শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৯৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৯৮
৪৫. বিত্‌রের পর নফল পড়া
১৯৯৬-১৯৯৮। রবী আল মু’য়ায্‌যিন (রাহঃ)…… আলী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (স) রাতের প্রথম ভাগে , মধ্যভাগে এবং শেষভাগে বিত্‌রের সালাত পড়তেন । পরবর্তীতে শেষাংশে বিত্‌র পড়া-ই তার (অভ্যাস ) স্থায়ী হয়ে যায় ।

ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) … আলী (রাযিঃ) সুত্রে রাসূলুল্লাহ্‌ (স) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

রবী আলজীযী (রাহঃ)…… আবু ইসহাক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন
بَابُ التَّطَوُّعِ بَعْدَ الْوِتْرِ
1996 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا أَسْبَاطٌ عَنْ مُطَرِّفٍ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوتِرُ فِي أَوَّلِ اللَّيْلِ وَفِي وَسَطِهِ وَفِي آخِرِهِ ثُمَّ ثَبَتَ لَهُ الْوِتْرُ فِي آخِرِهِ»

1997 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، وَعَفَّانُ، قَالَا: ثنا شُعْبَةُ، قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ: أَنْبَأَنِي غَيْرَ مَرَّةٍ قَالَ: سَمِعْتُ عَاصِمَ بْنَ ضَمْرَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

1998 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ أَبِي عَيَّادٍ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৯৯৯
বিত্‌রের পর নফল পড়া
১৯৯৯। আবু উমাইয়া (রাহঃ)….. আব্দে খাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমরা মসজিদে উপস্থিত ছিলাম, এমতাবস্থায় আলী (রাযিঃ) আমাদের নিকট বেরিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেম, বিত্‌র সম্পর্কে জিজ্ঞাসাকারী কোথায় ? তখন তাঁর কাছে গিয়ে পৌঁছিলাম । তখন তিনি বললেন , রাসূলুল্লাহ্‌ (স) রাতের প্রথমাংশে বিত্‌র পড়তেন, পরে তাঁর মনে হল অন্য সময়ের কথা , তখন মধ্য রাতে বিত্‌র পরলেন । তারপর এই সময়ে তাঁর বিত্‌র পড়া স্থায়ী হয়ে গেল ।
বর্ণনাকারী বললে, সে সময়টি ছিল সুবহি সাদক শুরুর ওয়াক্‌ত । (তাহাবী র) বলেন , আমাদের মতে এর অর্থগুলো সুবহি সাদিক প্রতিভাত হওয়ার নিকটবর্তী সময় , সুবহি সাদিকের পুর্বে। যাতে এ হাদীসের অর্থ এবং আসিম ইব্‌ন যাম্‌রা (রাহঃ) -এর হাদীসের অর্থের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান হয় ।

আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, এক দল আলিম এ মত পোষণ করেন যে , বিত্‌রের জন্য যথার্থ সময় হল সাহরীর ওয়াক্ত এবং এরপর কোন নফল পড়বে না। এরপর যে নফল পড়বে সে বিত্‌র ভঙ্গ করে ফেলবে । দ্বিতীয় বার বিত্‌র পড়া তার কর্তব্য । এ বিষয়ে তাঁদের প্রমাণ হলোঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (স) শেষ রাত পর্যন্ত দেরি করে বিত্‌র পড়তেন । তাছাড়া (আরো প্রমাণ হলো) রাসূলুল্লাহ্‌ (স)-এর পর তাঁর একদল সাহাবি থেকে বর্ণিত আছে যে, তাঁদের মত ছিলো , যে ব্যক্তি বিত্‌রের সালাতের পর নফল পড়ল সে বিত্‌র ভঙ্গ করে ফেলল, এ বিষয়ে তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ উল্লেখ করেছেনঃ
1999 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ، قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ بْنُ مُوسَى، قَالَ: أنا إِسْرَائِيلُ، وَقَالَ مَرَّةً أُخْرَى: أنا أَبُو إِسْرَائِيلَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ عَبْدِ خَيْرٍ، قَالَ: " خَرَجَ عَلَيْنَا عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَنَحْنُ فِي الْمَسْجِدِ , فَقَالَ: أَيْنَ السَّائِلُ , عَنِ الْوِتْرِ؟ فَانْتَهَيْنَا إِلَيْهِ فَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُوتِرُ أَوَّلَ اللَّيْلِ ثُمَّ بَدَا لَهُ فَأَوْتَرَ وَسَطَهُ ثُمَّ ثَبَتَ لَهُ الْوِتْرُ فِي هَذِهِ السَّاعَةِ , قَالَ: وَذَاكَ عِنْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ " وَهَذَا عِنْدَنَا عَلَى قُرْبِ طُلُوعِ الْفَجْرِ قَبْلَ أَنْ يَطْلُعَ حَتَّى يَسْتَوِيَ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ , وَمَعْنَى حَدِيثِ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْوَقْتَ الَّذِي يَنْبَغِي أَنْ يُجْعَلَ فِيهِ الْوِتْرُ هُوَ السَّحَرُ وَأَنَّهُ لَا يُتَطَوَّعُ بَعْدَهُ , وَأَنَّ مَنْ تَطَوَّعَ بَعْدَهُ فَقَدْ نَقَضَهُ , وَعَلَيْهِ أَنْ يُعِيدَ وِتْرًا آخَرَ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِتَأْخِيرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْوِتْرَ إِلَى آخِرِ اللَّيْلِ وَبِمَا رُوِيَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ مِنْ بَعْدِهِ أَنَّهُمْ كَانُوا يَرَوْنَ مَنْ تَطَوَّعَ بَعْدَ وِتْرٍ فَقَدْ نَقَضَهُ. وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০০০
আন্তর্জাতিক নং: ২০০১
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০০০-২০০১। আবু বাকরা (রাহঃ) ….. মুসা ইব্‌ন তালহা (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, উসমান (রাযিঃ) বলেছেনঃ আমি রাতের প্রথমভাগে বিত্‌রের সালাত পড়ি । যখন শেষ রাতে উঠি তখন এক রাক’আত পড়ে নেই। এই রাক’আত গুলো আমি উদাহরণ দিই কেবল মাত্র সেই যুবতী উটনীগুলোর সাথে , যে গুলোকে অন্য উটের (পালের ) সাথে মিলিয়ে দেই।

ইব্‌ন মারযুক (রাহঃ) … আব্দুল মালিক ইব্‌ন উমায়র (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেনল।
2000 - مَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ , عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ أَنَّ عُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: «إِنِّي أُوتِرُ أَوَّلَ اللَّيْلِ , فَإِذَا قُمْتُ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ صَلَّيْتُ رَكْعَةً فَمَا شَبَّهْتُهَا إِلَّا بِقَلُوصٍ أَضُمُّهَا إِلَى الْإِبِلِ»

2001 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ،. فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০০২
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০০২। আবু বাকরা (রাহঃ) ….. সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন , আবু বকর (রাযিঃ) অনুরূপ করতেন
2002 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ بَشِيرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০০৩
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০০৩। ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ….. হাত্‌তান ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন , আমি আলী (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছিঃ বিত্‌র তিন প্রকার –
(ক) এক ব্যক্তি রাতের প্রথমাংশে বিত্‌র পড়ল- তারপর জাগ্রত হয়ে আরো দু’রাক’আত আদায় করল । (খ) আরেক ব্যক্তি বিত্‌র পড়ল রাতের প্রথমাংশে তারপর ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে তার বিত্‌রের সাথে আরো এক রাক’আত মিলিয়ে নিল। অতএব দু’রাক’আত দু’রাক’আত করে পড়ার পর সে বিত্‌র পড়ল । (গ) আরেক ব্যক্তি বিত্‌র পড়ল শেষ রাতে
2003 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي هَارُونَ الْغَنَوِيِّ، عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًّا، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُولُ: " الْوِتْرُ عَلَى ثَلَاثَةِ أَنْوَاعٍ: رَجُلٌ أَوْتَرَ أَوَّلَ اللَّيْلِ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ , وَرَجُلٌ أَوْتَرَ أَوَّلَ اللَّيْلِ فَاسْتَيْقَظَ فَوَصَلَ إِلَى وِتْرِهِ رَكْعَةً فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَوْتَرَ , وَرَجُلٌ أَخَّرَ وِتْرَهُ إِلَى آخِرِ اللَّيْلِ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০০৪
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০০৪। মুহাম্মাদ ইব্‌ন বাহর (রাহঃ)…… জাল্লাস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি আম্মার (রাযিঃ)-এর নিকট বসা ছিলাম এক ব্যক্তি এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করল, আপনি কিরূপে বিত্‌র পড়েন? উত্তরে তিনি বললেন, আমি যা করি এর প্রতি তুমি সন্তুষ্ট ? লোকটি ইতিবাচক জবাব দিল । হাম্মাম নামক রাবী
বলেন, আমার ধারণ কাতাদা ? তাঁর হাদীসে বলেছেন, (আম্মারের উক্তি ) আমি রাতে পাঁচ রাক’আত বিত্‌র পড়ি, তারপর ঘুমাই । তারপর রাতে যখন উঠি সে বেজোড় সালাতকে জোড় বানিয়ে নিই।
2004 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَحْرٍ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، وَمَالِكِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ خِلَاسٍ، قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ عَمَّارٍ فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ لَهُ: كَيْفَ تُوتِرُ؟ قَالَ: «أَتَرْضَى بِمَا أَصْنَعُ» , قَالَ: نَعَمْ , قَالَ: " أَحْسَبُ قَتَادَةَ قَالَ فِي حَدِيثِهِ: فَإِنِّي أُوتِرُ بِلَيْلٍ بِخَمْسِ رَكَعَاتٍ , ثُمَّ أَرْقُدُ فَإِذَا قُمْتُ مِنَ اللَّيْلِ شَفَعْتُ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০০৫
আন্তর্জাতিক নং: ২০০৬
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০০৫-২০০৬। আবু বাকরা (রাযিঃ)….. ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কেউ যদি বিত্‌র পড়ে তারপর সালাত পড়তে চায় তাহলে সে যেন বিত্‌রের সাথে অন্য রাক’আত মিলিয়ে জোড় করে ফেলে পড়ে বিত্‌র পড়ে নেয়।

আবু বাকরা (রাহঃ) ….. মাসরূক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন , ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) বলেছেনঃ আমি কিছু কাজ আমার মতানুযায়ী করছি তা বর্ণনা করব না। তারপর পুর্বানুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন । মাসরূক বলেছেনঃ ইব্‌ন মাসউদ (রাযিঃ) –এর শিষ্যগণ ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) –এর কাজে বিস্ময় বোধ করতেন।
2005 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَمُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَالَ: «مَنْ أَوْتَرَ فَبَدَا لَهُ أَنْ يُصَلِّيَ فَلْيَشْفَعْ إِلَيْهَا بِأُخْرَى حَتَّى يُوتِرَ بَعْدُ»

2006 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ: قَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا شَيْءٌ أَفْعَلُهُ بِرَأْيِي لَا أَرْوِيهِ , ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ ذَلِكَ قَالَ مَسْرُوقٌ: وَكَانَ أَصْحَابُ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَتَعَجَّبُونَ مِنْ صُنْعِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০০৭
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০০৭। আবু বাকরা (রাহঃ) … আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি তাঁকে অপর এক ব্যক্তি সম্পর্কে ফতোয়া জিজ্ঞেস করল যে, সে রাতের প্রথমাংশে বিত্‌রের সালাত আদায় করেছে তারপর ঘুমানোর পর জাগ্রত হয়েছে সে কি করবে ? উত্তরে তিনি বললেন,সে দশ রাক’আত পূর্ণ করবে ।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে এর বিপরীত হাদীস বর্ণিত আছে । পরবর্তীতে শীঘ্রই ইন্‌শাআল্লাহ সে প্রসঙ্গে আলোচনা করব । পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করেছেন । তাঁরা বলেছেন বিত্‌রের পর নফল সালাত পড়ায় কোন দোষ নেই । আর এতে বিত্‌রের সালাতও ভঙ্গ হবে না । এ বিষয়ে তাঁরা রাসূলুল্লাহ্‌ (স) থেকে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ রিওয়ায়াত করেছেনঃ
2007 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا حَرْبُ بْنُ شَدَّادٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي الْحَارِثِ الْغِفَارِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنَّ رَجُلًا، اسْتَفْتَاهُ عَنْ رَجُلٍ أَوْتَرَ أَوَّلَ اللَّيْلِ ثُمَّ نَامَ ثُمَّ قَامَ كَيْفَ يَصْنَعُ؟ قَالَ: «يُتِمُّهَا عَشْرًا» وَقَدْ رُوِيَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ خِلَافُ هَذَا الْقَوْلِ. وَسَنَذْكُرُهُ بَعْدَ هَذَا , إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: لَا بَأْسَ بِالتَّطَوُّعِ بَعْدَ الْوِتْرِ , وَلَا يَكُونُ ذَلِكَ نَاقِضًا لِلْوِتْرِ. وَرَوَوْا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০০৮
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০০৮। ফাহাদ (রাহঃ) … আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (স) বিত্‌রের পর দু;রাক’আত সালাত আদায় করেছেন। তাতে তিনি বসে বসে কিরা’আত পড়েছেন । যখন রুকূ করার ইচ্ছে করলেন তখন দাঁড়িয়ে রুকূ করবেন।
আয়িশা (রাযিঃ)-এর বরাতে এরূপ হাদীস বিত্‌র অনুচ্ছেদে সা’দ ইব্‌ন হিশামের সূত্রে আমরা উল্লেখ করেছি
2008 - مَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ الْبَابْلُتِّيُّ , قَالَ: ثنا الْأَوْزَاعِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ , عَنْ أَبِي سَلَمَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكَعَ رَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْوِتْرِ قَرَأَ فِيهِمَا , وَهُوَ جَالِسٌ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ قَامَ فَرَكَعَ» وَقَدْ ذَكَرْنَا مِثْلَ ذَلِكَ أَيْضًا , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي بَابِ الْوِتْرِ فِي حَدِيثِ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ
হাদীস নং:২০০৯
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০০৯। ফাহাদ (রাহঃ) ……আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণ্না করেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (স) বিত্‌রের পর যে দু’রাক’আত সালাত পড়তেন, তাতে সূরা আর রহমান (৫৫) ও সূরা ওয়াকিয়া (৫৬) পড়তেন ।
2009 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ: ثنا عُمَارَةُ بْنُ زَاذَانَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْوِتْرِ بِ الرَّحْمَنِ , وَالْوَاقِعَةِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০১০
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০১০। ইব্‌ন আবু দাউদ (রাহঃ) ,…… আবু উমামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে , রাসূলুল্লাহ্‌ (স) বিত্‌রের পর যে দু’রাক’আত সালাত বসে বসে আদায় করতেন, তাতে তিলাওয়াত করতেন সূরা ইয়া যুলযিলাত (৯৯) ও সূরা কুলইয়া আইয়্যুহাল কাফিরূন (১০৯)।
2010 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمُبَارَكِ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ أَبِي غَالِبٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّيهِمَا بَعْدَ الْوِتْرِ , وَهُوَ جَالِسٌ يَقْرَأُ فِيهِمَا» إِذَا زُلْزِلَتْ «وَ» قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০১১
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০১১। ফাহাদ (রাহঃ) ……, রাসূলুল্লাহ্‌ (স)-এর আযাদকৃত দাস ছাওবান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা (একবার ) এক সফরে রাসূলুল্লাহ্‌ (স)- এর সঙ্গে ছিলাম । তিনি বললেন, এই সফর ভারী ও কষ্টকর । অতএব কেউ যদি বিত্‌রের সালাত পড়ে তাহলে এরপর যেন দু’রাক’আত পড়ে নেয় । তারপর যদি জাগ্রত হতে পারে তবে তো ভাল অন্যথায় এ দু’রাক’আত-ই তার জন্য যথেষ্ট হবে ।
তাই দেখা যাচ্ছে রাসূলুল্লাহ্‌ (স) বিত্‌রের পর দু’রাক’আত নফল বসে আদায় করেছেন। এ নফল তার পূর্বে আদায়কৃত বিত্‌রকে ভঙ্গকারী হয়নি । যারা প্রথমে মতের প্রবক্তা , তারা যে এ দাবি করেন যে, আলী (রাযিঃ) এর হাদীসের মর্মার্থ হলো , রাসূলুল্লাহ্‌ (স) –এর বিত্‌র সাহরী (উষা উদয়ের পুর্ব সময় ) –এর সময় পর্যন্ত পৌঁছা তাঁদের ব্যাখ্যা অপেক্ষা এটাই উত্তম । তাছাড়া এতেও (সাহরীর সময় পর্যন্ত বিত্‌র পৌঁছা ) তাঁদের ব্যাখ্যা অপেক্ষা এটাই উত্তম । তাছাড়া এতেও (সাহ্‌রীর সময় পর্যন্ত পৌছা) আমাদের মতে সাথে বিরোধ নেই । কারণ হতে পারে রাসূলুল্লাহ্‌ (স) –এর বিত্‌র সাহরির সময় পর্যন্ত পৌঁছত । তারপর ফজর উদয়ের পুর্বে নফল আদায় করতেন ।
কোন প্রশ্নকারী যদি বলেন , হতে পারে সে দু’রাক’আত ছিলো ফজরের । তাহলে তো সেটা আর রাতের সালাত হলো না।
এত উত্তরে বলা হবে, এটা সম্ভব নয় দু’কারণে (ক) সা’দ ইব্‌ন হিশাম (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) –কে রাসূলুল্লাহ্‌ (স) –এর রাতের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন । অতএব আয়িশা (রাযিঃ) নিশ্চয়ই প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে ও রাসূলুল্লাহ্‌ (স) কিরূপ রাতের সালাত আদায় করতেন সে সম্পর্কেই অবহিত করেছেন । (খ) যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত পড়তে সমর্থ্য তারপক্ষে তো ফজরের দু’রাক’আত বসে অনুমতি নেই । কারণ তাতে সে কিয়াম (দাঁড়ানো ) পরিত্যাগকারী হয়ে থাকে । দাঁড়ানোর শক্তি থাকা সত্ত্বেও বসে সালাত পড়া তার জন্য জায়েয, যার জন্য সুনিশ্চিতরূপে সালাত ছেড়ে দেয়া জায়েয । অতএব পূর্ণ সালাত যার ত্যাগ করার অধিকার আছে , তেমনি কিয়াম (দাঁড়ানো ) ত্যাগের অধিকারও তার আছে । পক্ষান্তরে যার সালাত বর্জনের অধিকার নেই, তার পক্ষে কিয়াম বর্জনের অধিকারও নেই ।
এতে প্রমাণিত হলো রাসূলুল্লাহ্‌ (স) যে দু’রাক’আত বিত্‌রের পর পড়েছেন সে দু’রাক’আত রাতের সালাত ছিল। এতে সেসব লোকের উক্তিও প্রমাণিত হলো, যারা মনে করেন, বিত্‌রের পর নফল পড়াতের কোন দোষ নেই । এবং এর ফলে বিত্‌র ভেঙ্গে যায় বলে মনে করেন না । রাসূলুল্লাহ্‌ (স) –এর এরূপ বাণী বর্ণিত হয়েছে, যা দ্বারা উক্ত বিষয়টিও প্রমাণিত হয় , যা আমরা তাঁর থেকে ছাওবান (রাযিঃ) এর হাদীস বর্ণনা করেছি ।
2011 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ ثَوْبَانَ، مَوْلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ , فَقَالَ: «إِنَّ هَذَا السَّفَرَ جَهْدٌ وَثِقَلٌ , إِذَا أَوْتَرَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ , فَإِنْ , اسْتَيْقَظَ وَإِلَّا كَانَتَا لَهُ» فَهَذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ تَطَوَّعَ بَعْدَ الْوِتْرِ بِرَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ نَاقِضًا لِوِتْرِهِ الْمُتَقَدِّمِ , فَهَذَا أَوْلَى مِمَّا تَأَوَّلَهُ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى وَادَّعَوْهُ مِنْ مَعْنَى حَدِيثِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْتَهَى وِتْرُهُ إِلَى السَّحَرِ» مَعَ أَنَّ ذَلِكَ أَيْضًا لَيْسَ بِهِ خِلَافٌ عِنْدَنَا لِهَذَا , لِأَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ وِتْرُهُ يَنْتَهِي إِلَى السَّحَرِ ثُمَّ يَتَطَوَّعُ بَعْدَهُ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ تَيْنِكَ الرَّكْعَتَانِ هُمَا رَكْعَتَا الْفَجْرِ , فَلَا يَكُونُ ذَلِكَ مِنْ صَلَاةِ اللَّيْلِ. قِيلَ لَهُ: لَا يَجُوزُ ذَلِكَ مِنْ جِهَتَيْنِ أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَلِأَنَّ سَعْدَ بْنَ هِشَامٍ إِنَّمَا سَأَلَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , عَنْ صَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاللَّيْلِ , فَكَانَ ذَلِكَ مِنْهَا جَوَابًا لِسُؤَالِهِ وَإِخْبَارًا مِنْهَا إِيَّاهُ , عَنْ صَلَاتِهِ بِاللَّيْلِ كَيْفَ كَانَتْ. وَالْجِهَةُ الْأُخْرَى أَنَّهُ لَيْسَ لِأَحَدٍ أَنْ يُصَلِّيَ رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ جَالِسًا , وَهُوَ يُطِيقُ الْقِيَامَ ; لِأَنَّهُ بِذَلِكَ تَارِكٌ لِقِيَامِهَا , وَإِنَّمَا يَجُوزُ أَنْ يُصَلِّيَ قَاعِدًا وَهُوَ يُطِيقُ الْقِيَامَ مَا لَهُ أَنْ لَا يُصَلِّيَهُ أَلْبَتَّةَ , وَيَكُونُ لَهُ تَرْكُهُ , فَهُوَ كَمَا لَهُ تَرْكُهُ بِكَمَالِهِ , يَكُونُ لَهُ تَرْكُ الْقِيَامِ فِيهِ. فَأَمَّا مَا لَيْسَ لَهُ تَرْكُهُ فَلَيْسَ لَهُ تَرْكُ الْقِيَامِ فِيهِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ تَيْنِكَ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ تَطَوَّعَ بِهِمَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ الْوِتْرِ كَانَتَا مِنْ صَلَاةِ اللَّيْلِ , وَفِي ذَلِكَ مَا وَجَبَ بِهِ قَوْلُ الَّذِينَ لَمْ يَرَوْا بِالتَّطَوُّعِ فِي اللَّيْلِ بَعْدَ الْوِتْرِ بَأْسًا وَلَمْ يَنْقُضُوا بِهِ الْوِتْرَ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ مِنْ قَوْلِهِ مَا يَدُلُّ عَلَى هَذَا أَيْضًا مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ عَنْهُ فِي حَدِيثِ ثَوْبَانَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০১২
আন্তর্জাতিক নং: ২০১৫
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০১২-২০১৫। ইমরান ইব্‌ন মুসা আত-তাঈ (রাহঃ) , ইব্‌ন আবু দাউদ (রাহঃ) ও ইব্‌ন আবু ইমরান ……… তালুক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (স) বলেছেনঃ এক রাতে দুই বিত্‌র নেই।

ইব্‌ন আবু দাউদ (রাহঃ)…… তালূক (রাযিঃ) সূত্রে রাসূল (স) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন

আবু উমাইয়া (রাহঃ) …. আব্দুল্লাহ ইব্‌ন বদর (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ।
2012 - وَقَدْ حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى الطَّائِيُّ وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ ح

2013 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ , قَالَا: أنا أَيُّوبُ بْنُ عُتْبَةَ عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا وِتْرَانِ فِي لَيْلَةٍ»

2014 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا مُلَازِمُ بْنُ عَمْرٍو، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

2015 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، وَأَبُو الْوَلِيدِ، قَالَا: ثنا مُلَازِمٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بَدْرٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০১৬
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০১৬। আবু বাকরা (রাহঃ) ……. জাবির ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণ্না করেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (স) আবু বকর (রাযিঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন , তুমি কখন বিত্‌র পড়? উত্তরে তিনি বললেন, ইশা’র পর রাতের প্রথমাংশে । তিনি বললেন তুমি দৃঢ়তাকে গ্রহণ করেছ। তারপর উমর (রাযিঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কখন বিত্‌র পড়? তিনি বললেনঃ রাতের শেষাংশে । তিনি (স) বললেন , তুমি শক্তিমত্তাকে গ্রহণ করছ ।
2016 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا زَائِدَةُ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِأَبِي بَكْرٍ: «مَتَى تُوتِرُ؟» قَالَ: أَوَّلَ اللَّيْلِ بَعْدَ الْعَتَمَةِ , قَالَ: «أَخَذْتَ بِالْوُثْقَى» , ثُمَّ قَالَ لِعُمَرَ: «مَتَى تُوتِرُ؟» قَالَ: آخِرَ اللَّيْلِ , قَالَ: «أَخَذْتَ بِالْقُوَّةِ»
হাদীস নং:২০১৭
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০১৭। ইউনুস (রাহঃ) … ইব্‌নুল মুসায়্যিব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্‌ (স) –এর নিকট বিত্‌রের কথা আলোচনা করলেন। আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আমি সালাত পড়ি এবং বিত্‌র পড়ে শুই । যখন ঘুম থেকে জাগ্রত হই তখন সকাল পর্যন্ত জোড় সালাত পড়তে থাকি তা শুনে উমর (রাযিঃ) বললেন, কিন্তু আমি জোর সালাত পড়ে শয়ন করি, তারপর সাহরীর শেষ সময়ে বিত্‌র পড়ি । তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (স) আবু বকর (রাযিঃ) –কে উদ্দেশ্য করে বললেন, “ এ সর্তক “ আর উমর (রাযিঃ)- কে উদ্দেশ্য করে বললেন, “এ শক্তিশালী “।
অতএব রাসূলুল্লাহ্‌ (স) -এর বাণি দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, এক রাতে দুই বিত্‌র নেই । যেমন আমরা আলোচনা করেছি যে, বিত্‌র পুনঃ পড়া নেই । এটা আবু বকর (রাযিঃ) এর উক্তি অনূকুলে যে, “ আমি প্রথম রাতে বিত্‌র পড়ি, তারপর যখন জাগ্রত হই তখন সকাল পর্যন্ত জোড় সালাত পড়ি” । রাসূলুল্লাহ্‌ (স)
কতৃক আবু বকর (রাযিঃ) এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করা এর প্রমাণ যে, তিনি যেরূপ করেছেন তা বিধান মুতাবিক এবং বিত্‌রের পর নফল পড়লে তা দ্বারা বিত্‌র ভঙ্গ হয় না । এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ্‌ (স)
এর অনেক সাহাবী থেকেও বর্ণিত হয়েছে ঃ
2017 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيِّبِ: " أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، وَعُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا تَذَاكَرَا الْوِتْرَ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَمَّا أَنَا فَأُصَلِّي ثُمَّ أَنَامُ عَلَى وِتْرٍ , فَإِذَا اسْتَيْقَظْتُ صَلَّيْتُ شَفْعًا حَتَّى الصَّبَاحَ , فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: لَكِنِّي أَنَامُ عَلَى شَفْعٍ , ثُمَّ أُوتِرُ مِنْ آخِرِ السَّحَرِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «حَذِرَ هَذَا» , وَقَالَ لِعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «قَوِيَ هَذَا» فَدَلَّ قَوْلُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا وِتْرَانِ فِي لَيْلَةٍ» عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ نَفْيِ إِعَادَةِ الْوِتْرِ وَوَافَقَ ذَلِكَ قَوْلَ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: " أَمَّا أَنَا فَأُوتِرُ أَوَّلَ اللَّيْلِ , فَإِذَا اسْتَيْقَظْتُ صَلَّيْتُ شَفْعًا حَتَّى الصَّبَاحَ وَتَرْكُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّكِيرَ عَلَيْهِ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ حُكْمَ ذَلِكَ كَمَا كَانَ يَفْعَلُ , وَأَنَّ الْوِتْرَ لَا يَنْقُضُهُ النَّوَافِلُ الَّتِي يُتَنَفَّلُ بِهَا بَعْدَهُ. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ جَمَاعَةٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০১৮
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০১৮। আবু বাকরা( র) ….. আবু জামরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) কে বিত্‌র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে ছিলাম । উত্তরে তিনি বললেন, রাতের প্রথমাংশে যদি বিত্‌র পড়ে ফেল তা হলে শেষরাতে আর বিত্‌র পড়বেনা , আর যদি শেষরাতে বিত্‌র পড় তাহলে প্রথম রাতে পড়বে না । আবু জামরা (রাহঃ) বলেছেন, আমি আ’ইয ইব্‌ন আমর (রাহঃ) কেও বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম । তিনিও অনুরূপ উত্তর দিয়েছিলেন।
2018 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ أَبِي جَمْرَةَ قَالَ: سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ الْوِتْرِ فَقَالَ: «إِذَا أَوْتَرْتَ أَوَّلَ اللَّيْلِ فَلَا تُوتِرْ آخِرَهُ , وَإِذَا أَوْتَرْتَ آخِرَهُ , فَلَا تُوتِرْ أَوَّلَهُ» قَالَ: وَسَأَلْتُ عَائِذَ بْنَ عَمْرٍو , فَقَالَ مِثْلَهُ
হাদীস নং:২০১৯
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০১৯। ইব্‌ন মারযুক (রাহঃ) ….. খাল্লাস (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তি আম্মার ইব্‌ন ইয়াসির (রাযিঃ) –কে বিত্‌র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলো । উত্তরে আমি আম্মার (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি , তিনি বলেছেনঃ আমি বিত্‌র পড়ে তারপর ঘুমাই । তারপর যদি জাগ্রত হই তাহলে দু’দু’রাক’আত করে পড়ি ।
বস্তুত হাম্মাম (রাহঃ) এর যে হাদীসটি কাতাদা (রাহঃ) সূত্রে আমরা প্রথমে অনুচ্ছেদ বর্ণনা করেছি আমাদের মতে তার অর্থও এই । কারণ , সে হাদীসে রয়েছেঃ” যখন আমি ঘুম থেকে উঠি তখন জোর করে সালাত পড়ি” এ বাক্যটির অর্থ এও হতে পারে (তিনি যখন ঘুম থেকে উঠেন ) তখন এক রাক’আত মিলিয়ে জোড় করে ফেলেন, যেমন ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) করতেন । আবার এ অর্থও হতে পারে যে, জোড় জোড় করে সালাত পড়েন । শু’বা (রাহঃ) এর হাদীসেও বর্ণিত হয়েছে যে, (আরবি) শব্দের অর্থ হলো জোড় জোড় করে সালাত পড়েছি এবং বিত্‌রকে ভেঙ্গে ফেলিনি ।
2019 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، وَمَالِكِ بْنِ دِينَارٍ، أَنَّهُمَا سَمِعَا خِلَاسًا، قَالَ: سَمِعْتُ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ، وَسَأَلَهُ رَجُلٌ عَنِ الْوِتْرِ، فَقَالَ: «أَمَّا أَنَا فَأُوتِرُ، ثُمَّ أَنَامُ , فَإِنْ قُمْتُ , صَلَّيْتُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ» وَهَذَا عِنْدَنَا مَعْنَى حَدِيثِ هَمَّامٍ , عَنْ قَتَادَةَ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي الْفَصْلِ الْأَوَّلِ ; لِأَنَّ فِي ذَلِكَ , فَإِذَا قُمْتُ شَفَعْتُ. فَاحْتَمَلَ ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ يَشْفَعُ بِرَكْعَةٍ كَمَا كَانَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَفْعَلُ , وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ يُصَلِّي شَفْعًا شَفْعًا. فَفِي حَدِيثِ شُعْبَةَ مَا قَدْ بُيِّنَ أَنَّ مَعْنَى قَوْلِ: «شَفَعْتُ» , أَيْ صَلَّيْتُ شَفْعًا شَفْعًا , وَلَمْ أَنْقُضِ الْوِتْرَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০২০
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০২০। আবু বাকরা (রাহঃ) ,… সাঈদ ইব্‌ন জুবাইর (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট বিত্‌র ভঙ্গ সম্পর্কে আলোচনা করা হলে তিনি বললেন , এক রাতে দু’বার বিত্‌র নেই ।
2020 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: ذُكِرَ عِنْدَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا نَقْضُ الْوِتْرِ، فَقَالَتْ: «لَا وِتْرَانِ فِي لَيْلَةٍ»
হাদীস নং:২০২১
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০২১। আবু বাকরা (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি যদি তিনটি উঠনী এনে বসাই তারপর দুটি উট এসে বসাই তাহলে তা কি বেজোড় হবে না? বর্ণনাকারী বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তার এ উক্তি দ্বারা বিত্‌র ভঙ্গের উদাহরণ দিতেন ।
আমাদের মতে এটি যথার্থ উক্তি । এর অর্থ হল কিভাবে বিত্‌রের পর আমি যে জোড় সালাত পড়েছি সেগুলো আমার বেজোড় সালাত গুলর সাথে বিত্‌র হিসাবে গণ্য হবে ।
2021 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ حُمْرَانَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْحَكَمِ: أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: «لَوْ جِئْتُ بِثَلَاثِ أَبْعِرَةٍ فَأَنَخْتُهَا , ثُمَّ جِئْتُ بِبَعِيرَيْنِ فَأَنَخْتُهُمَا , أَلَيْسَ كَانَ يَكُونُ ذَلِكَ وِتْرًا؟» , قَالَ: وَكَانَ يَضْرِبُهُ مَثَلًا لِنَقْضِ الْوِتْرِ وَهَذَا عِنْدَنَا كَلَامٌ صَحِيحٌ , وَمَعْنَاهُ أَنَّ مَا صَلَّيْتَ بَعْدَ الْوِتْرِ مِنَ الْأَشْفَاعِ , فَهُوَ مَعَ الْوِتْرِ الَّذِي أَوْتَرْتَهُ وِتْرًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০২২
বিত্‌রের পর নফল পড়া
২০২২। ইউনুস (রাহঃ) … আকীল ইব্‌ন আবু তালিবের আযাদকৃত গোলাম আবু মুররা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করে ছিলেন , রাসূলুল্লাহ্‌ (স) কিভাবে বিত্‌র পড়তেন ? তিনি বললেনঃ তুমি ইচ্ছা করলে আমি তোমাকে বলতে পারি আমি (কিভাবে বিত্‌র )আদায় করি । তখন আমি বললাম, ঠিক আছে আমাকে বলুন । ফলে তিনি বললেন, আমি যখন ইশা’র সালাত আদায় করি তার পর পাঁচ রাক’আত সালাত পড়ি, তারপর ঘুমিয়ে পড়ি তারপর যদি রাতে ঘুম থেকে উঠি তাহলে দু’দু’রাক’আত করে সালাত পড়ি । আর যদি সকাল হয়ে যায় তাহলে বিত্‌রের উপরই আমার সকাল হয়।
বস্তুত এখানে লক্ষণীয় যে, ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) আ’ইয ইব্‌ন আমর (রাযিঃ) আম্মার (রাযিঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ও আয়িশা (রাযিঃ) সবই বিত্‌রের পর নফল পড়ার ফলে বিত্‌র ভঙ্গ হয় বলে মনে করেন না । এটাই আমাদের মতে উত্তম সেসব বিওয়ায়াত সমূহ থেকে , যেগুলো তাঁদের বিরোধীদের সূত্রে বর্ণিওত। । কারন এটি রাসূলুল্লাহ্‌ (স) থেকে বর্ণিত উক্তি ও কর্মের সমর্থক । অন্যদের থেকে বর্ণিত হাদীসের অনুকূলে যৌক্তিক কোন ভিত্তিও নেই । কারণ (বিরোধী হাদীসের সারমর্ম) সাহাবিগণ যখন পড়ার ইচ্ছে করতেন তখন এক রাক’আত পড়ে পূর্বের বিত্‌রকে জোর বানিয়ে ফেলতেন । অথচ বিত্‌রের মাঝে ও পরবর্তী মিলানো সালাতের মাঝে কথাবার্তা, অন্যান্য কাজ ও ঘুম করা যেতে পারে । বিষয়টি যখন এরূপ , এবং এর বিরোধিতা করেছেন উপরোল্লেখিত সাহাবায়ে কিরাম এবং রাসূলুল্লাহ্‌ (স) থেকেও এর পরিপন্থী রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে , তাই বিরোধী মতটি বাতিল হয়ে গেল । তার উপর আমল করা জায়েয নেই। আমরা যে উক্তিটি উল্লেখ করলাম সেটি আবু হানীফা (স), আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর মত
2022 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي مُرَّةَ، مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوتِرُ؟ فَقَالَ: إِنْ شِئْتَ أَخْبَرْتُكَ كَيْفَ أَصْنَعُ أَنَا , قُلْتُ: أَخْبِرْنِي. قَالَ: «إِذَا صَلَّيْتُ الْعِشَاءَ , صَلَّيْتُ بَعْدَهَا خَمْسَ رَكَعَاتٍ , ثُمَّ أَنَامُ , فَإِنْ قُمْتُ مِنَ اللَّيْلِ , صَلَّيْتُ مَثْنَى مَثْنَى , وَإِنْ أَصْبَحْتُ , أَصْبَحْتُ عَلَى وِتْرٍ» فَهَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , وَعَائِذُ بْنُ عَمْرٍو , وَعَمَّارٌ , وَأَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , وَعَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , لَا يَرَوْنَ التَّطَوُّعَ بَعْدَ الْوِتْرِ , يَنْقُضُ الْوِتْرَ. فَهَذَا أَوْلَى عِنْدَنَا مِمَّا رُوِيَ عَمَّنْ خَالَفَهُمْ , إِذْ كَانَ ذَلِكَ مُوَافِقًا لِمَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ فِعْلِهِ وَقَوْلِهِ. وَالَّذِي رُوِيَ عَنِ الْآخَرِينَ أَيْضًا فَلَيْسَ لَهُ أَصْلٌ فِي النَّظَرِ , لِأَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا أَرَادُوا أَنْ يَتَطَوَّعُوا , صَلَّوْا رَكْعَةً , فَيَشْفَعُونَ بِهَا وِتْرًا مُتَقَدِّمًا , قَدْ قَطَعُوا فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ مَا شَفَعُوا بِهِ , بِكَلَامٍ , وَعَمَلٍ , وَنَوْمٍ , وَهَذَا لَا أَصْلَ لَهُ أَيْضًا فِي الْإِجْمَاعِ , فَيُعْطَفُ عَلَيْهِ هَذَا الِاخْتِلَافُ. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , وَخَالَفَهُ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مَنْ ذَكَرْنَا , وَرُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا خِلَافُهُ , انْتَفَى ذَلِكَ , وَلَمْ يَجُزِ الْعَمَلُ بِهِ. وَهَذَا الْقَوْلُ الَّذِي بَيَّنَّا , قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান