শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৮৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৫০
৩৬. সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৪৭-১৮৫০। ইবন আবী ইমরান (রাহঃ), ইবন মারযূক (রাহঃ), আব্দুল আযীয ইবন মুআ'বিয়া (রাহঃ) ও সালিহ ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা তোমাদের নবী (ﷺ) এর জবানীতে বাড়িতে অবস্থানকালে চার রাক'আত, সফরে দু'রাক'আত এবং ভীতিকালে এক রাক'আত (সালাত) ফরয করেছেন।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এ হাদীস গ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা এ হাদীসটিকে মূল হিসাবে সাব্যস্ত করে সালাতুল খাওফ (ভয়ের সালাত)-কে এক রাক'আত নির্ধারণ করেছেন।
বস্তুত এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে দলীল হচ্ছেঃ আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেনঃ
وَإِذَا كُنْتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلَاةَ فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُوا فَلْيَكُونُوا مِنْ وَرَائِكُمْ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ
অর্থঃ এবং তুমি যখন তাদের মধ্যে অবস্থান করবে ও তাদের সংগে সালাত কায়েম করবে তখন তাদের এক দল তোমার সাথে যেন দাঁড়ায় এবং তারা যেন সশস্ত্র থাকে। তাদের সিজদা করা হলে তারা যেন তোমাদের পিছনে অবস্থান করে, আর অপর একদল যারা সালাতে শরীক হয়নি তারা তোমার সাথে যেন সালাতে শরীক হয়। (৪ঃ ১০২)
বস্তুত আল্লাহ্ তা'আলা সালাতুল খাওফ কে নিজ কিতাবে (কুরআন) সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেছেন। অনুরূপভাবে ইমামের সাথে প্রথম রাক'আত পূর্ণ হওয়ার পর অবশিষ্ট দলের (তায়িফার) সালাতকে ফরয করেছেন।
অতএব এর দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, ইমাম ভীতির অবস্থায় সালাতুল খাওফ দু'রাকআত আদায় করবেন এটি উল্লিখিত হাদীসের পরিপন্থী। আর এরূপ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করা আদৌ জায়িয (বৈধ) নয় যা কুরআন শরীফের দ্ব্যর্থহীন বর্ণনার (★★) পরিপন্থী।
তারপর ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত উক্ত হাদীস তাঁরই সূত্রে বর্ণিত অন্য হাদীসের বিরোধী । যেমনঃ
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এ হাদীস গ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা এ হাদীসটিকে মূল হিসাবে সাব্যস্ত করে সালাতুল খাওফ (ভয়ের সালাত)-কে এক রাক'আত নির্ধারণ করেছেন।
বস্তুত এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে দলীল হচ্ছেঃ আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেনঃ
وَإِذَا كُنْتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلَاةَ فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُوا فَلْيَكُونُوا مِنْ وَرَائِكُمْ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ
অর্থঃ এবং তুমি যখন তাদের মধ্যে অবস্থান করবে ও তাদের সংগে সালাত কায়েম করবে তখন তাদের এক দল তোমার সাথে যেন দাঁড়ায় এবং তারা যেন সশস্ত্র থাকে। তাদের সিজদা করা হলে তারা যেন তোমাদের পিছনে অবস্থান করে, আর অপর একদল যারা সালাতে শরীক হয়নি তারা তোমার সাথে যেন সালাতে শরীক হয়। (৪ঃ ১০২)
বস্তুত আল্লাহ্ তা'আলা সালাতুল খাওফ কে নিজ কিতাবে (কুরআন) সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেছেন। অনুরূপভাবে ইমামের সাথে প্রথম রাক'আত পূর্ণ হওয়ার পর অবশিষ্ট দলের (তায়িফার) সালাতকে ফরয করেছেন।
অতএব এর দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, ইমাম ভীতির অবস্থায় সালাতুল খাওফ দু'রাকআত আদায় করবেন এটি উল্লিখিত হাদীসের পরিপন্থী। আর এরূপ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করা আদৌ জায়িয (বৈধ) নয় যা কুরআন শরীফের দ্ব্যর্থহীন বর্ণনার (★★) পরিপন্থী।
তারপর ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত উক্ত হাদীস তাঁরই সূত্রে বর্ণিত অন্য হাদীসের বিরোধী । যেমনঃ
بَابُ صَلَاةِ الْخَوْفِ , كَيْفَ هِيَ؟
1847 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ , قَالَ: ثنا عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ , وَخَلَفُ بْنُ هِشَامٍ , قَالَا: ثنا أَبُو عَوَانَةَ ح
1848 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ ح
1849 - وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُعَاوِيَةَ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ.
1850 - وَحَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الْأَخْنَسِ , عَنْ مُجَاهِدٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «فَرَضَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعًا فِي الْحَضَرِ , وَرَكْعَتَيْنِ فِي السَّفَرِ , وَرَكْعَةً فِي الْخَوْفِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ فَقَلَّدُوهُ , وَجَعَلُوهُ أَصْلًا فَجَعَلُوا صَلَاةَ الْخَوْفِ رَكْعَةً. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ: {وَإِذَا كُنْتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلَاةَ فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُوا فَلْيَكُونُوا مِنْ وَرَائِكُمْ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ} [النساء: 102] فَفَرَضَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ صَلَاةَ الْخَوْفِ , وَنَصُّ فَرْضِهَا فِي كِتَابِهِ هَكَذَا. وَجَعَلَ صَلَاةَ الطَّائِفَةِ بَعْدَ تَمَامِ الرَّكْعَةِ الْأُولَى مَعَ الْإِمَامِ. فَثَبَتَ بِهَذَا أَنَّ الْإِمَامَ يُصَلِّيهَا فِي حَالِ الْخَوْفِ رَكْعَتَيْنِ , وَهَذَا خِلَافُ هَذَا الْحَدِيثِ , وَلَا يَجُوزُ أَنْ يُؤْخَذَ بِحَدِيثٍ يَدْفَعُهُ نَصُّ الْكِتَابِ. ثُمَّ قَدْ عَارَضَهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا غَيْرُهُ
1848 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ ح
1849 - وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُعَاوِيَةَ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ.
1850 - وَحَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الْأَخْنَسِ , عَنْ مُجَاهِدٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «فَرَضَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعًا فِي الْحَضَرِ , وَرَكْعَتَيْنِ فِي السَّفَرِ , وَرَكْعَةً فِي الْخَوْفِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ فَقَلَّدُوهُ , وَجَعَلُوهُ أَصْلًا فَجَعَلُوا صَلَاةَ الْخَوْفِ رَكْعَةً. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ: {وَإِذَا كُنْتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلَاةَ فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُوا فَلْيَكُونُوا مِنْ وَرَائِكُمْ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ} [النساء: 102] فَفَرَضَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ صَلَاةَ الْخَوْفِ , وَنَصُّ فَرْضِهَا فِي كِتَابِهِ هَكَذَا. وَجَعَلَ صَلَاةَ الطَّائِفَةِ بَعْدَ تَمَامِ الرَّكْعَةِ الْأُولَى مَعَ الْإِمَامِ. فَثَبَتَ بِهَذَا أَنَّ الْإِمَامَ يُصَلِّيهَا فِي حَالِ الْخَوْفِ رَكْعَتَيْنِ , وَهَذَا خِلَافُ هَذَا الْحَدِيثِ , وَلَا يَجُوزُ أَنْ يُؤْخَذَ بِحَدِيثٍ يَدْفَعُهُ نَصُّ الْكِتَابِ. ثُمَّ قَدْ عَارَضَهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا غَيْرُهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৫১
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৫১। আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) ..... উবায়দুল্লাহ ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) সূত্রে ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) 'যী-কায়াত' যুদ্ধে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। তখন মুশরিকরা কিবলা এবং তাঁর মাঝখানে অবস্থান করছিলো। একদল তাঁর পিছনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ায় অপর দল শত্রুর সামনে থাকে। তিনি তাদের এক দলকে নিয়ে এক রাক'আত পড়েন। তারপর তারা শত্রুর সামনে চলে যান আর শত্রুর সামনে অবস্থানরত দল ফিরে এসে তাদের স্থানে দাঁড়ান এবং তিনি তাদের নিয়ে এক রাক'আত পড়েন। এবং নিজে সালাম ফিরিয়ে নেন, (কারণ তাঁর সালাত শেষ হয়ে গিয়েছিল)। (এ অবস্থায়) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সালাত হয়েছিল দু'রাক'আত এবং প্রত্যেক দলের হয়েছিল এক রাক'আত করে।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এ উবায়দুল্লাহ ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে যে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন তা ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে মুজাহিদ সূত্রে বর্ণিত হাদীসের বিপরীত। আর ইমামের জন্য এক রাক'আত ফরয হওয়াটা অসম্ভব। কারণ এতে ইমামের জন্য দ্বিতীয় দলকে নিয়ে তার সালাত বৈঠক, তাশাহ্হুদ ও সালাম ব্যতীত আদায় করা সাব্যস্ত হয় যা জায়িয নয়। অতএব ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত উভয় হাদীস পরস্পর বিরোধী। (যা দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না) আর এ বিষয়ে কারো জন্য মুজাহিদ সূত্রে বর্ণিত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীসকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করা বৈধ নয়। কারণ তাহলে তার বিরোধী পক্ষ এর বিপক্ষে উবায়দুল্লাহ সূত্রে বর্ণিত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীসকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করবে।
প্রশ্নঃ কেউ যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, ইবন আব্বাস (রাযিঃ) ব্যতীত অন্যদের থেকে আমাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে (হাদীস) বর্ণিত রয়েছে এবং তারা নিম্নোক্ত হাদীস উল্লেখ করেনঃ
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এ উবায়দুল্লাহ ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে যে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন তা ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে মুজাহিদ সূত্রে বর্ণিত হাদীসের বিপরীত। আর ইমামের জন্য এক রাক'আত ফরয হওয়াটা অসম্ভব। কারণ এতে ইমামের জন্য দ্বিতীয় দলকে নিয়ে তার সালাত বৈঠক, তাশাহ্হুদ ও সালাম ব্যতীত আদায় করা সাব্যস্ত হয় যা জায়িয নয়। অতএব ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত উভয় হাদীস পরস্পর বিরোধী। (যা দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না) আর এ বিষয়ে কারো জন্য মুজাহিদ সূত্রে বর্ণিত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীসকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করা বৈধ নয়। কারণ তাহলে তার বিরোধী পক্ষ এর বিপক্ষে উবায়দুল্লাহ সূত্রে বর্ণিত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীসকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করবে।
প্রশ্নঃ কেউ যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, ইবন আব্বাস (রাযিঃ) ব্যতীত অন্যদের থেকে আমাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে (হাদীস) বর্ণিত রয়েছে এবং তারা নিম্নোক্ত হাদীস উল্লেখ করেনঃ
1851 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا قَبِيصَةُ بْنُ عُقْبَةَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي الْجَهْمِ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُبَيْدِ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: «صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذِي قَرَدٍ , صَلَاةَ الْخَوْفِ وَالْمُشْرِكُونَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ , فَصَفَّ صَفًّا خَلْفَهُ وَصَفًّا مُوَازِيَ الْعَدُوِّ , فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً ثُمَّ ذَهَبَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ وَرَجَعَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً , ثُمَّ سَلَّمَ عَلَيْهِمْ فَكَانَتْ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَانِ وَلِكُلِّ طَائِفَةٍ رَكْعَةٌ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا عُبَيْدِ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَدْ رَوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مَا خَالَفَ مَا رَوَى مُجَاهِدٌ عَنْهُ , وَمُحَالٌ أَنْ يَكُونَ الْفَرْضُ عَلَىالْإِمَامِ رَكْعَةً فَيُصَلِّيَهَا بِأُخْرَى بِلَا قُعُودٍ لِلتَّشَهُّدِ , وَلَا تَسْلِيمٍ. فَلَمَّا تَضَادَّ الْخَبَرَانِ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا تَنَافَيَا , وَلَمْ يَكُنْ لِأَحَدٍ أَنْ يَحْتَجَّ فِي ذَلِكَ بِمُجَاهِدٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا ; لِأَنَّ خَصْمَهُ يَحْتَجُّ عَلَيْهِ بِعُبَيْدِ اللهِ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا بِخِلَافِ ذَلِكَ. [ص:310] فَإِنْ قَالُوا: فَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مَا يُوَافِقُ مَا قُلْنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৫২
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৫৩
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৫২-১৮৫৩। আলী ইবন শায়বা (রাযিঃ) কাসিম ইবন হাসান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ইবন ওয়াদিয়ার নিকট এসে তাঁকে সালাতুল-খাওফ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি বললেন, তুমি যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ)-এর নিকট গিয়ে তাঁকে (এ বিষয়ে) জিজ্ঞাসা কর। আমি তাঁর সাথে সাক্ষাত করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কোন একদিন সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। একদল তাঁর পিছনে কাতার বেঁধেছেন, আরেক দল শত্রুর সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি তাদেরকে নিয়ে এক রাক'আত আদায় করলেন। তারপর যে দল এক রাক'আত সালাত আদায় করেছে তারা যে দল শত্রুর সামনে রয়েছে তাদের স্থানে গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন আর (শত্রুর সম্মুখে) অবস্থানরত দল তাদের স্থানে এসে সালাতে শরীক হয়েছেন এবং তাদেরকে নিয়ে তিনি এক রাক'আত আদায় করেছেন এবং নিজে সালাম ফিরিয়ে নিয়েছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ….. সুফয়ান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। আব্দুল্লাহ্ ইবন ওয়াদীয়া (রাহঃ) অতিরিক্ত বলেছেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্য হয়েছে দু'রাক'আত এবং প্রত্যেক দলের জন্য হয়েছে এক রাক'আত করে।
আবু বাকরা (রাহঃ) ….. সুফয়ান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। আব্দুল্লাহ্ ইবন ওয়াদীয়া (রাহঃ) অতিরিক্ত বলেছেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্য হয়েছে দু'রাক'আত এবং প্রত্যেক দলের জন্য হয়েছে এক রাক'আত করে।
1852 - فَذَكَرُوا مَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ قَالَ: ثنا قَبِيصَةُ عَنْ سُفْيَانَ عَنِ الرُّكَيْنِ بْنِ الرَّبِيعِ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ حَسَّانَ , قَالَ: " أَتَيْتُ ابْنَ وَدِيعَةَ فَسَأَلْتُهُ عَنْ صَلَاةِ الْخَوْفِ , فَقَالَ: ائْتِ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَاسْأَلْهُ , فَلَقِيتُهُ , فَسَأَلْتُهُ , فَقَالَ: «صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْخَوْفِ فِي بَعْضِ أَيَّامِهِ , فَصَفَّ صَفًّا خَلْفَهُ , وَصَفًّا مُوَازِيَ الْعَدُوِّ , فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً , ثُمَّ ذَهَبَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ , وَجَاءَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ , فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً , ثُمَّ سَلَّمَ عَلَيْهِمْ»
1853 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , ثُمَّ ذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ وَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ وَدِيعَةَ: وَزَادَ «فَكَانَتْ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَانِ وَلِكُلِّ طَائِفَةٍ رَكْعَةٌ رَكْعَةٌ»
1853 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , ثُمَّ ذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ وَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ وَدِيعَةَ: وَزَادَ «فَكَانَتْ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَانِ وَلِكُلِّ طَائِفَةٍ رَكْعَةٌ رَكْعَةٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৫৬
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৫৪-১৮৫৬। আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) ও আবু বাকরা (রাহঃ) ..... সা'লাবা ইবন যাহ্দাম আল-হানজালী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমরা তবরিস্থানে সাঈদ ইবনুল আ'স (রাযিঃ)-এর সাথে ছিলাম। তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কে আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে সালাতুল খাওফ প্রত্যক্ষ করেছ ? হুযায়ফা (রাযিঃ) উঠে বললেন আমি। তারপর তিনি হুবহু তা-ই বর্ণনা করেছেন যা যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) উল্লেখ করেছেন।
ইবন মারযূক (রাহঃ) মুহাম্মাদ ইবন দিমাম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি সাঈদ ইবনুল আ'স (রাযিঃ) এর সাথে যুদ্ধে গিয়েছি। লোকেরা জিজ্ঞাসা করেছে যে, তোমাদের মধ্যে কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাথে সালাতুল খাওফ প্রত্যক্ষ করেছে। তারপর তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইবন মারযূক (রাহঃ) মুহাম্মাদ ইবন দিমাম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি সাঈদ ইবনুল আ'স (রাযিঃ) এর সাথে যুদ্ধে গিয়েছি। লোকেরা জিজ্ঞাসা করেছে যে, তোমাদের মধ্যে কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাথে সালাতুল খাওফ প্রত্যক্ষ করেছে। তারপর তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
1854 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا قَبِيصَةُ ح
1855 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ هِلَالٍ عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ زَهْدَمٍ الْحَنْظَلِيِّ , قَالَ: " كُنَّا مَعَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بِطَبَرِسْتَانَ فَقَالَ: أَيُّكُمْ شَهِدَ صَلَاةَ الْخَوْفِ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَامَ حُذَيْفَةُ , فَقَالَ: أَنَا , ثُمَّ فَعَلَ مِثْلَ الَّذِي ذَكَرَ زَيْدٌ سَوَاءً "
1856 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانُ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَاحِدِ، قَالَ: ثنا عَطِيَّةُ بْنُ الْحَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ دُهَاثٍ، قَالَ: " غَزَوْتُ مَعَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ فَسَأَلَ النَّاسَ مَنْ شَهِدَ مِنْكُمْ صَلَاةَ الْخَوْفِ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ
1855 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ هِلَالٍ عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ زَهْدَمٍ الْحَنْظَلِيِّ , قَالَ: " كُنَّا مَعَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بِطَبَرِسْتَانَ فَقَالَ: أَيُّكُمْ شَهِدَ صَلَاةَ الْخَوْفِ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَامَ حُذَيْفَةُ , فَقَالَ: أَنَا , ثُمَّ فَعَلَ مِثْلَ الَّذِي ذَكَرَ زَيْدٌ سَوَاءً "
1856 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانُ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَاحِدِ، قَالَ: ثنا عَطِيَّةُ بْنُ الْحَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ دُهَاثٍ، قَالَ: " غَزَوْتُ مَعَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ فَسَأَلَ النَّاسَ مَنْ شَهِدَ مِنْكُمْ صَلَاةَ الْخَوْفِ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৫৭
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৫৭। আবু বাকরা (রাহঃ) …… জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাথে শত্রুর মুকাবিলায় ছিলাম। তারপর তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
1857 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ يَزِيدَ الْفَقِيرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُقَابِلَ الْعَدُوِّ» . ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৫৮
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৫৮। আবু খাযিম আব্দুল হামিদ ইবন আব্দুল আযীয (রাহঃ) ….. সাহল ইবন আবী হাছমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) স্বীয় সাহাবাদের নিয়ে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। এরপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
তাদেরকে উত্তরে বলা হবে যে, এটি মুজাহিদ (রাহঃ) বর্ণিত রিওয়ায়াতের অনুকূলে নয় বরং তা ইন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত উবায়দুল্লাহ্ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতের অনুকূলে। আর অবশ্যই এ অনুচ্ছেদের প্রথমে আমাদের দলীল উল্লিখিত হয়েছে, যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্য এটি অসম্ভব ব্যাপার সে সালাতে তাঁর উপর এক রাক'আত ফরয হবে তারপর তিনি দ্বিতীয় রাক'আত (নফল) উভয়ের মাঝখানে সালাম ব্যতীত পড়বেন।
অতএব আমাদের বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, সালাতুল খাওফ ইমামের উপর দু'রাক'আত ফরয। হ্যাঁ এ হাদীসগুলোতে মুক্তাদীগণ (দ্বিতীয় রাক'আত) পূর্ণ করা বা না করার ব্যাপারে কোন উল্লেখ নেই । এতে সম্ভাবনা রয়েছে যে তারা পূর্ণ করেছেন। আর যুক্তির আলোকে এটি অপরিহার্য যে, তারা অবশ্যই এক রাক'আত এক রাক'আত করে পূর্ণ করে নিয়েছেন। যেহেতু আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি যে, নিরাপদ এবং বাড়ীতে অবস্থানকালীন সালাতে ইমাম ও মুক্তাদীর ফরয অভিন্ন। অনুরূপভাবে সফরেও নিরাপদ অবস্থায় উভয়ের সালাত অভিন্ন। আর এটি অসম্ভব ব্যাপার যে, মুকতাদীর সালাত এক রাক'আত ফরয হবে এবং সে অন্য এরূপ ব্যক্তির সাথে তা আদায় করবে যার ফরয সালাত হবে দু'রাক'আত। বরং তার উপর তা-ই ওয়াজিব হবে যা তার ইমামের উপর ওয়াজিব হবে। তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না যে, যদি মুসাফির মুকীম ইমামের সালাতে শরীক হয় তাহলে সে চার রাক'আত আদায় করে। মুকতাদীর উপর তা-ই ওয়াজিব হবে যা তার ইমামের উপর ওয়াজিব হবে এবং মুকতাদীর ফরয তার ইমামের ফরযের বৃদ্ধির দ্বারা বৃদ্ধি পাবে। কখনো মুকতাদীর উপর এমন বস্তু ওয়াজিব হয় যা তার ইমামের উপর ওয়াজিব হয় না। যেমন আমরা লক্ষ্য করেছি যে, মুকীম (বাড়ীতে অবস্থানরত ব্যক্তি) যদি মুসাফিরের পিছনে সালাত আদায় করে তাহলে সে তার সালাতের সাথে সালাত আদায় করে পরবর্তীতে উঠে মুকীমের (অবশিষ্ট) সালাত পূর্ণ করে। অতএব প্রমাণিত হলো যে, কখনো মুকতাদীর উপর এমন বস্তু ওয়াজিব হয় যা তার ইমামের উপর ওয়াজিব হয় না এবং তার ইমামের উপর এমন বস্তু ওয়াজিব হয় না যা মুকতাদীর উপর ওয়াজিব হয় না।
বস্তুত যখন আমাদের উল্লিখিত বর্ণনার দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, ইমামের উপর (সালাতুল খাওফ) দু'রাক'আত ওয়াজিব, অনুরূপভাবে মুকতাদীর উপর ও দু'রাক'আত ওয়াজিব।
হুযায়ফা (রাযিঃ) থেকে তাঁর উক্তি বর্ণিত রয়েছে, যা তা-ই বুঝায় যা আমরা তাঁর হাদীসে এবং যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ), জাবির (রাযিঃ) ও ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীসে ব্যাখ্যা করেছি যে, তাঁরা এক রাক'আত এক রাক'আত করে পূর্ণ করেছেন।
তাদেরকে উত্তরে বলা হবে যে, এটি মুজাহিদ (রাহঃ) বর্ণিত রিওয়ায়াতের অনুকূলে নয় বরং তা ইন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত উবায়দুল্লাহ্ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতের অনুকূলে। আর অবশ্যই এ অনুচ্ছেদের প্রথমে আমাদের দলীল উল্লিখিত হয়েছে, যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্য এটি অসম্ভব ব্যাপার সে সালাতে তাঁর উপর এক রাক'আত ফরয হবে তারপর তিনি দ্বিতীয় রাক'আত (নফল) উভয়ের মাঝখানে সালাম ব্যতীত পড়বেন।
অতএব আমাদের বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, সালাতুল খাওফ ইমামের উপর দু'রাক'আত ফরয। হ্যাঁ এ হাদীসগুলোতে মুক্তাদীগণ (দ্বিতীয় রাক'আত) পূর্ণ করা বা না করার ব্যাপারে কোন উল্লেখ নেই । এতে সম্ভাবনা রয়েছে যে তারা পূর্ণ করেছেন। আর যুক্তির আলোকে এটি অপরিহার্য যে, তারা অবশ্যই এক রাক'আত এক রাক'আত করে পূর্ণ করে নিয়েছেন। যেহেতু আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি যে, নিরাপদ এবং বাড়ীতে অবস্থানকালীন সালাতে ইমাম ও মুক্তাদীর ফরয অভিন্ন। অনুরূপভাবে সফরেও নিরাপদ অবস্থায় উভয়ের সালাত অভিন্ন। আর এটি অসম্ভব ব্যাপার যে, মুকতাদীর সালাত এক রাক'আত ফরয হবে এবং সে অন্য এরূপ ব্যক্তির সাথে তা আদায় করবে যার ফরয সালাত হবে দু'রাক'আত। বরং তার উপর তা-ই ওয়াজিব হবে যা তার ইমামের উপর ওয়াজিব হবে। তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না যে, যদি মুসাফির মুকীম ইমামের সালাতে শরীক হয় তাহলে সে চার রাক'আত আদায় করে। মুকতাদীর উপর তা-ই ওয়াজিব হবে যা তার ইমামের উপর ওয়াজিব হবে এবং মুকতাদীর ফরয তার ইমামের ফরযের বৃদ্ধির দ্বারা বৃদ্ধি পাবে। কখনো মুকতাদীর উপর এমন বস্তু ওয়াজিব হয় যা তার ইমামের উপর ওয়াজিব হয় না। যেমন আমরা লক্ষ্য করেছি যে, মুকীম (বাড়ীতে অবস্থানরত ব্যক্তি) যদি মুসাফিরের পিছনে সালাত আদায় করে তাহলে সে তার সালাতের সাথে সালাত আদায় করে পরবর্তীতে উঠে মুকীমের (অবশিষ্ট) সালাত পূর্ণ করে। অতএব প্রমাণিত হলো যে, কখনো মুকতাদীর উপর এমন বস্তু ওয়াজিব হয় যা তার ইমামের উপর ওয়াজিব হয় না এবং তার ইমামের উপর এমন বস্তু ওয়াজিব হয় না যা মুকতাদীর উপর ওয়াজিব হয় না।
বস্তুত যখন আমাদের উল্লিখিত বর্ণনার দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, ইমামের উপর (সালাতুল খাওফ) দু'রাক'আত ওয়াজিব, অনুরূপভাবে মুকতাদীর উপর ও দু'রাক'আত ওয়াজিব।
হুযায়ফা (রাযিঃ) থেকে তাঁর উক্তি বর্ণিত রয়েছে, যা তা-ই বুঝায় যা আমরা তাঁর হাদীসে এবং যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ), জাবির (রাযিঃ) ও ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীসে ব্যাখ্যা করেছি যে, তাঁরা এক রাক'আত এক রাক'আত করে পূর্ণ করেছেন।
1858 - حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو حَفْصٍ الْفَلَّاسُ , قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى بِأَصْحَابِهِ صَلَاةَ الْخَوْفِ " فَذَكَرَ مِثْلَهُ قِيلَ لَهُمْ: هَذَا غَيْرُ مُوَافِقٍ لِمَا رَوَى مُجَاهِدٌ وَلَكِنَّهُ مُوَافِقٌ لِمَا رَوَى عُبَيْدِ اللهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. وَقَدْ تَقَدَّمَتْ حُجَّتُنَا فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ لِأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحَالٌ أَنْ يَكُونَ الْفَرْضُ عَلَيْهِ فِي تِلْكَ الصَّلَاةِ رَكْعَةً وَاحِدَةً ثُمَّ يَصِلُهَا بِأُخْرَى لَا يُسَلِّمُ بَيْنَهُمَا. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ فَرْضَ صَلَاةِ الْخَوْفِ رَكْعَتَانِ عَلَىالْإِمَامِ ثُمَّ لَمْ يُذَكِّرِ الْمَأْمُومِينَ بِقَضَاءٍ وَلَا غَيْرِهِ فِي هَذِهِ الْآثَارِ. فَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونُوا قَضَوْا وَلَا بُدَّ فِيمَا يُوجِبُهُ النَّظَرُ مِنْ أَنْ يَكُونُوا قَدْ قَضَوْا رَكْعَةً رَكْعَةً لِأَنَّا رَأَيْنَا الْفَرْضَ عَلَىالْإِمَامِ [ص:311] فِي صَلَاةِ الْأَمْنِ , وَالْإِقَامَةِ مِثْلَ الْفَرْضِ عَلَى الْمَأْمُومِ سَوَاءً , وَكَذَلِكَ الْفَرْضُ عَلَيْهِمَا فِي صَلَاةِ الْأَمْنِ فِي السَّفَرِ سَوَاءٌ , وَمُحَالٌ أَنْ يَكُونَ الْمَأْمُومُ فَرْضُهُ رَكْعَةً فَيَدْخُلُ مَعَ غَيْرِهِ مِمَّنْ فَرْضُهُ رَكْعَتَانِ إِلَّا وَجَبَ عَلَيْهِ مَا وَجَبَ عَلَى إِمَامِهِ. أَلَا تَرَى أَنَّ مُسَافِرًا لَوْ دَخَلَ فِي صَلَاةِ مُقِيمٍ صَلَّى أَرْبَعًا فَكَانَ الْمَأْمُومُ يَجِبُ عَلَيْهِ مَا يَجِبُ عَلَى إِمَامِهِ , وَيَزِيدُ فَرْضُهُ بِزِيَادَةِ فَرْضِ إِمَامِهِ , وَقَدْ يَكُونُ عَلَى الْمَأْمُومِ مَا لَيْسَ عَلَى إِمَامِهِ. مِنْ ذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا الْمُقِيمَ يُصَلِّي خَلْفَ الْمُسَافِرِ فَيُصَلِّي بِصَلَاتِهِ , ثُمَّ يَقُومُ بَعْدَ ذَلِكَ فَيَقْضِي تَمَامَ صَلَاةِ الْمُقِيمِ فَكَانَ الْمَأْمُومُ قَدْ يَجِبُ عَلَيْهِ مَا لَيْسَ عَلَى إِمَامِهِ وَلَا يَجِبُ عَلَى إِمَامِهِ مَا لَا يَجِبُ عَلَيْهِ. فَلَمَّا ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا وُجُوبُ الرَّكْعَتَيْنِ عَلَىالْإِمَامِ ثَبَتَ أَنَّ مِثْلَهُمَا عَلَى الْمَأْمُومِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ حُذَيْفَةَ مِنْ قَوْلِهِ مَا يَدُلُّ عَلَى مَا تَأَوَّلْنَا فِي حَدِيثِهِ وَحَدِيثِ زَيْدٍ وَجَابِرٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُمْ قَضَوْا رَكْعَةً رَكْعَةً

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৮৫৯
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৫৯। আবু বাকরা (রাহঃ)..... হুযায়ফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ সালাতুল খাওফ হচ্ছে দু'রাক'আত এবং চার সিজদা।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এতে বুঝা যাচ্ছে যে, তাঁরা অবশ্যই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে অনুরূপ করেছেন যা প্রথমোক্ত হাদীসগুলোতে ব্যক্ত হয়েছে। তারপর আমরা হাদীসগুলো যাচাই করেছি যে, এ বিষয়ে (দু'রাক'আত) কিছু পাই কি না। আমরা দেখিঃ
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এতে বুঝা যাচ্ছে যে, তাঁরা অবশ্যই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে অনুরূপ করেছেন যা প্রথমোক্ত হাদীসগুলোতে ব্যক্ত হয়েছে। তারপর আমরা হাদীসগুলো যাচাই করেছি যে, এ বিষয়ে (দু'রাক'আত) কিছু পাই কি না। আমরা দেখিঃ
1859 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سُلَيْمِ بْنِ عِيدٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: «صَلَاةُ الْخَوْفِ رَكْعَتَانِ وَأَرْبَعُ سَجَدَاتٍ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهُمْ قَدْ كَانُوا فَعَلُوا كَذَلِكَ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْأَحَادِيثِ الْأُوَلِ. ثُمَّ اعْتَبَرْنَا الْآثَارَ , هَلْ نَجِدُ فِيهَا مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا؟

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৮৬০
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৬০। আবু বাকরা (রাহঃ) ….. আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সাহাবীগণকে নিয়ে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। তাঁদের একদলকে নিয়ে তিনি এক রাক'আত আদায় করেছেন, আর অন্য দল ছিল শত্রুর মুকাবিলায়। যখন তিনি তাঁদেরকে নিয়ে এক রাক'আত আদায় করে সালাম ফিরালেন, তখন তাঁরা পিছিয়ে তাদের ভাইদের কাছে পৌঁছে গেলেন। তারপর অপর দল (যারা শত্রুর সামনে ছিলেন) আসলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদেরকে নিয়ে এক রাক'আত পড়লেন এবং সালাম ফিরালেন। এরপর উভয় দল উঠে এক রাক'আত করে সালাত পড়ে নিলেন।
এ হাদীসে অবশ্যই জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, তাঁরা পূর্ণ করেছেন এবং তা-ই বর্ণনা করেছে যা আমরা প্রথমোক্ত হাদীসগুলো ব্যাপারে বলে এসেছি। প্রথম রাক'আতের পর সালাম ফিরানোর উক্তিতে এ সম্ভাবনাই বিদ্যমান যে, এখানে সালাতকে ছিন্ন করণের উদ্দেশ্যে সালাম ফিরানো হয়নি; বরং মুকতাদীদেরকে প্রত্যাবর্তনে সতর্কীকরণের নিমিত্ত সালাম ফিরানো হয়েছে।
এ হাদীসে অবশ্যই জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, তাঁরা পূর্ণ করেছেন এবং তা-ই বর্ণনা করেছে যা আমরা প্রথমোক্ত হাদীসগুলো ব্যাপারে বলে এসেছি। প্রথম রাক'আতের পর সালাম ফিরানোর উক্তিতে এ সম্ভাবনাই বিদ্যমান যে, এখানে সালাতকে ছিন্ন করণের উদ্দেশ্যে সালাম ফিরানো হয়নি; বরং মুকতাদীদেরকে প্রত্যাবর্তনে সতর্কীকরণের নিমিত্ত সালাম ফিরানো হয়েছে।
1860 - فَإِذَا أَبُو بَكْرَةَ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو حُرَّةَ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي مُوسَى «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى بِأَصْحَابِهِ صَلَاةَ الْخَوْفِ فَصَلَّى بِطَائِفَةٍ مِنْهُمْ رَكْعَةً , وَكَانَتْ طَائِفَةٌ بِإِزَاءِ الْعَدُوِّ , فَلَمَّا صَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً سَلَّمَ , فَنَكَصُوا عَلَى أَعْقَابِهِمْ حَتَّى انْتَهَوْا إِلَى إِخْوَانِهِمْ , ثُمَّ جَاءَ الْآخَرُونَ فَصَلَّى بِهِمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَةً ثُمَّ سَلَّمَ , فَقَامَ كُلُّ فَرِيقٍ , فَصَلَّوْا رَكْعَةً رَكْعَةً» فَقَدْ أَخْبَرَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُمْ قَضَوْا , وَبَيَّنَ مَا وَصَفْنَا أَنَّهُ يُحْتَمَلُ فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ وَكَانَ قَوْلُهُ ثُمَّ سَلَّمَ بَعْدَ الرَّكْعَةِ الْأُولَى يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ سَلَامًا لَا يُرِيدُ بِهِ قَطْعَ الصَّلَاةِ وَلَكِنْ يُرِيدُ بِهِ إِعْلَامَ الْمَأْمُومِينَ مَوْضِعَ الِانْصِرَافِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৮৬১
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৬৩
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৬১-১৮৬৩। আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) ও আবু বাকরা (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কোন এক দিন সালাতুল খাওফ আদায় করেন। একদল তাঁর পিছনে কাতার বেঁধেছেন, আরেক দল শত্রুর সামনে অবস্থান নিয়েছেন এবং তারা সকলেই একসাথে সালাতে রয়েছেন। তিনি তাঁদেরকে নিয়ে এক রাক'আত পড়লেন। তারপর যে দল এক রাক'আত সালাত আদায় করেছেন তাঁরা যে দল শত্রুর সামনে রয়েছেন তাদের স্থানে গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন আর (শত্রুর সম্মুখে) অবস্থানরত দল তাঁদের স্থানে এসে সালাতে শরীক হয়েছেন এবং তিনি তাঁদেরকে নিয়ে এক রাক'আত পড়েছেন, তারপর তাঁরা এক রাক'আত করে পূর্ণ করে নিয়েছেন। এরপর তাঁরা ওঁদের স্থানে চলে গেছেন এবং ওঁরা তাঁদের স্থানে চলে এসে এক রাক'আত পূর্ণ করে নিয়েছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন বনু সুলাইম-এর প্রস্তরভূমিতে সালাতুল খাওফ পড়েছেন। তারপর অনুরূপ উল্লেখ করেছেন, কিন্তু “তারা সকলেই একসাথে সালাতে রয়েছেন” এ বাক্যটি উল্লেখ করেননি। আর তিনি “তারা কিবলা’র অন্যদিকে ছিলেন” বাক্যটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এ হাদীসে অবশ্যই বর্ণনা করা হয়েছে যে, তাঁরা এক রাক'আত করে পূর্ণ করেছেন এবং এতে আরো বর্ণনা করা হয়েছে যে, “তাঁরা সকলেই একসাথে সালাতে প্রবেশ করেছেন।"
বস্তুত এ হাদীস অন্য হাদীসের সাথে এ বিষয়ে বৈপরিত্য আছে কি না, তা আমরা লক্ষ্য করার প্রয়াস পাচ্ছি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমরা নিম্নোক্ত হাদীস দেখা পাচ্ছিঃ
আবু বাকরা (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন বনু সুলাইম-এর প্রস্তরভূমিতে সালাতুল খাওফ পড়েছেন। তারপর অনুরূপ উল্লেখ করেছেন, কিন্তু “তারা সকলেই একসাথে সালাতে রয়েছেন” এ বাক্যটি উল্লেখ করেননি। আর তিনি “তারা কিবলা’র অন্যদিকে ছিলেন” বাক্যটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এ হাদীসে অবশ্যই বর্ণনা করা হয়েছে যে, তাঁরা এক রাক'আত করে পূর্ণ করেছেন এবং এতে আরো বর্ণনা করা হয়েছে যে, “তাঁরা সকলেই একসাথে সালাতে প্রবেশ করেছেন।"
বস্তুত এ হাদীস অন্য হাদীসের সাথে এ বিষয়ে বৈপরিত্য আছে কি না, তা আমরা লক্ষ্য করার প্রয়াস পাচ্ছি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমরা নিম্নোক্ত হাদীস দেখা পাচ্ছিঃ
1861 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا قَبِيصَةُ، قَالَ: سُفْيَانُ ح
1862 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: «صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْخَوْفِ فِي بَعْضِ أَيَّامِهِ فَصَفَّ صَفًّا خَلْفَهُ وَصَفًّا مُوَازِيَ الْعَدُوِّ , وَكُلُّهُمْ فِي صَلَاةٍ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً , ثُمَّ ذَهَبَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ , وَجَاءَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً ثُمَّ قَضَوْا رَكْعَةً رَكْعَةً ثُمَّ ذَهَبَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ وَجَاءَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ , فَقَضَوْا رَكْعَةً»
1863 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا بَكْرُ بْنُ بَكَّارٍ الْقَيْسِيُّ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الْحُسَيْنِ، قَالَ: ثنا خُصَيْفٌ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: «لَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْخَوْفِ فِي حَرَّةِ بَنِي سُلَيْمٍ , ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ» وَكُلُّهُمْ فِي صَلَاةٍ " وَزَادَ: «وَكَانُوا فِي غَيْرِ الْقِبْلَةِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَقَدْ أَخْبَرَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُمْ قَضَوْا رَكْعَةً رَكْعَةً , وَأَخْبَرَ أَنَّهُمْ دَخَلُوا فِي الصَّلَاةِ جَمِيعًا. فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا مِنَ الْآثَارِ أَنَّ صَلَاةَ الْخَوْفِ رَكْعَتَانِ , غَيْرَ أَنَّ حَدِيثَ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا ذَكَرَ فِيهِ دُخُولَهُمْ فِي الصَّلَاةِ مَعًا. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ , هَلْ عَارَضَ هَذَا الْحَدِيثُ غَيْرَهُ فِي هَذَا الْمَعْنَى؟ فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ
1862 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: «صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْخَوْفِ فِي بَعْضِ أَيَّامِهِ فَصَفَّ صَفًّا خَلْفَهُ وَصَفًّا مُوَازِيَ الْعَدُوِّ , وَكُلُّهُمْ فِي صَلَاةٍ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً , ثُمَّ ذَهَبَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ , وَجَاءَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً ثُمَّ قَضَوْا رَكْعَةً رَكْعَةً ثُمَّ ذَهَبَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ وَجَاءَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ , فَقَضَوْا رَكْعَةً»
1863 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا بَكْرُ بْنُ بَكَّارٍ الْقَيْسِيُّ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الْحُسَيْنِ، قَالَ: ثنا خُصَيْفٌ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: «لَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْخَوْفِ فِي حَرَّةِ بَنِي سُلَيْمٍ , ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ» وَكُلُّهُمْ فِي صَلَاةٍ " وَزَادَ: «وَكَانُوا فِي غَيْرِ الْقِبْلَةِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَقَدْ أَخْبَرَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُمْ قَضَوْا رَكْعَةً رَكْعَةً , وَأَخْبَرَ أَنَّهُمْ دَخَلُوا فِي الصَّلَاةِ جَمِيعًا. فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا مِنَ الْآثَارِ أَنَّ صَلَاةَ الْخَوْفِ رَكْعَتَانِ , غَيْرَ أَنَّ حَدِيثَ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا ذَكَرَ فِيهِ دُخُولَهُمْ فِي الصَّلَاةِ مَعًا. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ , هَلْ عَارَضَ هَذَا الْحَدِيثُ غَيْرَهُ فِي هَذَا الْمَعْنَى؟ فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৬৪
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৬৪। ইউনুস (রাহঃ) ….. নাফি' (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, যখন আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (রাযিঃ)-কে সালাতুল খাওফ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হতো তিনি বলতেনঃ ইমাম একদল লোকসহ অগ্রসর হবেন এবং তাদেরকে নিয়ে এক রাক'আত সালাত আদায় করবেন আর তাদের অন্য দল ইমাম এবং শত্রুর মাঝখানে অবস্থান করবে এবং সালাত পড়বে না। তারপর যারা সালাত পড়েনি তারা অগ্রসর হবে এবং অন্য দল (যারা সালাত পড়ে নিয়েছে) সরে পড়বে। আর তাদেরকে নিয়ে ইমাম এক রাক'আত পড়ে নিবেন। তারপর ইমাম যিনি দু'রাক'আত পড়েছেন সালাত শেষ করবেন। আর উভয় দল থেকে প্রত্যেক দল ইমামের সালাত শেষে উঠে নিজেদের এক রাক'আত করে পড়ে নিবে। এভাবে প্রত্যেক দল দু'রাক'আত, দু'রাক'আত করে পড়ে নিলো।
নাফি' (রাহঃ) বলেছেনঃ ইবন উমর (রাযিঃ) এটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে উল্লেখ করেছেন। আর এ হাদীসে ៖ বলে দেয়া হয়েছে যে, ইমাম প্রথম দলকে নিয়ে এক রাক'আত পড়ার পর দ্বিতীয় দল সালাতে প্রবেশ করেছে। উপরন্তু কুরআন শরীফও এর পক্ষে সাক্ষ্য বহন করে।
আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ অর্থাৎঃ “আর অপর একদল যারা সালাতে শরীক হয়নি তারা তোমার সাথে যেন সালাতে শরীক হয়”। (৪ঃ ১০২) আমাদের বর্ণনার দ্বারা অবশ্যই প্রমাণিত হলো যে, ইমাম প্রথম রাক'আত শেষ করার পরে দ্বিতীয় দল সালাতে শরীক হয়েছে। বস্তুত এ হাদীসটি সনদের দিক থেকে সহীহ (বিশুদ্ধ) এবং প্রকৃতপক্ষে মারফু । যদিও নাফি' (রাহঃ) মারফু হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করেছেন যখন এটিকে মালিক (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন । অনুরূপভাবে এটিকে তাঁর শীর্ষস্থানীয় ছাত্রবৃন্দ তাঁর থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ।
নাফি' (রাহঃ) বলেছেনঃ ইবন উমর (রাযিঃ) এটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে উল্লেখ করেছেন। আর এ হাদীসে ៖ বলে দেয়া হয়েছে যে, ইমাম প্রথম দলকে নিয়ে এক রাক'আত পড়ার পর দ্বিতীয় দল সালাতে প্রবেশ করেছে। উপরন্তু কুরআন শরীফও এর পক্ষে সাক্ষ্য বহন করে।
আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ অর্থাৎঃ “আর অপর একদল যারা সালাতে শরীক হয়নি তারা তোমার সাথে যেন সালাতে শরীক হয়”। (৪ঃ ১০২) আমাদের বর্ণনার দ্বারা অবশ্যই প্রমাণিত হলো যে, ইমাম প্রথম রাক'আত শেষ করার পরে দ্বিতীয় দল সালাতে শরীক হয়েছে। বস্তুত এ হাদীসটি সনদের দিক থেকে সহীহ (বিশুদ্ধ) এবং প্রকৃতপক্ষে মারফু । যদিও নাফি' (রাহঃ) মারফু হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করেছেন যখন এটিকে মালিক (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন । অনুরূপভাবে এটিকে তাঁর শীর্ষস্থানীয় ছাত্রবৃন্দ তাঁর থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ।
1864 - فَإِذَا يُونُسُ قَدْ حَدَّثَنَا , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنْ نَافِعٍ: أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا سُئِلَ عَنْ صَلَاةِ الْخَوْفِ , قَالَ: «يَتَقَدَّمُ الْإِمَامُ وَطَائِفَةٌ مِنَ النَّاسِ فَيُصَلِّي بِهِمْ رَكْعَةً , وَيَكُونُ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْعَدُوِّ وَلَمْ يُصَلُّوا فَيَتَقَدَّمُ الَّذِينَ لَمْ يُصَلُّوا وَيَتَأَخَّرُ الْآخَرُونَ فَيُصَلِّي بِهِمْ رَكْعَةً ثُمَّ يَنْصَرِفُ الْإِمَامُ , وَقَدْ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ فَتَقُومُ طَائِفَةٌ مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ فَيُصَلُّونَ لِأَنْفُسِهِمْ رَكْعَةً رَكْعَةً بَعْدَ أَنْ يَنْصَرِفَ الْإِمَامُ فَيَكُونَ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ قَدْ صَلَّوْا رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ» قَالَ نَافِعٌ: لَا أَرَى ابْنَ عُمَرَ ذَكَرَ ذَلِكَ إِلَّا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى الله عَلَيْهِ فَقَدْ أَخْبَرَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ دُخُولَ الثَّانِيَةِ فِي الصَّلَاةِ بَعْدَ أَنْ يُصَلِّيَ الْإِمَامُ بِالطَّائِفَةِ الْأُولَى رَكْعَةً. وَالْكِتَابُ شَاهِدٌ لِهَذَا فَإِنَّ اللهَ تَعَالَى قَالَ: {وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ} [النساء: 102] فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا وَصَفْنَا أَنَّ دُخُولَ الثَّانِيَةِ فِي الصَّلَاةِ بَعْدَ فَرَاغِ الْإِمَامِ مِنَ الرَّكْعَةِ الْأُولَى. وَهَذَا الْخَبَرُ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ وَأَصْلُهُ مَرْفُوعٌ , وَإِنْ كَانَ نَافِعٌ قَدْ شَكَّ فِيهِ فِي وَقْتِ مَا حَدَّثَ بِهِ مَالِكٌ. وَهَكَذَا رَوَاهُ عَنْهُ أَصْحَابُهُ الْأَكَابِرُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৬৬
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৬৫-১৮৬৬। আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) …. ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ কোন একদিনে সালাতুল খাওফ এভাবে আদায় করেছেন যে, লোকদের একদল তাঁর সাথে দাঁড়িয়েছেন, আর অন্য দল তাঁর এবং শত্রুর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি তাদেরকে নিয়ে এক রাক'আত পড়েছেন। তারপর তারা ওদের স্থানে চলে গেছেন এবং ওরা তাদের স্থানে চলে এসেছেন এবং তাদেরকে নিয়ে এক রাক'আত পড়েছেন তারপর নিজে তাদের উদ্দেশ্যে সালাম ফিরিয়ে নিয়েছেন। এরপর উভয় দল এক রাক'আত করে পূর্ণ করে নিয়েছেন।
ফাহাদ ইবন সুলায়মান (রাহঃ) ও আহমদ ইবন মাসউদ আল-খাইয়াত (রাহঃ) …… ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। এবং এটিকে সালিম (রাহঃ) তাঁর পিতা ইবন উমর (রাযিঃ) থেকেও মারফূ হিসাবে রিওয়ায়াত করেছেন।
ফাহাদ ইবন সুলায়মান (রাহঃ) ও আহমদ ইবন মাসউদ আল-খাইয়াত (রাহঃ) …… ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। এবং এটিকে সালিম (রাহঃ) তাঁর পিতা ইবন উমর (রাযিঃ) থেকেও মারফূ হিসাবে রিওয়ায়াত করেছেন।
1865 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا قَبِيصَةُ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: «صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْخَوْفِ فِي بَعْضِ أَيَّامِهِ فَقَامَتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَهُ وَطَائِفَةٌ مِنْهُمْ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْعَدُوِّ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً , ثُمَّ ذَهَبَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ , وَجَاءَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ , فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً , ثُمَّ سَلَّمَ عَلَيْهِمْ , ثُمَّ قَضَتِ الطَّائِفَتَانِ رَكْعَةً رَكْعَةً»
1866 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَأَحْمَدُ بْنُ مَسْعُودٍ الْخَيَّاطُ، قَالَا: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِ مَعْنَاهُ. وَقَدْ رَوَاهُ أَيْضًا سَالِمٌ عَنْ أَبِيهِ مَرْفُوعًا
1866 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَأَحْمَدُ بْنُ مَسْعُودٍ الْخَيَّاطُ، قَالَا: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِ مَعْنَاهُ. وَقَدْ رَوَاهُ أَيْضًا سَالِمٌ عَنْ أَبِيهِ مَرْفُوعًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৬৮
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৬৭-১৮৬৮। ইয়াযিদ ইবন সিনান (রাহঃ) ..... ইবন উমর (রাযিঃ)-কে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি সালাতুল খাওফ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে অনুরূপ আদায় করেছেন।
আবু মুহাম্মাদ ফাহাদ ইবন সুলায়মান (রাহঃ) ….. ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাথে নজদ অভিমুখে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি এবং আমরা শত্রুর মুকাবিলা করেছি। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসের বিষয়বস্তু গ্রহণ করেছেনঃ
আবু মুহাম্মাদ ফাহাদ ইবন সুলায়মান (রাহঃ) ….. ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাথে নজদ অভিমুখে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি এবং আমরা শত্রুর মুকাবিলা করেছি। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসের বিষয়বস্তু গ্রহণ করেছেনঃ
1867 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالَ: ثنا أَبُو رَبِيعٍ الزَّهْرَانِيُّ، قَالَ: ثنا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ صَلَّاهَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَذَلِكَ
1868 - حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ , قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ: أنا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَالِمٌ، أَنَّ عُمَرَ، قَالَ: «غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَتَهُ قِبَلَ نَجْدٍ , فَوَازَيْنَا الْعَدُوَّ» ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ
1868 - حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ , قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ: أنا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَالِمٌ، أَنَّ عُمَرَ، قَالَ: «غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَتَهُ قِبَلَ نَجْدٍ , فَوَازَيْنَا الْعَدُوَّ» ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৭২
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৬৯-১৮৭২। ইউনুস (রাহঃ) …… সালিহ ইবন খাওওয়াত (রাহঃ) এমন ব্যক্তি থেকে রিওয়ায়াত করেছেন, যিনি যাতুর রিকা যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাথে সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। (তা ছিল এভাবে) একদল তাঁর সাথে কাতার বেঁধেছেন এবং অন্যদল শত্রুর সম্মুখে অবস্থান নিয়েছেন। যারা তাঁর সাথে রয়েছেন তাদেরকে নিয়ে এক রাক'আত পড়েছেন তারপর তিনি স্থির রয়েছেন এবং তারা নিজেদের সালাত পূর্ণ করেছেন এরপর তারা সালাত শেষ করে শত্রুর মুকাবিলায় অবস্থান নিয়েছেন এরপর দ্বিতীয় দল এসেছে তিনি তাদেরকে নিয়ে তাঁর অবিশষ্ট সালাত পড়েছেন। তারপর তিনি বসে রয়েছেন এবং তারা নিজেদের সালাত পূর্ণ করে নিয়েছেন। তারপর তিনি তাদের সাথে সালাম ফিরিয়েছেন।
ইউনুস (রাহঃ) ….. সালিহ ইবন খাওওয়াত আল-আনসারী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, সাহল ইবন আবী হাছুমা (রাযিঃ) তাঁকে খবর দিয়েছেন যে, সালাতুল খাওফ - তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এটিকে তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে উল্লেখ করেননি। আর দ্বিতীয় রাক'আতের উল্লেখে অতিরিক্ত রিওয়ায়াত করেছেন, তিনি বলেনঃ তাদের নিয়ে রুকূ করেছেন এবং সিজদা করেছেন তারপর সালাম ফিরিয়েছেন। এরপর তারা উঠে নিজেদের অবশিষ্ট দ্বিতীয় রাক'আত পড়েছেন। তারপর তারা সালাম ফিরিয়েছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
তাদেরকে বলা হবেঃ ইয়াযিদ ইবন রূমান ...... সালিহ ইবন খাওওয়াত (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত এ হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, ইমাম সালাত শেষ করার পূর্বে তারা সালাত পড়ে নিয়েছেন এবং শেষ করে ফেলেছেন। অথচ ইতিপূর্বে শু'বা আব্দুর রহমান ইবন কাসিম তাঁর পিতা কাসিম সালিহ ইবন খাওওয়াত সূত্রে বর্ণিত হাদীসে এর বিপরীত বর্ণিত হয়েছে। যেহেতু ইয়াযিদ ইবন রূমান (রাহঃ)-এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, তিনি প্রথম রাক'আত আদায় করার পর স্থির রয়েছেন এবং তারা নিজেদের সালাত পূর্ণ করে শেষ করেছেন। তারপর দ্বিতীয় দল এসেছে। আর শু'বা (রাহঃ) ...... আব্দুর রহমান (রাহঃ) তাঁর পিতা কাসিম ..... সালিহ ইবন খাওওয়াত (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, তিনি তাদের এক দলকে নিয়ে এক রাক'আত পড়েছেন। তারপর এরা ওদের স্থানে চলে গিয়েছেন। কিন্তু এটি উল্লেখ করেননি যে, “তারা অবস্থান নেয়ার পূর্বে সালাত পড়ে নিয়েছেন এবং পূর্ণ করেছেন।”
কাসিম অবশ্যই ইয়াযিদ ইবন রূমান-এর বিরোধিতা করেছেন। যদি সনদের দিকে লক্ষ্য করা হয় সালিহ ..... তাহলে ইয়াযিদ ইবন রূমান ...... সাহল ইবন আবী হাছমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত সনদ অপেক্ষা আব্দুর রহমান ...... কাসিম ...... সালিহ ইবন খাওওয়াত সাহল ইবন আবী হাছমা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ প্রান্ত থেকে বর্ণিত সনদ অধিক শক্তিশালী। আর যদি সনদ সমমর্যাদাসম্পন্ন হয় তাহলে উভয়ের বর্ণনা সাংঘর্ষিক হয়। বস্তুত উভয়ের বর্ণনা পারস্পরিক সাংঘর্ষিক হলে উভয়পক্ষের কারো জন্য এটি দলীল হতে পারবে না। বরং এটি অগ্রহণযোগ্য হিসাবে সাব্যস্ত হবে।
কোন প্রশ্ন উত্থাপনকারী যদি প্রশ্ন করে যে, ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রাহঃ) কাসিম ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে তিনি সালিহ ইব্ন খাওওয়াত (রাহঃ) থেকে তিনি সাহল ইবন আবী হাছমা (রাযিঃ) থেকে ইয়াযিদ ইবন রূমান-এর অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। আর ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রাহঃ) যবত (নিয়ন্ত্রণ) এবং হিফয (সংরক্ষণ)-এর দিক দিয়ে আব্দুর রহমান ইবন কাসিম অপেক্ষা দুর্বল ।
তাকে উত্তরে বলা হবে যে, ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ সম্পর্কে তোমার বর্ণনা যথার্থ কিন্তু তিনি হাদীসকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে মারফূ হিসাবে বর্ণনা করেননি বরং তিনি এটিকে সাহল (রাযিঃ)-এর উক্তি (মাউকুফ) হিসাবে রিওয়ায়াত করেছেন। হতে পারে আব্দুর রহমান ইবনুল কাসিম তিনি কাসিম থেকে তিনি সালিহ থেকে যে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন তা অনুরূপই (মারফু) যা সাহল (রাযিঃ) বিশেষভাবে মারফূ হিসাবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তারপর তিনি বলেছেনঃ ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি সাহল ইবন আবী হাছমা (রাযিঃ)-এর নিজস্ব অভিমত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত নয়। এজন্যেই ইয়াহইয়া (রাহঃ) এটিকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছাননি। অতএব মারফূ রিওয়ায়াত এর মুকাবিলায় মাউকুফ দ্বারা দলীল পেশ করা যেতে পারে না।
যুক্তিভিত্তিক দলীল
বস্তুত যুক্তি তা প্রত্যাখ্যান করে। যেহেতু আমরা কোন সালাতে পাইনি যে, মুকতাদী সালাতের কোন অংশ ইমামের পূর্বে সম্পন্ন করে ফেলবেন। বরং মুকতাদী তা ইমামের আমলের সাথে অথবা ইমামের পরে সম্পন্ন করবেন। অতএব বিরোধপূর্ণ বিষয়ের সিদ্ধান্তকে ঐকমত্য পূর্ণ বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত করা বিধেয়।
প্রশ্নকারীরা যদি বলে যে, আমরা লক্ষ্য করেছি, কোন সালাতেই কিবলা থেকে চেহারা ফিরানো জায়িয নেই কিন্তু সালাতুল খাওফ-এ এটি জায়িয আছে। অনুরূপ অস্বীকার করার জো নেই যে, ইমামের পূর্বে মুকতাদীর জন্য নিজ সালাত সম্পন্ন করা সালাতুল খাওফ-এ জায়িয আছে, অন্য কোন সালাতে জায়িয নেই।
তাকে উত্তরে বলা হবে যে, আমরা লক্ষ্য করেছি, কিবলা থেকে চেহারাকে অন্যদিকে ফিরানো উত্তরের কারণে অপরাপর সালাতে জায়িয আছে। অতএব সালাতুল খাওফেও এটি জায়িয আছে। এর কারণ হচ্ছে, আলিমগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, যুদ্ধে পরাস্ত ব্যক্তির যদি সালাতের সময় উপস্থিত হয়ে যায় তাহলে সে সালাত আদায় করবে, যদিও তা কিব্লা ব্যতীত অন্যদিকে হয়। অতএব যখন কোন কোন সময়ে পূর্ণ সালাতকে শত্রুর উযরের কারণে কিবলা ব্যতীত অন্যদিকে আদায় করা হয় এবং এর কারণে তাঁর সালাত বিনষ্ট হয় না, তাহলে সালাতের কিছু অংশ কিলা ব্যতীত অন্যদিকে হয়ে আদায় করলে এতে কোন রূপ ক্ষতি না হওয়াই অধিকতর যুক্তিযুক্ত।
বস্তুত আমরা যখন কিবলা ব্যতীত অন্যদিকে হয়ে সালাত আদায় করার সর্ববাদী সম্মত একটি ভিত্তি পেয়ে গেলাম যে, তা উঘরের কারণে কখনো জায়িয হয়, তাহলে বিরোধপূর্ণ সালাতুল খাওফ-এর মধ্যেও উযরের কারণে কিলার দিকে পিঠ করে সালাত আদায় করা জায়িয হবে। আর ইমাম সালাত সম্পন্ন করার পূর্বে মুক্তাদীর সালাত সম্পন্ন করার সর্ববাদী সম্মত কোন ভিত্তি যখন আমরা পাইনি, যার সাথে এটিকে আমরা মিলাতে পারি। অতএব তোমাদের অনুমান বাতিল ও প্রত্যাখ্যাত এবং আমরা গ্রহণ করব অপরাপর সেই সমস্ত হাদীস যার আলোচনা আমরা পূর্বে করে এসেছি,যেগুলোর পক্ষে অকাট্য সূত্র পরস্পর (তাওয়াতুর) এবং ঐকমত্যের (ইজ্মার) সাক্ষ্য বহন করছে।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে পূর্বোক্ত বর্ণনাগুলোর সম্পূর্ণ পরিপন্থী রিওয়ায়াত বর্ণিত আছেঃ
ইউনুস (রাহঃ) ….. সালিহ ইবন খাওওয়াত আল-আনসারী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, সাহল ইবন আবী হাছুমা (রাযিঃ) তাঁকে খবর দিয়েছেন যে, সালাতুল খাওফ - তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এটিকে তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে উল্লেখ করেননি। আর দ্বিতীয় রাক'আতের উল্লেখে অতিরিক্ত রিওয়ায়াত করেছেন, তিনি বলেনঃ তাদের নিয়ে রুকূ করেছেন এবং সিজদা করেছেন তারপর সালাম ফিরিয়েছেন। এরপর তারা উঠে নিজেদের অবশিষ্ট দ্বিতীয় রাক'আত পড়েছেন। তারপর তারা সালাম ফিরিয়েছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
তাদেরকে বলা হবেঃ ইয়াযিদ ইবন রূমান ...... সালিহ ইবন খাওওয়াত (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত এ হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, ইমাম সালাত শেষ করার পূর্বে তারা সালাত পড়ে নিয়েছেন এবং শেষ করে ফেলেছেন। অথচ ইতিপূর্বে শু'বা আব্দুর রহমান ইবন কাসিম তাঁর পিতা কাসিম সালিহ ইবন খাওওয়াত সূত্রে বর্ণিত হাদীসে এর বিপরীত বর্ণিত হয়েছে। যেহেতু ইয়াযিদ ইবন রূমান (রাহঃ)-এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, তিনি প্রথম রাক'আত আদায় করার পর স্থির রয়েছেন এবং তারা নিজেদের সালাত পূর্ণ করে শেষ করেছেন। তারপর দ্বিতীয় দল এসেছে। আর শু'বা (রাহঃ) ...... আব্দুর রহমান (রাহঃ) তাঁর পিতা কাসিম ..... সালিহ ইবন খাওওয়াত (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, তিনি তাদের এক দলকে নিয়ে এক রাক'আত পড়েছেন। তারপর এরা ওদের স্থানে চলে গিয়েছেন। কিন্তু এটি উল্লেখ করেননি যে, “তারা অবস্থান নেয়ার পূর্বে সালাত পড়ে নিয়েছেন এবং পূর্ণ করেছেন।”
কাসিম অবশ্যই ইয়াযিদ ইবন রূমান-এর বিরোধিতা করেছেন। যদি সনদের দিকে লক্ষ্য করা হয় সালিহ ..... তাহলে ইয়াযিদ ইবন রূমান ...... সাহল ইবন আবী হাছমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত সনদ অপেক্ষা আব্দুর রহমান ...... কাসিম ...... সালিহ ইবন খাওওয়াত সাহল ইবন আবী হাছমা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ প্রান্ত থেকে বর্ণিত সনদ অধিক শক্তিশালী। আর যদি সনদ সমমর্যাদাসম্পন্ন হয় তাহলে উভয়ের বর্ণনা সাংঘর্ষিক হয়। বস্তুত উভয়ের বর্ণনা পারস্পরিক সাংঘর্ষিক হলে উভয়পক্ষের কারো জন্য এটি দলীল হতে পারবে না। বরং এটি অগ্রহণযোগ্য হিসাবে সাব্যস্ত হবে।
কোন প্রশ্ন উত্থাপনকারী যদি প্রশ্ন করে যে, ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রাহঃ) কাসিম ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে তিনি সালিহ ইব্ন খাওওয়াত (রাহঃ) থেকে তিনি সাহল ইবন আবী হাছমা (রাযিঃ) থেকে ইয়াযিদ ইবন রূমান-এর অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। আর ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রাহঃ) যবত (নিয়ন্ত্রণ) এবং হিফয (সংরক্ষণ)-এর দিক দিয়ে আব্দুর রহমান ইবন কাসিম অপেক্ষা দুর্বল ।
তাকে উত্তরে বলা হবে যে, ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ সম্পর্কে তোমার বর্ণনা যথার্থ কিন্তু তিনি হাদীসকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে মারফূ হিসাবে বর্ণনা করেননি বরং তিনি এটিকে সাহল (রাযিঃ)-এর উক্তি (মাউকুফ) হিসাবে রিওয়ায়াত করেছেন। হতে পারে আব্দুর রহমান ইবনুল কাসিম তিনি কাসিম থেকে তিনি সালিহ থেকে যে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন তা অনুরূপই (মারফু) যা সাহল (রাযিঃ) বিশেষভাবে মারফূ হিসাবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তারপর তিনি বলেছেনঃ ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি সাহল ইবন আবী হাছমা (রাযিঃ)-এর নিজস্ব অভিমত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত নয়। এজন্যেই ইয়াহইয়া (রাহঃ) এটিকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছাননি। অতএব মারফূ রিওয়ায়াত এর মুকাবিলায় মাউকুফ দ্বারা দলীল পেশ করা যেতে পারে না।
যুক্তিভিত্তিক দলীল
বস্তুত যুক্তি তা প্রত্যাখ্যান করে। যেহেতু আমরা কোন সালাতে পাইনি যে, মুকতাদী সালাতের কোন অংশ ইমামের পূর্বে সম্পন্ন করে ফেলবেন। বরং মুকতাদী তা ইমামের আমলের সাথে অথবা ইমামের পরে সম্পন্ন করবেন। অতএব বিরোধপূর্ণ বিষয়ের সিদ্ধান্তকে ঐকমত্য পূর্ণ বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত করা বিধেয়।
প্রশ্নকারীরা যদি বলে যে, আমরা লক্ষ্য করেছি, কোন সালাতেই কিবলা থেকে চেহারা ফিরানো জায়িয নেই কিন্তু সালাতুল খাওফ-এ এটি জায়িয আছে। অনুরূপ অস্বীকার করার জো নেই যে, ইমামের পূর্বে মুকতাদীর জন্য নিজ সালাত সম্পন্ন করা সালাতুল খাওফ-এ জায়িয আছে, অন্য কোন সালাতে জায়িয নেই।
তাকে উত্তরে বলা হবে যে, আমরা লক্ষ্য করেছি, কিবলা থেকে চেহারাকে অন্যদিকে ফিরানো উত্তরের কারণে অপরাপর সালাতে জায়িয আছে। অতএব সালাতুল খাওফেও এটি জায়িয আছে। এর কারণ হচ্ছে, আলিমগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, যুদ্ধে পরাস্ত ব্যক্তির যদি সালাতের সময় উপস্থিত হয়ে যায় তাহলে সে সালাত আদায় করবে, যদিও তা কিব্লা ব্যতীত অন্যদিকে হয়। অতএব যখন কোন কোন সময়ে পূর্ণ সালাতকে শত্রুর উযরের কারণে কিবলা ব্যতীত অন্যদিকে আদায় করা হয় এবং এর কারণে তাঁর সালাত বিনষ্ট হয় না, তাহলে সালাতের কিছু অংশ কিলা ব্যতীত অন্যদিকে হয়ে আদায় করলে এতে কোন রূপ ক্ষতি না হওয়াই অধিকতর যুক্তিযুক্ত।
বস্তুত আমরা যখন কিবলা ব্যতীত অন্যদিকে হয়ে সালাত আদায় করার সর্ববাদী সম্মত একটি ভিত্তি পেয়ে গেলাম যে, তা উঘরের কারণে কখনো জায়িয হয়, তাহলে বিরোধপূর্ণ সালাতুল খাওফ-এর মধ্যেও উযরের কারণে কিলার দিকে পিঠ করে সালাত আদায় করা জায়িয হবে। আর ইমাম সালাত সম্পন্ন করার পূর্বে মুক্তাদীর সালাত সম্পন্ন করার সর্ববাদী সম্মত কোন ভিত্তি যখন আমরা পাইনি, যার সাথে এটিকে আমরা মিলাতে পারি। অতএব তোমাদের অনুমান বাতিল ও প্রত্যাখ্যাত এবং আমরা গ্রহণ করব অপরাপর সেই সমস্ত হাদীস যার আলোচনা আমরা পূর্বে করে এসেছি,যেগুলোর পক্ষে অকাট্য সূত্র পরস্পর (তাওয়াতুর) এবং ঐকমত্যের (ইজ্মার) সাক্ষ্য বহন করছে।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে পূর্বোক্ত বর্ণনাগুলোর সম্পূর্ণ পরিপন্থী রিওয়ায়াত বর্ণিত আছেঃ
1869 - وَذَهَبَ آخَرُونَ فِي ذَلِكَ إِلَى مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ , عَنْ [ص:313] صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ عَمَّنْ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ ذَاتِ الرِّقَاعِ صَلَاةَ الْخَوْفِ: «أَنَّ طَائِفَةً صَفَّتْ مَعَهُ وَطَائِفَةً وِجَاهَ الْعَدُوِّ فَصَلَّى بِالَّذِينَ مَعَهُ رَكْعَةً ثُمَّ ثَبَتَ قَائِمًا وَأَتَمُّوا لِأَنْفُسِهِمْ ثُمَّ انْصَرَفُوا فَصَفُّوا وِجَاهَ الْعَدُوِّ , وَجَاءَتِ الطَّائِفَةُ الْأُخْرَى فَصَلَّى بِهِمُ الرَّكْعَةَ الَّتِي بَقِيَتْ مِنْ صَلَاتِهِ ثُمَّ ثَبَتَ جَالِسًا , وَأَتَمُّوا لِأَنْفُسِهِمْ , ثُمَّ سَلَّمَ بِهِمْ»
1870 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ الْأَنْصَارِيِّ، أَنَّ سَهْلَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ صَلَاةَ الْخَوْفِ فَذَكَرَ نَحْوَهُ , وَلَمْ يَذْكُرْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَزَادَ فِي ذِكْرِ الْآخِرَةِ قَالَ: «فَيَرْكَعُ بِهِمْ وَيَسْجُدُ ثُمَّ يُسَلِّمُ , فَيَقُومُونَ فَيَرْكَعُونَ لِأَنْفُسِهِمُ الرَّكْعَةَ الْبَاقِيَةَ ثُمَّ يُسَلِّمُونَ»
1871 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ،. فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ قِيلَ لَهُمْ: إِنَّ هَذَا الْحَدِيثَ فِيهِ أَنَّهُمْ صَلَّوْا وَهُمْ مَأْمُومُونَ قَبْلَ فَرَاغِ الْإِمَامِ مِنَ الصَّلَاةِ فِي حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ.
1872 - وَقَدْ رَوَيْنَا مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ خِلَافًا لِذَلِكَ ; لِأَنَّ فِي حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ أَنَّهُ ثَبَتَ بَعْدَمَا صَلَّى الرَّكْعَةَ الْأُولَى قَائِمًا , وَأَتَمُّوا لِأَنْفُسِهِمْ , ثُمَّ انْصَرَفُوا ثُمَّ جَاءَتِ الْأُخْرَى بَعْدَ ذَلِكَ وَفِي حَدِيثِ شُعْبَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ أَبِيهِ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ , أَنَّهُ صَلَّى بِطَائِفَةٍ مِنْهُمْ رَكْعَةً ثُمَّ ذَهَبَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ وَلَمْ يَذْكُرْ أَنَّهُمْ صَلَّوْا قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفُوا. فَقَدْ خَالَفَ الْقَاسِمُ مُحَمَّدَ بْنَ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ فَإِنْ كَانَ هَذَا يُؤْخَذُ مِنْ طَرِيقِ الْإِسْنَادِ فَإِنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ الْقَاسِمِ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنُ مِنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ عَنْ صَالِحٍ عَمَّنْ أَخْبَرَهُ وَإِنْ تَكَافَآ تَضَادَّا، وَإِذَا تَضَادَّا لَمْ يَكُنْ لِأَحَدِ الْخَصْمَيْنِ فِي أَحَدِهِمَا حُجَّةٌ ; إِذْ كَانَ لِخَصْمِهِ عَلَيْهِ مِثْلُ مَا لَهُ عَلَى خَصْمِهِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِنَّ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ قَدْ رَوَى عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ عَنْ سَهْلٍ مَا يُوَافِقُ مَا رَوَى يَزِيدُ بْنُ رُومَانَ وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ لَيْسَ بِدُونِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ فِي الضَّبْطِ وَالْحِفْظِ. قِيلَ لَهُ: يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ كَمَا ذَكَرْتُ وَلَكِنْ لَمْ يَرْفَعِ الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنَّمَا أَوْقَفَهُ عَلَى سَهْلٍ , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَا رَوَى عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ عَنْ صَالِحٍ هُوَ الَّذِي كَذَلِكَ. كَانَ عِنْدَ سَهْلٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاصَّةً ثُمَّ قَالَ: هُوَ مِنْ رَأْيِهِ مَا بَقِيَ فَصَارَ ذَلِكَ رَأْيًا مِنْهُ , لَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلِذَلِكَ لَمْ يَرْفَعْهُ يَحْيَى إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَمَّا احْتَمَلَ ذَلِكَ مَا ذَكَرْنَا , ارْتَفَعَ أَنْ يَقُومَ بِهِ حُجَّةٌ أَيْضًا. وِالنَّظَرُ يَدْفَعُ ذَلِكَ ; لِأَنَّا لَمْ نَجِدْ فِي شَيْءٍ مِنَ الصَّلَاةِ أَنَّ الْمَأْمُومَ يُصَلِّي شَيْئًا مِنْهَا قَبْلَ الْإِمَامِ , وَإِنَّمَا يَفْعَلُهُ الْمَأْمُومُ مَعَ فِعْلِ الْإِمَامِ أَوْ بَعْدَ فِعْلِ الْإِمَامِ , وَإِنَّمَا يُلْتَمَسُ عِلْمُ مَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِمَّا أُجْمِعَ عَلَيْهِ. [ص:314] فَإِنْ قَالُوا: قَدْ رَأَيْنَا تَحْوِيلَ الْوَجْهِ عَنِ الْقِبْلَةِ قَدْ يَجُوزُ فِي هَذِهِ الصَّلَاةِ , وَلَا يَجُوزُ فِي غَيْرِهَا , فَمَا يُنْكِرُونَ قَضَاءَ الْمَأْمُومِ قَبْلَ فَرَاغِ الْإِمَامِ كَذَلِكَ جُوِّزَ فِي هَذِهِ الصَّلَاةِ , وَلَمْ يُجَوَّزْ فِي غَيْرِهَا قِيلَ لَهُ: إِنَّ تَحْوِيلَ الْوَجْهِ عَنِ الْقِبْلَةِ قَدْ رَأَيْنَاهُ أُبِيحَ فِي غَيْرِ هَذِهِ الصَّلَاةِ لِلْعُذْرِ فَأُبِيحَ فِي هَذِهِ الصَّلَاةِ كَمَا أُبِيحَ فِي غَيْرِهَا , وَذَلِكَ أَنَّهُمْ أَجْمَعُوا أَنَّ مَنْ كَانَ مُنْهَزِمًا فَحَضَرَتِ الصَّلَاةُ فَإِنَّهُ يُصَلِّي , وَإِنْ كَانَ عَلَى غَيْرِ قِبْلَةٍ. فَلَمَّا كَانَ قَدْ يُصَلِّي كُلَّ الصَّلَاةِ عَلَى غَيْرِ قِبْلَةٍ لَعَلَّهُ الْعَدُوُّ , وَلَا يُفْسِدُ ذَلِكَ عَلَيْهِ صَلَاتَهُ , كَانَ انْصِرَافُهُ عَلَى غَيْرِ الْقِبْلَةِ مِنْ بَعْضِ صَلَاتِهِ , أَحْرَى أَنْ لَا يَضُرَّهُ ذَلِكَ. فَلَمَّا وَجَدْنَا أَصْلًا فِي الصَّلَاةِ إِلَى غَيْرِ الْقِبْلَةِ مُجْمَعًا عَلَيْهِ أَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ بِالْعُذْرِ , عَطَفْنَا عَلَيْهِ مَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنِ اسْتِدْبَارِ الْقِبْلَةِ فِي الِانْصِرَافِ لِلْعُذْرِ , وَلَمَّا لَمْ نَجِدْ لِقَضَاءِ الْمَأْمُومِ قَبْلَ أَنْ يَفْرُغَ الْإِمَامُ مِنَ الصَّلَاةِ أَصْلًا فِيمَا أُجْمِعَ عَلَيْهِ يَدُلُّ عَلَيْهِ فَنَعْطِفُهُ عَلَيْهِ , أَبْطَلْنَا الْعَمَلَ بِهِ وَرَجَعْنَا إِلَى الْآثَارِ الْأُخَرِ الَّتِي قَدَّمْنَا ذِكْرَهَا , الَّتِي مَعَهَا التَّوَاتُرُ وَشَوَاهِدُ الْإِجْمَاعِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِلَافُ ذَلِكَ كُلِّهِ
1870 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ الْأَنْصَارِيِّ، أَنَّ سَهْلَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ صَلَاةَ الْخَوْفِ فَذَكَرَ نَحْوَهُ , وَلَمْ يَذْكُرْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَزَادَ فِي ذِكْرِ الْآخِرَةِ قَالَ: «فَيَرْكَعُ بِهِمْ وَيَسْجُدُ ثُمَّ يُسَلِّمُ , فَيَقُومُونَ فَيَرْكَعُونَ لِأَنْفُسِهِمُ الرَّكْعَةَ الْبَاقِيَةَ ثُمَّ يُسَلِّمُونَ»
1871 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ،. فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ قِيلَ لَهُمْ: إِنَّ هَذَا الْحَدِيثَ فِيهِ أَنَّهُمْ صَلَّوْا وَهُمْ مَأْمُومُونَ قَبْلَ فَرَاغِ الْإِمَامِ مِنَ الصَّلَاةِ فِي حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ.
1872 - وَقَدْ رَوَيْنَا مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ خِلَافًا لِذَلِكَ ; لِأَنَّ فِي حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ أَنَّهُ ثَبَتَ بَعْدَمَا صَلَّى الرَّكْعَةَ الْأُولَى قَائِمًا , وَأَتَمُّوا لِأَنْفُسِهِمْ , ثُمَّ انْصَرَفُوا ثُمَّ جَاءَتِ الْأُخْرَى بَعْدَ ذَلِكَ وَفِي حَدِيثِ شُعْبَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ أَبِيهِ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ , أَنَّهُ صَلَّى بِطَائِفَةٍ مِنْهُمْ رَكْعَةً ثُمَّ ذَهَبَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَصَافِّ هَؤُلَاءِ وَلَمْ يَذْكُرْ أَنَّهُمْ صَلَّوْا قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفُوا. فَقَدْ خَالَفَ الْقَاسِمُ مُحَمَّدَ بْنَ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ فَإِنْ كَانَ هَذَا يُؤْخَذُ مِنْ طَرِيقِ الْإِسْنَادِ فَإِنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ الْقَاسِمِ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنُ مِنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ عَنْ صَالِحٍ عَمَّنْ أَخْبَرَهُ وَإِنْ تَكَافَآ تَضَادَّا، وَإِذَا تَضَادَّا لَمْ يَكُنْ لِأَحَدِ الْخَصْمَيْنِ فِي أَحَدِهِمَا حُجَّةٌ ; إِذْ كَانَ لِخَصْمِهِ عَلَيْهِ مِثْلُ مَا لَهُ عَلَى خَصْمِهِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِنَّ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ قَدْ رَوَى عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ عَنْ سَهْلٍ مَا يُوَافِقُ مَا رَوَى يَزِيدُ بْنُ رُومَانَ وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ لَيْسَ بِدُونِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ فِي الضَّبْطِ وَالْحِفْظِ. قِيلَ لَهُ: يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ كَمَا ذَكَرْتُ وَلَكِنْ لَمْ يَرْفَعِ الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنَّمَا أَوْقَفَهُ عَلَى سَهْلٍ , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَا رَوَى عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ عَنْ صَالِحٍ هُوَ الَّذِي كَذَلِكَ. كَانَ عِنْدَ سَهْلٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاصَّةً ثُمَّ قَالَ: هُوَ مِنْ رَأْيِهِ مَا بَقِيَ فَصَارَ ذَلِكَ رَأْيًا مِنْهُ , لَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلِذَلِكَ لَمْ يَرْفَعْهُ يَحْيَى إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَمَّا احْتَمَلَ ذَلِكَ مَا ذَكَرْنَا , ارْتَفَعَ أَنْ يَقُومَ بِهِ حُجَّةٌ أَيْضًا. وِالنَّظَرُ يَدْفَعُ ذَلِكَ ; لِأَنَّا لَمْ نَجِدْ فِي شَيْءٍ مِنَ الصَّلَاةِ أَنَّ الْمَأْمُومَ يُصَلِّي شَيْئًا مِنْهَا قَبْلَ الْإِمَامِ , وَإِنَّمَا يَفْعَلُهُ الْمَأْمُومُ مَعَ فِعْلِ الْإِمَامِ أَوْ بَعْدَ فِعْلِ الْإِمَامِ , وَإِنَّمَا يُلْتَمَسُ عِلْمُ مَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِمَّا أُجْمِعَ عَلَيْهِ. [ص:314] فَإِنْ قَالُوا: قَدْ رَأَيْنَا تَحْوِيلَ الْوَجْهِ عَنِ الْقِبْلَةِ قَدْ يَجُوزُ فِي هَذِهِ الصَّلَاةِ , وَلَا يَجُوزُ فِي غَيْرِهَا , فَمَا يُنْكِرُونَ قَضَاءَ الْمَأْمُومِ قَبْلَ فَرَاغِ الْإِمَامِ كَذَلِكَ جُوِّزَ فِي هَذِهِ الصَّلَاةِ , وَلَمْ يُجَوَّزْ فِي غَيْرِهَا قِيلَ لَهُ: إِنَّ تَحْوِيلَ الْوَجْهِ عَنِ الْقِبْلَةِ قَدْ رَأَيْنَاهُ أُبِيحَ فِي غَيْرِ هَذِهِ الصَّلَاةِ لِلْعُذْرِ فَأُبِيحَ فِي هَذِهِ الصَّلَاةِ كَمَا أُبِيحَ فِي غَيْرِهَا , وَذَلِكَ أَنَّهُمْ أَجْمَعُوا أَنَّ مَنْ كَانَ مُنْهَزِمًا فَحَضَرَتِ الصَّلَاةُ فَإِنَّهُ يُصَلِّي , وَإِنْ كَانَ عَلَى غَيْرِ قِبْلَةٍ. فَلَمَّا كَانَ قَدْ يُصَلِّي كُلَّ الصَّلَاةِ عَلَى غَيْرِ قِبْلَةٍ لَعَلَّهُ الْعَدُوُّ , وَلَا يُفْسِدُ ذَلِكَ عَلَيْهِ صَلَاتَهُ , كَانَ انْصِرَافُهُ عَلَى غَيْرِ الْقِبْلَةِ مِنْ بَعْضِ صَلَاتِهِ , أَحْرَى أَنْ لَا يَضُرَّهُ ذَلِكَ. فَلَمَّا وَجَدْنَا أَصْلًا فِي الصَّلَاةِ إِلَى غَيْرِ الْقِبْلَةِ مُجْمَعًا عَلَيْهِ أَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ بِالْعُذْرِ , عَطَفْنَا عَلَيْهِ مَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنِ اسْتِدْبَارِ الْقِبْلَةِ فِي الِانْصِرَافِ لِلْعُذْرِ , وَلَمَّا لَمْ نَجِدْ لِقَضَاءِ الْمَأْمُومِ قَبْلَ أَنْ يَفْرُغَ الْإِمَامُ مِنَ الصَّلَاةِ أَصْلًا فِيمَا أُجْمِعَ عَلَيْهِ يَدُلُّ عَلَيْهِ فَنَعْطِفُهُ عَلَيْهِ , أَبْطَلْنَا الْعَمَلَ بِهِ وَرَجَعْنَا إِلَى الْآثَارِ الْأُخَرِ الَّتِي قَدَّمْنَا ذِكْرَهَا , الَّتِي مَعَهَا التَّوَاتُرُ وَشَوَاهِدُ الْإِجْمَاعِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِلَافُ ذَلِكَ كُلِّهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৭৩
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৭৩। আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) …. মারওয়ান ইবনুল হাকাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেছেন যে, আপনি কি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে সালাতুল খাওফ পড়েছেন ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। মারওয়ান বললেন, কখন ? আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেন, নজদ যুদ্ধের বছর (আর তা এভাবে) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আসরের সালাতের জন্য দাঁড়ালেন তাঁর সাথে একদল দাঁড়ালো এবং অন্য দল শত্রুর মুকাবেলায় অবস্থান নিলো, তাদের পিঠ ছিল কিলার দিকে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকবীর বললেন এবং তাঁর সাথে যারা রয়েছে এবং যারা শত্রুর মুকাবেলায় অবস্থানরত তারা সকলেই তাকবীর বললেন। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এক রুকূ করলেন এবং সেই দল যারা তাঁর পিছনে রয়েছে তাঁর সাথে রুকূ করলেন। এরপর তিনি সিজদা করলেন এবং সেই দল যারা তাঁর পিছনে রয়েছে তাঁর সাথে সিজদা করলেন। অপর দল শত্রুর মুকাবেলায় অবস্থান করছিলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দাঁড়ালেন এবং সেই দলও দাঁড়ালো যারা তাঁর সাথে রয়েছেন এরপর তারা শত্রুর মুকাবেলায় চলে গেলেন। আর যে দল শত্রুর মুকাবেলায় অবস্থানরত ছিলো তারা চলে আসলেন। (তারা এসে) রুকূ করলেন এবং সিজদা করলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যথারীতি দাঁড়িয়ে থাকলেন। তারপর তারা দাঁড়ালেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দ্বিতীয় রুকূ করলেন, তারাও তাঁর সাথে রুকূ করলেন এরপর তিনি সিজদা করলেন তারাও তাঁর সাথে সিজদা করলেন। এরপর শত্রুর মুকাবেলায় অবস্থানরত অপর দল আসলেন এবং তারা রুকূ করলেন, সিজদা করলেন। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং তাঁর সাথে যারা রয়েছেন বসে রইলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সালাম ফিরালেন, তারাও সকলে সালাম ফিরালেন। অতএব রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর জন্য হলো দু'রাক'আত এবং প্রত্যেক দলের প্রতিজনের জন্য হলো দু'রাক'আত দু'রাক'আত করে।
1873 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ قَالَ: ثنا حَيْوَةُ وَابْنُ لَهِيعَةَ , قَالَا: أَخْبَرَنَا أَبُو الْأَسْوَدِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَسَدِيُّ أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ يُحَدِّثُ عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ: أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هَلْ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْخَوْفِ؟ قَالَ: نَعَمْ , قَالَ مَرْوَانُ: مَتَى؟ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَامَ غَزْوَةِ نَجْدٍ قَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِصَلَاةِ الْعَصْرِ وَقَامَتْ مَعَهُ طَائِفَةٌ , وَطَائِفَةٌ أُخْرَى مُقَابِلُو الْعَدُوِّ وَظُهُورُهُمْ إِلَى الْقِبْلَةِ فَكَبَّرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَبَّرُوا جَمِيعًا مَعَهُ وَالَّذِينَ مُقَابِلُو الْعَدُوِّ ثُمَّ رَكَعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَةً وَاحِدَةً وَرَكَعَتْ مَعَهُ الطَّائِفَةُ الَّتِي تَلِيهِ ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدَتْ مَعَهُ الطَّائِفَةُ الَّتِي تَلِيهِ , وَالْآخَرُونَ قِيَامٌ مُقَابِلُو الْعَدُوِّ , ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَامَتِ الطَّائِفَةُ الَّتِي مَعَهُ فَذَهَبُوا إِلَى الْعَدُوِّ فَقَابَلُوهُمْ , وَأَقْبَلَتِ الطَّائِفَةُ الَّتِي كَانَتْ مُقَابِلِي الْعَدُوِّ فَرَكَعُوا وَسَجَدُوا , وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمٌ كَمَا هُوَ , ثُمَّ قَامُوا فَرَكَعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَةً أُخْرَى فَرَكَعُوا مَعَهُ , ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدُوا مَعَهُ , ثُمَّ أَقْبَلَتِ الطَّائِفَةُ الْأُخْرَى الَّتِي كَانَتْ مُقَابِلِي الْعَدُوِّ فَرَكَعُوا وَسَجَدُوا , وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاعِدٌ وَمَنْ مَعَهُ , فَسَلَّمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَلَّمُوا مَعَهُ جَمِيعًا , فَكَانَتْ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَانِ , وَلِكُلِّ رَجُلٍ مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ رَكْعَتَانِ رَكْعَتَانِ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৭৪
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৭৪। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সালাতুল খাওফ পড়েছেন। তিনি লোকদেরকে দু'ভাগে বিভক্ত করলেন। এক দল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর পিছনে সালাত আদায় করলেন। অপর দল শত্রুর মুকাবেলায় অবস্থানরত রইলেন। যারা তাঁর পিছনে রইলেন, তাদেরকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এক রাক'আত পড়লেন এবং তাদেরকে নিয়ে তিনি দু'সিজদা দিলেন। তারপর তিনি দাঁড়ালেন এবং তাঁরাও দাঁড়ালেন। তারা যখন সোজা হয়ে দাঁড়ালেন তখন যারা তাঁর পিছনে ছিলেন পশ্চাৎগামী হয়ে ফিরে গেলেন এবং শত্রুর মুকাবেলায় যারা অবস্থানরত ছিলেন তাদের পিছনে গিয়ে তারা অবস্থান নিলেন। আর অপর দল এসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পিছনে দাঁড়ালেন এবং নিজেদের জন্য তারা এক রাক'আত পড়ে নিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দাঁড়িয়ে রইলেন। তারপর তারা দাঁড়ালেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদেরকে নিয়ে দ্বিতীয় রাক'আত পড়লেন। সুতরাং তাদের এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দু'রাক'আত হয়ে যায়। যারা শত্রুর মুকাবেলায় অবস্থানরত ছিলো তারা এসে নিজেরা এক রাক'আত এবং দু'সিজদা করে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর পিছনে বসে গেলেন; আর তিনি তাদের সকলকে নিয়ে সালাম ফিরালেন। বস্তুত ইমাম রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) প্রথম দলকে, যারা তাঁর সাথে এক রাক'আত পড়েছেন, শত্রুর মুকাবেলায় স্থানান্তরিত করেছেন বলে এ হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে। এটি এ হাদীস ব্যতীত অন্য কোন হাদীসে ব্যক্ত হয়নি। আর আল্লাহ্ তা'আলার কিতাবে (কুরআন শরীফে) এর বিপরীত নিয়মের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। যেহেতু আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেনঃ
فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُوا فَلْيَكُونُوا مِنْ وَرَائِكُمْ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ
অর্থঃ তাদের একদল তোমার সাথে যেন দাঁড়ায় এবং তারা যেন সশস্ত্র থাকে। তাদের সিজদা করা হলে তারা যেন তোমাদের পিছনে অবস্থান করে, আর অপর এক দল যারা সালাতে শরীক হয়নি তারা তোমার সাথে যেন সালাতে শরীক হয়। (৪ঃ ১০২)
এ আয়াতে এরূপ দু'টি বাক্য রয়েছে যা উক্ত হাদীসের বিষয়বস্তুকে খণ্ডন করে। দু'টির একটিই হচ্ছে- আল্লাহ্ তা'আলার উক্তিঃ “যারা সালাতে শরীক হয়নি তারা তোমার সাথে যেন সালাতে শরীক হয়"। এতে বুঝা যাচ্ছে যে, তাদের সালাতে শরীক হওয়াটা তখন হবে যখন তারা আসবে, আসার পূর্বে নয়। আল্লাহ্ তা'আলার উক্তিঃ “তাদের একদল তোমার সাথে যেন দাঁড়ায়।” তারপর আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেনঃ “আর অপর এক দল যারা সালাতে শরীক হয়নি তারা তোমার সাথে যেন সালাতে শরীক হয়।" উভয় আয়াতকে উভয় দলের জন্য উল্লেখ করেছেন যে তারা ইমামের নিকট আসবে। আর এটি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর মুতাওয়াতির হাদীসসমূহের তথা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর আমলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যা আমরা পূর্বে উল্লেখ করে এসেছি। বস্তুত এ হাদীস অপেক্ষা সেগুলোই উত্তম বিবেচিত হবে। সালাতুল খাওফ সম্পর্কে অপর এক দল আলিম নিম্নোক্ত হাদীসের মর্মকে গ্রহণ করেছেনঃ
فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُوا فَلْيَكُونُوا مِنْ وَرَائِكُمْ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ
অর্থঃ তাদের একদল তোমার সাথে যেন দাঁড়ায় এবং তারা যেন সশস্ত্র থাকে। তাদের সিজদা করা হলে তারা যেন তোমাদের পিছনে অবস্থান করে, আর অপর এক দল যারা সালাতে শরীক হয়নি তারা তোমার সাথে যেন সালাতে শরীক হয়। (৪ঃ ১০২)
এ আয়াতে এরূপ দু'টি বাক্য রয়েছে যা উক্ত হাদীসের বিষয়বস্তুকে খণ্ডন করে। দু'টির একটিই হচ্ছে- আল্লাহ্ তা'আলার উক্তিঃ “যারা সালাতে শরীক হয়নি তারা তোমার সাথে যেন সালাতে শরীক হয়"। এতে বুঝা যাচ্ছে যে, তাদের সালাতে শরীক হওয়াটা তখন হবে যখন তারা আসবে, আসার পূর্বে নয়। আল্লাহ্ তা'আলার উক্তিঃ “তাদের একদল তোমার সাথে যেন দাঁড়ায়।” তারপর আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেনঃ “আর অপর এক দল যারা সালাতে শরীক হয়নি তারা তোমার সাথে যেন সালাতে শরীক হয়।" উভয় আয়াতকে উভয় দলের জন্য উল্লেখ করেছেন যে তারা ইমামের নিকট আসবে। আর এটি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর মুতাওয়াতির হাদীসসমূহের তথা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর আমলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যা আমরা পূর্বে উল্লেখ করে এসেছি। বস্তুত এ হাদীস অপেক্ষা সেগুলোই উত্তম বিবেচিত হবে। সালাতুল খাওফ সম্পর্কে অপর এক দল আলিম নিম্নোক্ত হাদীসের মর্মকে গ্রহণ করেছেনঃ
1874 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ نُمَيْرٍ، قَالَ: ثنا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْخَوْفِ فَصَدَعَ النَّاسَ صَدْعَيْنِ، فَصَلَّتْ طَائِفَةٌ خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَطَائِفَةٌ تُجَاهَ الْعَدُوِّ , فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَنْ خَلْفَهُ رَكْعَةً وَسَجَدَ بِهِمْ سَجْدَتَيْنِ , ثُمَّ قَامَ وَقَامُوا مَعَهُ فَلَمَّا اسْتَوَوْا قِيَامًا , رَجَعَ الَّذِينَ خَلْفَهُ وَرَاءَهُمُ الْقَهْقَرَى فَقَامُوا وَرَاءَ الَّذِينَ بِإِزَاءِ الْعَدُوِّ. وَجَاءَ الْآخَرُونَ فَقَامُوا خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّوْا لِأَنْفُسِهِمْ رَكْعَةً , وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمٌ , ثُمَّ قَامُوا فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهِمْ أُخْرَى فَكَانَتْ لَهُمْ وَلِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَانِ. [ص:315] وَجَاءَ الَّذِينَ بِإِزَاءِ الْعَدُوِّ فَصَلَّوْا لِأَنْفُسِهِمْ رَكْعَةً وَسَجْدَتَيْنِ , ثُمَّ جَلَسُوا خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمَ بِهِمْ جَمِيعًا» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ تَحَوُّلُ الْإِمَامِ إِلَى الْعَدُوِّ , وَبِالطَّائِفَةِ الَّتِي صَلَّتْ مَعَهُ الرَّكْعَةَ , وَلَيْسَ ذَلِكَ فِي شَيْءٍ مِنَ الْآثَارِ غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ. وَفِي كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ مَا يَدُلُّ عَلَى دَفْعِ ذَلِكَ ; لِأَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ: {فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُوا فَلْيَكُونُوا مِنْ وَرَائِكُمْ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ} [النساء: 102] فَفِي هَذِهِ الْآيَةِ مَعْنَيَانِ مُوجِبَانِ لِدَفْعِ هَذَا الْحَدِيثِ , أَحَدُهُمَا: قَوْلُهُ {لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ} [النساء: 102] فَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ دُخُولَهُمْ فِي الصَّلَاةِ إِنَّمَا هُوَ فِي حِينِ مَجِيئِهِمْ لَا قَبْلَ ذَلِكَ , وَقَوْلُهُ {فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَكَ} [النساء: 102] ثُمَّ قَالَ: {وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ} [النساء: 102] فَذَكَرَ الْإِتْيَانَ لِلطَّائِفَتَيْنِ إِلَىالْإِمَامِ. وَقَدْ وَافَقَ ذَلِكَ مِنْ فِعْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْآثَارُ الْمُتَوَاتِرَةُ الَّتِي بَدَأْنَا بِذِكْرِهَا , فَهِيَ أَوْلَى مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ
وَذَهَبَ آخَرُونَ فِي صَلَاةِ الْخَوْفِ إِلَى
وَذَهَبَ آخَرُونَ فِي صَلَاةِ الْخَوْفِ إِلَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৭৬
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৭৫-১৮৭৬। আবু বাকরা (রাহঃ) ও ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... হাসান আল-বসরী (রাহঃ) সূত্রে আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদেরকে নিয়ে সালাতুল খাওফ পড়েছেন। তাদের এক দলকে নিয়ে তিনি দু'রাক'আত পড়েছেন। তারপর তারা ফিরে গেছেন এবং অপর দল এসেছে, তাদেরকে নিয়ে তিনি দু'রাক'আত পড়েছেন। অতএব রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পড়েছেন চার রাক'আত এবং প্রত্যেক দল পড়েছেন দু'রাক'আতের।
আবু বাকরা (রাহঃ) ….. হাসান বসরী (রাহঃ) সূত্রে আবু বাকরা (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ….. হাসান বসরী (রাহঃ) সূত্রে আবু বাকরা (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
1875 - مَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ وَابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَا: ثنا أَبُو عَاصِمٍ عَنِ الْأَشْعَثِ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى بِهِمْ صَلَاةَ الْخَوْفِ فَصَلَّى بِطَائِفَةٍ مِنْهُمْ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ انْصَرَفُوا , وَجَاءَ الْآخَرُونَ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَتَيْنِ , فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعًا , وَصَلَّى كُلُّ طَائِفَةٍ رَكْعَتَيْنِ»
1876 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو حُرَّةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
1876 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو حُرَّةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৭৮
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৭৭-১৮৭৮। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমরা ‘যাতুররিকা' যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে ছিলাম। তখন সালাত কায়েম হয়েছে। তারপর তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইবন খুযায়মা ….. জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বনী মুহারিবের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ছিলেন। তিনি লোকদেরকে নিয়ে সালাতুল খাওফ পড়েছেন। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
একদল আলিম উক্ত মত পোষণ করে বলেছেন যে, সালাতুল খাওফ অনুরূপ। বস্তুত আমাদের মতানুসারে এ হাদীসগুলোতে তাদের স্বপক্ষের দলীল হতে পারবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সম্ভবত সালাতুল খাওফ এভাবে পড়েছেন যেহেতু তিনি এরূপ সফররত ছিলেন না যাতে সালাতকে কসর পড়া হয়। (বরং তিনি মুকীম ছিলেন)। তিনি প্রত্যেক দলকে নিয়ে দু'রাক'আত করে পড়েছেন। তারপর তারা পরে দু'রাক'আতের পূর্ণ করে নিয়েছেন। অনুরূপভাবে আমরাও মত পোষণ করি যে, যখন কোন শহরে শত্রু এসে উপস্থিত হয় আর শহরবাসী সালাতুল খাওফ পড়ার ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে তাহলে তারা অনুরূপই করবে। অর্থাৎ যদি উক্ত সালাত (চার রাক'আত বিশিষ্ট) যুহর, আসর কিংবা ই'শা হয় । তাঁরা বলেছেনঃ পূর্ণ করা সম্পর্কে হাদীসে উল্লেখ নেই।
তাদেরকে বলা হবে যে, সম্ভবত তাঁরা (পরবর্তীতে) কাযা করে নিয়েছেন আর এ কথাটি হাদীসে বর্ণিত হয়নি। হাদীসে অনুরূপ দৃষ্টান্ত অনেক রয়েছে। আর যদি তাঁরা কাযা করে না থাকেন তাহলে আমাদের মতানুসারে এটি তাদের অনুকূলে দলীল হতে পারবে না। যেহেতু এমনও হতে পারে যে এটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন করেন তখন (প্রাথমিক যুগে) ফরযকে দু'বার পড়া যেত। অতএব তা প্রত্যেক বারই ফরয হিসাবে গণ্য হতো। তারপর পরবর্তীতে তা রহিত হয়ে যায়।
ইবন খুযায়মা ….. জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বনী মুহারিবের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ছিলেন। তিনি লোকদেরকে নিয়ে সালাতুল খাওফ পড়েছেন। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
একদল আলিম উক্ত মত পোষণ করে বলেছেন যে, সালাতুল খাওফ অনুরূপ। বস্তুত আমাদের মতানুসারে এ হাদীসগুলোতে তাদের স্বপক্ষের দলীল হতে পারবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সম্ভবত সালাতুল খাওফ এভাবে পড়েছেন যেহেতু তিনি এরূপ সফররত ছিলেন না যাতে সালাতকে কসর পড়া হয়। (বরং তিনি মুকীম ছিলেন)। তিনি প্রত্যেক দলকে নিয়ে দু'রাক'আত করে পড়েছেন। তারপর তারা পরে দু'রাক'আতের পূর্ণ করে নিয়েছেন। অনুরূপভাবে আমরাও মত পোষণ করি যে, যখন কোন শহরে শত্রু এসে উপস্থিত হয় আর শহরবাসী সালাতুল খাওফ পড়ার ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে তাহলে তারা অনুরূপই করবে। অর্থাৎ যদি উক্ত সালাত (চার রাক'আত বিশিষ্ট) যুহর, আসর কিংবা ই'শা হয় । তাঁরা বলেছেনঃ পূর্ণ করা সম্পর্কে হাদীসে উল্লেখ নেই।
তাদেরকে বলা হবে যে, সম্ভবত তাঁরা (পরবর্তীতে) কাযা করে নিয়েছেন আর এ কথাটি হাদীসে বর্ণিত হয়নি। হাদীসে অনুরূপ দৃষ্টান্ত অনেক রয়েছে। আর যদি তাঁরা কাযা করে না থাকেন তাহলে আমাদের মতানুসারে এটি তাদের অনুকূলে দলীল হতে পারবে না। যেহেতু এমনও হতে পারে যে এটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন করেন তখন (প্রাথমিক যুগে) ফরযকে দু'বার পড়া যেত। অতএব তা প্রত্যেক বারই ফরয হিসাবে গণ্য হতো। তারপর পরবর্তীতে তা রহিত হয়ে যায়।
1877 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: ثنا أَبَانُ، قَالَ: ثنا يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: «كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَاتِ الرِّقَاعِ , فَأُقِيمَتِ الصَّلَاةُ» ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ
1878 - حَدَّثَنَا ابْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحَارِبَ خَصَفَةَ فَصَلَّى بِهِمْ صَلَاةَ الْخَوْفِ» فَذَكَرَ مِثْلَ ذَلِكَ أَيْضًا فَقَالَ قَوْمٌ بِهَذَا , وَزَعَمُوا أَنَّ صَلَاةَ الْخَوْفِ كَذَلِكَ. وَلَا حُجَّةَ لَهُمْ عِنْدَنَا فِي هَذِهِ الْآثَارِ , لِأَنَّهُ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّاهَا كَذَلِكَ , لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ فِي سَفَرٍ يُقْصَرُ فِي مِثْلِهِ الصَّلَاةُ , فَصَلَّى بِكُلِّ طَائِفَةٍ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ قَضَوْا بَعْدَ ذَلِكَ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ. وَهَكَذَا نَقُولُ نَحْنُ إِذَا حَضَرَ الْعَدُوُّ فِي مِصْرٍ فَأَرَادَ أَهْلُ ذَلِكَ الْمِصْرِ أَنْ يُصَلُّوا صَلَاةَ الْخَوْفِ فَعَلُوا هَكَذَا. يَعْنِي بَعْدَ أَنْ يَكُونَ تِلْكَ الصَّلَاةُ ظُهْرًا أَوْ عَصْرًا أَوْ عِشَاءً. قَالُوا: فَإِنَّ الْقَضَاءَ مَا ذُكِرَ. قِيلَ لَهُمْ: قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونُوا قَدْ قَضَوْا وَلَمْ يُنْقَلْ ذَلِكَ فِي الْخَبَرِ , وَقَدْ يَجِيءُ فِي الْأَخْبَارِ مِثْلُ هَذَا كَثِيرًا [ص:316] وَإِنْ كَانُوا لَمْ يَقْضُوا , فَإِنَّ ذَلِكَ عِنْدَنَا لَا حُجَّةَ فِيهِ أَيْضًا لِأَنَّهُ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ كَانَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْفَرِيضَةُ تُصَلَّى حِينَئِذٍ مَرَّتَيْنِ فَيَكُونُ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا فَرِيضَةً , وَقَدْ كَانَ ذَلِكَ يُفْعَلُ فِي أَوَّلِ الْإِسْلَامِ ثُمَّ نُسِخَ
1878 - حَدَّثَنَا ابْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحَارِبَ خَصَفَةَ فَصَلَّى بِهِمْ صَلَاةَ الْخَوْفِ» فَذَكَرَ مِثْلَ ذَلِكَ أَيْضًا فَقَالَ قَوْمٌ بِهَذَا , وَزَعَمُوا أَنَّ صَلَاةَ الْخَوْفِ كَذَلِكَ. وَلَا حُجَّةَ لَهُمْ عِنْدَنَا فِي هَذِهِ الْآثَارِ , لِأَنَّهُ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّاهَا كَذَلِكَ , لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ فِي سَفَرٍ يُقْصَرُ فِي مِثْلِهِ الصَّلَاةُ , فَصَلَّى بِكُلِّ طَائِفَةٍ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ قَضَوْا بَعْدَ ذَلِكَ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ. وَهَكَذَا نَقُولُ نَحْنُ إِذَا حَضَرَ الْعَدُوُّ فِي مِصْرٍ فَأَرَادَ أَهْلُ ذَلِكَ الْمِصْرِ أَنْ يُصَلُّوا صَلَاةَ الْخَوْفِ فَعَلُوا هَكَذَا. يَعْنِي بَعْدَ أَنْ يَكُونَ تِلْكَ الصَّلَاةُ ظُهْرًا أَوْ عَصْرًا أَوْ عِشَاءً. قَالُوا: فَإِنَّ الْقَضَاءَ مَا ذُكِرَ. قِيلَ لَهُمْ: قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونُوا قَدْ قَضَوْا وَلَمْ يُنْقَلْ ذَلِكَ فِي الْخَبَرِ , وَقَدْ يَجِيءُ فِي الْأَخْبَارِ مِثْلُ هَذَا كَثِيرًا [ص:316] وَإِنْ كَانُوا لَمْ يَقْضُوا , فَإِنَّ ذَلِكَ عِنْدَنَا لَا حُجَّةَ فِيهِ أَيْضًا لِأَنَّهُ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ كَانَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْفَرِيضَةُ تُصَلَّى حِينَئِذٍ مَرَّتَيْنِ فَيَكُونُ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا فَرِيضَةً , وَقَدْ كَانَ ذَلِكَ يُفْعَلُ فِي أَوَّلِ الْإِسْلَامِ ثُمَّ نُسِخَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৭৯
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৭৯। হুসাইন ইবন নসর (রাহঃ) ….. মায়মুনা (রাযিঃ) এর আযাদকৃত গোলাম সুলায়মান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি মসজিদে এলাম, দেখলাম ইবন উমর (রাযিঃ) বসে রয়েছেন আর লোকেরা সালাতরত । আমি (তাঁকে) বল্লাম, আপনি লোকদের সাথে সালাত পড়ছেন না কেন ? তিনি বললেন, আমি গৃহে সালাত পড়ে নিয়েছি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একদিনে এক ফরয কে দু'বার পড়তে নিষেধ করেছেন। আর নিষেধাজ্ঞা তো বৈধতার পরে হয়ে থাকে। অবশ্যই মুসলমানরা ইসলামের প্রাথমিক যুগে অনুরূপ করতেন। তাঁরা নিজেদের গৃহে সালাত আদায় করে মসজিদে আসতেন আর উক্ত সালাতই জামাআতে যতটুকু পেতেন ফরয হিসাবে পড়তেন। অতএব বুঝা গেল যে, তাঁরা অবশ্যই একদিনে এক ফরয কে দু'বার (ফরযরূপে) পড়তেন। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদেরকে এরূপ করতে নিষেধ করেন এরপর তিনি নির্দেশ দেন, যে ব্যক্তি মসজিদে এসে উক্ত (গৃহে আদায়কৃত) সালাত কে পায় তাহলে পড়ে নিবে এবং তা নফল হিসাবে সাব্যস্ত করবে। আর ইবন উমর (রাযিঃ) লোকদের সাথে সালাত পড়াকে পরিহার করেছেন। আমাদের নিকট এতে দু'টি সম্ভাবনা রয়েছেঃ (ক) হতে পারে উক্ত সালাত এমন সময়ের ছিলো যার পরে নফল পড়া হয় না সুতরাং তা পড়া জায়িয নয় তাই তাঁকে সেটা ফরয হিসাবে-ই পড়তে হতো। এ কারণে তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এক দিনে এক ফরয সালাতকে দু'বার পড়তে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ আমার জন্য তা ফরয হিসাবে পড়া জায়িয হবে না। যেহেতু আমি তা একবার পড়ে ফেলেছি এবং আমি তাদের সাথে শরীক হব না, যেহেতু আমার জন্য সে সময় নফল পড়া জায়িয হবে না। (খ) এমনও হতে পারে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে পুনঃ সালাত পড়ার নিষেধাজ্ঞা যথার্থ অর্থেই শুনেছেন তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা নফল হিসাবে পড়ার অনুমতি দিয়েছেন, কিন্তু ইবন উমর (রাযিঃ) তা শুনেননি। এ বিষয়ে আমরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করে দেখেছিঃ
1879 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ، قَالَ: أنا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ، مَوْلَى مَيْمُونَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , قَالَ: " أَتَيْتُ الْمَسْجِدَ فَرَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ جَالِسًا وَالنَّاسُ فِي الصَّلَاةِ فَقُلْتُ: أَلَا تُصَلِّي مَعَ النَّاسِ؟ فَقَالَ: قَدْ صَلَّيْتُ فِي رَحْلِي , إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى أَنْ تُصَلَّى فَرِيضَةٌ مَرَّتَيْنِ " فَالنَّهْيُ لَا يَكُونُ إِلَّا بَعْدَ الْإِبَاحَةِ. فَقَدْ كَانَ الْمُسْلِمُونَ هَكَذَا يَصْنَعُونَ فِي بَدْءِ الْإِسْلَامِ , يُصَلُّونَ فِي مَنَازِلِهِمْ ثُمَّ يَأْتُونَ الْمَسْجِدَ فَيُصَلُّونَ تِلْكَ الصَّلَاةَ الَّتِي أَدْرَكُوهَا عَلَى أَنَّهَا فَرِيضَةٌ فَيَكُونُوا قَدْ صَلَّوْا فَرِيضَةً مَرَّتَيْنِ حَتَّى نَهَاهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ , وَأَمَرَ بَعْدَ ذَلِكَ مَنْ جَاءَ إِلَى الْمَسْجِدِ فَأَدْرَكَ تِلْكَ الصَّلَاةَ أَنْ يُصَلِّيَهَا وَيَجْعَلَهَا نَافِلَةً. وَتَرْكُ ابْنِ عُمَرَ الصَّلَاةَ مَعَ الْقَوْمِ يُحْتَمَلُ عِنْدَنَا ضَرْبَيْنِ. يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ تِلْكَ الصَّلَاةُ , صَلَاةً لَا يُتَطَوَّعُ بَعْدَهَا فَلَمْ يَكُنْ يَجُوزُ أَنْ يُصَلِّيَهَا إِلَّا عَلَى أَنَّهَا فَرِيضَةٌ , فَقَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُصَلِّيَ فَرِيضَةً فِي يَوْمٍ مَرَّتَيْنِ» , أَيْ فَلَا يَجُوزُ أَنْ أُصَلِّيَهَا فَرِيضَةً لِأَنِّي قَدْ صَلَّيْتُهَا مَرَّةً , وَلَا أَدْخُلُ مَعَهُمْ لِأَنِّي لَا يَجُوزُ لِي التَّطَوُّعُ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ. وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ سُمِعَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّهْيُ , عَنْ إِعَادَتِهَا عَلَى هَذَا الْمَعْنَى الَّذِي نَهَى عَنْهُ , ثُمَّ رَخَّصَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ ذَلِكَ أَنْ تُصَلَّى عَلَى أَنَّهَا نَافِلَةٌ فَلَمْ يَسْمَعْ ذَلِكَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৮০
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৮০। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. উসমান ইবন আবু সাঈদ ইবন আবু রাফি' (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমাকে মুহাররির ইবন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ইবন উমর (রাযিঃ)-এর নিকট প্রেরণ করেন। যেন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করি যে, কোন ব্যক্তি যখন যুহরের সালাত নিজ গৃহে পড়ে নেয়, তারপর মসজিদে এসে দেখে লোকেরা সালাত পড়ছে এবং সে তাদের সাথে সালাত আদায় করে, তাহলে তার কোনটি (ফরয) সালাত হিসাবে গণ্য হবে ? ইবন উমর (রাযিঃ) বললেনঃ প্রথমটি-ই তার (ফরয) সালাত হিসাবে গণ্য হবে।
বস্তুত এ হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, ইবন উমর (রাযিঃ)-এর অভিমত হচ্ছে যে, দ্বিতীয় (সালাত)টি নফল হিসাবে গণ্য হবে। এতে বুঝা যাচ্ছে, সুলায়মান সূত্রে বর্ণিত হাদীসে তিনি যে সালাত ছেড়ে দিয়েছেন তা এজন্য যে, তা ছিল এরূপ সালাত, যার পরে নফল পড়া জায়িয নেই।
বস্তুত আবু বাকরা (রাযিঃ) এবং জাবির (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসের বিধানটি ছিলো প্রাথমিক যুগের যখন যেমনটি আমরা বর্ণনা করে এসেছি যে, ফরয আদায় করার পর তা পুনবার ফরয হিসাবে আদায় করা জায়িয ছিল। এজন্যই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উভয় দলকে নিয়ে তা (সালাতুল খাওফ) দু'বার আদায় করেছেন। আর এটি জায়িয হিসাবে বিবেচিত হতো যদি সে বিধান বহাল থাকত। কিন্তু যখন তিনি এক ফরযকে দু'বার পড়ার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তখন তা রহিত হয়ে যায়। অতএব সে অর্থ খণ্ডন হয়ে গেল যে, তিনি প্রত্যেক দলকে নিয়ে দু'রাক'আত আদায় করেছন এবং এরূপ আমল করাও রহিত হয়ে গেল । সুতরাং আবু বাকরা (রাহঃ) এবং জাবির (রাযিঃ)-এর হাদীস তাদের অনুকূলে দলীল রূপে সাব্যস্ত হতে পারবে না, উক্ত হাদীস দুটিতে সেই সম্ভাবনার কারণে যা আমরা উল্লেখ করে এসেছি।
বস্তুত এ হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, ইবন উমর (রাযিঃ)-এর অভিমত হচ্ছে যে, দ্বিতীয় (সালাত)টি নফল হিসাবে গণ্য হবে। এতে বুঝা যাচ্ছে, সুলায়মান সূত্রে বর্ণিত হাদীসে তিনি যে সালাত ছেড়ে দিয়েছেন তা এজন্য যে, তা ছিল এরূপ সালাত, যার পরে নফল পড়া জায়িয নেই।
বস্তুত আবু বাকরা (রাযিঃ) এবং জাবির (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসের বিধানটি ছিলো প্রাথমিক যুগের যখন যেমনটি আমরা বর্ণনা করে এসেছি যে, ফরয আদায় করার পর তা পুনবার ফরয হিসাবে আদায় করা জায়িয ছিল। এজন্যই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উভয় দলকে নিয়ে তা (সালাতুল খাওফ) দু'বার আদায় করেছেন। আর এটি জায়িয হিসাবে বিবেচিত হতো যদি সে বিধান বহাল থাকত। কিন্তু যখন তিনি এক ফরযকে দু'বার পড়ার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তখন তা রহিত হয়ে যায়। অতএব সে অর্থ খণ্ডন হয়ে গেল যে, তিনি প্রত্যেক দলকে নিয়ে দু'রাক'আত আদায় করেছন এবং এরূপ আমল করাও রহিত হয়ে গেল । সুতরাং আবু বাকরা (রাহঃ) এবং জাবির (রাযিঃ)-এর হাদীস তাদের অনুকূলে দলীল রূপে সাব্যস্ত হতে পারবে না, উক্ত হাদীস দুটিতে সেই সম্ভাবনার কারণে যা আমরা উল্লেখ করে এসেছি।
1880 - فَإِذَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَدْ حَدَّثَنَا , قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ , قَالَ: ثنا الْمَاجِشُونُ , عَنْ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ , قَالَ: أَرْسَلَنِي مُحْرِزُ بْنُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِلَى ابْنِ عُمَرَ أَسْأَلُهُ إِذَا صَلَّى الرَّجُلُ الظُّهْرَ فِي بَيْتِهِ ثُمَّ جَاءَ إِلَى الْمَسْجِدِ , وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ فَصَلَّى مَعَهُمْ , أَيَّتُهُمَا صَلَاتُهُ؟ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: «صَلَاتُهُ الْأُولَى» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ قَدْ رَأَى أَنَّ الثَّانِيَةَ تَكُونُ تَطَوُّعًا فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ تَرْكَهُ لِلصَّلَاةِ فِي حَدِيثِ سُلَيْمَانَ إِنَّمَا كَانَ لِأَنَّهَا صَلَاةٌ لَا يَجُوزُ أَنْ يُتَطَوَّعَ بَعْدَهَا فَإِنْ كَانَتْ فِي حَدِيثِ أَبِي بَكْرَةَ وَجَابِرٍ اللَّذَيْنِ ذَكَرْنَا كَانَ أَوْلَى الْحُكْمِ مَا وَصَفْنَا أَنَّ مَنْ صَلَّى فَرِيضَةً جَازَ أَنْ يُعِيدَهَا فَتَكُونَ فَرِيضَةً فَلِذَلِكَ صَلَّاهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّتَيْنِ بِالطَّائِفَتَيْنِ , وَذَلِكَ هُوَ جَائِزٌ لَوْ بَقِيَ الْحُكْمُ عَلَى ذَلِكَ. فَأَمَّا إِذَا نُسِخَ فَنَهَى أَنْ تُصَلَّى فَرِيضَةٌ مَرَّتَيْنِ فَقَدِ ارْتَفَعَ ذَلِكَ الْمَعْنَى الَّذِي لَهُ صَلَّى بِكُلِّ طَائِفَةٍ رَكْعَتَيْنِ وَبَطَلَ الْعَمَلُ بِهِ. فَلَا حُجَّةَ لَهُمْ فِي حَدِيثِ أَبِي بَكْرَةَ , وَجَابِرٍ لِاحْتِمَالِهِمَا مَا ذَكَرْنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৮১
সালাতুল খাওফ-এর বিবরণ
১৮৮১। আবু বাকরা (রাহঃ) ….. খালিদ ইবন আয়মন আল-মুআফারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আওয়ালী (মদীনার উঁচু এলাকা)-এর অধিবাসীরা নিজেদের গৃহে (ফরয) সালাত পড়তেন এবং (মসজিদে নববীতে এসে) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথেও তাঁরা (উক্ত সালাত) পড়তেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এক দিনে (ফরয) সালাত পুনরায় পড়তে তাদেরকে নিষেধ করে দেন। আমর (রাহঃ) বলেনঃ আমি এটি সাঈদ ইবন মুসাইইব (রাহঃ)-এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বলেনঃ তিনি সত্য বলেছেন।
অবশ্য এ বিষয়ে জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে এরূপ হাদীসও বর্ণিত আছে, যার মর্ম ভিন্নঃ
অবশ্য এ বিষয়ে জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে এরূপ হাদীসও বর্ণিত আছে, যার মর্ম ভিন্নঃ
1881 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا حَبَّانُ يَعْنِي ابْنَ هِلَالٍ , قَالَ: ثنا هَمَّامٌ , قَالَ: ثنا قَتَادَةُ , عَنْ عَامِرٍ الْأَحْوَلِ , عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ , عَنْ خَالِدِ بْنِ أَيْمَنَ الْمَعَافِرِيِّ , قَالَ: «كَانَ أَهْلُ الْعَوَالِي يُصَلُّونَ فِي مَنَازِلِهِمْ , وَيُصَلُّونَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَهَاهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُعِيدُوا الصَّلَاةَ فِي يَوْمٍ مَرَّتَيْنِ» قَالَ عَمْرٌو: قَدْ ذَكَرْتُ ذَلِكَ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ فَقَالَ: صَدَقَ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ فِي هَذَا مَا يَدُلُّ عَلَى غَيْرِ هَذَا الْمَعْنَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান