শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৩২৮
৫৮. ফজরের সালাত এক রাক'আত পড়ার পর যদি সূর্য উঠে যায়।
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আতা ইব্ন ইয়াসার (রাহঃ) প্রমুখ আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সূর্য উঠার আগে কেউ যদি ফজরের সালাতের এক রাক'আত পায় তবে সে (ফজরের) সাল|ত পেয়ে গেল। আমরা এ বিষয়টিকে সালাতের ওয়াক্ত' অনুচ্ছেদে বর্ণনা করেছি।
একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, কেউ যদি সূর্য উঠার পূর্বে ফজরের এক রাক'আত সালাত আদায় করে তারপর সূর্য উঠে যায় তাহলে সে এর সাথে আরেক রাক’আত পড়ে নিবে। তারা এ বিষয়ে উক্ত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরােধিতা করেছেন। তারা বলেছেন যে, সালাতরত অবস্থায় যদি সূর্য উঠে যায় তার সালাত বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারা বলেছেন যে, উল্লিখিত হাদীসে প্রথমােক্ত মত পােষণকারীদের স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নেই। কারণ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উক্তি "সূর্য উঠার আগে কেউ যদি ফজরের সালাতের এক রাকআত পায় তবে সে (ফজরের) সালাত পেয়ে গেল”। বস্তুত এতে সেই সম্ভাবনা রয়েছে, যা প্রথমােক্ত মত পােষণকারীরা বলেছেন (অর্থাৎ সালাত বিনষ্ট হবেনা)! আর এ সম্ভাবনাও রয়েছে যে, এটা সে সমস্ত শিশু যারা সূর্য উঠার পূর্বে বয়ঃপ্রাপ্ত) হয়, যে সমস্ত ঋতুবতী নারী পবিত্র হয় ও যে সমস্ত অমুসলিম মুসলমান হয়, তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে। যেহেতু উক্ত হাদীসে পাওয়া' উল্লেখ করা হয়েছে
সালাত’ উল্লেখ করা হয়নি। অতএব উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের মত অন্যরা এ সালাত (ওয়াক্ত) কে পেয়েছে বল? যাবে এবং তাদের উপর এর কাযা আদায় করা ওয়াজিব হবে, যদিও তাদের উপর উক্ত সালাত যতটুকু সময়ে পড়া যায় এর চেয়ে কম সময় বাকি থাকে।
দ্বিতীয় দল আলিমগণ বলেছেন ? বস্তুত এ হাদীসটিকে আমরা যে অর্থে নিয়েছি তাহলাে : যদি ফজরের সালাতের এক ব্লাক'আত পরিমাণ সময় বাকি থাকতে পাগলরা জ্ঞান ফিরে পায়, শিরা (প্রাপ্ত বয়স্ক) হয়, নাসার (অমুসলিম) মুসলমান হয় এবং ঋতুবতী নারীরা পবিত্র হয় তাহলে তারা সেই সালাত (ফজর) পেয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে। আসলে আমরা উক্ত হাদীসের বিরােধী নই; বরং প্রথমোক্ত মতের আলিমদের ব্যাখ্যার বিরোধী।
প্রথমােক্ত অলিমদের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় মত পােষণকারীদের বিরুদ্ধে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা প্রশ্ন উত্থাপন করা হয় ।
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আতা ইব্ন ইয়াসার (রাহঃ) প্রমুখ আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সূর্য উঠার আগে কেউ যদি ফজরের সালাতের এক রাক'আত পায় তবে সে (ফজরের) সাল|ত পেয়ে গেল। আমরা এ বিষয়টিকে সালাতের ওয়াক্ত' অনুচ্ছেদে বর্ণনা করেছি।
একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, কেউ যদি সূর্য উঠার পূর্বে ফজরের এক রাক'আত সালাত আদায় করে তারপর সূর্য উঠে যায় তাহলে সে এর সাথে আরেক রাক’আত পড়ে নিবে। তারা এ বিষয়ে উক্ত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরােধিতা করেছেন। তারা বলেছেন যে, সালাতরত অবস্থায় যদি সূর্য উঠে যায় তার সালাত বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারা বলেছেন যে, উল্লিখিত হাদীসে প্রথমােক্ত মত পােষণকারীদের স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নেই। কারণ, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উক্তি "সূর্য উঠার আগে কেউ যদি ফজরের সালাতের এক রাকআত পায় তবে সে (ফজরের) সালাত পেয়ে গেল”। বস্তুত এতে সেই সম্ভাবনা রয়েছে, যা প্রথমােক্ত মত পােষণকারীরা বলেছেন (অর্থাৎ সালাত বিনষ্ট হবেনা)! আর এ সম্ভাবনাও রয়েছে যে, এটা সে সমস্ত শিশু যারা সূর্য উঠার পূর্বে বয়ঃপ্রাপ্ত) হয়, যে সমস্ত ঋতুবতী নারী পবিত্র হয় ও যে সমস্ত অমুসলিম মুসলমান হয়, তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে। যেহেতু উক্ত হাদীসে পাওয়া' উল্লেখ করা হয়েছে
সালাত’ উল্লেখ করা হয়নি। অতএব উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের মত অন্যরা এ সালাত (ওয়াক্ত) কে পেয়েছে বল? যাবে এবং তাদের উপর এর কাযা আদায় করা ওয়াজিব হবে, যদিও তাদের উপর উক্ত সালাত যতটুকু সময়ে পড়া যায় এর চেয়ে কম সময় বাকি থাকে।
দ্বিতীয় দল আলিমগণ বলেছেন ? বস্তুত এ হাদীসটিকে আমরা যে অর্থে নিয়েছি তাহলাে : যদি ফজরের সালাতের এক ব্লাক'আত পরিমাণ সময় বাকি থাকতে পাগলরা জ্ঞান ফিরে পায়, শিরা (প্রাপ্ত বয়স্ক) হয়, নাসার (অমুসলিম) মুসলমান হয় এবং ঋতুবতী নারীরা পবিত্র হয় তাহলে তারা সেই সালাত (ফজর) পেয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে। আসলে আমরা উক্ত হাদীসের বিরােধী নই; বরং প্রথমোক্ত মতের আলিমদের ব্যাখ্যার বিরোধী।
প্রথমােক্ত অলিমদের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় মত পােষণকারীদের বিরুদ্ধে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা প্রশ্ন উত্থাপন করা হয় ।
২৩২৮। আলী ইবনে মা'বদ (রাহঃ) …. আবু হুরাইরা (রাযিঃ) সূত্রে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন কেউ যদি সুর্য উঠার আগে এক রাকাত পায়, সেজন্য এর সাথে আর এক রাকাত পড়ে নেয়।
بَابُ الرَّجُلِ يَدْخُلُ فِي صَلَاةِ الْغَدَاةِ فَيُصَلِّي مِنْهَا رَكْعَةً ثُمَّ تَطْلُعُ الشَّمْسُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: رَوَى عَطَاءُ بْنُ يَسَارٍ وَغَيْرُهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَدْرَكَ مِنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ رَكْعَةً قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ , فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ» وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ بِأَسَانِيدِهِ فِي بَابِ مَوَاقِيتِ الصَّلَاةِ. فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ مَنْ صَلَّى مِنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ رَكْعَةً قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ , ثُمَّ طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ , صَلَّى إِلَيْهَا أُخْرَى , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْأَثَرِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: إِذَا طَلَعَتِ الشَّمْسُ وَهُوَ فِي صَلَاتِهِ , فَسَدَتْ عَلَيْهِ وَقَالُوا: لَيْسَ فِي هَذَا الْأَثَرِ دَلَالَةٌ عَلَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , لِأَنَّ قَوْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مَنْ أَدْرَكَ مِنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ رَكْعَةً قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ , فَقَدْ أَدْرَكَ» قَدْ يَحْتَمِلُ مَا قَالَهُ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ عَنَى بِهِ الصِّبْيَانَ الَّذِينَ يَبْلُغُونَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ , وَالْحُيَّضَ اللَّاتِي يَطْهُرْنَ , وَالنَّصَارَى الَّذِينَ يُسْلِمُونَ , لِأَنَّهُ لَمَّا ذَكَرَ فِي هَذَا الْأَثَرِ الْإِدْرَاكَ وَلَمْ يَذْكُرِ الصَّلَاةَ , فَيَكُونُ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ سَمَّيْنَاهُمْ وَمَنْ أَشْبَهَهُمْ , مُدْرِكِينَ لِهَذِهِ الصَّلَاةِ , وَيَجِبُ عَلَيْهِمْ قَضَاؤُهَا وَإِنْ كَانَ الَّذِي بَقِيَ عَلَيْهِمْ مِنْ وَقْتِهَا أَقَلَّ مِنَ الْمِقْدَارِ الَّذِي يُصَلُّونَهَا فِيهِ. قَالُوا: وَهَذَا الْحَدِيثُ هُوَ الَّذِي ذَهَبْنَا فِيهِ إِلَى أَنَّ الْمَجَانِينَ إِذَا أَفَاقُوا , وَالصِّبْيَانَ إِذَا بَلَغُوا , وَالنَّصَارَى إِذَا أَسْلَمُوا , وَالْحُيَّضَ إِذَا طَهُرْنَ , وَقَدْ بَقِيَ عَلَيْهِمْ مِنْ وَقْتِ الصُّبْحِ مِقْدَارُ رَكْعَةٍ , أَنَّهُمْ لَهَا مُدْرِكُونَ فَلَمْ نُخَالِفْ هَذَا الْحَدِيثَ , وَإِنْ خَالَفْنَا تَأْوِيلَ أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ لِأَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى
2328 - مَا قَدْ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ , عَنْ سَعِيدٍ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ خِلَاسٍ , عَنْ أَبِي رَافِعٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَنْ أَدْرَكَ مِنْ صَلَاةِ الْغَدَاةِ رَكْعَةً قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَلْيُصَلِّ إِلَيْهَا أُخْرَى»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩২৯
ফজরের সালাত এক রাক'আত পড়ার পর যদি সূর্য উঠে যায়।
২৩২৯। ইব্ন মারমূক (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কেউ
যদি সূর্য ডােবার আগে আসরের সালাতের এক রাক'আত পায়, অবশ্যই তার সালাত পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আর কেউ যদি (সূর্য উঠার আগে) ফজরের সালাতের এক রাক'আত পায়, অবশ্যই তার সালাত পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আমাদের বর্ণিত রিওয়ায়াতে সূর্য উঠার পর ‘বিনা' তথা পূর্বের রাক'আতের সাথে মিলিয়ে পড়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা সূর্য উঠার আগে পড়া হয়েছে।
এ মতের প্রবক্তাদের বিরুদ্ধে দলীল হলোঃ সম্ভবত এটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূর্যোদয়ের সময়ে সালাত আদায়ের নিষেধাজ্ঞার পূর্বে বলেছেন। (অর্থাৎ এটি রহিত হয়ে গিয়েছে)। কারণ, তিনি তা থেকে নিষেধ করেছেন এবং এ বিষয়ে তাঁর নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত হাদীস মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত আছে। আর আমরা ঐ সমস্ত হাদীসকে ‘সালাতের ওয়াক্ত' অনুচ্ছেদে উল্লেখ করে এসেছি। অতঃপর সম্ভাবনা রয়েছে যে, তা পূর্বে মুবাহ (বৈধ) ছিলাে, পরবর্তীতে তা নিষেধাজ্ঞা দ্বারা মানসূখ (রহিত) হয়ে গিয়েছে।
(প্রথমােক্ত মত পােষণকারীরা) বলেছেনঃ নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র নফল সালাত থেকে করা হয়েছে, ফরয সালাতের কাযা পড়া থেকে নিষেধাজ্ঞা আরােপ করা হয়নি।
লক্ষ্যণীয় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজরের পর সূর্য না উঠা পর্যন্ত এবং আসরের পর সূর্য অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত সালাত পড়তে নিষেধ করেছেন। এটি কিন্তু আমাদের ও তােমাদের নিকট উক্ত দুই ওয়াক্তে কাযা সালাত পড়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধক নয়। অনুরূপভাবে সূর্যোদয়ের সময় সালাত আদায় থেকে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে তার থেকে তােমরা যে রিওয়ায়াত বর্ণনা করেছ, তা আমাদের নিকট সে সময়ে কাযা সালাত পড়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধক হবে না। তা প্রতিবন্ধক হবে শুধু মাত্র নফল সালাতের ব্যাপারে।
এর উত্তরে দ্বিতীয় মত পােষণকারী আলিমদের দলীল ও রাসূলুল্লাহর (ﷺ) থেকে এরূপ হাদীস বর্ণিত আছে, থেকে বুঝা যায় যে, কাযা ফরয সালাত সূর্য উঠা এবং অস্ত যাওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিষেধাজ্ঞর অন্তর্ভুক্ত (অর্থাৎ নফল ব্যতীত ফরয সালাত ও নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। হাদীসগুলাে নিম্নরূপঃ
যদি সূর্য ডােবার আগে আসরের সালাতের এক রাক'আত পায়, অবশ্যই তার সালাত পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আর কেউ যদি (সূর্য উঠার আগে) ফজরের সালাতের এক রাক'আত পায়, অবশ্যই তার সালাত পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আমাদের বর্ণিত রিওয়ায়াতে সূর্য উঠার পর ‘বিনা' তথা পূর্বের রাক'আতের সাথে মিলিয়ে পড়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা সূর্য উঠার আগে পড়া হয়েছে।
এ মতের প্রবক্তাদের বিরুদ্ধে দলীল হলোঃ সম্ভবত এটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূর্যোদয়ের সময়ে সালাত আদায়ের নিষেধাজ্ঞার পূর্বে বলেছেন। (অর্থাৎ এটি রহিত হয়ে গিয়েছে)। কারণ, তিনি তা থেকে নিষেধ করেছেন এবং এ বিষয়ে তাঁর নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত হাদীস মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত আছে। আর আমরা ঐ সমস্ত হাদীসকে ‘সালাতের ওয়াক্ত' অনুচ্ছেদে উল্লেখ করে এসেছি। অতঃপর সম্ভাবনা রয়েছে যে, তা পূর্বে মুবাহ (বৈধ) ছিলাে, পরবর্তীতে তা নিষেধাজ্ঞা দ্বারা মানসূখ (রহিত) হয়ে গিয়েছে।
(প্রথমােক্ত মত পােষণকারীরা) বলেছেনঃ নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র নফল সালাত থেকে করা হয়েছে, ফরয সালাতের কাযা পড়া থেকে নিষেধাজ্ঞা আরােপ করা হয়নি।
লক্ষ্যণীয় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজরের পর সূর্য না উঠা পর্যন্ত এবং আসরের পর সূর্য অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত সালাত পড়তে নিষেধ করেছেন। এটি কিন্তু আমাদের ও তােমাদের নিকট উক্ত দুই ওয়াক্তে কাযা সালাত পড়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধক নয়। অনুরূপভাবে সূর্যোদয়ের সময় সালাত আদায় থেকে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে তার থেকে তােমরা যে রিওয়ায়াত বর্ণনা করেছ, তা আমাদের নিকট সে সময়ে কাযা সালাত পড়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধক হবে না। তা প্রতিবন্ধক হবে শুধু মাত্র নফল সালাতের ব্যাপারে।
এর উত্তরে দ্বিতীয় মত পােষণকারী আলিমদের দলীল ও রাসূলুল্লাহর (ﷺ) থেকে এরূপ হাদীস বর্ণিত আছে, থেকে বুঝা যায় যে, কাযা ফরয সালাত সূর্য উঠা এবং অস্ত যাওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিষেধাজ্ঞর অন্তর্ভুক্ত (অর্থাৎ নফল ব্যতীত ফরয সালাত ও নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। হাদীসগুলাে নিম্নরূপঃ
2329 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ صَلَاةِ الْعَصْرِ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُهُ , وَإِذَا أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُهُ» فِيمَا رَوَيْنَا , ذَكَرَ الْبِنَاءَ بَعْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ عَلَى مَا قَدْ دَخَلَ فِيهِ قَبْلَ طُلُوعِهَا. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَى أَهْلِ هَذِهِ الْمَقَالَةِ أَنَّ هَذَا قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ كَانَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ نَهْيِهِ عَنِ الصَّلَاةِ عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ. فَإِنَّهُ قَدْ نَهَى عَنْ ذَلِكَ , وَتَوَاتَرَتْ عَنْهُ الْآثَارُ بِنَهْيِهِ عَنْ ذَلِكَ , وَقَدْ ذَكَرْنَا تِلْكَ الْآثَارَ فِي «بَابِ مَوَاقِيتِ الصَّلَاةِ» . فَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ مَا كَانَ فِيهِ الْإِبَاحَةُ , هُوَ مَنْسُوخٌ بِمَا فِيهِ النَّهْيُ. فَقَالُوا: إِنَّمَا النَّهْيُ عَنِ التَّطَوُّعِ خَاصَّةً , لَا عَنْ قَضَاءِ الْفَرَائِضِ أَلَا تَرَوْنَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ نَهَى عَنِ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ , وَبَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ. فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عِنْدَنَا وَعِنْدَكُمْ بِمَانِعٍ أَنْ تُقْضَى صَلَاةٌ فَائِتَةٌ فِي هَذَيْنِ الْوَقْتَيْنِ. فَكَذَلِكَ مَا رَوَيْتُمْ عَنْهُ , مِنَ النَّهْيِ عَنِ الصَّلَاةِ عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ , لَا يَكُونُ مَانِعًا عِنْدَنَا لَأَنْ يَقْضِيَ حِينَئِذٍ صَلَاةً فَائِتَةً , إِنَّمَا هُوَ مَانِعٌ مِنْ صَلَاةِ التَّطَوُّعِ خَاصَّةً. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِلْآخَرِينَ عَلَيْهِمْ , أَنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ الصَّلَوَاتِ الْمَفْرُوضَاتِ الْفَائِتَاتِ , قَدْ دَخَلَتْ فِيمَا نَهَى عَنْهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ , وَعِنْدَ غُرُوبِهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩৩০
ফজরের সালাত এক রাক'আত পড়ার পর যদি সূর্য উঠে যায়।
২৩৩০। আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) ইমরান ইবন হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ
আমরা এক যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে সফর করেছি। রাতের শেষভাপে আমরা একস্থানে অবতরণ করলাম। আমরা জাগরিত হলাম না যতক্ষণ না আমাদের সূর্যতাপ জাগরিত করল। আমাদের এক ব্যক্তি ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে লাফাতে শুরু করল। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জাগরিত হয়ে আমাদেরকে সে স্থান ত্যাগের নির্দেশ দিলেন, আমরা আমাদের স্থান ত্যাগ করলাম। তখন সূর্য উপরে উঠে গিয়েছে। এরপর আমরা অবতরণ করলাম। লােকেরা নিজ নিজ প্রয়োজনাদি পূরণ করল। তারপর তিনি প্রশ্ন বিলাল (রাযিঃ) কে আযান দিতে হুকুম করলেন। বিলাল (রাযিঃ) আযান দিলে আমরা দু' রাক'আত (সুন্নত) আদায় করলাম। তারপর বিলাল (রাযিঃ) ইকামত দিলে তিনি ফজরের সালাত আদায় করলেন। আমরা বললাম, হে আল্লাহর নবী! আমরা কি আগামীকাল তা আপন ওয়াক্তে আদায় করবনা? (এতে) রাসূলুল্লাহ বললেন, আল্লাহ্ তা'আলা
তােমাদেরকে অতিরিক্ত (সুদ) থেকে নিষেধ করেন, আর নিজে কি তা তােমাদের থেকে গ্রহণ করবেন ?
আমরা এক যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে সফর করেছি। রাতের শেষভাপে আমরা একস্থানে অবতরণ করলাম। আমরা জাগরিত হলাম না যতক্ষণ না আমাদের সূর্যতাপ জাগরিত করল। আমাদের এক ব্যক্তি ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে লাফাতে শুরু করল। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জাগরিত হয়ে আমাদেরকে সে স্থান ত্যাগের নির্দেশ দিলেন, আমরা আমাদের স্থান ত্যাগ করলাম। তখন সূর্য উপরে উঠে গিয়েছে। এরপর আমরা অবতরণ করলাম। লােকেরা নিজ নিজ প্রয়োজনাদি পূরণ করল। তারপর তিনি প্রশ্ন বিলাল (রাযিঃ) কে আযান দিতে হুকুম করলেন। বিলাল (রাযিঃ) আযান দিলে আমরা দু' রাক'আত (সুন্নত) আদায় করলাম। তারপর বিলাল (রাযিঃ) ইকামত দিলে তিনি ফজরের সালাত আদায় করলেন। আমরা বললাম, হে আল্লাহর নবী! আমরা কি আগামীকাল তা আপন ওয়াক্তে আদায় করবনা? (এতে) রাসূলুল্লাহ বললেন, আল্লাহ্ তা'আলা
তােমাদেরকে অতিরিক্ত (সুদ) থেকে নিষেধ করেন, আর নিজে কি তা তােমাদের থেকে গ্রহণ করবেন ?
2330 - وَذَلِكَ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ شَيْبَةَ حَدَّثَنَا , قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ , قَالَ: ثنا هِشَامٌ , عَنِ الْحَسَنِ , عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ , قَالَ: " سِرْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةٍ , أَوْ قَالَ: , فِي سَرِيَّةٍ , فَلَمَّا كَانَ آخِرُ السَّحَرِ عَرَّسْنَا , فَمَا اسْتَيْقَظْنَا حَتَّى أَيْقَظَنَا حَرُّ الشَّمْسِ , فَجَعَلَ الرَّجُلُ مِنَّا يَثِبُ فَزِعًا دَهِشًا. فَاسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَنَا فَارْتَحَلْنَا مِنْ مَسِيرِنَا حَتَّى ارْتَفَعَتِ الشَّمْسُ , ثُمَّ نَزَلْنَا فَقَضَى الْقَوْمُ حَوَائِجَهُمْ , ثُمَّ أَمَرَ بِلَالًا فَأَذَّنَ , فَصَلَّيْنَا رَكْعَتَيْنِ فَأَقَامَ فَصَلَّى الْغَدَاةَ. فَقُلْنَا: يَا نَبِيَّ اللهِ أَلَا نَقْضِيهَا لِوَقْتِهَا مِنَ الْغَدِ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيَنْهَاكُمُ اللهُ عَنِ الرِّبَا , وَيَقْبَلُهُ مِنْكُمْ» ؟

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩৩১
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৩৩
ফজরের সালাত এক রাক'আত পড়ার পর যদি সূর্য উঠে যায়।
২৩৩১-২৩৩৩। আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ) ......... ইমরান ইব্ন হুসাইন (ব্রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি এক সফরে ছিলেন। তিনি ফজরের সালাত (না পড়ে) ঘুমিয়ে রইলেন, এমন কি সূর্য উঠে যায়। তিনি আযানের হুকুম দিলে আযান দেয়া হলো। তারপর অপেক্ষা করলেন যাতে সূর্যের মধ্যে উত্তাপ চলে আসে। পরে ইকামতের নির্দেশ দিলে ইকামত হলো এবং তিনি ফজরের সালাত আদায় করলেন।
আবু বাকর (রাহঃ) , ইমরান ইব্ন হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, একবার
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিয়ে সফর করলেন এবং আমরা তার সাথে রাতের শেষ ভাগে অবতরণ করলাম। আমরা সূর্যের উত্তাপে জাগরিত হলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ যখন জাগরিত হলেন, লােকেরা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের সালাত তাে ছুটে গেল। রাসূলুল্লাহ বললেন, তােমাদের সালাত ছুটে যায়নি। তােমরা এ স্থান ত্যাগ কর। তিনি সে স্থান ত্যাগ করে অনতিদূরে গিয়ে অবতরণ করলেন এবং সালাত আদায় করলেন।
আলী ইবনে মা'বদ(রাহঃ) ইমরান (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু বাকর (রাহঃ) , ইমরান ইব্ন হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, একবার
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিয়ে সফর করলেন এবং আমরা তার সাথে রাতের শেষ ভাগে অবতরণ করলাম। আমরা সূর্যের উত্তাপে জাগরিত হলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ যখন জাগরিত হলেন, লােকেরা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের সালাত তাে ছুটে গেল। রাসূলুল্লাহ বললেন, তােমাদের সালাত ছুটে যায়নি। তােমরা এ স্থান ত্যাগ কর। তিনি সে স্থান ত্যাগ করে অনতিদূরে গিয়ে অবতরণ করলেন এবং সালাত আদায় করলেন।
আলী ইবনে মা'বদ(রাহঃ) ইমরান (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
2331 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ، قَالَ: أنا يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ فِي سَفَرٍ , فَنَامَ عَنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ فَأَمَرَ فَأَذَّنَ , ثُمَّ انْتَظَرَ حَتَّى اشْتَعَلَتِ الشَّمْسُ , ثُمَّ أَمَرَ فَأَقَامَ , فَصَلَّى الصُّبْحَ "
2332 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَبَّادُ بْنُ مَيْسَرَةَ الْمِنْقَرِيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيَّ، قَالَ: ثنا عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ، قَالَ: أَسْرَى بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَرَّسْنَا مَعَهُ , فَلَمْ نَسْتَيْقِظْ إِلَّا بِحَرِّ الشَّمْسِ , فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ , ذَهَبَتْ صَلَاتُنَا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمْ تَذْهَبْ صَلَاتُكُمْ , ارْتَحِلُوا مِنْ هَذَا الْمَكَانِ فَارْتَحَلَ قَرِيبًا , ثُمَّ نَزَلَ فَصَلَّى»
2333 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ , قَالَ: أنا عَوْفٌ , عَنْ أَبِي رَجَاءٍ , عَنْ عِمْرَانَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ
2332 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَبَّادُ بْنُ مَيْسَرَةَ الْمِنْقَرِيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيَّ، قَالَ: ثنا عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ، قَالَ: أَسْرَى بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَرَّسْنَا مَعَهُ , فَلَمْ نَسْتَيْقِظْ إِلَّا بِحَرِّ الشَّمْسِ , فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ , ذَهَبَتْ صَلَاتُنَا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمْ تَذْهَبْ صَلَاتُكُمْ , ارْتَحِلُوا مِنْ هَذَا الْمَكَانِ فَارْتَحَلَ قَرِيبًا , ثُمَّ نَزَلَ فَصَلَّى»
2333 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ , قَالَ: أنا عَوْفٌ , عَنْ أَبِي رَجَاءٍ , عَنْ عِمْرَانَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৩৭
ফজরের সালাত এক রাক'আত পড়ার পর যদি সূর্য উঠে যায়।
২৩৩৪-২৩৩৭। ইব্ন আবু দাউদ (স) ..... আবু কাতাদা আনসারী (রাযিঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার যুদ্ধসমূহ থেকে কোন এক যুদ্ধে সফর করেছেন এবং আমরাও তার সাথে ছিলাম। লােকদের থেকে কেউ তাঁকে বলল, যদি রাতের শেষভাগে (কোথাও) অবতরণ করতেন (ভাল হতাে)। তিনি বললেন, তােমরা সালাত থেকে ঘুমিয়ে থাকবে এই আশংকা আমি করছি। বিলাল (রাযিঃ) বললেন, আমি আপনাদেরকে জাগরিত করব। লােকন অবতরণ করল এবং শুয়ে পড়ল। আর বিলাল (রাযিঃ) নিজের সওয়ারীর পিঠে হেলান দিলেন এবং লােকজন ঘুমের ঘােরে আচ্ছন্ন হলাে। যখন সূর্যের প্রান্ত উঠে গেল এখন লােকজন জাগরিত হলাে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে বিলাল! তুমি যা বলেছিলে, তা কোথায় ? তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ তা'আলা যখন চেয়েছেন, আপনাদের রূহকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছেন এবং
যখন চেয়েছেন আপনাদের কাছে তা ফেরত পাঠিয়েছেন। তিনি (বিলাল রা) কে বললেন] লােকদের মধ্যে সালাতের জন্য অযান দাও। তিনি তাদেরকে আযান দিলেন, তাঁরা উযু করলেন, যখন সূর্য উঁচু হলাে, রাসূলুল্লাহ ফজরের দু' রাকআত (সুন্নত) পড়লেন তারপর ফজরের সালাত আদায় করলেন।
সালিহ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ)…..হোসাইন (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) আবু কাতাদা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহর (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি।
রাওহ থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন, যা আমরা এ পরিচ্ছেদের প্রথমদিকে বর্ণনা করেছি।
তবে তিনি লােকজন কর্তৃক রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে প্রশ্ন করার কথা উল্লেখ করেন নি। আব্দুল্লাহ (ইব্ন রিবাহ র) বলেছেন, আমি যখন এ হাদীসটি জামে মসজিদে বর্ণনা করেছি তখন ইমরান ইবন হুসাইন (রাযিঃ) শুনে জিজ্ঞাসা করলেন, লোকটি কে? আমি বললাম, আমি হচ্ছি আব্দুল্লাহ ইব্ন রিবাহ আনসারী। তিনি বললেন, লােকে তাে নিজেদের ঘটনার বিষয়ে অধিক জ্ঞাত। (অতএব তুমি সতর্ক থাক, কিভাবে হাদীস বর্ণনা করছ? আমি ঐ রাতের সাতজনের অন্যতম। রাবী বলেন, আমি যখন অবসর হলাম হাদীস বর্ণনা শেষ করলাম) তিনি বললেন, আমার ধারণা ছিলাে না যে, আমি ব্যতীত অন্য কেউ এ হাদীসটি সংরক্ষণ করে।
হুমাইদুত তবীল (রাহঃ)….. আবু কাতাদা (রাযিঃ) সূত্রে রসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
যখন চেয়েছেন আপনাদের কাছে তা ফেরত পাঠিয়েছেন। তিনি (বিলাল রা) কে বললেন] লােকদের মধ্যে সালাতের জন্য অযান দাও। তিনি তাদেরকে আযান দিলেন, তাঁরা উযু করলেন, যখন সূর্য উঁচু হলাে, রাসূলুল্লাহ ফজরের দু' রাকআত (সুন্নত) পড়লেন তারপর ফজরের সালাত আদায় করলেন।
সালিহ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ)…..হোসাইন (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) আবু কাতাদা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহর (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি।
রাওহ থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন, যা আমরা এ পরিচ্ছেদের প্রথমদিকে বর্ণনা করেছি।
তবে তিনি লােকজন কর্তৃক রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে প্রশ্ন করার কথা উল্লেখ করেন নি। আব্দুল্লাহ (ইব্ন রিবাহ র) বলেছেন, আমি যখন এ হাদীসটি জামে মসজিদে বর্ণনা করেছি তখন ইমরান ইবন হুসাইন (রাযিঃ) শুনে জিজ্ঞাসা করলেন, লোকটি কে? আমি বললাম, আমি হচ্ছি আব্দুল্লাহ ইব্ন রিবাহ আনসারী। তিনি বললেন, লােকে তাে নিজেদের ঘটনার বিষয়ে অধিক জ্ঞাত। (অতএব তুমি সতর্ক থাক, কিভাবে হাদীস বর্ণনা করছ? আমি ঐ রাতের সাতজনের অন্যতম। রাবী বলেন, আমি যখন অবসর হলাম হাদীস বর্ণনা শেষ করলাম) তিনি বললেন, আমার ধারণা ছিলাে না যে, আমি ব্যতীত অন্য কেউ এ হাদীসটি সংরক্ষণ করে।
হুমাইদুত তবীল (রাহঃ)….. আবু কাতাদা (রাযিঃ) সূত্রে রসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
2334 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْجَرَّاحِ , قَالَ: ثنا أَبُو يُوسُفَ , عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنِ ابْنِ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: أَسْرَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةٍ مِنْ غَزَوَاتِهِ , وَنَحْنُ مَعَهُ , فَقَالَ لَهُ بَعْضُ الْقَوْمِ: لَوْ عَرَّسْتَ. فَقَالَ: «إِنِّي أَخَافُ أَنْ تَنَامُوا عَنِ الصَّلَاةِ» فَقَالَ بِلَالٌ: أَنَا أُوقِظُكُمْ. فَنَزَلَ الْقَوْمُ فَاضْطَجَعُوا , وَأَسْنَدَ بِلَالٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ ظَهْرَهُ إِلَى رَاحِلَتِهِ وَأُلْقِيَ عَلَيْهِمُ النَّوْمُ , فَاسْتَيْقَظَ الْقَوْمُ , وَقَدْ طَلَعَ حَاجِبُ الشَّمْسِ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيْنَ مَا قُلْتَ يَا بِلَالُ؟» قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ مَا أُلْقِيَتْ عَلَيَّ نَوْمَةٌ مِثْلُهَا قَطُّ. قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللهَ قَبَضَ أَرْوَاحَكُمْ حِينَ شَاءَ , وَرَدَّهَا إِلَيْكُمْ حِينَ شَاءَ , فَأَذِّنِ النَّاسَ بِالصَّلَاةِ» فَأَذَّنَهُمْ فَتَوَضَّئُوا، فَلَمَّا ارْتَفَعَتِ الشَّمْسُ , صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ , ثُمَّ صَلَّى الْفَجْرَ ".
2335 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، قَالَ: أنا حُصَيْنٌ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
2336 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِهِ عَنْ رَوْحٍ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْفَصْلِ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ سُؤَالَهُمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ عَبْدُ اللهِ: فَسَمِعَنِي عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ وَأَنَا أُحَدِّثُ هَذَا الْحَدِيثَ فِي الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ، فَقَالَ: مَنِ الرَّجُلُ؟ فَقُلْتُ: أَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَبَاحٍ الْأَنْصَارِيُّ. فَقَالَ: الْقَوْمُ أَعْلَمُ بِحَدِيثِهِمْ , انْظُرْ كَيْفَ تُحَدِّثُ فَإِنِّي أَحَدُ السَّبْعَةِ تِلْكَ اللَّيْلَةَ. فَلَمَّا فَرَغْتُ قَالَ: مَا كُنْتُ أَحْسَبُ أَنَّ أَحَدًا يَحْفَظُ هَذَا الْحَدِيثَ غَيْرِي. قَالَ حَمَّادٌ , قَالَ:
2337 - حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ , عَنْ بَكْرٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبَاحٍ , عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
2335 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، قَالَ: أنا حُصَيْنٌ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
2336 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِهِ عَنْ رَوْحٍ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْفَصْلِ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ سُؤَالَهُمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ عَبْدُ اللهِ: فَسَمِعَنِي عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ وَأَنَا أُحَدِّثُ هَذَا الْحَدِيثَ فِي الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ، فَقَالَ: مَنِ الرَّجُلُ؟ فَقُلْتُ: أَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَبَاحٍ الْأَنْصَارِيُّ. فَقَالَ: الْقَوْمُ أَعْلَمُ بِحَدِيثِهِمْ , انْظُرْ كَيْفَ تُحَدِّثُ فَإِنِّي أَحَدُ السَّبْعَةِ تِلْكَ اللَّيْلَةَ. فَلَمَّا فَرَغْتُ قَالَ: مَا كُنْتُ أَحْسَبُ أَنَّ أَحَدًا يَحْفَظُ هَذَا الْحَدِيثَ غَيْرِي. قَالَ حَمَّادٌ , قَالَ:
2337 - حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ , عَنْ بَكْرٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبَاحٍ , عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩৩৮
ফজরের সালাত এক রাক'আত পড়ার পর যদি সূর্য উঠে যায়।
২৩৩৮। ইবুন মারযুক (রাহঃ).... জুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক সফরে ছিলেন।
তিনি বললেন, কে রাতে আমাদেরকে প্রহরা দিবে- ভাের পর্যন্ত ঘুমাবে না। বিলাল (রাযিঃ) বললেন, আমি ।
তিনি সূর্যোদয়ের দিকে মুখ করে বসে গেলেন। তাঁদের কানে পর্দা দেয়া হলাে অর্থাৎ সকলেই ঘুমিয়ে
পড়লেন। অবশেষে তাদেরকে সূর্য তাপ জাগরিত করল । রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উঠে ওযু করলেন এবং, লোকেরা ভয় করল। তারপর তারা অল্প সময় বসে থাকলেন। তারপর তারা ফজরের দু'রাকআত (সুন্নত) পড়লেন। পরে তারা ফজরের সালাত আদায় করলেন।
তিনি বললেন, কে রাতে আমাদেরকে প্রহরা দিবে- ভাের পর্যন্ত ঘুমাবে না। বিলাল (রাযিঃ) বললেন, আমি ।
তিনি সূর্যোদয়ের দিকে মুখ করে বসে গেলেন। তাঁদের কানে পর্দা দেয়া হলাে অর্থাৎ সকলেই ঘুমিয়ে
পড়লেন। অবশেষে তাদেরকে সূর্য তাপ জাগরিত করল । রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উঠে ওযু করলেন এবং, লোকেরা ভয় করল। তারপর তারা অল্প সময় বসে থাকলেন। তারপর তারা ফজরের দু'রাকআত (সুন্নত) পড়লেন। পরে তারা ফজরের সালাত আদায় করলেন।
2338 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ فِي سَفَرٍ , فَقَالَ: «مَنْ يَكْلَؤُنَا اللَّيْلَةَ , لَا يَنَامُ حَتَّى الصُّبْحِ» فَقَالَ بِلَالٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنَا , فَاسْتَقْبَلَ مَطْلِعَ الشَّمْسِ فَضُرِبَ عَلَى آذَانِهِمْ , حَتَّى أَيْقَظَهُمْ حَرُّ الشَّمْسِ فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَوَضَّأَ وَتَوَضَّئُوا، ثُمَّ قَعَدُوا هُنَيْهَةً , ثُمَّ صَلَّوُا رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ , ثُمَّ صَلَّوُا الْفَجْرَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩৩৯
ফজরের সালাত এক রাক'আত পড়ার পর যদি সূর্য উঠে যায়।
২৩৩৯। রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ
মক্কার পথে রাতের শেষ ভাগে এক স্থানে অবতরণ করলেন এবং অরিমি করলেন) পরে তিনিও জাগরিত হননি এবং তাঁর সাহাবীগণের কেউও না। অবশেষে তাদের উপর রােদ এসে পড়ল। রাসূলুল্লাহ জাগরিত হলেন। তিনি (উঠে) বললেন, এটি এরূপ স্থান, যাতে শয়তান রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উট হাঁকিয়ে নিলেন, (স্থান ত্যাগ করলেন), তাঁর সাহাবীরাও বাহন হাঁকিয়ে নিয়ে গেলেন। যখন সূর্য উঁচু হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- উঠ বসালেন এবং তাঁর সাহাবীরাও বসালেন। পরে তিনি তাঁদের ইমামতি করলেন এবং ফজরের সালাত আদায় করলেন।
পর্যালােচনা
অতএব আমরা লক্ষ্য করেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূর্য উঠা পর্যন্ত ফজরের সালাত বিলম্ব করেছেন। অথচ এটি। ফরয সালাত, তা তিনি তখন আদায় করেননি যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্য উঁচু না হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অন্য এক হাদীসে বলেছেনঃ তােমাদের কেউ যদি সালাত আদায় করতে ভুলে যায় বা ঘুমিয়ে পড়ে তবে যে সময়ই মনে পড়বে তা আপয়ি করে নিবে। এতে বুঝা যাচ্ছে, সূর্যোদয়ের সময়ে সালাত আদায় থেকে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, এতে ফরয ও নফল সালাত সবই অন্তর্ভুক্ত। অরি তিনি যে সময়ে জাগরিত হয়েছেন সেটি ঐ সালাতের সময় নয়, যা থেকে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন করে যে, তুমি হাদীসের এক টুকরা উল্লেখ করে আরেক টুকরা ছেড়ে দিয়েছ কেন ? আর তুমি বলছ, কেউ যদি আসরের এক রাক'আত পড়তে না পড়তেই সূর্য ডুবে যায় তাহলে সে অবশিষ্ট সালাত পূরণ করে নিবে। (সালাত বিনষ্ট হবে না।)
উত্তরে তাকে বলা হবে যে, আমরা এ হাদীসের এক টুকরা বা পুরাে হাদীস কোনটার উপরই আমল করি না;বরং পুরাে হাদীসকে আমরা (রহিত) মনে করি। কারণ সূর্যোদয়ের সময় সালাত আদায় থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিষেধাজ্ঞা বর্ণিত হয়েছে এবং আমাদের উল্লিখিত জুবাইর (রাযিঃ), ইমরান (রাযিঃ), আবু কাতাদা (রাযিঃ) ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীসও রহিত হওয়ার প্রমাণ বহন করে যে, ফরয সালাত এর মধ্যে (সূর্যোদয়ের সময়) ভান্তুর্ভুক্ত। এ সময় তা আদায় করা যাবে না, যেমন ভাবে নফল সালাত উক্ত সময়ে আদায় করা যায় না।
বাকি রইলাে সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় ঐ দিনের আসরের সালাত জায়িয হওয়া প্রসঙ্গ। এ বিষয়ে আমরা ‘সালাতের ওয়াক্ত' অনুচ্ছেদে আলােচনা করেছি। আর এটিই হচ্ছে এ অনুচ্ছেদে হাদীসসমূহের সঠিক মর্ম নির্ধারণের পন্থা।
বস্তুত এর যৌক্তিক দিক হচ্ছেঃ আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সূর্য উঠার সময় থেকে নিয়ে উঁচু হওয়া পর্যন্ত এমন একটি সময়, যাতে সালাত আদায় থেকে নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং আমরা নিষিদ্ধ সময়ের বিধান সম্পর্কে চিন্তা করেছি, তাতে কি ফরয ব্যতীত শুধু নফল সালাতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরাপিত হয়েছে, না সব ধরনের (ফরয ও নফল সালাতের উপর। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা’র দিনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সিয়াম পালন করতে নিষেধ করেছেন এবং এ বিষয়ে তার থেকে প্রমাণ রয়েছে। আর ঐ দুই দিনে ফরজ এবং নফল সিয়াম পালন করা যাবে না এ নিষেধজ্ঞার ব্যাপারে সমস্ত আলিমদের ঐকমত্য রয়েছে । অনুরূপভাবে যুক্তির দাবি হচ্ছে যে, সূর্য উঠার সময় যখন সালাত থেকে নিষেধ করা হয়েছে, তাতে ফরজ কিংবা নফল (সালাত আদায় করা যাবে না। অনুরূপ ভাবে সূর্য ডুবার সময়ও যুক্তির দাবি তাই। (ফরয এবং নফল সালাত পড়া নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে সমান)।
রইলাে আসরের পর সূর্য ডুবা পর্যন্ত এবং ফজরের পর সূর্য উঠা পর্যন্ত সালাত আদায় থেকে রাসূলুল্লাহ
-এর নিষেধাজ্ঞা । আসলে এই সময় ওয়াক্তের কারণে সালাত থেকে নিষেধ করা হয়নি; বরং এ দুই ওয়াক্তে (সালাত থেকে) নিষেধাজ্ঞা এসেছে সালাতের কারণে। আর আমরা লক্ষ্য করেছি যে, ঐ সময়টিতে যে ব্যক্তি ফরয (সালাত আদায় করেনি তার জন্য তাতে ফরয আদায় করা এবং কাযা সালাত আদায় করা জায়িয। অতএব যখন সালাতই হচ্ছে বাধা প্রদানকারী এবং তা হচ্ছে ফরয (সালাত)। সুতরাং উক্ত ফরয সালাত থেকে ভিন্ন ধরনের তথা নফল সালাতসমূহ থেকে নিষেধ করা হয়েছে, ফরয সালাতসমূহ থেকে নয়।
এটি হচ্ছে আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর উক্তি (মাযহাব)। আর হাকাম (ইবন
উতবা) (রাহঃ) ও হাম্মাদ (ইবন আবু সুলায়মান) (রাহঃ) এই মতই পােষণ করেছেন।
মক্কার পথে রাতের শেষ ভাগে এক স্থানে অবতরণ করলেন এবং অরিমি করলেন) পরে তিনিও জাগরিত হননি এবং তাঁর সাহাবীগণের কেউও না। অবশেষে তাদের উপর রােদ এসে পড়ল। রাসূলুল্লাহ জাগরিত হলেন। তিনি (উঠে) বললেন, এটি এরূপ স্থান, যাতে শয়তান রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উট হাঁকিয়ে নিলেন, (স্থান ত্যাগ করলেন), তাঁর সাহাবীরাও বাহন হাঁকিয়ে নিয়ে গেলেন। যখন সূর্য উঁচু হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- উঠ বসালেন এবং তাঁর সাহাবীরাও বসালেন। পরে তিনি তাঁদের ইমামতি করলেন এবং ফজরের সালাত আদায় করলেন।
পর্যালােচনা
অতএব আমরা লক্ষ্য করেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূর্য উঠা পর্যন্ত ফজরের সালাত বিলম্ব করেছেন। অথচ এটি। ফরয সালাত, তা তিনি তখন আদায় করেননি যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্য উঁচু না হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অন্য এক হাদীসে বলেছেনঃ তােমাদের কেউ যদি সালাত আদায় করতে ভুলে যায় বা ঘুমিয়ে পড়ে তবে যে সময়ই মনে পড়বে তা আপয়ি করে নিবে। এতে বুঝা যাচ্ছে, সূর্যোদয়ের সময়ে সালাত আদায় থেকে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, এতে ফরয ও নফল সালাত সবই অন্তর্ভুক্ত। অরি তিনি যে সময়ে জাগরিত হয়েছেন সেটি ঐ সালাতের সময় নয়, যা থেকে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন করে যে, তুমি হাদীসের এক টুকরা উল্লেখ করে আরেক টুকরা ছেড়ে দিয়েছ কেন ? আর তুমি বলছ, কেউ যদি আসরের এক রাক'আত পড়তে না পড়তেই সূর্য ডুবে যায় তাহলে সে অবশিষ্ট সালাত পূরণ করে নিবে। (সালাত বিনষ্ট হবে না।)
উত্তরে তাকে বলা হবে যে, আমরা এ হাদীসের এক টুকরা বা পুরাে হাদীস কোনটার উপরই আমল করি না;বরং পুরাে হাদীসকে আমরা (রহিত) মনে করি। কারণ সূর্যোদয়ের সময় সালাত আদায় থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিষেধাজ্ঞা বর্ণিত হয়েছে এবং আমাদের উল্লিখিত জুবাইর (রাযিঃ), ইমরান (রাযিঃ), আবু কাতাদা (রাযিঃ) ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীসও রহিত হওয়ার প্রমাণ বহন করে যে, ফরয সালাত এর মধ্যে (সূর্যোদয়ের সময়) ভান্তুর্ভুক্ত। এ সময় তা আদায় করা যাবে না, যেমন ভাবে নফল সালাত উক্ত সময়ে আদায় করা যায় না।
বাকি রইলাে সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় ঐ দিনের আসরের সালাত জায়িয হওয়া প্রসঙ্গ। এ বিষয়ে আমরা ‘সালাতের ওয়াক্ত' অনুচ্ছেদে আলােচনা করেছি। আর এটিই হচ্ছে এ অনুচ্ছেদে হাদীসসমূহের সঠিক মর্ম নির্ধারণের পন্থা।
বস্তুত এর যৌক্তিক দিক হচ্ছেঃ আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সূর্য উঠার সময় থেকে নিয়ে উঁচু হওয়া পর্যন্ত এমন একটি সময়, যাতে সালাত আদায় থেকে নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং আমরা নিষিদ্ধ সময়ের বিধান সম্পর্কে চিন্তা করেছি, তাতে কি ফরয ব্যতীত শুধু নফল সালাতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরাপিত হয়েছে, না সব ধরনের (ফরয ও নফল সালাতের উপর। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা’র দিনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সিয়াম পালন করতে নিষেধ করেছেন এবং এ বিষয়ে তার থেকে প্রমাণ রয়েছে। আর ঐ দুই দিনে ফরজ এবং নফল সিয়াম পালন করা যাবে না এ নিষেধজ্ঞার ব্যাপারে সমস্ত আলিমদের ঐকমত্য রয়েছে । অনুরূপভাবে যুক্তির দাবি হচ্ছে যে, সূর্য উঠার সময় যখন সালাত থেকে নিষেধ করা হয়েছে, তাতে ফরজ কিংবা নফল (সালাত আদায় করা যাবে না। অনুরূপ ভাবে সূর্য ডুবার সময়ও যুক্তির দাবি তাই। (ফরয এবং নফল সালাত পড়া নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে সমান)।
রইলাে আসরের পর সূর্য ডুবা পর্যন্ত এবং ফজরের পর সূর্য উঠা পর্যন্ত সালাত আদায় থেকে রাসূলুল্লাহ
-এর নিষেধাজ্ঞা । আসলে এই সময় ওয়াক্তের কারণে সালাত থেকে নিষেধ করা হয়নি; বরং এ দুই ওয়াক্তে (সালাত থেকে) নিষেধাজ্ঞা এসেছে সালাতের কারণে। আর আমরা লক্ষ্য করেছি যে, ঐ সময়টিতে যে ব্যক্তি ফরয (সালাত আদায় করেনি তার জন্য তাতে ফরয আদায় করা এবং কাযা সালাত আদায় করা জায়িয। অতএব যখন সালাতই হচ্ছে বাধা প্রদানকারী এবং তা হচ্ছে ফরয (সালাত)। সুতরাং উক্ত ফরয সালাত থেকে ভিন্ন ধরনের তথা নফল সালাতসমূহ থেকে নিষেধ করা হয়েছে, ফরয সালাতসমূহ থেকে নয়।
এটি হচ্ছে আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর উক্তি (মাযহাব)। আর হাকাম (ইবন
উতবা) (রাহঃ) ও হাম্মাদ (ইবন আবু সুলায়মান) (রাহঃ) এই মতই পােষণ করেছেন।
2339 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا أَبُو مُصْعَبٍ الزُّهْرِيُّ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي حَازِمٍ , عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَرَّسَ ذَاتَ لَيْلَةٍ بِطَرِيقِ مَكَّةَ , فَلَمْ يَسْتَيْقِظْ هُوَ وَلَا أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ حَتَّى ضَرَبَتْهُمُ الشَّمْسُ , فَاسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «هَذَا مَنْزِلٌ بِهِ شَيْطَانٌ» فَاقْتَادَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاقْتَادَ أَصْحَابُهُ , حَتَّى ارْتَفَعَ الضُّحَى , فَأَنَاخَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَأَنَاخَ أَصْحَابُهُ , فَأَمَّهُمْ , فَصَلَّى الصُّبْحَ. فَلَمَّا رَأَيْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَّرَ صَلَاةَ الصُّبْحِ لَمَّا طَلَعَتِ الشَّمْسُ وَهِيَ فَرِيضَةٌ فَلَمْ يُصَلِّهَا حِينَئِذٍ حَتَّى ارْتَفَعَتِ الشَّمْسُ وَقَدْ قَالَ فِي غَيْرِ هَذَا الْحَدِيثِ: «مَنْ نَسِيَ صَلَاةً أَوْ نَامَ عَنْهَا , فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا» دَلَّ ذَلِكَ أَنَّ نَهْيَهُ عَنِ الصَّلَاةِ عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ , قَدْ دَخَلَ فِيهِ الْفَرَائِضُ وَالنَّوَافِلُ , وَأَنَّ الْوَقْتَ الَّذِي اسْتَيْقَظَ فِيهِ , لَيْسَ بِوَقْتٍ لِلصَّلَاةِ الَّتِي نَامَ عَنْهَا. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَلِمَ قُلْتَ بِبَعْضِ هَذَا الْحَدِيثِ , وَتَرَكْتَ بَعْضَهُ؟ فَقُلْتُ: «مَنْ صَلَّى مِنَ الْعَصْرِ رَكْعَةً ثُمَّ غَرَبَتْ لَهُ الشَّمْسُ , أَنَّهُ يُصَلِّي بَقِيَّتَهَا» قِيلَ لَهُ: لَمْ نَقُلْ بِبَعْضِ هَذَا الْحَدِيثِ , وَلَا بِشَيْءٍ مِنْهُ , بَلْ جَعَلْنَاهُ مَنْسُوخًا كُلَّهُ , بِمَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ نَهْيِهِ عَنِ الصَّلَاةِ عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ , وَبِمَا قَدْ دَلَّ عَلَيْهِ مَا ذَكَرْنَا مِنْ حَدِيثِ جُبَيْرٍ , وَعِمْرَانَ , وَأَبِي قَتَادَةَ , وَأَبِي هُرَيْرَةَ عَلَى أَنَّ الْفَرِيضَةَ قَدْ دَخَلَتْ فِي ذَلِكَ , وَأَنَّهَا لَا تُصَلَّى حِينَئِذٍ , كَمَا لَا تُصَلَّى النَّافِلَةُ. وَأَمَّا الصَّلَاةُ عِنْدَ غُرُوبِ الشَّمْسِ لِعَصْرِ يَوْمِهِ , فَإِنَّا قَدْ ذَكَرْنَا الْكَلَامَ فِي ذَلِكَ فِي بَابِ مَوَاقِيتِ الصَّلَاةِ. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ. وَأَمَّا وَجْهُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا رَأَيْنَا وَقْتَ طُلُوعِ الشَّمْسِ إِلَى أَنْ تَرْتَفِعَ , وَقْتًا قَدْ نُهِيَ عَنِ الصَّلَاةِ فِيهِ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي حُكْمِ الْأَوْقَاتِ الَّتِي يُنْهَى فِيهَا عَنِ الْأَشْيَاءِ , هَلْ يَكُونُ عَلَى التَّطَوُّعِ مِنْهَا دُونَ الْفَرَائِضِ؟ أَوْ عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ؟ فَرَأَيْنَا يَوْمَ الْفِطْرِ , وَيَوْمَ النَّحْرِ , قَدْ نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صِيَامِهِمَا , وَقَامَتِ الْحُجَّةُ عَنْهُ بِذَلِكَ , فَكَانَ ذَلِكَ النَّهْيُ عِنْدَ جَمِيعِ الْعُلَمَاءِ عَلَى أَنْ لَا يُصَامَ فِيهِمَا فَرِيضَةٌ , وَلَا تَطَوُّعٌ. فَكَانَ النَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ فِي وَقْتِ طُلُوعِ الشَّمْسِ , الَّذِي قَدْ نُهِيَ عَنِ الصَّلَاةِ فِيهِ , أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ , لَا تُصَلَّى فِيهِ فَرِيضَةٌ وَلَا تَطَوُّعٌ , وَكَذَلِكَ يَجِيءُ فِي النَّظَرِ عِنْدَ غُرُوبِ الشَّمْسِ. وَأَمَّا نَهْيُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلَاةِ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغِيبَ الشَّمْسُ , وَبَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ , فَإِنَّ هَذَيْنِ الْوَقْتَيْنِ لَمْ يُنْهَ عَنِ الصَّلَاةِ فِيهِمَا لِلْوَقْتِ , وَإِنَّمَا نُهِيَ عَنِ الصَّلَاةِ فِيهِمَا لِلصَّلَاةِ , وَقَدْ رَأَيْنَا ذَلِكَ الْوَقْتَ يَجُوزُ لِمَنْ لَمْ يُصَلِّ أَنْ يُصَلِّيَ فِيهِ الْفَرِيضَةَ وَالصَّلَاةَ الْفَائِتَةَ. فَلَمَّا كَانَتِ الصَّلَاةُ هِيَ النَّاهِيَةُ وَهِيَ فَرِيضَةٌ , كَانَتْ إِنَّمَا يُنْهَى عَنْ غَيْرِ شَكْلِهَا مِنَ النَّوَافِلِ , لَا عَنِ الْفَرَائِضِ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ قَالَ بِذَلِكَ الْحَكَمُ وَحَمَّادٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৩৪০
ফজরের সালাত এক রাক'আত পড়ার পর যদি সূর্য উঠে যায়।
২৩৪০। ইবুন মারযূক (রাহঃ) ..... শুবা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি হাকাম (রাহঃ) ও হাম্মাদ (রাহঃ) কে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, যে সালাত থেকে (না পড়ে) ঘুমিয়ে থাকার পর এমন সময়ে জাগরিত হয়েছে, যখন সূর্যের কিছু অংশ উঠে গিয়েছে। তারা উভয়ে বলেছেনঃ (আলাে) (উচু) না হওয়া পর্যন্ত সে সালাত আদায় করবে না।
2340 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، قَالَ: سَأَلْتُ الْحَكَمَ وَحَمَّادًا , عَنِ الرَّجُلِ، يَنَامُ عَنِ الصَّلَاةِ، فَيَسْتَيْقِظُ , وَقَدْ طَلَعَ مِنَ الشَّمْسِ شَيْءٌ؟ قَالَا: لَا يُصَلِّي , حَتَّى تَنْبَسِطَ الشَّمْسُ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান