শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৬৭২
৬৯. সালাত ভুলে ঘুমিয়ে পড়লে অথবা আদায় করতে ভুলে গেলে তা কিভাবে কাযা করবে?
২৬৭২। আবু উমাইয়া (রাহঃ) ..... নাজাশীর ভাতিজা যু-মিখবার (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ একদা আমরা রাসুলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে এক সফরে ছিলাম। (পথে এক স্থানে) আমরা ঘুমিয়ে পড়লাম। তারপর সূর্যের উত্তাপে আমরা জাগরিত হয়ে (উক্ত স্থান থেকে) সরে পড়লাম। রাবী বলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে নিয়ে (কাযা) সালাত আদায় করলেন। পরে আগামী দিন সূর্য উদিত হলে তিনি বিলাল (রাযিঃ) কে আযান ও ইকামতের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি আযান দিলেন তারপর ইকামত দিলেন। তখন তিনি আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন। সালাত কাযা করার পর বললেনঃ এটি হচ্ছে আমাদের গতকালের সালাত।
بَابُ الرَّجُلِ يَنَامُ عَنِ الصَّلَاةِ أَوْ يَنْسَاهَا كَيْفَ يَقْضِيهَا
2672 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ , قَالَ: ثنا قَيْسُ بْنُ حَفْصٍ الدَّارِمِيُّ قَالَ: ثنا مَسْلَمَةُ بْنُ عَلْقَمَةَ , عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ , عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ , عَنْ ذِي مِخْبَرِ ابْنِ أَخِي النَّجَاشِيِّ , قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ , فَنِمْنَا فَلَمْ نَسْتَيْقِظْ إِلَّا بِحَرِّ الشَّمْسِ فَتَنَحَّيْنَا مِنْ ذَلِكَ الْمَكَانِ. قَالَ: فَصَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ , حِينَ بَزَغَتِ الشَّمْسُ أَيْ طَلَعَتْ , أَمَرَ بِلَالًا فَأَذَّنَ ثُمَّ أَمَرَهُ , فَأَقَامَ , فَصَلَّى بِنَا الصَّلَاةَ. فَلَمَّا قَضَى الصَّلَاةَ قَالَ: «هَذِهِ صَلَاتُنَا بِالْأَمْسِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৭৪
সালাত ভুলে ঘুমিয়ে পড়লে অথবা আদায় করতে ভুলে গেলে তা কিভাবে কাযা করবে?
২৬৭৩-২৬৭৪। আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ) ...... সামুরা ইবন জুন্দুব (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম ﷺ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি সালাত আদায় করতে ভুলে গেলে যখনই তা স্বরন হবে পরের দিন (উক্ত) সময়ে আদায় করে নিবে।
আবু উমাইর (রাহঃ) ..... সামুরা ইবন জুনদুব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল 'আলিম এই মত গ্রহণ করে বলেছেন, যে ব্যক্তি সালাত ভুলে ঘুমিয়ে যায় অথবা তা আদায় করতে ভুলে যায়, সেই ব্যক্তি এমনটি-ই করবে। তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উপরোক্ত এই দুই হাদীসের দ্বারা দলীল পেশ করেন।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপর একদল 'আলিম তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ বরং তা এর সাথে মিলিত (পরবর্তী) ফরজ সালাতের সাথে আদায় করে নিবে। এছাড়া অন্য কিছু তার জন্য জরুরী নয়। তাঁরা এ বিষয়ে নিন্মোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেনঃ
আবু উমাইর (রাহঃ) ..... সামুরা ইবন জুনদুব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল 'আলিম এই মত গ্রহণ করে বলেছেন, যে ব্যক্তি সালাত ভুলে ঘুমিয়ে যায় অথবা তা আদায় করতে ভুলে যায়, সেই ব্যক্তি এমনটি-ই করবে। তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উপরোক্ত এই দুই হাদীসের দ্বারা দলীল পেশ করেন।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপর একদল 'আলিম তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ বরং তা এর সাথে মিলিত (পরবর্তী) ফরজ সালাতের সাথে আদায় করে নিবে। এছাড়া অন্য কিছু তার জন্য জরুরী নয়। তাঁরা এ বিষয়ে নিন্মোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেনঃ
2673 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا مِنَ الْغَدِ لِلْوَقْتِ»
2674 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ، قَالَ: ثنا سُرَيْجُ بْنُ النُّعْمَانِ الْجَوْهَرِيُّ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ بِشْرِ بْنِ الْحَارِثِ، سَمِعْتُ سَمُرَةَ بْنَ جُنْدَبٍ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا , فَقَالُوا: هَكَذَا يَفْعَلُ مَنْ نَامَ عَنْ صَلَاةٍ أَوْ نَسِيَهَا , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: بَلْ يُصَلِّيهَا مَعَ الَّتِي تَلِيهَا مِنَ الْمَكْتُوبَةِ , وَلَيْسَ عَلَيْهِ غَيْرُ ذَلِكَ
وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
2674 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ، قَالَ: ثنا سُرَيْجُ بْنُ النُّعْمَانِ الْجَوْهَرِيُّ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ بِشْرِ بْنِ الْحَارِثِ، سَمِعْتُ سَمُرَةَ بْنَ جُنْدَبٍ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا , فَقَالُوا: هَكَذَا يَفْعَلُ مَنْ نَامَ عَنْ صَلَاةٍ أَوْ نَسِيَهَا , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: بَلْ يُصَلِّيهَا مَعَ الَّتِي تَلِيهَا مِنَ الْمَكْتُوبَةِ , وَلَيْسَ عَلَيْهِ غَيْرُ ذَلِكَ
وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬৭৫
সালাত ভুলে ঘুমিয়ে পড়লে অথবা আদায় করতে ভুলে গেলে তা কিভাবে কাযা করবে?
২৬৭৫। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নিজ সন্তানদেরকে লিখেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁদেরকে হুকুম করেছেনঃ তাঁদের কেউ যদি সালাত থেকে অমনোযোগী হয়ে যায় কিংবা ভুলে যায় এবং সংশ্লিষ্ট সালাতের নির্দিষ্ট ওয়াক্ত অতিবাহিত হয়ে যায়, সে যেন উক্ত সালাতকে এর সাথে মিলিত পরবর্তী ফরজ সালাতের সাথে আদায় করে নেয়।
পক্ষান্তরে এই বিষয়ে অপর আরেক দল 'আলিম তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ বরং যখনই স্বরন হবে তা আদায় করে নিবে। যদিও তা পরবর্তী সালাতের ওয়াক্ত আসার পূর্বে হোক না কেন। এছাড়া তার উপরে অন্য কিছু জরুরী নয়।
এ বিষয়ে তাঁরা রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে আবু কাতাদা (রাযিঃ), ইমরান (রাযিঃ) ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে বর্নিত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন। যখন তিনি ﷺ ফজরের সালাত (ভুলে) ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, যাতে সূর্য উদিত হয়ে যায়। তারপর সূর্যোদয়ের পর তা তিনি আদায় করেছেন। এবং তিনি যুহরের ওয়াক্ত আসার অপেক্ষা করেননি। বস্তুত আমরা এই হাদীসটি সনদসমূহসহ এই গ্রন্থের অন্যস্থানে উল্লেখ করেছি।
পক্ষান্তরে এই বিষয়ে অপর আরেক দল 'আলিম তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ বরং যখনই স্বরন হবে তা আদায় করে নিবে। যদিও তা পরবর্তী সালাতের ওয়াক্ত আসার পূর্বে হোক না কেন। এছাড়া তার উপরে অন্য কিছু জরুরী নয়।
এ বিষয়ে তাঁরা রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে আবু কাতাদা (রাযিঃ), ইমরান (রাযিঃ) ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে বর্নিত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন। যখন তিনি ﷺ ফজরের সালাত (ভুলে) ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, যাতে সূর্য উদিত হয়ে যায়। তারপর সূর্যোদয়ের পর তা তিনি আদায় করেছেন। এবং তিনি যুহরের ওয়াক্ত আসার অপেক্ষা করেননি। বস্তুত আমরা এই হাদীসটি সনদসমূহসহ এই গ্রন্থের অন্যস্থানে উল্লেখ করেছি।
2675 - بِمَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا مَرْوَانُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ سَعْدٍ السَّمُرِيُّ , قَالَ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ خُبَيْبِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ سَمُرَةَ , عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ سَمُرَةَ , عَنْ خُبَيْبِ بْنِ سُلَيْمَانَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ سَمُرَةَ أَنَّهُ كَتَبَ إِلَى بَنِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْمُرُهُمْ إِذَا شُغِلَ أَحَدُهُمْ عَنِ الصَّلَاةِ , أَوْ نَسِيَهَا حَتَّى يَذْهَبَ حِينُهَا الَّذِي تُصَلَّى فِيهِ أَنَّ يُصَلِّيَهَا مَعَ الَّتِي تَلِيهَا مِنَ الصَّلَاةِ الْمَكْتُوبَةِ " وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: بَلْ يُصَلِّيهَا إِذَا ذَكَرَهَا , وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ قَبْلَ دُخُولِ وَقْتِ الَّتِي تَلِيهَا , وَلَا شَيْءَ عَلَيْهِ غَيْرُ ذَلِكَ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِحَدِيثِ أَبِي قَتَادَةَ وَعِمْرَانَ , وَأَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ نَامَ عَنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ , فَصَلَّاهُمَا بَعْدَ مَا اسْتَوَتْ , وَلَمْ يَنْتَظِرْ دُخُولَ وَقْتِ الظُّهْرِ , وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ بِأَسَانِيدِهِ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ مِنْ هَذَا الْكِتَابِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬৭৬
সালাত ভুলে ঘুমিয়ে পড়লে অথবা আদায় করতে ভুলে গেলে তা কিভাবে কাযা করবে?
২৬৭৬। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... ইয়াযীদ ইবন আবী মারইয়াম তার পিতা আবু মারইয়াম (রাযিঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবাগন ফজরের সালাত ভুলে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন যাতে সূর্যোদয় হয়ে যায়। পরে রাসূলুল্লাহ ﷺ বিলাল (রাযিঃ) কে আযান দিতে নির্দেশ দিলেন। তিনি আযান দিলে তিনি দু'রাকা'আত (সুন্নত) সালাত আদায় করলেন। তারপর তাঁকে ইকামত দিতে বললে, তিনি ইকামত দিলেন এবং তিনি তাঁদেরকে নিয়ে ফরয সালাত আদায় করলেন।
2676 - وَقَدْ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْوَاسِطِيُّ , عَنْ خَالِدٍ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ , عَنْ أبيه , قَالَ: «نَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ عَنْ صَلَاةِ الْفَجْرِ حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ , فَأَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَالًا , فَأَذَّنَ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ , ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ , فَصَلَّى بِهِمُ الْمَكْتُوبَةَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬৭৭
সালাত ভুলে ঘুমিয়ে পড়লে অথবা আদায় করতে ভুলে গেলে তা কিভাবে কাযা করবে?
২৬৭৭। আবু উমাইয়া (রাহঃ) ..... ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সঙ্গে তাবুক যুদ্ধের (সফরে) ছিলাম। আমরা যখন নরম ও সমতল ভূমিতে পৌছলাম তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, (আজ) রাতে আমাদেরকে (জাগাবার জন্য) কে পাহারা দিবে? বিলাল (রাযিঃ) বললেন, আমি! রাবী বলেন, যখন সকলে ঘুমিয়ে পড়লে, তিনিও ঘুমিয়ে পড়লেন এমনকি সূর্যোদয় হয়ে গেল। পরে অমুক, অমুক (ব্যক্তি ঘুম থেকে) জাগরিত হলেন। তাঁরা বললেন, তোমরা কথা বলতে থাক যেন তিনি ﷺ জাগরিত হন। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ জাগরিত হলেন এবং বললেন, তোমরা যা করতে ছিলে তা-ই কর। আর সেই ব্যক্তি অনুরূপ করবে যে সালাত ভুলে ঘুমিয়ে পড়ে কিংবা সালাত আদায় করতে ভুলে যায়।
রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে আলোচ্য বিষয়ে আরো বর্নিত আছেঃ
রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে আলোচ্য বিষয়ে আরো বর্নিত আছেঃ
2677 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ، قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ بْنُ مُوسَى، قَالَ: أنا زَافِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ. فَلَمَّا كُنَّا بِدَهَاسٍ مِنَ الْأَرْضِ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَكْلَؤُنَا اللَّيْلَةَ» قَالَ بِلَالٌ: أَنَا , قَالَ: «إِذًا تَنَامُ» فَنَامَ حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ , فَاسْتَيْقَظَ فُلَانٌ وَفُلَانٌ , فَقَالُوا تَكَلَّمُوا حَتَّى يَسْتَيْقِظَ , فَاسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «افْعَلُوا مَا كُنْتُمْ تَفْعَلُونَ , وَكَذَلِكَ يَفْعَلُ مَنْ نَامَ أَوْ نَسِيَ» وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৮১
সালাত ভুলে ঘুমিয়ে পড়লে অথবা আদায় করতে ভুলে গেলে তা কিভাবে কাযা করবে?
২৬৭৮-২৬৮১। আহমেদ ইবন দাউদ (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ কেউ যদি সালাত আদায় করতে ভুলে যায়, তবে যখনই স্বরন হবে আদায় করে নিবে। হাম্মাম বলেছেন, এর পরে উক্ত হাদীসের সাথে আমি কাতাদা (রাহঃ) কে এই আয়াত তিলওয়াত করতে শুনেছিঃ أَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي - আমরা স্মরণার্থে (স্মরণের সময়) সালাত কায়েম কর। (২০ঃ ১৪)
ফাহাদ (রাহঃ) ...... আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী ﷺ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি সালাত আদায় করতে ভুল গেলে যখনই তার স্মরন হবে তা আদায় করে নিবে।
আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) ...... আবু কাতাদা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
এই হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর উক্তি দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, তার উপর এর কাযা ব্যতীত অন্য কিছু জরুরী নয়। যেহেতু তিনি উল্লেখ করেছেনঃ "কোন ব্যক্তি সালাত আদায় করতে ভুলে গেলে" তারপর তার উপর জরুরী বিষয় সম্পর্কে খবর পরিবেশন করেছেন, (অর্থাৎ যখনই তার স্মরন হবে তা আদায় করে নিবে)। এই বিষয়ে তাঁর থেকে অন্য হাদীসে এই শব্দের উপর আরো অতিরিক্ত বর্নিত আছেঃ
ফাহাদ (রাহঃ) ...... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি সালাত আদায় করতে ভুলে গেলে যখনই তা স্মরণ হবে তা আদায় করে নিবে। এটি ব্যতীত এর অন্য কোন কাফফারা নেই। রাবী বলেন, তারপর আমি তাকে অতিরিক্ত (এ আয়াত) বর্ননা করতে শুনেছিঃ أَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي অর্থাৎ : আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর।(২০ঃ ১৪)
ফাহাদ (রাহঃ) ...... আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী ﷺ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি সালাত আদায় করতে ভুল গেলে যখনই তার স্মরন হবে তা আদায় করে নিবে।
আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) ...... আবু কাতাদা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
এই হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর উক্তি দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, তার উপর এর কাযা ব্যতীত অন্য কিছু জরুরী নয়। যেহেতু তিনি উল্লেখ করেছেনঃ "কোন ব্যক্তি সালাত আদায় করতে ভুলে গেলে" তারপর তার উপর জরুরী বিষয় সম্পর্কে খবর পরিবেশন করেছেন, (অর্থাৎ যখনই তার স্মরন হবে তা আদায় করে নিবে)। এই বিষয়ে তাঁর থেকে অন্য হাদীসে এই শব্দের উপর আরো অতিরিক্ত বর্নিত আছেঃ
ফাহাদ (রাহঃ) ...... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি সালাত আদায় করতে ভুলে গেলে যখনই তা স্মরণ হবে তা আদায় করে নিবে। এটি ব্যতীত এর অন্য কোন কাফফারা নেই। রাবী বলেন, তারপর আমি তাকে অতিরিক্ত (এ আয়াত) বর্ননা করতে শুনেছিঃ أَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي অর্থাৎ : আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর।(২০ঃ ১৪)
2678 - مَا حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ , قَالَ: ثنا هَمَّامٌ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا» قَالَ هَمَّامٌ: ثُمَّ سَمِعْتُ قَتَادَةَ يُحَدِّثُ بِهِ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ فَقَالَ: {أَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي} [طه: 14]
2679 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا»
2680 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنْ لَا شَيْءَ عَلَيْهِ غَيْرُ قَضَائِهِ , لِأَنَّهُ ذَكَرَ مَنْ نَسِيَ صَلَاةً , ثُمَّ أَخْبَرَ بِمَا عَلَيْهِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَيْضًا فِي ذَلِكَ فِي غَيْرِ هَذَا الْحَدِيثِ , مَا قَدْ زَادَ عَلَى هَذَا اللَّفْظِ
2681 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا , لَا كَفَّارَةَ لَهَا إِلَّا ذَلِكَ» قَالَ: ثُمَّ سَمِعْتُهُ يُحَدِّثُ وَيَزِيدُ فِيهِ {أَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي} [طه: 14]
2679 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا»
2680 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنْ لَا شَيْءَ عَلَيْهِ غَيْرُ قَضَائِهِ , لِأَنَّهُ ذَكَرَ مَنْ نَسِيَ صَلَاةً , ثُمَّ أَخْبَرَ بِمَا عَلَيْهِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَيْضًا فِي ذَلِكَ فِي غَيْرِ هَذَا الْحَدِيثِ , مَا قَدْ زَادَ عَلَى هَذَا اللَّفْظِ
2681 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا , لَا كَفَّارَةَ لَهَا إِلَّا ذَلِكَ» قَالَ: ثُمَّ سَمِعْتُهُ يُحَدِّثُ وَيَزِيدُ فِيهِ {أَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي} [طه: 14]

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬৮২
সালাত ভুলে ঘুমিয়ে পড়লে অথবা আদায় করতে ভুলে গেলে তা কিভাবে কাযা করবে?
২৬৮২। আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ) আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম ﷺ বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি সালাত আদায় করতে ভুলে গেলে অথবা ঘুমিয়ে পড়লে এর কাফফারা হচ্ছে, যখনই তা স্মরণ হবে তা আদায় করে নিবে।
বস্তুত যখন তিনি বলেছেনঃ "এটি ব্যতীত এর অন্য কোন কাফফারা নেই" তার অতিরিক্ত এর সাথে অন্য কিছু যোগ হওয়া অসম্ভব। কেননা এর সাথে তার উপর যদি অন্য কিছু যোগ হয় তাহলে এটি তার জন্য কাফফারা হতে পারে না।
হাসান (বসরী র) ইমরান ইবন হুসায়ন (রাযিঃ) থেকে সালাত ভুলে ঘুমিয়ে থাকায় সূর্যোদয় হয়ে যাওয়া সংক্রান্ত হাদীসে বর্ননা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁদেরকে নিয়ে তা (ফজরের সালাত) আদায় করেছেন। রাবী বলেন, এতে আমরা বললাম, "হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি তা আগামী দিন এটি তার ওয়াক্তে কাযা পড়বেন না? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আল্লাহ তা'আলা কি তোমাদেরকে (নির্দিষ্ট কর্জের উপর) বর্ধিত বস্তু (সূদ) থেকে নিষেধ করেননি, আর তিনি কি তোমাদের থেকে তা গ্রহন করবেন? বস্তুত আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়টিকে সনদসমূহ দ্বারা এই গ্রন্থের অন্যস্থানে উল্লেখ করেছি। পক্ষান্তরে তাঁরা যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলেন, তখন তিনি তাঁদেরকে সে উত্তরই দিলেন যা আমরা উল্লেখ করেছি।
অতএব এটি অসম্ভব ব্যাপার যে, তাঁরা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে ইতিপূর্বে তা করতে না দেখে নিজেরা তা আগামী দিন কাযা করবেন কিংবা তাঁদেরকে তিনি এ ব্যাপারে নির্দেশ করেছেন। এতে প্রমাণিত হলো যু-মিখমার (রাযিঃ) ও সামুরা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্নিত রিওয়ায়াত রহিত হয়ে গেছে এবং এটি তা অপেক্ষা পরবর্তীকালের, তাই এটি তার থেকে উত্তম বিবেচিত হবে। যেহেতু এটি তার (পূর্বের হাদীসের) জন্য রহিতকারী হিসাবে সাব্যস্ত। এটি-ই হচ্ছে রিওয়ায়াতের দিক থেকে এই অনুচ্ছেদের হাদীস সমূহের বিশ্লেষণের যথার্থ পন্থা।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ) এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
বস্তুত আমরা লক্ষ্য করেছি যে, আল্লাহ তা'আলা সালাত সমূহকে নির্দিষ্ট ওয়াক্তে (সময়ে) ফরজ করেছেন, (এমনভাবে) সিয়াম পালনকে তার নির্ধারিত সময়ে রামাদান মাসে ফরয করেছেন। তারপর কোন ব্যক্তি রামাদান মাসে সিয়াম পালন করতে না পারলে তার জন্য অন্য মাসে ততদিনের সিয়াম পালনকে জরুরী করেছেন। এর কাযা করাকে এর বিপরীত অন্য মাসে জরুরী করেছেন। এই কাযা করার পরে পরবর্তীতে পুনর্বার (উক্ত নিয়মে) ততদিনের কাযা জরুরী করেননি।
অতএব আমাদের উল্লিখিত বর্ননার ভিত্তিতে যুক্তির দাবি হচ্ছে যে, সালাতও অনুরূপ হবে। কোন ব্যক্তি যদি সালাত আদায় করতে ভুলে যায় অথবা তার সালাত ছুটে যায় তাহলে পরবর্তীতে (যখনই তা স্মরণ হবে) এর কাযা করা ওয়াজিব। যদিও অনুরূপ ওয়াক্ত না আসে এবং একবার এটি কাযা করার পর দ্বিতীয় বার কাযা করাও ওয়াজিব নয়। এটিই হচ্ছে সিয়ামের ব্যাপারে কিয়াস ও যুক্তির দাবী, যার বর্ননা আমরা করে এসেছি। আর এটি-ই হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) -এর অভিমত।
পূর্ববর্তী একদল আলিম থেকে এটি বর্নিত আছেঃ
বস্তুত যখন তিনি বলেছেনঃ "এটি ব্যতীত এর অন্য কোন কাফফারা নেই" তার অতিরিক্ত এর সাথে অন্য কিছু যোগ হওয়া অসম্ভব। কেননা এর সাথে তার উপর যদি অন্য কিছু যোগ হয় তাহলে এটি তার জন্য কাফফারা হতে পারে না।
হাসান (বসরী র) ইমরান ইবন হুসায়ন (রাযিঃ) থেকে সালাত ভুলে ঘুমিয়ে থাকায় সূর্যোদয় হয়ে যাওয়া সংক্রান্ত হাদীসে বর্ননা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁদেরকে নিয়ে তা (ফজরের সালাত) আদায় করেছেন। রাবী বলেন, এতে আমরা বললাম, "হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি তা আগামী দিন এটি তার ওয়াক্তে কাযা পড়বেন না? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আল্লাহ তা'আলা কি তোমাদেরকে (নির্দিষ্ট কর্জের উপর) বর্ধিত বস্তু (সূদ) থেকে নিষেধ করেননি, আর তিনি কি তোমাদের থেকে তা গ্রহন করবেন? বস্তুত আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়টিকে সনদসমূহ দ্বারা এই গ্রন্থের অন্যস্থানে উল্লেখ করেছি। পক্ষান্তরে তাঁরা যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলেন, তখন তিনি তাঁদেরকে সে উত্তরই দিলেন যা আমরা উল্লেখ করেছি।
অতএব এটি অসম্ভব ব্যাপার যে, তাঁরা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে ইতিপূর্বে তা করতে না দেখে নিজেরা তা আগামী দিন কাযা করবেন কিংবা তাঁদেরকে তিনি এ ব্যাপারে নির্দেশ করেছেন। এতে প্রমাণিত হলো যু-মিখমার (রাযিঃ) ও সামুরা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্নিত রিওয়ায়াত রহিত হয়ে গেছে এবং এটি তা অপেক্ষা পরবর্তীকালের, তাই এটি তার থেকে উত্তম বিবেচিত হবে। যেহেতু এটি তার (পূর্বের হাদীসের) জন্য রহিতকারী হিসাবে সাব্যস্ত। এটি-ই হচ্ছে রিওয়ায়াতের দিক থেকে এই অনুচ্ছেদের হাদীস সমূহের বিশ্লেষণের যথার্থ পন্থা।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ) এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
বস্তুত আমরা লক্ষ্য করেছি যে, আল্লাহ তা'আলা সালাত সমূহকে নির্দিষ্ট ওয়াক্তে (সময়ে) ফরজ করেছেন, (এমনভাবে) সিয়াম পালনকে তার নির্ধারিত সময়ে রামাদান মাসে ফরয করেছেন। তারপর কোন ব্যক্তি রামাদান মাসে সিয়াম পালন করতে না পারলে তার জন্য অন্য মাসে ততদিনের সিয়াম পালনকে জরুরী করেছেন। এর কাযা করাকে এর বিপরীত অন্য মাসে জরুরী করেছেন। এই কাযা করার পরে পরবর্তীতে পুনর্বার (উক্ত নিয়মে) ততদিনের কাযা জরুরী করেননি।
অতএব আমাদের উল্লিখিত বর্ননার ভিত্তিতে যুক্তির দাবি হচ্ছে যে, সালাতও অনুরূপ হবে। কোন ব্যক্তি যদি সালাত আদায় করতে ভুলে যায় অথবা তার সালাত ছুটে যায় তাহলে পরবর্তীতে (যখনই তা স্মরণ হবে) এর কাযা করা ওয়াজিব। যদিও অনুরূপ ওয়াক্ত না আসে এবং একবার এটি কাযা করার পর দ্বিতীয় বার কাযা করাও ওয়াজিব নয়। এটিই হচ্ছে সিয়ামের ব্যাপারে কিয়াস ও যুক্তির দাবী, যার বর্ননা আমরা করে এসেছি। আর এটি-ই হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) -এর অভিমত।
পূর্ববর্তী একদল আলিম থেকে এটি বর্নিত আছেঃ
2682 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ، قَالَ: أنا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ نَسِيَ صَلَاةً أَوْ نَامَ عَنْهَا , فَإِنَّ كَفَّارَتَهَا أَنْ يُصَلِّيَهَا إِذَا ذَكَرَهَا» فَلَمَّا قَالَ: «لَا كَفَّارَةَ لَهَا إِلَّا ذَلِكَ» اسْتَحَالَ أَنْ يَكُونَ عَلَيْهِ مَعَ ذَلِكَ , غَيْرُهُ لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ عَلَيْهِ مَعَ ذَلِكَ غَيْرُهُ إِذًا لَمَا كَانَ ذَلِكَ كَفَّارَةً لَهَا. وَقَدْ رَوَى الْحَسَنُ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ فِي حَدِيثِ النَّوْمِ عَنِ الصَّلَاةِ حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّاهَا بِهِمْ. قَالَ: فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ، أَلَا نَقْضِيهَا لِوَقْتِهَا مِنَ الْغَدِ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيَنْهَاكُمُ اللهُ عَنِ الرِّبَا وَيَقْبَلُهُ مِنْكُمْ؟» وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ بِإِسْنَادِهِ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ مِنْ هَذَا الْكِتَابِ. فَلَمَّا سَأَلُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ , فَأَجَابَهُمْ بِمَا ذَكَرْنَا , اسْتَحَالَ أَنْ يَكُونُوا عَرَفُوا أَنْ يَقْضُوهَا مِنَ الْغَدِ إِلَّا بِمُعَايَنَتِهِمْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَلَ ذَلِكَ فِيمَا تَقَدَّمَ , أَوْ أَمَرَهُمْ بِهِ أَمْرًا دَلَّ ذَلِكَ عَلَى نَسْخِ مَا رَوَى ذُو مِخْبَرٍ وَسَمُرَةُ , وَأَنَّ هَذَا كَانَ مُتَأَخِّرًا عَنْهُ , فَهُوَ أَوْلَى مِنْهُ , لِأَنَّهُ نَاسِخٌ لَهُ. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. وَأَمَّا مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ فَإِنَّا رَأَيْنَا اللهَ عَزَّ وَجَلَّ , أَوْجَبَ الصَّلَاةَ لِمَوَاقِيتِهَا , وَأَوْجَبَ الصِّيَامَ لِمِيقَاتِهِ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ ثُمَّ جَعَلَ عَلَى مَنْ لَمْ يَصُمْ شَهْرَ رَمَضَانَ , عِدَّةً مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ , فَجَعَلَ قَضَاءَهُ فِي خِلَافِهِ مِنَ الشُّهُورِ , وَلَمْ يَجْعَلْ مَعَ قَضَائِهِ بِعَدَدِ أَيَّامِهِ قَضَاءً مِثْلَهَا فِيمَا بَعْدَ ذَلِكَ. فَالنَّظَرُ عَلَى مَا ذَكَرْنَا , أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ الصَّلَاةُ إِذَا نُسِيَتْ , أَوْ فَاتَتْ , أَنْ يَكُونَ قَضَاؤُهَا يَجِبُ فِيمَا بَعْدَهَا , وَإِنْ لَمْ يَكُنْ دَخَلَ وَقْتُ مِثْلِهَا. وَلَا يَجِبُ مَعَ قَضَائِهَا مَرَّةً قَضَاؤُهَا ثَانِيَةً قِيَاسًا وَنَظَرًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنَ الصِّيَامِ الَّذِي وَصَفْنَا. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الْمُتَقَدِّمِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৮৫
সালাত ভুলে ঘুমিয়ে পড়লে অথবা আদায় করতে ভুলে গেলে তা কিভাবে কাযা করবে?
২৬৮৩-২৬৮৫। ইবন মারযূক (রাহঃ)..... ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কোন ব্যক্তি যদি সালাত আদায় করতে ভুলে যায় আর তা যদি (পরবর্তী) সালাত ইমামের সাথে আদায়কালে স্মরণ হয় তাহলে ইমামের সাথে তার সালাত আদায় করে নিবে তারপর ভুলে যাওয়া সালাত কাযা করবে। তারপর ইমামের সাথে আদায়কৃত সালাতকে পুনঃ আদায় করে নিবে।
ইবন আবী ইমরান (রাহঃ) ..... ইবন উমার (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম ﷺ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
মুহাম্মাদ ইবন হুমায়দ (রাহঃ) ...... সাঈদ ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন এবং তিনি তা মারফু হিসাবে বর্ননা করেননি। ইবন উমার (রাযিঃ)- এর উক্তি "তার (ইমামের) সাথে তা আদায় করে নিবে" আমাদের নিকট এতে এই অর্থের সম্ভাবনা রয়েছে যে, নফল হিসাবে এটি সে আদায় করে নিবে।
ইবন আবী ইমরান (রাহঃ) ..... ইবন উমার (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম ﷺ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
মুহাম্মাদ ইবন হুমায়দ (রাহঃ) ...... সাঈদ ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন এবং তিনি তা মারফু হিসাবে বর্ননা করেননি। ইবন উমার (রাযিঃ)- এর উক্তি "তার (ইমামের) সাথে তা আদায় করে নিবে" আমাদের নিকট এতে এই অর্থের সম্ভাবনা রয়েছে যে, নফল হিসাবে এটি সে আদায় করে নিবে।
2683 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، قَالَ: ثنا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: «مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَذَكَرَهَا مَعَ الْإِمَامِ فَلْيُصَلِّهِ مَعَهُ ثُمَّ لِيُصَلِّ الَّتِي نَسِيَ , ثُمَّ لِيُصَلِّ الْأُخْرَى بَعْدَ ذَلِكَ»
2684 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ: ثنا أَبُو إِبْرَاهِيمَ التَّرْجُمَانِيُّ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُمَحِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
2685 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: ثنا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ وَقَوْلُهُ «فَلْيُصَلِّهِ مَعَهُ» فَذَلِكَ مُحْتَمَلٌ عِنْدَنَا أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهَا لَهُ تَطَوُّعٌ
2684 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ: ثنا أَبُو إِبْرَاهِيمَ التَّرْجُمَانِيُّ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُمَحِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
2685 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: ثنا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ وَقَوْلُهُ «فَلْيُصَلِّهِ مَعَهُ» فَذَلِكَ مُحْتَمَلٌ عِنْدَنَا أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهَا لَهُ تَطَوُّعٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬৮৬
সালাত ভুলে ঘুমিয়ে পড়লে অথবা আদায় করতে ভুলে গেলে তা কিভাবে কাযা করবে?
২৬৮৬। সালিহ ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ...... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে সেই ব্যক্তির বিষয়ে বর্ননা করেন, যে কিনা যুহরের সালাত আদায় করতে ভুলে গিয়েছে তারপর সে আসরের সালাত আদায়কালে তা যদি তার স্মরণ হয়, (রাবী বলেন) তাহলে সে সালাত ছেড়ে দিয়ে যুহরের সালাত আদায় করবে তারপর আসর আদায় করবে।
2686 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، قَالَ: أنا مُغِيرَةُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، فِي رَجُلٍ نَسِيَ الظُّهْرَ , فَذَكَرَهَا , وَهُوَ فِي الْعَصْرِ. قَالَ: «يَنْصَرِفُ فَيُصَلِّي الظُّهْرَ , ثُمَّ يُصَلِّي الْعَصْرَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬৮৭
সালাত ভুলে ঘুমিয়ে পড়লে অথবা আদায় করতে ভুলে গেলে তা কিভাবে কাযা করবে?
২৬৮৭। সালিহ (রাহঃ) ..... হাসান বসরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলতেনঃ (উক্ত ব্যক্তি) আসরের সালাত পুরা করে নিবে যা সে শুরু করেছে। তারপর যুহরের সালাত আদায় করবে।
2687 - حَدَّثَنَا صَالِحٌ، قَالَ: ثنا سَعِيدٌ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، قَالَ: أنا مَنْصُورٌ، وَيُونُسُ، عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: «يُتِمُّ الْعَصْرَ الَّتِي دَخَلَ فِيهَا , ثُمَّ يُصَلِّي الظُّهْرَ بَعْدَ ذَلِكَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান