শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২২৭৩
৫৫. ইমামের ঈদের সালাত ছুটে গেলে পরদিন তা পড়া যাবে কিনা?
২২৭৩। ফাহাদ (রাহঃ), আবু উমায়র ইবনে আনাস ইবনে মালিক (রাহঃ),থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন, আমার জৈনক আনসারী চাচা আমাকে সংবাদ দিয়েছে যে রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে একবার রমজান মাসের শেষ তারিখের (শাওয়ালে) নতুন চাঁদ লোকদের দৃষ্টির আড়ালে রয়ে গেল, যার কারণে সকলে রোজা রাখলেন। সূর্য হেলে যাওয়ার পর কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ), এর নিকট এসে সাক্ষ্য দিল যে তারা গত রাতে নতুন চাঁদ দেখেছে এতে রসূলুল্লাহ লোকদের সিয়াম ভঙ্গের নির্দেশ দিলে তারা তৎক্ষণাৎ সিয়াম ভেঙে ফেললেন এবং তিনি পরদিন তাদের নিয়ে ঈদগাহে ঈদের সালাত আদায় করলেন।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলেম এ হাদীসের বক্তব্য গ্রহণ করে বলেছেনঃ ঈদের দিনে লোকদের ঈদের সালাত ছুটে গেলে পরের দিন যথাসময়ে তা আদায় করবে। এ অভিমত যারা ব্যক্ত করেছেন আবু ইউসুফ(রাহঃ), তাদের অন্যতম।
পক্ষান্তরে এবিষয়ে অপরাপর আলেমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন এবং তারা বলেছেন যদি ঈদের দিন ঈদের সালাত ছুটে গিয়ে সূর্য হেলে যায় তাহলে এর পরে সেই দিনটা পড়বে না এবং এ দিনের পরেও পড়বে না। বস্তুত এ মত পোষণ কারীদের মধ্যে আবু হানিফা (রাহঃ), অন্যতম। এই বিষয়ে তাদের দলিল হচ্ছে যে, হাদীসের হাফিজগণ যারা উক্ত হাদীস কে হুসায়ম (রাহঃ),থেকে রিয়াওয়াত করেছেন, তারা এতে একথা উল্লেখ করেননি যে তিনি তাদেরকে নিয়ে পরের দিন ঈদের সালাত আদায় করেছেন। যারা উক্ত হাদীসের হুসায়ম (রাহঃ),থেকে রিওয়ায়াত করেছেন এবং এতে সালাতের কথা উল্লেখ করেননি। তাদের মধ্যে ইয়াহিয়া ইবনে হাসান (রাহঃ) এবং সাঈদ ইবনে মানসুর (রাহঃ) রয়েছেন। এই সাইদ অপরাপর লোকদের অপেক্ষা হুসায়মের শব্দাবলীকে অধিক সংরক্ষন করেছেন। আর তিনিই লোকদের জানিয়ে দিয়েছেন যে হুসায়ন মুদাল্লিস রাবি।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলেম এ হাদীসের বক্তব্য গ্রহণ করে বলেছেনঃ ঈদের দিনে লোকদের ঈদের সালাত ছুটে গেলে পরের দিন যথাসময়ে তা আদায় করবে। এ অভিমত যারা ব্যক্ত করেছেন আবু ইউসুফ(রাহঃ), তাদের অন্যতম।
পক্ষান্তরে এবিষয়ে অপরাপর আলেমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন এবং তারা বলেছেন যদি ঈদের দিন ঈদের সালাত ছুটে গিয়ে সূর্য হেলে যায় তাহলে এর পরে সেই দিনটা পড়বে না এবং এ দিনের পরেও পড়বে না। বস্তুত এ মত পোষণ কারীদের মধ্যে আবু হানিফা (রাহঃ), অন্যতম। এই বিষয়ে তাদের দলিল হচ্ছে যে, হাদীসের হাফিজগণ যারা উক্ত হাদীস কে হুসায়ম (রাহঃ),থেকে রিয়াওয়াত করেছেন, তারা এতে একথা উল্লেখ করেননি যে তিনি তাদেরকে নিয়ে পরের দিন ঈদের সালাত আদায় করেছেন। যারা উক্ত হাদীসের হুসায়ম (রাহঃ),থেকে রিওয়ায়াত করেছেন এবং এতে সালাতের কথা উল্লেখ করেননি। তাদের মধ্যে ইয়াহিয়া ইবনে হাসান (রাহঃ) এবং সাঈদ ইবনে মানসুর (রাহঃ) রয়েছেন। এই সাইদ অপরাপর লোকদের অপেক্ষা হুসায়মের শব্দাবলীকে অধিক সংরক্ষন করেছেন। আর তিনিই লোকদের জানিয়ে দিয়েছেন যে হুসায়ন মুদাল্লিস রাবি।
بَابُ الْإِمَامِ يَفُوتُهُ صَلَاةُ الْعِيدِ هَلْ يُصَلِّيهَا مِنَ الْغَدِ أَمْ لَا؟
2273 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: ثنا هُشَيْمُ بْنُ بَشِيرٍ , عَنْ أَبِي بِشْرٍ جَعْفَرِ بْنِ إِيَاسٍ , عَنْ أَبِي عُمَيْرِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي عُمُومَتِي مِنَ الْأَنْصَارِ: «أَنَّ الْهِلَالَ خَفِيَ عَلَى النَّاسِ فِي آخِرِ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ فِي زَمَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَصْبَحُوا صِيَامًا فَشَهِدُوا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ زَوَالِ الشَّمْسِ , أَنَّهُمْ رَأَوُا الْهِلَالَ اللَّيْلَةَ الْمَاضِيَةَ. فَأَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ بِالْفِطْرِ , فَأَفْطَرُوا تِلْكَ السَّاعَةَ , وَخَرَجَ بِهِمْ مِنَ الْغَدِ , فَصَلَّى بِهِمْ صَلَاةَ الْعِيدِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا فَقَالُوا: إِذَا فَاتَ النَّاسَ صَلَاةُ الْعِيدِ فِي صَدْرِ يَوْمِ الْعِيدِ , صَلَّوْهَا مِنْ غَدِ ذَلِكَ الْيَوْمِ , فِي الْوَقْتِ الَّذِي يُصَلُّونَهَا. وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ , أَبُو يُوسُفَ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: إِذَا فَاتَتِ الصَّلَاةُ يَوْمَ الْعِيدِ , حَتَّى زَالَتِ الشَّمْسُ مِنْ يَوْمِهِ , لَمْ يُصَلِّ بَعْدَ ذَلِكَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ , وَلَا فِيمَا بَعْدَهُ. وَمِمَّنْ قَالَ ذَلِكَ , أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ , أَنَّ الْحُفَّاظَ مِمَّنْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ , عَنْ هُشَيْمٍ , لَا يَذْكُرُونَ فِيهِ أَنَّهُ صَلَّى بِهِمْ مِنَ الْغَدِ. فَمِمَّنْ رَوَى ذَلِكَ عَنْ هُشَيْمٍ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ هَذَا , يَحْيَى بْنُ حَسَّانٍ , وَسَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , وَهُوَ أَضْبَطُ النَّاسِ لِأَلْفَاظِ هُشَيْمٍ , وَهُوَ الَّذِي مَيَّزَ لِلنَّاسِ مَا كَانَ هُشَيْمٌ يُدَلِّسُ بِهِ مِنْ غَيْرِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২২৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ২২৭৫
ইমামের ঈদের সালাত ছুটে গেলে পরদিন তা পড়া যাবে কিনা?
২২৭৪-২২৭৫। সালিহ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ)...আবু উমায়র ইবনে আনাস (রাহঃ),থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীগণের মধ্য থেকে আমার আনসারী চাচাগণ সুসংবাদ দিয়েছেন যে শাওয়ালের নতুন চাঁদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হল না যার কারণে আমরা সিয়াম রত অবস্থায় রইলাম। তারপর দিনের শেষভাগে একদল লোক এসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট স্বাক্ষ দিল যে তারা গতকাল নতুন চাঁদ দেখেছে। এতে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তাদের কে সেই দিনের সিয়াম ভঙ্গের নির্দেশ প্রদান করেন; এবং বলেন তারপর যেন তারা ইদের জন্য আগামীকালের ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হন।
সুলাইমান ইবনে শু'য়াইব (রাহঃ)..আবু বিশর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি উল্লেখ করেছেন।
বস্তুত এটিই হচ্ছে এ হাদীসের মূল (বিষয় বস্তু) আব্দুল্লাহ ইবনে সালিহ যেটি রিয়াওয়াত করেছেন সেটি নয়। তিনি যে তাদেরকে আগামীকাল ঈদের জন্য বের হতে নির্দেশ দিয়েছেন এতে হতে পারে লোকদেরকে দোয়ার জন্য একত্রিত করা। অথবা তাদের সংখ্যাধিক্য প্রদর্শন করে শত্রুকে ভাবিয়ে তোলা। তাদেরকে নিয়ে ঈদের সালাত আদায়ের জন্য সেখানে নিয়ে যাননি যেমন আমরা লক্ষ্য করছি যে ঈদের দিন তিনি এরূপ লোকদেরকেও উপস্থিত হতে নির্দেশ দিতেন যারা সালাত পড়তো না।
সুলাইমান ইবনে শু'য়াইব (রাহঃ)..আবু বিশর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি উল্লেখ করেছেন।
বস্তুত এটিই হচ্ছে এ হাদীসের মূল (বিষয় বস্তু) আব্দুল্লাহ ইবনে সালিহ যেটি রিয়াওয়াত করেছেন সেটি নয়। তিনি যে তাদেরকে আগামীকাল ঈদের জন্য বের হতে নির্দেশ দিয়েছেন এতে হতে পারে লোকদেরকে দোয়ার জন্য একত্রিত করা। অথবা তাদের সংখ্যাধিক্য প্রদর্শন করে শত্রুকে ভাবিয়ে তোলা। তাদেরকে নিয়ে ঈদের সালাত আদায়ের জন্য সেখানে নিয়ে যাননি যেমন আমরা লক্ষ্য করছি যে ঈদের দিন তিনি এরূপ লোকদেরকেও উপস্থিত হতে নির্দেশ দিতেন যারা সালাত পড়তো না।
2274 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، قَالَ: أنا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ أَبِي عُمَيْرِ بْنِ أَنَسٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُمُومَتِي، مِنَ الْأَنْصَارِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالُوا: «أُغْمِيَ عَلَيْنَا هِلَالُ شَوَّالٍ فَأَصْبَحْنَا صِيَامًا , فَجَاءَ رَكْبٌ مِنْ آخِرِ النَّهَارِ فَشَهِدُوا عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمْ رَأَوُا الْهِلَالَ بِالْأَمْسِ. فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُفْطِرُوا مِنْ يَوْمِهِمْ , ثُمَّ لِيَخْرُجُوا لِعِيدِهِمْ مِنَ الْغَدِ إِلَى مُصَلَّاهُمْ»
2275 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَسَّانٍ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَهَذَا هُوَ أَصْلُ هَذَا الْحَدِيثِ , لَا كَمَا رَوَاهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , وَأَمْرُهُ إِيَّاهُمْ بِالْخُرُوجِ مِنَ الْغَدِ لِعِيدِهِمْ , قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِذَلِكَ أَنْ يَجْتَمِعُوا فِيهِ لِيَدْعُوا , أَوْ لِيَرَى كَثْرَتَهُمْ , فَيَتَنَاهَى ذَلِكَ إِلَى عَدُوِّهِمْ فَتَعْظُمُ أُمُورُهُمْ عِنْدَهُ , لَا لَأَنْ يُصَلُّوا كَمَا يُصَلَّى لِلْعِيدِ وَقَدْ رَأَيْنَا الْمُصَلِّيَ فِي يَوْمِ الْعِيدِ قَدْ كَانَ أُمِرَ بِحُضُورِ مَنْ لَا يُصَلِّي
2275 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَسَّانٍ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَهَذَا هُوَ أَصْلُ هَذَا الْحَدِيثِ , لَا كَمَا رَوَاهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , وَأَمْرُهُ إِيَّاهُمْ بِالْخُرُوجِ مِنَ الْغَدِ لِعِيدِهِمْ , قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِذَلِكَ أَنْ يَجْتَمِعُوا فِيهِ لِيَدْعُوا , أَوْ لِيَرَى كَثْرَتَهُمْ , فَيَتَنَاهَى ذَلِكَ إِلَى عَدُوِّهِمْ فَتَعْظُمُ أُمُورُهُمْ عِنْدَهُ , لَا لَأَنْ يُصَلُّوا كَمَا يُصَلَّى لِلْعِيدِ وَقَدْ رَأَيْنَا الْمُصَلِّيَ فِي يَوْمِ الْعِيدِ قَدْ كَانَ أُمِرَ بِحُضُورِ مَنْ لَا يُصَلِّي

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২২৭৬
ইমামের ঈদের সালাত ছুটে গেলে পরদিন তা পড়া যাবে কিনা?
২২৭৬। সালিহ (রাহঃ) উম্মু আতিয়া থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেনঃ রাসুলুল্লাহ ঋতুবতী এবং পর্দাশীন নারীদেরকে ঈদের দিন বের করে নিয়ে যেতেন। তবে ঋতুবতী নারীরা সালাত স্থল থেকে দূরে থাকতেন। তারা কেবল মুসলমানদের সঙ্গে কল্যাণকামিতা এবং দোয়ায়ে শরিক হতেন। হুসায়ম বলেন জনৈকা মহিলা একবার বলল হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমাদের কারো চাদর না থাকে (তবে সে কিভাবে বের হবে?) তিনি বললেনঃ তার কোন বোনটাকে একটি চাদর ধার দিয়ে দিবে। যেভাবে ঋতুবতী নারীরা ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হতেন, সালাতের জন্য নয়; বরং মুসলমানদের দোয়া লাভের জন্য, তেমনি সম্ভাবনা রয়েছে যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পরদিন ঈদগাহে লোকদেরকে বের হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এজন্য, যেন তারা একত্রিত হয়ে দোয়া করে সালাত আদায়ের জন্য নয়।
2276 - حَدَّثَنَا صَالِحٌ، قَالَ: ثنا سَعِيدٌ، قَالَ: أنا هُشَيْمٌ، قَالَ: أنا مَنْصُورٌ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، وَهِشَامٍ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُخْرِجُ الْحُيَّضَ وَذَوَاتَ الْخُدُورِ يَوْمَ الْعِيدِ فَأَمَّا الْحُيَّضُ فَيَعْتَزِلْنَ وَيَشْهَدْنَ الْخَيْرَ , وَدَعْوَةَ الْمُسْلِمِينَ» وَقَالَ هُشَيْمٌ: فَقَالَتِ امْرَأَةٌ: يَا رَسُولَ اللهِ , فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لِإِحْدَانَا جِلْبَابٌ؟ قَالَ: «فَلْتُعِرْهَا أُخْتُهَا جِلْبَابَهَا» فَلَمَّا كَانَ الْحُيَّضُ يَخْرُجْنَ لَا لِلصَّلَاةِ , وَلَكِنْ لَأَنْ يُصِيبَهُنَّ دَعْوَةُ الْمُسْلِمِينَ , احْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ النَّاسَ بِالْخُرُوجِ مِنْ غَدِ الْعِيدِ لَأَنْ يَجْتَمِعُوا فَيَدْعُونَ , فَيُصِيبُهُمْ دَعْوَتُهُمْ , لَا لِلصَّلَاةِ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২২৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ২২৭৮
ইমামের ঈদের সালাত ছুটে গেলে পরদিন তা পড়া যাবে কিনা?
২২৭৭-২২৭৮। আর অবশ্যই এ হাদীসটি শু'বা (রাহঃ) আবু বিসর (রাহঃ) থেকে সাঈদ (রাহঃ) এবং ইয়াহইয়া (রাহঃ) এর অনুরূপ রিয়াওয়াত করেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে সালিহ (রাহঃ) সালিহ (রাহঃ) এর রিয়াওয়াত অনুরূপ নয়।
ইবনে মারযুক (রাহঃ)... আবু বিশর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এই বর্ণনায় এসেছে যে, তিনি তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন তারা সকালে যেন ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। বস্তুত এটির অর্থ হুসায়ম (রাহঃ) থেকে ইয়াহইয়া (রাহঃ) ও সাঈদ (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত রিয়াওয়াত অর্থের অনুরূপ। আর এটি-ই হচ্ছে মূল হাদীস। যখন হাদীসের সালাত আদায় সংক্রান্ত বিরোধপূর্ণ বিষয়টি উল্লেখ নেই তাই আমরা এ বিষয়ে যাচাই করার প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধন করালাম।
তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলিল
বস্তুত আমরা লক্ষ্য করে দেখলাম যে, সালাত হচ্ছে দু'প্রকার। একটি হচ্ছে-যা (তিনটি) সময় ব্যতীত সর্বদা পড়া যায় যাতে ফরজ সালাত পড়া নিষিদ্ধ (যেমন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত) এরূপ সালাত থেকে যদি কোন সালাত নির্দিষ্ট ওয়াক্ত থেকে কাজা হয়ে যায় তাহলে নিষিদ্ধ সময় ব্যতীত সমস্ত সময়ই এটি আদায় করার সময়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে-যার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে রয়েছে। কারো জন্য সেই নির্ধারিত সময়ে ব্যতীত তা পড়া জায়েজ হবে না। যেমন জুমু'আ। এর বিধান হচ্ছেঃ জুমু'আর দিন সূর্য হেলে যাওয়ার পর থেকে আসরের সময়ের আগ পর্যন্ত এটি পড়বে। যদি এই ওয়াক্ত টি চলে যায় তাহলে সালাত ছুটে গেল এবং এটি সেইদিনের নির্দিষ্ট সময়ের পরে এবং অন্যদিনে পড়া জায়েজ নেই।
অতএব এটি সর্ববাদী সম্মত মত যেত, ওয়াক্ত থেকে ছুটে যাওয়ার পর সে-ই দিনের অবশিষ্ট অংশের কাযা করা যায় না, তা পরেও কাযা করা যাবে না। আর যে সালাত ওয়াক্ত থেকে ছুটে যাওয়ার পর সেই দিনের অবশিষ্ট অংশের কাজ করা যায় তা পরের দিন এবং এরপরেও কাযা করা যাবে। ঈদের সালাতের জন্য ঈদের দিন নির্দিষ্ট একটি ওয়াক্ত রয়েছে তা হচ্ছে সূর্য হেলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত। আর সকলেই ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, ঈদের সালাত কেউ যখন সেই দিন সূর্য হেলে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আদায় না করে তাহলে তার সেই দিনের অবশিষ্ট অংশের পড়বে না। সুতরাং যখন প্রমাণিত হলো যে, ঈদের সালাতের ওয়াক্ত বের হয়ে যাওয়ার পর তার সেই দিনে কাযা পড়া যায় না। এটিও সাব্যস্ত হলে যে, তা পরের দিনে অথবা অন্য দিনে কাযা পড়া যাবে না। এটি-ই হচ্ছে, এ অধ্যায়ে যুক্তিভিত্তিক দলিল ও বিশ্লেষণ। আর এটি হচ্ছে আবু হানিফা (রাহঃ) এর অভিমত তার থেকে কয়েক লোকের বর্ণনার ভিত্তিতে। আমরা কিন্তু তার থেকে বর্ণিত আবু ইউসুফ (রাহঃ) এর রিয়াওয়াতে এটি পাই না এরূপ আহমদ (রাহঃ) এর রিয়াওয়াতেও বিদ্যমান রয়েছে।
ইবনে মারযুক (রাহঃ)... আবু বিশর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এই বর্ণনায় এসেছে যে, তিনি তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন তারা সকালে যেন ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। বস্তুত এটির অর্থ হুসায়ম (রাহঃ) থেকে ইয়াহইয়া (রাহঃ) ও সাঈদ (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত রিয়াওয়াত অর্থের অনুরূপ। আর এটি-ই হচ্ছে মূল হাদীস। যখন হাদীসের সালাত আদায় সংক্রান্ত বিরোধপূর্ণ বিষয়টি উল্লেখ নেই তাই আমরা এ বিষয়ে যাচাই করার প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধন করালাম।
তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলিল
বস্তুত আমরা লক্ষ্য করে দেখলাম যে, সালাত হচ্ছে দু'প্রকার। একটি হচ্ছে-যা (তিনটি) সময় ব্যতীত সর্বদা পড়া যায় যাতে ফরজ সালাত পড়া নিষিদ্ধ (যেমন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত) এরূপ সালাত থেকে যদি কোন সালাত নির্দিষ্ট ওয়াক্ত থেকে কাজা হয়ে যায় তাহলে নিষিদ্ধ সময় ব্যতীত সমস্ত সময়ই এটি আদায় করার সময়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে-যার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে রয়েছে। কারো জন্য সেই নির্ধারিত সময়ে ব্যতীত তা পড়া জায়েজ হবে না। যেমন জুমু'আ। এর বিধান হচ্ছেঃ জুমু'আর দিন সূর্য হেলে যাওয়ার পর থেকে আসরের সময়ের আগ পর্যন্ত এটি পড়বে। যদি এই ওয়াক্ত টি চলে যায় তাহলে সালাত ছুটে গেল এবং এটি সেইদিনের নির্দিষ্ট সময়ের পরে এবং অন্যদিনে পড়া জায়েজ নেই।
অতএব এটি সর্ববাদী সম্মত মত যেত, ওয়াক্ত থেকে ছুটে যাওয়ার পর সে-ই দিনের অবশিষ্ট অংশের কাযা করা যায় না, তা পরেও কাযা করা যাবে না। আর যে সালাত ওয়াক্ত থেকে ছুটে যাওয়ার পর সেই দিনের অবশিষ্ট অংশের কাজ করা যায় তা পরের দিন এবং এরপরেও কাযা করা যাবে। ঈদের সালাতের জন্য ঈদের দিন নির্দিষ্ট একটি ওয়াক্ত রয়েছে তা হচ্ছে সূর্য হেলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত। আর সকলেই ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, ঈদের সালাত কেউ যখন সেই দিন সূর্য হেলে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আদায় না করে তাহলে তার সেই দিনের অবশিষ্ট অংশের পড়বে না। সুতরাং যখন প্রমাণিত হলো যে, ঈদের সালাতের ওয়াক্ত বের হয়ে যাওয়ার পর তার সেই দিনে কাযা পড়া যায় না। এটিও সাব্যস্ত হলে যে, তা পরের দিনে অথবা অন্য দিনে কাযা পড়া যাবে না। এটি-ই হচ্ছে, এ অধ্যায়ে যুক্তিভিত্তিক দলিল ও বিশ্লেষণ। আর এটি হচ্ছে আবু হানিফা (রাহঃ) এর অভিমত তার থেকে কয়েক লোকের বর্ণনার ভিত্তিতে। আমরা কিন্তু তার থেকে বর্ণিত আবু ইউসুফ (রাহঃ) এর রিয়াওয়াতে এটি পাই না এরূপ আহমদ (রাহঃ) এর রিয়াওয়াতেও বিদ্যমান রয়েছে।
وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ شُعْبَةُ , عَنْ أَبِي بِشْرٍ , كَمَا رَوَاهُ سَعِيدٌ وَيَحْيَى , لَا كَمَا رَوَاهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ
2277 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا عُمَيْرِ بْنَ أَنَسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ ح ,
2278 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدُ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «وَأَمَرَهُمْ إِذَا أَصْبَحُوا أَنْ يَخْرُجُوا إِلَى مُصَلَّاهُمْ» فَمَعْنَى ذَلِكَ أَيْضًا مَعْنَى مَا رَوَى يَحْيَى وَسَعِيدٌ , عَنْ هُشَيْمٍ , وَهَذَا هُوَ أَصْلُ الْحَدِيثِ. وَلَمَّا لَمْ يَكُنْ فِي الْحَدِيثِ , مَا يَدُلُّ عَلَى حُكْمِ مَا اخْتَلَفُوا فِيهِ مِنَ الصَّلَاةِ فِي الْغَدِ , فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ فَرَأَيْنَا الصَّلَوَاتِ عَلَى ضَرْبَيْنِ. فَمِنْهَا مَا الدَّهْرُ كُلُّهُ لَهَا وَقْتٌ , غَيْرَ الْأَوْقَاتِ الَّتِي لَا يُصَلِّي فِيهَا الْفَرِيضَةَ , فَكَانَ مَا فَاتَ مِنْهَا فِي وَقْتِهِ , فَالدَّهْرُ كُلُّهُ لَهَا وَقْتٌ يُقْضَى فِيهِ , غَيْرَ مَا نُهِيَ عَنْ قَضَائِهَا فِيهِ مِنَ الْأَوْقَاتِ. وَمِنْهَا مَا جُعِلَ لَهُ وَقْتٌ خَاصٌّ , وَلَمْ يُجْعَلْ لِأَحَدٍ أَنْ يُصَلِّيَهُ فِي غَيْرِ ذَلِكَ الْوَقْتِ. مِنْ ذَلِكَ الْجُمُعَةُ , حُكْمُهَا أَنْ يُصَلِّيَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مِنْ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسِ إِلَى أَنْ يَدْخُلَ وَقْتُ الْعَصْرِ , فَإِذَا خَرَجَ ذَلِكَ الْوَقْتُ فَاتَتْ وَلَمْ يَجُزْ أَنْ يُصَلِّيَ بَعْدَ ذَلِكَ فِي يَوْمِهَا ذَلِكَ , وَلَا فِيمَا بَعْدَهُ. فَكَانَ مَا لَا يُقْضَى فِي بَقِيَّةِ يَوْمِهِ بَعْدَ فَوَاتِ وَقْتِهِ , لَا يُقْضَى بَعْدَ ذَلِكَ. وَمَا يُقْضَى بَعْدَ فَوَاتِ وَقْتِهِ فِي بَقِيَّةِ يَوْمِهِ ذَلِكَ , قُضِيَ مِنَ الْغَدِ , وَبَعْدَ ذَلِكَ , وَكُلُّ هَذَا مُجْمَعٌ عَلَيْهِ. وَكَانَتْ صَلَاةُ الْعِيدِ جُعِلَ لَهَا وَقْتٌ خَاصٌّ , فِي يَوْمِ الْعِيدِ , آخِرُهُ زَوَالُ الشَّمْسِ , وَكُلٌّ قَدْ أَجْمَعَ عَلَى أَنَّهَا إِذَا لَمْ تُصَلَّ يَوْمَئِذٍ حَتَّى زَالَتِ الشَّمْسُ أَنَّهَا لَا تُصَلَّى فِي بَقِيَّةِ يَوْمِهَا. فَلَهَا ثَبَتَ أَنَّ صَلَاةَ الْعِيدِ , لَا تُقْضَى بَعْدَ خُرُوجِ وَقْتِهَا فِي يَوْمِهَا ذَلِكَ , ثَبَتَ أَنَّهَا لَا تُقْضَى بَعْدَ ذَلِكَ فِي غَدٍ وَلَا غَيْرِهِ , لِأَنَّا رَأَيْنَا مَا لِلَّذِي فَاتَهُ أَنْ يَقْضِيَهُ مِنْ غَدٍ يَوْمِهِ جَائِزٌ لَهُ أَنْ يَقْضِيَهُ مِنْ بَقِيَّةِ الْيَوْمِ الَّذِي وَقْتُهُ فِيهِ وَمَا لَيْسَ , لِلَّذِي فَاتَهُ أَنْ يَقْضِيَهُ مِنْ بَقِيَّةِ يَوْمِهِ ذَلِكَ , فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَقْضِيَهُ مِنْ غَدِهِ. فَصَلَاةُ الْعِيدِ كَذَلِكَ , لَمَّا ثَبَتَ أَنَّهَا لَا تُقْضَى إِذَا فَاتَتْ فِي بَقِيَّةِ يَوْمِهَا , ثَبَتَ أَنَّهَا لَا تُقْضَى فِي غَدِهِ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى , فِيمَا رَوَاهُ عَنْ بَعْضِ النَّاسِ , وَلَمْ نَجِدْهُ فِي رِوَايَةِ أَبِي يُوسُفَ عَنْهُ , هَكَذَا كَانَ فِي رِوَايَةِ أَحْمَدَ رَحِمَهُمَا اللهُ تَعَالَى
2277 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا عُمَيْرِ بْنَ أَنَسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ ح ,
2278 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدُ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «وَأَمَرَهُمْ إِذَا أَصْبَحُوا أَنْ يَخْرُجُوا إِلَى مُصَلَّاهُمْ» فَمَعْنَى ذَلِكَ أَيْضًا مَعْنَى مَا رَوَى يَحْيَى وَسَعِيدٌ , عَنْ هُشَيْمٍ , وَهَذَا هُوَ أَصْلُ الْحَدِيثِ. وَلَمَّا لَمْ يَكُنْ فِي الْحَدِيثِ , مَا يَدُلُّ عَلَى حُكْمِ مَا اخْتَلَفُوا فِيهِ مِنَ الصَّلَاةِ فِي الْغَدِ , فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ فَرَأَيْنَا الصَّلَوَاتِ عَلَى ضَرْبَيْنِ. فَمِنْهَا مَا الدَّهْرُ كُلُّهُ لَهَا وَقْتٌ , غَيْرَ الْأَوْقَاتِ الَّتِي لَا يُصَلِّي فِيهَا الْفَرِيضَةَ , فَكَانَ مَا فَاتَ مِنْهَا فِي وَقْتِهِ , فَالدَّهْرُ كُلُّهُ لَهَا وَقْتٌ يُقْضَى فِيهِ , غَيْرَ مَا نُهِيَ عَنْ قَضَائِهَا فِيهِ مِنَ الْأَوْقَاتِ. وَمِنْهَا مَا جُعِلَ لَهُ وَقْتٌ خَاصٌّ , وَلَمْ يُجْعَلْ لِأَحَدٍ أَنْ يُصَلِّيَهُ فِي غَيْرِ ذَلِكَ الْوَقْتِ. مِنْ ذَلِكَ الْجُمُعَةُ , حُكْمُهَا أَنْ يُصَلِّيَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مِنْ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسِ إِلَى أَنْ يَدْخُلَ وَقْتُ الْعَصْرِ , فَإِذَا خَرَجَ ذَلِكَ الْوَقْتُ فَاتَتْ وَلَمْ يَجُزْ أَنْ يُصَلِّيَ بَعْدَ ذَلِكَ فِي يَوْمِهَا ذَلِكَ , وَلَا فِيمَا بَعْدَهُ. فَكَانَ مَا لَا يُقْضَى فِي بَقِيَّةِ يَوْمِهِ بَعْدَ فَوَاتِ وَقْتِهِ , لَا يُقْضَى بَعْدَ ذَلِكَ. وَمَا يُقْضَى بَعْدَ فَوَاتِ وَقْتِهِ فِي بَقِيَّةِ يَوْمِهِ ذَلِكَ , قُضِيَ مِنَ الْغَدِ , وَبَعْدَ ذَلِكَ , وَكُلُّ هَذَا مُجْمَعٌ عَلَيْهِ. وَكَانَتْ صَلَاةُ الْعِيدِ جُعِلَ لَهَا وَقْتٌ خَاصٌّ , فِي يَوْمِ الْعِيدِ , آخِرُهُ زَوَالُ الشَّمْسِ , وَكُلٌّ قَدْ أَجْمَعَ عَلَى أَنَّهَا إِذَا لَمْ تُصَلَّ يَوْمَئِذٍ حَتَّى زَالَتِ الشَّمْسُ أَنَّهَا لَا تُصَلَّى فِي بَقِيَّةِ يَوْمِهَا. فَلَهَا ثَبَتَ أَنَّ صَلَاةَ الْعِيدِ , لَا تُقْضَى بَعْدَ خُرُوجِ وَقْتِهَا فِي يَوْمِهَا ذَلِكَ , ثَبَتَ أَنَّهَا لَا تُقْضَى بَعْدَ ذَلِكَ فِي غَدٍ وَلَا غَيْرِهِ , لِأَنَّا رَأَيْنَا مَا لِلَّذِي فَاتَهُ أَنْ يَقْضِيَهُ مِنْ غَدٍ يَوْمِهِ جَائِزٌ لَهُ أَنْ يَقْضِيَهُ مِنْ بَقِيَّةِ الْيَوْمِ الَّذِي وَقْتُهُ فِيهِ وَمَا لَيْسَ , لِلَّذِي فَاتَهُ أَنْ يَقْضِيَهُ مِنْ بَقِيَّةِ يَوْمِهِ ذَلِكَ , فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَقْضِيَهُ مِنْ غَدِهِ. فَصَلَاةُ الْعِيدِ كَذَلِكَ , لَمَّا ثَبَتَ أَنَّهَا لَا تُقْضَى إِذَا فَاتَتْ فِي بَقِيَّةِ يَوْمِهَا , ثَبَتَ أَنَّهَا لَا تُقْضَى فِي غَدِهِ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى , فِيمَا رَوَاهُ عَنْ بَعْضِ النَّاسِ , وَلَمْ نَجِدْهُ فِي رِوَايَةِ أَبِي يُوسُفَ عَنْهُ , هَكَذَا كَانَ فِي رِوَايَةِ أَحْمَدَ رَحِمَهُمَا اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান