শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২৪৮৬
৬৩. সফরে যানবাহনের উপর বিতর পড়া যাবে কি-না ?
২৪৮৬। ইউনুস (রাহঃ).....আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন: যানবাহনের গতি যেদিকে হত, সেদিকে হয়েই রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বাহনের উপরে সালাত আদায় করেছেন এবং তার উপরে বিতরও আদায় করতেন; কিন্তু তার উপরে তিনি ফরয সালাত আদায় করতেন না।
بَابُ الْوِتْرِ هَلْ يُصَلَّى فِي السَّفَرِ عَلَى الرَّاحِلَةِ أَمْ لَا؟
2486 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي عَلَى الرَّاحِلَةِ قِبَلَ أَيِّ وَجْهٍ تَوَجَّهَ , وَيُوتِرُ عَلَيْهَا , غَيْرَ أَنَّهُ لَا يُصَلِّي عَلَيْهَا الْمَكْتُوبَةَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৪৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৯
সফরে যানবাহনের উপর বিতর পড়া যাবে কি-না ?
২৪৮৭-২৪৮৯। ইউনুস (রাহঃ) ..... সাঈদ ইব্‌ন ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি একবার আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাযিঃ)-এর সঙ্গে মক্কার পথে সফর করছিলাম। যখন আমি সুব্‌হি সাদিক হয়ে যাওয়ার আশংকা করলাম তখন (বাহন থেকে) অবতরণ করলাম এবং বিতর আদায় করে নিলাম। পরে আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) আমাকে বললেন, কোথায় ছিলে ? আমি বললাম, আমি ফজর (সুবহি সাদিক) হয়ে যাওয়ার আশংকা করলাম; তাই (বাহন থেকে) অবতরণ করে বিতর আদায় করে নিলাম।
এতে আব্দুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর মাঝে কি তোমার জন্য উত্তম আদর্শ নিহিত নেই ? আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! তাতো অবশ্যই। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উটের উপরে বিতর আদায় করেছেন।

আবু বাকরা (রাহঃ).....ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নিজ বাহনের উপরে বিতর আদায় করেছেন ।
ইবরাহীম ইব্‌ন আবুল ওয়াযীর (রাহঃ) বলেন, আবু মা’শার ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম উপরোক্ত মত পোষণ করে বলেছেন যে, অপরাপর নফলের ন্যায় মুসাফিরের জন্য নিজ বাহনের উপর বিতর আদায় করাতে দোষ নেই। তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত উল্লিখিত হাদীসসমূহ এবং তাঁর পরে ইব্‌ন উমর (রাযিঃ)-এর আমল দ্বারা দলীল পেশ করেন ।
পক্ষান্তরে উক্ত বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরুদ্ধে মত পোষণ করে বলেনঃ কারো জন্য বাহনের উপরে বিতর পড়া জায়িয নয়! বরং তা ভূমিতে (অবতরণ করে) আদায় করবে, যেমনিভাবে ফরয সালাতের বেলায় করা হয়।
এ বিষয়ে তাঁরা নিম্মোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা দলীল পেশ করেনঃ
2487 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ قَالَ: كُنْتُ أَسِيرُ مَعَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا طَرِيقَ مَكَّةَ فَلَمَّا خَشِيتُ الصُّبْحَ , نَزَلْتُ فَأَوْتَرْتُ. فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , أَيْنَ كُنْتَ؟ فَقُلْتُ: خَشِيتُ الْفَجْرَ , فَنَزَلْتُ فَأَوْتَرْتُ. فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَوَلَيْسَ لَكَ فِي رَسُولِ اللهِ أُسْوَةٌ؟ فَقُلْتُ: بَلَى وَاللهِ. قَالَ: «فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُوتِرُ عَلَى الْبَعِيرِ»

2488 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ , قَالَا: ثنا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ الْعُمَرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ أَبِي الْحُبَابِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّهُ كَانَ يُوتِرُ عَلَى رَاحِلَتِهِ» قَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ:

2489 - وَحَدَّثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا , فَقَالُوا: لَا بَأْسَ بِأَنْ يُصَلِّيَ الْمُسَافِرُ الْوِتْرَ عَلَى رَاحِلَتِهِ , كَمَا يُصَلِّي سَائِرَ التَّطَوُّعِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ الْمَرْوِيَّةِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَبِفِعْلِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِنْ بَعْدِهِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يُصَلِّيَ الْوِتْرَ عَلَى الرَّاحِلَةِ وَأَنَّهُ يُصَلِّيهِ عَلَى الْأَرْضِ كَمَا يَفْعَلُ فِي الْفَرَائِضِ
وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৪৯০
সফরে যানবাহনের উপর বিতর পড়া যাবে কি-না ?
২৪৯০। ইয়াযীদ ইব্‌ন সিনান (রাহঃ) ).....ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নিজ বাহনের উপরে (নফল) সালাত আদায় করতেন এবং বিত্র আদায় করতেন ভূমিতে অবতরণ পূর্বক। আর তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অনুরূপ করতেন।
বস্তুত এটি প্রথমোক্ত আলিমদের উক্তির পক্ষে পেশ করা দলীলের পরিপন্থী, যা আমরা ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করে এসেছি। পক্ষান্তরে ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকে তাঁর আমল সম্পর্কে এর বিপরীতও বর্ণিত আছে যা পরবর্তী মত পোষণকারীদের অনুকূলে।
2490 - بِمَا حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , قَالَ: ثنا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ وَيُوتِرُ بِالْأَرْضِ , وَيَزْعُمُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَفْعَلُ كَذَلِكَ» فَهَذَا خِلَافُ مَا احْتَجَّ بِهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِقَوْلِهِمْ , فِيمَا قَدْ رَوَيْنَاهُ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَيْضًا , مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ , مِنْ فِعْلِهِ , مَا يُوَافِقُ هَذَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৪৯১
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৯৩
সফরে যানবাহনের উপর বিতর পড়া যাবে কি-না ?
২৪৯১-২৪৯৩। আবু বাক্‌রা (রাহঃ).....মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) সফর অবস্থায় নিজ উটের উপরে যেদিকে তার গতি হত, সেদিকে হয়ে সালাত আদায় করতেন। আর শেষ রাতে (বাহন থেকে) অবতরণ করে বিত্র আদায় করতেন।

আবু বাক্‌রা (রাহঃ).....মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে; তিনি বলেছেন ? আমি মক্কা এবং মদীনার মাঝে (সফরে) ইব্‌ন উমর (রাযিঃ)-এর সফর সাথী ছিলাম। তারপর তিনি পূর্বের অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।

ইবরাহীম ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে ….. ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে ।
তাঁরা বলেছেন, ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে আমরা যে হাদীস রিওয়ায়াত করেছি, সে হাদীসে এবং তাঁরই সূত্রে তাঁর আমল সংক্রান্ত যে হাদীস বর্ণনা করেছি, যা কি না প্রথমোক্ত আলিমরা কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের পরিপন্থী ।
বস্তুত প্রথমোক্ত মত পোষণকারী আলিমদের দলীল (মতামত) হলো যে, তাঁরা ইব্‌ন শিহাব যুহ্‌রী (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত (বাহনের উপরে বিত্‌র আদায় করা সংক্রান্ত) হাদীসকে হান্‌যালা (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত (ভূমিতে বিত্‌র পড়া সংক্রান্ত) হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক মনে করেন না। তবে তাঁরা ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকে ভূমিতে তাঁর বিত্‌র আদায় করা সংক্রান্ত যে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন; হতে পারে তিনি তা করেছেন এবং বিত্‌র বাহনের উপরে আদায় করাও জায়িয আছে, যেমনিভাবে নফল সালাত ভূমিতে আদায় করা জায়িয হওয়ার সাথে সাথে তা বাহনের উপরে আদায় করাও জায়িয। অতএব বাহনের উপরে তাঁর সালাত আদায় করায় বুঝা যাচ্ছে যে, তাঁর জন্য বাহনের উপরে সালাত আদায় করা জায়িয। আর ভূমিতে তাঁর সালাত আদায় করায় বাহনের উপরে সালাত আদায় করার অবৈধতার প্রমাণ বহন করে না। যেমনিভাবে নিম্নোক্ত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছেঃ
2491 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، وَبَكْرُ بْنُ بَكَّارٍ , قَالَا: ثنا عُمَرُ بْنُ ذَرٍّ، عَنْ مُجَاهِدٍ: «أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانَ يُصَلِّي فِي السَّفَرِ عَلَى بَعِيرِهِ أَيْنَ مَا تَوَجَّهَ بِهِ , فَإِذَا كَانَ فِي السَّحَرِ , نَزَلَ فَأَوْتَرَ»

2492 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ أَبِي عَبْدِ اللهِ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِيمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ , فَذَكَرَ نَحْوَهُ

2493 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا نَحْوَهُ قَالُوا: فَفِيمَا رَوَيْنَا , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَفِيمَا رَوَيْنَاهُ عَنْهُ , مِنْ فِعْلِهِ , مَا يُخَالِفُ مَا رَوَاهُ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِأَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَنَّهُمْ لَا يُعَارِضُونَ الزُّهْرِيَّ بِحَنْظَلَةَ. وَأَمَّا مَا رَوَاهُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِنْ وِتْرِهِ عَلَى الْأَرْضِ , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ فَعَلَ ذَلِكَ , وَلَهُ أَنْ يُوتِرَ عَلَى الرَّاحِلَةِ كَمَا يُصَلِّي تَطَوُّعًا عَلَى الْأَرْضِ , وَلَهُ أَنْ يُصَلِّيَهُ عَلَى الرَّاحِلَةِ , فَصَلَاتُهُ إِيَّاهُ عَلَى الرَّاحِلَةِ , تَدُلُّ عَلَى أَنَّ لَهُ أَنْ يُصَلِّيَهُ عَلَى الرَّاحِلَةِ , وَصَلَاتُهُ إِيَّاهُ عَلَى الْأَرْضِ , لَا تَنْفِي أَنْ يَكُونَ لَهُ أَنْ يُصَلِّيَهُ عَلَى الرَّاحِلَةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৪৯৪
সফরে যানবাহনের উপর বিতর পড়া যাবে কি-না ?
২৪৯৪। ফাহাদ (রাহঃ) ..... নাফি’ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) নিজ বাহনের উপরে বিত্‌র আদায় করতেন, আবার কখনো অবতরণ পূর্বক ভূমিতে বিত্‌র আদায় করতেন।
সম্ভবত মুজাহিদ (রাহঃ) তাঁকে ভূমিতে নেমে বিত্‌র আদায় করতে দেখেছেন। কিন্তু বাহনের উপরে বিত্‌র আদায় করার ব্যাপারে তাঁর মত কি ছিল তা তিনি জ্ঞাত ছিলেন না। সুতরাং তিনি তাঁর থেকে যা দেখেছেন যথা ভূমিতে বিত্‌র আদায় করার সংবাদ দিয়েছেন। আর তাঁর ভূমিতে বিত্‌র আদায় করা তাঁর বাহনের উপরেও বিত্‌র আদায় করাকে অস্বীকার করেনা। তারপর সালিম (রাহঃ), নাফি’ (রাহঃ) ও আবুল হুবাব (রাহঃ) তাঁরই (ইব্‌ন উমর রা) সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নিজ বাহনের উপরে বিত্‌র পড়তেন।
বস্তুত এ বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে বিশ্লেষণ হচ্ছে এই যে, সম্ভবত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিত্‌রের বিধান সুদৃঢ় ও কঠোর হওয়ার পূর্বে বাহনের উপরে বিত্‌র আদায় করতেন। তারপর পরবর্তীতে বিধান সুদৃঢ় হয়ে যায় এবং এটিকে বর্জনের অনুমতি দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে (ওয়াজিব হওয়া) তাঁর থেকে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ বর্ণিত আছেঃ
2494 - وَقَدْ حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ بْنُ عَمْرٍو , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ , عَنْ نَافِعٍ , قَالَ: كَانَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يُوتِرُ عَلَى رَاحِلَتِهِ , وَرُبَّمَا نَزَلَ فَأَوْتَرَ عَلَى الْأَرْضِ " فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مُجَاهِدٌ رَآهُ يُوتِرُ عَلَى الْأَرْضِ , وَلَمْ يَعْلَمْ كَيْفَ كَانَ مَذْهَبُهُ فِي الْوِتْرِ عَلَى رَاحِلَتِهِ , فَأَخْبَرَ بِمَا رَأَى مِنْهُ مِنْ وِتْرِهِ عَلَى الْأَرْضِ. وَوِتْرُهُ عَلَى الْأَرْضِ فِيمَا لَا يَنْفِي أَنْ يَكُونَ قَدْ كَانَ يُوتِرُ عَلَى الرَّاحِلَةِ أَيْضًا. ثُمَّ جَاءَ سَالِمٌ , وَنَافِعٌ , وَأَبُو الْحُبَابِ , فَأَخْبَرُوا عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ يُوتِرُ عَلَى رَاحِلَتِهِ. وَالْوَجْهُ عِنْدَنَا فِي ذَلِكَ أَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَانَ يُوتِرُ عَلَى الرَّاحِلَةِ قَبْلَ أَنْ يَحْكُمَ الْوِتْرَ وَيُغَلِّظَ أَمْرَهُ , ثُمَّ أُحْكِمَ بَعْدُ , وَلَمْ يُرَخِّصْ فِي تَرْكِهِ
فَرُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৪৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৯৬
সফরে যানবাহনের উপর বিতর পড়া যাবে কি-না ?
২৪৯৫-২৪৯৬। আহমদ ইব্‌ন আব্দুর রহমান (রাহঃ).....আলী ইব্‌ন আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রাতের (তাহাজ্জুদ) সালাত আদায় করতেন, আর আয়েশা (রাযিঃ) তাঁর সম্মুখে প্রস্থ হয়ে শুয়ে থাকতেন। যখন তিনি বিত্‌র আদায় করার ইচ্ছা পোষণ করতেন, তখন তাঁকে সরে যাওয়ার জন্য ইঙ্গিত করতেন এবং বলতেন “এটি এরূপ সালাত, যা তোমাদেরকে অতিরিক্ত প্রদান করা হয়েছে”

আব্দুর রহমান ইবনুল জারুদ (রাহঃ) ..... মুসা ইব্‌ন আইয়্যুব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
2495 - مَا حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنُ وَهْبٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي عَمِّي عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ أَيُّوبَ الْغَافِقِيُّ , عَنْ عَمِّهِ إِيَاسِ بْنِ عَامِرٍ , عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ , وَعَائِشَةُ مُعْتَرِضَةٌ بَيْنَ يَدَيْهِ , فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يُوتِرَ أَوْمَى إِلَيْهَا أَنْ تَنَحَّيْ , وَقَالَ: «هَذِهِ صَلَاةٌ زِدْتُمُوهَا»

2496 - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْجَارُودِ، قَالَ: ثنا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ أَيُّوبَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادٍ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৪৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৯৮
সফরে যানবাহনের উপর বিতর পড়া যাবে কি-না ?
২৪৯৭-২৪৯৮। ইউনুস (রাহঃ) ..... খারিজা ইব্‌ন হুযাফা আদবী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ “আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য একটি সালাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। লাল বর্ণের বহু উট থেকেও তা তোমাদের জন্য অধিকতর কল্যাণকর। ইশার সালাত ও সুবহি সাদিক উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ে। এই সালাতটি হল বিত্‌র, বিত্‌র”।

ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ..... ইয়াযীদ ইব্‌ন আবী হাবীব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
2497 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ، وَاللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَاشِدٍ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ حُذَافَةَ الْعَدَوِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ اللهَ قَدْ أَمَدَّكُمْ بِصَلَاةٍ , هِيَ خَيْرٌ لَكُمْ مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ , مَا بَيْنَ صَلَاةِ الْعِشَاءِ إِلَى طُلُوعِ الْفَجْرِ الْوِتْرَ الْوِتْرَ»

2498 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৪৯৯
সফরে যানবাহনের উপর বিতর পড়া যাবে কি-না ?
২৪৯৯। আলী ইব্‌ন শায়বা (রাহঃ) ..... রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর জনৈক সাহাবী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছেন যে, আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য এমন একটি সালাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তোমরা তা ইশার সালাত ও ফজরের সালাতের মধ্যবর্তী সময়ে আদায় কর। আর সে সালাতটি হল বিত্‌র, আর সে সালাতটি হল বিত্‌র। আর সেই সাহাবী হলেন আবু বাস্‌রা আল-গিফারী (রাযিঃ) । রাবী আবু তামীম (রাহঃ) বলেন, আমি এবং আবু যর (রাযিঃ) বসা ছিলাম। আবু যর (রাযিঃ) আমার হাত ধরলেন । তারপর আমরা আবু বাস্‌রা (রাযিঃ)-এর সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে চললাম। আমরা তাঁকে সে দরজার কাছে পেলাম যা আমর ইব্‌নুল আস (রাযিঃ)-এর বাড়ীর নিকটবর্তী । আবু যর (রাযিঃ) বললেন, হে আবু বাস্‌রা! তুমি কি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছ যে, আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য এমন একটি সালাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তা তোমরা ইশার সালাত ও সুবহি সাদিকের মধ্যবর্তী সময়ে আদায় কর ? আর সে সালাতটি হল বিত্‌র, বিত্‌র। আবু বাস্‌রা (রাযিঃ) বললেন, হ্যাঁ, (আমি শুনেছি), তিনি বললেন, তুমি তা শুনেছ ? তিনি বললেন, হ্যাঁ (শুনেছি)। তিনি (আবু যর) বললেন, তুমি কি বলছ যে, আমি তাঁকে (ﷺ) তা বলতে শুনেছি ? তিনি (আবু বাস্‌রা) বললেন, হ্যাঁ শুনেছি।
বস্তুত এ হাদীসসমূহে বিত্‌রের বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাগিদ দেয়া হয়েছে এবং কারো জন্য তা বর্জনের অনুমতি দেয়া হয় নি। অথচ ইতিপূর্বে তা এরূপ গুরুত্ববহ ও তাগিদযুক্ত ছিল না। সম্ভবত ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার কর্তৃক বাহনের উপরে বিত্‌র আদায় করা তা গুরুত্ববহ ও তাগিদযুক্ত হওয়ার পূর্বের ঘটনা ছিল । তারপর তা গুরুত্ববহ (ওয়াজিব) হয়ে রুখসত তথা (বাহনের উপর আদায়ের) অনুমতি রহিত হয়ে গিয়েছে । (সুতরাং বিত্‌র ওয়াজিবরূপে সাব্যস্ত হবে)।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
বস্তুত আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সর্ববাদিসম্মত নীতি হচ্ছে, দাঁড়ানোর শক্তি থাকা সত্ত্বেও কারো জন্য ফরয সালাত বসে আদায় করা জায়িয নয় এবং দাঁড়ানো ও অবতরণের সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সফরে নিজ বাহনের উপরে ফরয সালাত আদায় করা তার জন্য জায়িয হবে না। আমরা আরো লক্ষ্য করেছি যে, কোন ব্যক্তি (দাঁড়ানোর সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও) নফল সালাত ভূমিতে বসে আদায় করে এবং সফরে নিজ বাহনের উপরে তা আদায় করে, আর এটি জায়িয। অতএব দাঁড়ানোর সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে সালাত বসে আদায় করা হয়, সেটি সফরেও নিজ বাহনের উপরে আদায় করা যাবে। পক্ষান্তরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে সালাত বসে আদায় করা যায় না, সেটি সফরে নিজ বাহনের উপরে আদায় করা যাবে না। আর এটিই হচ্ছে সর্ববাদিসম্মত নীতি ।
তারপর আমরা বিত্‌রের বিষয়টি লক্ষ্য করেছি যে, বিত্‌রের ব্যাপারে তাঁদের (আলিমদের) ঐকমত্য হচ্ছে যে, দাঁড়ানোর সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কারো জন্য তা ভূমিতে বসে আদায় করা জায়িয হবে না। অতএব যুক্তির দাবি হচ্ছে, সে সফরের বাহনের উপরে বিত্‌র আদায় করতে পারবে না, যদি সে অবতরণের সামর্থ্য রাখে।
এরই প্রেক্ষিতে আমার নিকট প্রমাণিত হয়ে গেল যে, বাহনের উপরে বিত্‌র আদায় করা রহিত হয়ে গিয়েছে। আর এতে বিত্‌র ফরয কিংবা নফল হওয়ার কোন দলীল নেই। এটিই হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর উক্তি ও অভিমত।
2499 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنِ ابْنِ هُبَيْرَةَ أَنَّ أَبَا تَمِيمٍ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَالِكٍ الْجَيَشَانِيَّ , أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُولُ: أَخْبَرَنِي رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ اللهَ قَدْ زَادَكُمْ صَلَاةً فَصَلُّوهَا , مَا بَيْنَ الْعِشَاءِ إِلَى صَلَاةِ الصُّبْحِ , الْوِتْرَ الْوِتْرَ» أَلَا وَأَنَّهُ أَبُو بَصْرَةَ الْغِفَارِيُّ. قَالَ أَبُو تَمِيمٍ , فَكُنْتُ أَنَا وَأَبُو ذَرٍّ قَاعِدَيْنِ فَأَخَذَ أَبُو ذَرٍّ بِيَدِي , فَانْطَلَقْنَا إِلَى أَبِي بَصْرَةَ , فَوَجَدْنَاهُ عِنْدَ الْبَابِ الَّذِي عَلَى دَارِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. فَقَالَ أَبُو ذَرٍّ: يَا أَبَا بَصْرَةَ أَنْتَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ اللهَ زَادَكُمْ صَلَاةً فَصَلُّوهَا , فِيمَا بَيْنَ الْعِشَاءِ إِلَى طُلُوعِ الْفَجْرِ , الْوِتْرَ الْوِتْرَ» ؟ فَقَالَ أَبُو بَصْرَةَ: نَعَمْ , قَالَ: أَنْتَ سَمِعْتَهُ. قَالَ: نَعَمْ , قَالَ: أَنْتَ تَقُولُ سَمِعْتَهُ يَقُولُ؟ قَالَ: نَعَمْ فَأَكَّدَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ أَمْرَ الْوِتْرِ , وَلَمْ يُرَخِّصْ لِأَحَدٍ فِي تَرْكِهِ , وَقَدْ كَانَ قَبْلَ ذَلِكَ , لَيْسَ فِي التَّأْكِيدِ كَذَلِكَ. فَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَا رَوَى ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ وِتْرِهِ , عَلَى الرَّاحِلَةِ , كَانَ ذَلِكَ مِنْهُ قِبَلِ تَأْكِيدِهِ إِيَّاهُ , ثُمَّ أَكَّدَهُ مِنْ بَعْدِ نَسْخِ ذَلِكَ. وَقَدْ رَأَيْنَا الْأَصْلَ الْمُجْتَمَعَ عَلَيْهِ أَنَّ الصَّلَاةَ الْمَفْرُوضَةَ , لَيْسَ لِلرَّجُلِ أَنْ يُصَلِّيَهَا قَاعِدًا , وَهُوَ يُطِيقُ الْقِيَامَ , وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُصَلِّيَهَا فِي سَفَرِهِ عَلَى رَاحِلَتِهِ , وَهُوَ يُطِيقُ الْقِيَامَ وَالنُّزُولَ. وَرَأَيْنَاهُ يُصَلِّي التَّطَوُّعَ عَلَى الْأَرْضِ قَاعِدًا , وَيُصَلِّيهِ فِي سَفَرِهِ عَلَى رَاحِلَتِهِ. فَكَانَ الَّذِي يُصَلِّيهِ قَاعِدًا وَهُوَ يُطِيقُ الْقِيَامَ , هُوَ الَّذِي يُصَلِّيهِ فِي السَّفَرِ عَلَى رَاحِلَتِهِ , وَالَّذِي لَا يُصَلِّيهِ قَاعِدًا وَهُوَ يُطِيقُ الْقِيَامَ , هُوَ الَّذِي لَا يُصَلِّيهِ فِي السَّفَرِ عَلَى رَاحِلَتِهِ , هَكَذَا الْأُصُولُ الْمُتَّفَقُ عَلَيْهَا. ثُمَّ كَانَ الْوِتْرُ بِاتِّفَاقِهِمْ , لَا يُصَلِّيهِ الرَّجُلُ عَلَى الْأَرْضِ قَاعِدًا وَهُوَ يُطِيقُ الْقِيَامَ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ لَا يُصَلِّيَهُ فِي سَفَرِهِ عَلَى الرَّاحِلَةِ وَهُوَ يُطِيقُ النُّزُولَ. فَمِنْ هَذِهِ الْجِهَةِ عِنْدِي ثَبَتَ نَسْخُ الْوِتْرِ عَلَى الرَّاحِلَةِ , وَلَيْسَ فِي هَذَا دَلِيلٌ , عَلَى أَنَّهُ فَرِيضَةٌ وَلَا تَطَوُّعٌ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান