শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৫ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৮৯১
৩৮. ইস্তিস্কা কিরূপ, এতে সালাত আছে কিনা ?
১৮৯১। আব্দুর রহমান ইবন জারূদ (রাহঃ) ..... শুরাইক ইবন আব্দুল্লাহ্ ইবন আবু নামির (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ)-কে উল্লেখ করতে শুনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দাঁড়িয়ে জুমু'আ'র খুতবা দিচ্ছিলেন, (এমন সময়) জনৈক ব্যক্তি মিম্বরের সম্মুখে অবস্থিত দরজা দিয়ে মজিদে প্রবেশ করে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সম্মুখে দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, সম্পদরাজি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে গিয়েছে, রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আপনি আল্লাহর নিকট দু'আ করুন, যেন তিনি আমাদের উপর বৃষ্টিবর্ষণ করেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দু'হাত উঠিয়ে এ বলে দু'আ করলেন, হে আল্লাহ্! আমাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণ কর। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, আমরা আকাশে কোন মেঘ বা মেঘখণ্ড দেখতে পাচ্ছিলাম না এবং সাল্‌আ পাহাড় ও আমাদের মাঝখানে কোন বাড়ি কিংবা গৃহের আড়ালও ছিলো না। রাবী বলেন, হঠাৎ উক্ত পাহাড়ের পিছন থেকে চাকের ন্যায় প্রকাশিত হয়ে আকাশের মাঝখানে এসে প্রসারিত হয়ে গেল। তারপর বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। রাবী বলেন, আল্লাহর কসম, এক সপ্তাহ পর্যন্ত আমরা সূর্য দেখিনি। রাবী বলেন, এরপর উক্ত ব্যক্তি পরবর্তী জুমু'আয় দরজা দিয়ে (মসজিদে) প্রবেশ করল আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তখন লোকদের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন। সে তাঁর সম্মুখে দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, (প্রবল বৃষ্টির কারণে) সম্পদ রাজি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গিয়েছে, আপনি আল্লাহর নিকট বৃষ্টি বন্ধের জন্য দু'আ করুন। রাসূলুল্লাহ্ দু'হাত উঠিয়ে বললেনঃ হে আল্লাহ্! আমাদের আশ-পাশে, টিলা ও পাহাড়ে বর্ষণ কর, আমাদের উপর নয়। রাবী বলেন, তারপর বৃষ্টি (সাথে সাথে) থেমে গেল আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রোদের ভিতর দিয়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে চললেন।
بَابُ الِاسْتِسْقَاءِ كَيْفَ هُوَ , وَهَلْ فِيهِ صَلَاةٌ أَمْ لَا؟
1891 - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْجَارُودِ هُوَ أَبُو بِشْرٍ الْبَغْدَادِيُّ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ , قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ , عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ , أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَذْكُرُ أَنَّ: رَجُلًا دَخَلَ الْمَسْجِدَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مِنْ بَابٍ [ص:322] كَانَ وِجَاهَ الْمِنْبَرِ , وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمٌ يَخْطُبُ , فَاسْتَقْبَلَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمًا , ثُمَّ قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ هَلَكَتِ الْأَمْوَالُ وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ , فَادْعُ اللهَ يُغِيثنا فَرَفَعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ , ثُمَّ قَالَ: «اللهُمَّ اسْقِنَا» قَالَ أَنَسٌ: فَوَاللهِ مَا نَرَى فِي السَّمَاءِ مِنْ سَحَابٍ وَلَا قَزَعَةٍ , وَمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ سَلْعٍ مِنْ بَيْتٍ وَلَا دَارٍ. قَالَ: فَطَلَعَتْ مِنْ وَرَائِهِ سَحَابَةٌ مِثْلُ التُّرْسِ فَلَمَّا تَوَسَّطَتِ السَّمَاءَ انْتَشَرَتْ ثُمَّ أَمْطَرَتْ , قَالَ: فَوَاللهِ مَا رَأَيْنَا الشَّمْسَ سَبْتًا. قَالَ: ثُمَّ دَخَلَ رَجُلٌ مِنَ الْبَابِ فِي الْجُمُعَةِ الْمُقْبِلَةِ , وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمٌ يَخْطُبُ النَّاسَ فَاسْتَقْبَلَهُ قَائِمًا , ثُمَّ قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ هَلَكَتِ الْأَمْوَالُ وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ , فَادْعُ اللهَ أَنْ يُمْسِكَهَا عَنَّا. فَرَفَعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ: «اللهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا , اللهُمَّ عَلَى الْآكَامِ وَالظِّرَابِ» قَالَ: فَأَقْلَعَتْ , وَخَرَجَ يَمْشِي فِي الشَّمْسِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৮৯২
ইস্তিস্কা কিরূপ, এতে সালাত আছে কিনা ?
১৮৯২। বাহার ইবন নসর (রাহঃ) …. শুরাইক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
1892 - حَدَّثَنَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: قُرِئَ عَلَى شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ أَخْبَرَكَ أَبُوكَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ شَرِيكٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৮৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৯৫
ইস্তিস্কা কিরূপ, এতে সালাত আছে কিনা ?
১৮৯৩-১৮৯৫। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি অবশ্যই জুমু'আর দিন মিম্বরের নিকট দাঁড়িয়ে ছিলাম আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খুতবা প্রদান করছিলেন তখন মসজিদ থেকে কেউ বলল হে আল্লাহর রাসূল! বৃষ্টি বন্ধ, জন্তুগুলো (না খেয়ে) ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আপনি আল্লাহর কাছে দু'আ করুন, যেন তিনি আমাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণ করেন। তিনি দু'হাত তুললেন, আকাশে (তখন) মেঘ ছিল না, আল্লাহ্ তা'আলা মেঘমালাকে একত্রিত করে দিলেন। তারপর মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হল। লোকদের জন্য (বৃষ্টির কারণে) নিজেদের বাড়ি-ঘরে যাওয়াই কষ্টকর হয়ে পড়ল। (এমনিভাবে) আমাদের উপর সাতদিন বৃষ্টি অব্যাহত রইল। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পরবর্তী জুমু'আয় খুতবা দিচ্ছেন এমন সময় মসজিদে উপস্থিত এক লোক বলল, হে আল্লাহর রাসূল! বাড়ি-ঘর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে গিয়েছে, আপনি আল্লাহর কাছে দু'আ করুন, তিনি যেন আমাদের থেকে বৃষ্টি বন্ধ করে দেন। তিনি দু'হাত তুলে বললেন, হে আল্লাহ্ আমাদের আশ-পাশে (বর্ষণ কর) আমাদের উপর নয়। তারপর আমাদের মাথার উপর (আকাশে) যে মেঘমালা ছিল তা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল, তখন আমরা যেন মণি-মাণিক্যখচিত মুকুট পরিহিত (অর্থাৎ আমাদের উপর থেকে মেঘমালা দিগন্তে সরে গেল আর আমরা সমুজ্জ্বল সূর্যের নীচে অবস্থান করছিলাম।) আমাদের আশে-পাশে বারিপাত হচ্ছিল, আমাদের মধ্যে হচ্ছিল না।

ইবন মারযূক (রাহঃ) এবং আবু বাকরা (রাহঃ) হুমায়দ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ)-কে প্রশ্ন করা হয় যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কি দু'হাত তুলে (দু'আ) করতেন ? রাবী বলেন, জুমু'আর দিন তাঁকে বলা হয়, হে আল্লাহর রাসূল! বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, যমীন আনুর্বর হয়ে পড়েছে ও সম্পদ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তিনি দু'হাত প্রসারিত করলেন যাতে আমি তাঁর উভয়বগলের শুভ্রতা দেখতে পেয়েছি। তারপর তিনি ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।

নসর ইবন মারযূক (রাহঃ) ….. আনাস (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
1893 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو ظَفَرٍ عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ مُطَهَّرٍ، قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: " إِنِّي لَقَائِمٌ عِنْدَ الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ , وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ , فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْمَسْجِدِ: يَا رَسُولَ اللهِ , حُبِسَ الْمَطَرُ وَهَلَكَتِ الْمَوَاشِي فَادْعُ اللهَ يَسْقِينَا فَرَفَعَ يَدَيْهِ وَمَا فِي السَّمَاءِ مِنْ سَحَابٍ , فَأَلَّفَ اللهُ بَيْنَ السَّحَابِ فَوَبَلَتْنَا حَتَّى إِنَّ الرَّجُلَ لَيُهِمُّهُ مِنْ نَفْسِهِ أَنْ يَأْتِيَ أَهْلَهُ , فَمُطِرْنَا سَبْعًا , قَالَ: فَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ فِي الْجُمُعَةِ الثَّانِيَةِ ; إِذْ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْمَسْجِدِ: يَا رَسُولَ اللهِ , تَهَدَّمَتِ الْبُيُوتُ , فَادْعُ اللهَ أَنْ يَرْفَعَهَا عَنَّا , قَالَ: فَرَفَعَ يَدَيْهِ , وَقَالَ: «اللهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا» فَتَقَوَّرَ مَا فَوْقَ رُءُوسِنَا مِنْهَا , حَتَّى كَانَا فِي إِكْلِيلٍ يُمْطِرُ مَا حَوْلَنَا وَلَا نُمْطَرُ "

1894 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، وَأَبُو بَكْرَةَ , قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَكْرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، قَالَ: " سُئِلَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ: هَلْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ؟ قَالَ: قِيلَ لَهُ يَوْمَ جُمُعَةٍ يَا رَسُولَ اللهِ , قَحَطَ الْمَطَرُ , وَأَجْدَبَتِ الْأَرْضُ , وَهَلَكَ الْمَالُ , قَالَ: فَمَدَّ يَدَيْهِ حَتَّى رَأَيْتُ بَيَاضَ إِبْطَيْهِ " , ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي دَاوُدَ [ص:323]

1895 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ , عَنْ حُمَيْدٍ , عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৮৯৬
ইস্তিস্কা কিরূপ, এতে সালাত আছে কিনা ?
১৮৯৬। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ….. শুরাহবীল ইবন সীমত (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা কা'ব ইবন মুররা (রাযিঃ) অথবা মুররা ইব্‌ন কা'ব (রাযিঃ)-কে বললাম, আমাদেরকে আপনি এরূপ একটি হাদীস বর্ণনা করুন যা আপনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে শুনেছেন, আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন! আর সাবধান থাকবেন। তিনি বললেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুযার গোত্রের বিরুদ্ধে বদ্দুআ করলেন, আমি তাঁর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা আপনাকে সাহায্য করেছেন এবং আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আপনার কাওম (সম্প্রদায়) অবশ্যই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আপনি তাদের জন্য দু'আ করুন। তিনি বললেন, হে আল্লাহ, আমাদেরকেঃ তৃপ্তিকর বর্ষণকারী বৃষ্টি দ্বারা, যা অত্যন্ত তৃপ্তি দায়ক এবং ভূমিতে শ্যামলতা আনয়নকারী, যা স্তরে স্তরে বড় বড় ফোঁটার সাথে দ্রুত বর্ষণকারী হয়, যাতে দেরী না হয়, যা হিতকর, ক্ষতিকর নয়। রাবী বলেন, এক সপ্তাহ অথবা অনুরূপ সময় পর্যন্ত তাদের মধ্যে বৃষ্টি অব্যাহত ছিল।
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এক দল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, ইস্তিস্কা'র সুন্নত হল আল্লাহর নিকট বিনীতভাবে দু'আ এবং রোনাযারী করা যেমনটি এ সমস্ত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে এবং এতে সালাতের বিধান নেই। এ মত যাঁরা গ্রহণ করেছেন আবু হানীফা (রাহঃ) তাঁদের অন্যতম।
এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন, এ দলের মধ্যে আবু ইউসুফ (রাহঃ) অন্যতম। তাঁরা বলেছেনঃ বরং ইস্তিস্কার সুন্নত হলোঃ ইমাম লোকদেরকে নিয়ে ঈদগাহে (ময়দানে) বের হবেন এবং সেখানে তিনি তাদেরকে নিয়ে দু'রাক'আত সালাত আদায় করবেন । আর উক্ত দু'রাক'আতে সশব্দে কিরা'আত পড়বেন তারপর খুতবা প্রদান করবেন এবং নিজ চাদর উল্টিয়ে পরবেন চাদরের উপর অংশকে নীচে করবেন আর নীচের অংশকে উপরে করবেন। তবে যদি ভারী চাদর হয় যা এভাবে উল্টানো সম্ভবপর নয় অথবা যদি সবুজ চাদর হয় তাহলে এর ডান প্রান্ত বাম কাঁধে এবং বাম প্রান্ত ডান কাঁধে স্থাপন করবে।
(প্রথম দলের দলীলের উত্তরে) তারা বলেন যে, এ সমস্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আমল এবং তাঁর প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা এটিও জায়িয আছে। আল্লাহর নিকট তিনি এ বিষয়ে প্রার্থনা করবেন এতে কিন্তু ইমামের জন্য ইচ্ছা করলে লোকদের নিয়ে উল্লিখিত পদ্ধতিতে ইস্তিস্কার সালাত আদায় করা যে সুন্নত তা নাকচ হয় না।
বস্তুত এ বিষয়ে তাঁরা যা উল্লেখ করেছেন আমরা তা পর্যালোচনা করে দেখি যে, এর জন্য আমরা হাদীস থেকে কোন দলীল পাই কি না ? আমরা দেখিঃ
1896 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ السِّمْطِ، قَالَ: قُلْنَا لِكَعْبِ بْنِ مُرَّةَ أَوْ مُرَّةَ بْنِ كَعْبٍ حَدَّثَنَا حَدِيثًا، سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِلَّهِ أَبُوكَ وَاحْذَرْ، قَالَ: دَعَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مُضَرَ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ اللهَ قَدْ نَصَرَكَ وَاسْتَجَابَ لَكَ وَإِنَّ قَوْمَكَ قَدْ هَلَكُوا فَادْعُ اللهَ لَهُمْ فَقَالَ: «اللهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا مُرِيعًا طَبَقًا غَدَقًا عَاجِلًا غَيْرَ رَائِثٍ نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ» قَالَ: فَمَا كَانَ إِلَّا جُمُعَةٌ أَوْ نَحْوُهَا حَتَّى مُطِرُوا قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ سُنَّةَ الِاسْتِسْقَاءِ هُوَ الِابْتِهَالُ إِلَى اللهِ تَعَالَى وَالتَّضَرُّعُ إِلَيْهِ , كَمَا فِي هَذِهِ الْآثَارِ وَلَيْسَ فِي ذَلِكَ صَلَاةٌ , وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , مِنْهُمْ أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ فَقَالُوا: بَلِ السُّنَّةُ فِي الِاسْتِسْقَاءِ أَنْ يَخْرُجَ الْإِمَامُ بِالنَّاسِ إِلَى الْمُصَلَّى وَيُصَلِّيَ بِهِمْ هُنَاكَ رَكْعَتَيْنِ وَيَجْهَرَ فِيهِمَا بِالْقِرَاءَةِ , ثُمَّ يَخْطُبَ وَيُحَوِّلَ رِدَاءَهُ فَيَجْعَلَ أَعْلَاهُ أَسْفَلَهُ وَأَسْفَلَهُ أَعْلَاهُ إِلَّا أَنْ يَكُونَ رِدَاءً ثَقِيلًا لَا يُمْكِنُهُ قَلْبُهُ كَذَلِكَ , أَوْ يَكُونَ طَيْلَسَانًا , فَيُجْعَلَ الشِّقُّ الْأَيْمَنُ مِنْهُ عَلَى الْكَتِفِ الْأَيْسَرِ , وَالشِّقُّ الْأَيْسَرُ مِنْهُ عَلَى الْكَتِفِ الْأَيْمَنِ. وَقَالُوا: مَا ذُكِرَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ مِنْ فِعْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسُؤَالِهِ بِهِ , فَهُوَ جَائِزٌ أَيْضًا يُسْأَلُ اللهُ ذَلِكَ , فَلَيْسَ فِيهِ دَفْعُ أَنْ يَكُونَ مِنْ سُنَّةِ الْإِمَامِ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَسْتَسْقِيَ بِالنَّاسِ أَنْ يَفْعَلَ مَا ذَكَرْنَا. فَنَظَرْنَا فِيمَا ذَكَرُوا مِنْ ذَلِكَ: هَلْ نَجِدُ لَهُ مِنَ الْآثَارِ دَلِيلًا؟
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৮৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৯৮
ইস্তিস্কা কিরূপ, এতে সালাত আছে কিনা ?
১৮৯৭-১৮৯৮। ইউনুস (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঈদগাহে (ময়দানে) বের হয়েছেন। পরে তিনি নিজ চাদর উলটিয়ে কিবলামুখী হয়ে ইস্তিস্কা (বৃষ্টির জন্য) দু'আ করেছেন।

ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ্ ইবন যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আর একবার ঈদগাহে বের হলেন। পরে তিনি নিজ চাদর উলটিয়ে কিবলামুখী হয়ে ইস্তিস্কা (বৃষ্টির জন্য) দুআ করেছেন।
1897 - فَإِذَا يُونُسُ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ , عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدٍ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ إِلَى الْمُصَلَّى فَاسْتَسْقَى , فَقَلَبَ رِدَاءَهُ وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ»

1898 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدٍ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ إِلَى الْمُصَلَّى فَاسْتَسْقَى فَحَوَّلَ رِدَاءَهُ وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৮৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৯০০
ইস্তিস্কা কিরূপ, এতে সালাত আছে কিনা ?
১৮৯৯-১৯০০। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) …… আব্বাদ ইবন তামীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তাঁর চাচা আব্দুল্লাহ্ ইবন যায়দ (রাযিঃ), যিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহাবীগণের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, তিনি তাঁকে বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একবার লোকদেরকে নিয়ে তাদের জন্য ইস্তিস্কার উদ্দেশ্যে বের হলেন। তিনি দাঁড়িয়ে আল্লাহর নিকট দু'আ করলেন। পরে কিবলামুখী হয়ে নিজ চাদর উলটালেন এবং লোকেরা বৃষ্টিপ্রাপ্ত হলো।

মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ...... আব্বাদ ইবন তামীম (রাহঃ) তাঁর চাচা আব্দুল্লাহ্ ইবন যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একবার বের হলেন এবং ইস্তিস্কা করলেন। পরে নিজ চাদর উলটালেন। রাবী বলেন, আমি বললাম, চাদরের উপর অংশ নীচে আর নীচের অংশ কি উপরে রেখেছেন ? তিনি বললেন, না বরং বাম প্রান্তকে ডানে আর ডান প্রান্তকে বামে স্থাপন করেছেন।
1899 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ: أنا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبَّادُ بْنُ تَمِيمٍ، أَنَّ عَمَّهُ، وَكَانَ، مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَهُ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ بِالنَّاسِ إِلَى الْمُصَلَّى يَسْتَسْقِي لَهُمْ فَقَامَ فَدَعَا اللهَ قَائِمًا ثُمَّ تَوَجَّهَ قِبَلَ الْقِبْلَةِ فَحَوَّلَ رِدَاءَهُ فَسُقُوا»

1900 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ، قَالَ: أنا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، [ص:324] عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ: " خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَسْقَى فَقَلَبَ رِدَاءَهُ قَالَ: قُلْتُ: جَعَلَ الْأَعْلَى عَلَى الْأَسْفَلِ وَالْأَسْفَلَ عَلَى الْأَعْلَى؟ قَالَ: لَا , بَلْ جَعَلَ الْأَيْسَرَ عَلَى الْأَيْمَنِ وَالْأَيْمَنَ عَلَى الْأَيْسَرِ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৯০১
আন্তর্জাতিক নং: ১৯০২
ইস্তিস্কা কিরূপ, এতে সালাত আছে কিনা ?
১৯০১-১৯০২। মুহাম্মাদ ইবন নোমান (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইস্তিস্কার জন্য বের হলেন, তখন তাঁর পরিধানে ছিলো কালো একটি চাদর। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উক্ত চাদরের নীচের অংশকে উপরে করে দিতে ইচ্ছা পোষণ করলেন। কিন্তু ভারী হওয়ার কারণে তা পারলেন না। পরে তা কাঁধের উপর উলটিয়ে দিলেন।

ইবন মারযূক (রাযিঃ) ….. আব্দুল্লাহ্ ইবন যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইস্তিস্কা করেছেন, তারপর নিজ চাদরকে উলটিয়ে দিয়েছেন।

সমালোচনা
বস্তুত এ সমস্ত হাদীসে তাঁর চাদর উলটানো এবং চাদর উলটানো কিরূপ ছিল তার বিবরণ ব্যক্ত হয়েছে। এটিও ব্যক্ত হয়েছে যে, চাদরের উপর অংশকে নীচে এবং নীচের অংশকে উপরে করা যখন তাঁর উপর ভারী হয়ে গিয়েছে তখন তিনি চাদরের ডান প্রান্তকে বাম দিকে এবং বাম প্রান্তকে ডান দিকে করে নিয়েছেন। অনুরূপভাবে আমরা বলে থাকি যে, যখন এর উপর অংশকে নীচে আর নীচের অংশকে উপর করা সম্ভবপর হয়েছে তখন তিনি অনুরূপই করেছেন। আর যখন তা উলটানো সম্ভবপর হয়নি তখন এর ডান প্রান্তকে বাম দিকে এবং বাম প্রান্তকে ডান দিকে করেছেন।
প্রথমোক্ত হাদীসগুলো থেকে এ সমস্ত হাদীসে কিছু বিষয় (চাদর উলটানো, সালাত)-কে অতিরিক্ত বর্ণনা করা হয়েছে। অতএব এগুলোর উপর আমল করা বাঞ্ছনীয়, এগুলোকে পরিত্যাগ করা উচিত নয়।
1901 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ النُّعْمَانِ، قَالَ: ثنا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ: ثنا الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَسْقِي وَعَلَيْهِ خَمِيصَةٌ سَوْدَاءُ فَأَرَادَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَأْخُذَهَا بِأَسْفَلِهَا فَيَجْعَلَهُ أَعْلَاهَا , فَلَمَّا ثَقُلَتْ عَلَيْهِ أَنْ يُحَوِّلَهَا قَلَبَهَا عَلَى عَاتِقِهِ»

1902 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدٍ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَسْقَى فَقَلَبَ رِدَاءَهُ» فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ قَلْبُهُ لِرِدَائِهِ وَصِفَةُ قَلْبِ الرِّدَاءِ كَيْفَ كَانَ وَأَنَّهُ إِنَّمَا جَعَلَ مَا عَلَى يَمِينِهِ مِنْهُ عَلَى يَسَارِهِ وَمَا عَلَى يَسَارِهِ عَلَى يَمِينِهِ لَمَّا ثَقُلَ عَلَيْهِ أَنْ يَحْصُلَ أَعْلَاهُ أَسْفَلَهُ وَأَسْفَلُهُ أَعْلَاهُ فَكَذَلِكَ نَقُولُ مَا أَمْكَنَ أَنْ يَجْعَلَ أَعْلَاهُ أَسْفَلَهُ وَأَسْفَلَهُ أَعْلَاهُ فَقَلَبَهُ كَذَلِكَ هُوَ , وَمَا لَا يُمْكِنُ ذَلِكَ فِيهِ حُوِّلَ , فَجَعَلَ الْأَيْمَنَ مِنْهُ أَيْسَرَ وَالْأَيْسَرَ مِنْهُ أَيْمَنَ. فَقَدْ زَادَ مَا فِي هَذِهِ الْآثَارِ عَلَى مَا فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ فَيَنْبَغِي أَنْ يُسْتَعْمَلَ ذَلِكَ وَلَا يُتْرَكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৯০৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৯০৪
ইস্তিস্কা কিরূপ, এতে সালাত আছে কিনা ?
১৯০৩-১৯০৪। অবশ্যই রবী'উল মু’আযযিন (রাহঃ) ….. ইসহাক ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ ওয়ালীদ ইবন উকবা আমাকে ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর কাছে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর ইস্তিস্কা সম্পর্কে জানতে পাঠিয়েছিলেন। আমি তাঁর নিকট এসে বললাম, আমরা মসজিদে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর ইস্তিস্কার সালাত সম্পর্কে মতবিরোধ ও আলোচনা করেছি। তিনি বললেন, এরূপ নয়, বরং তোমাকে তো তোমার ভ্রাতুষ্পুত্র মদীনার শাসক ওয়ালীদ পাঠিয়েছে। তা তিনি যদি পাঠিয়েও থাকেন তাহলে জিজ্ঞাসা কর, এতে কোনরূপ অসুবিধা নেই। তারপর ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অতি সাধারণ বেশে, বিনীত ভঙ্গীতে, রোনাযারীর সাথে বের হতেন, ঈদ গাহে আসতেন। তোমাদের মত এ ধরনের খুত্লবা দিতেন না। বরং দু'আ, রোনাযারী ও তাকবীর পাঠে ব্যস্ত থাকতেন। দু’ঈদের সালাতের মত দু'রাকা'আত (ইস্তিস্কার) সালাত আদায় করতেন। তাঁর উক্তি “যেমনিভাবে দু’ঈদে সালাত পড়া হয়” এতে সম্ভাবনা রয়েছে যে, তিনি (ইস্তিস্কার) সালাতের দু'রাক'আতে অনুরূপ সশব্দে কিরাআত করেছেন, যেমনিভাবে দু'ঈদের সালাতে সশব্দে কিরা'আত করা হয়।

ফাহাদ (রাহঃ) ….. হাতিম ইবন ইসমাঈল (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছন এবং অতিরিক্ত যোগ করেছেন যে, তিনি দু'রাক'আত সালাত (ইস্তিস্কা) সশব্দে কিরাআত দিয়ে আযান ও ইকামত ব্যতীত আদায় করেছেন, আর আমরা তাঁর পিছনে (সালাতরত) ছিলাম। কিন্তু তিনি এতে “দু’ঈদের সালাতের অনুরূপ” বলেননি। এতে বুঝা যাচ্ছে যে, প্রথম হাদীসে তাঁর উক্তি “দু’ঈদের সালাতের অনুরূপ” এর দ্বারা এ অর্থই বুঝিয়েছেন যে, তিনি দু'ঈদের মত আযান ও ইকামত ব্যতীত সালাত আদায় করেছেন।
1903 - وَقَدْ حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى قَالَ: ثنا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ عَنْ هِشَامٍ أَنَّ إِسْحَاقَ بْنَ عَبْدِ اللهِ بْنِ كِنَانَةَ مِنْ بَنِي مَالِكِ بْنِ شُرَحْبِيلَ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: أَرْسَلَنِي الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ أَسْأَلُ لَهُ عَنْ صَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الِاسْتِسْقَاءِ , فَأَتَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَقُلْتُ: إِنَّا تَمَارَيْنَا فِي الْمَسْجِدِ فِي صَلَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الِاسْتِسْقَاءِ قَالَ: لَا , وَلَكِنْ أَرْسَلَكَ ابْنُ أَخِيكُمُ الْوَلِيدُ , وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ وَلَوْ أَنَّهُ أَرْسَلَ فَسَأَلَ مَا كَانَ بِذَلِكَ بَأْسٌ ثُمَّ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: «خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُبْتَذِلًا مُتَوَاضِعًا مُتَضَرِّعًا حَتَّى أَتَى الْمُصَلَّى فَلَمْ يَخْطُبْ خُطْبَتَكُمْ هَذِهِ , وَلَكِنْ لَمْ يَزَلْ فِي الدُّعَاءِ وَالتَّضَرُّعِ وَالتَّكْبِيرِ , فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَمَا يُصَلِّي فِي الْعِيدَيْنِ» فَقَوْلُهُ «كَمَا يُصَلِّي فِي الْعِيدَيْنِ» يُحْتَمَلُ أَنَّهُ جَهَرَ فِيهِمَا كَمَا يَجْهَرُ فِي الْعِيدَيْنِ

1904 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عُبَيْدُ بْنُ إِسْحَاقَ الْعَطَّارُ، قَالَ: ثنا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ وَزَادَ: «فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَنَحْنُ خَلْفَهُ , يَجْهَرُ فِيهِمَا بِالْقِرَاءَةِ , وَلَمْ يُؤَذِّنْ , وَلَمْ يُقِمْ» وَلَمْ يَقُلْ «مِثْلَ صَلَاةِ الْعِيدَيْنِ» فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ قَوْلَهُ مِثْلَ صَلَاةِ الْعِيدَيْنِ فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ إِنَّمَا أَرَادَ بِهِ هَذَا الْمَعْنَى , أَنَّهُ صَلَّى بِلَا أَذَانٍ وَلَا إِقَامَةٍ , كَمَا يُفْعَلُ فِي الْعِيدَيْنِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৯০৫
ইস্তিস্কা কিরূপ, এতে সালাত আছে কিনা ?
১৯০৫। ফাহাদ (রাহঃ) ..... ইসহাক ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রবী (রাহঃ) আসাদ (রাহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। সুফয়ান (রাহঃ) বলেন, আমি শায়খকে বললাম, খুত্বা সালাতের পূর্বে না পরে ? তিনি বললেন, (এ বিষয়ে) আমি অবগত নই ।

ব্যাখ্যা
এ হাদীসে সালাত এবং সশব্দে কিরা'আত করার কথা উল্লেখ হয়েছে। আর এতে তাঁর শব্দে কিরা'আত করায় প্রমাণিত হচ্ছে যে, এটি ঈদের সালাতের অনুরূপ যা দিনের বেলায় বিশেষ সময়ে আদায় করা হয়। আর এমনটির বিধান হচ্ছে সশব্দে কিরাআত করা। অনুরূপভাবে জুমু'আর সালাত দিনের সালাতের অন্তর্ভুক্ত এবং তা বিশেষ দিনে আদায় করা হয়, অতএব এর বিধান হচ্ছে, সশব্দে কিরা'আত করা।
বস্তুত এতে প্রমাণিত হলো যে, যে সমস্ত সালাত দৈনন্দিন পড়া হয় না বরং কোন বিশেষ দিনে অথবা বিশেষ কারণে পড়া হয় এ সমস্ত সালাতের বিধান হচ্ছে, এতে সশব্দে কিরাআত করা। পক্ষান্তরে যে সমস্ত সালাত প্রত্যহ দিনের বেলায় কোন কারণ এবং বিশেষ সময় ব্যতীত পড়া হয় এর বিধান হচ্ছে, শব্দবিহীন চুপিসারে কিরা'আত করা। সুতরাং আমাদের উল্লিখিত বর্ণনার দ্বারা বুঝা গেল যে, ইস্তিস্কার সালাত একটি প্রতিষ্ঠিত সুন্নত, এটি ছেড়ে দেয়া উচিত হবে না। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এটি একাধিক সনদে বর্ণিত আছেঃ
1905 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ كِنَانَةَ، عَنْ أَبِيهِ، فَذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِ رَبِيعٍ عَنْ أَسَدٍ، قَالَ سُفْيَانُ: " فَقُلْتُ لِلشَّيْخِ: الْخُطْبَةُ قَبْلَ الصَّلَاةِ أَوْ بَعْدَهَا. قَالَ: لَا أَدْرِي " فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ ذِكْرُ الصَّلَاةِ وَالْجَهْرِ فِيهَا بِالْقِرَاءَةِ وَدَلَّ جَهْرُهُ فِيهَا بِالْقِرَاءَةِ أَنَّهَا كَصَلَاةِ الْعِيدِ الَّتِي تُفْعَلُ نَهَارًا فِي وَقْتٍ خَاصٍّ فَحُكْمُهَا الْجَهْرُ. وَكَذَلِكَ أَيْضًا صَلَاةُ الْجُمُعَةِ هِيَ مِنْ صَلَاةِ النَّهَارِ وَلَكِنَّهَا مَفْعُولَةٌ فِي يَوْمٍ خَاصٍّ فَحُكْمُهُ الْجَهْرُ. [ص:325] فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ كَذَلِكَ حُكْمَ الصَّلَوَاتِ الَّتِي تُصَلَّى بِالنَّهَارِ , لَا فِي سَائِرِ الْأَيَّامِ , وَلَكِنْ لِعَارِضٍ أَوْ فِي يَوْمٍ خَاصٍّ , فَحُكْمُهَا الْجَهْرُ. وَكُلُّ صَلَاةٍ تُفْعَلُ فِي سَائِرِ الْأَيَّامِ نَهَارًا , لَا لِعَارِضٍ وَلَا فِي وَقْتٍ خَاصٍّ , فَحُكْمُهَا الْمُخَافَتَةُ. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ صَلَاةَ الِاسْتِسْقَاءِ سُنَّةٌ قَائِمَةٌ لَا يَنْبَغِي تَرْكُهَا. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৯০৬
ইস্তিস্কা কিরূপ, এতে সালাত আছে কিনা ?
১৯০৬। রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ লোকেরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট অনাবৃষ্টির অভিযোগ করল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মিম্বর আনতে বললেন এবং ঈদগাহে স্থাপন করা হলো। লোকেরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলো যে নির্দিষ্ট একদিন তারা বের হবে। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, যখন সূর্যের কিরণ প্রকাশিত হলো তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বের হলেন। তিনি মিম্বরের উপর বসে আল্লাহর প্রশংসা করলেন তারপর বললেন, আমার কাছে তোমরা তোমাদের এলাকার দুর্ভিক্ষ এবং মৌসুমী বৃষ্টিপাত বন্ধের অভিযোগ করেছ। অবশ্যই আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদেরকে তাঁর কাছে দু'আ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি তোমাদের দু'আ কবুল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারপর তিনি বললেনঃ প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক-আল্লাহ্‌রই প্রাপ্য, যিনি কর্মফল দিবসের মালিক, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা'বুদ নেই, তিনি যা ইচ্ছা তাই করেন, হে আল্লাহ্! তুমি-ই আল্লাহ্! তুমি ব্যতীত কোন মা'বুদ নেই, তুমি-ই অমুখাপেক্ষী এবং আমরা হলাম মুখাপেক্ষী। আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ কর এবং আমাদের জন্য তুমি তা অব্যাহত রাখ যাতে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আমাদের খাদ্য ও প্রয়োজনের যথেষ্ট হয়। পরে তিনি তাঁর দু'হাত এমনভাবে উত্তোলন করেন যাতে তাঁর দুই বগলের শুভ্রতা প্রকাশ হয়ে পড়েছে। পরে দু'হাত উঠানো অবস্থায় লোকদের দিকে পিঠ ফিরালেন এবং চাদর উলটালেন। তারপর লোকদের দিকে ফিরলেন এবং মিম্বর থেকে অবতরণ করে দু'রাক'আত সালাত পড়লেন। তখন আল্লাহ্ তা'আলা (আকাশে) মেঘমালা সৃষ্টি করে দেন। যাতে শুরু হয় বজ্রধ্বনি ও বিদ্যুৎ চমকানো। আল্লাহর হুকুমে (মেঘমালা থেকে) বৃষ্টিপাত হল। তিনি মসজিদে ফিরে আসতে না আসতে দেখা গেল সবদিকে পানিতে সয়লাব হয়ে গিয়েছে। যখন তিনি দেখতে পেলেন যে, (বৃষ্টির কারণে, লোকদের শরীরে কাপড় জড়িয়ে গিয়েছে এবং তারা দ্রুত বাড়ী-ঘরে আশ্রয় নিচ্ছে তখন তিনি হেসে দিলেন যাতে তাঁর মাড়ির দাঁতগুলো প্রকাশিত হয়ে পড়ল। আর তিনি বললেনঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয় আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান এবং নিশ্চয় আমি আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল ।
1906 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ قَالَ: ثنا هَارُونُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْهَيْثَمِ الْأَيْلِيُّ قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ نِزَارٍ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مَبْرُورٍ عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: شَكَا النَّاسُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُحُوطَ الْمَطَرِ , فَأَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِنْبَرٍ فَوُضِعَ فِي الْمُصَلَّى وَوَعَدَ النَّاسَ يَخْرُجُونَ يَوْمًا. قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: وَخَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ بَدَا حَاجِبُ الشَّمْسِ فَقَعَدَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَحَمِدَ اللهَ , ثُمَّ قَالَ: «إِنَّكُمْ شَكَوْتُمْ إِلَيَّ جَدْبَ جَنَابِكُمْ وَاسْتِئْخَارَ الْمَطَرِ عَنْ إِبَّانِ زَمَانِهِ عَنْكُمْ , وَقَدْ أَمَرَكُمْ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَدْعُوهُ وَوَعَدَكُمْ أَنْ يَسْتَجِيبَ لَكُمْ» ثُمَّ قَالَ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ , مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ , لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ , اللهُمَّ أَنْتَ اللهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْغَنِيُّ وَنَحْنُ الْفُقَرَاءُ أَنْزِلْ عَلَيْنَا الْغَيْثَ , وَاجْعَلْ مَا أَنْزَلْتَ لَنَا قُوَّةً وَبَلَاغًا إِلَى حِينٍ» ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ فَلَمْ يَزَلْ فِي الرَّفْعِ حَتَّى بَدَا بَيَاضُ إِبْطَيْهِ. ثُمَّ حَوَّلَ إِلَى النَّاسِ ظَهْرَهُ , وَقَلَبَ أَوْ حَوَّلَ رِدَاءَهُ وَهُوَ رَافِعٌ يَدَيْهِ. ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ وَنَزَلَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ , وَأَنْشَأَ اللهُ سَحَابًا فَرَعَدَتْ وَبَرَقَتْ وَأَمْطَرَتْ بِإِذْنِ اللهِ تَعَالَى فَلَمْ يَأْتِ مَسْجِدَهُ حَتَّى سَالَتِ السُّيُولُ. فَلَمَّا رَأَى الْتِوَاءَ الثِّيَابِ عَلَى النَّاسِ وَتَسَرُّعَهُمْ إِلَى الْكِنِّ , ضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ وَقَالَ: «أَشْهَدُ أَنَّ اللهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنِّي عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُهُ»
হাদীস নং:১৯০৭
ইস্তিস্কা কিরূপ, এতে সালাত আছে কিনা ?
১৯০৭। ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইস্তিস্কার জন্য বের হলেন এবং তিনি আমাদেরকে নিয়ে আযান ও ইকামত ব্যতীত দু'রাক'আত সালাত আদায় করলেন। পরে আমাদেরকে খুতবা দিলেন, আল্লাহর কাছে দু'আ করলেন, নিজ চেহারা কিবলামুখী করলেন, দু'হাত উত্তোলন করলেন এবং চাদর উলটালেন। (উলটাতে গিয়ে) চাদরের ডান প্রান্তকে বাম কাঁধে এবং বাম প্রান্তকে ডান কাঁধে রেখেছেন।
1907 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: ثنا أَبِي قَالَ: سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ رَاشِدٍ، يُحَدِّثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: " خَرَجَ نَبِيُّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا يَسْتَسْقِي فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلَا إِقَامَةٍ , قَالَ: ثُمَّ خَطَبَنَا وَدَعَا اللهَ وَحَوَّلَ وَجْهَهُ نَحْوَ الْقِبْلَةِ , وَرَفَعَ يَدَيْهِ وَقَلَبَ رِدَاءَهُ , فَجَعَلَ الْأَيْمَنَ عَلَى الْأَيْسَرِ , وَالْأَيْسَرَ عَلَى الْأَيْمَنِ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৯০৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৯০৯
ইস্তিস্কা কিরূপ, এতে সালাত আছে কিনা ?
১৯০৮-১৯০৯। মুহাম্মাদ ইবন নো'মান (রাহঃ) ও সুলায়মান ইবন শু'আয়ব (রাহঃ) ….. আবাদ ইবন তামীম (রাহঃ)-এর চাচা আব্দুল্লাহ্ ইবন যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, (তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাহাবী ছিলেন) যে তিনি একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে ইস্তিস্কার জন্য বের হতে দেখেছেন। তিনি লোকদের দিকে পিঠ ফিরিয়ে কিবলামুখী হয়ে দু'আ করলেন। পরে নিজ চাদর উলটিয়ে দু'রাক'আত সালাত আদায় করেন এবং এতে সশব্দে কিরাআত করেন।
1908 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ النُّعْمَانِ، قَالَ: ثنا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي فُدَيْكٍ، وَخَالِدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، ح [ص:326]

1909 - وَحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا خَرَجَ يَسْتَسْقِي , فَحَوَّلَ إِلَى النَّاسِ ظَهْرَهُ , وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ يَدْعُو , ثُمَّ حَوَّلَ رِدَاءَهُ , ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ , قَرَأَ فِيهِمَا وَجَهَرَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৯১০
ইস্তিস্কা কিরূপ, এতে সালাত আছে কিনা ?
১৯১০। ইউনুস (রাহঃ) …… ইবন আবী যিব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন, কিন্তু তিনি 'সশব্দে' কথাটি উল্লেখ করেন নি।

ব্যাখ্যা
এ সমস্ত হাদীসে সালাতের সাথে সাথে খুতবা'র উল্লেখ করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, ইস্তিস্কার (সালাতে) খুতবা রয়েছে। এ তবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর খুতবা কখন ছিলো এ ব্যাপারে মতবিরোধ আছে। আয়েশা (রাযিঃ) এবং আব্দুল্লাহ্ ইবন ইয়াযিদ (রাযিঃ)-এর হাদীসে সালাতের পূর্বে তিনি খুতবা প্রদান করেছেন বলে ব্যক্ত হয়েছে। পক্ষান্তরে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, তিনি সালাতের পরে খুতবা প্রদান করেন।

ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
বস্তুত এ বিষয় আমরা অনুসন্ধানমূলক দৃষ্টি দিয়ে দেখি জুমু'আর সালাতের পূর্বে খুতবা প্রদান করা হয়। দু'ঈদের সালাতে দেখি, এতে খুতবা প্রদান করা হয় সালাতের পরে। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অনুরূপ করতেন। ইস্তিস্কার খুতবা উল্লিখিত দু'খুতবার কোনটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তা আমরা খতিয়ে দেখার ইচ্ছা পোষণ করেছি। তাহলে ইস্তিসকার খুবার হুকুমকে উক্ত খুব্বার হুকুমের সাথে মিলাবার প্রয়াস পাবো। আমরা জুমু'আর খুতবাকে ফরযরূপে দেখতে পাই, আর জুমু'আর সালাত খুতবার সাথে সংযুক্ত না হলে জুমু'আ জায়িয হয় না। কিন্তু দু'ঈদের খুতবা এমনটি নয়, যেহেতু দু’ঈদের সালাত খুতবা ব্যতীতও জায়িয হয়। আর ইস্তিস্কার সালাতও খুতবা ব্যতীত জায়িয হয়। তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না, যদি কোন ইমাম খুতবা ব্যতীত লোকদেরকে নিয়ে ইস্তিস্কার সালাত আদায় করেন, তাহলে তার সালাত জায়িয হয়ে যায় কিন্তু তার খুতবা পরিত্যাগ করাটা সঠিক নয়। অতএব ইস্তিস্কার খুতবা জুমু'আর খুতবার বিধান অপেক্ষা দু'ঈদের খুতবার বিধানের সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। সুতরাং ইস্তিস্কার সালাতের খুতবার স্থান দু'ঈদের সালাতের খুতবার স্থানের অনুরূপ হওয়াই যুক্তিযুক্ত। এতে প্রমাণিত হলো যে, ইস্তিস্কার খুতবা সালাতের পরে, পূর্বে নয়। আর এটিই আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর মায্হাব।
ইস্তিস্কার সালাত (সশব্দে কিরাআত করা) এমন সাহাবী থেকে বর্ণিত আছে, যিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পরে জীবিত ছিলেন। তিনি ইস্তিস্কার সালাত আদায় করেছেন এবং সশব্দে কিরা'আত করেছেন।
1910 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرِ الْجَهْرَ فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ ذِكْرُ الْخُطْبَةِ مَعَ ذِكْرِ الصَّلَاةِ , فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ فِي الِاسْتِسْقَاءِ خُطْبَةً , غَيْرَ أَنَّهُ قَدِ اخْتُلِفَ فِي خُطْبَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَتَى كَانَتْ. فَفِي حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , وَعَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدٍ أَنَّهُ خَطَبَ قَبْلَ الصَّلَاةِ , وَفِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ خَطَبَ بَعْدَ الصَّلَاةِ فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَوَجَدْنَا الْجُمُعَةَ فِيهَا خُطْبَةٌ وَهِيَ قَبْلَ الصَّلَاةِ , وَرَأَيْنَا الْعِيدَيْنِ فِيهِمَا خُطْبَةٌ وَهِيَ بَعْدَ الصَّلَاةِ كَذَلِكَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي خُطْبَةِ الِاسْتِسْقَاءِ بِأَيِّ الْخُطْبَتَيْنِ هِيَ أَشْبَهُ؟ فَنَعْطِفُ حُكْمَهَا عَلَى حُكْمِهَا. فَرَأَيْنَا خُطْبَةَ الْجُمُعَةِ فَرْضًا , وَصَلَاةُ الْجُمُعَةِ مُضَمَّنَةٌ بِهَا لَا تُجْزِئُ إِلَّا بِإِصَابَتِهَا , وَرَأَيْنَا خُطْبَةَ الْعِيدَيْنِ لَيْسَتْ كَذَلِكَ لِأَنَّ صَلَاةَ الْعِيدَيْنِ تُجْزِئُ أَيْضًا وَإِنْ لَمْ يَخْطُبْ , وَرَأَيْنَا صَلَاةَ الِاسْتِسْقَاءِ تُجْزِئُ أَيْضًا وَإِنْ لَمْ يَخْطُبْ. أَلَا تَرَى أَنَّ إِمَامًا لَوْ صَلَّى بِالنَّاسِ فِي الِاسْتِسْقَاءِ وَلَمْ يَخْطُبْ كَانَتْ صَلَاتُهُ مُجْزِئَةً غَيْرَ أَنَّهُ قَدْ أَسَاءَ فِي تَرْكِهِ الْخُطْبَةَ فَكَانَتْ بِحُكْمِ خُطْبَةِ الْعِيدَيْنِ أَشْبَهَ مِنْهَا بِحُكْمِ خُطْبَةِ الْجُمُعَةِ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ مَوْضِعُهَا مِنْ صَلَاةِ الِاسْتِسْقَاءِ مِثْلَ مَوْضِعِهَا مِنْ صَلَاةِ الْعِيدَيْنِ فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّهَا بَعْدَ الصَّلَاةِ لَا قَبْلَهَا. وَهَذَا مَذْهَبُ أَبِي يُوسُفَ. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ عَمَّنْ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ صَلَّى فِي الِاسْتِسْقَاءِ وَجَهَرَ بِالْقِرَاءَةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৯১১
আন্তর্জাতিক নং: ১৯১২
ইস্তিস্কা কিরূপ, এতে সালাত আছে কিনা ?
১৯১১-১৯১২। ফাহাদ (রাহঃ) ..... আবু ইসহাক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আব্দুল্লাহ্ ইবন ইয়াযিদ (রাযিঃ) ইস্তিস্কার জন্য বের হলেন। আর তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দর্শন লাভ করেছেন। রাবী বলেন, তাঁর সাথে বারা ইবন আযিব (রাযিঃ) এবং যায়দ ইবন আরকাম (রাযিঃ) বের হয়েছেন। আবু ইসহাক (রাহঃ) বলেন, আমি সেদিন তাঁর সাথে ছিলাম। তিনি মিম্বর ব্যতীত নিজ বাহনের উপর দাঁড়িয়ে ইস্তিস্কা, ইস্তিগফার করেছেন এবং দু'রাক'আত সালাত আদায় করেছেন। আর আমরা তাঁর পিছনে ছিলাম। তিনি এতে সশব্দে কিরাআত করেছন। সেদিন আযান ও ইকামত দেয়া হয়নি।

ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) …… যুহায়র (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার হাদীসে একথাটি উল্লেখ করেননি যে, আব্দুল্লাহ্ ইবন ইয়াযিদ (রাযিঃ) অবশ্যই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দর্শন লাভ করেছেন।
1911 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ، قَالَ: " خَرَجَ عَبْدُ اللهِ بْنُ يَزِيدَ يَسْتَسْقِي , وَكَانَ قَدْ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وَخَرَجَ فِيمَنْ كَانَ مَعَهُ الْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ , وَزَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ , قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ وَأَنَا مَعَهُ يَوْمَئِذٍ فَقَامَ قَائِمًا عَلَى رَاحِلَتِهِ عَلَى غَيْرِ مِنْبَرٍ وَاسْتَسْقَى وَاسْتَغْفَرَ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَنَحْنُ خَلْفَهُ فَجَهَرَ فِيهِمَا بِالْقِرَاءَةِ وَلَمْ يُؤَذِّنْ يَوْمَئِذٍ وَلَمْ يُقِمْ "

1912 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ جَعْدٍ، قَالَ: أنا زُهَيْرٌ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ فِي حَدِيثِهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ يَزِيدَ قَالَ: كَانَ رَأْيَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৯১৩
ইস্তিস্কা কিরূপ, এতে সালাত আছে কিনা ?
১৯১৩। ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... আবু ইসহাক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আব্দুল্লাহ্ ইবন ইয়াযিদ (রাযিঃ) কুফা (শহরে) ইস্তিস্কার সালাত পড়ার জন্য বের হন এবং তিনি দু'রাক'আত সালাত আদায় করেন।
1913 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ: «خَرَجَ عَبْدُ اللهِ بْنُ يَزِيدَ يَسْتَسْقِي بِالْكُوفَةِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান