শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৬১৩
৬৭. সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬১৩। ফাহাদ ইবন সুলায়মান (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ পুরুষদের ক্ষেত্রে হলো সুবহানাল্লাহ পাঠ আর মহিলাদের ক্ষেত্রে হলো হাত তালি দেয়া। কেউ যদি সালাতে এরূপ ইশারা করে যাতে উদ্দেশ্য বুঝা যায় তাহলে সালাত (বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে) সে যেন তা পুন আদায় করে।
বস্তুত একদল 'আলিম এ থেকে এ মর্ম গ্রহণ করেছেন যে, ইশারা দ্বারা উদ্দেশ্য বুঝা যায়, যখন তা পুরুষের সালাতে সংঘটিত হয়। এতে তাঁর সালাত বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং তাঁরা এটি সালাতে কথা বলার বিধানের অন্তর্ভুক্ত করেন। তাঁরা এ বিষয়ে এই (উল্লিখিত) হাদীসের দ্বারা দলীল পেশ করেন।
পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগন তাদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ ইশারা সালাতকে বিনষ্ট করবে না। এই বিষয়ে তাঁরা নিন্মোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা দলীল পেশ করেনঃ
বস্তুত একদল 'আলিম এ থেকে এ মর্ম গ্রহণ করেছেন যে, ইশারা দ্বারা উদ্দেশ্য বুঝা যায়, যখন তা পুরুষের সালাতে সংঘটিত হয়। এতে তাঁর সালাত বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং তাঁরা এটি সালাতে কথা বলার বিধানের অন্তর্ভুক্ত করেন। তাঁরা এ বিষয়ে এই (উল্লিখিত) হাদীসের দ্বারা দলীল পেশ করেন।
পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগন তাদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ ইশারা সালাতকে বিনষ্ট করবে না। এই বিষয়ে তাঁরা নিন্মোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা দলীল পেশ করেনঃ
بَابُ الْإِشَارَةِ فِي الصَّلَاةِ
2613 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ , قَالَ: أنا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ , قَالَ: أنا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ , عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ , عَنْ أَبِي غَطَفَانَ بْنِ طَرِيفٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّسْبِيحُ لِلرِّجَالِ , وَالتَّصْفِيقُ لِلنِّسَاءِ , وَمَنْ أَشَارَ فِي صَلَاتِهِ إِشَارَةً تُفْهَمُ مِنْهُ فَلْيُعِدْهَا» فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْإِشَارَةَ الَّتِي تُفْهَمُ إِذَا كَانَتْ مِنَ الرَّجُلِ فِي الصَّلَاةِ قَطَعَتْ عَلَيْهِ صَلَاتَهُ , وَحَكَمُوا لَهَا بِحُكْمِ الْكَلَامِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا تَقْطَعُ الْإِشَارَةُ الصَّلَاةَ
وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৬১৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৬১৬
সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬১৪-২৬১৬। ইউনুস (রাহঃ) ...... ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ কুবায় তাশরীফ নিয়ে আসেন। এ সাংবাদ আনসারগন শুনে তাঁরা এসে তাঁকে সালাতরত অবস্থায় সালাম করতে লাগলেন। আর তিনি সালাতে থেকে হাতের ইশারায় হাতের তালু প্রসারিত করে তাঁদের উত্তর দিতে লাগলেন।
ইউনুস (রাহঃ) ...... ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি (এই রিওয়ায়াতে) বলেছেন, আমি বিলাল (রাযিঃ) অথবা সুহায়ব (রাযিঃ) কে বললাম, রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতরত অবস্থায় তাঁদের সালামের উত্তর কিভাবে প্রদান করতে আপনি দেখেছেন? তিনি বললেন, নিজ হাতের ইশারায় (তিনি উত্তর প্রদান করতেন)।
আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ) ........ হিশাম ইবন সা'দ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, আমি বিলাল (রাযিঃ) কে বললান, কিভাবে তিনি তাঁদের উত্তর প্রদান করতেন?
ইউনুস (রাহঃ) ...... ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি (এই রিওয়ায়াতে) বলেছেন, আমি বিলাল (রাযিঃ) অথবা সুহায়ব (রাযিঃ) কে বললাম, রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতরত অবস্থায় তাঁদের সালামের উত্তর কিভাবে প্রদান করতে আপনি দেখেছেন? তিনি বললেন, নিজ হাতের ইশারায় (তিনি উত্তর প্রদান করতেন)।
আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ) ........ হিশাম ইবন সা'দ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, আমি বিলাল (রাযিঃ) কে বললান, কিভাবে তিনি তাঁদের উত্তর প্রদান করতেন?
2614 - بِمَا حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ نَافِعٍ , عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ [ص:454] رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَى قُبَاءَ , فَسَمِعَتْ بِهِ الْأَنْصَارُ , فَجَاءُوهُ يُسَلِّمُونَ عَلَيْهِ وَهُوَ يُصَلِّي , فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ بِيَدِهِ بَاسِطًا كَفَّهُ وَهُوَ يُصَلِّي»
2615 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: " فَقُلْتُ لِبِلَالٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَصُهَيْبٍ كَيْفَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرُدُّ عَلَيْهِمْ وَهُوَ يُصَلِّي؟ قَالَ: يُشِيرُ بِيَدِهِ "
2616 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا أَبُو نُوحٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ غَزْوَانَ , قَالَ: أنا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: " فَقُلْتُ لِبِلَالٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: كَيْفَ كَانَ يَرُدُّ عَلَيْهِمْ؟
2615 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: " فَقُلْتُ لِبِلَالٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَصُهَيْبٍ كَيْفَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرُدُّ عَلَيْهِمْ وَهُوَ يُصَلِّي؟ قَالَ: يُشِيرُ بِيَدِهِ "
2616 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا أَبُو نُوحٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ غَزْوَانَ , قَالَ: أنا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: " فَقُلْتُ لِبِلَالٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: كَيْفَ كَانَ يَرُدُّ عَلَيْهِمْ؟

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬১৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৬১৮
সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬১৭-২৬১৮। ইবন মারযূক (রাহঃ) ও রবী'উল মু'আযযিন (রাহঃ) ....... সুহায়ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি তখন সালাত আদায় করেছিলেন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি আমাকে ইশারায় জওয়াব দিলেন। ইবন মারযূক (রাহঃ) তাঁর বর্ননায় বলেছেন যে, লায়ছ (রাহঃ) বলেছেন, আমার ধারনা যে, তিনি ﷺ আঙ্গুলি দিয়ে করেছিলেন বলে তিনি (সুহায়ব) উল্লেখ করেছেন।
2617 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ ح
2618 - وَحَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ، قَالَ: ثنا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ نَابِلٍ، صَاحِبِ الْعَبَاءِ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ: «مَرَرْتُ بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُصَلِّي , فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ , فَرَدَّ إِلَيَّ بِإِشَارَةٍ» قَالَ ابْنُ مَرْزُوقٍ فِي حَدِيثِهِ قَالَ لَيْثٌ أَحْسَبُهُ قَالَ: «بِإِصْبَعِهِ»
2618 - وَحَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ، قَالَ: ثنا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ نَابِلٍ، صَاحِبِ الْعَبَاءِ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ: «مَرَرْتُ بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُصَلِّي , فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ , فَرَدَّ إِلَيَّ بِإِشَارَةٍ» قَالَ ابْنُ مَرْزُوقٍ فِي حَدِيثِهِ قَالَ لَيْثٌ أَحْسَبُهُ قَالَ: «بِإِصْبَعِهِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬১৯
সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬১৯। আলী ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, জনৈক ব্যক্তি নবী করীম ﷺ কে সালাম করলে, তিনি ইশারায় তাঁর উত্তর প্রদান করেন। আর তিনি বলেন আমরা সালাতরত অবস্থায় সালাম করতাম। তারপর এর থেকে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ (উল্লিখিত) এই সমস্ত হাদীস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, ইশারা সালাতকে বিনষ্ট করে না। বস্তুত এই সমস্ত হাদীস মুতাওয়াতির হিসাবে বর্নিত হয়েছে। পক্ষান্তরে এগুলোর বিরোধী হাদীসটি এরূপ নয়। অতএব এগুলো সেটি অপেক্ষা উত্তম হিসাবে বিবেচিত হবে। আর ইশারা যুক্তির দিক দিয়ে (সালাতে) কিছুতেই কথা বলার মত নয়। যেহেতু ইশারা হচ্ছে এক অঙ্গের নড়া-চড়া, অথচ আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সালাতে হাত ব্যতীত অপরাপর সমস্ত অঙ্গের নড়া-চড়া সালাতকে বিনষ্ট করে না, অনুরূপ ভাবে হাতের নড়া-চড়া (সালাতকে বিনষ্ট করবে না)।
প্রশ্নঃ যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, যখন তোমাদের নিকট সালাতে ইশারা করা কথা বলার মত নয় এবং তা সালাতকে বিনষ্ট করে না,যেমনিভাবে সালাতকে কথা বলা বিনষ্ট করে দেয়। আর তোমরা এই বিষয়ে এই সমস্ত হাদীস দ্বারা দলীল দিয়ে থাক যা তোমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে রিওয়ায়াত করেছ, তাহলে তোমরা মুসল্লীর ইশারার দ্বারা সালামের জওয়াব দেয়াকে কেন মাকরূহ বলো? অথচ তোমাদের বর্নাকৃত এই সমস্ত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তা করেছেন। যদি ইশারা করা সালাতকে বিনষ্ট করে না বিষয়ে এটি তোমাদের স্বপক্ষে দলীল সাব্যস্ত হয়, তাহলে সালাতকে ইশারা করা দূষনীয় না হওয়ার ব্যাপারে এটি তোমাদের বিপক্ষে দলীল সাব্যস্ত হবে।
উত্তরঃ তাঁকে বলা হবে যে, এই সমস্ত হাদীসের কারনে আমরা যে জিনিসটি প্রমান করেছি সেটি হচ্ছে, ইশারা করা সালাতকে বিনষ্ট করে না। আর এটি এই সমস্ত হাদীসের দ্বারা প্রমাণিত হয়ে গেছে। আর সালামের জওয়াব দেয়ার ব্যাপারে সালাতে ইশারা করার বৈধতা নিয়ে আপনি যা উল্লেখ করেছেন, তাতে কিন্তু এই বিষয়টির প্রমান বহন করে না। তা এভাবেঃ যে জিনিসটি তাতে এসেছে তা হচ্ছে, "রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁদের দিকে ইশারা করেছেন"। যদি কিনা রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে বলতেন যে, উক্ত ইশারার দ্বারা আমি সেই ব্যক্তির সালামের জওয়াব দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছি, যে ব্যক্তি আমাকে সালাম দিয়েছে। এতে প্রমানিত হলো যে, অনুরূপভাবে যখন সালাতে মুসল্লীকে সালাম দেয়া হবে; কিন্তু তিনি এই বিষয়ে কিছু বলেন নি। অতএব এতে সম্ভাবনা আছে যে, উক্ত ইশারা তিনি সালামের জওয়াব প্রদান করেছেন, যেমনিভাবে আপনারা উল্লেখ করেছেন। আবার এটিরও সম্ভাবনা আছে যে, সালাতরত অবস্থায় তাঁকে সালাম দেয়ার প্রতি তাদেরকে ইশারার দ্বারা নিষেধ করাই উদ্দেশ্য। যখন এই সমস্ত হাদীসে এসব কিছুর উল্লেখ নেই এবং হাদীসের সেই ব্যাখ্যার অবকাশ রয়েছে, যার দিকে উভয় দলের প্রত্যেকে গিয়েছেন। আর কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমা'র দলীল বিরোধীদের উপরে প্রতিষ্ঠা করা ব্যতীত এক দলের ব্যাখ্যা অপর দলের ব্যাখ্যা অপেক্ষা প্রাধান্য পেতে পারে না।
প্রশ্নঃ কেউ যদি বলেন যে, এর (সালাতে ইশারায় সালামের জওয়াব দেয়া) মাকরূহ হওয়ার ব্যাপারে তোমাদের দলীল কি?
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ (উল্লিখিত) এই সমস্ত হাদীস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, ইশারা সালাতকে বিনষ্ট করে না। বস্তুত এই সমস্ত হাদীস মুতাওয়াতির হিসাবে বর্নিত হয়েছে। পক্ষান্তরে এগুলোর বিরোধী হাদীসটি এরূপ নয়। অতএব এগুলো সেটি অপেক্ষা উত্তম হিসাবে বিবেচিত হবে। আর ইশারা যুক্তির দিক দিয়ে (সালাতে) কিছুতেই কথা বলার মত নয়। যেহেতু ইশারা হচ্ছে এক অঙ্গের নড়া-চড়া, অথচ আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সালাতে হাত ব্যতীত অপরাপর সমস্ত অঙ্গের নড়া-চড়া সালাতকে বিনষ্ট করে না, অনুরূপ ভাবে হাতের নড়া-চড়া (সালাতকে বিনষ্ট করবে না)।
প্রশ্নঃ যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, যখন তোমাদের নিকট সালাতে ইশারা করা কথা বলার মত নয় এবং তা সালাতকে বিনষ্ট করে না,যেমনিভাবে সালাতকে কথা বলা বিনষ্ট করে দেয়। আর তোমরা এই বিষয়ে এই সমস্ত হাদীস দ্বারা দলীল দিয়ে থাক যা তোমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে রিওয়ায়াত করেছ, তাহলে তোমরা মুসল্লীর ইশারার দ্বারা সালামের জওয়াব দেয়াকে কেন মাকরূহ বলো? অথচ তোমাদের বর্নাকৃত এই সমস্ত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তা করেছেন। যদি ইশারা করা সালাতকে বিনষ্ট করে না বিষয়ে এটি তোমাদের স্বপক্ষে দলীল সাব্যস্ত হয়, তাহলে সালাতকে ইশারা করা দূষনীয় না হওয়ার ব্যাপারে এটি তোমাদের বিপক্ষে দলীল সাব্যস্ত হবে।
উত্তরঃ তাঁকে বলা হবে যে, এই সমস্ত হাদীসের কারনে আমরা যে জিনিসটি প্রমান করেছি সেটি হচ্ছে, ইশারা করা সালাতকে বিনষ্ট করে না। আর এটি এই সমস্ত হাদীসের দ্বারা প্রমাণিত হয়ে গেছে। আর সালামের জওয়াব দেয়ার ব্যাপারে সালাতে ইশারা করার বৈধতা নিয়ে আপনি যা উল্লেখ করেছেন, তাতে কিন্তু এই বিষয়টির প্রমান বহন করে না। তা এভাবেঃ যে জিনিসটি তাতে এসেছে তা হচ্ছে, "রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁদের দিকে ইশারা করেছেন"। যদি কিনা রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে বলতেন যে, উক্ত ইশারার দ্বারা আমি সেই ব্যক্তির সালামের জওয়াব দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছি, যে ব্যক্তি আমাকে সালাম দিয়েছে। এতে প্রমানিত হলো যে, অনুরূপভাবে যখন সালাতে মুসল্লীকে সালাম দেয়া হবে; কিন্তু তিনি এই বিষয়ে কিছু বলেন নি। অতএব এতে সম্ভাবনা আছে যে, উক্ত ইশারা তিনি সালামের জওয়াব প্রদান করেছেন, যেমনিভাবে আপনারা উল্লেখ করেছেন। আবার এটিরও সম্ভাবনা আছে যে, সালাতরত অবস্থায় তাঁকে সালাম দেয়ার প্রতি তাদেরকে ইশারার দ্বারা নিষেধ করাই উদ্দেশ্য। যখন এই সমস্ত হাদীসে এসব কিছুর উল্লেখ নেই এবং হাদীসের সেই ব্যাখ্যার অবকাশ রয়েছে, যার দিকে উভয় দলের প্রত্যেকে গিয়েছেন। আর কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমা'র দলীল বিরোধীদের উপরে প্রতিষ্ঠা করা ব্যতীত এক দলের ব্যাখ্যা অপর দলের ব্যাখ্যা অপেক্ষা প্রাধান্য পেতে পারে না।
প্রশ্নঃ কেউ যদি বলেন যে, এর (সালাতে ইশারায় সালামের জওয়াব দেয়া) মাকরূহ হওয়ার ব্যাপারে তোমাদের দলীল কি?
2619 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ عَجْلَانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ: أَنَّ رَجُلًا، سَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَدَّ عَلَيْهِ بِإِشَارَةٍ وَقَالَ: «كُنَّا نَرُدُّ السَّلَامَ فِي الصَّلَاةِ , فَنُهِينَا عَنْ ذَلِكَ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ مَا قَدْ دَلَّ أَنَّ الْإِشَارَةَ لَا تَقْطَعُ الصَّلَاةَ , وَقَدْ جَاءَتْ مَجِيئًا مُتَوَاتِرًا , غَيْرَ مَجِيءِ الْحَدِيثِ الَّذِي خَالَفَهَا , فَهِيَ أَوْلَى مِنْهُ. وَلَيْسَتِ الْإِشَارَةُ فِي النَّظَرِ مِنَ الْكَلَامِ فِي شَيْءٍ لِأَنَّ الْإِشَارَةَ , إِنَّمَا هِيَ حَرَكَةُ عُضْوٍ , وَقَدْ رَأَيْنَا حَرَكَةَ سَائِرِ الْأَعْضَاءِ غَيْرَ الْيَدِ فِي الصَّلَاةِ , لَا تَقْطَعُ الصَّلَاةَ , فَكَذَلِكَ حَرَكَةُ الْيَدِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِذَا كَانَتِ الْإِشَارَةُ فِي الصَّلَاةِ عِنْدَكُمْ , قَدْ ثَبَتَ أَنَّهَا بِخِلَافِ الْكَلَامِ وَأَنَّهَا لَا تَقْطَعُ الصَّلَاةَ كَمَا يَقْطَعُهَا الْكَلَامُ , وَاحْتَجَجْتُمْ فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ الَّتِي رَوَيْتُمُوهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَلِمَ كَرِهْتُمْ رَدَّ السَّلَامِ مِنَ الْمُصَلِّي بِالْإِشَارَةِ , وَقَدْ فَعَلَ ذَلِكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا رَوَيْتُمُوهُ فِي هَذِهِ الْآثَارِ؟ وَلَئِنْ كَانَ ذَلِكَ حُجَّةً لَكُمْ فِي أَنَّ الْإِشَارَةَ لَا تَقْطَعُ الصَّلَاةَ , فَإِنَّهُ حُجَّةٌ عَلَيْكُمْ فِي أَنَّ الْإِشَارَةَ لَا بَأْسَ بِهَا فِي الصَّلَاةِ. قِيلَ لَهُ: أَمَّا مَا احْتَجَجْنَا بِهَذِهِ الْآثَارِ مِنْ أَجْلِهِ , وَهُوَ أَنَّ الْإِشَارَةَ لَا تَقْطَعُ الصَّلَاةَ , فَقَدْ ثَبَتَ ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ عَلَى مَا احْتَجَجْنَا بِهِ مِنْهَا. وَأَمَّا مَا ذَكَرْتُ مِنْ إِبَاحَةِ الْإِشَارَةِ فِي الصَّلَاةِ فِي رَدِّ السَّلَامِ؟ فَلَيْسَ فِيهَا دَلِيلٌ عَلَى ذَلِكَ. وَذَلِكَ أَنَّ الَّذِي فِيهَا هُوَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشَارَ إِلَيْهِمْ. فَلَوْ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ تِلْكَ الْإِشَارَةَ أَرَدْتُ بِهَا رَدَّ السَّلَامِ عَلَى مَنْ سَلَّمَ عَلَيَّ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ كَذَلِكَ حُكْمَ الْمُصَلِّي إِذَا سُلِّمَ عَلَيْهِ فِي الصَّلَاةِ. وَلَكِنَّهُ لَمْ يَقُلْ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا , فَاحْتَمَلَ أَنْ تَكُونَ تِلْكَ الْإِشَارَةُ كَانَتْ رَدًّا مِنْهُ لِلسَّلَامِ كَمَا ذَكَرْتُمْ. وَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ كَانَتْ مِنْهُ لَهْيًا لَهُمْ عَنِ السَّلَامِ عَلَيْهِ , وَهُوَ يُصَلِّي , فَلَمَّا لَمْ يَكُنْ فِي هَذِهِ الْآثَارِ مِنْ هَذَا شَيْءٌ , وَاحْتَمَلَتْ مِنَ التَّأْوِيلِ مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ كُلُّ وَاحِدٍ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ , لَمْ يَكُنْ مَا تَأَوَّلَ أَحَدُ الْفَرِيقَيْنِ أَوْلَى مِنْهَا , مِمَّا تَأَوَّلَ الْآخَرُ إِلَّا بِحُجَّةٍ يُقِيمُهَا عَلَى مُخَالِفِهِ , إِمَّا مِنْ كِتَابٍ , وَإِمَّا مِنْ سُنَّةٍ , وَإِمَّا مِنْ إِجْمَاعٍ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَمَا دَلِيلُكُمْ عَلَى كَرَاهَةِ ذَلِكَ؟

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬২০
সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬২০। উত্তরঃ তাঁকে বলা হবেঃ আবু বাকরা (রাহঃ) ..... আবু ওয়াইল (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেছেনঃ আমরা সালাতে কথা বার্তা বলতাম এবং প্রয়োজনীয় (কাজের) নির্দেশ দিতাম। আমরা বলতামঃ " আসসালামু আলাল্লাহি ওয়া আ'লা জিবরাঈল ওয়া মিকাঈল ওয়া কুল্লি আব্দিন সালিহিন ইয়া'লামু ইসমাহু ফিসসামায়ি ওয়াল আরদি" অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা, জিবরাঈল (আ), মিকাঈল (আ) ও এমন প্রত্যেক নেক বান্দাদের প্রতি শান্তি, তিনি যার নাম সম্পর্কে অবহিত আছেন আকাশ ও যমিনে। তারপর আমি হাবশা থেকে নবী করীম ﷺ -এর নিকট আগমন করলাম। তিনি তখন সালাত আদায় করেছিলেন। আমি তাঁকে সালাম করলাম, তিনি আমার সালামের জওয়াব দিলেন না। এতে আমাকে ভাবনায় ফেলে দিল যে, (সালাতে) কি ব্যাপার ঘটেছে এবং নতুন কি কোন বিধান আরোপিত হয়েছে। তিনি সালাত শেষ করলে আমি তাঁকে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার ব্যাপারে কিছু নাযিল হয়েছে? তিনি বললেন, না তো; কিন্তু আল্লাহ তা'আলা যখন ইচ্ছা করেন নতুন বিধান নাযিল করেন।
2620 - قِيلَ لَهُ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , قَالَ: ثنا عَاصِمٌ , عَنْ أَبِي وَائِلٍ , قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللهِ: كُنَّا نَتَكَلَّمُ فِي الصَّلَاةِ وَنَأْمُرُ بِالْحَاجَةِ وَنَقُولُ السَّلَامُ عَلَى جَبْرَائِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَمِيكَائِيلَ وَكُلِّ عَبْدٍ صَالِحٍ يُعْلَمُ اسْمُهُ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ. فَقَدِمَتْ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْحَبَشَةِ وَهُوَ يُصَلِّي , فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ , فَأَخَذَنِي مَا قَدُمَ وَمَا حَدَثَ. فَلَمَّا قَضَى صَلَاتَهُ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، أَنَزَلَ فِيَّ شَيْءٌ؟ قَالَ: «لَا , وَلَكِنَّ اللهَ يُحْدِثُ مِنْ أَمْرِهِ مَا يَشَاءُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬২১
সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬২১। আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) ....... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার কোন এক প্রয়োজনে বাহিরে গেলাম এবং তখন আমরা একে অপরকে সালাতে সালাম করতাম। তারপর ফিরে এসে (তাঁকে) সালাম করলাম। তিনি আমার জওয়াব দিলেন না এবং বললেনঃ সালাতে অবশ্যই ব্যস্ততা রয়েছে।
2621 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ بْنُ مُوسَى، قَالَ: أنا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: خَرَجْتُ فِي حَاجَةٍ , وَنَحْنُ يُسَلِّمُ بَعْضُنَا عَلَى بَعْضٍ فِي الصَّلَاةِ , ثُمَّ رَجَعْتُ فَسَلَّمْتُ , فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ وَقَالَ: «إِنَّ فِي الصَّلَاةِ شُغْلًا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬২২
সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬২২। আবু বাকরা (রাহঃ) ..... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) বলেছেন, আমি হাবশা থেকে আগমন করলাম, তাঁদেরকে তখন আমি যেভাবে জানতাম তাঁরা সালাতে সালাম করত এবং এতে তাঁরা নিজেদের প্রয়োজন পুরা করত। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর নিকট আসলাম এবং তাঁকে সালাতরত অবস্থায় সালাম করলাম। তিনি আমার জওয়াব দিলেন না। সালাত শেষে তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা নবীর জন্য যখন ইচ্ছা করেন নতুন বিধান সৃষ্টি করেন। আর তোমাদের জন্য নতুন বিধান সৃষ্টি করছেন যে, তোমার সালাতে কথা বলবে না, সুতরাং তুমি! হে মুসলিম, তোমার উপর সালাম ও আল্লাহর রহমত।
2622 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: قَدِمْتُ مِنَ الْحَبَشَةِ وَعَهْدِي بِهِمْ وَهُمْ يُسَلِّمُونَ فِي الصَّلَاةِ , وَيَقْضُونَ الْحَاجَةَ , فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ وَهُوَ يُصَلِّي , فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ. فَلَمَّا قَضَى صَلَاتَهُ قَالَ: «إِنَّ اللهَ يُحْدِثُ لِلنَّبِيِّ مِنْ أَمْرِهِ مَا يَشَاءُ , وَقَدْ أَحْدَثَ لَكُمْ أَنْ لَا تَتَكَلَّمُوا فِي الصَّلَاةِ , وَأَمَّا أَنْتَ أَيُّهَا الْمُسْلِمُ , فَالسَّلَامُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللهِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬২৩
সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬২৩। ফাহদ (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি সালাতে নবী করীম ﷺ কে সালাম করতাম এবং তিনি আমার সালামের জওয়াব দিতেন। একবার আমি তাঁকে সালাম করলে তিনি আমার সালামের জওয়াব দিলেন না। এতে আমি আন্তরিকভাবে চিন্তিত হয়ে পড়লাম। তারপর আমি তাঁর নিকট তা উল্লেখ করলে তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা'আলা যখন ইচ্ছা করেন নতুন বিধান সৃষ্টি করেন।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আবু দাউদ (রাহঃ) থেকে আবু বাকরা (রাহঃ) কতৃক বর্নিত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ সেই ব্যক্তির (সালামের জওয়াব) সালাত থেকে অবসর হওয়ার পরে দিয়েছেন যে তাঁকে সালাতরত অবস্থায় সালাম করেছিল।
বস্তুত এটি প্রমাণ বহন করে যে, তিনি সালাতে তাঁর সালামের জওয়াব দেননি। যেহেতু তিনি যদি সালাতে জওয়াব দিতেন তাহলে তাঁকে সালাত থেকে অবসর হওয়ার পর জওয়াব দিতে হতো না। যেমনটি সেই ব্যক্তি বলে, যে কিনা সালাতে ইশারার দ্বারা (সালামের) জওয়াব প্রদানের অভিমত ব্যক্ত করে। আর মুসল্লী যখন সেই ব্যক্তির সাথে এমনটি করবে যে ব্যক্তি তাকে সালাতে সালাম প্রদান করে, তাহলে তার উপরে সালাত থেকে অবসর হওয়ার পর জওয়াব দেয়া ওয়াজিব হবে না।
অনুরূপভাবে মু'আম্মিল (রাহঃ) থেকে বর্নিত আবু বাকরা (রাহঃ) এর হাদীসেও ব্যক্ত হয়েছে যে, তখন তিনি আমার (সালামের) জওয়াব দেন নি। এতে আমাকে ভাবনায় ফেলে দিল যে, কি ব্যাপার ঘটেছে এবং নতুনভাবে কি সৃষ্টি (নাজিল) হয়েছে?
বস্তুত এটি প্রমাণ বহন করে যে, তাঁর থেকে কোন রূপ জওয়াব ছিল না, না ইশারার দ্বারা না অন্য কিছুর দ্বারা। যেহেতু তিনি ইশারার দ্বারা তাঁর জওয়াব দিতেন তাহলে রাবী তিনি "আমার (সালামের) জওয়াব দেননি" বলতেন না। বরং বলতেন, তিনি ইশারার দ্বারা আমার জওয়াব প্রদান করেছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যখন তাঁর অন্তরে সেই জিনিসটি লাগল যা তিনি "কি ব্যাপার ঘটেছে এবং নতুন কি (বিধান) নাজিল হয়েছে" বাক্যের দ্বারা ব্যক্ত করেছেন। আর আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) -এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ " নিশ্চয় সালাতে (বিশেষ এক) ব্যস্ততা বিদ্যমান রয়েছে"। বস্তুত এটি প্রমাণ বহন করে যে, মুসল্লী উক্ত ব্যস্ততার কারনে কোন মুসলিমকে সালামের জওয়াব প্রদান করায় অপারগ এবং অন্যকেও সালাম থেকে নিষেধ করা হলো।
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর (ইন্তেকালের) পর আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর নিন্মোক্ত উক্তি বর্ননা করা হয়ঃ
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আবু দাউদ (রাহঃ) থেকে আবু বাকরা (রাহঃ) কতৃক বর্নিত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ সেই ব্যক্তির (সালামের জওয়াব) সালাত থেকে অবসর হওয়ার পরে দিয়েছেন যে তাঁকে সালাতরত অবস্থায় সালাম করেছিল।
বস্তুত এটি প্রমাণ বহন করে যে, তিনি সালাতে তাঁর সালামের জওয়াব দেননি। যেহেতু তিনি যদি সালাতে জওয়াব দিতেন তাহলে তাঁকে সালাত থেকে অবসর হওয়ার পর জওয়াব দিতে হতো না। যেমনটি সেই ব্যক্তি বলে, যে কিনা সালাতে ইশারার দ্বারা (সালামের) জওয়াব প্রদানের অভিমত ব্যক্ত করে। আর মুসল্লী যখন সেই ব্যক্তির সাথে এমনটি করবে যে ব্যক্তি তাকে সালাতে সালাম প্রদান করে, তাহলে তার উপরে সালাত থেকে অবসর হওয়ার পর জওয়াব দেয়া ওয়াজিব হবে না।
অনুরূপভাবে মু'আম্মিল (রাহঃ) থেকে বর্নিত আবু বাকরা (রাহঃ) এর হাদীসেও ব্যক্ত হয়েছে যে, তখন তিনি আমার (সালামের) জওয়াব দেন নি। এতে আমাকে ভাবনায় ফেলে দিল যে, কি ব্যাপার ঘটেছে এবং নতুনভাবে কি সৃষ্টি (নাজিল) হয়েছে?
বস্তুত এটি প্রমাণ বহন করে যে, তাঁর থেকে কোন রূপ জওয়াব ছিল না, না ইশারার দ্বারা না অন্য কিছুর দ্বারা। যেহেতু তিনি ইশারার দ্বারা তাঁর জওয়াব দিতেন তাহলে রাবী তিনি "আমার (সালামের) জওয়াব দেননি" বলতেন না। বরং বলতেন, তিনি ইশারার দ্বারা আমার জওয়াব প্রদান করেছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যখন তাঁর অন্তরে সেই জিনিসটি লাগল যা তিনি "কি ব্যাপার ঘটেছে এবং নতুন কি (বিধান) নাজিল হয়েছে" বাক্যের দ্বারা ব্যক্ত করেছেন। আর আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) -এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ " নিশ্চয় সালাতে (বিশেষ এক) ব্যস্ততা বিদ্যমান রয়েছে"। বস্তুত এটি প্রমাণ বহন করে যে, মুসল্লী উক্ত ব্যস্ততার কারনে কোন মুসলিমকে সালামের জওয়াব প্রদান করায় অপারগ এবং অন্যকেও সালাম থেকে নিষেধ করা হলো।
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর (ইন্তেকালের) পর আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর নিন্মোক্ত উক্তি বর্ননা করা হয়ঃ
2623 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ أَبِي الْجَهْمِ، عَنْ أَبِي الرَّضْرَاضِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: كُنْتُ أُسَلِّمُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الصَّلَاةِ فَيَرُدُّ عَلَيَّ. فَلَمَّا كَانَ ذَاتَ يَوْمٍ سَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ , فَوَجَدْتُ فِي نَفْسِي , فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ: «إِنَّ اللهَ يُحْدِثُ مِنْ أَمْرِهِ مَا يَشَاءُ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي حَدِيثِ أَبِي بَكْرَةَ , عَنْ أَبِي دَاوُدَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَدَّ عَلَى الَّذِي سَلَّمَ عَلَيْهِ فِي الصَّلَاةِ بَعْدَ فَرَاغِهِ مِنْهَا , فَذَلِكَ دَلِيلُ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ مِنْهُ فِي الصَّلَاةِ رَدُّ السَّلَامِ عَلَيْهِ , لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ ذَلِكَ مِنْهُ لَأَغْنَاهُ عَنِ الرَّدِّ عَلَيْهِ بَعْدَ الْفَرَاغِ مِنَ الصَّلَاةِ كَمَا يَقُولُ الَّذِي يَرَى الرَّدَّ فِي الصَّلَاةِ بِالْإِشَارَةِ , وَأَنَّ الْمُصَلِّيَ إِذَا فَعَلَ ذَلِكَ بِمَنْ يُسَلِّمُ عَلَيْهِ فِي صَلَاتِهِ فَلَا يَجِبُ عَلَيْهِ الرَّدُّ بَعْدَ فَرَاغِهِ مِنْ صَلَاتِهِ. وَفِي حَدِيثِ أَبِي بَكْرَةَ أَيْضًا عَنْ مُؤَمَّلٍ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ فَأَخَذَنِي مَا قَدُمَ وَمَا حَدَثَ. فَفِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ رَدَّ أَصْلًا بِالْإِشَارَةِ وَلَا غَيْرِهَا , لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ رَدَّ عَلَيْهِ بِإِشَارَتِهِ , لَمْ يَقُلْ لَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ وَلَقَالَ: رَدَّ عَلَيَّ إِشَارَةً وَلَمَّا أَصَابَهُ مِنْ ذَلِكَ مَا أَخْبَرَ أَنَّهُ أَصَابَهُ مِمَّا قَدُمَ وَمِمَّا حَدَثَ. وَفِي حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ شَيْبَةَ , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ فِي الصَّلَاةِ شُغْلًا» فَذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ الْمُصَلِّيَ مَعْذُورٌ بِذَلكَ الشُّغْلِ عَنْ رَدِّ السَّلَامِ عَلَى الْمُسَلِّمِ عَلَيْهِ , وَنَهْيٌ لِغَيْرِهِ عَنِ السَّلَامِ عَلَيْهِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللهِ مِنْ قَوْلِهِ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬২৪
সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬২৪। ফাহাদ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি সালাতরত অবস্থায় লোকদেরকে সালাম প্রদান মাকরূহ মনে করতেন। নবী করীম ﷺ থেকে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) সূত্রে (উপরে) যা বর্নিত হয়েছে,
অনুরূপ বর্নিত হয়েছে, নবী করীম ﷺ থেকে জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) সূত্রে।
অনুরূপ বর্নিত হয়েছে, নবী করীম ﷺ থেকে জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) সূত্রে।
2624 - مَا قَدْ حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ , قَالَ: أنا شَرِيكٌ عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ «أَنَّهُ كَرِهَ أَنْ يُسَلَّمَ عَلَى الْقَوْمِ وَهُمْ فِي الصَّلَاةِ» وَقَدْ رُوِيَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ , نَظِيرُ مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬২৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৬২৬
সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬২৫-২৬২৬। আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ) ...... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ একবার আমরা নবী করীম ﷺ -এর সাথে এক সফরে ছিলাম। তিনি আমাকে এক প্রয়োজনে পাঠালেন, আমি সেখান গেলাম। তারপর আমি তাঁর নিকট ফিরে এলাম, তখন তিনি সওয়ারীর উপর অবস্থান করছিলেন। আমি তাঁকে সালাম করলাম, তিনি আমার (সালামের) জওয়াব দিলেন না; বরং আমি তাঁকে দেখছি রুকূ সিজদা করছিলেন। যখন তিনি সালাম ফিরালেন (সালাত শেষে) তখন আমার সালামের জওয়াব দিলেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ..... হিশাম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি 'আমার (সালামের) জওয়াব দেননি' কথাটি বলেননি। এবং তিনি বলেছেন, সালাত শেষে তিনি ﷺ বললেনঃ আমি সালাতরত থাকার কারণ তোমার (সালামের) জওয়াব দিতে পারিনি।
বস্তুত এই জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) ও বর্ননা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তার (সালামের) জওয়াব দেননি। তিনি সালাত শেষে তার জওয়াব দিয়েছিলেন। এখানে সেইরূপ আলোচনা প্রযোজ্য হবে, যা ইতিপূর্বে আমরা ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছি। আর জাবির (রাযিঃ) কর্তৃক বর্নিত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ আমি সালাতরত থাকার কারনে তোমার (সালামের) জওয়ার দিতে পারি নি। এতে রাসূলুল্লাহ ﷺ খবর দিচ্ছেন যে, তিনি তাঁকে কোন কিছু জওয়াব দেননি, বরং নিষেধ করছিলেন। তিনি যে তাঁকে ইশারা কিংবা অন্য কিছুর মাধ্যমে জওয়াব দিয়েছেন এ বর্ননায় তা রদ হয়ে যায়।
আবু বাকরা (রাহঃ) ..... হিশাম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি 'আমার (সালামের) জওয়াব দেননি' কথাটি বলেননি। এবং তিনি বলেছেন, সালাত শেষে তিনি ﷺ বললেনঃ আমি সালাতরত থাকার কারণ তোমার (সালামের) জওয়াব দিতে পারিনি।
বস্তুত এই জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) ও বর্ননা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তার (সালামের) জওয়াব দেননি। তিনি সালাত শেষে তার জওয়াব দিয়েছিলেন। এখানে সেইরূপ আলোচনা প্রযোজ্য হবে, যা ইতিপূর্বে আমরা ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছি। আর জাবির (রাযিঃ) কর্তৃক বর্নিত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ আমি সালাতরত থাকার কারনে তোমার (সালামের) জওয়ার দিতে পারি নি। এতে রাসূলুল্লাহ ﷺ খবর দিচ্ছেন যে, তিনি তাঁকে কোন কিছু জওয়াব দেননি, বরং নিষেধ করছিলেন। তিনি যে তাঁকে ইশারা কিংবা অন্য কিছুর মাধ্যমে জওয়াব দিয়েছেন এ বর্ননায় তা রদ হয়ে যায়।
2625 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: ثنا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ , فَبَعَثَنِي فِي حَاجَةٍ , فَانْطَلَقْتُ إِلَيْهَا , ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَيْهِ وَهُوَ عَلَى رَاحِلَتِهِ , فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ , فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ , وَرَأَيْتُهُ يَرْكَعُ وَيَسْجُدُ , فَلَمَّا سَلَّمَ , رَدَّ عَلَيَّ»
2626 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا هِشَامٌ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ: فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ وَقَالَ: فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ صَلَاتِهِ قَالَ: «أَمَا إِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ إِلَّا أَنِّي كُنْتُ أُصَلِّي» فَهَذَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَيْضًا , قَدْ أَخْبَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ , وَأَنَّهُ لَمَّا فَرَغَ مِنْ صَلَاتِهِ رَدَّ عَلَيْهِ. فَالْكَلَامُ فِي هَذَا مِثْلُ الْكَلَامِ فِيمَا رَوَيْنَاهُ قَبْلَهُ , عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. وَفِي حَدِيثِ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَمَا إِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ إِلَّا أَنِّي كُنْتُ أُصَلِّي» فَأَخْبَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ رَدَّ عَلَيْهِ شَيْئًا , فَذَلِكَ يَنْفِي أَنْ يَكُونَ رَدَّ عَلَيْهِ بِإِشَارَةٍ أَوْ غَيْرِهَا
2626 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا هِشَامٌ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ: فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ وَقَالَ: فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ صَلَاتِهِ قَالَ: «أَمَا إِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ إِلَّا أَنِّي كُنْتُ أُصَلِّي» فَهَذَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَيْضًا , قَدْ أَخْبَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ , وَأَنَّهُ لَمَّا فَرَغَ مِنْ صَلَاتِهِ رَدَّ عَلَيْهِ. فَالْكَلَامُ فِي هَذَا مِثْلُ الْكَلَامِ فِيمَا رَوَيْنَاهُ قَبْلَهُ , عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. وَفِي حَدِيثِ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَمَا إِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ إِلَّا أَنِّي كُنْتُ أُصَلِّي» فَأَخْبَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ رَدَّ عَلَيْهِ شَيْئًا , فَذَلِكَ يَنْفِي أَنْ يَكُونَ رَدَّ عَلَيْهِ بِإِشَارَةٍ أَوْ غَيْرِهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬২৭
সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬২৭। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ...... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর কোন এক প্রয়োজনে তাঁকে (কোথাও) পাঠিয়েছিলেন। তারপর তিনি (ফিরে) এলেন, তখন তিনি সওয়ারীর উপর সালাত আদায় করছিলেন। তিনি তাঁকে সালাম করলে তিনি চুপ থাকলেন এবং হাত দ্বারা ইশারা করলেন। তারপর আবার তিনি তাঁকে সালাম করলেন। (এমনিভাবে) তিনি তিনবার চুপ থাকলেন। সালাত শেষে তিনি বললেনঃ আমি সালাতরত থাকার কারনে তোমার (সালামের) জওয়াব দিতে পারিনি।
বস্তুত এই জাবির (রাযিঃ) এই হাদীসে বর্ননা করেছেন যে, তিনি যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ কে সালাম করেছেন তখন তিনি তাঁকে হাতে ইশারা করেছেন। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত শেষে তাঁকে বললেনঃ আমি সালাতরত থাকার কারণে তোমার (সালামের) জওয়াব দিতে পারিনি। এতে রাসূলুল্লাহ ﷺ খবর দিচ্ছেন যে, তিনি সালাতে তাঁর জওয়াব দেননি। এতে বুঝা যাচ্ছে, সালাতে তাঁর উক্ত ইশারা জওয়াব হিসাবে ছিলনা; বরং তা ছিল নিষেধাজ্ঞা স্বরূপ। এই জাবির (রাযিঃ) নবী করীম ﷺ থেকে এটি রিওয়ায়াত করেছেন, যেমনি ভাবে আমরা উল্লেখ করেছি। তাঁর থেকে বর্ণনা আছেঃ
বস্তুত এই জাবির (রাযিঃ) এই হাদীসে বর্ননা করেছেন যে, তিনি যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ কে সালাম করেছেন তখন তিনি তাঁকে হাতে ইশারা করেছেন। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত শেষে তাঁকে বললেনঃ আমি সালাতরত থাকার কারণে তোমার (সালামের) জওয়াব দিতে পারিনি। এতে রাসূলুল্লাহ ﷺ খবর দিচ্ছেন যে, তিনি সালাতে তাঁর জওয়াব দেননি। এতে বুঝা যাচ্ছে, সালাতে তাঁর উক্ত ইশারা জওয়াব হিসাবে ছিলনা; বরং তা ছিল নিষেধাজ্ঞা স্বরূপ। এই জাবির (রাযিঃ) নবী করীম ﷺ থেকে এটি রিওয়ায়াত করেছেন, যেমনি ভাবে আমরা উল্লেখ করেছি। তাঁর থেকে বর্ণনা আছেঃ
2627 - وَقَدْ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ , قَالَ: ثنا أَبُو الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَهُ لِبَعْضِ حَاجَتِهِ , فَجَاءَ وَهُوَ يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ , فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَسَكَتَ , ثُمَّ أَوْمَى بِيَدِهِ , ثُمَّ سَلَّمَ عَلَيْهِ , فَسَكَتَ ثَلَاثًا , فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ: «أَمَّا إِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ إِلَّا أَنِّي كُنْتُ أُصَلِّي» فَهَذَا جَابِرٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ أَخْبَرَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْمَى إِلَيْهِ بِيَدِهِ حِينَ سَلَّمَ , ثُمَّ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَمَا فَرَغَ مِنَ الصَّلَاةِ: «أَمَّا إِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ إِلَّا أَنِّي كُنْتُ أُصَلِّي» فَأَخْبَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ رَدَّ عَلَيْهِ فِي الصَّلَاةِ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ تِلْكَ الْإِشَارَةَ الَّتِي كَانَتْ مِنْهُ فِي الصَّلَاةِ , لَمْ تَكُنْ رَدًّا , وَإِنَّمَا كَانَتْ نَهْيًا , وَهَذَا جَائِزٌ. فَقَدْ رُوِيَ هَذَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا قَدْ ذَكَرْنَا
وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ
وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬২৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৬২৯
সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬২৮-২৬২৯। ফাহাদ (রাহঃ) ..... আবু সুফইয়ান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি জাবির (রাযিঃ) -কে বলতে শুনেছি, আমি সালাতরত অবস্থায় কাউকে সালাম করতে পছন্দ করি না। তবে সে যদি আমাকে সালাম করে আমি তার জওয়াব দিব।
মুহাম্মাদ ইবন খুযায়ম (রাহঃ) ..... আ'মাশ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আর এই জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) মুসল্লীকে সালাম দেয়া অপছন্দ করেছেন (মাকরূহ করেছেন)। অথচ তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে সালাতরত অবস্থায় সালাম করেছিলেন তিনি ﷺ তাঁকে ইশারা করেছেন। বস্তুত যদি নবী করীম ﷺ -এর ইশারা তাঁকে জওয়াবের উদ্দেশ্যে হতো তাহলে তিনি এটিকে মাকরূহ বলতেন না। যেহেতু রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁকে এর থেকে নিষেধ করেননি। কিন্তু তিনি এটিকে মাকরূহ বলেছেন এই জন্য, কারন রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর ইশারা তাঁর নিকট তাঁকে সালাতরত অবস্থায় সালামের নিষেধাজ্ঞা স্বরূপ ছিল।
প্রশ্নঃ কেউ যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, জাবির (রাযিঃ) তোমাদের এই হাদীসে বলেছেনঃ "কেউ যদি আমাকে সালাম দেয় তাহলে আমি অবশ্যই জওয়াব দিব" (তাহলে তোমরা মাকরূহ কিভাবে বলো?)।
উত্তরঃ তাকে বলা হবে যে, জাবির (রাযিঃ) কি বলেছেন, "আমি সালাতে অবশ্যই জওয়াব দিব"। হতে পারে "অবশ্যই আমি জওয়াব দিব" তাঁর এই উক্তির উদ্দেশ্য ছিল এ কথা বুঝানো, সালাত থেকে আমার অবসর হওয়ার পর (জওয়াব দিব) তাঁর মতের স্বপক্ষে নিন্মোক্ত হাদীস প্রমাণ বহন করেনঃ
মুহাম্মাদ ইবন খুযায়ম (রাহঃ) ..... আ'মাশ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আর এই জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) মুসল্লীকে সালাম দেয়া অপছন্দ করেছেন (মাকরূহ করেছেন)। অথচ তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে সালাতরত অবস্থায় সালাম করেছিলেন তিনি ﷺ তাঁকে ইশারা করেছেন। বস্তুত যদি নবী করীম ﷺ -এর ইশারা তাঁকে জওয়াবের উদ্দেশ্যে হতো তাহলে তিনি এটিকে মাকরূহ বলতেন না। যেহেতু রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁকে এর থেকে নিষেধ করেননি। কিন্তু তিনি এটিকে মাকরূহ বলেছেন এই জন্য, কারন রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর ইশারা তাঁর নিকট তাঁকে সালাতরত অবস্থায় সালামের নিষেধাজ্ঞা স্বরূপ ছিল।
প্রশ্নঃ কেউ যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, জাবির (রাযিঃ) তোমাদের এই হাদীসে বলেছেনঃ "কেউ যদি আমাকে সালাম দেয় তাহলে আমি অবশ্যই জওয়াব দিব" (তাহলে তোমরা মাকরূহ কিভাবে বলো?)।
উত্তরঃ তাকে বলা হবে যে, জাবির (রাযিঃ) কি বলেছেন, "আমি সালাতে অবশ্যই জওয়াব দিব"। হতে পারে "অবশ্যই আমি জওয়াব দিব" তাঁর এই উক্তির উদ্দেশ্য ছিল এ কথা বুঝানো, সালাত থেকে আমার অবসর হওয়ার পর (জওয়াব দিব) তাঁর মতের স্বপক্ষে নিন্মোক্ত হাদীস প্রমাণ বহন করেনঃ
2628 - مَا قَدْ حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ , قَالَ: ثنا أَبِي قَالَ: ثنا الْأَعْمَشُ , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سُفْيَانَ , قَالَ: سَمِعْتُ جَابِرًا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُولُ: «مَا أُحِبُّ أَنْ أُسَلِّمَ عَلَى الرَّجُلِ وَهُوَ يُصَلِّي , وَلَوْ سَلَّمَ عَلَيَّ لَرَدَدْتُ عَلَيْهِ»
2629 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ إِشْكَابَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَهَذَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَدْ كَرِهَ أَنْ يُسَلِّمَ، عَلَى الْمُصَلِّي , وَقَدْ كَانَ سَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُصَلِّي , فَأَشَارَ إِلَيْهِ. فَلَوْ كَانَتِ الْإِشَارَةُ الَّتِي كَانَتْ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَدًّا لِلسَّلَامِ عَلَيْهِ إِذْ لَمَا كَرِهَ ذَلِكَ , لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَنْهَهُ عَنْهُ , وَلَكِنَّهُ إِنَّمَا كَرِهَ ذَلِكَ لِأَنَّ إِشَارَةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِلْكَ , كَانَتْ عِنْدَهُ نَهْيًا مِنْهُ لَهُ عَنِ السَّلَامِ عَلَيْهِ وَهُوَ يُصَلِّي. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ قَالَ جَابِرٌ فِي حَدِيثِكُمْ هَذَا «وَلَوْ سَلَّمَ عَلَيَّ لَرَدَدْتُ» . قِيلَ لَهُ: أَفَقَالَ جَابِرٌ «لَرَدَدْتُ فِي الصَّلَاةِ» قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِقَوْلِهِ «لَرَدَدْتُ» أَيْ بَعْدَ فَرَاغِي مِنَ الصَّلَاةِ
وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ مِنْ مَذْهَبِهِ
2629 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ إِشْكَابَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَهَذَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَدْ كَرِهَ أَنْ يُسَلِّمَ، عَلَى الْمُصَلِّي , وَقَدْ كَانَ سَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُصَلِّي , فَأَشَارَ إِلَيْهِ. فَلَوْ كَانَتِ الْإِشَارَةُ الَّتِي كَانَتْ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَدًّا لِلسَّلَامِ عَلَيْهِ إِذْ لَمَا كَرِهَ ذَلِكَ , لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَنْهَهُ عَنْهُ , وَلَكِنَّهُ إِنَّمَا كَرِهَ ذَلِكَ لِأَنَّ إِشَارَةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِلْكَ , كَانَتْ عِنْدَهُ نَهْيًا مِنْهُ لَهُ عَنِ السَّلَامِ عَلَيْهِ وَهُوَ يُصَلِّي. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ قَالَ جَابِرٌ فِي حَدِيثِكُمْ هَذَا «وَلَوْ سَلَّمَ عَلَيَّ لَرَدَدْتُ» . قِيلَ لَهُ: أَفَقَالَ جَابِرٌ «لَرَدَدْتُ فِي الصَّلَاةِ» قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِقَوْلِهِ «لَرَدَدْتُ» أَيْ بَعْدَ فَرَاغِي مِنَ الصَّلَاةِ
وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ مِنْ مَذْهَبِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬৩০
সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬৩০। আলী ইবন যায়দ (রাহঃ) ..... হাম্মাম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, সুলায়মান ইবন মুসা (রাহঃ) আতা (রাহঃ) -কে জিজ্ঞাসা করেন, "আপনি কি জাবির (রাযিঃ)- কে সেই ব্যক্তির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছেন, যে আপনাকে সালাতরত অবস্থায় সালাম করে"? তিনি বললেন, তুমি সালাত শেষ না করা পর্যন্ত তার জওয়াব দিবে না, তারপর তিনি বলেন, হ্যাঁ।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এতে বুঝা যাচ্ছে যে, প্রথম হাদীসে জাবির (রাযিঃ) যে জওয়াবের কথা বুঝিয়েছেন তা হচ্ছে সালাত থেকে অবসর হওয়ার পর জওয়াব প্রদান করা। অতএব এটি রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্নিত হাদীসের অনুকূল হয়েছে এবং এর অর্থ আমাদের উল্লিখিত বর্ননার সাথে সংগতিপূর্ণ।
ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে এ বিষয়ে অনুরূপ বর্নিত আছেঃ
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এতে বুঝা যাচ্ছে যে, প্রথম হাদীসে জাবির (রাযিঃ) যে জওয়াবের কথা বুঝিয়েছেন তা হচ্ছে সালাত থেকে অবসর হওয়ার পর জওয়াব প্রদান করা। অতএব এটি রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্নিত হাদীসের অনুকূল হয়েছে এবং এর অর্থ আমাদের উল্লিখিত বর্ননার সাথে সংগতিপূর্ণ।
ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে এ বিষয়ে অনুরূপ বর্নিত আছেঃ
2630 - مَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا هَمَّامٌ , قَالَ: سَأَلَ سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى , عَطَاءً: أَسَأَلْتُ جَابِرًا عَنِ الرَّجُلِ يُسَلِّمُ عَلَيْكَ وَأَنْتَ تُصَلِّي , فَقَالَ: " لَا تَرُدُّ عَلَيْهِ حَتَّى تَقْضِيَ صَلَاتَكَ؟ فَقَالَ: نَعَمْ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الرَّدَّ الَّذِي أَرَادَ جَابِرٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ , هُوَ الرَّدُّ بَعْدَ الْفَرَاغِ مِنَ الصَّلَاةِ , فَقَدْ وَافَقَ ذَلِكَ , مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدَلَّ مِنْ مَعْنَاهُ عَلَى مَا ذَكَرْنَاهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي هَذَا نَحْوٌ مِنْ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬৩১
সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬৩১। আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) ...... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার জনৈক ব্যক্তি ইবন আব্বাস (রাযিঃ)- কে সালাম করেন, তিনি তখন সালাত আদায় করছিলেন। এতে তিনি তার কোন জওয়াব না দিয়ে তাকে নিজ হাতের দ্বারা ইশারা করেন।
বস্তুত এই ইবন আব্বাস (রাযিঃ) সালাতে সেই ব্যক্তির সালামের জওয়াব দেননি, যে তাকে সালাতরত অবস্থায় সালাম করেছিল। বরং তিনি তার একাজ মাকরূহ হওয়ার প্রতি নিজ হাতে ইশারা করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) ও জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) যারা উভয়েই নবী করীম ﷺ -কে তাঁর সালাতরত অবস্থায় সালাম করেছিলেন, তাঁরা উভয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর (ইন্তিকালের) পরে মুসল্লীকে সালাম দেয়া মাকরূহ বলেছেন। এতে প্রমাণিত হলো যে, নবী করীম ﷺ -এর যে ইশারা সম্পর্কে তারা অবহিত হয়েছিলেন সেটি জওয়াব হিসাবে ছিলনা। বরং তা ছিল নিষেধাজ্ঞা স্বরূপ। কারণ সালাত আদৌ সালামের স্থান নয়। যেহেতু সালাম হচ্ছে কথা বলার অনুরূপ, অতএব এর জওয়াবও অনুরূপ হবে। যখন সালাত কথা বলার স্থান নয়, অতএব সালামের জওয়াবও সালামের স্থান নয়।
রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতে অঙ্গসমূহকে স্থির রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
বস্তুত এই ইবন আব্বাস (রাযিঃ) সালাতে সেই ব্যক্তির সালামের জওয়াব দেননি, যে তাকে সালাতরত অবস্থায় সালাম করেছিল। বরং তিনি তার একাজ মাকরূহ হওয়ার প্রতি নিজ হাতে ইশারা করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) ও জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) যারা উভয়েই নবী করীম ﷺ -কে তাঁর সালাতরত অবস্থায় সালাম করেছিলেন, তাঁরা উভয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর (ইন্তিকালের) পরে মুসল্লীকে সালাম দেয়া মাকরূহ বলেছেন। এতে প্রমাণিত হলো যে, নবী করীম ﷺ -এর যে ইশারা সম্পর্কে তারা অবহিত হয়েছিলেন সেটি জওয়াব হিসাবে ছিলনা। বরং তা ছিল নিষেধাজ্ঞা স্বরূপ। কারণ সালাত আদৌ সালামের স্থান নয়। যেহেতু সালাম হচ্ছে কথা বলার অনুরূপ, অতএব এর জওয়াবও অনুরূপ হবে। যখন সালাত কথা বলার স্থান নয়, অতএব সালামের জওয়াবও সালামের স্থান নয়।
রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতে অঙ্গসমূহকে স্থির রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
2631 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خُشَيْشٍ، قَالَ: ثنا عَارِمٌ، قَالَ: ثنا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ عَطَاءٍ: أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا سَلَّمَ عَلَيْهِ رَجُلٌ وَهُوَ يُصَلِّي , فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ شَيْئًا , وَغَمَزَهُ بِيَدِهِ " فَهَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَيْضًا لَمْ يَرُدَّ فِي صَلَاتِهِ عَلَى الَّذِي سَلَّمَ عَلَيْهِ وَهُوَ فِيهَا , وَلَكِنَّهُ غَمَزَهُ بِيَدِهِ عَلَى الْكَرَاهَةِ مِنْهُ لِمَا فَعَلَ. فَلَمَّا كَانَ عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْعُودٍ وَجَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , وَقَدْ كَانَا سَلَّمَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُصَلِّي , قَدْ كَرِهَا مِنْ بَعْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السَّلَامَ عَلَى الْمُصَلِّي. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ مَا كَانَ مِنْ إِشَارَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّتِي قَدْ عِلْمَاهَا مِنْهُ , لَمْ تَكُنْ رَدًّا وَإِنَّمَا كَانَتْ نَهْيًا , لِأَنَّ الصَّلَاةَ لَيْسَتْ بِمَوْضِعِ سَلَامٍ , لِأَنَّ السَّلَامَ كَلَامٌ , فَجَوَابُهُ أَيْضًا كَذَلِكَ. فَلَمَّا كَانَتِ الصَّلَاةُ لَيْسَتْ بِمَوْضِعِ كَلَامٍ , يَكُونُ رَدُّ السَّلَامِ لَمْ يَكُنْ أَيْضًا بِمَوْضِعِ سَلَامٍ. وَقَدْ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَسْكِينِ الْأَطْرَافِ فِي الصَّلَاةِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৬৩২
সালাতে ইশারা করা প্রসঙ্গে
২৬৩২। এই বিষয়ে নিন্মোক্ত হাদীস বর্নিত হয়েছেঃ
ফাহাদ (রাহঃ) ...... জাবির ইবন সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ মসজিদে প্রবেশ করে দেখলেন একদল লোক সালাত আদায় করছে এবং তাঁরা তাদের হাত উঠিয়েছে। তিনি বললেন, কি ব্যাপারে, তোমাদেরকে দেখছি তোমাদের হাত উঠাচ্ছ, যেন তা অস্থির ঘোড়ার লেজ। তোমরা সালাতে স্থির থাকবে।
অতএব যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতে স্থির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, আর ইশারার মাধ্যমে সালামের জওয়াব দেয়া এতে বিঘ্ন ঘটায়। কারণ এতে হাত উঠাতে এবং আঙ্গুল সঞ্চালন করতে হয়। এতে প্রমাণিত হলো যে, ইশারা করা অবশ্যই রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর নির্দেশ 'সালাতে অঙ্গসমূহ স্থির রাখা'র অন্তর্ভুক্ত (তাই ইশারা নিষিদ্ধ)। এই অনুচ্ছেদে আমরা যে অভিমত বর্ননা করছি এটি ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ), ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) -এর অভিমত।
ফাহাদ (রাহঃ) ...... জাবির ইবন সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ মসজিদে প্রবেশ করে দেখলেন একদল লোক সালাত আদায় করছে এবং তাঁরা তাদের হাত উঠিয়েছে। তিনি বললেন, কি ব্যাপারে, তোমাদেরকে দেখছি তোমাদের হাত উঠাচ্ছ, যেন তা অস্থির ঘোড়ার লেজ। তোমরা সালাতে স্থির থাকবে।
অতএব যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতে স্থির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, আর ইশারার মাধ্যমে সালামের জওয়াব দেয়া এতে বিঘ্ন ঘটায়। কারণ এতে হাত উঠাতে এবং আঙ্গুল সঞ্চালন করতে হয়। এতে প্রমাণিত হলো যে, ইশারা করা অবশ্যই রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর নির্দেশ 'সালাতে অঙ্গসমূহ স্থির রাখা'র অন্তর্ভুক্ত (তাই ইশারা নিষিদ্ধ)। এই অনুচ্ছেদে আমরা যে অভিমত বর্ননা করছি এটি ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ), ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) -এর অভিমত।
2632 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ , قَالَ: أنا شَرِيكٌ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنِ الْمُسَيِّبِ بْنِ رَافِعٍ , عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ , قَالَ: دَخَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسْجِدَ فَرَأَى قَوْمًا يُصَلُّونَ وَقَدْ رَفَعُوا أَيْدِيَهُمْ. فَقَالَ: «مَالِي أَرَاكُمْ تَرْفَعُونَ أَيْدِيَكُمْ كَأَنَّهَا أَذْنَابُ خَيْلِ شَمْسٍ , اسْكُنُوا فِي الصَّلَاةِ» فَلَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالسُّكُونِ فِي الصَّلَاةِ , وَكَانَ رَدُّ السَّلَامِ بِالْإِشَارَةِ فِيهِ خُرُوجٌ مِنْ ذَلِكَ , لِأَنَّ فِيهِ رَفْعَ الْيَدِ وَتَحْرِيكَ الْأَصَابِعِ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّهُ قَدْ دَخَلَ فِيمَا أَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ تَسْكِينِ الْأَطْرَافِ فِي الصَّلَاةِ. وَهَذَا الْقَوْلُ الَّذِي بَيَّنَّا فِي هَذَا الْبَابِ , قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান