শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৫৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৫২
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৪৭-২৫৫২। আবূ বাকরা (র) আবদুল্লাহ ইব্ন মালিক (রা) (তিনিই হচ্ছেন ইব্ন বুহায়না) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী (ﷺ) -কে দেখেছেন, তিনি (যুহরের সালাতে) দ্বিতীয় রাক'আতে ভুলবশত না বসে দাঁড়িয়ে গেছেন এবং কিয়ামে (দাঁড়ানোতে) বহাল রয়েছেন। তারপর সালাত থেকে অবসর হওয়ার পর দুই সিজদা সাহো করেছেন।
ইউনুস (র) আবদুল্লাহ ইব্ন বুহায়না (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবূ জা'ফর তাহাবী (র) বলেন, উক্ত হাদীসে ‘অবসর' হওয়ার দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে, তা ব্যক্ত হয়নি। হতে পারে ‘অবসর' হওয়ার দ্বারা সালাম বুঝানো হয়েছে, আবার এটিও হতে পারে যে, সালামের পূর্বে তাশাহ্হুদ থেকে অবসর হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমরা লক্ষ্য করে নিম্নরূপ দেখেছিঃ
ইউনুস (র) আবদুল্লাহ ইব্ন বুহায়না (রা) উক্ত হাদীসটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেনঃ এই ভুল করার জন্য সালাত শেষ করার পর সালামের পূর্বেই তিনি বসা অবস্থায় দুই সিজদা দিলেন। প্রত্যেক সিজদার সময় তাকবীরও বললেন। অন্যান্য মুসল্লীরাও তার সঙ্গে দুই সিজদা করলেন।
ইউনুস (র) ইবন বুহায়না (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) .....আব্দুল্লাহ ইব্ন বুহায়না (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমাদেরকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সালাত আদায় করলেন, আমরা সেটি আসরের সালাত বলে ধারণা করছি। তিনি দ্বিতীয় রাক’আতে না বসে দাঁড়িয়ে গেলেন। পরে সালামের পূর্বে বসা অবস্থায় দুই সিজ্দা সাহো করলেন।
আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের উল্লিখিত এই সমস্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, এই অনুচ্ছেদের প্রথম দিকের হাদীসগুলোতে ব্যক্ত ‘ফারাগ’ (অবসর) হওয়া অর্থ হচ্ছে- সালামের পূর্বে (অবসর হওয়া)।
ইউনুস (র) আবদুল্লাহ ইব্ন বুহায়না (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবূ জা'ফর তাহাবী (র) বলেন, উক্ত হাদীসে ‘অবসর' হওয়ার দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে, তা ব্যক্ত হয়নি। হতে পারে ‘অবসর' হওয়ার দ্বারা সালাম বুঝানো হয়েছে, আবার এটিও হতে পারে যে, সালামের পূর্বে তাশাহ্হুদ থেকে অবসর হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমরা লক্ষ্য করে নিম্নরূপ দেখেছিঃ
ইউনুস (র) আবদুল্লাহ ইব্ন বুহায়না (রা) উক্ত হাদীসটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেনঃ এই ভুল করার জন্য সালাত শেষ করার পর সালামের পূর্বেই তিনি বসা অবস্থায় দুই সিজদা দিলেন। প্রত্যেক সিজদার সময় তাকবীরও বললেন। অন্যান্য মুসল্লীরাও তার সঙ্গে দুই সিজদা করলেন।
ইউনুস (র) ইবন বুহায়না (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) .....আব্দুল্লাহ ইব্ন বুহায়না (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমাদেরকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সালাত আদায় করলেন, আমরা সেটি আসরের সালাত বলে ধারণা করছি। তিনি দ্বিতীয় রাক’আতে না বসে দাঁড়িয়ে গেলেন। পরে সালামের পূর্বে বসা অবস্থায় দুই সিজ্দা সাহো করলেন।
আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের উল্লিখিত এই সমস্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, এই অনুচ্ছেদের প্রথম দিকের হাদীসগুলোতে ব্যক্ত ‘ফারাগ’ (অবসর) হওয়া অর্থ হচ্ছে- সালামের পূর্বে (অবসর হওয়া)।
2547 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ , قَالَ: ثنا هِشَامٌ الدَّسْتُوَائِيُّ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَالِكٍ , هُوَ ابْنُ بُحَيْنَةَ «أَنَّهُ أَبْصَرَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَامَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ , وَنَسِيَ أَنْ يَقْعُدَ , فَمَضَى فِي قِيَامِهِ , ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ بَعْدَ الْفَرَاغِ مِنْ صَلَاتِهِ»
2548 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ ابْنِ بُحَيْنَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَلَمْ يُبَيِّنْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ الْفَرَاغَ , مَا هُوَ؟ فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ الْفَرَاغُ هُوَ السَّلَامُ , وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ الْفَرَاغُ مِنَ التَّشَهُّدِ قَبْلَ السَّلَامِ فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ ,
2549 - فَإِذَا يُونُسُ قَدْ حَدَّثَنَا , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ أَخْبَرَهُمْ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ ابْنَ بُحَيْنَةَ حَدَّثَهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «فَلَمَّا قَضَى صَلَاتَهُ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ , كَبَّرَ فِي كُلِّ سَجْدَةٍ وَهُوَ جَالِسٌ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ , أَوْ سَجَدَ بِهِمَا النَّاسُ مَعَهُ , فَكَانَ مَا نَسِيَ مِنَ الْجُلُوسِ»
2550 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، وَعَمْرٌو , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ، عَنِ ابْنِ بُحَيْنَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ
2551 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2552 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، قَالَ: ثنا الزُّهْرِيُّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ هُرْمُزَ الْأَعْرَجُ، عَنْ عَبْدِ اللهِ ابْنِ بُحَيْنَةَ، قَالَ: «صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةً , نَظُنُّ أَنَّهَا الْعَصْرُ , فَقَامَ فِي الثَّانِيَةِ وَلَمْ يَجْلِسْ. فَلَمَّا كَانَ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ , سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ , وَهُوَ جَالِسٌ»قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا فِي هَذِهِ الْأَحَادِيثِ أَنَّ الْفَرَاغَ الْمَذْكُورَ فِي الْأَحَادِيثِ الَّتِي فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ هُوَ قَبْلَ السَّلَامِ
2548 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ ابْنِ بُحَيْنَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَلَمْ يُبَيِّنْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ الْفَرَاغَ , مَا هُوَ؟ فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ الْفَرَاغُ هُوَ السَّلَامُ , وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ الْفَرَاغُ مِنَ التَّشَهُّدِ قَبْلَ السَّلَامِ فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ ,
2549 - فَإِذَا يُونُسُ قَدْ حَدَّثَنَا , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ أَخْبَرَهُمْ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ ابْنَ بُحَيْنَةَ حَدَّثَهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «فَلَمَّا قَضَى صَلَاتَهُ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ , كَبَّرَ فِي كُلِّ سَجْدَةٍ وَهُوَ جَالِسٌ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ , أَوْ سَجَدَ بِهِمَا النَّاسُ مَعَهُ , فَكَانَ مَا نَسِيَ مِنَ الْجُلُوسِ»
2550 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، وَعَمْرٌو , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ، عَنِ ابْنِ بُحَيْنَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ
2551 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2552 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، قَالَ: ثنا الزُّهْرِيُّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ هُرْمُزَ الْأَعْرَجُ، عَنْ عَبْدِ اللهِ ابْنِ بُحَيْنَةَ، قَالَ: «صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةً , نَظُنُّ أَنَّهَا الْعَصْرُ , فَقَامَ فِي الثَّانِيَةِ وَلَمْ يَجْلِسْ. فَلَمَّا كَانَ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ , سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ , وَهُوَ جَالِسٌ»قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا فِي هَذِهِ الْأَحَادِيثِ أَنَّ الْفَرَاغَ الْمَذْكُورَ فِي الْأَحَادِيثِ الَّتِي فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ هُوَ قَبْلَ السَّلَامِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৫৪
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৫৩-২৫৫৪। আলী ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ..... উসমান (রাযিঃ)-এর মুক্ত গোলাম মুহাম্মাদ ইব্ন ইউসুফ (রাহঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেনঃ একবার মু’আবিয়া ইব্ন আবী সুফইয়ান (রাযিঃ) তাঁদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেন। (দ্বিতীয় রাক’আতে) তাঁর জন্য বসা জরুরী হওয়া সত্ত্বেও তিনি না বসে দাঁড়িয়ে গেলেন। যখন তিনি সালাতের শেষে উপনীত হলেন তখন সালাম ফিরাবার পূর্বে দুই সিজ্দা (সাহো) করলেন এবং বললেন, “আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে অনুরূপ করতে দেখেছি”।
মুহাম্মাদ ইব্ন হুমায়দ (রাহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইব্ন আজলান (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন !
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এই সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা বলেছেন যে, সালাতের মধ্যে সালামের পূর্বেই হলো অনুরূপ সিজ্দা সাহো-এর বিধান।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ যদি সালাতে (কিছু) কম করার কারণে সিজ্দা সাহো ওয়াজিব হয়, তাহলে তা হবে সালামের পূর্বে, যেমনটি ইব্ন বুহায়না (রাযিঃ) ও মু’আবিয়া (রাযিঃ)-এর হাদীস দু’টিতে ব্যক্ত হয়েছে। আর যদি সালাতে (কিছু) অতিরিক্ত করার কারণে সিজ্দা সাহো ওয়াজিব হয়, তাহলে তা হবে সালামের পরে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁরা যুলইয়াদায়ন এর খবর সম্বলিত আবু হুরায়রা (রাযিঃ), খিরবাক (রাযিঃ) ও ইব্ন উমর (রাযিঃ)-এর হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন, যাতে ব্যক্ত হয়েছে যে, নবী করীম (ﷺ) সেদিন সাহোর কারণে সালামের পরে সিজ্দা (সাহো) করেছেন। এর মধ্য থেকে কিছু হাদীস নিম্নরূপঃ
মুহাম্মাদ ইব্ন হুমায়দ (রাহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইব্ন আজলান (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন !
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এই সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা বলেছেন যে, সালাতের মধ্যে সালামের পূর্বেই হলো অনুরূপ সিজ্দা সাহো-এর বিধান।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ যদি সালাতে (কিছু) কম করার কারণে সিজ্দা সাহো ওয়াজিব হয়, তাহলে তা হবে সালামের পূর্বে, যেমনটি ইব্ন বুহায়না (রাযিঃ) ও মু’আবিয়া (রাযিঃ)-এর হাদীস দু’টিতে ব্যক্ত হয়েছে। আর যদি সালাতে (কিছু) অতিরিক্ত করার কারণে সিজ্দা সাহো ওয়াজিব হয়, তাহলে তা হবে সালামের পরে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁরা যুলইয়াদায়ন এর খবর সম্বলিত আবু হুরায়রা (রাযিঃ), খিরবাক (রাযিঃ) ও ইব্ন উমর (রাযিঃ)-এর হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন, যাতে ব্যক্ত হয়েছে যে, নবী করীম (ﷺ) সেদিন সাহোর কারণে সালামের পরে সিজ্দা (সাহো) করেছেন। এর মধ্য থেকে কিছু হাদীস নিম্নরূপঃ
2553 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: ثنا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَجْلَانَ، مَوْلَى فَاطِمَةَ حَدَّثَهُ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، مَوْلَى عُثْمَانَ حَدَّثَهُ , عَنْ أَبِيهِ: أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ، صَلَّى بِهِمْ , فَقَامَ وَعَلَيْهِ جُلُوسٌ , فَلَمْ يَجْلِسْ. فَلَمَّا كَانَ فِي آخِرِ صَلَاتِهِ , سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ , وَقَالَ: «هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ»
2554 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أنا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَابْنُ لَهِيعَةَ , قَالَا: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلَانَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ إِلَى هَذِهِ الْآثَارِ قَوْمٌ فَقَالُوا: هَكَذَا سُجُودُ السَّهْوِ , وَهُوَ قَبْلَ السَّلَامِ مِنَ الصَّلَاةِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: مَا كَانَ مِنْ سُجُودِ سَهْوٍ لِنُقْصَانٍ كَانَ فِي الصَّلَاةِ فَهُوَ قَبْلَ التَّسْلِيمِ كَمَا فِي حَدِيثِ ابْنِ بُحَيْنَةَ , وَكَمَا فِي حَدِيثِ مُعَاوِيَةَ. وَمَا كَانَ مِنْ سُجُودِ سَهْوٍ , وَجَبَ لِزِيَادَةٍ زِيدَتْ فِي الصَّلَاةِ , فَهُوَ بَعْدَ التَّسْلِيمِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِحَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي خَبَرِ ذِي الْيَدَيْنِ , وَبِحَدِيثِ الْخِرْبَاقِ وَابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فِي سُجُودِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ لِسَهْوِهِ بَعْدَ التَّسْلِيمِ
فَمِنْ ذَلِكَ
2554 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أنا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَابْنُ لَهِيعَةَ , قَالَا: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلَانَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ إِلَى هَذِهِ الْآثَارِ قَوْمٌ فَقَالُوا: هَكَذَا سُجُودُ السَّهْوِ , وَهُوَ قَبْلَ السَّلَامِ مِنَ الصَّلَاةِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: مَا كَانَ مِنْ سُجُودِ سَهْوٍ لِنُقْصَانٍ كَانَ فِي الصَّلَاةِ فَهُوَ قَبْلَ التَّسْلِيمِ كَمَا فِي حَدِيثِ ابْنِ بُحَيْنَةَ , وَكَمَا فِي حَدِيثِ مُعَاوِيَةَ. وَمَا كَانَ مِنْ سُجُودِ سَهْوٍ , وَجَبَ لِزِيَادَةٍ زِيدَتْ فِي الصَّلَاةِ , فَهُوَ بَعْدَ التَّسْلِيمِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِحَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي خَبَرِ ذِي الْيَدَيْنِ , وَبِحَدِيثِ الْخِرْبَاقِ وَابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فِي سُجُودِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ لِسَهْوِهِ بَعْدَ التَّسْلِيمِ
فَمِنْ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৫৫
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৫৫। রবীউল মু’আয্যিন (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি যুলইয়াদায়ন কর্তৃক সংঘটিত ঘটনার দিনে সালামের পরে দুই সিজ্দা সাহো করেছেন। আমরা ইব্নশাআল্লাহ অতিসত্বর ‘সালাতে কথা বলা’ অনুচ্ছেদে যুলইয়াদায়ন এর হাদীস এবং এর প্রকৃতি ও ধরন বর্ণনা করব।
এ বিষয়ে আরেক দল আলিম তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ সালাতে অতিরিক্ত অথবা কম করার কারণে যে সিজ্দা সাহো ওয়াজিব হয়, প্রত্যেক সাহোর জন্যই সিজ্দা হবে সালামের পরে। তাঁরা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দলীল হিসাবে পেশ করেনঃ
এ বিষয়ে আরেক দল আলিম তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ সালাতে অতিরিক্ত অথবা কম করার কারণে যে সিজ্দা সাহো ওয়াজিব হয়, প্রত্যেক সাহোর জন্যই সিজ্দা হবে সালামের পরে। তাঁরা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দলীল হিসাবে পেশ করেনঃ
2555 -مَا حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , عَنِ اللَّيْثِ , عَنْ يَزِيدِ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ , عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّهُ سَجَدَ يَوْمَ ذِي الْيَدَيْنِ» , يَعْنِي سَجْدَتَيِ السَّهْوِ , بَعْدَ السَّلَامِ وَسَنَذْكُرُ حَدِيثَ ذِي الْيَدَيْنِ , وَكَيْفَ هُوَ فِي «بَابِ الْكَلَامِ فِي الصَّلَاةِ» إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: كُلُّ سَهْوٍ وَجَبَ فِي الصَّلَاةِ , لِزِيَادَةٍ أَوْ نُقْصَانٍ , فَهُوَ بَعْدَ السَّلَامِ
وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ ,
وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ ,

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৫৮
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৫৬-২৫৫৮। হুসাইন ইব্ন নাস্র (রাহঃ) ..... মুগীরা ইব্ন শু’বা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের ইমামতি করলেন। কিন্তু দুই রাক’আতের পর তিনি ভুলে দাঁড়িয়ে পড়লেন। এতে আমরা তাঁকে সতর্ক করতে ‘সুবহানাল্লাহ’ পাঠ করলাম। কিন্তু তিনি সালাত অব্যাহত রাখলেন। সালাত শেষে তিনি সালাম ফিরালেন এবং দুই সিজ্দা সাহো করলেন।
আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ).....ইয়াযীদ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু বাক্রা (রাহঃ).....মুগীরা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ).....ইয়াযীদ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু বাক্রা (রাহঃ).....মুগীরা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
2556 - بِمَا حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ , قَالَ: سَمِعْتُ يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ , قَالَ: أَخْبَرَنَا الْمَسْعُودِيُّ , عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ , عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ , قَالَ: «صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَهَا , فَنَهَضَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ , فَسَبَّحْنَا بِهِ , فَمَضَى , فَلَمَّا أَتَمَّ الصَّلَاةَ وَسَلَّمَ سَجَدَ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ»
2557 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2558 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْمَسْعُودِيُّ، قَالَ: ثنا زِيَادُ بْنُ عِلَاقَةَ، قَالَ: أنا الْمُغِيرَةُ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ
2557 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2558 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْمَسْعُودِيُّ، قَالَ: ثنا زِيَادُ بْنُ عِلَاقَةَ، قَالَ: أنا الْمُغِيرَةُ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৬০
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৫৯-২৫৬০। আবু বাক্রা (রাহঃ) ..... আমের (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মুগীরা ইব্ন শু’বা (রাযিঃ) প্রথম দুই রাক’আতে ভুল করলেন (অর্থাৎ এতে না বসে দাঁড়িয়ে গেলেন) এতে (তাঁকে সতর্ক করার নিমিত্ত) ) ‘সুবহানাল্লাহ’ পাঠ করা হল। তিনি যথারীতি সোজা দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং চার রাক’আত সালাত আদায় করে ফেললেন। তারপর দুই সিজ্দা সাহো করলেন। আর বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এরূপই করেছিলেন।
মুবাশ্শির (রাহঃ).....মুগীরা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
মুবাশ্শির (রাহঃ).....মুগীরা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
2559 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا بَكْرُ بْنُ بَكَّارٍ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَالِكٍ الرُّؤَاسِيُّ، مِنْ أَنْفَسِهِمْ , قَالَ: سَمِعْتُ عَامِرًا، يُحَدِّثُ: أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، سَهَا فِي السَّجْدَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ فَسَبَّحَ بِهِ , فَاسْتَتَمَّ قَائِمًا حَتَّى صَلَّى أَرْبَعًا , ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ وَقَالَ: «هَكَذَا فَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
2560 - حَدَّثَنَا مُبَشِّرٌ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، مِثْلَهُ
2560 - حَدَّثَنَا مُبَشِّرٌ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৬১
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৬১। হুসাইন ইব্ন নাস্র (রাহঃ) ..... কায়স ইব্ন আবী হাযিম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ মুগীরা ইব্ন শু’বা (রাযিঃ) একদিন আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন, দুই রাক’আতে তিনি (না বসে) দাঁড়িয়ে গেলেন। তাঁর পিছনের লোকেরা (তাঁকে সতর্ক করার জন্য) ‘সুব্হানাল্লাহ’ পাঠ করল। তিনি তাঁদেরকে দাঁড়াতে ইশারা করলেন। সালাত শেষে তিনি সালাম ফিরিয়ে দুই সিজ্দা সাহো করলেন, তারপর বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন (সালাতে) পূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে যায় সে যেন সালাত চালিয়ে যায় এবং দুই সিজ্দা সাহো করে নেয়। আর যদি পূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে না গিয়ে থাকে, তাহলে সে যেন বসে পড়ে এবং তার উপরে সাহো (জরুরী) হবে না।
2561 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، قَالَ: ثنا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُبَيْلٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ: صَلَّى بِنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ , فَقَامَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ , فَسَبَّحَ النَّاسُ خَلْفَهُ , فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنْ قُومُوا. فَلَمَّا قَضَى صَلَاتَهُ سَجَدَ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ , ثُمَّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا اسْتَتَمَّ أَحَدُكُمْ قَائِمًا فَلْيُصَلِّ وَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ , وَإِنْ لَمْ يَسْتَتِمَّ قَائِمًا فَلْيَجْلِسْ , وَلَا سَهْوَ عَلَيْهِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৬২
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৬২। ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... কায়স ইব্ন আবী হাযিম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার মুগীরা ইব্ন শু’বা (রাযিঃ) আমাদের সালাতের ইমামতি করলেন। তিনি দ্বিতীয় রাক’আতে (না বসে) পূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে গেলেন। আমরা (তাঁকে সতর্ক করার জন্য) সুব্হানাল্লাহ পাঠ করলাম। তিনি (আমাদেরকে দাঁড়ানোর জন্য) ইশারা করলেন এবং সুব্হানাল্লাহ পাঠ করলেন। তিনি সালাত চালিয়ে গেলেন। সালাত শেষে বসা অবস্থায় দুই সিজ্দা (সাহো) করেন। তারপর বললেন, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের সালাতের ইমামতি করলেন। তিনি বসা হতে সোজা দাঁড়িয়ে গেলেন (প্রথম বৈঠক না করে) । তারপর সালাত চালিয়ে গেলেন। সালাত শেষে (শেষ বৈঠকে) বসা অবস্থায় দুই সিজ্দা (সাহো) করলেন। তারপর বললেনঃ তোমাদের কেউ সালাত আদায়কালে যদি বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায় এবং যদি পূর্ণরূপে না দাঁড়ায়, তাহলে বসে পড়বে আর তার উপরে দুই সিজ্দা (সাহো) জরুরী হবে না। আর যদি সোজা পূর্ণরূপে দাঁড়িয়ে যায় তাহলে সালাত চালিয়ে যাবে এবং (শেষ বৈঠকে) বসা অবস্থায় দুই সিজ্দা (সাহো) করে নিবে।
বস্তুত এই মুগীরা (রাযিঃ)-ই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে উদ্ধৃত করেছেন যে, তিনি সালাতে (কিছু) কম করার কারণে সালামের পরে সিজ্দা সাহো করেছেন। আর উল্লিখিত হাদীসগুলোতে কয়েকটি সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছেঃ (ক) হতে পারে পূর্বে যে আমরা ইব্ন বুহায়না (রাযিঃ) ও মু’আবিয়া (রাযিঃ)-এর হাদীস দুটিতে বর্ণনা করেছি, এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সালামের পূর্বে প্রত্যেক সাহো’র জন্য সিজ্দা করেছেন, চাই তা সালাতে (কিছু) কম করার কারণে ওয়াজিব হোক অথবা (কিছু) অতিরিক্ত করার কারণে ওয়াজিব হোক। (খ) সম্ভবত মুগীরা (রাযিঃ)-এর হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যে প্রত্যেক সাহো’র জন্য সালাতের পরে সিজ্দা করেছেন, এটিও ব্যাপক, তা সালাতে (কিছু) কম করার কারণে হোক অথবা (কিছু) অতিরিক্ত করার কারণে হোক। (গ) হতে পারে ইমরান (রাযিঃ), আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ও ইব্ন উমর (রাযিঃ)-এর হাদীসে যে ব্যক্ত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সালাতের পরে সিজ্দা (সাহো) করেছেন। এখানে কিন্তু তিনি সালাতে ভুলে অতিরিক্ত কিছু করেছেন বিধায় সিজ্দা দিয়েছেন । বরং অনুরূপভাবে (সালাতে) প্রত্যেক সিজ্দা (সাহো) যা ভুলের জন্য ওয়াজিব হয়, তা প্রয়োজন হবে । এতে কিন্তু অতিরিক্ত করার কারণে সিজ্দা এবং কম করার কারণে সিজ্দা এর মধ্যে পার্থক্য করা হয়নি (ঘ) হতে পারে এর দ্বারা উভয়ের মধ্যে পার্থক্য করাই উদ্দেশ্য অর্থাৎ সালাতে কম করার কারণে সালামের পূর্বে এবং অতিরিক্ত করার কারণে সালামের পরে সিজ্দা সাহো বুঝানো হয়েছে ।
অতএব যখন উল্লিখিত হাদীসগুলোতে চারটি সম্ভাবনা বিদ্যমান, তখন কোন একটিকে প্রাধান্য দেয়ার জন্য শরয়ী দলীলের প্রয়োজন । নিম্নে ইমাম তাহাবী (রাহঃ) বিশিষ্ট সাহাবীগণের আমল দ্বারা এর দলীল বর্ণনা করছেন।
বস্তুত এ বিষয়ে আমরা লক্ষ্য করে উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর আমলকে পেয়েছি। তিনি নবী করীম (ﷺ) কর্তৃক যুলইয়াদায়ন-এর ঘটনা সংঘটিত হওয়ার দিনের সিজ্দা সাহোতে উপস্থিত ছিলেন। যা তিনি (ﷺ) সালাতে অতিরিক্ত (কিছু) অর্থাৎ তাতে সালাম ফিরানোর কারণে সিজ্দা করেছেন। আর তাঁর এই সিজ্দা (সাহো) ছিল সালামের পরে! অনন্তর আমরা তাঁকে (উমর রা-এর আমল) পেয়েছি, তিনি নবী করীম (ﷺ) -এর অব্যবহিত পরে সালাতে তাঁর পক্ষ থেকে কম হওয়ার কারণে সালামের পরে সিজ্দা (সাহো) করেছেন ।
বস্তুত এই মুগীরা (রাযিঃ)-ই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে উদ্ধৃত করেছেন যে, তিনি সালাতে (কিছু) কম করার কারণে সালামের পরে সিজ্দা সাহো করেছেন। আর উল্লিখিত হাদীসগুলোতে কয়েকটি সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছেঃ (ক) হতে পারে পূর্বে যে আমরা ইব্ন বুহায়না (রাযিঃ) ও মু’আবিয়া (রাযিঃ)-এর হাদীস দুটিতে বর্ণনা করেছি, এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সালামের পূর্বে প্রত্যেক সাহো’র জন্য সিজ্দা করেছেন, চাই তা সালাতে (কিছু) কম করার কারণে ওয়াজিব হোক অথবা (কিছু) অতিরিক্ত করার কারণে ওয়াজিব হোক। (খ) সম্ভবত মুগীরা (রাযিঃ)-এর হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যে প্রত্যেক সাহো’র জন্য সালাতের পরে সিজ্দা করেছেন, এটিও ব্যাপক, তা সালাতে (কিছু) কম করার কারণে হোক অথবা (কিছু) অতিরিক্ত করার কারণে হোক। (গ) হতে পারে ইমরান (রাযিঃ), আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ও ইব্ন উমর (রাযিঃ)-এর হাদীসে যে ব্যক্ত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সালাতের পরে সিজ্দা (সাহো) করেছেন। এখানে কিন্তু তিনি সালাতে ভুলে অতিরিক্ত কিছু করেছেন বিধায় সিজ্দা দিয়েছেন । বরং অনুরূপভাবে (সালাতে) প্রত্যেক সিজ্দা (সাহো) যা ভুলের জন্য ওয়াজিব হয়, তা প্রয়োজন হবে । এতে কিন্তু অতিরিক্ত করার কারণে সিজ্দা এবং কম করার কারণে সিজ্দা এর মধ্যে পার্থক্য করা হয়নি (ঘ) হতে পারে এর দ্বারা উভয়ের মধ্যে পার্থক্য করাই উদ্দেশ্য অর্থাৎ সালাতে কম করার কারণে সালামের পূর্বে এবং অতিরিক্ত করার কারণে সালামের পরে সিজ্দা সাহো বুঝানো হয়েছে ।
অতএব যখন উল্লিখিত হাদীসগুলোতে চারটি সম্ভাবনা বিদ্যমান, তখন কোন একটিকে প্রাধান্য দেয়ার জন্য শরয়ী দলীলের প্রয়োজন । নিম্নে ইমাম তাহাবী (রাহঃ) বিশিষ্ট সাহাবীগণের আমল দ্বারা এর দলীল বর্ণনা করছেন।
বস্তুত এ বিষয়ে আমরা লক্ষ্য করে উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর আমলকে পেয়েছি। তিনি নবী করীম (ﷺ) কর্তৃক যুলইয়াদায়ন-এর ঘটনা সংঘটিত হওয়ার দিনের সিজ্দা সাহোতে উপস্থিত ছিলেন। যা তিনি (ﷺ) সালাতে অতিরিক্ত (কিছু) অর্থাৎ তাতে সালাম ফিরানোর কারণে সিজ্দা করেছেন। আর তাঁর এই সিজ্দা (সাহো) ছিল সালামের পরে! অনন্তর আমরা তাঁকে (উমর রা-এর আমল) পেয়েছি, তিনি নবী করীম (ﷺ) -এর অব্যবহিত পরে সালাতে তাঁর পক্ষ থেকে কম হওয়ার কারণে সালামের পরে সিজ্দা (সাহো) করেছেন ।
2562 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ طَهْمَانَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُبَيْلٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ: صَلَّى بِنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ , فَقَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ قَائِمًا , فَقُلْنَا: سُبْحَانَ اللهِ فَأَوْمَى وَقَالَ: سُبْحَانَ اللهِ فَمَضَى فِي صَلَاتِهِ. فَلَمَّا قَضَى صَلَاتَهُ وَسَلَّمَ , سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ , ثُمَّ قَالَ: صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَاسْتَوَى قَائِمًا مِنْ جُلُوسِهِ , فَمَضَى فِي صَلَاتِهِ. فَلَمَّا قَضَى صَلَاتَهُ , سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ , ثُمَّ قَالَ: «إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَقَامَ مِنَ الْجُلُوسِ , فَإِنْ لَمْ يَسْتَتِمَّ قَائِمًا , فَلْيَجْلِسْ , وَلَيْسَ عَلَيْهِ سَجْدَتَانِ , فَإِنِ اسْتَوَى قَائِمًا , فَلْيَمْضِ فِي صَلَاتِهِ , وَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ» فَهَذَا الْمُغِيرَةُ , يَحْكِي عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ سَجَدَ لِلسَّهْوِ , لِمَا نَقَصَهُ مِنْ صَلَاتِهِ بَعْدَ السَّلَامِ. وَهَذِهِ الْأَحَادِيثُ , قَدْ تَحْتَمِلُ وُجُوهًا. فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَا ذَكَرْنَا فِي حَدِيثِ ابْنِ بُحَيْنَةَ , وَمُعَاوِيَةَ , مِنْ سُجُودِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلسَّهْوِ قَبْلَ السَّلَامِ , عَلَى كُلِّ سَهْوٍ وَجَبَ فِي الصَّلَاةِ , مِنْ نُقْصَانٍ أَوْ زِيَادَةٍ. وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَا فِي حَدِيثِ الْمُغِيرَةِ , مِنْ سُجُودِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ السَّلَامِ , عَلَى كُلِّ سَهْوٍ أَيْضًا يَكُونُ فِي الصَّلَاةِ , يَجِبُ لَهُ سُجُودُ السَّهْوِ مِنْ نُقْصَانٍ أَوْ زِيَادَةٍ. وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَا فِي حَدِيثِ عِمْرَانَ , وَأَبِي هُرَيْرَةَ , وَابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ مِنْ سُجُودِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ السَّلَامِ لِمَا زَادَهُ فِي الصَّلَاةِ سَاهِيًا. يَكُونُ كَذَلِكَ كُلُّ سُجُودٍ وَجَبَ لِسَهْوٍ فَهُنَاكَ يَسْجُدُ , وَلَا يَكُونُ قَصَدَ بِذَلِكَ إِلَى التَّفْرِقَةِ بَيْنَ السُّجُودِ لِلزِّيَادَةِ , وَبَيْنَ السُّجُودِ لِلنُّقْصَانِ. وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ قَدْ قَصَدَ بِذَلِكَ التَّفْرِقَةَ بَيْنَهُمَا. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَوَجَدْنَا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ حَضَرَ سُجُودَ سَهْوِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي يَوْمِ ذِي الْيَدَيْنِ , لِلزِّيَادَةِ الَّتِي كَانَ زَادَهَا فِي صَلَاتِهِ مِنْ تَسْلِيمِهِ فِيهَا , وَكَانَ سُجُودُهُ ذَلِكَ بَعْدَ السَّلَامِ. فَوَجَدْنَاهُ قَدْ سَجَدَ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِنُقْصَانٍ كَانَ مِنْهُ فِي الصَّلَاةِ بَعْدَ السَّلَامِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৬৩
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৬৩। সুলায়মান ইব্ন শু’আয়ব (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইব্ন হান্যালা ইব্ন আল-রাহিব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) মাগরিবের সালাত আদায় করেন। এতে তিনি প্রথম রাক’আতে কিছুই পড়েননি । দ্বিতীয় রাক’আতে সূরা ফাতিহা এবং অন্য সূরা দুইবার পড়লেন এবং সালামের পরে দুই সিজ্দা সাহো করলেন।
অতএব রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সিজ্দা (সাহো) যা তিনি সালাতে অতিরিক্ত কিছু করার কারণে করেছেন, উমর (রাযিঃ) যা শিখে নিয়েছিলেন এবং তাতে তাঁর (উমর রা) সিজ্দা উভয়টি ছিলো সালামের পরে। এতে প্রমাণিত হয় যে, এটি তাঁর নিকট দলীলরূপে বিবেচিত ছিল যে, সালাতের প্রত্যেক সিজ্দা সাহোর বিধান অনুরূপ। সা’দ ইব্ন আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) ও অনুরূপ করেছেন ।
অতএব রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সিজ্দা (সাহো) যা তিনি সালাতে অতিরিক্ত কিছু করার কারণে করেছেন, উমর (রাযিঃ) যা শিখে নিয়েছিলেন এবং তাতে তাঁর (উমর রা) সিজ্দা উভয়টি ছিলো সালামের পরে। এতে প্রমাণিত হয় যে, এটি তাঁর নিকট দলীলরূপে বিবেচিত ছিল যে, সালাতের প্রত্যেক সিজ্দা সাহোর বিধান অনুরূপ। সা’দ ইব্ন আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) ও অনুরূপ করেছেন ।
2563 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ الْيَمَامِيُّ، عَنْ ضَمْضَمِ بْنِ جَوْسٍ الْحَنَفِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَنْظَلَةَ بْنِ الرَّاهِبِ: «أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ صَلَّى صَلَاةَ الْمَغْرِبِ , فَلَمْ يَقْرَأْ فِي الرَّكْعَةِ الْأُولَى شَيْئًا. فَلَمَّا كَانَتِ الثَّانِيَةُ قَرَأَ فِيهَا بِفَاتِحَةِ الْقُرْآنِ , وَسُورَةٍ مَرَّتَيْنِ , فَلَمَّا سَلَّمَ , سَجَدَ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ» فَصَارَ سُجُودُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي قَدْ عَمِلَهُ , لِلزِّيَادَةِ الَّتِي كَانَ زَادَهَا فِي صَلَاتِهِ , وَسُجُودِهِ لَهَا بَعْدَ السَّلَامِ دَلِيلًا عِنْدَهُ , عَلَى أَنَّ حُكْمَ كُلِّ سُجُودِ سَهْوٍ فِي الصَّلَاةِ مِثْلُهُ. وَقَدْ فَعَلَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَيْضًا مِثْلَ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৬৪
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৬৪। সুলায়মান (রাহঃ) ..... কায়স ইব্ন আবী হাযিম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমাদেরকে নিয়ে সা’দ ইব্ন মালিক (রাযিঃ) সালাত আদায় করলেন। তিনি দ্বিতীয় রাক’আতে (না বসে) দাঁড়িয়ে গেলেন । লোকেরা (তাঁকে সতর্ক করার জন্য) সুব্হানাল্লাহ পাঠ করল । তখন তিনিও সুব্হানাল্লাহ পাঠ করে সালাত চালিয়ে গেলেন। পরে সালামের পরে দুই সিজ্দা সাহো করলেন ।
অনুরূপভাবে আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ), ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ), ইব্ন যুবায়র (রাযিঃ) ও আনাস ইব্ন মালিক থেকে বর্ণিত আছে যে, তাঁরা সালামের পরে সিজ্দা সাহো করেছেন।
অনুরূপভাবে আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ), ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ), ইব্ন যুবায়র (রাযিঃ) ও আনাস ইব্ন মালিক থেকে বর্ণিত আছে যে, তাঁরা সালামের পরে সিজ্দা সাহো করেছেন।
2564 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ بَيَانِ أَبِي بِشْرٍ الْأَحْمَسِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ قَيْسَ بْنَ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ: " صَلَّى بِنَا سَعْدُ بْنُ مَالِكٍ , فَقَامَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ , فَقَالُوا: سُبْحَانَ اللهِ فَقَالَ: سُبْحَانَ اللهِ فَمَضَى , فَلَمَّا سَلَّمَ , سَجَدَ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ " وَقَدْ رُوِيَ أَيْضًا عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ , وَابْنِ عَبَّاسٍ , وَابْنِ الزُّبَيْرِ , وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ أَنَّهُمْ سَجَدُوا لِلسَّهْوِ بَعْدَ السَّلَامِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৬৫
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৬৫। আবু বাক্রা (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) (ইব্ন মাসউদ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ সাহো (ভুল) বলা হয়, বসার স্থলে দাঁড়িয়ে যাওয়া কিংবা দাঁড়ানোর স্থলে বসা কিংবা (চার রাক’আত সালাতে) দুই রাক’আতে সালাম ফিরিয়ে দেয়া। এরূপ যার হয়, সে যেন সালামের পরে দুই সিজ্দা সাহো করে, তারপর তাশাহ্হুদ পড়ে সালাম ফিরাবে।
2565 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «السَّهْوُ أَنْ يَقُومَ فِي قُعُودٍ , أَوْ يَقْعُدَ فِي قِيَامٍ , أَوْ يُسَلِّمَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ , فَإِنَّهُ يُسَلِّمُ , ثُمَّ يَسْجُدُ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ , وَيَتَشَهَّدُ , وَيُسَلِّمُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৬৬
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৬৬। রাওহ ইব্নুল ফারাজ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমরা সালামের পরে সিজ্দা সাহো করেছি।
2566 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ , فَقَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ أَبِي أَيُّوبَ , عَنْ قُرَّةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , حَدَّثَهُ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَالَ: «سَجْدَتَا السَّهْوِ بَعْدَ السَّلَامِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৬৭
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৬৭। ফাহাদ (রাহঃ) ..... আতা ইব্ন আবী রিবাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ইব্ন যুবায়রের পিছনে সালাত আদায় করেছি, তিনি দুই রাক’আতে সালাম ফিরালেন। এতে লোকেরা (তাঁকে সতর্ক করার জন্য) সুব্হানাল্লাহ পাঠ করল । তখন তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন এবং সালাত শেষ করলেন । তারপর সালামের পরে দুই সিজ্দা (সাহো) করলেন। আতা (রাহঃ) বলেন, আমি ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর নিকট গিয়ে উল্লেখ করলাম যে, ইব্ন যুবায়র (এটি) কী করেছেন ? তিনি বললেন, তিনি অত্যন্ত উত্তম ও সঠিক (কাজ) করেছেন।
2567 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ، عَنْ زَيْدٍ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: صَلَّيْتُ خَلْفَ ابْنِ الزُّبَيْرِ , فَسَلَّمَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ , فَسَبَّحَ الْقَوْمُ , فَقَامَ فَأَتَمَّ الصَّلَاةَ , فَلَمَّا سَلَّمَ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ بَعْدَ السَّلَامِ. قَالَ عَطَاءٌ: فَانْطَلَقْتُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فَذَكَرْتُ لَهُ مَا فَعَلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فَقَالَ: «أَحْسَنَ وَأَصَابَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৬৯
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৬৮-২৫৬৯। আবু বাক্রা (রাহঃ) ..... ইউসুফ ইব্ন মাহিক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ইব্ন যুবায়র (রাযিঃ) আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন। তিনি যুহ্রের সালাতে দ্বিতীয় রাক’আতে (না বসে) দাঁড়িয়ে গেলেন। এতে আমরা (তাঁকে সতর্ক করার জন্য) সুব্হানাল্লাহ পাঠ করলাম। তিনিও সুব্হানাল্লাহ পাঠ করলেন এবং লোকদের দিকে লক্ষ্য করলেন না। তারপর তিনি সালাত শেষ করে সালামের পরে দুই সিজ্দা (সাহো) করেন।
সালিহ ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) .....আবু বিশ্র থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ।
সালিহ ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) .....আবু বিশ্র থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ।
2568 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهِكٍ، قَالَ: " صَلَّى [ص:442] بِنَا ابْنُ الزُّبَيْرِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَقَامَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ , فَسَبَّحْنَا بِهِ , فَقَالَ: سُبْحَانَ اللهِ وَلَمْ يَلْتَفِتْ إِلَيْهِمْ , فَقَضَى مَا عَلَيْهِ , ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ بَعْدَمَا سَلَّمَ "
2569 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، قَالَ: أنا أَبُو بِشْرٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2569 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، قَالَ: أنا أَبُو بِشْرٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৭০
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৭০। আহমদ ইব্ন দাউদ(রাহঃ)..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি সেই ব্যক্তির ব্যাপারে বলেছেন, যে কি না নিজ সালাতে সন্দেহ করে, বুঝতে পারে না (সালাত) কম হয়েছে, না বেশী তিনি বলেছেন, (এরূপ ব্যক্তি) সালামের পরে দুই সিজ্দা (সাহো) করবে।
2570 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: ثنا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ فِي الرَّجُلِ يَهِمُ فِي صَلَاتِهِ , لَا يَدْرِي أَزَادَ أَمْ نَقَصَ؟ قَالَ: «يَسْجُدُ سَجْدَتَيْنِ بَعْدَمَا يُسَلِّمُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৭১
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৭১। ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... যাম্রা ইব্ন সাঈদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি একবার আনাস ইব্ন মালিক (রাযিঃ)-এর পিছনে সালাত আদায় করেছেন। এতে তিনি সন্দিহান হওয়ায় সালামের পরে দুই সিজ্দা (সাহো) করেন।
2571 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، قَالَ: ثنا فُلَيْحٌ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ سَعِيدٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: «أَنَّهُ صَلَّى وَرَاءَ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَأُوهِمَ , فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ بَعْدَ السَّلَامِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৭২
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৭২। আহমদ ইব্ন দাউদ(রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি দ্বিতীয় রাক’আতে (না বসে) দাঁড়িয়ে গেলেন। এতে লোকেরা (তাঁকে সতর্ক করার নিমিত্ত) সুব্হানাল্লাহ পাঠ করল। তিনি পূর্ণ চার রাক’আত আদায় করে ফেলেন এবং সালামের পরে দুই সিজ্দা (সাহো) করেন তারপর বললেন, তোমরা (সালাত আদায় কালে) যখন সন্দিহান হবে তখন এরূপ করবে।
এই ইম্রান ইব্ন হুসাইন (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাথে উপস্থিত ছিলেন, যখন তিনি খিরবাকের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার দিন সালাতে অতিরিক্ত (কিছু) হয়ে যাওয়ার কারণে সালামের পরে সিজ্দা (সাহো ) দিয়েছিলেন। তারপর তিনি (ইম্রান রা) নবী করীম (ﷺ) -এর অব্যবহিত পরে বলেছেন, সিজ্দা সাহো হবে সালামের পরে। এতে তিনি সালাতে অতিরিক্ত অথবা কম হওয়ার মাঝখানে কোনরূপ পার্থক্য করেননি।
অতএব এতে বুঝা যাচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাহোর কারণে সিজ্দা করার দিন তিনি উপস্থিত ছিলেন। এটি তাঁর নিকট এই বিষয়ের দলীল যে, সালাতে প্রত্যেক ভুলের সিজ্দা অনুরূপই সালামের পরে হবে।
এই ইম্রান ইব্ন হুসাইন (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাথে উপস্থিত ছিলেন, যখন তিনি খিরবাকের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার দিন সালাতে অতিরিক্ত (কিছু) হয়ে যাওয়ার কারণে সালামের পরে সিজ্দা (সাহো ) দিয়েছিলেন। তারপর তিনি (ইম্রান রা) নবী করীম (ﷺ) -এর অব্যবহিত পরে বলেছেন, সিজ্দা সাহো হবে সালামের পরে। এতে তিনি সালাতে অতিরিক্ত অথবা কম হওয়ার মাঝখানে কোনরূপ পার্থক্য করেননি।
অতএব এতে বুঝা যাচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাহোর কারণে সিজ্দা করার দিন তিনি উপস্থিত ছিলেন। এটি তাঁর নিকট এই বিষয়ের দলীল যে, সালাতে প্রত্যেক ভুলের সিজ্দা অনুরূপই সালামের পরে হবে।
2572 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَامَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ فَسَبَّحَ بِهِ الْقَوْمُ , فَاسْتَتَمَّ أَرْبَعًا , ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ بَعْدَمَا سَلَّمَ , ثُمَّ قَالَ: «إِذَا وَهِمْتُمْ , فَافْعَلُوا هَكَذَا» وَهَذَا عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ قَدْ حَضَرَ سُجُودَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْخِرْبَاقِ لِلزِّيَادَةِ الَّتِي كَانَ زَادَهَا فِي صَلَاتِهِ بَعْدَ السَّلَامِ ثُمَّ قَالَ هُوَ مِنْ بَعْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ السُّجُودَ لِلسَّهْوِ بَعْدَ السَّلَامِ وَلَمْ يَفْصِلْ بَيْنَ مَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ لِزِيَادَةٍ أَوْ نُقْصَانٍ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ السُّجُودَ الَّذِي حَضَرَهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلسَّهْوِ الَّذِي كَانَ سَهَا حِينَئِذٍ فِي صَلَاتِهِ , كَانَ ذَلِكَ عِنْدَهُ عَلَى أَنَّ كُلَّ سُجُودٍ لِكُلِّ سَهْوٍ , يَكُونُ فِي الصَّلَاةِ كَذَلِكَ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৭৩
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৭৩। আবু বাক্রা (রাহঃ) .....ইমরান ইব্ন হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি সিজ্দা সাহোর বিষয়ে বলেছেন, সালাম ফিরিয়ে সিজ্দা করবে তারপর (সালাতের) সালাম ফিরাবে ।
ইমাম যুহ্রী (রাহঃ) উমর ইব্ন আব্দুল আযীয (রাহঃ)-এর নিকট সালামের পূর্বে সিজ্দা সাহোর বিষয় উল্লেখ করলে তিনি তা গ্রহণ করেননি।
ইমাম যুহ্রী (রাহঃ) উমর ইব্ন আব্দুল আযীয (রাহঃ)-এর নিকট সালামের পূর্বে সিজ্দা সাহোর বিষয় উল্লেখ করলে তিনি তা গ্রহণ করেননি।
2573 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ، قَالَ: أنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَنَّ خَالِدًا الْحَذَّاءَ، أَخْبَرَهُمْ , عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ عِمْرَانِ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ: «فِي سَجْدَتَيِ السَّهْوِ , يُسَلِّمُ ثُمَّ يَسْجُدُ ثُمَّ يُسَلِّمُ» وَقَدْ ذَكَرَ الزُّهْرِيُّ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ سُجُودَ السَّهْوِ قَبْلَ السَّلَامِ , فَلَمْ يَأْخُذْ بِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৭৪
সালাতে সিজ্দা সাহো সালামের পূর্বে না পরে ?
২৫৭৪। ইব্ন আবী দাউদ(রাহঃ) ..... সাঈদ ইব্ন আব্দুল আযীয (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমাকে (ইব্ন শিহাব) যুহ্রী (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি উমর ইব্ন আব্দুল আযীয (রাহঃ)-কে সালামের পূর্বে সিজ্দা (সাহো) সম্পর্কে বললে তিনি তা গ্রহণ করেননি। (বরং তা প্রত্যাখ্যান করেছেন)। বস্তুত এটি-ই হচ্ছে এই অনুচ্ছেদে উল্লিখিত হাদীসের বিশ্লেষণগত দিক।
এ বিষয়ে (সালামের পরে সিজ্দা) ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণঃ বস্তুত আমরা লক্ষ্য করেছি যে, কোন ব্যক্তি যদি সালাতে ভুল করে তাহলে তাকে তৎক্ষণাৎ সিজ্দার নির্দেশ দেয়া হয় না বরং তা বিলম্বের নির্দেশ দেয়া হয়। কতক আলিম বলেন, সালামের পর পর্যন্ত বিলম্ব করা হবে। আবার কতক আলিম বলেন, সালাতের শেষে সালামের পূর্ব পর্যন্ত বিলম্ব করা হবে।
পক্ষান্তরে আমরা চিন্তা-ভাবনা করে দেখেছি যে, কেউ যদি সালাতে সিজ্দার আয়াত তিলাওয়াত করে তাহলে তিলাওয়াতের কারণে তাঁর উপরে তখনই সিজ্দা করা ওয়াজিব হয়ে যায় (বিলম্ব করা জায়িয নয়), অথবা যদি ভুলে যায় তাহলে সালাতের মধ্যে যখনই স্মরণ হবে যে, তার উপরে সিজ্দায়ে তিলাওয়াত রয়েছে তখনই সিজ্দা করার নির্দেশ এসেছে। সালাতের অন্য স্থানে তা বিলম্বের বিধান নেই। অতএব প্রমাণিত হলো যে, সালাতের সিজ্দায়ে তিলাওয়াত যেখানে ওয়াজিব হয় সেখানেই আদায় করা ওয়াজিব; উক্ত স্থান থেকে বিলম্ব করা যায় না।
পক্ষান্তরে সিজ্দা সাহো’র ব্যাপারে সকলের ঐকমত্য রয়েছে যে, এটি ভুলের স্থান থেকে বিলম্ব করা একটি বিধান। এমনকি সালাম ব্যতীত সমস্ত সালাত চালিয়ে যাবে। তবে সালামের পূর্বে সিজ্দা সাহো হবে, না পরে হবে এ বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
বস্তুত আমাদের পূর্বোল্লিখিত বিষয়ে যুক্তি হচ্ছে যে, মতবিরোধপূর্ণ সালামের বিধানকে সালাম পূর্ব সালাতের অপরাপর ঐকমত্য কার্যাদির বিধানের সাথে তুলনা করা হবে। যেমনিভাবে সালাতের অপরাপর সমস্ত কার্যাদি সিজ্দা সাহো’র উপরে অগ্রণী হয়, অনুরূপভাবে সালামও সিজ্দা সাহো’র উপরে অগ্রবর্তী হবে। এটিই হচ্ছে কিয়াস ও যুক্তি, যা আমরা উল্লেখ করেছি। আর এটিই হচ্ছে- ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
এ বিষয়ে (সালামের পরে সিজ্দা) ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণঃ বস্তুত আমরা লক্ষ্য করেছি যে, কোন ব্যক্তি যদি সালাতে ভুল করে তাহলে তাকে তৎক্ষণাৎ সিজ্দার নির্দেশ দেয়া হয় না বরং তা বিলম্বের নির্দেশ দেয়া হয়। কতক আলিম বলেন, সালামের পর পর্যন্ত বিলম্ব করা হবে। আবার কতক আলিম বলেন, সালাতের শেষে সালামের পূর্ব পর্যন্ত বিলম্ব করা হবে।
পক্ষান্তরে আমরা চিন্তা-ভাবনা করে দেখেছি যে, কেউ যদি সালাতে সিজ্দার আয়াত তিলাওয়াত করে তাহলে তিলাওয়াতের কারণে তাঁর উপরে তখনই সিজ্দা করা ওয়াজিব হয়ে যায় (বিলম্ব করা জায়িয নয়), অথবা যদি ভুলে যায় তাহলে সালাতের মধ্যে যখনই স্মরণ হবে যে, তার উপরে সিজ্দায়ে তিলাওয়াত রয়েছে তখনই সিজ্দা করার নির্দেশ এসেছে। সালাতের অন্য স্থানে তা বিলম্বের বিধান নেই। অতএব প্রমাণিত হলো যে, সালাতের সিজ্দায়ে তিলাওয়াত যেখানে ওয়াজিব হয় সেখানেই আদায় করা ওয়াজিব; উক্ত স্থান থেকে বিলম্ব করা যায় না।
পক্ষান্তরে সিজ্দা সাহো’র ব্যাপারে সকলের ঐকমত্য রয়েছে যে, এটি ভুলের স্থান থেকে বিলম্ব করা একটি বিধান। এমনকি সালাম ব্যতীত সমস্ত সালাত চালিয়ে যাবে। তবে সালামের পূর্বে সিজ্দা সাহো হবে, না পরে হবে এ বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
বস্তুত আমাদের পূর্বোল্লিখিত বিষয়ে যুক্তি হচ্ছে যে, মতবিরোধপূর্ণ সালামের বিধানকে সালাম পূর্ব সালাতের অপরাপর ঐকমত্য কার্যাদির বিধানের সাথে তুলনা করা হবে। যেমনিভাবে সালাতের অপরাপর সমস্ত কার্যাদি সিজ্দা সাহো’র উপরে অগ্রণী হয়, অনুরূপভাবে সালামও সিজ্দা সাহো’র উপরে অগ্রবর্তী হবে। এটিই হচ্ছে কিয়াস ও যুক্তি, যা আমরা উল্লেখ করেছি। আর এটিই হচ্ছে- ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
2574 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ قَالَ: ثنا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، قَالَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، قَالَ: " قُلْتُ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ: السُّجُودُ قَبْلَ السَّلَامِ؟ فَلَمْ يَأْخُذْ بِهِ " فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. وَأَمَّا وَجْهُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا رَأَيْنَا الرَّجُلَ إِذَا سَهَا فِي صَلَاتِهِ , لَمْ يُؤْمَرْ بِالسُّجُودِ لِلسَّهْوِ , سَاعَةَ كَانَ السَّهْوُ , وَأُمِرَ بِتَأْخِيرِهِ. فَقَالَ قَائِلُونَ: إِلَى مَا بَعْدَ السَّلَامِ , وَقَالَ آخَرُونَ: إِلَى آخِرِ صَلَاتِهِ قَبْلَ السَّلَامِ وَكَانَ مَنْ تَلَا سَجْدَةً فِي صَلَاتِهِ , فَوَجَبَ عَلَيْهِ بِتِلَاوَتِهِ أَوْ ذَكَرَ وَهُوَ فِي صَلَاتِهِ , أَنَّ عَلَيْهِ لِمَا تَقَدَّمَ مِنْهَا سَجْدَةً أَنَّهُ يُؤْمَرُ أَنْ يَأْتِيَ بِهَا حِينَئِذٍ , وَلَا يُؤْمَرُ بِتَأْخِيرِهَا إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ الْمَوْضِعِ مِنْ صَلَاتِهِ. فَكَانَ مَا يَجِبُ مِنَ السُّجُودِ فِي الصَّلَاةِ , يُؤْتَى بِهِ حَيْثُ وَجَبَ مِنْهَا , وَلَا يُؤَخَّرُ إِلَى مَا بَعْدَ ذَلِكَ , وَكَانَ سُجُودُ السَّهْوِ قَدْ أُجْمِعَ عَلَى تَأْخِيرِهِ عَنْ مَوْضِعِ السَّهْوِ , حَتَّى يَمْضِيَ كُلُّ الصَّلَاةِ , لَا السَّلَامُ فَإِنَّهُ قَدِ اخْتُلِفَ فِي تَقْدِيمِهِ قَبْلَ السُّجُودِ لِلسَّهْوِ , وَفِي تَقْدِيمِ السُّجُودِ لِلسَّهْوِ عَلَيْهِ فَكَانَ النَّظَرُ عَلَى مَا ذَكَرْنَا أَنْ يَكُونَ حُكْمُ السَّلَامِ الْمُخْتَلَفِ فِيهِ , حُكْمَ مَا قَبْلَهُ مِنَ الصَّلَاةِ الْمُجْتَمَعِ عَلَيْهِ. فَكَمَا كَانَ ذَلِكَ مُقَدَّمًا عَلَى سُجُودِ السَّهْوِ , كَانَ كَذَلِكَ السَّلَامُ أَيْضًا مُقَدَّمًا عَلَى سُجُودِ السَّهْوِ , قِيَاسًا وَنَظَرًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান