শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২০২৯
আন্তর্জাতিক নং: ২০৩০
৪৭. এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০২৯-২০৩০। আবু বাকরা (রাহঃ)…… আবুল আলিয়া (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (স) –কে বলতে শুনেছেন এরূপ ব্যক্তি আমাকে বলেছেন যে, তিনি (স) বলেছেন, প্রতিটি সূরার জন্য একটি রাক’আত।
সুলায়মান ইব্ন শু’আইব (রাহঃ) …… আবুল আলিয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (স) বলেছেনঃ প্রতিটি সুরার জন্য একটি রাক’আত আছে । আসিম (রাহঃ) বলেছেন , বিষয়টি আমি ইব্ন সীরীন (রাহঃ) এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বললেন, আবুল আলিয়ার (রাহঃ) নিকট যিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি কি তাঁর সুনিদির্ষ্ট নাম উল্লেখ করেছেন? আমি বললাম , না । তখন তিনি আমাকে বললেন, তুমি কি তাঁর নাম জিজ্ঞেস করবে না ? তারপর আমি আবুল আলিয়া (রাহঃ) –কে তাঁর নাম জিজ্ঞেস করে বললাম, আপনাকে কে হাদীস বর্ণনা করেছেন ? উত্তরে তিনি বললেন, কে কোথায় আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, আমি তা অবশ্যই জানি । বিশজনের মাঝে আমি সালাত পড়ছিলাম, সেখানে আমার নিকট এ হাদীসটি পৌছেছে ।
আবু জা’ফর তাহাবী (র ) বলেনঃ একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন । তাঁরা বলেছেনঃ কারো উচিত নয় সালাতের একই রাক’আতে সূরা ফাতিহার সাথে এক সূরার অতিরিক্ত পড়া । এ বিষয়ে তারা উপরোক্ত এ হাদীস এবং নিম্নোক্ত ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন।
সুলায়মান ইব্ন শু’আইব (রাহঃ) …… আবুল আলিয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (স) বলেছেনঃ প্রতিটি সুরার জন্য একটি রাক’আত আছে । আসিম (রাহঃ) বলেছেন , বিষয়টি আমি ইব্ন সীরীন (রাহঃ) এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বললেন, আবুল আলিয়ার (রাহঃ) নিকট যিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি কি তাঁর সুনিদির্ষ্ট নাম উল্লেখ করেছেন? আমি বললাম , না । তখন তিনি আমাকে বললেন, তুমি কি তাঁর নাম জিজ্ঞেস করবে না ? তারপর আমি আবুল আলিয়া (রাহঃ) –কে তাঁর নাম জিজ্ঞেস করে বললাম, আপনাকে কে হাদীস বর্ণনা করেছেন ? উত্তরে তিনি বললেন, কে কোথায় আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, আমি তা অবশ্যই জানি । বিশজনের মাঝে আমি সালাত পড়ছিলাম, সেখানে আমার নিকট এ হাদীসটি পৌছেছে ।
আবু জা’ফর তাহাবী (র ) বলেনঃ একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন । তাঁরা বলেছেনঃ কারো উচিত নয় সালাতের একই রাক’আতে সূরা ফাতিহার সাথে এক সূরার অতিরিক্ত পড়া । এ বিষয়ে তারা উপরোক্ত এ হাদীস এবং নিম্নোক্ত ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন।
بَابُ جَمْعِ السُّوَرِ فِي رَكْعَةٍ
2029 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عَاصِمٍ , عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ , قَالَ: أَخْبَرَنِي مَنْ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لِكُلِّ سُورَةٍ رَكْعَةٌ»
2030 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: أنا عَاصِمٌ الْأَحْوَلُ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لِكُلِّ سُورَةٍ رَكْعَةٌ» قَالَ: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِابْنِ سِيرِينَ , فَقَالَ: أَسَمَّى لَكَ مَنْ حَدَّثَهُ؟ قُلْتُ: لَا , قَالَ: أَفَلَا تَسْأَلُهُ؟ . فَسَأَلْتُهُ , فَقُلْتُ: مَنْ حَدَّثَكَ؟ فَقَالَ: إِنِّي لَأَعْلَمُ مَنْ حَدَّثَنِي , وَفِي أَيِّ مَكَانٍ حَدَّثَنِي , وَقَدْ كُنْتُ أُصَلِّي بَيْنَ عِشْرِينَ , حَتَّى بَلَغَنِي هَذَا الْحَدِيثُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ إِلَى هَذَا قَوْمٌ فَقَالُوا: لَا يَنْبَغِي لِرَجُلٍ أَنْ يَزِيدَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ مِنْ صَلَاتِهِ عَلَى سُورَةٍ مَعَ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ , وَبِمَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ
2030 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: أنا عَاصِمٌ الْأَحْوَلُ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لِكُلِّ سُورَةٍ رَكْعَةٌ» قَالَ: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِابْنِ سِيرِينَ , فَقَالَ: أَسَمَّى لَكَ مَنْ حَدَّثَهُ؟ قُلْتُ: لَا , قَالَ: أَفَلَا تَسْأَلُهُ؟ . فَسَأَلْتُهُ , فَقُلْتُ: مَنْ حَدَّثَكَ؟ فَقَالَ: إِنِّي لَأَعْلَمُ مَنْ حَدَّثَنِي , وَفِي أَيِّ مَكَانٍ حَدَّثَنِي , وَقَدْ كُنْتُ أُصَلِّي بَيْنَ عِشْرِينَ , حَتَّى بَلَغَنِي هَذَا الْحَدِيثُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ إِلَى هَذَا قَوْمٌ فَقَالُوا: لَا يَنْبَغِي لِرَجُلٍ أَنْ يَزِيدَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ مِنْ صَلَاتِهِ عَلَى سُورَةٍ مَعَ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ , وَبِمَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৩১
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৩১। আবু বাকরা (রাহঃ) …… ই’লা ইব্ন আতা (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেছেনঃ আমি ইব্ন লাবীবা (রাহঃ) –কে বলতে শুনেছি, এক ব্যক্তি ইব্ন উমর (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আমি এক রাক’আতে অথবা রাবী বলেছেন এক রাতে মুফাস্সাল সূরাগুলো (কুরআনের শেষ সপ্তমাংশে সূরা হুজরাত থেকে শেষ পর্যন্ত সূরা গুলোকে মুফাস্সাল বলা হয় ) পাঠ করি । তখন ইব্ন উমর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহ তা’আল ইচ্ছে করলে তো একবারেই গোটা কুরআন নাযিল করতে পারতেন । কিন্তু তিনি তা করেন নি , বরং পৃথক পৃথকভাবে অবতীর্ণ করেছেন, যাতে প্রত্যেক সূরাকে তার রুকূ-সিজদার অংশ প্রদান করা হয়।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেনঃ এক রাক’আতে যত ইচ্ছে সূরা পড়াতে কোন অসুবিধা নেই ।
এ বিষয়ে তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেনঃ
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেনঃ এক রাক’আতে যত ইচ্ছে সূরা পড়াতে কোন অসুবিধা নেই ।
এ বিষয়ে তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেনঃ
2031 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ لَبِيبَةَ، قَالَ: قَالَ رَجُلٌ لِابْنِ عُمَرَ: إِنِّي قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ فِي رَكْعَةٍ , أَوْ قَالَ: فِي لَيْلَةٍ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: «إِنَّ اللهَ لَوْ شَاءَ لَأَنْزَلَهُ جُمْلَةً وَاحِدَةً , وَلَكِنْ فَصَّلَهُ , لِتُعْطَى كُلُّ سُورَةٍ حَظَّهَا مِنَ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ» وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا بَأْسَ أَنْ يُصَلِّيَ الرَّجُلُ فِي الرَّكْعَةِ الْوَاحِدَةِ , مَا بَدَا لَهُ مِنَ السُّوَرِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৩২
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৩২। এ বিষয়ে তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেনঃ
ইব্ন মারযুক (রাহঃ) ……আব্দুল্লাহ ইব্ন শাকিক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন , আমি আয়িশা (রাযিঃ) –কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ্ (স) কি অনেক সূরা একত্রে মিলিয়ে পড়তেন ? তিনি বললেন হ্যাঁ মুফাস্সাল (সূরা গুলো ) পড়তেন ।
ইব্ন মারযুক (রাহঃ) ……আব্দুল্লাহ ইব্ন শাকিক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন , আমি আয়িশা (রাযিঃ) –কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ্ (স) কি অনেক সূরা একত্রে মিলিয়ে পড়তেন ? তিনি বললেন হ্যাঁ মুফাস্সাল (সূরা গুলো ) পড়তেন ।
2032 - وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ , قَالَ: أنا كَهْمَسُ بْنُ الْحَسَنِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَقِيقٍ , قَالَ: قُلْتُ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقْرِنُ السُّوَرَ؟ قَالَتْ: «الْمُفَصَّلَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৩৩
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৩৩। ইব্ন আবু দাউদ (রাহঃ)….. নাহীক ইব্ন সিনান আস-সুলামী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) –এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, আমি গতরাতে এক রাক’আতে মুফাস্সাল সূরা পাঠ করেছি। তিনি বললেন , তাহলে কবিতার ন্যায় দ্রুত এবং ছড়ানো নিম্নমানের খেজুরের ন্যায় বিক্ষিপ্তভাবে পড়া হয়েছে । সূরাগুলোকে মুফাস্সাল আকারে সাজানো হয়েছে , যাতে তোমরা আলাদাভাবে পড় । আমরা সেই বিশটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সূরা সম্পর্কে জানি , যেগুলো রাসূলুল্লাহ্ (স) তিলাওয়াত করতেন । যেমন সূরা আর-রহমান (৫৫) আন-নাজম (৫৩) ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) এর সংকলন মুতাবিক । দুটি সূরা প্রতি রাক’আতে । ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) সূরা দুখান (৪৪) ও নাবা (৭৮) এক রাক’আতে পড়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন । হুসাইন (রাহঃ) বলেন , আমি ইব্রাহীম (বর্ণনাকারী )-কে জিজ্ঞেস করলাম , আপনি ব্লুন তো , এর কম দীর্ঘ সূরা হলে আমি কি করব ? উত্তরে তিনি বললেন, আমি তো অনেক সময় চারটি সূরা এক রাক’আতে তিলাওয়াত করেছি ।
2033 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ حُصَيْنٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ، عَنْ نَهِيكِ بْنِ سِنَانٍ السُّلَمِيِّ أَنَّهُ أَتَى عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فَقَالَ: " قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ اللَّيْلَةَ فِي رَكْعَةٍ. فَقَالَ: هَذًّا مِثْلَ هَذِّ الشِّعْرِ , وَنَثْرًا مِثْلَ نَثْرِ الدَّقَلِ , إِنَّمَا فَصَّلَ لِتُفَصِّلُوا " لَقَدْ عَلِمْنَا النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ عِشْرِينَ سُورَةَ الرَّحْمَنِ وَالنَّجْمِ عَلَى تَأْلِيفِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , كُلُّ سُورَتَيْنِ فِي رَكْعَةٍ , وَذَكَرَ الدُّخَانَ وَعَمَّ يَتَسَاءَلُونَ فِي رَكْعَةٍ. فَقُلْتُ لِإِبْرَاهِيمَ: أَرَأَيْتُ مَا دُونَ ذَلِكَ , كَيْفَ أَصْنَعُ؟ قَالَ: رُبَّمَا قَرَأْتُ أَرْبَعًا فِي رَكْعَةٍ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ২০৩৬
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৩৪-২০৩৬। ইব্ন মারযুক (রাহঃ) এবং আবু বাকরা (রাহঃ) …… আবু ওয়াইল (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে বলল, আমি এক রাক’আতে মুফাস্সাল তিলাওয়াত করেছি । তিনি বললেন, এটি হচ্ছে কবিতার ন্যায় দ্রুত । আমি সেসব সাঞ্জস্যপুর্ণ সূরাগুলো জানি, যে গুলো রাসূলুল্লাহ্ (স) মিলিয়ে পড়তেন ।
সালিহ ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ….. আদবুল্লাহ (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন । তবে এ হাদীসে এরূপ আছে , সেগুলোর মধ্য হতে এক রাক’আতে দুটি করে সূরা মিলিয়ে পড়তেন
সালিহ ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ….. আদবুল্লাহ (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন । তবে এ হাদীসে এরূপ আছে , সেগুলোর মধ্য হতে এক রাক’আতে দুটি করে সূরা মিলিয়ে পড়তেন
2034 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، ح
2035 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَا: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ: أَنَّ رَجُلًا، قَالَ لِعَبْدِ اللهِ: إِنِّي قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ فِي رَكْعَةٍ , فَقَالَ: «هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ , لَقَدْ عَرَفْتُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقْرِنُ بَيْنَهُنَّ»
2036 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدٌ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، قَالَ: ثنا سَيَّارٌ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقْرِنُ بَيْنَهُنَّ , سُورَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ»
2035 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَا: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ: أَنَّ رَجُلًا، قَالَ لِعَبْدِ اللهِ: إِنِّي قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ فِي رَكْعَةٍ , فَقَالَ: «هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ , لَقَدْ عَرَفْتُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقْرِنُ بَيْنَهُنَّ»
2036 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدٌ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، قَالَ: ثنا سَيَّارٌ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقْرِنُ بَيْنَهُنَّ , سُورَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ২০৩৮
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৩৭-২০৩৮। আবু বাকরা (রাহঃ) এবং ফাহাদ (রাহঃ) ……আলকামা (রাহঃ) ও আসওয়াদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তঁরা বলেছেন, এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ (ইব্ন মাসউদ ) (রাযিঃ) এর নিকট এসে বলল, আমি এক রাক’’আতে মুফাস্সাল সূরা তিলাওয়াত করেছি । উত্তরে তিনি বললেন, নিম্নমানের খেজুরের ন্যায় বিক্ষিপ্ত এবং কবিতার ন্যায় দ্রুত পড়েছ । কিন্তু তুমি যেরূপ করেছ - রাসূলুল্লাহ্ (স) এরূপ করতেন না । তিনি প্রতি রাক’আতে দুটি সূরা মিলিয়ে পড়তেন । প্রতি রাক’আতে দুটি সূরা আর রহমান ) আন নাজম এক রাক’আতে। দশ রাক’আতে বিশটি সূরা ।
2037 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ ح
2038 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ، قَالَا: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، وَالْأَسْوَدِ، قَالَا: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَبْدِ اللهِ , فَقَالَ: إِنِّي قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ فِي رَكْعَةٍ , فَقَالَ: «نَثْرًا كَنَثْرِ الدَّقَلِ , وَهَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ لَكِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ يَفْعَلُ مَا فَعَلْتَ , كَانَ يُقْرِنُ بَيْنَ كُلِّ سُورَتَيْنِ , فِي كُلِّ رَكْعَةٍ سُورَتَيْنِ , فِي كُلِّ رَكْعَةٍ» النَّجْمَ «وَ» الرَّحْمَنَ «فِي رَكْعَةٍ , عِشْرُونَ سُورَةً , فِي عَشْرِ رَكَعَاتٍ»
2038 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ، قَالَا: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، وَالْأَسْوَدِ، قَالَا: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَبْدِ اللهِ , فَقَالَ: إِنِّي قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ فِي رَكْعَةٍ , فَقَالَ: «نَثْرًا كَنَثْرِ الدَّقَلِ , وَهَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ لَكِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ يَفْعَلُ مَا فَعَلْتَ , كَانَ يُقْرِنُ بَيْنَ كُلِّ سُورَتَيْنِ , فِي كُلِّ رَكْعَةٍ سُورَتَيْنِ , فِي كُلِّ رَكْعَةٍ» النَّجْمَ «وَ» الرَّحْمَنَ «فِي رَكْعَةٍ , عِشْرُونَ سُورَةً , فِي عَشْرِ رَكَعَاتٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০৩৯
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৩৯। আবু বাকরা (রাহঃ) … হুযায়ফা ইব্নুল ইয়ামান (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেছেন , এক রাতে আমি রাসূলুল্লাহ্ (স) –এর পাশে সালাত পড়েছি, তিনি সালাত আরম্ভ করেছেন সূরা বাকার দ্বারা , এ সূরা সমাপ্ত করার পর আরম্ভ করলেন সূরা আলে ইমরান । যখন তিনি তিলাওয়াত করতে করতে এরূপ কোন আয়াতে পৌছতেন, যাতে জান্নাত অথবা জাহান্নামের উল্লেখ রয়েছে , সেখানে থেমে যেতেন । তারপর (জান্নাতের ) আবেদন করতেন অথবা (জাহান্নাম) থেকে পানাহ চাইতেন অথবা বর্ণনাকারী এরূপ কোন বাক্য বলেছেন যার অর্থ অনুরূপ ।
অতএব এ সমস্ত রিওয়ায়াতে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (স) প্রতিটি রাক’আত দুটি করে সূরা মিলিয়ে পড়তেন । তাই আবুল আলিয়া (রাহঃ) এর বিবরণ এর বিপরীত এটাই উত্তম হিসাবে বিবেচিত হবে । কারণ, এটার সূত্র সঠিক ও বিশুদ্ধ । তবে ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) –এর পরবর্তী উক্তি মুফাস্সালকে এই নামে অভিহিত করা হয়েছে এজন্য যাতে তোমরা তা আলাদা করে পড়। রাসূলুল্লাহ্ (স) থেকে বর্ণনা করেছেন বলে উল্লেখ করেন নি। হতে পারে এটা তার নিজস্ব মতামত । যদি এটা তার নিজস্ব মতামতই হয়ে থাকে তাহলে উসমান ইব্ন আফফান (রাযিঃ) তো এর বিরোধীতা করেছেন। কারণ, তিনি এক রাক’আতে কুরআন মাজীদ খতম করতেন । শীঘ্রই এ বিষয়ে এ অনুচ্ছেদের শেষ ভাগে আলোচনা করার প্রয়াস পাব ইনশা আল্লাহ ।
রাসূলুল্লাহ্ (স) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি ফজরের সালাতের এক রাক’আতে সূরার কোন অংশ তিলাওয়াত করেছেন । এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস রয়েছেঃ
অতএব এ সমস্ত রিওয়ায়াতে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (স) প্রতিটি রাক’আত দুটি করে সূরা মিলিয়ে পড়তেন । তাই আবুল আলিয়া (রাহঃ) এর বিবরণ এর বিপরীত এটাই উত্তম হিসাবে বিবেচিত হবে । কারণ, এটার সূত্র সঠিক ও বিশুদ্ধ । তবে ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) –এর পরবর্তী উক্তি মুফাস্সালকে এই নামে অভিহিত করা হয়েছে এজন্য যাতে তোমরা তা আলাদা করে পড়। রাসূলুল্লাহ্ (স) থেকে বর্ণনা করেছেন বলে উল্লেখ করেন নি। হতে পারে এটা তার নিজস্ব মতামত । যদি এটা তার নিজস্ব মতামতই হয়ে থাকে তাহলে উসমান ইব্ন আফফান (রাযিঃ) তো এর বিরোধীতা করেছেন। কারণ, তিনি এক রাক’আতে কুরআন মাজীদ খতম করতেন । শীঘ্রই এ বিষয়ে এ অনুচ্ছেদের শেষ ভাগে আলোচনা করার প্রয়াস পাব ইনশা আল্লাহ ।
রাসূলুল্লাহ্ (স) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি ফজরের সালাতের এক রাক’আতে সূরার কোন অংশ তিলাওয়াত করেছেন । এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস রয়েছেঃ
2039 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الضَّرِيرُ، قَالَ: أنا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ الْأَعْمَشِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنِ الْمُسْتَوْرِدِ بْنِ الْأَحْنَفِ، عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، قَالَ: " صَلَّيْتُ إِلَى جَنْبِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ , فَاسْتَفْتَحَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ , فَلَمَّا فَرَغَ مِنْهَا , اسْتَفْتَحَ آلَ عِمْرَانَ. فَكَانَ إِذَا أَتَى عَلَى آيَةٍ فِيهَا ذِكْرُ الْجَنَّةِ أَوِ النَّارِ , وَقَفَ فَسَأَلَ , أَوْ تَعَوَّذَ , أَوْ قَالَ: كَلَامًا هَذَا مَعْنَاهُ «فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ ,» أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُقْرِنُ بَيْنَ السُّورَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ «. فَقَدْ خَالَفَ هَذَا مَا رَوَى أَبُو الْعَالِيَةِ , وَهُوَ أَوْلَى؛ لِاسْتِقَامَةِ طَرِيقِهِ وَصِحَّةِ مَجِيئِهِ. وَأَمَّا قَوْلُ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بَعْدَ ذَلِكَ» إِنَّمَا سُمِّيَ الْمُفَصَّلَ لِتُفَصِّلُوهُ «فَإِنَّ ذَلِكَ لَمْ يَذْكُرْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ مِنْ رَأْيِهِ , فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ مِنْ رَأْيِهِ , فَقَدْ خَالَفَهُ فِي ذَلِكَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لِأَنَّهُ كَانَ يَخْتِمُ الْقُرْآنَ فِي رَكْعَةٍ , وَسَنَذْكُرُ ذَلِكَ فِي آخِرِ هَذَا الْبَابِ , إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ» عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَرَأَ فِي رَكْعَةٍ مِنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ بِبَعْضِ سُورَةٍ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০৪০
আন্তর্জাতিক নং: ২০৪১
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৪০-২০৪১। ইব্ন মারযুক (রাহঃ) ……. আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউনুস ইব্ন সাইব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে , তিনি বলেছেন , আমি রাসূলুল্লাহ্ (স) –এর নিকট মক্কা বিজয়ের দিন ফজরের সালাত উপস্থিত ছিলাম । তিনি সূরা আল-মুমিন শুরু করলেন । তিনি যখন (তিলাওয়াত করতে করতে ) মুসা ও ঈসা (আ)* অথবা মুসা ও হারূন (আ)-এর আলোচনায় পৌছলেন , তখন তার কাশি এল । ফলে তিনি রুকূ করলেন ।
যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন করেন যে , এটাতো তিনি কাশির কারণে করেছেন । তাহলে তাকে বলা হবে যে, রাসূলুল্লাহ্ (স) থেকে এরূপ বর্ণিত আছে যে, তিনি ‘ফজরের দু’রাক’আত কিরা’আত’ অনুচ্ছেদে আলোচনা করেছি
যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন করেন যে , এটাতো তিনি কাশির কারণে করেছেন । তাহলে তাকে বলা হবে যে, রাসূলুল্লাহ্ (স) থেকে এরূপ বর্ণিত আছে যে, তিনি ‘ফজরের দু’রাক’আত কিরা’আত’ অনুচ্ছেদে আলোচনা করেছি
2040 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: أنا ابْنُ جُرَيْجٍ، ح.
2041 - وَحَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ: «حَضَرَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَدَاةَ الْفَتْحِ صَلَاةُ الصُّبْحِ , فَافْتَتَحَ سُورَةَ الْمُؤْمِنِ , فَلَمَّا أَتَى عَلَى ذِكْرِ مُوسَى وعِيسَى , أَوْ مُوسَى وَهَارُونَ , صَلَّى الله عَلَيْهِمْ , أَخَذَتْهُ سَعْلَةٌ فَرَكَعَ» فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: إِنَّمَا فَعَلَ ذَلِكَ لِلسَّعْلَةِ الَّتِي عَرَضَتْ لَهُ. قِيلَ لَهُ: فَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ فِي رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ , بِآيَتَيْنِ مِنَ الْقُرْآنِ , قَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ فِي بَابِ الْقِرَاءَةِ , فِي رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ
2041 - وَحَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ: «حَضَرَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَدَاةَ الْفَتْحِ صَلَاةُ الصُّبْحِ , فَافْتَتَحَ سُورَةَ الْمُؤْمِنِ , فَلَمَّا أَتَى عَلَى ذِكْرِ مُوسَى وعِيسَى , أَوْ مُوسَى وَهَارُونَ , صَلَّى الله عَلَيْهِمْ , أَخَذَتْهُ سَعْلَةٌ فَرَكَعَ» فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: إِنَّمَا فَعَلَ ذَلِكَ لِلسَّعْلَةِ الَّتِي عَرَضَتْ لَهُ. قِيلَ لَهُ: فَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ فِي رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ , بِآيَتَيْنِ مِنَ الْقُرْآنِ , قَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ فِي بَابِ الْقِرَاءَةِ , فِي رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৪২
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৪২। আবু বাকরা (রাহঃ)… আবু যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণ্না করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (স) আল্লাহর কিতাব কুরআনের একটি আয়াত তিলাওয়াত করতে আরম্ভ করলেন । তিনি এ আয়াত দিয়েও রুকূ করলেন এটা দিয়েই সিজদা করলেন আর এটা দিয়েই দু;আ করলেন।
2042 - وَقَدْ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ , قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَيَّانَ , أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ , عَنْ رَجُلٍ , هُوَ قُدَامَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , أَوِ ابْنُ عَبْدِ اللهِ , عَنْ جَسْرَةَ بِنْتِ دَجَاجَةَ , قَالَتْ: سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ قَالَ: «جَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ آيَةً مِنْ كِتَابِ اللهِ , بِهَا يَرْكَعُ , وَبِهَا يَسْجُدُ , وَبِهَا يَدْعُو»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২০৪৩
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৪৩। আব্দুল আযীয ইব্ন মুআবিয়া আল –আততাবী (রাহঃ) আবু যার (রা ) থেকে বর্ণনা করেন যে , রাসূলুল্লাহ্ (স) একটি আয়াত নিয়ে সকাল পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকলেন (সারারাত সে আয়াতটি সালাতে তিলাওয়াত করলেন ) সে আয়াতটি হলঃ إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
অর্থাৎঃ তুমি যদি তাদের আযাব দাও , তাহলে তারা তো তোমার বান্দা । আর যদি তাদের ক্ষমা করে দাও তবে তো তুমিও পরাক্রমশালী , প্রজ্ঞাবান (৫ঃ ১১৮)
অর্থাৎঃ তুমি যদি তাদের আযাব দাও , তাহলে তারা তো তোমার বান্দা । আর যদি তাদের ক্ষমা করে দাও তবে তো তুমিও পরাক্রমশালী , প্রজ্ঞাবান (৫ঃ ১১৮)
2043 - حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْعَتَّابِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ قُدَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنْ جَسْرَةَ بِنْتِ دَجَاجَةَ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ بِآيَةٍ حَتَّى أَصْبَحَ {إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ} [المائدة: 118] "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২০৪৪
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৪৪। আব্দুল্লাহ ইব্ন মুহাম্মাদ ইব্ন খুশাইশ (রাহঃ) ...... আবু যির (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ।
এটা একটা প্রমাণ যে, এক রাক’আতে সূরার অংশ বিশেষ পড়াতে কোন ক্ষতি নেই । এবং এ বিষয়টিও প্রমাণিত হয়েছে যে, এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়াতেও কোন অসুবিধা নেই । এ সংক্রান্ত রিওয়ায়াত রাসূলুল্লাহ্ (স) থেকে আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি। রাসূলুল্লাহ্ (স) থেকে এরূপ রিওয়ায়াতও বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেনঃ সর্বোত্তম সালাত হলো (যাতে ) দীর্ঘ কিয়াম হয়। বস্তুত এটাও আবুল আলিয়ার বিবরণের পরিপন্থি । কারণ এটা অবশ্য প্রমাণ করে যে, সে সালাতই সর্বোত্তম যার মধ্যে কিরা’আত দীর্ঘ হয় । আর কিরা’আত দীর্ঘ হতে পারে কেবল এক রাক’আতে অনেক সূরা একত্রিত (পাঠ) করলেই। আর এ সবই হলো আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ(রাহঃ) এর মত।
এমনকি ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে প্রথম পরিচ্ছেদে যেরূপ হাদীস আমরা বর্ণনা করেছি, তাঁর সূত্রে এর বিপরীত রিওয়ায়াত বর্ণিত আছেঃ
এটা একটা প্রমাণ যে, এক রাক’আতে সূরার অংশ বিশেষ পড়াতে কোন ক্ষতি নেই । এবং এ বিষয়টিও প্রমাণিত হয়েছে যে, এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়াতেও কোন অসুবিধা নেই । এ সংক্রান্ত রিওয়ায়াত রাসূলুল্লাহ্ (স) থেকে আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি। রাসূলুল্লাহ্ (স) থেকে এরূপ রিওয়ায়াতও বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেনঃ সর্বোত্তম সালাত হলো (যাতে ) দীর্ঘ কিয়াম হয়। বস্তুত এটাও আবুল আলিয়ার বিবরণের পরিপন্থি । কারণ এটা অবশ্য প্রমাণ করে যে, সে সালাতই সর্বোত্তম যার মধ্যে কিরা’আত দীর্ঘ হয় । আর কিরা’আত দীর্ঘ হতে পারে কেবল এক রাক’আতে অনেক সূরা একত্রিত (পাঠ) করলেই। আর এ সবই হলো আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ(রাহঃ) এর মত।
এমনকি ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে প্রথম পরিচ্ছেদে যেরূপ হাদীস আমরা বর্ণনা করেছি, তাঁর সূত্রে এর বিপরীত রিওয়ায়াত বর্ণিত আছেঃ
2044 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خُشَيْشٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، قَالَ: حَدَّثَنِي قُدَامَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَتْنِي جَسْرَةُ بِنْتُ دَجَاجَةَ، أَنَّهَا سَمِعَتْ أَبَا ذَرٍّ، يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ فَهَذَا دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِقِرَاءَةِ بَعْضِ سُورَةٍ فِي رَكْعَةٍ. وَقَدْ ثَبَتَ أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِقِرَاءَةِ السُّوَرِ فِي الرَّكْعَةِ ; لِمَا قَدْ ذَكَرْنَا , مِمَّا جَاءَ فِي ذَلِكَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ جَاءَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «أَفْضَلُ الصَّلَاةِ طُولُ الْقِيَامِ» فَذَلِكَ يَنْفِي أَيْضًا مَا ذَكَرَ أَبُو الْعَالِيَةِ , لِأَنَّهُ يُوجِبُ أَنَّ الْأَفْضَلَ مِنَ الصَّلَوَاتِ مَا أُطِيلَتِ الْقِرَاءَةُ فِيهِ , وَلَا يَكُونُ ذَلِكَ إِلَّا بِالْجَمْعِ بَيْنَ السُّوَرِ الْكَثِيرَةِ فِي رَكْعَةٍ. وَهَذَا كُلُّهُ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ خِلَافُ مَا رَوَيْنَا عَنْهُ فِي الْفَصْلِ الْأَوَّلِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২০৪৫
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৪৫। ইব্ন মারযুক (রাহঃ) …। নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলছেন, ইব্ন উমর (রাযিঃ) মাগরিবের সালাতের এক রাক’আতে দুই সূরা মিলিয়ে পড়তেন ।
2045 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ , قَالَ: ثنا دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ , عَنْ نَافِعٍ , قَالَ: «كَانَ ابْنُ عُمَرَ يَجْمَعُ بَيْنَ السُّورَتَيْنِ فِي الرَّكْعَةِ الْوَاحِدَةِ , مِنْ صَلَاةِ الْمَغْرِبِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ২০৪৭
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৪৬-২০৪৭। ইব্ন আবু দাউদ (রাহঃ)… ইব্ন উমর (রাযিঃ) এর বরাতে বর্ণনা করেন যে, তিনি এক রাক’আতে দুই তিন সূরা মিলিয়ে পড়তেন ।
ইব্ন আবু দাউদ (রাহঃ) ….. ইব্ন উমর (রাযিঃ) –এর বরাতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। রিওয়ায়াতে এতটুকু অতিরিক্ত আছে ঃ তিনি ফরযের দুই রাক’আতে দীর্ঘ সূরা ভাগ করে পড়তেন । উমর (রাযিঃ) প্রমুখ থেকেও এর সমর্থক হাদীস বর্ণিত আছে ।
ইব্ন আবু দাউদ (রাহঃ) ….. ইব্ন উমর (রাযিঃ) –এর বরাতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। রিওয়ায়াতে এতটুকু অতিরিক্ত আছে ঃ তিনি ফরযের দুই রাক’আতে দীর্ঘ সূরা ভাগ করে পড়তেন । উমর (রাযিঃ) প্রমুখ থেকেও এর সমর্থক হাদীস বর্ণিত আছে ।
2046 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا خَطَّابُ بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ , عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «أَنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ بِالسُّورَتَيْنِ وَالثَّلَاثِ فِي رَكْعَةٍ»
2047 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا خَطَّابُ بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , مِثْلَهُ وَزَادَ «وَكَانَ يَقْسِمُ السُّورَةَ الطَّوِيلَةَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ مِنَ الْمَكْتُوبَةِ» وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ عُمَرَ وَغَيْرِهِ , مَا يَدُلُّ عَلَى هَذَا الْمَعْنَى
2047 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا خَطَّابُ بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , مِثْلَهُ وَزَادَ «وَكَانَ يَقْسِمُ السُّورَةَ الطَّوِيلَةَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ مِنَ الْمَكْتُوبَةِ» وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ عُمَرَ وَغَيْرِهِ , مَا يَدُلُّ عَلَى هَذَا الْمَعْنَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৪৮
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৪৮। সালিহ ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) … … আব্দুর রহমান ইব্ন আবু লায়লা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার উমর (রাযিঃ) মক্কায় ফজরের সালাতে আমাদের ইমামতি করলেন । প্রথম রাক’আতে তিনি সূরা ইউসূফ তিলাওয়াত করতে করতে (وَابْيَضَّتْ عَيْنَاهُ مِنَ الْحُزْنِ فَهُوَ كَظِيمٌ)১২ঃ৮৪) পৌছলেন, তারপর তিনি রুকূ করলেন ।
2048 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ: " صَلَّى بِنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِمَكَّةَ , الْفَجْرَ فَقَرَأَ فِي الرَّكْعَةِ الْأُولَى بِ سُورَةِ يُوسُفَ حَتَّى بَلَغَ {وَابْيَضَّتْ عَيْنَاهُ مِنَ الْحُزْنِ فَهُوَ كَظِيمٌ} [يوسف: 84] ثُمَّ رَكَعَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৪৯
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৫৯। রাওহ ইব্নুল ফারাজ (রাহঃ)…… আমর ইব্ন মায়মুন (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি উমর ইব্নুল খাত্তাব (রাযিঃ) এর সাথে হজ্জ করেছি । তিনি মাগরিবের সালাতের পরবর্তী রাক’আতে সূরা ফীল ও কুরাইশ পড়েছেন ।
2049 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: ثنا زُهَيْرٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ: «حَجَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَقَرَأَ فِي الرَّكْعَةِ الْآخِرَةِ مِنَ الْمَغْرِبِ أَلَمْ تَرَ وَلِإِيلَافِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৫০
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৫০। রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইবন ইয়াযিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন, আমি আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর সাথে ইশা'র সালাত আদায় করেছি। তিনি সূরা 'আনফাল' দিয়ে শুরু করলেন। نِعْمَ الْمَوْلَى وَنِعْمَ النَّصِيرُ (৮ঃ৪০) পর্যন্ত পৌঁছলেন তারপর রুকূ করলেন।
2050 - وَحَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ , قَالَ: ثنا زُهَيْرٌ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ , قَالَ: " صَلَّيْتُ مَعَ عَبْدِ اللهِ الْعِشَاءَ الْآخِرَةَ , فَافْتَتَحَ الْأَنْفَالَ حَتَّى انْتَهَى إِلَى: {نِعْمَ الْمَوْلَى وَنِعْمَ النَّصِيرُ} [الأنفال: 40] ثُمَّ رَكَعَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২০৫১
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৫১। সুলায়মান ইবন শু'আইব (রাহঃ) ..... ইবন সীরীন (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তামীম দারী (রাযিঃ) পূরো রাত জাগরণ করতেন। এক রাক'আতে পুরো কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করতেন।
2051 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، قَالَ: «كَانَ تَمِيمٌ الدَّارِيُّ يُحْيِي اللَّيْلَ كُلَّهُ بِالْقُرْآنِ كُلِّهِ , فِي رَكْعَةٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৫২
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৫২। আবু বাকরা (রাহঃ) ...... মাসরূক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মক্কাবাসী এক ব্যক্তি আমাকে বলল, এটা হলো তোমার ভাই তামীম দারী (রাযিঃ)-এর দাঁড়ানোর স্থান। আমি তাঁকে দেখেছি একরাতে সকাল পর্যন্ত অথবা প্রায় সকাল পর্যন্ত দাঁড়িয়ে একটি আয়াত তিলাওয়াত করছেন। সেই আয়াত পড়েই রুকূ করছেন, সিজদা করছেন, কান্নাকাটি করছেন। সে আয়াতটি হল أَمْ حَسِبَ الَّذِينَ اجْتَرَحُوا السَّيِّئَاتِ দুষ্কৃতিকারীরা কি মনে করে যে, আমি ....... (৪৫ঃ ২১)
2052 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا الضُّحَى، يُحَدِّثُ عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ: قَالَ لِي رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ: " هَذَا مَقَامُ أَخِيكَ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ , لَقَدْ رَأَيْتُهُ قَامَ لَيْلَةً حَتَّى أَصْبَحَ أَوْ كَادَ أَنْ يُصْبِحَ , يَقْرَأُ آيَةً , يَرْكَعُ بِهَا وَيَسْجُدُ , وَيَبْكِي {أَمْ حَسِبَ الَّذِينَ اجْتَرَحُوا السَّيِّئَاتِ} [الجاثية: 21] الْآيَةَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৫৩
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৫৩। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি পুরো কুরআন শরীফ এক রাক'আতে তিলাওয়াত করেছেন।
2053 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ، قَالَ: ثنا إِسْحَاقُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ «أَنَّهُ قَرَأَ الْقُرْآنَ فِي رَكْعَةٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৫৪
এক রাক’আতে একাধিক সূরা পড়া
২০৫৪। হুসাইন ইবন নসর (রাহঃ) সাঈদ ইবন জুবাইর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি ঘরের মধ্যে এক রাক'আতে পুরো কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করেছেন।
2054 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ «أَنَّهُ قَرَأَ الْقُرْآنَ فِي رَكْعَةٍ , فِي الْبَيْتِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান