয় না। বস্তুত তার জন্য ওই ধনী ব্যক্তির যে সমস্ত সম্পদ হারাম বিবেচিত তা হচ্ছে, যাকাত, কাফ্ফারা ও (ওয়াজিব) সাদাকা সমূহ, যার দ্বারা আল্লাহ্ তা'আলার নৈকট্যতা অর্জন করা হয়।
পক্ষান্তরে যে সমস্ত সাদাকা হিবা (অনুদান) করার উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়; যদিও তাকে সাদাকা নামে আখ্যায়িত করা হয়, তা হারাম বিবেচিত হবে না। অনুরূপ ভাবে বনু হাশিম-এর উপর তাঁদের আত্মীয়তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে সাদাকা হারাম যেমনিভাবে ধনীদের উপর তাদের সম্পদের কারণে (সাদাকা) হারাম। অতএব ধনীদের উপর তাঁদের সম্পদের কারণে যা হারাম নয়, তা বনু হাশিমের উপর তাঁদের আত্মীয়তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে হারাম হবে না।
এ জন্যই আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক তাদের বিধবা ও অসহায়দেরকে প্রদত্ত সাদাকাকে আমরা হিবা (অনুদান) হিসাবে সাব্যস্ত করেছি, যদিও তাকে 'সাদাকা' বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর প্রথমোক্ত ওই হাদীস-এর এরূপ ব্যাখ্যাই শ্রেয়।
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ একদল 'আলিম এই হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তারা বনু হাশিমের উপর সাদাকা প্রদানকে বৈধ বলেছেন। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরােধিতা করে বলেছেন ও ফরয যাকাত ও নফল সাদাকা ইত্যাদি বনু হাশিম-এর জন্য জায়িয নয়। বস্তুত তারা ধনীদের ন্যায়, ধনীদের উপরে যে সমস্ত সাদাকা হারাম তা বনু হাশিমের উপরেও হারাম, তাঁরা ধনী হােন কিংবা গরীব (অসহায়) হোন। পক্ষান্তরে বনু হাশিম ব্যতীত অন্য ধনীদের জন্য যা হালাল তা বনু হাশিমের ধনী কিংবা ফকীরদের জন্যও হালাল বলে গণ্য।
বস্তুত আমাদের মতে প্রথম হাদীসে প্রথম দল আলিমদের জন্য দলীল বহন করে না। যেহেতু হতে পারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনু আব্দুল মুত্তালিবের অসহায় (ও বিধবা) দের যে সাদাকা দান করেছেন ওটি এরপ (ওয়াজিব) সাদাকা ছিল না যা বনু হাশিমের উপর হারাম, তাদের মতে যারা তা তাদের জন্য হারাম মনে করেন। বরং তিনি তা এরূপ (নফল দান, হিবা, হাদিয়া) সাদাকা হিসাবে দান করেছেন যা তাদের জন্য হালাল। যেহেতু আমরা লক্ষ্য করছি যে, বনু হাশিম ব্যতীত অন্য ধনীগণের মধ্যে কোন ব্যক্তি যদি তাদের অন্য কাউকে নিজ বাড়ি অথবা গোলাম (হিবা, হাদিয়া রূপে) প্রদান করে তাহলে তা জায়িয ও হালাল বিবেচিত হয় এবং তার জন্য তার সম্পদ (গ্রহণ করা) হারাম হয় না। বস্তুত তার জন্য ওই ধনী ব্যক্তির যে সমস্ত সম্পদ হারাম বিবেচিত তা হচ্ছে, যাকাত, কাফ্ফারা ও (ওয়াজিব) সাদাকা সমূহ, যার দ্বারা আল্লাহ্ তা'আলার নৈকট্যতা অর্জন করা হয়।
পক্ষান্তরে যে সমস্ত সাদাকা হিবা (অনুদান) করার উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়; যদিও তাকে সাদাকা নামে আখ্যায়িত করা হয়, তা হারাম বিবেচিত হবে না। অনুরূপ ভাবে বনু হাশিম-এর উপর তাঁদের আত্মীয়তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে সাদাকা হারাম যেমনিভাবে ধনীদের উপর তাদের সম্পদের কারণে (সাদাকা) হারাম। অতএব ধনীদের উপর তাঁদের সম্পদের কারণে যা হারাম নয়, তা বনু হাশিমের উপর তাঁদের আত্মীয়তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে হারাম হবে না।
এ জন্যই আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক তাদের বিধবা ও অসহায়দেরকে প্রদত্ত সাদাকাকে আমরা হিবা (অনুদান) হিসাবে সাব্যস্ত করেছি, যদিও তাকে 'সাদাকা' বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর প্রথমোক্ত ওই হাদীস-এর এরূপ ব্যাখ্যাই শ্রেয়।
كِتَابُ الزَّكَاةِ بَابُ الصَّدَقَةِ عَلَى بَنِي هَاشِمٍ
2946 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْوَاسِطِيُّ , قَالَ: ثنا شَرِيكٌ , عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ , عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: " قَدِمَتْ عِيرٌ الْمَدِينَةَ , فَاشْتَرَى مِنْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَتَاعًا فَبَاعَهُ بِرِبْحِ أَوَاقٍ فِضَّةً، فَتَصَدَّقَ بِهَا عَلَى أَرَامِلِ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، ثُمَّ قَالَ: «لَا أَعُودُ أَنْ أَشْتَرِيَ بَعْدَهَا شَيْئًا أَبَدًا وَلَيْسَ ثَمَنُهُ عِنْدِي» . قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ وَأَبَاحُوا الصَّدَقَةَ عَلَى بَنِي هَاشِمٍ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا يَجُوزُ الصَّدَقَةُ مِنَ الزَّكَوَاتِ وَالتَّطَوُّعِ وَغَيْرِ ذَلِكَ عَلَى بَنِي هَاشِمٍ , وَهُمْ كَالْأَغْنِيَاءِ، فَمَا حَرُمَ عَلَى الْأَغْنِيَاءِ مِنَ الصَّدَقَةِ فَهِيَ عَلَى بَنِي هَاشِمٍ حَرَامٌ , فُقَرَاءَ كَانُوا أَوْ أَغْنِيَاءَ. وَكُلُّ مَا يَحِلُّ لِلْأَغْنِيَاءِ مِنْ غَيْرِ بَنِي هَاشِمٍ , فَهُوَ حَلَالٌ لِبَنِي هَاشِمٍ فُقَرَائِهِمْ وَأَغْنِيَائِهِمْ. وَلَيْسَ عَلَى أَهْلِ هَذِهِ الْمَقَالَةِ عِنْدَنَا حُجَّةٌ فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ , لِأَنَّهُ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَا تَصَدَّقَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ عَلَى أَرَامِلِ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ لَمْ يَجْعَلْهُ مِنْ جِهَةِ الصَّدَقَةِ الَّتِي تَحْرُمُ عَلَى بَنِي هَاشِمٍ فِي قَوْلِ مَنْ يُحَرِّمُهَا عَلَيْهِمْ وَلَكِنْ جَعَلَهَا مِنْ جِهَةِ الصَّدَقَةِ الَّتِي تَحِلُّ لَهُمْ. فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْأَغْنِيَاءَ مِنْ غَيْرِ بَنِي هَاشِمٍ قَدْ يَتَصَدَّقُ الرَّجُلُ عَلَى أَحَدِهِمْ بِدَارِهِ أَوْ بِعَبْدِهِ , فَيَكُونُ ذَلِكَ جَائِزًا حَلَالًا , وَلَا يُحَرِّمُهُ عَلَيْهِ مَالُهُ. فَكَانَ مَا يَحْرُمُ عَلَيْهِ بِمَالِهِ مِنَ الصَّدَقَاتِ , هُوَ الزَّكَوَاتُ وَالْكَفَّارَاتُ وَالصَّدَقَاتُ الَّتِي يُتَقَرَّبُ بِهَا إِلَى اللهِ تَعَالَى. فَأَمَّا الصَّدَقَاتُ الَّتِي يُرَادُ بِهَا طَرِيقُ الْهِبَاتِ وَإِنْ سُمِّيَتْ صَدَقَاتٍ فَلَا , فَكَذَلِكَ بَنُو هَاشِمٍ حَرُمَ عَلَيْهِمْ لِقَرَابَتِهِمْ مِنَ الصَّدَقَاتِ مِثْلُ مَا حَرُمَ عَلَى الْأَغْنِيَاءِ بِأَمْوَالِهِمْ. فَأَمَّا مَا كَانَ لَا يَحْرُمُ عَلَى الْأَغْنِيَاءِ بِأَمْوَالِهِمْ , فَإِنَّهُ لَا يَحْرُمُ عَلَى بَنِي هَاشِمٍ بِقَرَابَتِهِمْ. فَلِهَذَا جَعَلْنَا مَا كَانَ تَصَدَّقَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَرَامِلِهِمْ مِنْ جِهَةِ الْهِبَاتِ وَإِنْ سُمِّيَ ذَلِكَ صَدَقَةً , وَهَذَا الَّذِي يَنْبَغِي أَنْ يُحْمَلَ تَأْوِيلُ ذَلِكَ الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ عَلَيْهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৪৯
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৪৭-২৯৪৯। যেহেতু ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে নিম্মোক্ত হাদীস বর্ণিত আছেঃ
রবীউল মু’আযযিন (রাহঃ) ….. উবায়দুল্লাহ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন, আমরা একবার ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর নিকট গেলাম, তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তিনটি বিষয় ছাড়া তিনি অপরাপর লোকদের অপেক্ষা আমাদেরকে কোন বিষয়ে 'খাস' (বিশেষ) কোন হুকুম করেন নি। আর তা হল- উযূ পূর্ণভাবে করা, সাদাকা ভক্ষণ না করা এবং গাধার মাধ্যমে ঘোটকীর প্রজনন না ঘটানো।
আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ) ..... আবু জাহযাম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) …. আবু জাহযাম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ এই ইবন আব্বাস (রাযিঃ) এই হাদীসে খবর দিচ্ছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁদেরকে বিশেষ ভাবে নির্দিষ্ট করেছেন যে, তাঁরা সাদাকা ভক্ষণ করবেন না। সুতরাং প্রথমোক্ত হাদীস যা আমরা অনুচ্ছেদের প্রথম অংশে উল্লেখ করেছি তার আওতা মুক্ত হবে না। উক্ত (প্রথম) হাদীসে তাঁদের জন্য যা বৈধ করা হয়েছে এই দ্বিতীয় হাদীসে তাঁদের জন্য তা হারাম করা হয় নি এবং হাদীসদ্বয়ের প্রত্যেকটির অর্থ তাই হবে যা আমরা উল্লেখ করেছি (অর্থাৎ প্রথম হাদীসে হিবা, হাদিয়া এবং দ্বিতীয় হাদীসে যাকাত ও ওয়াজিব সাদাকা বুঝানো হয়েছে) অথবা প্রথম হাদীস সেই বস্তুকে বৈধ করছে যা কিনা দ্বিতীয় এই হাদীস নিষেধ করছে। সুতরাং দ্বিতীয় এই হাদীস প্রথমোক্ত হাদীসের জন্য রহিতকারী সাব্যস্ত হবে। যেহেতু আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর ইন্তিকালের পর এতে খবর দিচ্ছেন যে, অপরাপর লোকদের অপেক্ষা তাঁরা ওর সাথে (সাদাকা গ্রহণ না করা) বিশেষ ভাবে নির্দিষ্ট ছিলেন। অতএব এই নিষেধাজ্ঞা তাঁর সময়ে অব্যাহত থাকা ছাড়া গত্যন্তর নেই।
প্রশ্নঃ যদি তাঁদের উপর সাদাকার বৈধতার ব্যাপারে কোন প্রমাণ উপস্থাপনকারী প্রমাণ উপস্থাপন করে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁদেরকে সাদাকা প্রদান করেছেনঃ
রবীউল মু’আযযিন (রাহঃ) ….. উবায়দুল্লাহ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন, আমরা একবার ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর নিকট গেলাম, তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তিনটি বিষয় ছাড়া তিনি অপরাপর লোকদের অপেক্ষা আমাদেরকে কোন বিষয়ে 'খাস' (বিশেষ) কোন হুকুম করেন নি। আর তা হল- উযূ পূর্ণভাবে করা, সাদাকা ভক্ষণ না করা এবং গাধার মাধ্যমে ঘোটকীর প্রজনন না ঘটানো।
আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ) ..... আবু জাহযাম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) …. আবু জাহযাম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেনঃ এই ইবন আব্বাস (রাযিঃ) এই হাদীসে খবর দিচ্ছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁদেরকে বিশেষ ভাবে নির্দিষ্ট করেছেন যে, তাঁরা সাদাকা ভক্ষণ করবেন না। সুতরাং প্রথমোক্ত হাদীস যা আমরা অনুচ্ছেদের প্রথম অংশে উল্লেখ করেছি তার আওতা মুক্ত হবে না। উক্ত (প্রথম) হাদীসে তাঁদের জন্য যা বৈধ করা হয়েছে এই দ্বিতীয় হাদীসে তাঁদের জন্য তা হারাম করা হয় নি এবং হাদীসদ্বয়ের প্রত্যেকটির অর্থ তাই হবে যা আমরা উল্লেখ করেছি (অর্থাৎ প্রথম হাদীসে হিবা, হাদিয়া এবং দ্বিতীয় হাদীসে যাকাত ও ওয়াজিব সাদাকা বুঝানো হয়েছে) অথবা প্রথম হাদীস সেই বস্তুকে বৈধ করছে যা কিনা দ্বিতীয় এই হাদীস নিষেধ করছে। সুতরাং দ্বিতীয় এই হাদীস প্রথমোক্ত হাদীসের জন্য রহিতকারী সাব্যস্ত হবে। যেহেতু আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর ইন্তিকালের পর এতে খবর দিচ্ছেন যে, অপরাপর লোকদের অপেক্ষা তাঁরা ওর সাথে (সাদাকা গ্রহণ না করা) বিশেষ ভাবে নির্দিষ্ট ছিলেন। অতএব এই নিষেধাজ্ঞা তাঁর সময়ে অব্যাহত থাকা ছাড়া গত্যন্তর নেই।
প্রশ্নঃ যদি তাঁদের উপর সাদাকার বৈধতার ব্যাপারে কোন প্রমাণ উপস্থাপনকারী প্রমাণ উপস্থাপন করে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁদেরকে সাদাকা প্রদান করেছেনঃ
2947 - لِأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مَا قَدْ حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا سَعِيدٌ وَحَمَّادٌ ابْنَا زَيْدٍ , عَنْ أَبِي جَهْضَمٍ مُوسَى بْنِ سَالِمٍ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ، قَالَ: دَخَلْنَا عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، فَقَالَ: " مَا اخْتَصَّنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَيْءٍ دُونَ النَّاسِ إِلَّا بِثَلَاثَةِ أَشْيَاءَ: إِسْبَاغِ الْوُضُوءِ , وَأَنْ لَا نَأْكُلَ الصَّدَقَةَ , وَأَنْ لَا نُنْزِيَ الْحُمُرَ عَلَى الْخَيْلِ ".
2948 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ أَبِي جَهْضَمٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
2949 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ , قَالَ: ثنا مُرَجَّى بْنُ رَجَاءٍ , عَنْ أَبِي جَهْضَمٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ يُخْبِرُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اخْتَصَّهُمْ أَنْ لَا يَأْكُلُوا الصَّدَقَةَ. فَلَيْسَ يَخْلُو الْحَدِيثُ الْأَوَّلُ مِنْ أَنْ يَكُونَ عَلَى مَا ذَكَرْنَا فِي الْفَصْلِ الْأَوَّلِ , فَيَكُونُ مَا أَبَاحَ لَهُمْ فِيهِ , غَيْرَ مَا حَرَّمَ عَلَيْهِمْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ الثَّانِي , وَيَكُونُ مَعْنَى كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَلَى مَا ذَكَرْنَا. أَوْ يَكُونُ الْحَدِيثُ الْأَوَّلُ يُبِيحُ مَا مَنَعَ مِنْهُ هَذَا الْحَدِيثُ الثَّانِي , فَيَكُونُ هَذَا الْحَدِيثُ الثَّانِي نَاسِخًا لَهُ , لِأَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ يُخْبِرُ فِيهِ بَعْدَ مَوْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ مَخْصُوصُونَ بِهِ دُونَ النَّاسِ , فَلَا يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ إِلَّا وَهُوَ قَائِمٌ فِي وَقْتِهِ ذَلِكَ. فَإِنِ احْتَجَّ مُحْتَجٌّ فِي إِبَاحَةِ الصَّدَقَةِ عَلَيْهِمْ بِصَدَقَاتِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
2948 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ أَبِي جَهْضَمٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
2949 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ , قَالَ: ثنا مُرَجَّى بْنُ رَجَاءٍ , عَنْ أَبِي جَهْضَمٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ يُخْبِرُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اخْتَصَّهُمْ أَنْ لَا يَأْكُلُوا الصَّدَقَةَ. فَلَيْسَ يَخْلُو الْحَدِيثُ الْأَوَّلُ مِنْ أَنْ يَكُونَ عَلَى مَا ذَكَرْنَا فِي الْفَصْلِ الْأَوَّلِ , فَيَكُونُ مَا أَبَاحَ لَهُمْ فِيهِ , غَيْرَ مَا حَرَّمَ عَلَيْهِمْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ الثَّانِي , وَيَكُونُ مَعْنَى كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَلَى مَا ذَكَرْنَا. أَوْ يَكُونُ الْحَدِيثُ الْأَوَّلُ يُبِيحُ مَا مَنَعَ مِنْهُ هَذَا الْحَدِيثُ الثَّانِي , فَيَكُونُ هَذَا الْحَدِيثُ الثَّانِي نَاسِخًا لَهُ , لِأَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ يُخْبِرُ فِيهِ بَعْدَ مَوْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ مَخْصُوصُونَ بِهِ دُونَ النَّاسِ , فَلَا يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ إِلَّا وَهُوَ قَائِمٌ فِي وَقْتِهِ ذَلِكَ. فَإِنِ احْتَجَّ مُحْتَجٌّ فِي إِبَاحَةِ الصَّدَقَةِ عَلَيْهِمْ بِصَدَقَاتِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৫০
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৫২
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৫০-২৯৫২। ফাহাদ (রাহঃ) ….. আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কন্যা ফাতিমা (রাযিঃ) আবু বাকর (রাযিঃ)-এর নিকট এই বলে লোক পাঠালেন যে, তিনি তাঁর কাছে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে তাঁর মীরাছ দাবি করছেন। সেই সম্পদ থেকে যা আল্লাহ তা'আলা তাঁর রাসূল (ﷺ) কে দান করেছেন। ফাতিমা (রাযিঃ) তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মদীনা ও ফাদাকের সাদাকা এবং খায়বারের পঞ্চমাংশের অবশিষ্ট অংশ দাবি করছিলেন। আবু বাকর (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আমাদের (নবীগণের) কেউ ওয়ারিছ হয় না, আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকা হিসাবে গণ্য। এই সম্পদে মুহাম্মাদ -এর পরিবার পরিজন আহার করবে। আল্লাহর শপথ, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাদাকার মধ্যে সেই অবস্থা থেকে কোন রূপ পরিবর্তন করব না, যা তাঁর যুগে বিদ্যমান ছিল এবং এতে আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যা করেছিলেন তা-ই করব।
নসর ইবন মারযূক (রাহঃ), ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ও রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ) ….. ইবন শিহাব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
নসর ইবন মারযূক (রাহঃ), ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ও রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ) ….. ইবন শিহাব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
2950 - فَذَكَرَ مَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ , قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدِ بْنِ مُسَافِرٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْسَلَتْ إِلَى أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ تَسْأَلُهُ مِيرَاثَهَا مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَفَاطِمَةُ حِينَئِذٍ تَطْلُبُ صَدَقَةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ وَفَدَكٍ , وَمَا بَقِيَ مِنْ خُمُسِ خَيْبَرَ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّا لَا نُورَثُ , مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» إِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ فِي هَذَا الْمَالِ. وَإِنِّي وَاللهِ لَا أُغَيِّرُ شَيْئًا مِنْ صَدَقَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ حَالِهَا الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَلَأَعْمَلَنَّ فِي ذَلِكَ بِمَا عَمِلَ فِيهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ".
2951 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ. ح
2952 - وَحَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ , قَالَا: ثنا اللَّيْثُ , قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2951 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ. ح
2952 - وَحَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ , قَالَا: ثنا اللَّيْثُ , قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৫৫
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৫৩-২৯৫৫। আবু বাকরা (রাহঃ) ….. মালিক ইবন আওস ইবন হাদাছান আল-নসরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, উমার ইবন খাত্তাব (রাযিঃ) আমার কাছে লোক পাঠিয়ে এই বলে সংবাদ দেন যে, তোমার সম্প্রদায়ের কিছু সংখ্যক পরিবার মদীনায় উপস্থিত হয়েছে আমরা তাদের জন্য সামান্য কিছু অনুদানের হুকুম দিয়েছি, তুমি তা তাদের মধ্যে বন্টন করে দাও। আমি এই অবস্থায় রয়েছি, এমন সময় তাঁর নিকট (তাঁর খাদেম) ইয়ারফা এসে বলল, 'উসমান (রাযিঃ), আব্দুর রহমান (রাযিঃ), সা'দ (রাযিঃ) ও যুবায়র (রাযিঃ) (আর তিনি বলেন, তালহা রা-এর কথা উল্লেখ করেছে কি-না জানি না) তাঁরা আপনার নিকট আসার জন্য অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি তাকে বললেন, তাঁদেরকে অনুমতি দাও। তিনি বলেন, তারপর আমরা কিছুক্ষণ অবস্থান করলাম, খাদেম বলল, এই তাে আব্বাস (রাযিঃ) ও আলী (রাযিঃ) আপনার নিকট (আসার জন্য) অনুমতি চাঁচ্ছেন, তিনি বললেন, তাদের উভয়কে অনুমতি দাও। আব্বাস (রাযিঃ) প্রবেশ করে বললেন, 'হে আমীরুল মু'মিনীন, আমার ও এই ব্যক্তির মাঝে মীমাংসা করে দিন। তাঁরা উভয়ে তখন বনুনাযীরের সে সম্পদ নিয়ে বিবাদে লিপ্ত হন, যা আল্লাহ তা'আলা তাঁর রাসূল (ﷺ)কে দান করেছিলেন। লোকেরা বলল, হে আমীরুল মু'মিনীন! তাঁদের উভয়ের মাঝে মীমাংসা করে দিন এবং তাঁদের প্রত্যেককে অপর থেকে আশ্বস্ত করুন। উমর (রাযিঃ) বললেন, যে আল্লাহ্ তা'আলার অনুমতিক্রমে আসমান ও যমীন প্রতিষ্ঠিত, তাঁর কসম দিয়ে বলছি, আপনারা কি জানেন না যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আমাদের কেউ ওয়ারিছ হয় না, আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকা হিসাবে গণ্য হয় ? তাঁরা বলেন, (হ্যাঁ) তিনি অবশ্যই তা বলেছেন। তারপর তিনি তাঁদের উভয়কে অনুরূপ (প্রশ্ন রেখে) বললেন এবং তাঁরা হ্যাঁ সূচক উত্তর দিলেন। তিনি বলেন, আমি অবশ্যই আপনাদেরকে অতিসত্বর এই ‘ফায়’ (সম্পদের) বিষয়ে সংবাদ দিচ্ছি। আল্লাহ তা'আলা তাঁর নবী (ﷺ) কে এরূপ কিছু বস্তু (সম্পদ) দানে 'খাস' করেছেন, যা অন্য কাউকে দেননি।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
وَمَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوَجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ
'আল্লাহ (তা'আলা) ইয়াহুদীদের নিকট থেকে তাঁর রাসূলকে যে 'ফায়' দিয়েছেন তার জন্য তোমরা ঘোড়ায় কিংবা উটে আরোহণ করে যুদ্ধ কর নি। (সূরা ৫৯ঃ ৬)
বস্তুত এটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্য খাস ছিল। তারপর আল্লাহর কসম, আপনাদের থেকে তা আটকে রাখব না এবং এতে আপনাদের উপরে অন্য কাউকে প্রাধান্য দেব না। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা আপনাদের মাঝে বন্টন করেছেন এবং সম্প্রসারিত করেছেন। তারপর তার থেকে এই সম্পদ অবশিষ্ট রয়েছে। তিনি এর থেকে তাঁর পরিবারের এক বছরের খোরপোশ (বাবদ) খরচ করতেন। তারপর এর অবশিষ্ট সম্পদ জমা হতো। আর তিনি আল্লাহ তা'আলার সম্পদকে জমা করেছেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর ইন্তিকালের পর আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আমি আল্লাহর রাসূলের পক্ষ থেকে মুতাওয়াল্লী। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এতে যা করতেন আমি তাই করব। তারপর (অবশিষ্ট) হাদীস উল্লেখ করেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ….. ইবন শিহাব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন এবং তিনি সাব্যস্ত করেছেন যে, তালহা (রাযিঃ) আগন্তুকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি 'তা তোমাদের মধ্যে সম্প্রসারিত করেছেন' বলেননি।
ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ) ও আবু উমাইয়া (রাহঃ) ..... ইবন শিহাব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন এবং তিনি (নিম্মোক্ত বাক্যটি) বলেছেনঃ তিনি ই-এর থেকে পরিবারের জন্য খরচ করতেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
وَمَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوَجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ
'আল্লাহ (তা'আলা) ইয়াহুদীদের নিকট থেকে তাঁর রাসূলকে যে 'ফায়' দিয়েছেন তার জন্য তোমরা ঘোড়ায় কিংবা উটে আরোহণ করে যুদ্ধ কর নি। (সূরা ৫৯ঃ ৬)
বস্তুত এটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্য খাস ছিল। তারপর আল্লাহর কসম, আপনাদের থেকে তা আটকে রাখব না এবং এতে আপনাদের উপরে অন্য কাউকে প্রাধান্য দেব না। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা আপনাদের মাঝে বন্টন করেছেন এবং সম্প্রসারিত করেছেন। তারপর তার থেকে এই সম্পদ অবশিষ্ট রয়েছে। তিনি এর থেকে তাঁর পরিবারের এক বছরের খোরপোশ (বাবদ) খরচ করতেন। তারপর এর অবশিষ্ট সম্পদ জমা হতো। আর তিনি আল্লাহ তা'আলার সম্পদকে জমা করেছেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর ইন্তিকালের পর আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আমি আল্লাহর রাসূলের পক্ষ থেকে মুতাওয়াল্লী। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এতে যা করতেন আমি তাই করব। তারপর (অবশিষ্ট) হাদীস উল্লেখ করেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ….. ইবন শিহাব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন এবং তিনি সাব্যস্ত করেছেন যে, তালহা (রাযিঃ) আগন্তুকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি 'তা তোমাদের মধ্যে সম্প্রসারিত করেছেন' বলেননি।
ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ) ও আবু উমাইয়া (রাহঃ) ..... ইবন শিহাব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন এবং তিনি (নিম্মোক্ত বাক্যটি) বলেছেনঃ তিনি ই-এর থেকে পরিবারের জন্য খরচ করতেন।
2953 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا حُسَيْنُ بْنُ مَهْدِيٍّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّزَّاقِ , قَالَ أنا مَعْمَرٌ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ الْنَصْرِيُّ , قَالَ أَرْسَلَ إِلَيَّ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَقَالَ: إِنَّهُ قَدْ حَضَرَ الْمَدِينَةَ أَهْلُ أَبْيَاتٍ مِنْ قَوْمِكَ، وَقَدْ أَمَرْنَا لَهُمْ بِرَضْخٍ فَاقْسِمْهُ فِيهِمْ. فَبَيْنَا أَنَا كَذَلِكَ إِذْ جَاءَهُ يَرْفَأُ فَقَالَ: هَذَا عُثْمَانُ , وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ , وَسَعْدٌ , وَالزُّبَيْرُ , وَلَا أَدْرِي أَذَكَرَ طَلْحَةَ أَمْ لَا , يَسْتَأْذِنُونَ عَلَيْكَ. فَقَالَ: ائْذَنْ لَهُمْ. قَالَ ثُمَّ مَكَثْنَا سَاعَةً , فَقَالَ: هَذَا الْعَبَّاسُ وَعَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَسْتَأْذِنَانِ عَلَيْكَ , فَقَالَ: ائْذَنْ لَهُمَا. فَلَمَّا دَخَلَ الْعَبَّاسُ قَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا الرَّجُلِ , وَهُمَا حِينَئِذٍ فِيمَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَمْوَالِ بَنِي النَّضِيرِ. فَقَالَ الْقَوْمُ: اقْضِ بَيْنَهُمَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَأَرِحْ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِنْ صَاحِبِهِ. فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنْشُدُكُمُ اللهَ أَيْ أَسْأَلُكُمْ بِاللهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ , أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا نُورَثُ , مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» ؟ قَالُوا: قَدْ قَالَ ذَلِكَ. ثُمَّ قَالَ لَهُمَا مِثْلَ ذَلِكَ , فَقَالَا: نَعَمْ. قَالَ: فَإِنِّي سَأُخْبِرُكُمْ عَنْ هَذَا الْفَيْءِ، إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ خَصَّ نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَيْءٍ لَمْ يُعْطِهِ غَيْرَهُ , فَقَالَ: { «وَمَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوَجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ» } [الحشر: 6] فَكَانَتْ هَذِهِ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاصَّةً، ثُمَّ وَاللهِ مَا احْتَازَهَا دُونَكُمْ وَلَا اسْتَأْثَرَ بِهَا عَلَيْكُمْ , وَلَقَدْ قَسَمَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَكُمْ وَبَثَّهَا فِيكُمْ حَتَّى بَقِيَ مِنْهَا هَذَا الْمَالُ، فَكَانَ يُنْفِقُ مِنْهُ عَلَى أَهْلِهِ رِزْقَ سَنَةٍ، ثُمَّ يَجْمَعُ مَا بَقِيَ مِنْهُ، فَجَمَعَ مَالَ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ. فَلَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ: أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللهِ بَعْدَهُ أَعْمَلُ فِيهَا بِمَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْمَلُ. ثُمَّ ذَكَرَ الْحَدِيثَ.
2954 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ وَأَثْبَتَ أَنَّ طَلْحَةَ كَانَ فِي الْقَوْمِ وَلَمْ يَقُلْ: «وَبَثَّهَا فِيكُمْ» .
2955 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , وَأَبُو أُمَيَّةَ , قَالَا: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ , قَالَ: ثنا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ وَقَالَ: فَكَانَ يُنْفِقُ مِنْهَا عَلَى أَهْلِهِ
2954 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ وَأَثْبَتَ أَنَّ طَلْحَةَ كَانَ فِي الْقَوْمِ وَلَمْ يَقُلْ: «وَبَثَّهَا فِيكُمْ» .
2955 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , وَأَبُو أُمَيَّةَ , قَالَا: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ , قَالَ: ثنا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ وَقَالَ: فَكَانَ يُنْفِقُ مِنْهَا عَلَى أَهْلِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৫৬
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৫৬। ফাহাদ (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন একটি দীনারও আমার মীরাছে বন্টন হবে না। আমার পরিবার ও কর্মচারীদের খরচ নির্বাহের পর (যা থাকবে) তা (সাধারণ মুসলমানদের জন্য) সাদাকা স্বরূপ।
তাঁরা বলেছেনঃ আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে সাদাকা রূপে বিবেচিত ছিল বলে তাঁর এই উক্তিতে প্রকাশ পায়, “আমার কর্মচারীদের খরচ নির্বাহের পরে” কেননা তাঁর কর্মচারী তাঁর জীবিত থাকাকালেই ছিল।
তাঁরা বলেছেনঃ এই সমস্ত হাদীস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, বনু হাশিমের জন্য সাদাকা হালাল (বৈধ), যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ), তাঁর পরিবার এবং তাঁদের মধ্যে তাঁর কন্যা ফাতিমা (রাযিঃ) অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন তাঁরা সকলেই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর জীবদ্দশায় এই সাদাকা থেকে আহার করতেন। এতে তাঁদের জন্য সর্বপ্রকার সাদাকার বৈধতা প্রমাণিত হল।
উত্তরঃ বস্তুত এই বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে দলীল হল এই যে, উক্ত সাদাকা (এর বিধান) ওয়াকফ -এর সাদাকার ন্যায় । আর আমরা দেখছি যে, তা ধনীদের জন্য হালাল। আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না ? কোন ব্যক্তি যদি নিজ বাড়ি কোন ধনী ব্যক্তিকে ওয়াক্ফ করে দেয় তাহলে এটি জায়িয, তার ধনাঢ্যতা তা থেকে তাঁকে বঞ্চিত রাখবে না। ওর হুকুম যাকাত, কাফ্ফারা এবং এরূপ দান, যার দ্বারা আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য লাভ করা হয়, অপরাপর সমস্ত সাদাকার হুকুমের বিপরীত। অনুরূপ ভাবে যে সব ব্যক্তি বনু হাশিমের অন্তর্ভুক্ত হবে, তা তাদের জন্য হালাল হবে এবং সেটার হুকুম অপরাপর সমস্ত সাদাকার হুকুমের পরিপন্থী হবে, যা আমরা উল্লেখ করেছি।
তারপর এই সমস্ত হাদীস পরে বনু হাশিমের উপরে সাদাকা হারাম হওয়া বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে মুতাওয়াতির হাদীস বর্ণিত আছেঃ সেই সমস্ত হাদীস থেকে কয়েকটি নিম্নরূপঃ
তাঁরা বলেছেনঃ আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে সাদাকা রূপে বিবেচিত ছিল বলে তাঁর এই উক্তিতে প্রকাশ পায়, “আমার কর্মচারীদের খরচ নির্বাহের পরে” কেননা তাঁর কর্মচারী তাঁর জীবিত থাকাকালেই ছিল।
তাঁরা বলেছেনঃ এই সমস্ত হাদীস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, বনু হাশিমের জন্য সাদাকা হালাল (বৈধ), যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ), তাঁর পরিবার এবং তাঁদের মধ্যে তাঁর কন্যা ফাতিমা (রাযিঃ) অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন তাঁরা সকলেই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর জীবদ্দশায় এই সাদাকা থেকে আহার করতেন। এতে তাঁদের জন্য সর্বপ্রকার সাদাকার বৈধতা প্রমাণিত হল।
উত্তরঃ বস্তুত এই বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে দলীল হল এই যে, উক্ত সাদাকা (এর বিধান) ওয়াকফ -এর সাদাকার ন্যায় । আর আমরা দেখছি যে, তা ধনীদের জন্য হালাল। আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না ? কোন ব্যক্তি যদি নিজ বাড়ি কোন ধনী ব্যক্তিকে ওয়াক্ফ করে দেয় তাহলে এটি জায়িয, তার ধনাঢ্যতা তা থেকে তাঁকে বঞ্চিত রাখবে না। ওর হুকুম যাকাত, কাফ্ফারা এবং এরূপ দান, যার দ্বারা আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য লাভ করা হয়, অপরাপর সমস্ত সাদাকার হুকুমের বিপরীত। অনুরূপ ভাবে যে সব ব্যক্তি বনু হাশিমের অন্তর্ভুক্ত হবে, তা তাদের জন্য হালাল হবে এবং সেটার হুকুম অপরাপর সমস্ত সাদাকার হুকুমের পরিপন্থী হবে, যা আমরা উল্লেখ করেছি।
তারপর এই সমস্ত হাদীস পরে বনু হাশিমের উপরে সাদাকা হারাম হওয়া বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে মুতাওয়াতির হাদীস বর্ণিত আছেঃ সেই সমস্ত হাদীস থেকে কয়েকটি নিম্নরূপঃ
2956 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ , قَالَ: ثنا أَبُو شِهَابٍ , عَنْ سُفْيَانَ , وَوَرْقَاءَ , عَنْ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَقْسِمُ وَرَثَتِي دِينَارًا , مَا تَرَكْتُ بَعْدَ نَفَقَةِ أَهْلِي وَمُؤْنَةِ عَامِلِي فَهُوَ صَدَقَةٌ» . قَالُوا: فَفِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هَذَا مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهَا كَانَتْ صَدَقَاتٍ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِقَوْلِهِ: «بَعْدَ مُؤْنَةِ عَامِلِي» وَعَامِلُهُ لَا يَكُونُ إِلَّا وَهُوَ حَيٌّ. قَالُوا: فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ مَا قَدْ دَلَّ عَلَى أَنَّ الصَّدَقَةَ لِبَنِي هَاشِمٍ حَلَالٌ , لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَهْلَهُ وَفِيهِمْ فَاطِمَةُ بِنْتُهُ , قَدْ كَانُوا يَأْكُلُونَ مِنْ هَذِهِ الصَّدَقَةِ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى إِبَاحَةِ سَائِرِ الصَّدَقَاتِ لَهُمْ , فَالْحُجَّةُ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ تِلْكَ الصَّدَقَةَ كَصَدَقَاتِ الْأَوْقَافِ , وَقَدْ رَأَيْنَا ذَلِكَ يَحِلُّ لِلْأَغْنِيَاءِ. أَلَا تَرَى أَنَّ رَجُلًا لَوْ أَوْقَفَ دَارَهُ عَلَى رَجُلٍ غَنِيٍّ , أَنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ وَلَا يَمْنَعُهُ ذَلِكَ غِنَاهُ , وَحُكْمُ ذَلِكَ خِلَافُ حُكْمِ سَائِرِ الصَّدَقَاتِ مِنَ الزَّكَوَاتِ وَالْكَفَّارَاتِ , وَمَا يُتَقَرَّبُ بِهِ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ , فَكَذَلِكَ مَنْ كَانَ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ ذَلِكَ لَهُمْ حَلَالٌ وَحُكْمُهُ خِلَافُ حُكْمِ سَائِرِ الصَّدَقَاتِ الَّتِي قَدْ ذَكَرْنَا. ثُمَّ قَدْ جَاءَتْ بَعْدُ هَذِهِ الْآثَارُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَوَاتِرَةً بِتَحْرِيمِ الصَّدَقَةِ عَلَى بَنِي هَاشِمٍ فَمِمَّا جَاءَ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৫৮
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৫৭-২৯৫৮। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ….. আবুল জাওযা সা'দী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি হাসান ইবন আলী (রাযিঃ)-কে বললাম, আপনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে কী স্মরণ রেখেছেন ? তিনি বললেন, আমি এক বারের ঘটনা স্মরণ করছি, একবার আমি সাদাকার (যাকাত) খেজুর থেকে একটি খেজুর নিয়ে তা মুখে দিলাম, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা মুখের লালাসহ বের করে অন্য খেজুর গুলোর মধ্যে ফেলে দিলেন। জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এই খেজুর এই শিশুর জন্য দিতে আপনার জন্য কোন রূপ অসুবিধা নেই । তিনি বললেন, আমরা মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পরিবার আমাদের জন্য সাদাকা হালাল নয়।
আবু বাকরা (রাহঃ) ও ইবন মারযূক (রাহঃ) ….. রবী'আ ইবন শায়বান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি হাসান (রাযিঃ)-কে বললাম, এরপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি হাদীসের শেষে। বলেছেনঃ এবং তাঁর পরিবারের কারো জন্য (বৈধ) নয়।
আবু বাকরা (রাহঃ) ও ইবন মারযূক (রাহঃ) ….. রবী'আ ইবন শায়বান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি হাসান (রাযিঃ)-কে বললাম, এরপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি হাদীসের শেষে। বলেছেনঃ এবং তাঁর পরিবারের কারো জন্য (বৈধ) নয়।
2957 - مَا حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ , عَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ السَّعْدِيِّ , قَالَ: قُلْتُ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ: مَا تَحْفَظُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: أَذْكُرُ إِنِّي أَخَذْتُ تَمْرَةً مِنْ تَمْرِ الصَّدَقَةِ فَجَعَلْتُهَا فِي فِيَّ , فَأَخْرَجَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلُعَابِهَا فَأَلْقَاهَا فِي التَّمْرِ. قَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللهِ , مَا عَلَيْكَ فِي هَذِهِ التَّمْرَةِ لِهَذَا الصَّبِيِّ؟ قَالَ: إِنَّا آلَ مُحَمَّدٍ لَا يَحِلُّ لَنَا الصَّدَقَةُ ".
2958 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ وَابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَا: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنْ ثَابِتِ بْنِ عُمَارَةَ , عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ شَيْبَانَ , قَالَ: قُلْتُ لِلْحَسَنِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَذَكَرَ نَحْوَهُ , إِلَّا أَنَّهُ قَالَ فِي آخِرِهِ: «وَلَا لِأَحَدٍ مِنْ أَهْلِهِ»
2958 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ وَابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَا: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنْ ثَابِتِ بْنِ عُمَارَةَ , عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ شَيْبَانَ , قَالَ: قُلْتُ لِلْحَسَنِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَذَكَرَ نَحْوَهُ , إِلَّا أَنَّهُ قَالَ فِي آخِرِهِ: «وَلَا لِأَحَدٍ مِنْ أَهْلِهِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৯৫৯
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৫৯। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ..... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আরকাম ইবন আরকাম যুহরী (রাযিঃ)-কে যাকাত আদায় করার জন্য কর্মচারী নিয়োগ করা হল। তিনি (রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর আযাদকৃত গোলাম) আবু রাফি (রাযিঃ)-কে সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইলেন। আবু রাফি (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ) প্রমান -এর নিকট এসে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, হে আবু রাফি', নিশ্চয় সাদাকা (যাকাত) মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদ -এর পরিবারের উপরে হারাম, আর (জেনে রাখ) কোন সম্প্রদায়ের আযাদকৃত গোলাম তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।
2959 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ , عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى , عَنِ الْحَكَمِ , عَنْ مِقْسَمٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَالَ: " اسْتُعْمِلَ أَرْقَمُ بْنُ أَرْقَمَ الزُّهْرِيُّ عَلَى الصَّدَقَاتِ , فَاسْتَتْبَعَ أَبَا رَافِعٍ , فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ فَقَالَ: يَا أَبَا رَافِعٍ , إِنَّ الصَّدَقَةَ حَرَامٌ عَلَى مُحَمَّدٍ , وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ , وَإِنَّ مَوْلَى الْقَوْمِ مِنْ أَنْفُسِهِمْ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৬০
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৬০। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. আব্দুল মুত্তালিব ইবন রবী'আ ইবনুল হারিস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রবী'আ ইবনুল হারিস (রাযিঃ) ও আব্বাস ইবনুল মুত্তালিব (রাযিঃ) একত্রিত হয়ে বললেন, আমরা যদি আমাদের এই দুই ছেলে আব্দুল মুত্তালিব এবং ফযল ইবন আব্বাসকে যাকাত আদায় করার জন্য প্রেরণ করতাম, অপর লোকেরা যা আদায় করে তারাও তা আদায় করত এবং লোকেরা যা বিনিময় হিসাবে পায় তারাও তা পেত। রাবী বলেন, তাঁরা উক্ত আলোচনায়রত আছেন, এমন সময় আলী ইবন আবী তালিব (রাযিঃ) এসে তাঁদের নিকট থামলেন। তাঁরা এ বিষয় তাঁকে জানালেন, এতে আলী (রাযিঃ) বললেন, আপনারা এমনটি করবেন না, আল্লাহর কসম, তিনি (ﷺ) তা করতেন না। রবী'আ ইবনুল হারিস (রাযিঃ) বললেন, আপনি আমাদের উপর বিদ্বেষভাব পোষণ করেই এতে বাধা প্রদান করছেন, আল্লাহর কসম, আপনি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জামাতা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন, এতে তো আমরা আপনার প্রতি বিদ্বেষভাবাপন্ন হইনি। আলী (রাযিঃ) বললেন, আমি আবুল হাসান, (আবুল হাসান কারো প্রতি বিদ্বেষী হয় না) তোমরা তাদেরকে (ইচ্ছা করলে) পাঠাতে পার। তারপর তাঁরা উভয়ে প্রস্থান করলেন এবং তিনি শুয়ে পড়লেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যুহরের সালাত আদায় করলে আমরা তাঁর পূর্বেই হুজরার কাছে চলে গিয়ে এর দরজার নিকট দাঁড়িয়ে থাকলাম। তারপর তিনি আসলেন এবং আমাদের কান ধরে বললেন, যা তোমরা নিজেদের অন্তরে পোষণ করছ, প্রকাশ করে দাও। তারপর তিনি গৃহে প্রবেশ করলেন এবং আমরাও তাঁর কাছে গেলাম। তিনি তখন যায়নাব বিনত জাহাশ (রাযিঃ)-এর গৃহে অবস্থান করছিলেন। তারপর আমরা একে অপরকে কথা বলার স্বাধীনতা দিলাম। তারপর আমাদের মধ্যেকার একজন কথা বলল। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি লোকদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সদাচারী ও আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষাকারী, আমরা তো অবশ্যই বিবাহের উপযোগী (বয়ঃপ্রাপ্ত) হয়ে গিয়েছি। আমরা আপনার নিকট এসেছি যেন আপনি আমাদেরকে যাকাত আদায়ের জন্য নিয়োগ করেন, লোকেরা যেভাবে আদায় করে আমরা অনুরূপ আপনার নিকট আদায় করে দিব এবং লোকেরা যেভাবে বিনিময় পায় আমরাও পাব। তিনি দীর্ঘক্ষণ চুপ করে রইলেন, এমনকি আমরা তাঁর সাথে কথা বলতে উদ্যত হলাম। আর যায়নাব (রাযিঃ) পর্দার আড়াল থেকে কাপড় বা হাত দিয়ে আমাদের দিকে ইশারা করছিলেন যে, তোমরা তাঁর সাথে কথা বলবে না। তিনি (ﷺ) বললেন, মুহাম্মাদ-এর পরিবারের জন্য সাদাকা (যাকাত) শোভনীয় (জায়িয) নয়, এটি হচ্ছে লোকদের ময়লা। তোমরা আমার নিকট মাহমিয়া (রাযিঃ) (যিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পক্ষ থেকে খুমুস অর্থাৎ একপঞ্চমাংশ সম্পদের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন) ও নওফল ইবনুল হারিস ইব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ)-কে ডেকে আন। তাঁরা উভয়ে তাঁর নিকট এলেন। তিনি মাহমিয়া (রাযিঃ)-কে লক্ষ্য করে বললেন, এই যুবকের নিকট তোমার কন্যাকে বিবাহ দিয়ে দাও অর্থাৎ ফযল ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর নিকট। তিনি (নির্দেশ মুতাবিক) বিবাহ দিয়ে দিলেন এবং নওফল ইবনুল হারিস (রাযিঃ)-কে বললেন, এই যুবকের নিকট তোমার কন্যাকে বিবাহ দিয়ে দাও। তারপর তিনি আমার নিকট (তাঁর কন্যাকে) বিবাহ দিয়ে দিলেন। আর তিনি মাহমিয়া (রাযিঃ)-কে বললেন, তুমি এই উভয় যুবকের (স্ত্রীদের) মাহর খুমুসের মাল থেকে এত এত পরিমাণ আদায় করে দাও।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, তিনি তো 'খুমুস' থেকে তাঁদের মাহর আদায় করেছেন আর এর বিধান তো সাদাকার (যাকাত) বিধানের অনুরূপ ?
তাঁকে বলা হবে যে, সম্ভবত তা ছিল বায়তুল মালের খুমুসে (এক-পঞ্চমাংশে) (তাঁর) স্বজনদের জন্য নির্দিষ্ট হিস্যা। আর তা তাঁদের উপর সাদাকা হারামের আওতা বহির্ভূত। যেহেতু তাঁদের উপর মানুষের ময়না হারাম করা হয়েছে, ‘খুমুস' (এক পঞ্চমাংশ) অনুরূপ নয়, (বরং এটি হিবা ও হাদিয়ার ন্যায়)।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, তিনি তো 'খুমুস' থেকে তাঁদের মাহর আদায় করেছেন আর এর বিধান তো সাদাকার (যাকাত) বিধানের অনুরূপ ?
তাঁকে বলা হবে যে, সম্ভবত তা ছিল বায়তুল মালের খুমুসে (এক-পঞ্চমাংশে) (তাঁর) স্বজনদের জন্য নির্দিষ্ট হিস্যা। আর তা তাঁদের উপর সাদাকা হারামের আওতা বহির্ভূত। যেহেতু তাঁদের উপর মানুষের ময়না হারাম করা হয়েছে, ‘খুমুস' (এক পঞ্চমাংশ) অনুরূপ নয়, (বরং এটি হিবা ও হাদিয়ার ন্যায়)।
2960 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ , قَالَ: ثنا جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءَ , عَنْ مَالِكٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبْدِ اللهِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بْنَ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ حَدَّثَهُ قَالَ: " اجْتَمَعَ رَبِيعَةُ بْنُ الْحَارِثِ وَالْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَقَالَا: لَوْ بَعَثْنَا هَذَيْنِ الْغُلَامَيْنِ لِي وَلِلْفَضْلِ بْنِ الْعَبَّاسِ عَلَى الصَّدَقَةِ فَأَدَّيَا مَا يُؤَدِّي النَّاسُ , وَأَصَابَا مَا يُصِيبُ النَّاسُ. قَالَ: فَبَيْنَمَا هُمَا فِي ذَلِكَ , جَاءَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَوَقَفَ عَلَيْهِمَا , فَذَكَرَا لَهُ ذَلِكَ، فَقَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: لَا تَفْعَلَا , فَوَاللهِ مَا هُوَ بِفَاعِلٍ. فَقَالَ رَبِيعَةُ بْنُ الْحَارِثِ: مَا يَمْنَعُكَ مِنْ هَذَا إِلَّا نَفَاسَةٌ عَلَيْنَا , فَوَاللهِ لَقَدْ نِلْتَ صِهْرَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا نَفِسْنَاهُ عَلَيْكَ. فَقَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنَا أَبُو حَسَنٍ أَرْسِلَاهُمَا , فَانْطَلَقَا , فَاضْطَجَعَ. فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ , سَبَقْنَاهُ إِلَى الْحُجْرَةِ , فَقُمْنَا عِنْدَ بَابِهَا حَتَّى جَاءَ , فَأَخَذَ بِآذَانِنَا وَقَالَ: اخْرُجَا مَا تُصَرِّرَانِ. ثُمَّ دَخَلَ وَدَخَلْنَا عَلَيْهِ , وَهُوَ يَوْمَئِذٍ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ , فَتَوَاكَلْنَا الْكَلَامَ , ثُمَّ تَكَلَّمَ أَحَدُنَا قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , أَنْتَ أَبَرُّ النَّاسِ وَأَوْصَلُ النَّاسِ , وَقَدْ بَلَغْنَا النِّكَاحَ , وَقَدْ جِئْنَاكَ لِتُؤَمِّرَنَا عَلَى بَعْضِ الصَّدَقَاتِ , فَنُؤَدِّيَ إِلَيْكَ كَمَا يُؤَدُّونَ , وَنُصِيبُ كَمَا يُصِيبُونَ. فَسَكَتَ حَتَّى أَرَدْنَا أَنْ نُكَلِّمَهُ , وَجَعَلَتْ زَيْنَبُ تُلْمِعُ إِلَيْنَا مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ أَنْ لَا تُكَلِّمَاهُ. فَقَالَ: إِنَّ الصَّدَقَةَ لَا تَنْبَغِي لِآلِ مُحَمَّدٍ , إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ , ادْعُوَا لِي مَحْمِيَّةَ - وَكَانَ عَلَى الْخُمُسِ - وَنَوْفَلَ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ. فَجَاءَاهُ فَقَالَ لِمَحْمِيَّةَ: أَنْكِحْ هَذَا الْغُلَامَ ابْنَتَكَ لِلْفَضْلِ بْنِ الْعَبَّاسِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَأَنْكَحَهُ. وَقَالَ لِنَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ: أَنْكِحْ هَذَا الْغُلَامَ ابْنَتَكَ فَأَنْكَحَنِي. وَقَالَ لِمَحْمِيَّةَ أَصْدِقْ عَنْهُمَا مِنَ الْخُمُسِ كَذَا وَكَذَا ". فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ أَصْدَقَ عَنْهُمَا مِنَ الْخُمُسِ , وَحُكْمُهُ حُكْمُ الصَّدَقَاتِ. قِيلَ لَهُ: قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ مِنْ سَهْمِ ذَوِي الْقُرْبَى الَّذِي فِي الْخُمُسِ , وَذَلِكَ خَارِجٌ مِنَ الصَّدَقَاتِ الْمُحَرَّمَةِ عَلَيْهِمْ , لِأَنَّهُ إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْهِمْ أَوْسَاخَ النَّاسِ , وَالْخُمُسُ لَيْسَ كَذَلِكَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৬১
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৬১। ফাহাদ (রাহঃ) ...... সালমান ফারসী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট সাদাকা নিয়ে এলে তিনি তা ফিরিয়ে দিলেন এবং হাদিয়া নিয়ে এলে তা গ্রহণ করলেন।
2961 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ , قَالَ: أنا شَرِيكٌ , عَنْ عُبَيْدٍ الْمُكْتِبِ , عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ , عَنْ سَلْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِصَدَقَةٍ فَرَدَّهَا , وَأَتَيْتُهُ بِهَدِيَّةٍ فَقَبِلَهَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৬২
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৬২। ফাহাদ (রাহঃ) ….. ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমাকে সালমান ফারসী (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন এবং এক দীর্ঘ হাদীস উল্লেখ করেছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তিনি গোলাম ছিলেন। তিনি বলেন, আমি যখন সন্ধ্যার সময় আমার নিকট যা কিছু ছিল তা একত্রিত করে বের হলাম এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দরবারে আসলাম, তিনি তখন কুবায় অবস্থান করছিলেন। আমি তাঁর নিকট গেলাম এবং তাঁর সাথে তখন তাঁর কিছু সংখ্যক সাহাবীও ছিলেন। আমি বললাম যে, আমার নিকট সংবাদ পৌঁছেছে যে, আপনার হাতে কিছু নেই এবং আপনার সাথে আপনার সাহাবীগণও রয়েছেন, আর আপনারা হলেন প্রবাসী ও অভাবী। আমার নিকট কিছু বস্তু ছিল, যা আমি সাদাকার জন্য রেখে দিয়েছি। যখন আমাকে আপনার অবস্থা সম্পর্কে বলা হল তখন আপনাদেরকে আমি এর উপযোগী মনে করলাম। তারপর আমি তা তাঁর খিদমতে পেশ করলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, তা খেয়ে নাও অথবা রেখে দাও। তারপর তিনি মদীনায় যাওয়ার পর আরেক বার তাঁর নিকট আসলাম। তখন আমি কিছু বস্তু জমা করে রেখেছি। আমি বললাম, দেখছি আপনি সাদাকা ভক্ষণ করেন না। আমার নিকট কিছু বস্তু রয়েছে, যা দিয়ে আমি আপনাকে সম্মানিত করতে পসন্দ করছি, যা সাদাকা নয়। তখন তিনি তা আহার করলেন এবং তাঁর সাহাবারাও আহার করলেন।
2962 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ بُهْلُولٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ إِدْرِيسَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ , عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ , عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي سَلْمَانُ الْفَارِسِيُّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَذَكَرَ حَدِيثًا طَوِيلًا , ذَكَرَ فِيهِ " أَنَّهُ كَانَ عَبْدًا , قَالَ: فَلَمَّا أَمْسَيْتُ جَمَعْتُ مَا كَانَ عِنْدِي , ثُمَّ خَرَجْتُ حَتَّى جِئْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِقُبَاءَ , فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ وَمَعَهُ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقُلْتُ: إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّهُ لَيْسَ بِيَدِكَ شَيْءٌ وَأَنَّ مَعَكَ أَصْحَابًا لَكَ , وَأَنْتُمْ أَهْلُ حَاجَةٍ وَغُرْبَةٍ , وَقَدْ كَانَ عِنْدِي شَيْءٌ وَضَعْتُهُ لِلصَّدَقَةِ , فَلَمَّا ذُكِرَ لِي مَكَانُكُمْ رَأَيْتُكُمْ أَحَقَّ بِهِ , ثُمَّ وَضَعْتُهُ لَهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُلْهُ أَوْ أَمْسِكْهُ. ثُمَّ أَتَيْتُهُ بَعْدَ أَنْ تَحَوَّلَ إِلَى الْمَدِينَةِ وَقَدْ جَمَعْتُ شَيْئًا , فَقُلْتُ: رَأَيْتُكَ لَا تَأْكُلُ الصَّدَقَةَ , وَقَدْ كَانَ عِنْدِي شَيْءٌ أَحْبَبْتُ أَنْ أُكْرِمَكَ بِهِ كَرَامَةً لَيْسَتْ بِصَدَقَةٍ. فَأَكَلَ وَأَكَلَ أَصْحَابُهُ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৬৩
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৬৩। আবু বাকরা (রাহঃ) ও ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আযাদকৃত গোলাম আবু রাফি' (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বনু মাখযুমের জনৈক ব্যক্তিকে সাদাকা (যাকাত) উসূল করার জন্য প্রেরণ করেন। সে ব্যক্তি আবু রাফি' (রাযিঃ)-কে বলল, আমার সাথে চল, তাহলে যাকাতের অংশ তুমিও লাভ করবে। তিনি বললেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তিনি নবী করীম (ﷺ) -এর নিকট এসে তা তাঁকে জানালেন। তিনি বললেনঃ মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পরিবারের জন্য সাদাকা হালাল নয় । আর স্মরণ রাখ, কোন সম্প্রদায়ের আযাদকৃত গোলাম তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।
2963 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , وَابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَا: ثنا وَهْبٌ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنِ الْحَكَمِ , عَنِ ابْنِ أَبِي رَافِعٍ مَوْلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ رَجُلًا مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ عَلَى الصَّدَقَةِ، فَقَالَ لِأَبِي رَافِعٍ: اصْحَبْنِي كَيْمَا تُصِيبَ مِنْهَا. فَقَالَ: حَتَّى أَسْتَأْذِنَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ , فَقَالَ: «إِنَّ آلَ مُحَمَّدٍ لَا يَحِلُّ لَهُمُ الصَّدَقَةُ , وَإِنَّ مَوْلَى الْقَوْمِ مِنْ أَنْفُسِهِمْ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৬৪
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৬৪। রবী'উল মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... আতা ইবনুুচ্ছায়িব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার উম্মু কুলসূম বিনত আলী (রাহঃ)-এর নিকট গেলাম, তিনি বলেন, হুরমুখ বা কায়সান নামক আমাদের এক আযাদকৃত গোলাম আমাকে বলেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, তিনি আমাকে ডাকলেন, আমি আসলাম। তিনি বললেন, হে অমুকের পিতা, আমরা আহলে বায়ত আমাদেরকে সাদাকা খেতে নিষেধ করা হয়েছে। আর জেনে রেখ, কোন সম্প্রদায়ের আযাদকৃত গোলাম তাদেরই অন্তর্ভুক্ত (তাদের মধ্যে গণ্য), অতএব সাদাকা খাবে না।
2964 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا وَرْقَاءُ بْنُ عُمَرَ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ , قَالَ: " دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، فَقَالَتْ: إِنَّ مَوْلًى لَنَا يُقَالُ لَهُ هُرْمُزُ , أَوْ كَيْسَانُ أَخْبَرَنِي أَنَّهُ مَرَّ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَدَعَانِي فَجِئْتُ، فَقَالَ: «يَا أَبَا فُلَانٍ إِنَّا أَهْلُ بَيْتٍ قَدْ نُهِينَا أَنْ نَأْكُلَ الصَّدَقَةَ , وَإِنَّ مَوْلَى الْقَوْمِ مِنْ أَنْفُسِهِمْ، فَلَا تَأْكُلِ الصَّدَقَةَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৭
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৬৫-৬৭। হুসায়ন ইবন নসর (রাহঃ), মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ও সুলায়মান ইবন শু'আয়ব (রাহঃ) …… আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার হাসান ইবন আলী (রাযিঃ) সাদাকার (যাকাতের) খেজুর থেকে একটি খেজুর নিয়ে তা নিজের মুখে দিয়ে দিলেন। এতে নবী করীম (ﷺ) তাঁকে বললেন, ছি! ছি! তা ফেলে দাও, তা ফেলে দাও, তুমি কি জান না, আমরা সাদাকা (যাকাত) আহার করি না।
2965 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ , قَالَ: ثنا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ , ح
2966 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ , ح
2967 - وَحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ , قَالُوا: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: " أَخَذَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا تَمْرَةً مِنْ تَمْرِ الصَّدَقَةِ , فَأَدْخَلَهَا فِي فِيهِ , فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كِخْ كِخْ أَلْقِهَا أَلْقِهَا , أَمَا عَلِمْتَ أَنَّا لَا نَأْكُلُ الصَّدَقَةَ "
2966 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ , ح
2967 - وَحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ , قَالُوا: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: " أَخَذَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا تَمْرَةً مِنْ تَمْرِ الصَّدَقَةِ , فَأَدْخَلَهَا فِي فِيهِ , فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كِخْ كِخْ أَلْقِهَا أَلْقِهَا , أَمَا عَلِمْتَ أَنَّا لَا نَأْكُلُ الصَّدَقَةَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৯৬৮
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৬৮। আবু বাকরা (রাহঃ) ও ইবন মারযূক (রাহঃ) ….. বাহয ইবন হাকীম –এর পিতা-পিতামহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট কোন কিছু আনা হলে, তিনি জিজ্ঞাসা করতেন এ কি হাদিয়া না সাদাকা ? যদি লোকেরা বলত হাদিয়া তাহলে তিনি তা গ্রহণ করার জন্য হাত প্রসারিত করে দিতেন। আর যদি বলত সাদাকা তাহলে তিনি তাঁর সাথীদেরকে বলতেন, তোমরা আহার কর ।
2968 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , وَابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَا: ثنا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ , قَالَ: ثنا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَدِّهِ , قَالَ: " كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أُتِيَ بِالشَّيْءِ سَأَلَ: " أَهَدِيَّةٌ هُوَ أَمْ صَدَقَةٌ؟ فَإِنْ قَالُوا: هَدِيَّةٌ , بَسَطَ يَدَيْهِ , وَإِنْ قَالُوا صَدَقَةٌ , قَالَ لِأَصْحَابِهِ: كُلُوا "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৬৯
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৬৯। আবু বাকরা (রাহঃ) ও ইবন মারযূক (রাহঃ) ….. বাহয ইবন হাকীম এর পিতা-পিতামহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে মুক্ত মাঠে বিচরণকারী উটের যাকাতের ব্যাপারে বলতে শুনেছি যে, প্রত্যেক চল্লিশটির মধ্যে 'বিনতে লাবূন' (তৃতীয় বর্ষে পদার্পনকারী উটনী) ওয়াজিব হবে। যে ব্যক্তি বিনিময় প্রত্যাশী হয়ে তা দান করবে, সে এর বিনিময় (সওয়াব) পাবে। আর যে ব্যক্তি তা দিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে আমি তার থেকে তা গ্রহণ করব। আর তার অর্ধেক উট (সম্পদ) আমাদের প্রতিপালকের হকসমূহের একটি হক*, আমাদের কারো জন্য তা থেকে কিছু হালাল নয়।
2969 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , وَابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَكْرٍ , عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَدِّهِ , قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي إِبِلٍ سَائِمَةٍ: «فِي كُلِّ أَرْبَعِينَ بِنْتُ لَبُونٍ , مَنْ أَعْطَاهَا مُؤْتَجِرًا أَيْ طَالِبَ أَجْرِهِ فَلَهُ أَجْرُهَا , وَمَنْ مَنَعَهَا فَإِنَّا آخِذُوهَا مِنْهُ وَشَطْرَ إِبِلِهِ. عَزْمَةٌ مِنْ عَزَمَاتِ رَبِّنَا لَا يَحِلُّ لِأَحَدٍ مِنَّا مِنْهَا شَيْءٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৭০
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৭০। ইবন মারযূক (রাহঃ) ও ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ), কোন কোন সময় এমন অবস্থায় পথ অতিক্রম করতেন যে, পথে একটি খেজুর পড়ে আছে, সেটি সাদাকার খেজুর হওয়ার আশংকায় তিনি তা ধরতেন না।
2970 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَا: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَمُرُّ فِي الطَّرِيقِ بِالتَّمْرَةِ , فَمَا يَمْنَعُهُ مِنْ أَخْذِهَا إِلَّا مَخَافَةُ أَنْ تَكُونَ صَدَقَةً»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৯৭১
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৭১। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ….. আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একটি খেজুর দেখতে পেয়ে বললেন, আমি যদি এটি সাদাকা হওয়ার আশংকা না করতাম তাহলে অবশ্যই আমি তা খেয়ে ফেলতাম।
2971 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ , قَالَ: ثنا يَحْيَى , عَنْ سُفْيَانَ , قَالَ: ثنا مَنْصُورٌ , عَنْ طَلْحَةَ , عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى تَمْرَةً فَقَالَ: «لَوْلَا أَنِّي أَخَافُ أَنْ تَكُونَ صَدَقَةً لَأَكَلْتُهَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৯৭২
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৭৩
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৭২-৭৩। আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ) ও ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... রশীদ ইবন মালিক আবু উমায়র (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমরা নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট ছিলাম এমন সময় তাঁর সম্মুখে খেজুরের একটি থাকা নিয়ে আসা হল। তিনি বললেন, সাদাকা না হাদিয়া ? লোকটি বলল, বরং সাদাকা তখন তিনি তা লোকদের সম্মুখে রেখে দিলেন। শিশু হাসান (রাযিঃ) তাঁর সম্মুখে মাটিতে হামাগুড়ি দিচ্ছিলেন তিনি একটি খেজুর নিয়ে তা তাঁর মুখে দিয়ে দিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজের আঙ্গুলী ঢুকিয়ে তাঁর সাথে কোমলতা অবলম্বন করে তা বের করে তা ফেলে দিলেন। তারপর বললেনঃ আমরা মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পরিবার, আমরা সাদাকা খাইনা।
2972 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا الْحَكَمُ بْنُ مَرْوَانَ الضَّرِيرُ , ح
2973 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ , قَالَ: ثنا مَعْرُوفُ بْنُ وَاصِلٍ السَّعْدِيُّ , قَالَ: حَدَّثَتْنَا حَفْصَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي سَنَةِ تِسْعِينَ , قَالَ ابْنُ أَبِي دَاوُدَ فِي حَدِيثِهِ ابْنَةُ طَلْقٍ تَقُولُ: ثنا رُشَيْدُ بْنُ مَالِكٍ أَبُو عَمِيرَةَ قَالَ: كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأُتِيَ بِطَبَقٍ عَلَيْهِ تَمْرٌ فَقَالَ: أَصَدَقَةٌ أَمْ هَدِيَّةٌ؟ قَالَ: بَلْ صَدَقَةٌ , فَوَضَعَهُ بَيْنَ يَدَيِ الْقَوْمِ وَالْحَسَنُ يَتَعَفَّرُ بَيْنَ يَدَيْهِ , فَأَخَذَ الصَّبِيُّ تَمْرَةً فَجَعَلَهَا فِي فِيهِ، فَأَدْخَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِصْبَعَهُ وَجَعَلَ يَتَرَفَّقُ بِهِ , فَأَخْرَجَهَا فَقَذَفَهَا، ثُمَّ قَالَ: «إِنَّا آلَ مُحَمَّدٍ لَا نَأْكُلُ الصَّدَقَةَ»
2973 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ , قَالَ: ثنا مَعْرُوفُ بْنُ وَاصِلٍ السَّعْدِيُّ , قَالَ: حَدَّثَتْنَا حَفْصَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي سَنَةِ تِسْعِينَ , قَالَ ابْنُ أَبِي دَاوُدَ فِي حَدِيثِهِ ابْنَةُ طَلْقٍ تَقُولُ: ثنا رُشَيْدُ بْنُ مَالِكٍ أَبُو عَمِيرَةَ قَالَ: كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأُتِيَ بِطَبَقٍ عَلَيْهِ تَمْرٌ فَقَالَ: أَصَدَقَةٌ أَمْ هَدِيَّةٌ؟ قَالَ: بَلْ صَدَقَةٌ , فَوَضَعَهُ بَيْنَ يَدَيِ الْقَوْمِ وَالْحَسَنُ يَتَعَفَّرُ بَيْنَ يَدَيْهِ , فَأَخَذَ الصَّبِيُّ تَمْرَةً فَجَعَلَهَا فِي فِيهِ، فَأَدْخَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِصْبَعَهُ وَجَعَلَ يَتَرَفَّقُ بِهِ , فَأَخْرَجَهَا فَقَذَفَهَا، ثُمَّ قَالَ: «إِنَّا آلَ مُحَمَّدٍ لَا نَأْكُلُ الصَّدَقَةَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৯৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৭৫
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৭৪-৭৫। আলী ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইবন আবী লায়লা এর পিতা আবু লায়লা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি নবী করীম (ﷺ)-এর সাথে সাদাকার ঘরে প্রবেশ করলাম। হাসান (রাযিঃ) একটি খেজুর মুখে দিলেন। তিনি (ﷺ) তা তাঁর মুখ থেকে বের করে ফেলে দিয়ে বললেন, আমরা আহলে বায়ত, আমাদের জন্য সাদাকা হালাল নয় অথবা বললেন, আমরা সাদাকা খাই না।
ফাহাদ (রাহঃ) ….. শরীক (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, আমরা আহলে বায়ত, আমাদের জন্য সাদাকা হালাল নয়, এবং তিনি বক্তব্যে সন্দেহের উল্লেখ করেন নি।
ফাহাদ (রাহঃ) ….. শরীক (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, আমরা আহলে বায়ত, আমাদের জন্য সাদাকা হালাল নয়, এবং তিনি বক্তব্যে সন্দেহের উল্লেখ করেন নি।
2974 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ حَكِيمٍ الْأَوْدِيُّ , قَالَ: أنا شَرِيكٌ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عِيسَى , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: " دَخَلْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْتَ الصَّدَقَةِ , فَتَنَاوَلَ الْحَسَنُ تَمْرَةً , فَأَخْرَجَهَا مِنْ فِيهِ وَقَالَ: «إِنَّا أَهْلُ بَيْتٍ لَا يَحِلُّ لَنَا الصَّدَقَةُ أَوْ لَا نَأْكُلُ الصَّدَقَةَ» .
2975 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ , قَالَ: أنا شَرِيكٌ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّا أَهْلُ بَيْتٍ لَا يَحِلُّ لَنَا الصَّدَقَةُ» وَلَمْ يَشُكَّ "
2975 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ , قَالَ: أنا شَرِيكٌ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّا أَهْلُ بَيْتٍ لَا يَحِلُّ لَنَا الصَّدَقَةُ» وَلَمْ يَشُكَّ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৯৭৬
বনু হাশিমকে যাকাত প্রদান প্রসঙ্গে।
২৯৭৬। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ একবার আমি আমার পরিবারের নিকট (গৃহে) ফিরে গিয়ে আমার বিছানায় একটি খেজুর দেখতে পাই । সেটি খাওয়ার জন্য উঠানোর পর সাদাকা হওয়ার আশংকায় তা ফেলে দেই ।
2976 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا نُعَيْمٌ , قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ , قَالَ: أنا مَعْمَرٌ , عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي لَأَنْقَلِبُ إِلَى أَهْلِي فَأَجِدُ التَّمْرَةَ سَاقِطَةً عَلَى فِرَاشِي فِي بَيْتِي , فَأَرْفَعُهَا لِآكُلَهَا , ثُمَّ أَخْشَى أَنْ تَكُونَ صَدَقَةً فَأُلْقِيهَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
