শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৬৩৪
৩১-সালাতে সালাম ফরয না সুন্নত ?
১৬৩৪। হুসাইন ইব্‌ন নসর রে) ..... আলী ইবৃন আবী তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্ললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ সালাতের চাবি হলো পবিত্রতা, এর ইহরাম (প্রবেশের মাধ্যম) হলো তাকবীরে তাহরিমা, আর এর হালাল করণ (বের হওয়ার মাধ্যম) হচ্ছে সালাম ফিরানো।
একদল আলিম বলেছেন যে, কেউ যদি সালাম ব্যতীত সালাত শেষ করে তবে তার সালাত বাতিল
বলে গণ্য হবে। যেহেতু রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্ললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ সালাত থেকে হালাল (বের) হওয়ার মাধ্যম হবে সালাম ফিরানো । অতএব সালাম ব্যতীত সালাত থেকে বের হওয়া জায়িয হবে না।
এ ব্যাপারে অপরাপর আলিমগণ ভিন্নমত ব্যক্ত করেছেন। তারা আবার দু'ভাগে রিভক্ত হয়েছেন।
একদল বলেছেনঃ কেউ তাশাহ্হুদ পরিমাণ বসলে তার সালাত পূর্ণ হয়ে যাবে যদিও সে সালাম না
ফিরায়। অন্যদল বলেছেনঃ কেউ তার সালাতের শেষ সিজ্দা থেকে মাথা উত্তোলন করলে তার
সালাত পূর্ণ হয়ে যাবে, যদিও সে তাশাহ্হুদ না পড়ে এবং সালামও না ফিরায়।
বস্তুত প্রথম মত ব্যক্তকারীদের বিরুদ্ধে উভয় দলের আলিমদের দলীল হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্ললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হাদীস-সালাতের হালালকরণ (বের হওয়ার মাধ্যম) হচ্ছে, সালাম ফিরানো। যা আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে।
অন্য দিকে আলী (রাযিঃ) থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর নিজস্ব অভিমত (ফাতওয়া) বর্ণিত হয়েছে। যাতে বুঝা যায় যে, তিনি এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উক্তির যে অর্থ নিয়েছেন, প্রথম দল আলিমগণ কিন্তু সে অর্থ গ্রহণ করেননি বরং ভিন্ন অর্থ নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তাঁরা নিন্মোক্ত হাদীস উল্লেখ করেছেনঃ
بَابُ السَّلَامِ فِي الصَّلَاةِ , هَلْ هُوَ مِنْ فُرُوضِهَا أَوْ مِنْ سُنَنِهَا؟
1634 - حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ , قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ , عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ , عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مِفْتَاحُ الصَّلَاةِ الطُّهُورُ , وَإِحْرَامُهَا التَّكْبِيرُ , وَإِحْلَالُهَا التَّسْلِيمُ» فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا انْصَرَفَ مِنْ صَلَاتِهِ بِغَيْرِ تَسْلِيمٍ فَصَلَاتُهُ بَاطِلَةٌ ; لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «تَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ» فَلَا يَجُوزُ أَنْ يَخْرُجَ مِنْهَا بِغَيْرِهِ. خَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَافْتَرَقُوا عَلَى قَوْلَيْنِ. فَمِنْهُمْ مَنْ قَالَ: إِذَا قَعَدَ مِقْدَارَ التَّشَهُّدِ , فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُهُ , وَإِنْ لَمْ يُسَلِّمْ. وَمِنْهُمْ مَنْ قَالَ: إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ آخِرِ سَجْدَةٍ مِنْ صَلَاتِهِ , فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُهُ , وَإِنْ لَمْ يَتَشَهَّدْ وَلَمْ يُسَلِّمْ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِلْفَرِيقَيْنِ جَمِيعًا عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَنَّ مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِنْ قَوْلِهِ «تَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ» , إِنَّمَا رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ رَأْيِهِ فِي مِثْلِ ذَلِكَ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ مَعْنَى قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ كَانَ عِنْدَهُ عَلَى غَيْرِ مَا حَمَلَهُ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى. فَذَكَرُوا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১৬৩৫
সালাতে সালাম ফরয না সুন্নত ?
১৬৩৫। আবু বাকরা (রাহঃ) ..... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ “সালাত
আদায়কারী যখন শেষ সিজ্দা থেকে মাথা উত্তোলন করবে অবশ্যই তখন তার সালাত পূর্ণ হয়ে
যাবে।
বস্তুত আলী (রাযিঃ) যিনি বাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেনঃ “সালাতের হালালকরণ (বের হওয়ার মাধামে) হচ্ছে সালাম ফিরানো । তাঁর নিকট এর এ অর্থ নয় যে,সালাম ব্যতীত সালাত পূর্ণ হবে না। যেহেতু তাঁর নিকট সালামের পূর্বের বস্তু (সিজদা)দ্বারা সালাত পূর্ণ হয়ে যায়। আর তার নিকট “সালাতের হালালকরণ হচ্ছে সালাম"-এর অর্থ হলো সালাম দিয়ে সালাত থেকে বের হওয়া বাঞ্ছনীয়, অন্য কিছু দিয়ে নয়। আর সেই পূর্ণতা যার পরে হাদাস হলে সালাত পুন আদায় করা
ওয়াজিব নয়।

কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলে যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বলেছেন, সালাতের তাহরিমা হলো তাকবীর, অতএব তাকবীর হলো এরূপ বস্তু, যা ব্যতীত সালাতে প্রবেশ করা যাবে না। অনুরূপভাব রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বলেছেন, সালাত থেকে তাহলীল (বের হওয়া) একমাত্র সালামই । অতএব বুঝা গেল যে সালামও তাকবীর-এর ন্যায় অপরিহার্য, যা ব্যতীত সালাত থেকে বের হওয়া যায় না।
উত্তরে তাকে বলা হবে যে, অনেক বস্তু এরূপ রয়েছে, যেগুলোতে প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট শর্তাবলী ও
পদ্ধতি রয়েছে, যেগুলো ব্যতীত তাতে প্রবেশ করা যায় না । অথচ এগুলো থেকে বের হওয়ার জন্য যে
উপকরণ ও শর্তাবলী নির্দিষ্ট রয়েছে, সেগুলো পূরণ করে বা না করে উভয়ভাবে বের হওয়া শুদ্ধ হয়।
বস্তুত সেগুলোর মধ্যে আমরা বিবাহের ক্ষেত্রে দেখতে পাই যে, কোন নারীকে ইন্দতের অবস্থায় বিবাহ
করা নিষিদ্ধ এবং নাজায়িয । আর যে ব্যক্তি এরূপ অবস্থায় বিবাহ করবে, সে এ বিবাহ দ্বারা নারীর
যোনির অধিকারী হবে না এবং নারীর উপর বিবাহকারীর জন্য বিবাহের হকসমূহ কার্যকর হবে না।
বস্তুত এর অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে, যার উল্লেখ গ্রস্থের কলেবর বৃদ্ধি করবে । আর স্বামীকে নির্দেশ দেয়া
হয়েছে যে, এমন তালাক দ্বারা বিবাহ থেকে বের হবে যার মধ্যে কোনরূপ গোনাহ হয় নাই এবং
এরূপ (পবিত্রতা) কালে তালাক যার মধ্যে স্ত্রী সহবাস করা হয়নি। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আদিষ্ট পন্থা
পরিপন্থী স্ত্রীকে এক (পবিত্রতায়) তিন তালাক অথবা এক বাক্যে তিন তালাক অথবা ঋতুবতী অবস্থায়
তালাক দেয়, তাহলে স্বামী গুনাহগার তো হবে, কিন্তু নিষিদ্ধ তালাক হওয়া সত্ত্বেও তালাক কার্যকর
হয়ে যাবে এবং বিবাহ থেকে বেরিয়ে আসবে । অতএব সাব্যস্ত হলো যে, যে সমস্ত উপকরণ দ্বারা নারী
যোনির অধিকারী হতে পারা যায় তা কিরূপ এবং যেগুলোর দ্বারা নারী যোনির অধিকার ছুটে যায়, তা কেমন। এগুলোর বিপরীত কিছু করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অতএব যে ব্যক্তি
নিষিদ্ধ পন্থায় বিবাহে প্রবেশ করতে চায় প্রবেশ করতে পারবে না। পক্ষান্তরে যখন নিষিদ্ধ পন্থায়
বিবাহ থেকে বের হয়ে যেতে চায় তাহলে বের হয়ে যেতে পারবে । তাই যেহেতু নিষিদ্ধ -পন্থায় প্রবেশ
করা যায় না এবং আদিষ্ট ও নিষিদ্ধ উভয় পন্থায় বের হওয়াটা বিশুদ্ধ হয়, অতএব এর উপর ভিত্তি
করে সালাতের ব্যাপারকে বুঝতে হবে যে, আদিষ্টের পরিপন্থী (তাকবীরে তাহরিমা ব্যতীত) সালাতে
প্রবেশ করা বৈধ হতে পারে না এবং আদিষ্ট (সালামের সাথে) ও আদিষ্টের পরিপন্থী (সালাম ব্যতীত)
উভয় অবস্থায় সালাত থেকে বের হওয়া বৈধ হবে। যারা একথা বলে যে, সালাত আদায়কারী যখন -
তার সালাতের শেষ সিজ্দা থেকে মাথা উত্তোলন করবে তার সালাত পূর্ণ হয়ে যাবে, তাদের দলীলঃ
1635 - مَا قَدْ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنْ أَبِي عَوَانَةَ , عَنِ الْحَكَمِ , عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ , عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ آخِرِ سَجْدَةٍ فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُهُ» فَهَذَا عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «تَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ» وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عِنْدَهُ عَلَى أَنَّ الصَّلَاةَ لَا تَتِمُّ إِلَّا بِالتَّسْلِيمِ ; إِذْ كَانَتْ تَتِمُّ عِنْدَهُ بِمَا هُوَ قَبْلَ التَّسْلِيمِ , وَكَانَ مَعْنَى «تَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ» عِنْدَهُ أَيْضًا هُوَ التَّحْلِيلُ الَّذِي يَنْبَغِي أَنْ يَحِلَّ بِهِ لَا بِغَيْرِهِ , وَالتَّمَامُ الَّذِي لَا يَجِبُ بِمَا يَحْدُثُ بَعْدَهُ إِعَادَةُ الصَّلَاةِ غَيْرُهُ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: قَدْ قَالَ: «تَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ» , فَكَانَ هُوَ الَّذِي لَا يُدْخَلُ فِيهَا إِلَّا بِهِ , فَكَذَلِكَ لَمَّا قَالَ: «وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ» كَانَ كَهُوَ أَيْضًا لَا يُخْرَجُ مِنْهَا إِلَّا بِهِ. قِيلَ لَهُ: إِنَّهُ لَا يَجُوزُ الدُّخُولُ فِي الْأَشْيَاءِ إِلَّا مِنْ حَيْثُ أُمِرَ بِهِ مِنَ الدُّخُولِ فِيهَا , وَقَدْ يُخْرَجُ مِنَ الْأَشْيَاءِ مِنْ حَيْثُ أُمِرَ أَنْ يُخْرَجَ بِهِ مِنْهَا وَمِنْ غَيْرِ ذَلِكَ. مِنْ ذَلِكَ أَنَّا قَدْ رَأَيْنَا النِّكَاحَ قَدْ نُهِيَ أَنْ يُعْقَدَ عَلَى الْمَرْأَةِ , وَهِيَ فِي عِدَّةٍ , وَكَانَ مَنْ عَقَدَهُ عَلَيْهَا , وَهِيَ كَذَلِكَ لَمْ يَكُنْ بِذَلِكَ مَالِكًا لِبُضْعِهَا , وَلَا وَجَبَ لَهُ عَلَيْهَا نِكَاحٌ. فِي أَشْبَاهٍ لِذَلِكَ كَثِيرَةٍ يَطُولُ بِذِكْرِهَا الْكِتَابُ. وَأَمَرَ أَنْ لَا يُخْرَجَ مِنْهُ إِلَّا بِالطَّلَاقِ الَّذِي لَا إِثْمَ فِيهِ , وَأَنْ تَكُونَ الْمُطَلَّقَةُ طَاهِرًا مِنْ غَيْرِ جِمَاعٍ فَكَانَ مَنْ طَلَّقَ عَلَى غَيْرِ مَا أُمِرَ بِهِ مِنْ ذَلِكَ فَطَلَّقَ ثَلَاثًا أَوْ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ حَائِضًا يَلْزَمُهُ ذَلِكَ وَإِنْ كَانَ إِثْمًا , وَيَخْرُجُ بِذَلِكَ الطَّلَاقِ الْمَنْهِيِّ عَنْهُ مِنَ النِّكَاحِ الصَّحِيحِ. فَكَانَ قَدْ تَثْبُتُ الْأَسْبَابُ الَّتِي تُمْلَكُ بِهَا الْأَبْضَاعُ كَيْفَ هِيَ؟ وَالْأَسْبَابُ الَّتِي تَزُولُ بِهَا الْإِمْلَاكُ عَنْهَا كَيْفَ هِيَ؟ وَنُهُوا عَمَّا خَالَفَ ذَلِكَ , أَوْ شَيْئًا مِنْهُ. فَكَانَ مَنْ فَعَلَ مَا نُهِيَ عَنْهُ مِنْ ذَلِكَ لِيَدْخُلَ بِهِ فِي النِّكَاحِ , لَمْ يَدْخُلْ بِهِ فِيهِ , وَإِذَا فَعَلَ شَيْئًا مِنْهُ لِيَخْرُجَ بِهِ مِنَ النِّكَاحِ , خَرَجَ بِهِ مِنْهُ. فَلَمَّا كَانَ لَا يَدْخُلُ فِي الْأَشْيَاءِ إِلَّا مِنْ حَيْثُ أُمِرَ بِهِ. وَالْخُرُوجُ مِنْهَا قَدْ يَكُونُ مِنْ حَيْثُ أُمِرَ بِهِ , وَقَدْ يَكُونُ بِغَيْرِ ذَلِكَ. كَانَ كَذَلِكَ فِي النَّظَرِ فِي الصَّلَاةِ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ , فَيَكُونُ الدُّخُولُ فِيهَا غَيْرَ وَاجِبٍ إِلَّا بِمَا أُمِرَ بِهِ مِنَ الدُّخُولِ فِيهَا , وَيَكُونُ الْخُرُوجُ مِنْهَا بِمَا أُمِرَ بِهِ مِمَّا يُخْرَجُ بِهِ مِنْهَا , وَمِنْ غَيْرِ ذَلِكَ. وَكَانَ مِمَّا احْتَجَّ بِهِ مَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّهُ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ آخِرِ سَجْدَةٍ مِنْ صَلَاتِهِ فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُهُ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৩৭
সালাতে সালাম ফরয না সুন্নত ?
১৬৩৬-১৬৩৭। আবু বাকরা (রাযিঃ) ..... আব্দুল্লাহ্‌ ইব্ন আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বলেছেনঃ সালাত আদায়কারী যখন শেষ সিজ্দা থেকে মাথা উত্তোলন করবে তারপর তার উযু ভঙ্গ হয়ে গেলেও তার সালাম পূর্ণ হয়ে যাবে।

ইয়াযিদ ইব্‌ন সিনান রে) ..... আব্দুর রহমান ইবন যিয়াদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
তাদেরকে বলা হবে যে, এ হাদীসটির ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে। একদল আলিম এটিকে উক্তরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। পক্ষান্তরে অন্য একদল আলিম এর বিপরীত বর্ণনা করেছেন।
1636 - مَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رَافِعٍ وَبَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَالَ: «إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ آخِرِ السُّجُودِ , فَقَدْ مَضَتْ صَلَاتُهُ إِذَا هُوَ أَحْدَثَ»

1637 - وَمَا حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَبَّاسِ بْنِ الرَّبِيعِ اللُّؤْلُؤِيُّ , قَالَا: ثنا مُعَاذُ بْنُ الْحَكَمِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادٍ فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ قِيلَ لَهُمْ: إِنَّ هَذَا الْحَدِيثَ قَدِ اخْتُلِفَ فِيهِ , فَرَوَاهُ قَوْمٌ هَكَذَا , وَرَوَاهُ آخَرُونَ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৩৯
সালাতে সালাম ফরয না সুন্নত ?
১৬৩৮-১৬৩৯। ইবরাহীম ইব্‌ন মূন্কিয রে) এবং আলী ইবন শায়বা (রে) ..... আব্দুল্লাহ ইব্ন আমর ইব্ন
আল-আস রো) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বলেছেনঃ ইমাম সালাত আদায় করলে শেষ সময় তার অথবা ইমামের সাথে যারা সালাত আদায় করে তাদের কারো ইমামের সালামের পূর্বে উযূ ভঙ্গ হয়ে যায়, তাহলে অবশ্যই তার সালাত পূর্ণ হয়ে যাবে, পুন সালাত আদায় করতে হবে না।
আবু জা’ফর (তাহাবী র) বলেনঃ বস্তুত এ হাদীসটির বিষয়বস্তু প্রথম হাদীসের বিষয়বস্তু থেকে
ভিন্ন। আর এ হাদীসটি ভিন্ন শব্দেও বর্ণিত হয়েছে।

ইয়াযিদ ইব্‌ন সিনান (রাহঃ) .....ইবনে মুবারক থেকে।
1638 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُنْقِذٍ، وَعَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَا: ثنا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رَافِعٍ التَّنُوخِيِّ، وَبَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ الْجُذَامِيِّ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا قَضَى الْإِمَامُ الصَّلَاةَ , فَقَعَدَ , فَأَحْدَثَ هُوَ أَوْ أَحَدٌ مِمَّنْ أَتَمَّ الصَّلَاةَ مَعَهُ , قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ الْإِمَامُ , فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُهُ , فَلَا يَعُودُ فِيهَا» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا مَعْنَاهُ غَيْرُ مَعْنَى الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ. وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ أَيْضًا بِلَفْظٍ غَيْرِ هَذَا

1639 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالَ: ثنا مُعَاذُ بْنُ الْحَكَمِ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمٍ، فَذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِ أَبِي بَكْرَةَ , عَنْ أَبِي دَاوُدَ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৪০
সালাতে সালাম ফরয না সুন্নত ?
১৬৪০। আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বলেছেনঃ মুসল্লী যখন তার শেষ সিজ্দা থেকে মাথা উত্তোলন করবে এবং তাশাহ্‌হুদ পূর্ণ করবে তারপর তার উধু ভঙ্গ হয়ে যাবে তার সালাত পূর্ণ হয়ে যাবে, পুনরায় সালাত আদায় করা লাগবে না।
যাঁরা বলেন, সালাতে যতক্ষণ পর্যন্ত তাশাহ্হুদ পরিমাণ না বসবে ততক্ষণ পর্যন্ত সালাত পূর্ণ হবে না, তাঁরা দলীল হিসাবে নিম্নের হাদীস পেশ করেনঃ
1640 - قَالَ مُعَاذٌ: فَلَقِيتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمٍ , فَحَدَّثَنِي عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رَافِعٍ، وَبَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ , فَقُلْتُ لَهُ: لَقِيتَهُمَا جَمِيعًا , فَقَالَ: كِلَيْهِمَا حَدَّثَنِي بِهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا رَفَعَ الْمُصَلِّي رَأْسَهُ مِنْ آخِرِ صَلَاتِهِ , وَقَضَى تَشَهُّدَهُ , ثُمَّ أَحْدَثَ , فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُهُ , فَلَا يَعُودُ لَهَا» وَاحْتَجَّ الَّذِينَ قَالُوا: لَا تَتِمُّ الصَّلَاةُ حَتَّى يَقْعُدَ فِيهَا قَدْرَ التَّشَهُّدِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৪১
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪২
সালাতে সালাম ফরয না সুন্নত ?
১৬৪১-১৬৪২। ফাহাদ রে) ..... আল-কাসিম ইব্‌ন মুখায়মারা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি .বলেছেনঃ আলকামা (রাহঃ) আমার হাত ধরে বর্ণনা করেছেন যে, আব্দুল্লাহ্‌ ইব্‌ন মাসউদ রো) তাঁর হাত ধরেছেন এবং রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) তাঁর হাত ধরে তাঁকে তাশাহ্হুদ শিখিয়েছেন। তারপর তিনি তাশাহ্হুদের উল্লেখ করেন। যা আমরা তাশাহহুদ অনুচ্ছেদে বর্ণনা করে এসেছি। (তাশাহ্হুদ শিখানোর পরে) তিনি (ﷺ) বলেছেনঃ যখন তুমি ওটা করবে অথবা বলেছেন এটিকে পূর্ণ করবে, তখন তোমার সালাত পূর্ণ হয়ে গেলো। যদি তুমি উঠে পড়তে চাও তাহলে উঠে পড়ো আর যদি আরো বসতে চাও তাহলে বসো।

হুসাইন ইবন নসর (রাহঃ) ….. হাসান ইবন আল-হুরর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
1641 - بِمَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , وَأَبُو غَسَّانَ , وَاللَّفْظُ لِأَبِي نُعَيْمٍ , قَالَا: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ , عَنِ الْحَسَنِ بْنِ الْحُرِّ , قَالَ: حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ مُخَيْمِرَةَ , قَالَ: أَخَذَ عَلْقَمَةُ بِيَدَيَّ فَحَدَّثَنِي: أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَخَذَ بِيَدِهِ , وَأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ بِيَدِهِ وَعَلَّمَهُ التَّشَهُّدَ , فَذَكَرَ التَّشَهُّدَ عَلَى مَا ذَكَرْنَا عَنْ عَبْدِ اللهِ فِي بَابِ التَّشَهُّدِ. وَقَالَ: «فَإِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ , أَوْ قَضَيْتَ هَذَا فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُكَ , إِنْ شِئْتَ أَنْ تَقُومَ فَقُمْ، وَإِنْ شِئْتَ أَنْ تَقْعُدَ فَاقْعُدْ»

1642 - حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ , قَالَ: ثنا زُهَيْرٌ , قَالَ: ثنا الْحَسَنُ بْنُ الْحُرِّ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৪৩
সালাতে সালাম ফরয না সুন্নত ?
১৬৪৩। ইবরাহীম ইব্‌ন আবু দাউদ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্‌ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে তাশাহ্হুদের উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, তাশাহ্হুদ ব্যতীত সালাত হবে না। বস্তুত আমরা রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) -এর যে উক্তি উল্লেখ করেছি তাঁরা তা রিওয়ায়াত করেছেন। তারপর তাঁরা আব্দুল্লাহ্‌ ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর সেই উক্তি রিওয়ায়াত করেছেন।
1643 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْمُقَدَّمِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو مَعْشَرٍ الْبَرَاءُ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ ذَكَرَ التَّشَهُّدَ , وَقَالَ: «لَا صَلَاةَ إِلَّا بِتَشَهُّدٍ» فَرَوَوْا مَا ذَكَرْنَا مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ رَوَوْا مِنْ قَوْلِ عَبْدِ اللهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৪৪
সালাতে সালাম ফরয না সুন্নত ?
১৬৪৪। সুলায়মান ইবন শুআইব (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ তাশাহ্হুদ হলো সালাতের পূর্ণতার কারণ, আর সালাম হলো সালাতের পূর্ণতার ঘোষক।
তারপর (দলীল হিসাবে) রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম থেকে এরূপও বর্ণিত আছে, যার দ্বারা বুঝা যায় যে, সালাম পরিত্যাগ করা সালাতকে বিনষ্ট করে না। আর সে হাদীসটি হচ্ছেঃ (একদা) রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) যুহরের সালাত পাঁচ রাক'আত আদায় করলেন কিন্তু সালাম ফিরাননি। যখন তাঁকে এ ব্যাপারে অবহিত করা হলো তখন তিনি নিজ পা বিছিয়ে দু'সিজ্দা (সাহ্উ) করে নিলেন।
1644 - مَا حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَسَّانٍ , قَالَ: ثنا أَبُو وَكِيعٍ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: «التَّشَهُّدُ انْقِضَاءُ الصَّلَاةِ , وَالتَّسْلِيمُ إِذْنٌ بِانْقِضَائِهَا» ثُمَّ قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ تَرْكَ السَّلَامِ غَيْرُ مُفْسِدٍ لِلصَّلَاةِ , وَهُوَ
«أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ خَمْسًا، فَلَمْ يُسَلِّمْ، فَلَمَّا أُخْبِرَ بِصَنِيعِهِ فَثَنَى رِجْلَهُ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৪৫
সালাতে সালাম ফরয না সুন্নত ?
১৬৪৫। রবীউল মু'আযযিন (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্‌ ইব্ন মাসউদ রো) সূত্রে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হলো যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) সালামের পূর্বে সালাত বহির্ভূত এক রাক'আত সালাতের ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এটি সালাতের জন্য বিনষ্টকর মনে করেননি। যদি এটিকে সালাতের জন্য বিনষ্টকর মনে করতেন তাহলে অবশ্যই সেই সালাত পুন আদায় করতেন।
যখন তা পুন আদায় করেননি এবং তা থেকে সালাম ফিরানো ব্যতীত পঞ্চম রাক'আতের দিকে বের
হয়ে গেছেন, এতে প্রমাণিত হয় যে, সালাম সালাতের রুকনের অন্তর্ভুক্ত নয়। তুমি কি লক্ষ্য করনি
যে, কেউ যদি সিজদা পরিত্যাগ করে পঞ্চম রাক'আতের জন্য উঠে যান তাহলে এটি তার চার
রাক'আতকে বিনষ্ট করে দেয়। যেহেতু তিনি এগুলোর বহির্ভূত বস্তুকে এগুলোর সাথে মিশ্রিত করে
দিয়েছেন। অতএব যদি সালাতের সিজ্দার ন্যায় সালাম ফরয হতো তাহলে এ বিধানও অনুরূপ
হতো । কিন্তু তা এর থেকে ভিন্ন, বরং এটি (সালাম) সুন্নত (ওয়াজিব) ।

এর দলীল হিসাবে আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকেও বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বলেছেঃ যখন তোমাদের কেউ সালাত আদায় করে এবং তার সন্দেহ হয়ে যায় যে, তিন রাক'আত পড়েছে, না চার রাক'আত, তাহলে নিশ্চিত এর উপর ভিত্তি করে সন্দেহকে পরিত্যাগ করবে । এখন তার সালাত যদি কম হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তা (সিজ্দা সাহউ'-এর সাথে) পূর্ণ করে ফেলেছে এবং সাহ্উ'র দু'সিজ্দা শয়তানকে লাঞ্ছিত করেছে। আর যদি তার সালাত পূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে অতিরিক্ত দু'সিজ্দা তার জন্য নকল হিসাবে গণ্য হবে।

রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) অতিরিক্ত পঞ্চম রাক'আত এবং সাহ্উ'-এর দু'সিজ্দাকে নফল আখ্যায়িত করেছেন
এবং এর দ্বারা পূর্ববর্তী সালাতকে বিনষ্ট সাব্যস্ত করেননি। যদিও মুসল্লী অবশ্যই সালাত থেকে পঞ্চম
রাক'আতের দিকে বের হয়ে গিয়েছেন। অতএব এতে প্রমাণিত হলো যে, সালাম ব্যতীত সালাত পূর্ণ
হয়ে যায়। আর সালাতে সালাম ফিরানো হলো এর সুন্নত (ওয়াজিব), এর রুকন (ফরয) নয়।
বস্তুত এ বিষয়ে বর্ণিত হাদীসগুলোর অর্থগত বিশ্লেষণ ওই দলের অভিমতকে প্রমাণিত করে যারা
বলেন, তাশাহ্হুদ পরিমাণ না বসলে সালাতপূর্ণ হবে না। যেহেতু রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) থেকে আলী (রাযিঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসে আমরা যা উল্লেখ করেছি তার সম্ভাবনা রয়েছে। আর আব্দুল্লাহ্‌ ইব্‌ন আমর (রাযিঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ)-এর হাদীস বিরোধপূর্ণ যা আমরা পূর্বে বর্ণনা করেছি। পক্ষান্তরে ইব্‌ন মাসউদ রো)-এর হাদীস এমন যার মধ্যে কোন বিরোধ নেই।

তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
বস্তুত সংশ্লিষ্ট বিষয়ের যুক্তিভিত্তিক প্রমাণ হচ্ছে, যারা বলেন যে, মুসল্লী যখন সালাতে শেষ সিজ্দা থেকে মাথা তুলবে, অবশ্যই তার সালাত পূর্ণ হয়ে যাবে । তাঁরা বলেছেঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, এ বৈঠকটি (শেষ বৈঠক) এরূপ যার মধ্যে তাশাহহুদ পড়া হয় এবং সালাত থেকে বের হওয়ার জন্য সালামও ফিরানো হয়। আর আমরা এর পূর্বে সালাতের মধ্যে প্রথম বৈঠক এর প্রতি লক্ষ্য করে দেখেছি যে, সেটিও এরূপ বৈঠক যাতে তাশাহহুদ পড়া হয় এবং সমস্ত আলিমদের ঐকমত্য রয়েছেও যে, প্রথম বৈঠক এবং এর তাশাহ্হুদ সালাতের রুকন তথা ফরয নয়, বরং এটি সালাতের সুন্নত (ওয়াজিব)।
পক্ষান্তরে শেষ বৈঠকের ব্যাপারে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। অতএব আমাদের বর্ণনা মতে যুক্তি হচ্ছে যে, এটি-ও প্রথম বৈঠকের ন্যায় সুন্নত (ওয়াজিব) হবে এবং এর মধ্যে যা কিছু করা হয় তা সুন্নত (ওয়াজিব) হবে। যেমনিভাবে প্রথম বৈঠক এবং এর মধ্যে যা কিছু করা হয় সুন্নত (ওয়াজিব) ছিলো।
অনুরূপভাবে আমরা সমস্ত সালাতের কিয়াম (দাঁড়ানো), রুকু ও সিজদা ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য করেছি যে, সবই একরকম (অর্থাৎ ফরয)।
অতএব আমরা যা বর্ণনা করেছি সে মতে যুক্তি হচ্ছে যে, সালাতের সমস্ত বৈঠক গুলোর (বিধান) ও একই রকম হবে (অর্থাৎ ফরয না হওয়া)।

দ্বিতীয় দলের পক্ষ থেকে উপরোক্ত যুক্তিভিত্তিক দলীলের উত্তর
তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাপর আলিমগণ দলীল পেশ করে বলেছেনঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, কেউ যদি ভুলে প্রথম বৈঠক না করে পরিপূর্ণরূপে দাঁড়িয়ে যায় তাহলে বৈঠকের দিকে ফিরে আসার নির্দেশ দেয়া হয় না বরং তার কিয়াম-এর উপর অটল থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। আবার লক্ষ্য করছি যে, কেউ যদি শেষ বৈঠক না করে ভুলে পরিপূর্ণরূপে দাঁড়িয়ে যায় তাহলে তাকে বৈঠকের দিকে ফিরে আসার নির্দেশ দেয়া হয়। আলিমগণ বলেছেনঃ যে বৈঠক থেকে দাঁড়ানোর পরে এর দিকে ফিরে আসার নির্দেশ দেয়া হয় এটি ফরয হিসাবে বিবেচিত হবে। আর যে বৈঠক থেকে দাঁড়ানোর পরে এর দিকে ফিরে আসার নির্দেশ দেয়া হয় না তা ফরযরূপে বিবেচিত হবে না। তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, কেউ যদি তার সালাতের সিজদা ছেড়ে দিয়ে পরিপূর্ণরূপে দাঁড়িয়ে যায় তাহলে তাকে সিজদার দিকে ফিরে আসার নির্দেশ রয়েছে। যেহেতু সে দাঁড়িয়ে ফরযকে পরিত্যাগ করেছে এজন্য তাকে সিজ্দার দিকে ফিরে আসার নির্দেশ দেয়া হয়। অনুরূপভাবে শেষ বৈঠক, যখন- তা ছেড়ে দিলে এর দিকে ফিরে আসার নির্দেশ দেয়া হয় এতেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, এটি ফরয, যদি এটি ফরয না হতো তাহলে এর দিকে ফিরে আসার নির্দেশ দেয়া হতো না। যেমনি নির্দেশ দেয়া হয় না প্রথম বৈঠকের দিকে ফিরে আসার।

প্রথম দলের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দলের উত্তরের সমালোচনাঃ তাদের উত্তরের বিরুদ্ধে অপরাপর আলিমদের দলীল হচ্ছেঃ যে ব্যক্তি প্রথম বৈঠক থেকে পরিপূর্ণরূপে দাঁড়িয়ে যায় তাকে তার কিয়ামের
উপর অবিচল থাকার নির্দেশ দেয়া হয় এবং সে তার বৈঠকের দিকে ফিরে আসবে না। এর কারণ হচ্ছেঃ সে এরূপ বৈঠক থেকে দাঁড়িয়ে গিয়েছে যা ফরয নয় আর এরূপ কিয়ামের মধ্যে প্রবেশ করেছে যা ফরয। এজন্যই তাকে ফরয পরিত্যাগ করে ফরয নয় এমন কাজের দিকে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ দেয়া হয় না। বরং তাকে ফরযের উপর অটল থেকে তা পূর্ণ করার নির্দেশ দেয়া হয়। আর যদি সে প্রথম বৈঠক ছেড়ে পরিপূর্ণরূপে দাঁড়িয়ে না যায়, তাহলে তাকে বৈঠকের দিকে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ রয়েছে। যেহেতু যখন পূর্ণরূপে না দাঁড়ায় তখন সে ফরযের মধ্যে প্রবেশ করেনি। এজন্য তাকে এমন কাজ থেকে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ রয়েছে, যা সুন্নত (ওয়াজিব) ও নয় এবং ফরঘও নয় এরূপ বৈঠকের দিকে, যা সুন্নত (ওয়াজিব)। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি শেষ বৈঠক ছেড়ে দিয়ে পরিপূর্ণরূপে দাঁড়িয়ে যায়, সে ওয়াজিব কিংবা ফরযের মধ্যে প্রবেশ করেনি । আর সে অবশ্যই এমন বৈঠক থেকে দাঁড়িয়ে গিয়েছে যা ওয়াজিব। এজন্য তাকে এর দিকে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ রয়েছে এবং এমন সালাত অব্যাহত রাখা পরিহার করার কথা বলা হয়েছে, যা ওয়াজিবও নয় এবং ফরযও নয় । যেমন সে ব্যক্তির জন্য হুকুম রয়েছে, যে প্রথম বৈঠক ছেড়ে পরিপূর্ণরূপে দাঁড়ায়নি, ফলে সে ফরযের মধ্যে দাখিল হয়নি। তাই সে এ অবস্থা থেকে বৈঠকের দিকে প্রত্যাবর্তন করবে, যা ওয়াজিব। অতএব যে ব্যক্তি শেষ বৈঠক ছেড়ে উঠে গিয়ে পরিপূর্ণরূপে দাঁড়ায়নি, তার জন্য হুকুম রয়েছে যে, সে বৈঠকের দিকে প্রত্যাবর্তন করবে। ব্যাপারটি সে রকম নয়, যা অপরাপর আলিমগণ বলেছেন।

আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেছেনঃ এ বিষয়ে আমাদের নিকট এটি-ই হচ্ছে যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ। এমনটি নয় যা অপরাপর আলিমগণ বলেছেন। (অর্থাৎ যারা শেষ বৈঠক ফরয হওয়াকে স্বীকার করেন
না) কিন্তু আবু হানীফা রে), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) এ বিষয়ে তাঁদের অভিমতই গ্রহণ করেছেন যারা বলেন শেষ বৈঠক তাশাহহুদ পরিমাণ সালাতের রুকন, তথা ফরযের অন্তর্ভুক্ত। বস্তুত তাঁরা এ বিষয়ে যা বলেছেন পূর্ববর্তী আলিমদের থেকে কেউ কেউ অনুরূপ বলেছেন। যেমনঃ
1645 -كَمَا حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَسَّانٍ قَالَ: ثنا وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ مَنْصُورِ بْنِ الْمُعْتَمِرِ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ عَلْقَمَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ. فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ أَدْخَلَ فِي الصَّلَاةِ رَكْعَةً مِنْ غَيْرِهَا قَبْلَ السَّلَامِ , وَلَمْ يَرَ ذَلِكَ مُفْسِدًا لِلصَّلَاةِ , وَلَوْ رَآهُ مُفْسِدًا لَهَا إِذًا لَأَعَادَهَا فَلَمَّا لَمْ يُعِدْهَا , وَقَدْ خَرَجَ مِنْهَا إِلَى الْخَامِسَةِ لَا بِتَسْلِيمٍ , دَلَّ ذَلِكَ أَنَّ السَّلَامَ لَيْسَ مِنْ صُلْبِهَا. أَلَا تَرَى أَنَّهُ لَوْ كَانَ جَاءَ بِالْخَامِسَةِ , وَقَدْ بَقِيَ عَلَيْهِ مِمَّا قَبْلَهَا سَجْدَةٌ , كَانَ ذَلِكَ مُفْسِدًا لِلْأَرْبَعِ , لِأَنَّهُ خَلَطَهُنَّ بِمَا لَيْسَ مِنْهُنَّ فَلَوْ كَانَ السَّلَامُ وَاجِبًا كَوُجُوبِ سُجُودِ الصَّلَاةِ , لَكَانَ حُكْمُهُ أَيْضًا كَذَلِكَ , وَلَكِنَّهُ بِخِلَافِهِ فَهُوَ سُنَّةٌ. وَقَدْ رُوِيَ أَيْضًا فِي حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلَمْ يَدْرِ أَثَلَاثًا صَلَّى أَمْ أَرْبَعًا فَلْيَبْنِ عَلَى الْيَقِينِ وَيَدَعِ الشَّكَّ , فَإِنْ كَانَتْ صَلَاتُهُ نَقَصَتْ , فَقَدْ أَتَمَّهَا , وَكَانَتِ السَّجْدَتَانِ تُرْغِمَانِ الشَّيْطَانَ , وَإِنْ كَانَتْ صَلَاتُهُ تَامَّةً , كَانَ مَا زَادَ وَالسَّجْدَتَانِ لَهُ نَافِلَةً» . فَقَدْ جَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْخَامِسَةَ الزَّائِدَةَ وَالسَّجْدَتَيْنِ اللَّتَيْنِ لِلسَّهْوِ تَطَوُّعًا , وَلَمْ يَجْعَلْ مَا تَقَدَّمَ مِنَ الصَّلَاةِ بِذَلِكَ فَاسِدًا وَإِنْ كَانَ الْمُصَلِّي قَدْ خَرَجَ مِنْهَا إِلَيْهِ , فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الصَّلَاةَ تَتِمُّ بِغَيْرِ تَسْلِيمٍ وَأَنَّ التَّسْلِيمَ مِنْ سُنَنِهَا لَا مِنْ صُلْبِهَا. فَكَانَ تَصْحِيحُ مَعَانِي الْآثَارِ فِي هَذَا الْبَابِ يُوجِبُ مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ الَّذِينَ قَالُوا: لَا تَتِمُّ الصَّلَاةُ حَتَّى يَقْعُدَ مِقْدَارَ التَّشَهُّدِ لِأَنَّ حَدِيثَ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِ احْتَمَلَ مَا ذَكَرْنَا وَاخْتُلِفَ فِي حَدِيثِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مَا وَصَفْنَا وَأَمَّا حَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ فَهُوَ الَّذِي لَمْ يُخْتَلَفْ فِيهِ. وَأَمَّا وَجْهُ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّ الَّذِينَ قَالُوا: إِنَّهُ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ آخِرِ سَجْدَةٍ مِنْ صَلَاتِهِ , فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُهُ. قَالُوا: رَأَيْنَا هَذَا الْقُعُودَ قُعُودَ التَّشَهُّدِ وَفِيهِ ذِكْرٌ يُتَشَهَّدُ بِهِ وَتَسْلِيمٌ يُخْرَجُ بِهِ مِنَ الصَّلَاةِ , وَقَدْ رَأَيْنَا قَبْلَهُ فِي الصَّلَاةِ قُعُودًا فِيهِ ذِكْرٌ يُتَشَهَّدُ بِهِ. فَكُلٌّ قَدْ أَجْمَعَ أَنَّ ذَلِكَ الْقُعُودَ الْأَوَّلَ , وَمَا فِيهِ مِنَ الذِّكْرِ , لَيْسَ هُوَ مِنْ صُلْبِ الصَّلَاةِ , بَلْ هُوَ مِنْ سُنَنِهَا. وَاخْتُلِفَ فِي الْقُعُودِ الْأَخِيرِ فَالنَّظَرُ عَلَى مَا ذَكَرْنَا أَنْ يَكُونَ كَالْقُعُودِ الْأَوَّلِ , وَيَكُونُ مَا فِيهِ كَمَا فِي الْقُعُودِ الْأَوَّلِ , فَيَكُونُ سُنَّةً , وَكُلُّ مَا يُفْعَلُ فِيهِ سُنَّةٌ كَمَا كَانَ الْقُعُودُ الْأَوَّلُ سُنَّةً , وَكُلُّ مَا يُفْعَلُ فِيهِ سُنَّةٌ , وَقَدْ رَأَيْنَا الْقِيَامَ الَّذِي فِي كُلِّ الصَّلَاةِ وَالرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ الَّذِي فِيهَا أَيْضًا كُلَّهُ كَذَلِكَ فَالنَّظَرُ عَلَى مَا ذَكَرْنَا أَنْ يَكُونَ الْقُعُودُ فِيهَا أَيْضًا كُلُّهُ كَذَلِكَ. فَلَمَّا كَانَ بَعْضُهُ بِاتِّفَاقِهِمْ سُنَّةً كَانَ مَا بَقِيَ مِنْهُ كَذَلِكَ أَيْضًا فِي النَّظَرِ. وَاحْتَجَّ عَلَيْهِمُ الْآخَرُونَ فَقَالُوا: قَدْ رَأَيْنَا الْقُعُودَ الْأَوَّلَ مَنْ قَامَ عَنْهُ سَاهِيًا فَاسْتَتَمَّ قَائِمًا أُمِرَ بِالْمُضِيِّ فِي قِيَامِهِ وَلَمْ يُؤْمَرْ بِالرُّجُوعِ إِلَى الْقُعُودِ , وَقَدْ رَأَيْنَا مَنْ قَامَ مِنَ الْقُعُودِ الْآخِرِ سَاهِيًا حَتَّى اسْتَتَمَّ قَائِمًا أُمِرَ بِالرُّجُوعِ إِلَى قُعُودِهِ. قَالُوا فَمَا يُؤْمَرُ بِالرُّجُوعِ إِلَيْهِ بَعْدَ الْقِيَامِ عَنْهُ فَهُوَ الْفَرْضُ , وَمَا لَا يُؤْمَرُ بِالرُّجُوعِ إِلَيْهِ بَعْدَ الْقِيَامِ عَنْهُ , فَلَيْسَ ذَلِكَ بِفَرْضٍ. أَلَا تَرَى أَنَّ مَنْ قَامَ وَعَلَيْهِ سَجْدَةٌ مِنْ صَلَاتِهِ حَتَّى اسْتَتَمَّ قَائِمًا أُمِرَ بِالرُّجُوعِ إِلَى مَا قَامَ عَنْهُ لِأَنَّهُ قَامَ فَتَرَكَ فَرْضًا فَأُمِرَ بِالْعَوْدِ إِلَيْهِ , وَكَذَلِكَ الْقُعُودُ الْأَخِيرُ , لَمَّا أُمِرَ الَّذِي قَامَ عَنْهُ بِالرُّجُوعِ إِلَيْهِ كَانَ ذَلِكَ دَلِيلًا أَنَّهُ فَرْضٌ , وَلَوْ كَانَ غَيْرَ فَرْضٍ إِذًا لَمَا أُمِرَ بِالرُّجُوعِ إِلَيْهِ كَمَا لَمْ يُؤْمَرْ بِالرُّجُوعِ إِلَى الْقُعُودِ الْأَوَّلِ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ لِلْآخَرِينَ أَنَّهُ إِنَّمَا أُمِرَ الَّذِي قَامَ مِنَ الْقُعُودِ الْأَوَّلِ حَتَّى اسْتَتَمَّ قَائِمًا بِالْمُضِيِّ فِي قِيَامِهِ , وَأَنْ لَا يَرْجِعَ إِلَى قُعُودِهِ ; لِأَنَّهُ قَامَ مِنْ قُعُودٍ غَيْرِ فَرْضٍ فَدَخَلَ فِي قِيَامٍ فَرْضٍ فَلَمْ يُؤْمَرْ بِتَرْكِ الْفَرْضِ وَالرُّجُوعِ إِلَى غَيْرِ الْفَرْضِ وَأُمِرَ بِالتَّمَادِي عَلَى الْفَرْضِ حَتَّى يُتِمَّهُ. فَكَانَ لَوْ قَامَ عَنِ الْقُعُودِ الْأَوَّلِ فَلَمْ يَسْتَتِمَّ قَائِمًا أُمِرَ بِالْعَوْدِ إِلَى الْقُعُودِ لِأَنَّهُ مَا لَمْ يَسْتَتِمَّ قَائِمًا فَلَمْ يَدْخُلْ فِي فَرْضٍ فَأُمِرَ بِالْعَوْدِ مِمَّا لَيْسَ بِسُنَّةٍ وَلَا فَرْضٍ إِلَى الْقُعُودِ الَّذِي هُوَ سُنَّةٌ , وَكَانَ يُؤْمَرُ بِالْعَوْدِ مِمَّا لَيْسَ بِسُنَّةٍ وَلَا فَرِيضَةٍ إِلَى مَا هُوَ سُنَّةٌ , وَيُؤْمَرُ بِالْعَوْدِ مِنَ السُّنَّةِ إِلَى مَا هُوَ فَرِيضَةٌ , وَكَانَ الَّذِي قَامَ مِنَ الْقُعُودِ الْأَخِيرِ حَتَّى اسْتَتَمَّ قَائِمًا دَاخِلًا لَا فِي سُنَّةٍ وَلَا فِي فَرِيضَةٍ وَقَدْ قَامَ مِنْ قُعُودٍ هُوَ سُنَّةٌ فَأُمِرَ بِالْعَوْدِ إِلَيْهِ وَتَرْكِ التَّمَادِي فِيمَا لَيْسَ بِسُنَّةٍ وَلَا فَرِيضَةٍ. كَمَا أُمِرَ الَّذِي قَامَ مِنَ الْقُعُودِ الْأَوَّلِ الَّذِي هُوَ سُنَّةٌ فَلَمْ يَسْتَتِمَّ قَائِمًا فَيَدْخُلَ فِي الْفَرِيضَةِ أَنْ يَرْجِعَ مِنْ ذَلِكَ إِلَى الْقُعُودِ الَّذِي هُوَ سُنَّةٌ فَلِهَذَا أُمِرَ الَّذِي قَامَ مِنَ الْقُعُودِ الْأَخِيرِ حَتَّى اسْتَتَمَّ قَائِمًا بِالرُّجُوعِ إِلَيْهِ لَا لِمَا ذَهَبَ إِلَيْهِ الْآخَرُونَ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ عِنْدَنَا فِي هَذَا الْبَابِ لَا مَا قَالَ الْآخَرُونَ. وَلَكِنَّ أَبَا حَنِيفَةَ , وَأَبَا يُوسُفَ , وَمُحَمَّدًا , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى , ذَهَبُوا فِي ذَلِكَ إِلَى قَوْلِ الَّذِينَ قَالُوا: إِنَّ الْقُعُودَ الْأَخِيرَ مِقْدَارَ التَّشَهُّدِ مِنْ صُلْبِ الصَّلَاةِ لِأَنَّهُ ثَبَتَ بِالنَّصِّ كَمَا ذَكَرْنَا. وَقَدْ قَالَ بَعْضُ الْمُتَقَدِّمِينَ بِمَا قَالُوا مِنْ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৪৬
সালাতে সালাম ফরয না সুন্নত ?
১৬৪৬। বকর ইব্‌ন ইদ্রিস (রাহঃ)..... হাসান আল-বসরী (রাহঃ) থেকে সেই ব্যক্তির ব্যাপারে বর্ণনা করেন, শেষ সিজ্দা থেকে মাথা উঠানোর পরে যার উযূ ভঙ্গ হয়েছে এ সম্পর্কে তিনি বলেছেনঃ তার সালাত বিশুদ্ধ হবে না যতক্ষণ না সে তাশাহ্হুদ পড়বে অথবা তাশাহ্হদ পরিমাণ বসবে।
1646 - حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ إِدْرِيسَ , قَالَ: ثنا آدَمُ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ يُونُسَ , عَنِ الْحَسَنِ فِي الرَّجُلِ يُحْدِثُ بَعْدَ مَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ آخِرِ السَّجْدَةِ فَقَالَ: «لَا يُجْزِيهِ حَتَّى يَتَشَهَّدَ أَوْ يَقْعُدَ قَدْرَ التَّشَهُّدِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৪৭
সালাতে সালাম ফরয না সুন্নত ?
১৬৪৭। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... ইব্ন জুরাইজ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আতা রে) বলতেনঃ যখন কেউ এই বলে - السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عَبَّادِ اللهِ الصَّالِحِينَ
‎শেষ তাশাহহুদ পূর্ণ করে, তারপর তার উযু ভঙ্গ হয়ে যায়; যদিও সে ডানে এবং বামে সালাম ফিরায়নি, (তারপর তিনি নিম্নের অর্থবোধক বাক্যের উল্লেখ করেছেন)ঃ “অবশ্যই তার সালাত পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে” অথবা বলেছেন, “সালাতের দিকে তাকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে না”।
1647 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ سَابِقٍ الرَّشِيدِيُّ، قَالَ: ثنا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: كَانَ عَطَاءٌ يَقُولُ: " إِذَا قَضَى الرَّجُلُ التَّشَهُّدَ الْأَخِيرَ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عَبَّادِ اللهِ الصَّالِحِينَ فَأَحْدَثَ. وَإِنْ لَمْ يَكُنْ سَلَّمَ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ فَذَكَرَ كَلَامًا مَعْنَاهُ: فَقَدْ مَضَتْ صَلَاتُهُ , أَوْ قَالَ: فَلَا يَعُودُ إِلَيْهَا "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান