শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২৩৬০
৬০. নফল আদায়কারীর পিছনে ফরজ আদায় করা
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, মু'আয ইব্‌ন জাবাল (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে ইশার সালাত পড়তেন তারপর তিনি নিজ গােত্র বনু সালিমায় গিয়ে নিজ গােত্রের লােকদেরকে নিয়ে উক্ত সালাত পড়াতেন। এটি আমরা ‘মাগরিবের সালাতের কিরাআত ‘অনুচ্ছেদে' উল্লেখ করেছি।
একদল আলিম এ মত পােষণ করেছেন যে, কেউ নফল সালাত পড়লে তার পিছনে ফরয আদায়কারী
ইকতিদা করতে পারবে এবং তারা এ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর
আলিমগণ তাঁদের বিরােধিতা করে বলেছেনঃ নফল আদায়কারীর পিছনে ফরয আদায় কারীর জন্য ইতিদা করা জায়িয নেই এবং তারা বলেছেনঃ মু'আয (রাযিঃ)-এর এ-হাদীসে এ বিষয়ের উল্লেখ নেই যে, তিনি নিজ গােত্রের লােকদের নিয়ে যে সালাত পড়েছেন এটি তার জন্য নফল কিংবা ফরয ছিলাে। হতে পারে তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে নফল পড়েছেন তারপর নিজ গােত্রে এসে তাদের নিয়ে ফরয পড়েছেন। যদি ব্যাপার এরূপ হয়ে থাকে তাহলে এ হাদীস তােমাদের স্বপক্ষে দলীল হবে না। অথবা সম্ভাবনা রয়েছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে ফরয আদায় করেছেন তারপর নিজ গােত্রের লােকদের নিয়ে নফল আদায় করেছেন, যেমন তােমরা উল্লেখ করেছ। যখন এ হাদীসে উভয় অর্থের সম্ভাবনা রয়েছে তাই একটি অপরটির উপর প্রাধান্য পেতে পারে না এবং কোন রূপ প্রমাণ ব্যতীত হাদীসের এক অর্থ পরিত্যাগ করে অন্য অর্থ গ্রহণ করা কারো জান্য সংগত হবে না।
প্রথম দল আলেমগণ বলেছেনঃ আমরা অবশ্যই কোন কোন হাদীসে পেয়েছি যে তিনি নিজ গোত্রের লোকদের নিয়ে যে সালাত পড়েছেন তা নফল ছিল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে যে সালাত পড়েছেন তা ফরজ ছিল। আর তারা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসটি পেশ করেছেনঃ
২৩৬০। ইবরাহীম ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ..... আমর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমাকে জাবির (রাযিঃ) খবর দিয়েছেন যে, “মুআ'য (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে ইশা'র সালাত আদায় করতেন। তারপর নিজ গোত্রের নিকট গিয়ে তাদেরকে নিয়ে উক্ত সালাত পড়তেন। তা হতাে তার জন্য নফল এবং তাদের জন্য ফরয।
(ক) তাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দল আলিমদের দলীল হচ্ছে এই যে, আমর ইবন দীনার (রাহঃ) থেকে এ হাদীসটি যেমনিভাবে ইবুন জুরায়জ (রাহঃ) রিওয়ায়াত করেছেন অনুরূপভাবে ইবুন উয়ায়না (রাহঃ) রিওয়ায়াত করেছেন। এবং তিনি এটিকে ইব্‌ন জুরায়জ (রাহঃ) অপেক্ষা পরিপূর্ণ ও উত্তম রূপে রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু এতে তিনি সেই বাক্যটি বলেননি যা ইবন জুরায়জ (রাহঃ) বলেছেন অর্থাৎ “তা হতাে তার জন্য নফল এবং তাদের জন্য ফরয”। অতএব সম্ভাবনা রয়েছে যে, এটি হয়তাে ইবন জুরায়জ (রাহঃ) অথবা আমর ইবন দীনার (রাহঃ) অথবা জাবির (রাযিঃ)-এর উক্তি । তিনজনের যার উক্তি-ই হউক না কেন এতে কিন্তু মু'আয (রাযিঃ)-এর কর্মের স্বরূপ উৎঘাটনের কোন দলীল বিদ্যমান নেই যে, এটি এরূপ ছিলাে বা ছিল না (অর্থাৎ তার সালাত নফল ছিলাে অথবা ফরয) যেহেতু তারা কেউ মু'আয (রাযিঃ)-এর উক্তি উদ্ধৃত করেননি বরং তারা নিজ নিজ উক্তি ব্যক্ত করেছেন যে তা অনুরূপ ছিলো। বাস্তব ঘটনা এর পরিপন্থী হতে পারে। আর যদি ধরে নেয়া হয় যে, এটি
মু'আয (রাযিঃ) থেকে প্রমাণিত, তাহলেও এতে কোন রূপ দলীল-বিদ্যামান নেই যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নির্দেশে ঘটেছিলাে এবং এটিও প্রমাণিত নয় যে, যদি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে এ সম্পর্কে বলা হতো তাহলে তিনি তাঁকে এর উপর বহাল রাখতেন অথবা তাকে অন্য কোন হুকুম করতেন।
ইবনে উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-কে যখন রিফাআ ইবন রাফি' (রাযিঃ) সংবাদ দিলেন যে, তাঁরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে স্ত্রী সহবাস করতেন এবং তাঁরা বীর্য স্খলন না হওয়া পর্যন্ত গোসল করতেন না। তাদের কে উমর (রাযিঃ) বললেন, এ বিষয়ে তােমরা কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে অবহিত করেছিলে এবং এ বিষয়ে তিনি তোমাদের জন্য সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন? তিনি বললেন, না। এটিকে উমর (রাযিঃ) দলীল হিসাবে গ্রহণ করেননি। অনুরূপভাবে এ কর্মটিও। যদি প্রমাণিত হয় যে, মুআয (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যুগে এটি করেছেন, এতে কিন্তু কোনরূপ দলীল নেই যে, এটি তিনি রাসূলুল্লাহ্-এর নির্দেশে করেছেন।
(খ) বরং অবশ্যই আমরা রাসূলুল্লাহ থেকে এর পরিপন্থী রিওয়ায়াত করেছি ।
بَابُ الرَّجُلِ يُصَلِّي الْفَرِيضَةَ خَلْفَ مَنْ يُصَلِّي تَطَوُّعًا قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: رُوِيَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , «أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ كَانَ يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِشَاءَ» , ثُمَّ يَرْجِعُ فَيُصَلِّيَهَا بِقَوْمِهِ فِي بَنِي أَسْلَمَةَ. وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ بِإِسْنَادِهِ فِي بَابِ الْقِرَاءَةِ فِي صَلَاةِ الْمَغْرِبِ. فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ يُصَلِّي النَّافِلَةَ , وَيَأْتَمَّ بِهِ مَنْ يُصَلِّي الْفَرِيضَةَ , وَاحْتَجُّوا بِهَذَا الْأَثَرِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا يَجُوزُ لِرَجُلٍ أَنْ يُصَلِّيَ فَرِيضَةً خَلْفَ مَنْ يُصَلِّي نَافِلَةً. وَقَالُوا: لَيْسَ فِي حَدِيثِ مُعَاذٍ هَذَا أَنَّ مَا كَانَ يُصَلِّيهِ بِقَوْمِهِ , كَانَ نَافِلَةً لَهُ أَوْ فَرِيضَةً. فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ , كَانَ يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَافِلَةً , ثُمَّ يَأْتِي قَوْمَهُ فَيُصَلِّي بِهِمْ فَرِيضَةً , فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , فَلَا حُجَّةَ لَكُمْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ. وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ كَانَ يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرِيضَةً , ثُمَّ يُصَلِّي بِقَوْمِهِ تَطَوُّعًا كَمَا ذَكَرْتُمْ. فَلَمَّا كَانَ هَذَا الْحَدِيثُ يَحْتَمِلُ الْمَعْنَيَيْنِ , لَمْ يَكُنْ أَحَدُهُمَا أَوْلَى مِنَ الْآخَرِ , وَلَمْ يَكُنْ لِأَحَدٍ أَنْ يَصْرِفَهُ إِلَى أَحَدِ الْمَعْنَيَيْنِ دُونَ الْمَعْنَى الْآخَرِ إِلَّا بِدَلَالَةٍ تَدُلُّهُ عَلَى ذَلِكَ.
فَقَالَ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى: فَإِنَّا قَدْ وَجَدْنَا فِي بَعْضِ الْآثَارِ أَنَّ مَا كَانَ يُصَلِّيهِ بِقَوْمِهِ هُوَ تَطَوُّعٌ , وَأَنَّ مَا كَانَ يُصَلِّيهِ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرِيضَةٌ
وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ ,
2360 - مَا حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ , عَنْ عَمْرٍو , قَالَ: أَخْبَرَنِي جَابِرٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «أَنَّ مُعَاذًا كَانَ يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِشَاءَ , ثُمَّ يَنْصَرِفُ إِلَى قَوْمِهِ فَيُصَلِّيَهَا بِهِمْ , هِيَ لَهُ تَطَوُّعٌ , وَلَهُمْ فَرِيضَةٌ» فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِلْآخَرِينَ عَلَيْهِمْ , أَنَّ ابْنَ عُيَيْنَةَ قَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , كَمَا رَوَاهُ ابْنُ جُرَيْجٍ , وَجَاءَ بِهِ تَامًّا , وَسَاقَهُ أَحْسَنَ مِنْ سِيَاقِ ابْنِ جُرَيْجٍ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ فِيهِ , هَذَا الَّذِي قَالَهُ ابْنُ جُرَيْجٍ «هِيَ لَهُ تَطَوُّعٌ , وَلَهُمْ فَرِيضَةٌ» . فَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ مِنْ قَوْلِ ابْنِ جُرَيْجٍ , وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مِنْ قَوْلِ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مِنْ قَوْلِ جَابِرٍ. فَمِنْ أَيِّ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةِ كَانَ الْقَوْلُ , فَلَيْسَ فِيهِ دَلِيلٌ عَلَى حَقِيقَةِ فِعْلِ مُعَاذٍ أَنَّهُ كَذَلِكَ , أَمْ لَا , لِأَنَّهُمْ لَمْ يَحْكُوا ذَلِكَ عَنْ مُعَاذٍ , إِنَّمَا قَالُوا قَوْلًا , عَلَى أَنَّهُ عِنْدَهُمْ كَذَلِكَ , وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ فِي الْحَقِيقَةِ بِخِلَافِ ذَلِكَ. وَلَوْ ثَبَتَ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ مُعَاذٍ , لَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّهُ كَانَ بِأَمْرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَلَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ أَخْبَرَهُ بِهِ لَأَقَرَّهُ عَلَيْهِ أَوْ غَيْرُهُ. وَهَذَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا لَمَّا أَخْبَرَهُ رِفَاعَةُ بْنُ رَافِعٍ أَنَّهُمْ كَانُوا يُجَامِعُونَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا يَغْتَسِلُونَ , حَتَّى يُنْزِلُوا. فَقَالَ لَهُمْ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: فَأَخْبَرْتُمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ , فَرَضِيَهُ لَكُمْ؟ , قَالَ: لَا , فَلَمْ يَجْعَلْ ذَلِكَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ حُجَّةً. فَكَذَلِكَ هَذَا الْفِعْلُ , لَوْ ثَبَتَ أَنَّ مُعَاذًا فَعَلَهُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّهُ بِأَمْرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ رَوَيْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:২৩৬৩
নফল আদায়কারীর পিছনে ফরজ আদায় করা
২৩৬৩। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ)... যুবায়দ ইবনে সালত (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
উমর (রাযিঃ) বলেছেনঃ 'আমার সন্দেহ হয় যে, আমার স্বপ্নদোষ হয়েছে এবং আমি বুঝতে পারছিলাম না, তাই গােসল ব্যতীত সালাত পড়ে নিয়েছি। তারপর তিনি বলেনঃ (কাপড়ের যে স্থানে নাপাকির চিহ্ন দেখেছি তা ধুয়ে ফেলেছি, আর যে স্থানে দেখিনি তাতে পানি ছিটিয়ে দিয়েছি। পরে তিনি দাঁড়িয়ে ধীরে-সুস্থে সালাত পুনঃ পড়েছেন, অপন সূর্য উপরে উঠে গিয়েছে।
2363 - مَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ الْغُدَانِيُّ قَالَ: أنا زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ زُبَيْدِ بْنِ الصَّلْتِ , قَالَ: قَالَ عُمَرُ: «أُرَانِي قَدِ احْتَلَمْتُ وَمَا شَعَرْتُ , وَصَلَّيْتُ وَمَا اغْتَسَلْتُ» ثُمَّ قَالَ: «أَغْتَسِلُ مَا رَأَيْتُ وَأَنْضَحُ مَا لَمْ أَرَ» ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى مُتَمَكِّنًا وَقَدِ ارْتَفَعَ الضُّحَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৬৪
নফল আদায়কারীর পিছনে ফরজ আদায় করা
২৩৬৪। ইউনুস (রাহঃ)... যুবায়দ ইবন সাত (ব)-থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার
উমর (রাযিঃ)-এর সাথে বের হলাম এবং লক্ষ্য করলাম তাঁর স্বপ্নদোষ হয়েছে। পরে তিনি সালাত পড়েছেন এবং গােসল করেননি। তিনি বলেনঃ আল্লাহর কসম, আমার সন্দেহ হয়েছে যে, স্বপ্নদোষ হয়েছে এবং আমি বুঝতে পারছিলাম না, তাই গােসল ব্যতীত সালাত পড়ে নিয়েছি। রাবী বলেনঃ তিনি গােসল করেছেন, কাপড়ের যেস্থানে নাপাকি দেখেছেন তা ধুয়েছেন এবং যে স্থানে দেখননি তাতে পানি ছিটিয়ে দিয়েছেন। পরে আযান ও ইকামত দিয়ে সূর্য উঁচু হওয়ার পর ধীরে-সুস্থে সালাত পুনঃ পড়েছেন।
বস্তুত এতে বুঝা গেল যে, উমর (রাযিঃ) নিশ্চিত রূপে জানতেন না যে, সালাতের পূর্বে তাঁর অপবিত্রতা ছিলাে। উমর (রাযিঃ) অবশ্যই জানতেন যে, ইমামের সালাত বিনষ্ট হওয়ার দ্বারা মুকতাদীর সালাত বিনষ্ট হয়ে যায়-এর উপর দলীলঃ
2364 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زُبَيْدِ بْنِ الصَّلْتِ، أَنَّهُ قَالَ: خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَنَظَرْنَا , فَإِذَا هُوَ قَدِ احْتَلَمَ , فَصَلَّى وَلَمْ يَغْتَسِلْ فَقَالَ: «وَاللهِ مَا أُرَانِي إِلَّا وَقَدِ احْتَلَمْتُ وَمَا شَعَرْتُ , وَصَلَّيْتُ وَمَا اغْتَسَلْتُ» . قَالَ: فَاغْتَسَلَ وَغَسَلَ مَا رَأَى فِي ثَوْبِهِ , وَنَضَحَ مَا لَمْ يَرَ , وَأَذَّنَ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ , ثُمَّ صَلَّى , بَعْدَمَا ارْتَفَعَ الضُّحَى , مُتَمَكِّنًا فَدَلَّ هَذَا عَلَى أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , لَمْ يَكُنْ تَيَقَّنَ بِأَنَّ الْجَنَابَةَ كَانَتْ مِنْهُ قَبْلَ الصَّلَاةِ. وَالدَّلِيلُ عَلَى أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ كَانَ يَرَى أَنَّ صَلَاةَ الْمَأْمُومِ تَفْسُدُ بِفَسَادِ صَلَاةِ الْإِمَامِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৬৫
নফল আদায়কারীর পিছনে ফরজ আদায় করা
২৩৬৫। মুহাম্মাদ ইব্‌ন নো’মান (রাহঃ)….. হাম্মাম ইব্‌ন হারিস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার উমর (রাযিঃ) মাগরিবের সালাতে কিরা’আত ভুলে গিয়েছিলেন। পরে তাদের (মুকতাদী)-কে নিয়ে পুনঃ সালাত পড়েছেন । কিরা’আত পরিত্যাগের কারণে যখন উমর (রাযিঃ) তাদেরকে নিয়ে সালাত পুন পড়েছেন, অথচ কিরা’আত পরিত্যাগের কারণে সালাত বিনষ্ট হওয়ার ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে, তাহলে যখন তিনি অপবিত্র অবস্থায় তাদের নিয়ে সালাত পড়েছেন এসময় তো তাঁর জন্য তাদেরকে নিয়ে পুনঃ সালাত পড়া অধিকতর কাম্য ছিল।
কেউ যদি বলে যে, উমর (রাযিঃ) থেকে এর পরিপন্থী বর্ণনাও রয়েছে। প্রশ্নকারী নিম্নোক্ত হাদীস উল্লেখ করেছেনঃ
2365 - أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى , قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ , قَالَ: ثنا الْأَعْمَشُ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ: «أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ نَسِيَ الْقِرَاءَةَ فِي صَلَاةِ الْمَغْرِبِ , فَأَعَادَ بِهِمُ الصَّلَاةَ» فَلَمَّا أَعَادَ بِهِمْ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ الصَّلَاةَ لِتَرْكِهِ الْقِرَاءَةَ، وَفِي فَسَادِ الصَّلَاةِ بِتَرْكِ الْقِرَاءَةِ اخْتِلَافٌ، كَانَ إِذَا صَلَّى بِهِمْ جُنُبًا أَحْرَى أَنْ يُعِيدَ بِهِمُ الصَّلَاةَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُمَرَ خِلَافُ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৬৬
নফল আদায়কারীর পিছনে ফরজ আদায় করা
২৩৬৬। বকর ইব্‌ন ইদ্‌রিস (রাহঃ)..... মুহাম্মাদ ইব্‌ন ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, জনৈক ব্যক্তি উমর (রাযিঃ)-কে বল্‌ল, আমি সালাত পড়েছি কিন্তু এতে কোন কিরা’আত করিনি। উমর (রাযিঃ) তাকে বললেন, তুমি কি রুক্ এবং সিজ্‌দা পরিপূর্ণ করনি ? সে বলল, হ্যাঁ তা পূর্ণ করেছি। তিনি বললেন, তোমার সালাত পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। শু’বা (রাহঃ) বলেন, আমার নিকট আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর আল-উমরী (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন, আমি মুহাম্মাদ ইব্‌ন ইবরাহীম (রাহঃ)-কে বললাম, আপনি কার নিকট থেকে এ হাদীসটি শুনেছেন? তিনি বললেন, উমর (রাযিঃ)-এর বরাতে আবু সালামা (রাহঃ) থেকে।
উত্তরে তাকে বলা হবে যে, এটি অবশ্যই উমর (রাযিঃ) থেকে তোমরা যেরূপ উল্লেখ করেছ সেরূপই বর্ণিত আছে। কিন্তু শুরুতে তাঁর থেকে আমরা যে রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছি সেটি সনদের দিক দিয়ে উমর (রাযিঃ) থেকে মুত্তাসিল (অবিচ্ছিন্ন)। আর হাম্মাম (রাহঃ) সে সময় তাঁর নিকট উপস্থিত ছিলেন। অতএব তাঁর থেকে যে সনদটি মুত্তাসিল এটিই গ্রহণ করা উত্তম বিবেচিত হবে এর পরিপন্থী সেই রিওয়ায়াত থেকে।
আর এটি যুক্তিরও দাবি । তা এভাবে, যেহেতু আলিমদের এ বিষয়ে ঐকমত্য রয়েছে যে, কেউ যদি (অপবিত্র) ব্যক্তির পিছনে জানা সত্ত্বেও সালাত পড়ে তাহলে তার সালাত বাতিল হিসাবে গণ্য হবে এবং তাঁরা তার সালাতকে ইমামের সালাতের অধীন সাব্যস্ত করেছেন। মুকতাদী নিজ ইমামের সালাত বিনষ্ট হওয়া সম্পর্কে অবিহত হলে যখন তার নিজের সালাতও নষ্ট হওয়ার বিধান রয়েছে তাহলে যুক্তির চাহিদা মুতাবিক অবহিত না হলেও অনুরূপ বিধান প্রযোজ্য হবে।
তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না, যদি কোন মুকতাদী অপবিত্র অবস্থায় সালাত পড়ে এ সম্পর্কে সে অবহিত হউক অথবা না হউক তার সালাত বাতিলরূপে গণ্য হবে ? সুতরাং অবহিত হওয়া অবস্থায় যে বস্তু তার সালাতকে বিনষ্ট করে দেয়, অনবহিত অবস্থায়ও সে বস্তু তার সালাতকে বিনষ্ট করে দিবে। আর নিজের ইমামের সালাত বিনষ্ট হয়েছে বলে জানা থাকলে তার নিজের সালাত বিনষ্ট হয়ে যায়। অনুরূপভাবে এর ভিত্তিতে যুক্তির চাহিদা হলো নিজ ইমামের সালাতের বিনষ্ট হওয়া সম্পর্কে অনবহিত থাকা অবস্থায়ও তার সালাত বিনষ্ট হবে! এটি-ই হচ্ছে যুক্তি এবং এটি হচ্ছে, আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইব্‌নুল হাসান (রাহঃ)-এর উক্তি ।
বস্তুত অবশ্যই তাউস (রাহঃ) এবং মুজাহিদ (রাহঃ) ও অনুরূপ মত ব্যক্ত করেছেন।
2366 - فَذَكَرَ مَا حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ إِدْرِيسَ , قَالَ: ثنا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ لَهُ رَجُلٌ: إِنِّي صَلَّيْتُ صَلَاةً لَمْ أَقْرَأْ فِيهَا شَيْئًا. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «أَلَيْسَ قَدْ أَتْمَمْتُ الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ؟» قَالَ: بَلَى , قَالَ: «تَمَّتْ صَلَاتُكَ» قَالَ شُعْبَةُ فَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنِ عُمَرَ الْغَمْرِيُّ , قَالَ: قُلْتُ لِمُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ: مِمَّنْ سَمِعْتُ هَذَا الْحَدِيثَ؟ فَقَالَ: مِنْ أَبِي سَلَمَةَ , عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. قِيلَ لَهُ: قَدْ رُوِيَ هَذَا عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ حَيْثُ ذَكَرْتُمْ , وَلَكِنَّ الَّذِي رَوَيْنَا عَنْهُ فِيمَا بَدَأْنَا بِذِكْرِهِ , مُتَّصِلُ الْإِسْنَادِ عَنْ عُمَرَ , وَهَمَّامٌ حَاضِرٌ ذَلِكَ مِنْهُ , فَمَا اتَّصَلَ إِسْنَادُهُ عَنْهُ , فَهُوَ أَوْلَى أَنْ يُقْبَلَ عَنْهُ , مِمَّا خَالَفَهُ. وَهَذَا أَيْضًا مِمَّا يَدُلُّ عَلَيْهِ النَّظَرُ , وَذَلِكَ لِأَنَّهُمْ أَجْمَعُوا أَنَّ رَجُلًا لَوْ صَلَّى خَلْفَ جُنُبٍ وَهُوَ يَعْلَمُ بِذَلِكَ , أَنَّ صَلَاتَهُ بَاطِلَةٌ وَجَعَلُوا صَلَاتَهُ مُضَمَّنَةً بِصَلَاةِ الْإِمَامِ. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ إِذَا كَانَ يَعْلَمُ بِفَسَادِ صَلَاةِ إِمَامِهِ , كَانَ كَذَلِكَ فِي النَّظَرِ , إِذَا كَانَ لَا يَعْلَمُ بِهَا. أَلَا تَرَى أَنَّ الْمَأْمُومَ لَوْ صَلَّى وَهُوَ جُنُبٌ , وَهُوَ يَعْلَمُ , أَوْ لَا يَعْلَمُ , كَانَتْ صَلَاتُهُ بَاطِلَةً. فَكَانَ مَا يُفْسِدُ صَلَاتَهُ فِي حَالِ عِلْمِهِ بِهِ , هُوَ الَّذِي يُفْسِدُ صَلَاتَهُ فِي حَالِ جَهْلِهِ بِهِ وَكَانَ عِلْمُهُ بِفَسَادِ صَلَاةِ إِمَامِهِ تَفْسُدُ بِهِ صَلَاتُهُ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ جَهْلُهُ بِفَسَادِ صَلَاةِ إِمَامِهِ , فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ قَالَ بِذَلِكَ طَاوُسٌ وَمُجَاهِدٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৬৭
নফল আদায়কারীর পিছনে ফরজ আদায় করা
২৩৬৭। ইব্‌ন আবু দাউদ (রাহঃ)….. তাউস (রাহঃ) এবং মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, কোন ইমাম যদি উযূ ব্যতীত সালাত পড়ায়, তবে তাদের উভয়ের মতে, সকলেই সালাত পুনঃ আদায় করবে।
ইমাম এবং মুকতাদীদের সালাত ভিন্ন হওয়ার ব্যাপারে পূর্ববর্তী আলিমদের এক জমাত থেকেও আমাদের এ মতের অনুকূলে হাদীস বর্ণিত আছে।
2367 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، عَنْ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ، عَنْ طَاوُسٍ، وَمُجَاهِدٍ: فِي إِمَامٍ صَلَّى بِقَوْمٍ وَهُوَ عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ , قَالَ: «يُعِيدُونَ الصَّلَاةَ جَمِيعًا» وَقَدْ رُوِيَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الْمُتَقَدِّمِينَ مَا يُوَافِقُ مَا ذَهَبْنَا إِلَيْهِ فِي اخْتِلَافِ صَلَاةِ الْإِمَامِ وَالْمَأْمُومِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৬৮
নফল আদায়কারীর পিছনে ফরজ আদায় করা
২৩৬৮। এর মধ্য থেকে উল্লেখ্যঃ ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ)..... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে সেই ব্যক্তি সম্পর্কে বর্ণনা করেন, যে এক কাওমকে নিয়ে সালাত পড়ে, যা তার জন্য যুহ্‌র এবং তাদের জন্য আসর। তিনি বলেছেনঃ তারা পুনঃ সালাত পড়বে এবং সে (ইমাম) পুনঃ পড়বে না ।
2368 - فَمِنْ ذَلِكَ , مَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنْ سُفْيَانَ , عَنْ مَنْصُورٍ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , فِي الرَّجُلِ يُصَلِّي بِقَوْمٍ هِيَ لَهُ الظُّهْرُ , وَلَهُمُ الْعَصْرُ. قَالَ: «يُعِيدُونَ , وَلَا يُعِيدُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৬৯
নফল আদায়কারীর পিছনে ফরজ আদায় করা
২৩৬৯। ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ..... সাঈদ ইব্‌ন আমের (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ইউনুস ইব্‌ন উবায়দ (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, একবার বৃষ্টির দিনে আব্বাদ (রাহঃ) মসজিদে এলেন। তিনি তখন লোকদেরকে আসরের সালাত আদায়রত পেলেন। তিনি যুহ্‌রের সালাত মনে করে তাদের সাথে সালাত পড়লেন (কেননা সেদিন-এর পূর্বে) তিনি যুহরের সালাত আদায় করেননি। সালাত শেষে দেখা গেল এটি আসরের সালাত। তিনি হাসান (বসরী) (রাহঃ)-এর নিকট এসে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি তাকে যুহ্‌র এবং আসর উভয়টি পড়ার জন্য নির্দেশ দিলেন।
2369 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ يُونُسَ بْنَ عُبَيْدٍ، يَقُولُ: «جَاءَ عَيَّادٌ إِلَى الْمَسْجِدِ فِي يَوْمٍ مَطِيرٍ , فَوَجَدَهُمْ يُصَلُّونَ الْعَصْرَ , فَصَلَّى مَعَهُمْ , وَهُوَ يَظُنُّ أَنَّهَا الظُّهْرُ , وَلَمْ يَكُنْ صَلَّى الظُّهْرَ. فَلَمَّا صَلَّوْا فَإِذَا هِيَ الْعَصْرُ فَأَتَى الْحَسَنَ فَسَأَلَهُ عَنْ ذَلِكَ , فَأَمَرَهُ أَنْ يُصَلِّيَهُمَا جَمِيعًا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৭০
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৭১
নফল আদায়কারীর পিছনে ফরজ আদায় করা
২৩৭০। ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ).....সাঈদ ইব্‌ন আবী আরোবা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হাসান বসরী (রাহঃ) ও ইব্‌ন সীরীন (রাহঃ) বলতেন যে, সে যুহয ও আসর উভয়টি পড়বে।
আবু মা’শার (রাহঃ) নাখঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ যুহর ও আসর উভয়টি পড়বে।
2370 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، قَالَ: كَانَ الْحَسَنُ وَابْنُ سِيرِينَ يَقُولَانِ: «يُصَلِّيهِمَا جَمِيعًا»

2371 - قَالَ: وَحَدَّثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ، عَنِ النَّخَعِيِّ، قَالَ: «يُصَلِّيهِمَا جَمِيعًا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৭২
নফল আদায়কারীর পিছনে ফরজ আদায় করা
২৩৭২। ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ).....ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ (প্রথমে) যুহ্র পড়বে তারপর আসর পড়বে ।
2372 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: «يُصَلِّي الظُّهْرَ , ثُمَّ يُصَلِّي الْعَصْرَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান