শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৫০০
আন্তর্জাতিক নং: ২৫০৬
৬৪. সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫০০-২৫০৬। মুহাম্মাদ ইব্ন আলী (রাহঃ) .....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ সালাত আদায়কালে তোমাদের কারো কাছে যখন শয়তান আসে এবং সালাতের বিষয়ে তাকে সন্দেহে ফেলে দেয়, ফলে সে বুঝতে পারে না কত রাক’আত সে আদায় করল, তবে (শেষ বৈঠকে) বসা অবস্থায় সে যেন দুই সিজদা সাহো (سهو) করে।
ইউনুস (রাহঃ).....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ইবরাহীম ইব্ন মুন্কি্য (রাহঃ) .....ইব্ন শিহাব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু বাক্রা (রাহঃ) .....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাত আদায়কালে বুঝতে পারে না যে, সে তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে। তারপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুল্লাহ ইব্ন মায়মূন আল-বাগদাদী (রাহঃ).....আবু সালামা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা
করেছেন।
হুসাইন ইব্ন নস্র (রাহঃ) ..... আবু সালমা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এ রিওয়ায়াতে তিনি ‘তারপর সালাম ফিরাবে’ বাক্যটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন।
ইউনুস (রাহঃ).....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ইবরাহীম ইব্ন মুন্কি্য (রাহঃ) .....ইব্ন শিহাব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু বাক্রা (রাহঃ) .....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাত আদায়কালে বুঝতে পারে না যে, সে তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে। তারপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুল্লাহ ইব্ন মায়মূন আল-বাগদাদী (রাহঃ).....আবু সালামা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা
করেছেন।
হুসাইন ইব্ন নস্র (রাহঃ) ..... আবু সালমা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এ রিওয়ায়াতে তিনি ‘তারপর সালাম ফিরাবে’ বাক্যটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন।
بَابُ الرَّجُلِ يَشُكُّ فِي صَلَاتِهِ فَلَا يَدْرِي أَثْلَاثًا صَلَّى أَمْ أَرْبَعًا؟
2500 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنُ مُحْرِزٍ , قَالَ: ثنا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو زَمْعَةَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ سَعِيدٍ , وَأَبِي سَلَمَةَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا جَاءَ أَحَدَكُمُ الشَّيْطَانُ , فَخَلَطَ عَلَيْهِ صَلَاتَهُ , فَلَا يَدْرِي كَمْ صَلَّى؟ فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ»
2501 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
2502 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُنْقِذٍ، قَالَ: ثنا إِدْرِيسُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ بَكْرِ بْنِ مُضَرَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي شِهَابٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2503 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلَمْ يَدْرِ أَثْلَاثًا صَلَّى أَمْ أَرْبَعًا» ؟ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ
2504 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَيْمُونٍ الْبَغْدَادِيُّ , قَالَ: ثنا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ , عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ. عَنْ يَحْيَى , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ , ثُمَّ ذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2505 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ، قَالَ: ثنا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2506 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ يُونُسَ، قَالَ: ثنا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , وَزَادَ «ثُمَّ يُسَلِّمُ»
2501 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
2502 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُنْقِذٍ، قَالَ: ثنا إِدْرِيسُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ بَكْرِ بْنِ مُضَرَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي شِهَابٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2503 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلَمْ يَدْرِ أَثْلَاثًا صَلَّى أَمْ أَرْبَعًا» ؟ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ
2504 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَيْمُونٍ الْبَغْدَادِيُّ , قَالَ: ثنا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ , عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ. عَنْ يَحْيَى , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ , ثُمَّ ذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2505 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ، قَالَ: ثنا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2506 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ يُونُسَ، قَالَ: ثنا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , وَزَادَ «ثُمَّ يُسَلِّمُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫০৭
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫০৭। ফাহাদ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি ইরশাদ করেছেনঃ যখন সালাতের জন্য আযান দেয়া হয়, তখন শয়তান বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পলায়ন করে। যখন সালাত শুরু হয় তখন (শয়তান) সন্দেহ সৃষ্টি করার সুযোগ সন্ধানে লেগে যায়। তোমাদের কারো কাছে যখন সে আসে, তখন তার মনে আকাঙ্খা জাগিয়ে তোলে এবং এরূপ প্রয়োজনীয় বস্তু স্মরণ করিয়ে দেয়, যা সে স্মরণ করতে পারছিল না। তারপর এমন হয়ে যায় যে, সে কত রাক’আত আদায় করেছে তা বুঝতে পারে না । তোমাদের কারো যদি এ রকম কিছু হয়, তবে (শেষ বৈঠকে) বসা অবস্থায় সে যেন দুই সিজ্দা (সাহো) করে।
2507 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الشَّيْطَانَ إِذَا ثُوِّبَ بِالصَّلَاةِ وَلَّى وَلَهُ ضُرَاطٌ فَإِذَا أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ يَلْتَمِسُ الْخِلَاطَ فَإِذَا أَتَى أَحَدَكُمْ مَنَّاهُ وَذَكَّرَهُ مِنْ حَاجَتِهِ مَا لَمْ يَكُنْ يَذْكُرُ حَتَّى لَا يَدْرِيَ كَمْ صَلَّى , فَإِذَا وَجَدَ ذَلِكَ أَحَدُكُمْ فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫০৮
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫০৮। ইয়াযীদ ইব্ন সিনান (রাহঃ) ও ইবরাহীম ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ খুদ্রী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদেরকে বলেছেনঃ তোমাদের কারো সালাত আদায়কালে যদি সে বুঝতে না পারে তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, তবে সে যেন (শেষ বৈঠকে) বসা অবস্থায় দুই সিজ্দা (সাহো) করে ।
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম উপরোক্ত হাদীসগুলোর মর্ম গ্রহণ করে বলেছেন যে, এটি (বিধান) হচ্ছে সেই ব্যক্তির যার সালাতে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। তাই সে বুঝতে পারে না (সালাত) কম হয়েছে, না বেশী। তাহলে সে যেন (শেষ বৈঠকে) বসা অবস্থায় দুই সিজ্দা (সাহো) করে। তারপর সালাম ফিরাবে। তার জন্য আর অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধী মত পোষণ করে বলেছেনঃ বরং কম (সংখ্যার) উপর ভিত্তি করবে, যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিতরূপে জানা না হবে যে, সে কত রাক’আত আদায় করেছে। আর তাঁরা বলেছেন, “দুই সিজ্দা (সাহো) ব্যতীত মুসল্লীর উপরে অন্য কিছু নেই” আলোচ্য হাদীস এ কথার দলীল বহন করে না। যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে দুই সিজদা অপেক্ষা অতিরিক্ত বস্তু বর্ণিত আছে এবং তিনি মুসল্লীর উপরে দুই সিজ্দার পূর্বে ইয়াকীন (নিশ্চিত জ্ঞান) এর উপর ভিত্তি করাকে জরুরী করেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা বিদূরিত হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিতরূপে জানবে; যার অপরিহার্যতা তার উপর সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণিত।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর থেকে কিছু হাদীস পেশ করা গেলঃ
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম উপরোক্ত হাদীসগুলোর মর্ম গ্রহণ করে বলেছেন যে, এটি (বিধান) হচ্ছে সেই ব্যক্তির যার সালাতে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। তাই সে বুঝতে পারে না (সালাত) কম হয়েছে, না বেশী। তাহলে সে যেন (শেষ বৈঠকে) বসা অবস্থায় দুই সিজ্দা (সাহো) করে। তারপর সালাম ফিরাবে। তার জন্য আর অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধী মত পোষণ করে বলেছেনঃ বরং কম (সংখ্যার) উপর ভিত্তি করবে, যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিতরূপে জানা না হবে যে, সে কত রাক’আত আদায় করেছে। আর তাঁরা বলেছেন, “দুই সিজ্দা (সাহো) ব্যতীত মুসল্লীর উপরে অন্য কিছু নেই” আলোচ্য হাদীস এ কথার দলীল বহন করে না। যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে দুই সিজদা অপেক্ষা অতিরিক্ত বস্তু বর্ণিত আছে এবং তিনি মুসল্লীর উপরে দুই সিজ্দার পূর্বে ইয়াকীন (নিশ্চিত জ্ঞান) এর উপর ভিত্তি করাকে জরুরী করেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা বিদূরিত হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিতরূপে জানবে; যার অপরিহার্যতা তার উপর সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণিত।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর থেকে কিছু হাদীস পেশ করা গেলঃ
2508 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَا: ثنا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: ثنا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي هِلَالُ بْنُ عِيَاضٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: قَالَ لَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ , فَلَمْ يَدْرِ أَثَلَاثًا صَلَّى أَمْ أَرْبَعًا؟ فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا فَقَالُوا: هَذَا حُكْمُ مَنْ دَخَلَ عَلَيْهِ الشَّكُّ فِي صَلَاتِهِ , فَلَمْ يَدْرِ أَزَادَ أَمْ نَقَصَ؟ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ , ثُمَّ يُسَلِّمُ , لَيْسَ عَلَيْهِ غَيْرُ ذَلِكَ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: بَلْ يَبْنِي عَلَى الْأَقَلِّ حَتَّى يَعْلَمَ أَنَّهُ قَدْ أَتَى بِمَا عَلَيْهِ يَقِينًا. وَقَالُوا: لَيْسَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ لَيْسَ عَلَى الْمُصَلِّي غَيْرُ تَيْنِكَ السَّجْدَتَيْنِ , لِأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنْهُ مَا قَدْ زَادَ عَلَى ذَلِكَ , وَأَوْجَبَ عَلَيْهِ قَبْلَ السَّجْدَتَيْنِ الْبِنَاءَ عَلَى الْيَقِينِ , حَتَّى يَعْلَمَ يَقِينًا زَوَالَ مَا قَدْ كَانَ عَلِمَ وُجُوبَهُ عَلَيْهِ بِالْيَقِينِ
فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ
فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫০৯
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫০৯। আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) ..... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি উমর (রাযিঃ)-এর সাথে সালাতের বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। এমন সময় আব্দুর রহমান ইব্ন আউফ (রাযিঃ) এলেন । তিনি বললেন, “আমি কি তোমাদেরকে এরূপ হাদীস বর্ণনা করব, যা আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে শুনেছি”? আমরা বললাম, “হ্যাঁ, বর্ণনা করুন”। তিনি সাক্ষ্য দিয়ে বললেন, “আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কারো সালাত আদায়কালে কমের ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি হলে যথারীতি আদায় করবে যতক্ষণ না বেশীর ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি হয়”।
2509 - مَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ , قَالَ: أنا إِسْمَاعِيلُ الْمَكِّيُّ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: كُنْتُ أُذَاكِرُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَمْرَ الصَّلَاةِ , فَأَتَى عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ , فَقَالَ: أَلَا أُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قُلْنَا: بَلَى قَالَ: أَشْهَدُ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَشَكَّ فِي النُّقْصَانِ , فَلْيُصَلِّ حَتَّى يَشُكَّ فِي الزِّيَادَةِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫১০
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫১০। ইব্ন আবু দাউদ(রাহঃ) ..... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি উমর ইব্নুল খাত্তাব (রাযিঃ) এর সাথে বসা ছিলাম। তিনি বললেন, “হে ইব্ন আব্বাস! তুমি কি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে সেই ব্যক্তির বিষয়ে বলতে শুনেছ, যার সালাতে ভুল হয়ে যায়, ফলে সে (সালাত) বেশী হল,না কম হল বুঝতে পারে না, এ বিষয়ে তিনি কি নির্দেশ প্রদান করেছেন” ? তিনি বলেন, “আমি বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন! এ বিষয়ে কি আপনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে কিছু শুনেন নি” ? তিনি বললেন, “না, আল্লাহর কসম, এ বিষয়ে আমি কিছু শুনি নি এবং এ বিষয়ে তাঁকে আমি জিজ্ঞাসাও করিনি”। এমন সময় আব্দুর রহমান ইব্ন আউফ (রাযিঃ) এলেন এবং বললেন, আপনারা কি নিয়ে আলোচনা করছেন ? উমর (রাযিঃ) তাঁকে বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবহিত করলেন। তিনি (উমর রা) বললেন, আমি এই যুবককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি, তাঁর কাছে (এর) তথ্য পাইনি। আব্দুর রহমান (রাযিঃ) বললেন, কিন্তু আমার কাছে এর তথ্য বিদ্যমান আছে। আমি এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আ থেকে শুনেছি”। এতে উমর (রাযিঃ) বললেন, “আপনি আমাদের নিকট ন্যায়নিষ্ঠ ও সন্তুষ্টি প্রাপ্ত ব্যক্তি। আপনি কি শুনেছেন” ? তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ “তোমাদের কারো যখন সালাত আদায়কালে সন্দেহ সৃষ্টি হয়, এক রাক’আত না দুই রাক’আত আদায় করেছে, তবে এক রাক’আত বলে ধরবে। আর যদি তিন রাক’আত না চার রাক’আত এই বিষয়ে সন্দেহ হয়, তবে তিন রাক’আত বলে ধরবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না বেশীর ব্যাপারে সন্দেহ হয়। তারপর সালাম ফিরাবার পূর্বে দুই সিজ্দা (সাহো) করবে”।
2510 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ , قَالَ: ثنا ابْنُ إِسْحَاقَ عَنْ مَكْحُولٍ , عَنْ كُرَيْبٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: جَلَسْتُ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، فَقَالَ: يَا ابْنَ عَبَّاسٍ، هَلْ سَمِعْتَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الرَّجُلِ إِذَا نَسِيَ صَلَاتَهُ فَلَمْ يَدْرِ أَزَادَ أَمْ نَقَصَ مَا أَمَرَ فِيهِ؟ قَالَ: قُلْتُ: مَا سَمِعْتُ أَنْتَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ شَيْئًا؟ قَالَ: لَا وَاللهِ، مَا سَمِعْتُ فِيهِ شَيْئًا وَلَا سَأَلْتُ عَنْهُ. إِذْ جَاءَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَقَالَ: فِيمَا أَنْتُمَا؟ فَأَخْبَرَهُ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَقَالَ: سَأَلْتُ هَذَا الْفَتَى عَنْ كَذَا فَلَمْ أَجِدْ عِنْدَهُ عِلْمًا. فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: لَكِنْ عِنْدِي , لَقَدْ سَمِعْتُ ذَاكَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ عُمَرُ: أَنْتَ عِنْدَنَا الْعَدْلُ الرَّضِيُّ، فَمَاذَا سَمِعْتَ؟ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ , فَشَكَّ فِي الْوَاحِدَةِ وَالثِّنْتَيْنِ فَلْيَجْعَلْهَا وَاحِدَةً , فَإِذَا شَكَّ فِي الثَّلَاثِ أَوِ الْأَرْبَعِ , فَلْيَجْعَلْهَا ثَلَاثًا حَتَّى يَكُونَ الْوَهْمُ فِي الزِّيَادَةِ , ثُمَّ يَسْجُدَ سَجْدَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫১১
আন্তর্জাতিক নং: ২৫১৫
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫১১-২৫১৫। রবীউল জীযী (রাহঃ)..... আবু সাঈদ খুদ্রী (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ “তোমাদের কারো সালাত আদায়কালে যদি এমন হয় যে, তিন রাক’আত হল না চার রাক’আত তা বুঝতে পারে না তবে সন্দেহ পরিত্যাগ করে ইয়াকীন (নিশ্চিত জ্ঞান) এর উপর ভিত্তি করবে। যদি তার সালাত (আদতে) কম হয়ে থাকে তাহলে তো সে সালাত পূর্ণ করল, আর দুই সিজ্দা (সাহো) হবে শয়তানকে লাঞ্ছিত করার জন্য। আর যদি তার সালাত পূর্ণ হয়ে থাকে, তাহলে অতিরিক্ত (সালাত) ও দুই সিজ্দা তার জন্য নফল হিসাবে বিবেচিত হবে”।
ইউনুস (রাহঃ)..... যায়দ ইব্ন আস্লাম (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, তারপর (শেষ বৈঠকে) সালাম ফিরাবার পূর্বে বসা অবস্থায় দুই সিজ্দা (সাহো) করবে।
ইব্ন আবু দাউদ (রাহঃ)..... যায়দ (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি ‘সালাম ফিরানোর পূর্বে’ বাক্যটি বলেন নি।
ইউনুস (রাহঃ) ও ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... যায়দ (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি আবু সাঈদ’ (রাযিঃ)-এর নাম উল্লেখ করেন নি।
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ বস্তুত উল্লিখিত এ সমস্ত হাদীস প্রথমোক্ত হাদীসসমূহ অপেক্ষা বাড়তি বস্তুকে প্রমাণ করে। যেহেতু এই সমস্ত হাদীস কমের উপর ভিত্তি করাকে জরুরী করে, তারপর হবে দুই সিজ্দা। অতএব সেই সমস্ত হাদীস অপেক্ষা এই সমস্ত হাদীস উত্তম হিসাবে বিবেচিত হবে। কারণ এ সমস্ত হাদীসে সেগুলো অপেক্ষা বাড়তি জিনিসকে প্রমাণ করে।
এ বিষয়ে আরেক দল আলিম বলেনঃ এ ব্যাপারে মুসল্লী নিজ প্রবল ধারণাভিমুখে দৃষ্টিপাত করবে এবং এর উপর আমল করবে। তারপর সালাম ফিরানোর পরে দুই সিজ্দা (সাহো) করবে। আর যদি এ বিষয়ে তার কোন দিকে প্রবল ধারণা না থাকে, তাহলে কমের উপরে ভিত্তি করবে এবং নিশ্চিত রূপে জানবে যে, তার উপরে যে সালাত অপরিহার্য ছিল, তা সে আদায় করে নিয়েছে।
তাঁরা এ বিষয়ে নিম্মোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা দলীল পেশ করেনঃ
ইউনুস (রাহঃ)..... যায়দ ইব্ন আস্লাম (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, তারপর (শেষ বৈঠকে) সালাম ফিরাবার পূর্বে বসা অবস্থায় দুই সিজ্দা (সাহো) করবে।
ইব্ন আবু দাউদ (রাহঃ)..... যায়দ (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি ‘সালাম ফিরানোর পূর্বে’ বাক্যটি বলেন নি।
ইউনুস (রাহঃ) ও ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... যায়দ (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি আবু সাঈদ’ (রাযিঃ)-এর নাম উল্লেখ করেন নি।
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ বস্তুত উল্লিখিত এ সমস্ত হাদীস প্রথমোক্ত হাদীসসমূহ অপেক্ষা বাড়তি বস্তুকে প্রমাণ করে। যেহেতু এই সমস্ত হাদীস কমের উপর ভিত্তি করাকে জরুরী করে, তারপর হবে দুই সিজ্দা। অতএব সেই সমস্ত হাদীস অপেক্ষা এই সমস্ত হাদীস উত্তম হিসাবে বিবেচিত হবে। কারণ এ সমস্ত হাদীসে সেগুলো অপেক্ষা বাড়তি জিনিসকে প্রমাণ করে।
এ বিষয়ে আরেক দল আলিম বলেনঃ এ ব্যাপারে মুসল্লী নিজ প্রবল ধারণাভিমুখে দৃষ্টিপাত করবে এবং এর উপর আমল করবে। তারপর সালাম ফিরানোর পরে দুই সিজ্দা (সাহো) করবে। আর যদি এ বিষয়ে তার কোন দিকে প্রবল ধারণা না থাকে, তাহলে কমের উপরে ভিত্তি করবে এবং নিশ্চিত রূপে জানবে যে, তার উপরে যে সালাত অপরিহার্য ছিল, তা সে আদায় করে নিয়েছে।
তাঁরা এ বিষয়ে নিম্মোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা দলীল পেশ করেনঃ
2511 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو زُرْعَةَ وَهْبُ اللهِ بْنُ رَاشِدٍ قَالَ: أنا حَيْوَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ أَسْلَمَ، حَدَّثَهُ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلَمْ يَدْرِ أَثَلَاثًا صَلَّى أَمْ أَرْبَعًا فَلْيَبْنِ عَلَى الْيَقِينِ وَيَدَعِ الشَّكَّ , فَإِنْ كَانَتْ صَلَاتُهُ نَقَصَتْ , فَقَدْ أَتَمَّهَا , وَكَانَتِ السَّجْدَتَانِ تُرْغِمَانِ الشَّيْطَانَ , وَإِنْ كَانَتْ صَلَاتُهُ تَامَّةً , كَانَ مَا زَادَ , وَالسَّجْدَتَانِ لَهُ نَافِلَةٌ»
2512 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «ثُمَّ يَسْجُدُ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ , قَبْلَ التَّسْلِيمِ»
2513 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ، قَالَ: ثنا الْمَاجِشُونُ، عَنْ زَيْدٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ «قَبْلَ التَّسْلِيمِ»
2514 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ ح،
2515 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: أنا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ أَبَا سَعِيدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذِهِ الْآثَارُ تَزِيدُ عَلَى الْآثَارِ الْأُوَلِ , لِأَنَّ هَذِهِ تُوجِبُ الْبِنَاءَ عَلَى الْأَقَلِّ , وَالسَّجْدَتَيْنِ بَعْدَ ذَلِكَ , فَهِيَ أَوْلَى مِنْهَا , لِأَنَّهَا قَدْ زَادَتْ عَلَيْهَا. وَقَالَ آخَرُونَ: الْحَكَمُ فِي ذَلِكَ أَنْ يَنْظُرَ الْمُصَلِّي إِلَى أَكْبَرِ رَأْيِهِ فِي ذَلِكَ , فَيَعْمَلُ عَلَى ذَلِكَ , ثُمَّ يَسْجُدُ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ , بَعْدَ التَّسْلِيمِ. وَإِنْ كَانَ لَا رَأْيَ لَهُ فِي ذَلِكَ , بَنَى عَلَى الْأَقَلِّ , حَتَّى يَعْلَمَ يَقِينًا , أَنَّهُ قَدْ صَلَّى مَا عَلَيْهِ
2512 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «ثُمَّ يَسْجُدُ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ , قَبْلَ التَّسْلِيمِ»
2513 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ، قَالَ: ثنا الْمَاجِشُونُ، عَنْ زَيْدٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ «قَبْلَ التَّسْلِيمِ»
2514 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ ح،
2515 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: أنا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ أَبَا سَعِيدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذِهِ الْآثَارُ تَزِيدُ عَلَى الْآثَارِ الْأُوَلِ , لِأَنَّ هَذِهِ تُوجِبُ الْبِنَاءَ عَلَى الْأَقَلِّ , وَالسَّجْدَتَيْنِ بَعْدَ ذَلِكَ , فَهِيَ أَوْلَى مِنْهَا , لِأَنَّهَا قَدْ زَادَتْ عَلَيْهَا. وَقَالَ آخَرُونَ: الْحَكَمُ فِي ذَلِكَ أَنْ يَنْظُرَ الْمُصَلِّي إِلَى أَكْبَرِ رَأْيِهِ فِي ذَلِكَ , فَيَعْمَلُ عَلَى ذَلِكَ , ثُمَّ يَسْجُدُ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ , بَعْدَ التَّسْلِيمِ. وَإِنْ كَانَ لَا رَأْيَ لَهُ فِي ذَلِكَ , بَنَى عَلَى الْأَقَلِّ , حَتَّى يَعْلَمَ يَقِينًا , أَنَّهُ قَدْ صَلَّى مَا عَلَيْهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫১৬
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫১৬। তাঁরা এ বিষয়ে নিম্মোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা দলীল পেশ করেনঃ
আবু বাক্রা (রাহঃ) ..... মনসুর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি সাঈদ ইব্ন জুবায়র (রাহঃ)-কে সালাতে সন্দেহের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি বলেছেনঃ “আমার অভিমত ও আমল হচ্ছে এই যে, সন্দেহ যদি নফল সালাতে হয়, তাহলে আমি নতুন করে সালাত আদায় করে নিই। আর সন্দেহ যদি ফরয সালাতে হয়, তাহলে আমি সালাম ফিরাই এবং সিজ্দা (সাহো) করি”। মনসুর (রাহঃ) বলেন, আমি বিষয়টি ইবরাহীম (নখ্ঈ র)-এর নিকট উত্থাপন করলে তিনি বললেন, সাঈদ ইব্ন জুবায়র (রাহঃ)-এর অভিমত দিয়ে তুমি কি করবে ?
আবু বাক্রা (রাহঃ) ..... মনসুর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি সাঈদ ইব্ন জুবায়র (রাহঃ)-কে সালাতে সন্দেহের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি বলেছেনঃ “আমার অভিমত ও আমল হচ্ছে এই যে, সন্দেহ যদি নফল সালাতে হয়, তাহলে আমি নতুন করে সালাত আদায় করে নিই। আর সন্দেহ যদি ফরয সালাতে হয়, তাহলে আমি সালাম ফিরাই এবং সিজ্দা (সাহো) করি”। মনসুর (রাহঃ) বলেন, আমি বিষয়টি ইবরাহীম (নখ্ঈ র)-এর নিকট উত্থাপন করলে তিনি বললেন, সাঈদ ইব্ন জুবায়র (রাহঃ)-এর অভিমত দিয়ে তুমি কি করবে ?
2516 - وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنُ الزُّبَيْرِ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ مَنْصُورٍ قَالَ: سَأَلْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ عَنِ الشَّكِّ فِي الصَّلَاةِ. فَقَالَ: أَمَّا أَنَا , فَإِنْ كَانَتِ التَّطَوُّعَ اسْتَقْبَلْتُ , وَإِنْ كَانَتْ فَرِيضَةً سَلَّمْتُ وَسَجَدْتُ. قَالَ: فَذَكَرْتُهُ لِإِبْرَاهِيمَ فَقَالَ: مَا تَصْنَعُ بِقَوْلِ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ ,

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫১৭
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫১৭। আল্কামা (রাহঃ) আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কারো সালাত আদায় কালে ভুল হলে, তবে সে যেন চিন্তা-ভাবনা করে (প্রবল ধারণার উপর আমল করে) এবং দুই সিজ্দা (সাহো) করে ।
2517 - حَدَّثَنِي عَلْقَمَةُ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا سَهَا أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ , فَلْيَتَحَرَّ وَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫১৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৫২০
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫১৮-২৫২০। রবীউল মু’আয্যিন (রাহঃ).....আব্দুল্লাহ (ইব্ন মাসউদ রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ “তোমাদের কারো সালাত আদায়কালে তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে তা যদি বুঝতে না পারে, তবে সে যেন চিন্তা-ভাবনা করে, আর এটি তাঁকে সঠিক পথে এগিয়ে নিবে এবং তা (সালাত) পূর্ণ করে নিবে। তারপর সালাম ফিরাবে। তারপর দুই সিজ্দা সাহো করবে এবং তাশাহ্হুদ পড়ে সালাম ফিরাবে।
ইব্ন আবু দাউদ(রাহঃ) ..... মনসুর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি ‘তাশাহহুদ পড়বে’ শব্দটি বলেন নি।
আবু বাক্রা (রাহঃ) ..... মনসুর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ।
বস্তুত এই হাদীসে তাহাররী (চিন্তা-ভাবনা পূর্বক সিদ্ধান্ত) এর উপর আমল করার কথা ব্যক্ত হয়েছে। আর হাদীসসমূহের সঠিক মর্ম নিরূপণে সেই অভিমতকেই অপরিহার্য করে, যা এই তৃতীয় মত পোষণকারীরা বলেন । কারণ যদি এই ‘তাহাররী’ (চিন্তা-ভাবনা পূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহণ) বাতিল হয়ে যায় এবং ‘তাহাররী’র উপর যদি আমল না করা জরুরী হয়, তাহলে এ হাদীস বিলুপ্ত হয়ে যায়। আর যদি ‘তাহাররী’র উপর আমল করা জরুরী সাব্যস্ত হয়, যখন মুসল্লীর (প্রবল) ধারণা বিদ্যমান থাকে এবং কমের উপর ভিত্তি করা যদি জরুরী সাব্যস্ত হয়, যখন মুসল্লীর (প্রবল) ধারণা বিদ্যমান না থাকে তাহলে আব্দুর রহমান ইব্ন আউফ (রাযিঃ)-এর হাদীস, আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ)-এর হাদীস ও ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর হাদীস সমপর্যায়ভুক্ত প্রমাণিত হবে এবং প্রত্যেকটি হাদীসের অর্থ অপরটি অপেক্ষা ভিন্নতর হবে। বস্তুত এরূপ ভাবেই হাদীসবে বিশ্লেষণ করা, যথাসম্ভব ঐক্য ও অভিন্নতা বহাল রাখা বাঞ্ছনীয়; সর্বোপরি এভাবে হাদীসের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধ পরিলক্ষিত হয় না। তবে হাদীসের যদি অন্য কোন দিক না থাকে, তাহলে এটি ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাপার।
পক্ষান্তরে এটি-ই হচ্ছে এই অনুচ্ছেদের হাদীসসমূহের সঠিক মর্ম নির্ধারণের নীতিগত প্রক্রিয়া। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর এটিই অভিমত ।
তৃতীয় মত পোষণকারী আলিমদের মতের স্বপক্ষে কিছু হাদীসঃ এ অনুচ্ছেদের প্রথম দিকে আমরা আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে হাদীস রিওয়ায়াত করে এসেছি। তারপর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করে বলেছেনঃ (সালাতে সন্দেহ হলে) মুসল্লী চিন্তা-ভাবনা করে প্রবল ধারণার উপরে আমল করবে।
ইব্ন আবু দাউদ(রাহঃ) ..... মনসুর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি ‘তাশাহহুদ পড়বে’ শব্দটি বলেন নি।
আবু বাক্রা (রাহঃ) ..... মনসুর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ।
বস্তুত এই হাদীসে তাহাররী (চিন্তা-ভাবনা পূর্বক সিদ্ধান্ত) এর উপর আমল করার কথা ব্যক্ত হয়েছে। আর হাদীসসমূহের সঠিক মর্ম নিরূপণে সেই অভিমতকেই অপরিহার্য করে, যা এই তৃতীয় মত পোষণকারীরা বলেন । কারণ যদি এই ‘তাহাররী’ (চিন্তা-ভাবনা পূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহণ) বাতিল হয়ে যায় এবং ‘তাহাররী’র উপর যদি আমল না করা জরুরী হয়, তাহলে এ হাদীস বিলুপ্ত হয়ে যায়। আর যদি ‘তাহাররী’র উপর আমল করা জরুরী সাব্যস্ত হয়, যখন মুসল্লীর (প্রবল) ধারণা বিদ্যমান থাকে এবং কমের উপর ভিত্তি করা যদি জরুরী সাব্যস্ত হয়, যখন মুসল্লীর (প্রবল) ধারণা বিদ্যমান না থাকে তাহলে আব্দুর রহমান ইব্ন আউফ (রাযিঃ)-এর হাদীস, আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ)-এর হাদীস ও ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর হাদীস সমপর্যায়ভুক্ত প্রমাণিত হবে এবং প্রত্যেকটি হাদীসের অর্থ অপরটি অপেক্ষা ভিন্নতর হবে। বস্তুত এরূপ ভাবেই হাদীসবে বিশ্লেষণ করা, যথাসম্ভব ঐক্য ও অভিন্নতা বহাল রাখা বাঞ্ছনীয়; সর্বোপরি এভাবে হাদীসের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধ পরিলক্ষিত হয় না। তবে হাদীসের যদি অন্য কোন দিক না থাকে, তাহলে এটি ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাপার।
পক্ষান্তরে এটি-ই হচ্ছে এই অনুচ্ছেদের হাদীসসমূহের সঠিক মর্ম নির্ধারণের নীতিগত প্রক্রিয়া। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর এটিই অভিমত ।
তৃতীয় মত পোষণকারী আলিমদের মতের স্বপক্ষে কিছু হাদীসঃ এ অনুচ্ছেদের প্রথম দিকে আমরা আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে হাদীস রিওয়ায়াত করে এসেছি। তারপর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করে বলেছেনঃ (সালাতে সন্দেহ হলে) মুসল্লী চিন্তা-ভাবনা করে প্রবল ধারণার উপরে আমল করবে।
2518 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ، قَالَ: ثنا مَنْصُورٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ , فَلَمْ يَدْرِ أَثَلَاثًا صَلَّى أَمْ أَرْبَعًا؟ فَلْيَنْظُرْ أَحْرَى ذَلِكَ إِلَى الصَّوَابِ , فَلْيُتِمَّهُ ثُمَّ لِيُسَلِّمْ , ثُمَّ لِيَسْجُدْ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ وَيَتَشَهَّدُ وَيُسَلِّمُ»
2519 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ مِنْهَالٍ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مَنْصُورٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ «وَيَتَشَهَّدُ»
2520 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ،. فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ الْعَمَلُ بِالتَّحَرِّي. وَتَصْحِيحُ الْآثَارِ يُوجِبُ مَا يَقُولُ أَهْلُ هَذِهِ الْمَقَالَةِ , لِأَنَّ هَذَا الْمَعْنَى إِنْ بَطَلَ وَوَجَبَ أَنْ لَا يُعْمَلَ بِالتَّحَرِّي , انْتَفَى هَذَا الْحَدِيثُ. وَإِنْ وَجَبَ الْعَمَلُ بِالتَّحَرِّي إِذَا كَانَ لَهُ رَأْيٌ وَالْبِنَاءُ عَلَى الْأَقَلِّ , إِذَا لَمْ يَكُنْ لَهُ رَأْيٌ , اسْتَوَى حَدِيثُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ , وَحَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ , وَحَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا. فَصَارَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهَا قَدْ جَاءَ فِي مَعْنًى , غَيْرِ الْمَعْنَى الَّذِي جَاءَ فِيهِ الْآخَرُ. وَهَكَذَا يَنْبَغِي أَنْ يُخَرَّجَ عَلَيْهِ الْآثَارُ وَيُحْمَلَ عَلَى الِاتِّفَاقِ , مَا قُدِرَ عَلَى ذَلِكَ , وَلَا يُحْمَلُ عَلَى التَّضَادِّ إِلَّا أَنْ لَا يُوجَدَ لَهَا وَجْهٌ غَيْرُهُ. فَهَذَا حُكْمُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَمِمَّا يُصَحِّحُ مَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ رَوَيْنَا عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , مَا ذَكَرْنَا ثُمَّ قَالَ: هُوَ بِرَأْيِهِ أَنَّهُ يَتَحَرَّى
2519 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ مِنْهَالٍ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مَنْصُورٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ «وَيَتَشَهَّدُ»
2520 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ،. فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ الْعَمَلُ بِالتَّحَرِّي. وَتَصْحِيحُ الْآثَارِ يُوجِبُ مَا يَقُولُ أَهْلُ هَذِهِ الْمَقَالَةِ , لِأَنَّ هَذَا الْمَعْنَى إِنْ بَطَلَ وَوَجَبَ أَنْ لَا يُعْمَلَ بِالتَّحَرِّي , انْتَفَى هَذَا الْحَدِيثُ. وَإِنْ وَجَبَ الْعَمَلُ بِالتَّحَرِّي إِذَا كَانَ لَهُ رَأْيٌ وَالْبِنَاءُ عَلَى الْأَقَلِّ , إِذَا لَمْ يَكُنْ لَهُ رَأْيٌ , اسْتَوَى حَدِيثُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ , وَحَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ , وَحَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا. فَصَارَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهَا قَدْ جَاءَ فِي مَعْنًى , غَيْرِ الْمَعْنَى الَّذِي جَاءَ فِيهِ الْآخَرُ. وَهَكَذَا يَنْبَغِي أَنْ يُخَرَّجَ عَلَيْهِ الْآثَارُ وَيُحْمَلَ عَلَى الِاتِّفَاقِ , مَا قُدِرَ عَلَى ذَلِكَ , وَلَا يُحْمَلُ عَلَى التَّضَادِّ إِلَّا أَنْ لَا يُوجَدَ لَهَا وَجْهٌ غَيْرُهُ. فَهَذَا حُكْمُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَمِمَّا يُصَحِّحُ مَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ رَوَيْنَا عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , مَا ذَكَرْنَا ثُمَّ قَالَ: هُوَ بِرَأْيِهِ أَنَّهُ يَتَحَرَّى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫২১
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫২১। ইব্ন মারযূক (রাহঃ) .....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন তিনি সালাতে সন্দেহের বিষয়ে বলেছেন যে, (মুসল্লী) চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে ।
2521 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا شَيْخٌ، أَحْسَبُهُ أَبَا زَيْدٍ الْهَرَوِيَّ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، قَالَ إِدْرِيسُ: أَخْبَرَنِي عَنْ أَبِيهِ، سَمِعَهُ يُحَدِّثُ، قَالَ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «فِي الْوَهْمِ يُتَحَرَّى» وَقَدْ رَوَى عَنْ أَبِي سَعِيدِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِثْلَ ذَلِكَ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫২২
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫২২। আবু বাক্রা (রাহঃ) ..... আমর ইব্ন দীনার (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ইব্ন উমর (রাযিঃ) ও আবু সাঈদ খুদ্রী (রাযিঃ) কে এরূপ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, যে সালাতে ভুল করেছে, সে তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, তা বুঝতে পারে না। উত্তরে তাঁরা উভয়ে বললেন, (এরূপ ব্যক্তি) চিন্তা-ভাবনা করে প্রবল ধারণা মতে সালাত পূর্ণ করবে। তারপর (শেষ বৈঠকে) বসা অবস্থায় দুই সিজ্দা (সাহো) করবে।
2522 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ الرَّمَادِيُّ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، قَالَ: سُئِلَ ابْنُ عُمَرَ وَأَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , عَنْ رَجُلٍ، سَهَا , فَلَمْ يَدْرِ كَمْ صَلَّى , أَثَلَاثًا أَمْ أَرْبَعًا؟ فَقَالَا: «يَتَحَرَّى أَصْوَبَ ذَلِكَ فَيُتِمَّهُ , ثُمَّ يَسْجُدَ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫২৩
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫২৩। আবু উমাইয়া (রাহঃ)..... আবু সাঈদ খুদ্রী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি (সালাতে) সন্দেহের বিষয়ে বলেছেন, মুসল্লী চিন্তা-ভাবনা করবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাঁকে বললাম, “আপনি কি এটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করছেন” ? তিনি বললেন, “হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করছি”।
বস্তুত আমাদের উল্লিখিত বর্ণনা দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে আবু সাঈদ খুদ্রী (রাযিঃ) অনুচ্ছেদের প্রথমে যে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন, এটি তখন প্রযোজ্য হবে, যখন (মুসল্লী) তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে তা বুঝতে পারে না এবং তার অন্তরে এক দিক অপর দিক অপেক্ষা প্রবল হয় না। তবে যদি তার অন্তরে এক দিক অপর দিক অপেক্ষা প্রবল হয়, তাহলে এই রিওয়ায়াত তথা চিন্তা-ভাবনা করে প্রবল ধারণার উপরে আমল করবে।
অতএব আবু সাঈদ খুদ্রী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত শেষোক্ত মত পোষণকারীদের মতের অনুকূলে সাব্যস্ত হবে, তাঁদের বিরোধী মত পোষণকারীদের মতের অনুকূলে সাব্যস্ত হবে না। কারণ তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে যে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন এবং তাঁর প্রকার পরবর্তীতে তিনি (আবু সাঈদ খুদরী রা) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হলে যে উত্তর প্রদান করেছেন, তাতে উভয় বিষয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছেন। অনুরূপভাবে ‘তাহাররী’র বিষয়ে আনাস ইব্ন মালিক (রাযিঃ) থেকেও বর্ণিত আছেঃ
বস্তুত আমাদের উল্লিখিত বর্ণনা দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে আবু সাঈদ খুদ্রী (রাযিঃ) অনুচ্ছেদের প্রথমে যে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন, এটি তখন প্রযোজ্য হবে, যখন (মুসল্লী) তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে তা বুঝতে পারে না এবং তার অন্তরে এক দিক অপর দিক অপেক্ষা প্রবল হয় না। তবে যদি তার অন্তরে এক দিক অপর দিক অপেক্ষা প্রবল হয়, তাহলে এই রিওয়ায়াত তথা চিন্তা-ভাবনা করে প্রবল ধারণার উপরে আমল করবে।
অতএব আবু সাঈদ খুদ্রী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত শেষোক্ত মত পোষণকারীদের মতের অনুকূলে সাব্যস্ত হবে, তাঁদের বিরোধী মত পোষণকারীদের মতের অনুকূলে সাব্যস্ত হবে না। কারণ তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে যে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন এবং তাঁর প্রকার পরবর্তীতে তিনি (আবু সাঈদ খুদরী রা) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হলে যে উত্তর প্রদান করেছেন, তাতে উভয় বিষয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছেন। অনুরূপভাবে ‘তাহাররী’র বিষয়ে আনাস ইব্ন মালিক (রাযিঃ) থেকেও বর্ণিত আছেঃ
2523 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ , قَالَ: ثنا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , عَنْ سُلَيْمَانَ الْيَشْكُرِيِّ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: «فِي الْوَهْمِ يُتَحَرَّى» قَالَ: قُلْتُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا أَنَّ مَا رَوَاهُ أَبُو سَعِيدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا هُوَ إِذَا كَانَ لَا يَدْرِي أَثَلَاثًا صَلَّى أَمْ أَرْبَعًا؟ وَلَمْ يَكُنْ أَحَدُهُمَا أَغْلَبَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْآخَرِ. وَأَمَّا إِذَا كَانَ أَحَدُهُمَا أَغْلَبَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْآخَرِ , عَمِلَ عَلَى ذَلِكَ. فَقَدْ وَافَقَ مَا رُوِيَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لَمَّا جَمَعَ مَا رَوَاهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا أَجَابَ بِهِ الَّذِي سَأَلَهُ مِنْ بَعْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَالَ أَهْلُ هَذِهِ الْمَقَالَةِ الْأَخِيرَةِ , لَا مَا قَالَ مَنْ خَالَفَهُمْ. وَقَدْ رُوِيَ أَيْضًا عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي التَّحَرِّي مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫২৪
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫২৪। আবু বাক্রা (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
2524 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ، قَالَ: أنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، وَأَبُو عَوَانَةَ , عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫২৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৫২৬
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫২৫-২৫২৬। ইউনুস (রাহঃ) ..... সালিম ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রাযিঃ) বলতেনঃ “তোমাদের কারো সালাত আদায়কালে সন্দেহ সৃষ্টি হলে সে যেন (ভুলে যাওয়া সালাতে) ‘তাহাররী’ (চিন্তা-ভাবনা) করে, যে ধারণা করছে যে, সে সালাতে ভুল করেছে এবং (প্রবল ধারণা মতে আমল করে) সালাত আদায় করে, আর (শেষ বৈঠকে) বসা অবস্থায় দুই সিজ্দা (সাহো) করে নেয়”।
ইউনুস (রাহঃ).....সালিম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
ইউনুস (রাহঃ).....সালিম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
2525 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ , عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانَ يَقُولُ: «إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ , فَلْيَتَوَخَّ الَّذِي يَظُنُّ أَنَّهُ نَسِيَ مِنْ صَلَاتِهِ فَلْيُصَلِّهِ , وَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ»
2526 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سَالِمٍ، ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ
2526 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سَالِمٍ، ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫২৭
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫২৭। ইউনুস (রাহঃ).....নাফি‘ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, যখন সালাতে ভুলে যাওয়া সম্পর্কে আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হতো, তিনি বলতেন, “তোমাদের কেউ যেন তাহাররী (চিন্তা-ভাবনা) করে, যে ধারণা করেছে যে, সে সালাতে ভুল করেছে এবং ভুলকৃত সালাত (প্রবল ধারণা মতে) আদায় করে”।
2527 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ , عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانَ إِذَا سُئِلَ عَنِ النِّسْيَانِ فِي صَلَاةٍ يَقُولُ لِيَتَوَخَّ أَحَدُكُمُ الَّذِي ظَنَّ أَنَّهُ قَدْ نَسِيَ مِنْ صَلَاتِهِ , فَلْيُصَلِّهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫২৮
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫২৮। মুহাম্মাদ ইবনুল আব্বাস (রাহঃ) ..... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে সালাতে সন্দেহ হলে ‘তাহাররী’ (চিন্তা-ভাবনা) বিষয়ে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন, যা ইব্ন ওয়াহব (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে বিদ্যমান আছে, যা তিনি মালিক (রাহঃ) থেকে, তিনি উমর ইব্ন মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে এবং ইব্ন ওয়াহব থেকে এবং তিনি স্বয়ং উমর (রাযিঃ) থেকেও বর্ণনা করেছেন ।
দ্বিতীয় মত পোষণকারী আলিমদের পক্ষে ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
বস্তুত এ বিষয়ের (কমের উপরে ভিত্তি করা) যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ হলো নিম্নরূপঃ
আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সর্ববাদিসম্মত নীতি হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সালাত শুরু করার পূর্বে তার উপরে চার রাক’আত সালাত আদায় করা ফরয ছিল। আর সালাতে শুরু করার পরেও চার রাক’আত ফরয। যখন তার সালাতের কিছু অংশ আদায় করার বিষয়ে সন্দেহ হয়, তাহলে এ ব্যাপারে এর বিধান কি হবে জ্ঞাত হওয়ার জন্য চিন্তা-ভাবনা করা জরুরী। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, কারো যদি আদৌ সালাত আদায় করেছে কি-না, সে ব্যাপারে সন্দেহ হয়, তাহলে তাকে সালাত পুনর্বার পড়তে হবে, যাতে সালাত আদায় করার বিষয়ে সে নিশ্চিতরূপে জ্ঞাত হয়ে যায় এবং এ ব্যাপারে ‘তাহাররী’র (চিন্তা-ভাবনা) উপর আমল করবে না। অতএব যুক্তির দাবি মতে সালাতের প্রত্যেক অংশের ব্যাপারেও অনুরূপ বিধান প্রযোজ্য হবে; যা তার উপরে, ফরয ছিল এবং তা তার জন্য আদায় করা জরুরী ছিল, যাতে নিশ্চিত রূপে জানতে পারে যে, সে তা আদায় করেছে।
কেউ যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলে যে, তার উপরে তো (সালাত) ফরয হওয়ার (ইল্ম তথা জ্ঞান) ওয়াজিব নয়, যাতে সে নিশ্চিতরূপে জ্ঞাত হতে পারে যে, তা তার উপরে ওয়াজিব। (অতএব ‘তাহাররী’ জায়িয হওয়া উচিত)।
উত্তরে তাঁকে বলা হবে যে, সমগ্র ইবাদাত আমরা এমনটি পাইনি। (অর্থাৎ ইবাদাত ফরয হওয়ার জ্ঞান সমগ্র ইবাদাতে জরুরী নয়) বরং বন্দেগী প্রকাশ করা আমাদের উপরে জরুরী। (তবে কতেক ইবাদাতে নিশ্চিত জ্ঞান জরুরী, যেমন চাঁদ দেখার বিষয়) যদি শা’বান মাসের ত্রিশ তারিখ (২৯ তারিখে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার ফলে) আমাদের দৃষ্টির আড়াল হয়ে যায়, যা রামাযানের হওয়ারও সম্ভাবনা আছে, যাতে আমাদের জন্য এর সিয়াম পালন করা ওয়াজিব, আবার শা’বানের হওয়ারও সম্ভাবনা আছে, যাতে আমাদের জন্য এর সিয়াম পালন করা জরুরী নয়। তাই যতক্ষণ এটা রামাযানের চাঁদ বলে নিশ্চিত না হবে, ততক্ষণ আমাদের উপর সিয়াম পালন জরুরী নয়। নিশ্চিতরূপে জানার পর আমরা এর সিয়াম পালন করব। অনুরূপভাবে আমরা রামাযান মাসের শেষ (তারিখ) লক্ষ্য করেছি, যদি (২৯ তারিখ মেঘের কারণে) ত্রিশ তারিখ আমাদের দৃষ্টির আড়াল থেকে যায় যা রামাযানের হওয়ারও সম্ভাবনা আছে, যাতে আমাদের জন্য সিয়াম পালন করা ওয়াজিব, আবার এটি শাওয়ালের হওয়ারও সম্ভাবনা আছে, যার সিয়াম পালন করা আমাদের জন্য জরুরী নয় ।
বস্তুত এর সিয়াম পালনের জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যতক্ষণ আমরা নিশ্চিতরূপে জানতে না পারব যে, এর সিয়াম পালন আমাদের উপরে জরুরী নয়। অতএব প্রমাণিত হলো যে, কেউ যদি কোন কিছুতে নিশ্চিতরূপে প্রবেশ করে, তাহলে তার থেকে নিশ্চিত কোন কিছুর জ্ঞান ব্যতীত বের হওয়া যায়না।
সুতরাং এর ভিত্তিতে যুক্তির দাবি হচ্ছে যে, অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সালাতে নিশ্চিতরূপে প্রবেশ করেছে এবং নিশ্চিতভাবে সে জানে যে, এই সালাত তার উপরে জরুরী, তাহলে এই সালাত থেকে বের হওয়া বৈধ, এরূপ নিশ্চিত জ্ঞান ব্যতীত তার জন্য বের হওয়া বৈধ হবে না।
শাবান এবং রামাযান মাসে (আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার ফলে) চাঁদ দৃষ্টির আড়াল হওয়ার বিধান সম্পর্কিত সেই সমস্ত হাদীস, যা আমরা প্রমাণ রূপে গ্রহণ করেছি, এগুলো রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে মুতাওয়াতির রূপে বর্ণিত আছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি।
এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত কিছু হাদীসঃ
দ্বিতীয় মত পোষণকারী আলিমদের পক্ষে ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
বস্তুত এ বিষয়ের (কমের উপরে ভিত্তি করা) যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ হলো নিম্নরূপঃ
আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সর্ববাদিসম্মত নীতি হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সালাত শুরু করার পূর্বে তার উপরে চার রাক’আত সালাত আদায় করা ফরয ছিল। আর সালাতে শুরু করার পরেও চার রাক’আত ফরয। যখন তার সালাতের কিছু অংশ আদায় করার বিষয়ে সন্দেহ হয়, তাহলে এ ব্যাপারে এর বিধান কি হবে জ্ঞাত হওয়ার জন্য চিন্তা-ভাবনা করা জরুরী। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, কারো যদি আদৌ সালাত আদায় করেছে কি-না, সে ব্যাপারে সন্দেহ হয়, তাহলে তাকে সালাত পুনর্বার পড়তে হবে, যাতে সালাত আদায় করার বিষয়ে সে নিশ্চিতরূপে জ্ঞাত হয়ে যায় এবং এ ব্যাপারে ‘তাহাররী’র (চিন্তা-ভাবনা) উপর আমল করবে না। অতএব যুক্তির দাবি মতে সালাতের প্রত্যেক অংশের ব্যাপারেও অনুরূপ বিধান প্রযোজ্য হবে; যা তার উপরে, ফরয ছিল এবং তা তার জন্য আদায় করা জরুরী ছিল, যাতে নিশ্চিত রূপে জানতে পারে যে, সে তা আদায় করেছে।
কেউ যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলে যে, তার উপরে তো (সালাত) ফরয হওয়ার (ইল্ম তথা জ্ঞান) ওয়াজিব নয়, যাতে সে নিশ্চিতরূপে জ্ঞাত হতে পারে যে, তা তার উপরে ওয়াজিব। (অতএব ‘তাহাররী’ জায়িয হওয়া উচিত)।
উত্তরে তাঁকে বলা হবে যে, সমগ্র ইবাদাত আমরা এমনটি পাইনি। (অর্থাৎ ইবাদাত ফরয হওয়ার জ্ঞান সমগ্র ইবাদাতে জরুরী নয়) বরং বন্দেগী প্রকাশ করা আমাদের উপরে জরুরী। (তবে কতেক ইবাদাতে নিশ্চিত জ্ঞান জরুরী, যেমন চাঁদ দেখার বিষয়) যদি শা’বান মাসের ত্রিশ তারিখ (২৯ তারিখে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার ফলে) আমাদের দৃষ্টির আড়াল হয়ে যায়, যা রামাযানের হওয়ারও সম্ভাবনা আছে, যাতে আমাদের জন্য এর সিয়াম পালন করা ওয়াজিব, আবার শা’বানের হওয়ারও সম্ভাবনা আছে, যাতে আমাদের জন্য এর সিয়াম পালন করা জরুরী নয়। তাই যতক্ষণ এটা রামাযানের চাঁদ বলে নিশ্চিত না হবে, ততক্ষণ আমাদের উপর সিয়াম পালন জরুরী নয়। নিশ্চিতরূপে জানার পর আমরা এর সিয়াম পালন করব। অনুরূপভাবে আমরা রামাযান মাসের শেষ (তারিখ) লক্ষ্য করেছি, যদি (২৯ তারিখ মেঘের কারণে) ত্রিশ তারিখ আমাদের দৃষ্টির আড়াল থেকে যায় যা রামাযানের হওয়ারও সম্ভাবনা আছে, যাতে আমাদের জন্য সিয়াম পালন করা ওয়াজিব, আবার এটি শাওয়ালের হওয়ারও সম্ভাবনা আছে, যার সিয়াম পালন করা আমাদের জন্য জরুরী নয় ।
বস্তুত এর সিয়াম পালনের জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যতক্ষণ আমরা নিশ্চিতরূপে জানতে না পারব যে, এর সিয়াম পালন আমাদের উপরে জরুরী নয়। অতএব প্রমাণিত হলো যে, কেউ যদি কোন কিছুতে নিশ্চিতরূপে প্রবেশ করে, তাহলে তার থেকে নিশ্চিত কোন কিছুর জ্ঞান ব্যতীত বের হওয়া যায়না।
সুতরাং এর ভিত্তিতে যুক্তির দাবি হচ্ছে যে, অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সালাতে নিশ্চিতরূপে প্রবেশ করেছে এবং নিশ্চিতভাবে সে জানে যে, এই সালাত তার উপরে জরুরী, তাহলে এই সালাত থেকে বের হওয়া বৈধ, এরূপ নিশ্চিত জ্ঞান ব্যতীত তার জন্য বের হওয়া বৈধ হবে না।
শাবান এবং রামাযান মাসে (আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার ফলে) চাঁদ দৃষ্টির আড়াল হওয়ার বিধান সম্পর্কিত সেই সমস্ত হাদীস, যা আমরা প্রমাণ রূপে গ্রহণ করেছি, এগুলো রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে মুতাওয়াতির রূপে বর্ণিত আছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি।
এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত কিছু হাদীসঃ
2528 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَبَّاسِ بْنُ الرَّبِيعِ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي التَّحَرِّي فِي الشَّكِّ فِي الصَّلَاةِ بِمِثْلِ مَا فِي حَدِيثِ ابْنِ وَهْبٍ , عَنْ مَالِكٍ , عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدٍ وَعَنِ ابْنِ وَهْبٍ , عَنْ عُمَرَ نَفْسِهِ وَأَمَّا وَجْهُ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْأَصْلَ الْمُتَّفَقَ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ , أَنَّ هَذَا الرَّجُلَ قَبْلَ دُخُولِهِ فِي الصَّلَاةِ , قَدْ كَانَ عَلَيْهِ أَنْ يَأْتِيَ بِأَرْبَعِ رَكَعَاتٍ , فَلَمَّا شَكَّ فِي أَنْ يَكُونَ جَاءَ بِبَعْضِهَا , وَجَبَ النَّظَرُ فِي ذَلِكَ , لِيُعْلَمَ كَيْفَ كَانَ حُكْمُهُ. فَرَأَيْنَاهُ لَوْ شَكَّ فِي أَنْ يَكُونَ قَدْ صَلَّى , لَكَانَ عَلَيْهِ أَنْ يُصَلِّي حَتَّى يَعْلَمَ يَقِينًا أَنَّهُ قَدْ صَلَّى , وَلَا يَعْمَلُ فِي ذَلِكَ بِالتَّحَرِّي. فَكَانَ النَّظَرُ عَلَى هَذَا أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ هُوَ فِي كُلِّ شَيْءٍ مِنْ صَلَاتِهِ كَانَ ذَلِكَ عَلَيْهِ فَرْضًا , وَعَلَيْهِ أَنْ يَأْتِيَ بِهِ حَتَّى يَعْلَمَ يَقِينًا أَنَّهُ قَدْ جَاءَ بِهِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: إِنَّ الْفَرْضَ عَلَيْهِ غَيْرُ وَاجِبٍ , حَتَّى يَعْلَمَ يَقِينًا أَنَّهُ وَاجِبٌ عَلَيْهِ. قِيلَ لَهُ: لَيْسَ هَكَذَا وَجَدْنَا الْعِبَادَاتِ كُلَّهَا , لِأَنَّا قَدْ تَعَبَّدْنَا أَنَّهُ إِذَا أُغْمِيَ عَلَيْنَا فِي يَوْمِ ثَلَاثِينَ مِنْ شَعْبَانَ , فَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ مِنْ رَمَضَانَ , فَيَجِبُ عَلَيْنَا صَوْمُهُ , وَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ مِنْ شَعْبَانَ , فَلَا يَكُونُ عَلَيْنَا صَوْمُهُ , أَنَّهُ لَيْسَ عَلَيْنَا صَوْمُهُ , حَتَّى نَعْلَمَ يَقِينًا أَنَّهُ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ فَنَصُومُهُ. وَكَذَلِكَ رَأَيْنَا آخِرَ شَهْرِ رَمَضَانَ إِذَا أُغْمِيَ عَلَيْنَا فِي يَوْمِ الثَّلَاثِينَ , فَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ , فَيَكُونَ عَلَيْنَا صَوْمُهُ. وَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ مِنْ شَوَّالٍ فَلَا يَكُونُ عَلَيْنَا صَوْمُهُ , أُمِرْنَا بِأَنْ نَصُومَهُ , حَتَّى نَعْلَمَ يَقِينًا أَنَّهُ لَيْسَ عَلَيْنَا صَوْمُهُ. فَكَانَ مَنْ دَخَلَ فِي شَيْءٍ بِيَقِينٍ لَمْ يَخْرُجْ مِنْهُ إِلَّا بِيَقِينٍ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ مَنْ دَخَلَ فِي صَلَاةٍ بِيَقِينٍ , أَنَّهَا عَلَيْهِ لَمْ يَحِلَّ لَهُ الْخُرُوجُ مِنْهَا إِلَّا بِيَقِينٍ أَنَّهُ قَدْ حَلَّ لَهُ الْخُرُوجُ مِنْهَا. وَقَدْ جَاءَ مَا اسْتَشْهَدْنَا بِهِ مِنْ حُكْمِ الْإِغْمَاءِ فِي شَعْبَانَ , وَشَهْرِ رَمَضَانَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَوَاتِرًا كَمَا ذَكَرْنَاهُ
فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ
فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫২৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৩২
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫২৯-২৫৩২। আলী ইব্ন মা’বাদ (রাহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইব্ন জুবায়র (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেনঃ আমি নিতান্তই বিস্ময়বোধ করছি সেই সমস্ত লোকদের ব্যাপারে, যারা রামাযান (প্রমাণিত) হওয়ার পূর্বে সিয়াম পালন করে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা যখন চাঁদ দেখবে তখন সিয়াম পালন করবে এবং চাঁদ দেখেই ইফতার করবে (সিয়াম ছাড়বে) যদি (২৯ তারিখে) আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে (ফলে তোমরা চাঁদ দেখতে না পাও) তবে সংখ্যা ত্রিশ পূরা করবে।
আবু বাক্রা (রাহঃ) ..... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি তাঁকে (ﷺ) বলতে শুনেছি। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ইবরাহীম ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আবু বাক্রা (রাহঃ) ..... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি তাঁকে (ﷺ) বলতে শুনেছি। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ইবরাহীম ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
2529 - مَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ , قَالَ: ثنا زَكَرِيَّا , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنِ جُبَيْرٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ: إِنِّي لَأَعْجَبُ مِنَ الَّذِينَ يَصُومُونَ قَبْلَ رَمَضَانَ , إِنَّمَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا رَأَيْتُمُ الْهِلَالَ فَصُومُوا , وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا , فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَعُدُّوا ثَلَاثِينَ»
2530 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، قَالَ: ثنا عَمْرٌو، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ
2531 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا رَوْحٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
2532 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَكْرٍ، وَرَوْحٌ , قَالَا: ثنا حَاتِمُ بْنُ أَبِي صَغِيرَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى عِكْرِمَةَ , فَقَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ
2530 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، قَالَ: ثنا عَمْرٌو، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ
2531 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا رَوْحٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
2532 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَكْرٍ، وَرَوْحٌ , قَالَا: ثنا حَاتِمُ بْنُ أَبِي صَغِيرَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى عِكْرِمَةَ , فَقَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৩৪
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫৩৩-২৫৩৪। আবু বাক্রা (রাহঃ) ও ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... আবুল বাখ্তারী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা রামাযানের চাঁদ দেখেছি, (পরে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার জন্য) আমরা এক ব্যক্তিকে ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট পাঠালাম, সে তাঁকে জিজ্ঞাসা করল। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ “আল্লাহ্ তাআলা এটি (চাঁদ) কে দেখার জন্য প্রসারিত করেছেন। মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কারণে যদি চাঁদ তোমাদের দৃষ্টির আড়াল থেকে যায়, তাহলে তোমরা (ত্রিশ) সংখ্যকে পূর্ণ কর”।
2533 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ ح
2534 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ: رَأَيْنَا هِلَالَ رَمَضَانَ , فَأَرْسَلْنَا رَجُلًا إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَسَأَلَهُ , فَقَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللهَ قَدْ مَدَّهُ لِرُؤْيَتِهِ , فَإِذَا أُغْمِيَ عَلَيْكُمْ , فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ»
2534 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ: رَأَيْنَا هِلَالَ رَمَضَانَ , فَأَرْسَلْنَا رَجُلًا إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَسَأَلَهُ , فَقَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللهَ قَدْ مَدَّهُ لِرُؤْيَتِهِ , فَإِذَا أُغْمِيَ عَلَيْكُمْ , فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৩৮
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫৩৫-২৫৩৮। নসর ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ “যখন তোমরা চাঁদ দেখবে তখন সিয়াম পালন করবে এবং চাঁদ দেখেই ইফতার করবে (সিয়াম ছাড়বে)। আর যদি মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কারণে তোমাদের কাছে চাঁদ অদৃশ্য থেকে যায়, তাহলে তার জন্য নির্ধারণ করে নাও (ত্রিশ সংখ্যা পূর্ণ কর)”।
ইউনুস (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
ইউনুস (রাহঃ) ..... ইব্ন উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হুসাইন ইব্ন নাস্র (রাহঃ) ..... ইব্ন উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ইউনুস (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
ইউনুস (রাহঃ) ..... ইব্ন উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হুসাইন ইব্ন নাস্র (রাহঃ) ..... ইব্ন উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
2535 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا رَأَيْتُمُ الْهِلَالَ فَصُومُوا , وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا , فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ»
2536 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا وَهْبٌ، أَنَّ مَالِكًا، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ اللهِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2537 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: وَحَدَّثَنِي أُسَامَةُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
2538 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
2536 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا وَهْبٌ، أَنَّ مَالِكًا، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ اللهِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
2537 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: وَحَدَّثَنِي أُسَامَةُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
2538 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৫৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৪০
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫৩৯-২৫৪০। মুহাম্মাদ ইব্ন হুমায়দ আবু কুররা (রাহঃ) ..... সালিম (রাহঃ)-এর পিতার সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ইব্ন মা’বাদ (রাহঃ).....জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন। পরে তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন, তবে তিনি ‘তোমরা ত্রিশ সংখ্যা পূর্ণ কর’ বাক্যটি বলেছেন।
ইব্ন মা’বাদ (রাহঃ).....জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন। পরে তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন, তবে তিনি ‘তোমরা ত্রিশ সংখ্যা পূর্ণ কর’ বাক্যটি বলেছেন।
2539 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ أَبُو قُرَّةَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
2540 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، قَالَ: ثنا زَكَرِيَّا، قَالَ: ثنا أَبُو الزُّبَيْرِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرَ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «فَعُدُّوا ثَلَاثِينَ»
2540 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، قَالَ: ثنا زَكَرِيَّا، قَالَ: ثنا أَبُو الزُّبَيْرِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرَ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «فَعُدُّوا ثَلَاثِينَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান