শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৮৩৮
৩৫-মুকতাদী দু'জন হলে ইমাম তাদেরকে কোথায় দাঁড় করাবেন?
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আমরা রুকূ'র মধ্যে তাতবিক (উভয় হাত উভয় হাঁটুর মাঝখানে রাখা) শিরোনামে আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করে এসেছি যে, তিনি আলকামা (রাহঃ) এবং আসওয়াদ (রাহঃ)-কে নিয়ে সালাত আদায় করেন এবং একজন কে তাঁর ডান দিকে অপরজনকে তাঁর বাম দিকে দাঁড় করিয়ে দেন। বর্ণনাকারী বলেনঃ তারপর আমরা রুকূ করেছি, আমরা আমাদের হাতকে হাঁটুর উপর রেখেছি। তিনি তাঁর হাত দিয়ে আমাদের হাতকে মেরেছেন এবং 'তাতবিক' করেছেন। সালাত শেষে তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অনুরূপ করেছেন। বস্তুত আমাদের নিকট উল্লিখিত বক্তব্যের দু'টি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা রয়েছেঃ (ক) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে যা উল্লেখ করা হয়েছে অর্থাৎ তিনি 'তাতবিক' করেছেন। (খ) এটিরও সম্ভাবনা রয়েছে যে, 'তাতবিক হচ্ছে দু'মুকতাদীর একজনকে তাঁর ডানে এবং অপরজনেক বামে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে কোন রিওয়ায়াত বিদ্যমান আছে কিনা যা উল্লিখিত বিষয়বস্তুকে সমর্থন করে সেদিকে দৃষ্টি দেয়া যাক, দেখা যায়ঃ
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আমরা রুকূ'র মধ্যে তাতবিক (উভয় হাত উভয় হাঁটুর মাঝখানে রাখা) শিরোনামে আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করে এসেছি যে, তিনি আলকামা (রাহঃ) এবং আসওয়াদ (রাহঃ)-কে নিয়ে সালাত আদায় করেন এবং একজন কে তাঁর ডান দিকে অপরজনকে তাঁর বাম দিকে দাঁড় করিয়ে দেন। বর্ণনাকারী বলেনঃ তারপর আমরা রুকূ করেছি, আমরা আমাদের হাতকে হাঁটুর উপর রেখেছি। তিনি তাঁর হাত দিয়ে আমাদের হাতকে মেরেছেন এবং 'তাতবিক' করেছেন। সালাত শেষে তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অনুরূপ করেছেন। বস্তুত আমাদের নিকট উল্লিখিত বক্তব্যের দু'টি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা রয়েছেঃ (ক) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে যা উল্লেখ করা হয়েছে অর্থাৎ তিনি 'তাতবিক' করেছেন। (খ) এটিরও সম্ভাবনা রয়েছে যে, 'তাতবিক হচ্ছে দু'মুকতাদীর একজনকে তাঁর ডানে এবং অপরজনেক বামে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে কোন রিওয়ায়াত বিদ্যমান আছে কিনা যা উল্লিখিত বিষয়বস্তুকে সমর্থন করে সেদিকে দৃষ্টি দেয়া যাক, দেখা যায়ঃ
১৮৩৮। হুসায়ন ইবন নসর (রাহঃ) আওয়াদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি এবং আমার চাচা দ্বিপ্রহরে আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর কাছে গেলাম। তিনি সালাত (যুহর) কায়িম করলেন। আমরা তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে গেলাম। তিনি আমাদের একজনকে তাঁর ডানে এবং অপরজনকে তাঁর বামে দাঁড় করিয়ে দিলেন। অর্থাৎ তিনি আমাদেরকে তাঁর ডানে এবং বামে দাঁড় করালেন। এবং সালাত শেষে বললেনঃ যখন লোক তিনজন হত, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এরূপ করতেন।
এ হাদীস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, “রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অনুরূপ করেছেন” আব্দুল্লাহ্ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর এ উক্তির মর্ম হচ্ছে— 'তাতবিক' সহকারে দু'জনের একজনকে ডানে এবং অপরজনকে বামে দাঁড় করানো।
উল্লিখিত রিওয়ায়াতের উত্তর
এ হাদীস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, “রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অনুরূপ করেছেন” আব্দুল্লাহ্ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর এ উক্তির মর্ম হচ্ছে— 'তাতবিক' সহকারে দু'জনের একজনকে ডানে এবং অপরজনকে বামে দাঁড় করানো।
উল্লিখিত রিওয়ায়াতের উত্তর
بَابٌ الرَّجُلُ يُصَلِّي بِالرَّجُلَيْنِ، أَيْنَ يُقِيمُهُمَا؟
قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: قَدْ ذَكَرْنَا فِي بَابِ التَّطْبِيقِ فِي الرُّكُوعِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ " أَنَّهُ صَلَّى بِعَلْقَمَةَ وَالْأَسْوَدِ فَجَعَلَ أَحَدَهُمَا عَنْ يَمِينِهِ , وَالْآخَرَ عَنْ شِمَالِهِ , قَالَ: ثُمَّ رَكَعْنَا فَوَضَعْنَا أَيْدِيَنَا عَلَى رُكَبِنَا , فَضَرَبَ أَيْدِيَنَا بِيَدِهِ وَطَبَّقَ , فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ: هَكَذَا فَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " فَاحْتَمَلَ ذَلِكَ عِنْدَنَا أَنْ يَكُونَ مَا ذَكَرَهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ فَعَلَهُ , هُوَ التَّطْبِيقُ. وَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ هُوَ التَّطْبِيقَ , وَإِقَامَةَ أَحَدِ الْمَأْمُومِينَ عَنْ يَمِينِهِ , وَالْآخَرَ عَنْ شِمَالِهِ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ , هَلْ فِي شَيْءٍ مِنَ الرِّوَايَاتِ , مَا يَدُلُّ عَلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ؟
1838 - فَإِذَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ , قَالَ: أنا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَسْوَدِ , عَنْ أَبِيهِ قَالَ: " دَخَلْتُ أَنَا وَعَمِّي , عَلَى عَبْدِ اللهِ بِالْهَاجِرَةِ , فَأَقَامَ الصَّلَاةَ فَتَأَخَّرْنَا خَلْفَهُ , فَأَخَذَ أَحَدَنَا بِيَمِينِهِ وَالْآخَرَ بِشِمَالِهِ , فَجَعَلَنَا عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ , فَلَمَّا صَلَّى قَالَ: «هَكَذَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ إِذَا كَانُوا ثَلَاثَةً» فَهَذَا الْحَدِيثُ يُخْبِرُ أَنَّ قَوْلَ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «هَكَذَا فَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» هُوَ عَلَى قِيَامِ الرَّجُلَيْنِ , أَحَدُهُمَا عَنْ يَمِينِهِ , وَالْآخَرُ عَنْ شِمَالِهِ , وَعَلَى التَّطْبِيقِ
1838 - فَإِذَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ , قَالَ: أنا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَسْوَدِ , عَنْ أَبِيهِ قَالَ: " دَخَلْتُ أَنَا وَعَمِّي , عَلَى عَبْدِ اللهِ بِالْهَاجِرَةِ , فَأَقَامَ الصَّلَاةَ فَتَأَخَّرْنَا خَلْفَهُ , فَأَخَذَ أَحَدَنَا بِيَمِينِهِ وَالْآخَرَ بِشِمَالِهِ , فَجَعَلَنَا عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ , فَلَمَّا صَلَّى قَالَ: «هَكَذَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ إِذَا كَانُوا ثَلَاثَةً» فَهَذَا الْحَدِيثُ يُخْبِرُ أَنَّ قَوْلَ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «هَكَذَا فَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» هُوَ عَلَى قِيَامِ الرَّجُلَيْنِ , أَحَدُهُمَا عَنْ يَمِينِهِ , وَالْآخَرُ عَنْ شِمَالِهِ , وَعَلَى التَّطْبِيقِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৩৯
মুকতাদী দু'জন হলে ইমাম তাদেরকে কোথায় দাঁড় করাবেন?
১৮৩৯। আবু বিশর আল-রকী' (রাহঃ) ..... ইবন আওন (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি এবং শু’আয়ব ইবনুল হাবহাব (রাহঃ) উভয়ে ইবরাহীম (রাহঃ)-এর নিকট ছিলাম। আসরের (সালাতের) সময় হলে ইবরাহীম (রাহঃ) আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন। আমরা তাঁর পিছনে দাঁড়ালাম। তিনি আমাদেরকে তাঁর ডানে এবং বামে করেছিলেন। রাবী বলেন, আমরা যখন সালাত শেষ করে বাড়ীর উদ্দেশ্যে বের হলাম, তখন ইবরাহীম (রাহঃ) বললেন, ইবন মাসউদ (রাযিঃ) বলেছেন, তোমরা অনুরূপ সালাত আদায় করবে। অমুক যেভাবে সালাত পড়ে সেভাবে পড়বে না। রাবী বলেনঃ আমি এ ঘটনা মুহাম্মাদ ইবন সিরীন (রাহঃ)-এর নিকট উল্লেখ করে বললাম কিন্তু তাঁকে ইবরাহীম (রাহঃ)-এর নাম বললাম না। তিনি বললেন, এ ইবরাহীম (রাহঃ) অবশ্যই তা আলকামা (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করে বলেছেন। আমার ধারণা মতে ইবন মাসউদ (রাযিঃ) তা মসজিদের স্থান সংকীর্ণ হওয়ার কারণে অথবা এতে তাঁর মতে কোন উযর বিদ্যমান থাকার কারণে করেছেন। এরূপ নয় যে, তা সুন্নত হিসাবে করেছেন। রাবী বলেন, আমি তা শা'বী (রাহঃ)-এর কাছে উল্লেখ করলাম, তিনি বললেন যে, এটি অবশ্যই আলকামা ইবন আওন এর ধারণা ।
এ হাদীসের দ্বারা বুঝা গেল এটি ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর আমল। এটিকে শা'বী (রাহঃ) এবং ইবন সিরীন (রাহঃ) আলকামা (রাহঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর উক্তি (মারফূ) হিসাবে উল্লেখ করেননি। এটিও হতে পারে যে, আলকামা (রাহঃ) শা'বী (রাহঃ) এবং ইবন সিরীন (রাহঃ)-এর নিকট এ কথা উল্লেখ করেননি যে, ইবন মাসউদ (রাযিঃ) তা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে উল্লেখ করেছেন। তারপর তা আসওয়াদ (রাহঃ) নিজের ছেলেকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। বস্তুত এটি কিভাবে হতে পারে অথচ নিম্নোক্ত জাবির (রাযিঃ)-এর হাদীস এর সাথে সাংঘর্ষিক ?
এ হাদীসের দ্বারা বুঝা গেল এটি ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর আমল। এটিকে শা'বী (রাহঃ) এবং ইবন সিরীন (রাহঃ) আলকামা (রাহঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর উক্তি (মারফূ) হিসাবে উল্লেখ করেননি। এটিও হতে পারে যে, আলকামা (রাহঃ) শা'বী (রাহঃ) এবং ইবন সিরীন (রাহঃ)-এর নিকট এ কথা উল্লেখ করেননি যে, ইবন মাসউদ (রাযিঃ) তা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে উল্লেখ করেছেন। তারপর তা আসওয়াদ (রাহঃ) নিজের ছেলেকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন। বস্তুত এটি কিভাবে হতে পারে অথচ নিম্নোক্ত জাবির (রাযিঃ)-এর হাদীস এর সাথে সাংঘর্ষিক ?
1839 - وَقَدْ حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ , قَالَ: ثنا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ , عَنِ ابْنِ عَوْنٍ , قَالَ: كُنْتُ أَنَا وَشُعَيْبُ بْنُ الْحَبْحَابِ عِنْدَ إِبْرَاهِيمَ فَحَضَرَتِ الْعَصْرُ فَصَلَّى بِنَا إِبْرَاهِيمُ , فَقُمْنَا خَلْفَهُ فَجَرَّنَا فَجَعَلَنَا عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ , قَالَ: فَلَمَّا صَلَّيْنَا وَخَرَجْنَا إِلَى الدَّارِ , قَالَ إِبْرَاهِيمُ , قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «هَكَذَا , فَصَلُّوا وَلَا تُصَلُّوا كَمَا يُصَلِّي فُلَانٌ» قَالَ: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِمُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ , وَلَمْ أُسَمِّ لَهُ إِبْرَاهِيمَ , فَقَالَ: هَذَا إِبْرَاهِيمُ , قَدْ قَالَ ذَاكَ عَنْ عَلْقَمَةَ وَلَا أَرَى ابْنَ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَعَلَهُ إِلَّا لِضِيقٍ كَانَ فِي الْمَسْجِدِ , أَوْ لِعُذْرٍ رَآهُ فِيهِ لَا عَلَى أَنَّ ذَلِكَ مِنَ السُّنَّةِ. قَالَ: وَذَكَرْتُهُ لِلشَّعْبِيِّ , فَقَالَ: قَدْ زَعَمَ ذَاكَ عَلْقَمَةُ , ابْنُ عَوْنٍ الْقَائِلُ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ إِضَافَةُ الْفِعْلِ إِلَى ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَلَا يَذْكُرُهُ الشَّعْبِيُّ وَلَا ابْنُ سِيرِينَ , عَنْ عَلْقَمَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ يَجُوزُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ عَلْقَمَةُ لَمْ يَذْكُرْ ذَلِكَ لِلشَّعْبِيِّ وَلِابْنِ سِيرِينَ أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ ذَكَرَهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ ذَكَرَهُ الْأَسْوَدُ لِابْنِهِ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَكَيْفَ كَانَ الْمَعْنَى فِي هَذَا فَقَدْ عُورِضَ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৪০
মুকতাদী দু'জন হলে ইমাম তাদেরকে কোথায় দাঁড় করাবেন?
১৮৪০। হুসায়ন ইবন নসর (রাহঃ) ….. উবাদা ইবন সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমরা জাবির (রাযিঃ) এর নিকট এলাম, জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট এলাম আর তিনি তখন সালাত আদায় করছিলেন। আমি তাঁর বামে দাঁড়িয়ে গেলাম। তিনি তাঁর হাত দিয়ে আমাকে ধরলেন এবং আমাকে ঘুরিয়ে তাঁর ডানদিকে দাঁড় করিয়ে দিলেন। (এমন সময়) জাবির ইবন সখর (রাযিঃ) এসে তাঁর বাম দিকে দাঁড়িয়ে গেলেন। তিনি হাত দিয়ে আমাদের উভয়কে তাঁর পিছনে দাঁড় করিয়ে দিলেন।
1840 - بِمَا حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ: ثنا مَهْدِيُّ بْنُ جَعْفَرٍ قَالَ: ثنا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ , عَنْ أَبِي حَزْرَةَ الْمَدِينِيِّ يَعْقُوبَ بْنَ مُجَاهِدٍ , عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ , قَالَ: " أَتَيْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ فَقَالَ جَابِرٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: جِئْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُصَلِّي حَتَّى قُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ فَأَخَذَنِي بِيَدِهِ فَأَدَارَنِي حَتَّى أَقَامَنِي عَنْ يَمِينِهِ وَجَاءَ جَبَّارُ بْنُ صَخْرٍ فَقَامَ عَنْ يَسَارِهِ , فَدَفَعَنَا بِيَدِهِ جَمِيعًا حَتَّى أَقَمْنَا خَلْفَهُ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৪১
মুকতাদী দু'জন হলে ইমাম তাদেরকে কোথায় দাঁড় করাবেন?
১৮৪১। ইউনুস (রাহঃ) ….. আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তাঁর দাদী মূলায়কা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে স্বহস্তে পাকান খানার জন্য দাওয়াত করেন। তিনি তা থেকে খেলেন। তারপর বললেনঃ তোমরা দাঁড়াও, আমি তোমাদেরকে নিয়ে সালাত পড়ব। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি আমাদের একটি চাটাইয়ের উদ্দেশ্যে দাঁড়ালাম, যা দীর্ঘ দিনের ব্যবহারে কালো হয়ে গিয়েছিল। আমি তা পানি দিয়ে ধুয়ে নিলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দাঁড়ালেন, আমি এবং একজন ইয়াতীম তাঁর পিছনে কাতার করে দাঁড়ালাম । আর আমাদের পিছনে দাঁড়ালেন বৃদ্ধা। তিনি আমাদেরকে নিয়ে দু'রাক'আত সালাত আদায় করলেন তারপর তিনি ফিরে গেলেন।
যদি কেউ এ প্রশ্ন উত্থাপন করে যে, ইবন মাসউদ (রাযিঃ) পূর্বে বর্ণিত এর আমল তো নবুওয়াত যুগের পরের ঘটনা। এতে বুঝা যায় যে, এটি নাসিখ তথা রহিতকারী এবং ইমামের সামনে দাঁড়ানোর রিওয়ায়াতসমূহ মাসূখ (রহিত)।
এর উত্তরে বলা যায় যে, তাকে বলা হবে যে, ইবন মাসউদ (রাযিঃ) ভিন্ন অপরাপর সাহাবী থেকে বর্ণিত আছে যে, তাঁরা এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ইন্তিকালের পরে জাবির (রাযিঃ) এবং আনাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতের অনুরূপ আমল করেছেন। অতএব যদি ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর আমল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যুগের পরের ঘটনা হওয়ার কারণে তা নাসিখ হওয়ার দলীল হয়, তাহলে ইবন মাসউদ (রাযিঃ) ভিন্ন অন্যদের থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত বিরোধীদের নিকট নাসিখ হওয়ার দলীল হবে নিঃসন্দেহে। এ বিষয়ে ইবন মাসউদ (রাযিঃ) ভিন্ন অন্যদের কিছু রিওয়ায়াত উল্লেখ্যঃ
যদি কেউ এ প্রশ্ন উত্থাপন করে যে, ইবন মাসউদ (রাযিঃ) পূর্বে বর্ণিত এর আমল তো নবুওয়াত যুগের পরের ঘটনা। এতে বুঝা যায় যে, এটি নাসিখ তথা রহিতকারী এবং ইমামের সামনে দাঁড়ানোর রিওয়ায়াতসমূহ মাসূখ (রহিত)।
এর উত্তরে বলা যায় যে, তাকে বলা হবে যে, ইবন মাসউদ (রাযিঃ) ভিন্ন অপরাপর সাহাবী থেকে বর্ণিত আছে যে, তাঁরা এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ইন্তিকালের পরে জাবির (রাযিঃ) এবং আনাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতের অনুরূপ আমল করেছেন। অতএব যদি ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর আমল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যুগের পরের ঘটনা হওয়ার কারণে তা নাসিখ হওয়ার দলীল হয়, তাহলে ইবন মাসউদ (রাযিঃ) ভিন্ন অন্যদের থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত বিরোধীদের নিকট নাসিখ হওয়ার দলীল হবে নিঃসন্দেহে। এ বিষয়ে ইবন মাসউদ (রাযিঃ) ভিন্ন অন্যদের কিছু রিওয়ায়াত উল্লেখ্যঃ
1841 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنَّ جَدَّتَهُ، مُلَيْكَةَ دَعَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِطَعَامٍ صَنَعَتْهُ , فَأَكَلَ مِنْهُ , ثُمَّ قَالَ: «قُومُوا فَلْأُصَلِّ لَكُمْ» , قَالَ أَنَسٌ: فَقُمْتُ إِلَى حَصِيرٍ لَنَا قَدِ اسْوَدَّ مِنْ طُولِ مَا لُبِسَ فَنَضَحْتُهُ بِمَاءٍ , فَقَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَفَفْتُ أَنَا وَالْيَتِيمُ وَرَاءَهُ , وَالْعَجُوزُ مِنْ وَرَائِنَا , فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ انْصَرَفَ " فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِنَّ فِعْلَ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هَذَا الَّذِي وَصَفْنَا بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ مَا عَمِلَ بِهِ مِنْ ذَلِكَ هُوَ النَّاسِخُ. قِيلَ لَهُ: فَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ فَعَلَ بَعْدَ مَوْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ مِثْلَ مَا رَوَى جَابِرٌ وَأَنَسٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَإِنْ كَانَ مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ فِعْلِهِ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَلِيلًا عِنْدَكَ عَلَى أَنَّ ذَلِكَ هُوَ النَّاسِخُ , كَانَ مَا رُوِيَ عَنْ غَيْرِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ ذَلِكَ دَلِيلًا عِنْدَ خَصْمِكَ أَنَّ ذَلِكَ هُوَ النَّاسِخُ. فَمِمَّا رُوِيَ عَنْ غَيْرِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৪২
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৪৩
মুকতাদী দু'জন হলে ইমাম তাদেরকে কোথায় দাঁড় করাবেন?
১৮৪২-১৮৪৩। ইউনুস (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি দুপুর বেলা উমর (রাযিঃ)-এর নিকট এলাম, এসে দেখতে পেলাম তিনি সালাত আদায় করছেন। আমি তাঁর বামে দাঁড়িয়ে গেলাম, তিনি আমাকে তাঁর ডান দিক দিয়ে পিছনে করে দিলেন। তারপর ইয়ারফা (তাঁর রক্ষী) এলেন। আমি পিছনে সরে গেলাম। এরপর আমি এবং সে তাঁর পিছনে সালাত আদায় করলাম।
1842 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنِ الزُّهْرِيِّ ح
1843 - وَحَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «جِئْتُ بِالْهَاجِرَةِ إِلَى عُمَرَ فَوَجَدْتُهُ يُصَلِّي , فَقُمْتُ عَنْ شِمَالِهِ فَأَخْلَفَنِي فَجَعَلَنِي عَنْ يَمِينِهِ ثُمَّ جَاءَ يَرْفَأُ فَتَأَخَّرْتُ فَصَلَّيْتُ أَنَا وَهُوَ خَلْفَهُ»
1843 - وَحَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «جِئْتُ بِالْهَاجِرَةِ إِلَى عُمَرَ فَوَجَدْتُهُ يُصَلِّي , فَقُمْتُ عَنْ شِمَالِهِ فَأَخْلَفَنِي فَجَعَلَنِي عَنْ يَمِينِهِ ثُمَّ جَاءَ يَرْفَأُ فَتَأَخَّرْتُ فَصَلَّيْتُ أَنَا وَهُوَ خَلْفَهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৪৪
মুকতাদী দু'জন হলে ইমাম তাদেরকে কোথায় দাঁড় করাবেন?
১৮৪৪। বকর ইবন ইদরিস (রাহঃ) ….. সুলায়মান ইবন ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ইবন উতবা (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, সালাত কায়েম হতে যাচ্ছে, অথচ মসজিদে তখন শুধুমাত্র মুয়াযযিন, জনৈক ব্যক্তি এবং উমর (রাযিঃ) উপস্থিত ছিলেন। উমর (রাযিঃ) তাঁদেরকে তাঁর পিছনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে তাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন।
তাহাবী (রাহঃ) এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
তারপর আমরা এর যুক্তিভিত্তিক দলীল অনুসন্ধানে প্রয়াসী হলাম। আমরা মৌলিকভাবে দেখতে পেলাম যে, ইমাম যদি একজন মুক্তাদী নিয়ে সালাত আদায় করেন, তাহলে তাকে তার ডান দিকে দাঁড় করাবেন। আনাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এটিই সুন্নত তরীকা বলে উল্লেখ রয়েছে।
তাহাবী (রাহঃ) এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
তারপর আমরা এর যুক্তিভিত্তিক দলীল অনুসন্ধানে প্রয়াসী হলাম। আমরা মৌলিকভাবে দেখতে পেলাম যে, ইমাম যদি একজন মুক্তাদী নিয়ে সালাত আদায় করেন, তাহলে তাকে তার ডান দিকে দাঁড় করাবেন। আনাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এটিই সুন্নত তরীকা বলে উল্লেখ রয়েছে।
1844 - حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ: ثنا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، مَوْلَى [ص:308] آلِ طَلْحَةَ , قَالَ: سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ، يَقُولُ: سَمِعْتُ ابْنَ عُتْبَةَ، يَقُولُ: «أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ وَلَيْسَ فِي الْمَسْجِدِ أَحَدٌ إِلَّا الْمُؤَذِّنُ وَرَجُلٌ وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فَجَعَلَهُمَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ خَلْفَهُ , فَصَلَّى بِهِمَا» ثُمَّ الْتَمَسْنَا حُكْمَ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ فَرَأَيْنَا الْأَصْلَ أَنَّ الْإِمَامَ إِذَا صَلَّى بِرَجُلٍ وَاحِدٍ أَقَامَهُ عَنْ يَمِينِهِ , وَبِذَلِكَ جَاءَتِ السُّنَّةُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৪৫
মুকতাদী দু'জন হলে ইমাম তাদেরকে কোথায় দাঁড় করাবেন?
১৮৪৫। বকর ইবন ইদরিস (রাহঃ) ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট এলাম, তখন তিনি সালাত পড়ছিলেন। আমি তাঁর বামে দাঁড়িয়ে গেলাম, তিনি আমাকে ধরে তাঁর ডান দিকে দাঁড় করিয়ে দিলেন।
বস্তুত এটি হচ্ছে ইমামের সাথে (মুক্তাদী) একজন হলে তার স্থান। আর যদি তিনজন নিয়ে সালাত আদায় করতেন, তাহলে তাদেরকে তাঁর পিছনে দাঁড় করাতেন। এ বিষয়ে আলিমদের মতবিরোধ নেই । হ্যাঁ তাঁদের মতবিরোধ হচ্ছে (যদি) মুকতাদী দু'জন হয়। (এ বিষয়ে) তাদের কেউ বলেছেন, একজন কে যেভাবে দাঁড় করাবে, দু'জনকেও সেভাবে দাঁড়া করাবে (অর্থাৎ ডানে-বামে)। আবার তাদের কেউ বলেছেন, তিনজন মুকতাদীকে যেভাবে দাঁড় করাবে, দু'জনকেও সেভাবে দাঁড় করাবে। এ বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান করলাম যে, দুজনের বিধান কি তিনজনের মত না একজনের মত ? দেখলাম যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ الِاثْنَانِ فَمَا فَوْقَهُمَا جَمَاعَةٌ দু'জন বা ততোধিক হচ্ছে জামা'আত
বস্তুত এটি হচ্ছে ইমামের সাথে (মুক্তাদী) একজন হলে তার স্থান। আর যদি তিনজন নিয়ে সালাত আদায় করতেন, তাহলে তাদেরকে তাঁর পিছনে দাঁড় করাতেন। এ বিষয়ে আলিমদের মতবিরোধ নেই । হ্যাঁ তাঁদের মতবিরোধ হচ্ছে (যদি) মুকতাদী দু'জন হয়। (এ বিষয়ে) তাদের কেউ বলেছেন, একজন কে যেভাবে দাঁড় করাবে, দু'জনকেও সেভাবে দাঁড়া করাবে (অর্থাৎ ডানে-বামে)। আবার তাদের কেউ বলেছেন, তিনজন মুকতাদীকে যেভাবে দাঁড় করাবে, দু'জনকেও সেভাবে দাঁড় করাবে। এ বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান করলাম যে, দুজনের বিধান কি তিনজনের মত না একজনের মত ? দেখলাম যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ الِاثْنَانِ فَمَا فَوْقَهُمَا جَمَاعَةٌ দু'জন বা ততোধিক হচ্ছে জামা'আত
1845 - وَفِيمَا حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ إِدْرِيسَ , قَالَ: ثنا آدَمُ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنِ الْحَكَمِ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَالَ: «أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُصَلِّي , فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ , فَأَخْلَفَنِي فَجَعَلَنِي عَنْ يَمِينِهِ» فَهَذَا مَقَامُ الْوَاحِدِ مَعَ الْإِمَامِ , وَكَانَ إِذَا صَلَّى بِثَلَاثَةٍ أَقَامَهُمْ خَلْفَهُ. هَذَا لَا اخْتِلَافَ فِيهِ بَيْنَ الْعُلَمَاءِ , وَإِنَّمَا اخْتِلَافُهُمْ فِي الِاثْنَيْنِ , فَقَالَ بَعْضُهُمْ: يُقِيمُهُمَا حَيْثُ يُقِيمُ الْوَاحِدَ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: يُقِيمُهُمَا , حَيْثُ يُقِيمُ الثَّلَاثَةَ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي ذَلِكَ لِنَعْلَمَ , هَلْ حُكْمُ الِاثْنَيْنِ فِي ذَلِكَ كَحُكْمِ الثَّلَاثَةِ؟ أَوْ كَحُكْمِ الْوَاحِدِ؟
فَرَأَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قَالَ: «الِاثْنَانِ فَمَا فَوْقَهُمَا جَمَاعَةٌ»
فَرَأَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قَالَ: «الِاثْنَانِ فَمَا فَوْقَهُمَا جَمَاعَةٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৮৪৬
মুকতাদী দু'জন হলে ইমাম তাদেরকে কোথায় দাঁড় করাবেন?
১৮৪৬। এ বিষয়ে আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ) আবু মুসা আল-আশ্আরী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। রাসূলুল্লাহ্ দু'জনকে জামাআত সাব্যস্ত করেছেন। অতএব দু'জনের বিধান হবে দু'য়ের অধিকের বিধান; দু’অপেক্ষা কর্মের বিধান এতে প্রযোজ্য হবে না।
এ বিষয়ে কুরআন শরীফে দেখেছি আল্লাহ্ তা'আলা মা-শরীক (বৈপিত্রেয়) (একজন) ভাই অথবা (একজন) বোনের জন্য (মীরাছের ক্ষেত্রে) ষষ্ঠাংশ (১/৬) ফরয করেছেন। আর দু' বা অধিকের জন্য এক তৃতীয়াংশ (১/৩) ফরয করেছেন। বাপ-শরীক (বৈমাত্রেয়) এক বোনের জন্য নির্ধারণ করেছেন অর্ধেক। আর দু'বোনের জন্য নির্ধারণ করেছেন দু-তৃতীয়াংশ। অনুরূপভাবে তিন বোনের জন্য ও দু-তৃতীয়াংশ নির্ধারণের ব্যাপারে আলিমগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন। অনুরূপভাবে তাঁরা ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, এক কন্যার জন্য অর্ধেক, দু'য়ের অধিক কন্যার জন্য দু-তৃতীয়াংশ। ইবন মাসউদসহ অধিকাংশ আলিমগণ বলেছেন, যে, দু'জনের জন্যও দু'তৃতীয়াংশ। কন্যা তার পিতার উত্তরাধিকারের ব্যাপারে বোন তার ভাই থেকে উত্তরাধিকার পাওয়ার অনুরূপ। তাহলে দু'কন্যাও পিতার উত্তরাধিকারের বিষয়ে দু'বোনের অনুরূপ নিজেদের ভাই থেকে উত্তরাধিকার পাওয়ার ব্যাপারে। অতএব আমাদের উল্লিখিত বর্ণনার দ্বারা সাব্যস্ত হলো যে, দু'য়ের বিধান হচ্ছে, জামাআতের বিধান। একের বিধান নয়।
(ইমামত অধ্যায়ে) যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ হচ্ছে এই যে, সালাতে ইমামের সাথে দু'জন মুক্তাদীর দাঁড়ানোর অবস্থান হবে জামাআতের অবস্থান। একজন মুক্তাদীর অবস্থানের অনুরূপ নয়।
এতে জাবির (রাযিঃ) ও আনাস (রাযিঃ) যা রিওয়ায়াত করেছেন এবং উমর (রাযিঃ) যা আমল করেছেন তা সাব্যস্ত ও প্রমাণিত হয় । আর এটি-ই হচ্ছে আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর উক্তি ও অভিমত । হ্যাঁ আবু ইউসুফ (রাহঃ) এতটুকু বলেছেন যে, ইমামের ইখতিয়ার রয়েছে, যদি তিনি ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে ইবন মাসউদ (রাযিঃ) যা রিওয়ায়াত করেছেন তা করতে পারেন, আর যদি ইচ্ছা করেন, তাহলে আনাস (রাযিঃ) ও জাবির (রাযিঃ) যা রিওয়ায়াত করেছেন তা করতে পারেন। আবু হানীফা (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর উক্তি এ বিষয়ে আমাদের নিকট অধিক পসন্দনীয়।
এ বিষয়ে কুরআন শরীফে দেখেছি আল্লাহ্ তা'আলা মা-শরীক (বৈপিত্রেয়) (একজন) ভাই অথবা (একজন) বোনের জন্য (মীরাছের ক্ষেত্রে) ষষ্ঠাংশ (১/৬) ফরয করেছেন। আর দু' বা অধিকের জন্য এক তৃতীয়াংশ (১/৩) ফরয করেছেন। বাপ-শরীক (বৈমাত্রেয়) এক বোনের জন্য নির্ধারণ করেছেন অর্ধেক। আর দু'বোনের জন্য নির্ধারণ করেছেন দু-তৃতীয়াংশ। অনুরূপভাবে তিন বোনের জন্য ও দু-তৃতীয়াংশ নির্ধারণের ব্যাপারে আলিমগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন। অনুরূপভাবে তাঁরা ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, এক কন্যার জন্য অর্ধেক, দু'য়ের অধিক কন্যার জন্য দু-তৃতীয়াংশ। ইবন মাসউদসহ অধিকাংশ আলিমগণ বলেছেন, যে, দু'জনের জন্যও দু'তৃতীয়াংশ। কন্যা তার পিতার উত্তরাধিকারের ব্যাপারে বোন তার ভাই থেকে উত্তরাধিকার পাওয়ার অনুরূপ। তাহলে দু'কন্যাও পিতার উত্তরাধিকারের বিষয়ে দু'বোনের অনুরূপ নিজেদের ভাই থেকে উত্তরাধিকার পাওয়ার ব্যাপারে। অতএব আমাদের উল্লিখিত বর্ণনার দ্বারা সাব্যস্ত হলো যে, দু'য়ের বিধান হচ্ছে, জামাআতের বিধান। একের বিধান নয়।
(ইমামত অধ্যায়ে) যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ হচ্ছে এই যে, সালাতে ইমামের সাথে দু'জন মুক্তাদীর দাঁড়ানোর অবস্থান হবে জামাআতের অবস্থান। একজন মুক্তাদীর অবস্থানের অনুরূপ নয়।
এতে জাবির (রাযিঃ) ও আনাস (রাযিঃ) যা রিওয়ায়াত করেছেন এবং উমর (রাযিঃ) যা আমল করেছেন তা সাব্যস্ত ও প্রমাণিত হয় । আর এটি-ই হচ্ছে আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর উক্তি ও অভিমত । হ্যাঁ আবু ইউসুফ (রাহঃ) এতটুকু বলেছেন যে, ইমামের ইখতিয়ার রয়েছে, যদি তিনি ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে ইবন মাসউদ (রাযিঃ) যা রিওয়ায়াত করেছেন তা করতে পারেন, আর যদি ইচ্ছা করেন, তাহলে আনাস (রাযিঃ) ও জাবির (রাযিঃ) যা রিওয়ায়াত করেছেন তা করতে পারেন। আবু হানীফা (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর উক্তি এ বিষয়ে আমাদের নিকট অধিক পসন্দনীয়।
1846 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ التَّيْمِيُّ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَا: ثنا الرَّبِيعُ بْنُ بَدْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ فَجَعَلَهُمَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَاعَةً , فَصَارَ حُكْمُهُمَا كَحُكْمِ مَا هُوَ أَكْثَرُ مِنْهُمَا , لَا حُكْمِ مَا هُوَ أَقَلُّ مِنْهُمَا. وَرَأَيْنَا اللهَ عَزَّ وَجَلَّ فَرَضَ لِلْأَخِ أَوْ لِلْأُخْتِ مِنْ قِبَلِ الْأُمِّ السُّدُسَ وَفَرَضَ لِلْجَمِيعِ الثُّلُثَ وَكَذَلِكَ فَرَضَ لِلِاثْنَيْنِ وَجَعَلَ لِلْأُخْتِ مِنَ الْأَبِ النِّصْفَ وَلِلِاثْنَيْنِ الثُّلُثَيْنِ , وَكَذَلِكَ أَجْمَعُوا أَنَّهُ يَكُونُ الثُّلُثَ وَأَجْمَعُوا أَنَّ لِلِابْنَةِ النِّصْفَ وَلِلْبَنَاتِ الثُّلُثَيْنِ , قَالَ: أَكْثَرُهُمْ وَابْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِيهِمْ: إِنَّ لِلِاثْنَتَيْنِ أَيْضًا الثُّلُثَيْنِ. فَكَذَلِكَ هُوَ فِي النَّظَرِ , لِأَنَّ الِابْنَةَ لَمَّا كَانَتْ فِي مِيرَاثِهَا مِنْ أَبِيهَا كَالْأُخْتِ فِي مِيرَاثِهَا مِنْ أَخِيهَا , كَانَتِ الِابْنَتَانِ أَيْضًا فِي مِيرَاثِهِمَا مِنْ أَبِيهِمَا كَالْأُخْتَيْنِ فِي مِيرَاثِهِمَا مِنْ أَخِيهِمَا. فَكَانَ حُكْمُ الِاثْنَيْنِ فِيمَا وَصَفْنَا , حُكْمَ الْجَمَاعَةِ , لَا حُكْمَ الْوَاحِدِ فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ , أَنْ يَكُونَا فِي مَقَامِهِمَا مَعَ الْإِمَامِ فِي الصَّلَاةِ مَقَامَ الْجَمَاعَةِ لَا مَقَامَ الْوَاحِدِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ مَا رَوَى جَابِرٌ وَأَنَسٌ , وَفَعَلَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ. وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. غَيْرَ أَنَّ أَبَا يُوسُفَ قَالَ: الْإِمَامُ بِالْخِيَارِ , إِنْ شَاءَ فَعَلَ كَمَا رَوَى ابْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَإِنْ شَاءَ فَعَلَ كَمَا رَوَى أَنَسٌ وَجَابِرٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا. وَقَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ رَحِمَهُمَا اللهُ فِي هَذَا , أَحَبُّ إِلَيْنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: