শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৫৩৬
২৮- সালাতে বসার বিবরণ, কিভাবে বসবে?
১৫৩৬। ইউনুস ইবনে আব্দুল আলা (রাহঃ) ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, কাসিম
ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) তাদেরকে বসার অবস্থা দেখিয়েছেন। তিনি ডান পা খাড়া করে দিয়েছিলেন এবং
বাম পা বিছিয়ে দিয়েছিলেন। আর বাম নিতম্বের উপর বসেছিলেন; উভয় পায়ের উপর বসেন নাই।
তারপর তিনি বলেছিলেন ঃ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাহঃ) এটি আমাকে দেখিয়েছেন এবং
আমার নিকট তিনি বর্ণনা করেছেন যে, তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) এরূপ করতেন।
بَابٌ صِفَةُ الْجُلُوسِ فِي الصَّلَاةِ , كَيْفَ هُوَ؟
1536 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ: أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ أَرَاهُمُ الْجُلُوسَ فَنَصَبَ رِجْلَهُ الْيُمْنَى وَثَنَى رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَجَلَسَ عَلَى وَرِكِهِ الْيُسْرَى وَلَمْ يَجْلِسْ عَلَى قَدَمَيْهِ ثُمَّ قَالَ: أَرَانِي هَذَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ وَحَدَّثَنِي أَنَّ أَبَاهُ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫৩৭
সালাতে বসার বিবরণ, কিভাবে বসবে?
১৫৩৭। ইউনুস (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
তাকে অবহিত করেছেন যে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) কে সালাতের মাঝে আসন গেড়ে
বসতে দেখতেন। তিনি বলেছেন, আমি একদিন ঐ রকম করি। তখন আমি অল্পবয়স্ক বালক।
আমাকে আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমার (রাযিঃ) এরূপ করতে নিষেধ করেন। এবং বলেনঃ সালাতের সুন্নত
হলাে- তােমার ডান পা খাড়া করে দেয়া এবং বাম পা বিছিয়ে দেয়া। আমি তাকে বললাম, আপনি
তাে এমনটি করছেন, তিনি বলেন- আমার পা আমাকে বহন করতে সক্ষম নয়।
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন ঃ একদল আলিম বলেছেন যে, সালাতের সমস্ত বৈঠকে ডান পা
খাড়া করে বাম পা বিছিয়ে দিবে এবং যমীনের উপর বসে পড়বে। তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দলীল হিসাবে
ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত বসা সংক্রান্ত হাদীস পেশ করেন, এবং তারা দলীল হিসাবে
আব্দুর রহমান ইবনুল কাসিম (রাহঃ)-এর হাদীসে উল্লিখিত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর উক্তিকে
পেশ করেন। উক্তিটি হলাে, 'এরূপ বসা সালাতের সুন্নত।'
আলিমগণ বলেন, সুন্নত শুধুমাত্র রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে হয়ে থাকে।
পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের সাথে ভিন্নমত পােষণ করেছেন। তারা
বলেছেনঃ সালাতের শেষ বৈঠকে তােমরা যা উল্লেখ করেছ সেরূপই বটে। কিন্তু সালাতের প্রথম
বৈঠকে বাম পা বিছিয়ে এর উপর বসবে।
প্রথম দলের আলিমগণের দলীলের উত্তরঃ আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রাযিঃ)-এর যে উক্তি “সালাতের
সুন্নত” বস্তুত হাদীসে উল্লেখ নেই যে এটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে তিনি উদ্ধৃত করেছেন। সম্ভবত এটি
তার নিজস্ব অভিমত, অথবা এটিকে তিনি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) -এর পরবর্তী কোন সাহাবীর আমল থেকে
গ্রহণ করেছেন। যেহেতু রাসুলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবীর আমলকে সুন্নত আখ্যায়িত করেছেন, যেমন
বলেছেনঃ “আমার সুন্নত এবং আমার পরবর্তী হিদায়াত প্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদ্বীনের সুন্নতকে
দৃঢ়ভাবে আঁকড়িয়ে ধর।” (অনুরূপভাবে) রাবিআ যখন সাঈদ ইবনুল-মুসাইইব (রাহঃ)-কে নারীর
আঙ্গুলের দিয়ত সম্পর্কে প্রশ্ন করেছেন তখন তিনি বলেছিলেন, এটি সুন্নত। অথচ এটি একমাত্র
যায়দ ইব্‌ন সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে। এখানে সাঈদ (রাহঃ) যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এর উক্তি
কে সুন্নত আখ্যায়িত করেছেন। অনুরূপভাবে সম্ভবত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) এটাকেও সুন্নত আখ্যায়িত করেছেন। যদিও তার কাছে এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে কোন কিছু বর্ণিত নাও হয়ে থাকে।


দ্বিতীয় উত্তর

আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) সালাতের মধ্যে বসার বিবরণ দেখিয়েছেন। যা তার উল্লিখিত হাদীসে
বর্ণিত হয়েছে। আব্দুর রহমান ইবনুল কাসিম (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকে
উল্লেখ করেছেন যে, যখন তিনি তাকে বললেন, “আপনি তাে অনুরূপ করছেন।” তখন তিনি
বলেছেন, আমার উভয় পা আমাকে বহন করতে সক্ষম নয়। বস্তুত এর অর্থ হচ্ছে, যদি উভয় পা
আমাকে বহন করতে সক্ষম হতাে, তাহলে একটি খাড়া করে দিয়ে অপরটির উপর বসতাম। যেহেতু
তিনি উভয় পায়ের উল্লেখ করায় এটি বুঝা যায় না যে একটি অপরটিকে বাদ দিয়ে ব্যবহার করতেন,
বরং উভয়টি ব্যবহার করতেন। এভাবে যে একটির উপর বসতেন আর অপরটি খাড়া করে দিতেন।
অতএব এটি ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসের বিষয়বস্তুর পরিপন্থী।
এ বিষয়ে আবু হুমায়দ আস সাইদী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন, যা নিম্নরূপ :
1537 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، كَانَ يَرَى عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَتَرَبَّعُ فِي الصَّلَاةِ إِذَا جَلَسَ قَالَ: فَفَعَلْتُهُ يَوْمَئِذٍ وَأَنَا حَدِيثُ السِّنِّ فَنَهَانِي عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ وَقَالَ: " إِنَّمَا سُنَّةُ الصَّلَاةِ أَنْ تَنْصِبَ رِجْلَكَ الْيُمْنَى وَتَثْنِيَ الْيُسْرَى فَقُلْتُ لَهُ: فَإِنَّكَ تَفْعَلُ ذَلِكَ فَقَالَ: إِنَّ رِجْلَيَّ لَا تَحْمِلَانِي " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْقُعُودَ فِي الصَّلَاةِ كُلِّهَا أَنْ يَنْصِبَ الرَّجُلُ رِجْلَهُ الْيُمْنَى وَيَثْنِيَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَيَقْعُدَ بِالْأَرْضِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا وَصَفَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ فِي حَدِيثِهِ مِنَ الْقُعُودِ وَبِقَوْلِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ إِنَّ ذَلِكَ سُنَّةُ الصَّلَاةِ، قَالُوا: وَالسُّنَّةُ لَا تَكُونُ إِلَّا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ وَقَالُوا: أَمَّا الْقُعُودُ فِي آخِرِ الصَّلَاةِ فَكَمَا ذَكَرْتُمْ وَأَمَّا الْقُعُودُ فِي التَّشَهُّدِ الْأَوَّلِ مِنْهَا فَعَلَى الرِّجْلِ الْيُسْرَى وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ فِيمَا احْتَجَّ بِهِ عَلَيْهِمُ الْفَرِيقُ الْأَوَّلُ أَنَّ قَوْلَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا إِنَّ سُنَّةَ الصَّلَاةِ، فَذَكَرَ مَا فِي الْحَدِيثِ لَا يَدُلُّ ذَلِكَ أَنَّهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ رَأَى ذَلِكَ أَوْ أَخَذَهُ مِمَّنْ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «عَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ بَعْدِي» , وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ لَمَّا سَأَلَهُ رَبِيعَةُ , عَنْ أُرُوشِ أَصَابِعِ الْمَرْأَةِ «إِنَّهَا السُّنَّةُ يَا ابْنَ أَخِي» وَلَمْ يَكُنْ مَخْرَجُ ذَلِكَ إِلَّا عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ فَسَمَّى سَعِيدٌ قَوْلَ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ سُنَّةً فَكَذَلِكَ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا سَمَّى مِثْلَ ذَلِكَ أَيْضًا سُنَّةً وَإِنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ فِي ذَلِكَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْءٌ. وَفِي ذَلِكَ حُجَّةٌ أُخْرَى أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبْدِ اللهِ أَرَى الْقَاسِمَ الْجُلُوسَ فِي الصَّلَاةِ عَلَى مَا فِي حَدِيثِهِ وَذَكَرَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنْ أَبِيهِ لَمَّا قَالَ لَهُ: فَإِنَّكَ تَفْعَلُ ذَلِكَ فَقَالَ: إِنَّ رِجْلَايَ لَا تَحْمِلَانِي فَكَانَ مَعْنَى ذَلِكَ أَنَّهُمَا لَوْ حَمَلَتَانِي قَعَدْتُ عَلَى إِحْدَاهُمَا وَأَقَمْتُ الْأُخْرَى , لِأَنَّ ذِكْرَهُ لَهُمَا لَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ إِحْدَاهُمَا تُسْتَعْمَلُ دُونَ الْأُخْرَى وَلَكِنْ تُسْتَعْمَلَانِ جَمِيعًا , فَيَقْعُدُ عَلَى إِحْدَاهُمَا وَيَنْصِبُ الْأُخْرَى , فَهَذَا خِلَافُ مَا فِي حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ. وَقَدْ رَوَى أَبُو حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১৫৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৪১
সালাতে বসার বিবরণ, কিভাবে বসবে?
১৫৩৮-১৫৪১। আবু বাকারা (রাহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইবনে অমর ইবনে আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেনঃ আবু কাতাদা (রাযিঃ) সহ দশজন সাহাবীর এক সমাবেশে আমি আবু হুমায়দ আস সাইদী
(রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সালাত সম্পর্কে তােমাদের মধ্যে আমি অধিক অবহিত। তারা বললেন কেন, আল্লাহর কসম, আপনি তাে আমাদের অপেক্ষা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর অধিক অনুসারী নন এবং ইসলামে আমাদের তুলনায় অধিক প্রবীণও নন। তিনি বললেন, অবশ্যই আমি অধিক পরিজ্ঞাত। তাঁরা বললেন আচ্ছা তাহলে তা পেশ করুন তাে। তখন তিনি উল্লেখ করলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রথম বৈঠকে বাম পা বিছিয়ে দিয়ে এর উপর বসতেন। তারপর যখন সেই সিজদায় পৌছতেন যার শেষে সালাম রয়েছে (শেষ বৈঠকে) নিজের বাম পা বিছিয়ে দিতেন এবং বামপার্শ্ব (নিতম্ব) দিয়ে যমীনের উপর বসতেন। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তারা সকলে বললেন, আপনি যথার্থ বলেছেন।

আহমদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে ওয়াহব (রাহঃ) ইবনে লিহিআ (রাহঃ)-এর সূত্রে ..... আবু হুমায়দ
(রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি “তারপর তারা সকলে বললেন, আপনি যথার্থ বলেছেন” বাক্যটি বলেননি।

আবু হুসায়ন আল-ইসফাহানী (রাহঃ).... মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে হালহালা আল-দু'আলী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি অনুরূপ বিবরণ দিয়েছেন। বস্তুত এ হাদীসটি (উল্লিখিত) মতাবলম্বীদের মতের অনুকূলে রয়েছে। এ বিষয়ে অপরাপর আলিম ও ফকীহগণ ভিন্নমত পােষণ করে বলেছেনঃ প্রথম বৈঠকের ব্যাপারে দ্বিতীয় মত পােষণকারীদের মতের ন্যায় সালাতের সমস্ত বৈঠক একই রকম। (অর্থাৎ) ডান পা খাড়া করে বাম পা বিছিয়ে দিয়ে এর উপর বসে যাওয়া। তারা এ ব্যাপারে (নিম্নোক্ত) হাদীসসমূহ দ্বারা দলীল পেশ করেন ঃ
1538 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا حُمَيْدٍ السَّاعِدِيَّ فِي عَشَرَةٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَدُهُمْ أَبُو قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ: " أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: لِمَ فَوَاللهِ مَا كُنْتَ أَكْثَرَنَا لَهُ تَبْعَةً وَلَا أَقْدَمَنَا لَهُ صُحْبَةً , فَقَالَ: بَلَى , قَالُوا: فَاعْرِضْ فَذَكَرَ أَنَّهُ كَانَ فِي الْجِلْسَةِ الْأُولَى يَثْنِي رِجْلَهُ الْيُسْرَى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا حَتَّى إِذَا كَانَتِ السَّجْدَةُ الَّتِي يَكُونُ فِي آخِرِهَا التَّسْلِيمُ أَخَّرَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَقَعَدَ مُتَوَرِّكًا عَلَى شِقِّهِ الْأَيْسَرِ قَالَ فَقَالُوا جَمِيعًا: صَدَقْتَ "

1539 - وَمَا قَدْ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَهْبٍ قَالَ: ثنا عَمِّي عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيِّ وَيَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ ح قَالَ:

1540 - وَأَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ وَعَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ الْحَارِثِ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ , عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ فَقَالُوا جَمِيعًا صَدَقْتَ

1541 - حَدَّثَنِي أَبُو الْحُسَيْنِ الْأَصْبَهَانِيُّ هُوَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَخْلَدٍ قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ حَفْصٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ الدُّؤَلِيِّ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَهَذَا يُوَافِقُ مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَهْلُ هَذِهِ الْمَقَالَةِ. وَقَدْ خَالَفَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا آخَرُونَ فَقَالُوا: الْقُعُودُ فِي الصَّلَاةِ كُلِّهَا سَوَاءٌ عَلَى مِثْلِ الْقُعُودِ الْأَوَّلِ فِي قَوْلِ أَهْلِ الْمَقَالَةِ الثَّانِيَةِ يَنْصِبُ رِجْلَهُ الْيُمْنَى وَيَفْتَرِشُ رِجْلَهُ الْيُسْرَى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১৫৪২
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৪৪
সালাতে বসার বিবরণ, কিভাবে বসবে?
১৫৪২-১৫৪৪। সালিহ ইবনে আব্দুর রহমান (রাযিঃ) এবং রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাযিঃ)...... ওয়াইল ইবন হুজর্
আল-হাযরামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর পিছনে সালাত আদায় করলাম। আর মনে মনে ভাবলাম, আমি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সালাত লক্ষ্য করে দেখব। বর্ণনাকারী বলেন, যখন তিনি তাশাহ্হুদের জন্য বসলেন, তখন বাম পা বিছিয়ে দিলেন তারপর এর উপর বসলেন, এবং বাম উরুতে তার বাম হাতের তালু রাখলেন আর ডান উরুতে তার ডান হাত রাখলেন। তারপর আঙ্গুলগুলােকে বেঁধে বৃদ্ধাঙ্গুলি এবং মধ্যমা আঙ্গুলি দ্বারা বৃত্ত
(হালকা) বানিয়ে অপর আঙ্গুলি (শাহাদাত) দিয়ে ইশারা করে দু'আ করতে লাগলেন।


ফাহাদ ইবনে সুলায়মান (রাহঃ)...... আসিম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনিও অনুরূপ উল্লেখ
করেছেন।

আবু জাফর (তাহাবী র) বলেন ঃ অতএব এটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের মতের অনুকূলে রয়েছে।
পক্ষান্তরে ওয়াইল (রাযিঃ)-এর উক্তি “তারপর রাসূলুম্লাহ্ (ﷺ) নিজ আঙ্গুলি বেঁধে বৃত্ত বানিয়ে ইশারা করে দু'আ করতে লাগলেন।” থেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে, এটি সালাতের শেষ পর্যায়ে ছিল।
অতএব এ হাদীস এবং আবু হুমায়দ (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের মধ্যে বৈপরিত্য পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এজন্য আমরা উভয় হাদীসের বিশুদ্ধতা ও সনদগত যথার্থতা নিরূপণে যুক্তির নিরিখে দৃষ্টি দিতে প্রয়াস
পেয়েছি।

তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীলঃ

বস্তুত যখন ফাহাদ এবং ইয়াহইয়া ইবনে উসমান (রাহঃ)... মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে আতা (রাহঃ) থেকে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমার নিকট এক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর দশজন সাহাবীকে বসা অবস্থায় পেয়েছেন। তারপর তিনি আবু আসিম (ব) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।

আবু জাফর (তাহাবী র) বলেন ঃ আমাদের আলােচনা দ্বারা আবু হুমায়দ কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের
অসারতা প্রমাণিত হল। যেহেতু হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনে আমর (রাহঃ) একজন অজ্ঞাত পরিচয় বর্ণনাকারী
থেকে বর্ণনা করেছেন। হাদীস বিশারদগণ এরূপ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন না। অন্য পক্ষ যদি এ ব্যাপারে আপত্তি করে যে, আত্তাফ ইবনে খালিদ দুর্বল রাবী। অর্থাৎ তার রিওয়ায়াত দ্বারা আবু হুমায়দ সাঈদী (রাযিঃ) -এর রিওয়ায়াত কে দুর্বল বলা যাবে না, যেহেতু আত্তাফ ইবনে খালিদ নিজেই দুর্বল ও বিতর্কিত রাবী।
উত্তরে তাদেরকে বলা হবে যে, তােমরাও তাে- আত্তাফ ইবনে খালিদ অপেক্ষা আব্দুল হামিদ ইবনে
জাফরকে অধিক দুর্বল হিসাবে বিবেচনা করে থাক। অতএব তােমরা যদি আব্দুল হামিদ-এর
রিওয়ায়াত দ্বারা দলীল পেশ করতে পার, তাহলে আমরা আত্তাফ ইবনে খালিদ-এর রিওয়ায়াত দ্বারা
কেন দলীল দিতে পারব না ?
অথচ তােমরা আত্তাফের সমস্ত হাদীসকে অগ্রহণযােগ্য মনে কর না। তােমরা-ই বলে থাক যে, তার
প্রাথমিক যুগের সমস্ত হাদীস-ই বিশুদ্ধ ও নির্ভরযােগ্য। কিন্তু তার পরবর্তী যুগের হাদীসগুলােতে
কিছুটা দুর্বলতা ঢুকে গেছে। যেমনটি ইয়াহইয়া ইবন মাঈন (রাহঃ) তাঁর গ্রন্থে বলেছেন। বস্তুত আবু সালিহ্ (আব্দুল্লাহ ইবনে সালিহ্-র উপনাম) আত্তাফ (রাহঃ)-এর প্রাথমিক যুগের শিষ্য এবং তার থেকে
তিনি প্রাথমিক যুগে নিশ্চিতরূপে হাদীস শুনেছেন।
অতএব এটি ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন (রাহঃ) বর্ণিত তাঁর বিশুদ্ধ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত।
এতদসত্ত্বেও মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইব্‌ন আতা (রাহঃ)-এর বয়স এর ব্যাপারটি এমনটির সম্ভাবনা রাখে
না। এবং আব্দুল হামিদ ব্যতীত কেউ আবু হুমায়দ (রাযিঃ) থেকে যে মুহাম্মাদ ইবনে আমর হাদীস
শুনেছেন তা স্বীকার করেন না। অথচ আব্দুল হামিদ তােমাদের নিকট অত্যন্ত দুর্বল রাবী। পক্ষান্তরে
আবু হুমায়দ (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত আব্দুল হামিদ (রাহঃ)-এর অনুরূপ অপরাপর মুহাদ্দিসগণ
বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন এবং মুত্তাসিল (অবিচ্ছিন্ন) সনদ রূপে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তারা
বৈঠকের বিধান সম্পর্কে তার ন্যায় সবিস্তারে বর্ণনা করেননি।
বং তাদের রিওয়ায়াতগুলাে ওয়াইল ইবনে হুজর (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতের সদৃশ। অতএব তাদের
রিওয়ায়াতের মুকাবিলায় তাঁর রিওয়ায়াত দলীল হিসাবে গ্রহণযােগ্য হতে পারে না।

অপরাপর মুহাদ্দিসগণের রিওয়ায়াত
1542 - بِمَا حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَرَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ قَالَا: حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ الْجَرْمِيِّ , عَنْ أَبِيهِ عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ الْحَضْرَمِيِّ , قَالَ: " صَلَّيْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: لَأَحْفَظَنَّ صَلَاةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَلَمَّا قَعَدَ لِلتَّشَهُّدِ فَرَشَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى ثُمَّ قَعَدَ عَلَيْهَا وَوَضَعَ كَفَّهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى وَوَضَعَ مِرْفَقَهُ الْأَيْمَنَ عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى , ثُمَّ عَقَدَ أَصَابِعَهُ وَجَعَلَ حَلْقَةَ الْإِبْهَامِ وَالْوُسْطَى ثُمَّ جَعَلَ يَدْعُو بِالْأُخْرَى "

1543 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ، قَالَ: ثنا خَالِدٌ، عَنْ عَاصِمٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا يُوَافِقُ مَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ. وَفِي قَوْلِ وَائِلٍ , ثُمَّ عَقَدَ أَصَابِعَهُ يَدْعُو دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ كَانَ فِي آخِرِ الصَّلَاةِ فَقَدْ تَضَادَّ هَذَا الْحَدِيثُ وَحَدِيثُ أَبِي حُمَيْدٍ فَنَظَرْنَا فِي صِحَّةِ مَجِيئِهِمَا وَاسْتِقَامَةِ أَسَانِيدِهِمَا فَإِذَا فَهْدٌ وَيَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ قَدْ حَدَّثَانَا قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: ثنا يَحْيَى وَسَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ , قَالَا:

1544 - حَدَّثَنَا عَطَّافُ بْنُ خَالِدٍ , قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي رَجُلٌ أَنَّهُ وَجَدَ عَشَرَةً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جُلُوسًا فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي عَاصِمٍ سَوَاءً. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَقَدْ فَسَدَ بِمَا ذَكَرْنَا حَدِيثُ أَبِي حُمَيْدٍ ; لِأَنَّهُ صَارَ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو , عَنْ رَجُلٍ , وَأَهْلُ الْإِسْنَادِ لَا يَحْتَجُّونَ بِمِثْلِ هَذَا فَإِنْ ذَكَرُوا فِي ذَلِكَ ضَعْفَ الْعَطَّافِ بْنِ خَالِدٍ قِيلَ لَهُمْ: وَأَنْتُمْ أَيْضًا تُضَعِّفُونَ عَبْدَ الْحَمِيدِ أَكْثَرَ مِنْ تَضْعِيفِكُمْ لِلْعَطَّافِ مَعَ أَنَّكُمْ لَا تَطْرَحُونَ حَدِيثَ الْعَطَّافِ كُلَّهُ إِنَّمَا تَزْعُمُونَ أَنَّ حَدِيثَهُ فِي الْقَدِيمِ صَحِيحٌ كُلُّهُ وَأَنَّ حَدِيثَهُ بِآخِرِهِ قَدْ دَخَلَهُ شَيْءٌ. هَكَذَا قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ فِي كِتَابِهِ , فَأَبُو صَالِحٍ سَمَاعُهُ مِنَ الْعَطَّافِ قَدِيمٌ جِدًّا فَقَدْ دَخَلَ ذَلِكَ فِيمَا صَحَّحَهُ يَحْيَى مِنْ حَدِيثِهِ مَعَ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ لَا يَحْتَمِلُ مِثْلَ هَذَا , وَلَيْسَ أَحَدٌ يَجْعَلُ هَذَا الْحَدِيثَ سَمَاعًا لِمُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو مِنْ أَبِي حُمَيْدٍ إِلَّا عَبْدَ الْحَمِيدِ وَهُوَ عِنْدَكُمْ أَضْعَفُ وَلَكِنَّ الَّذِي رَوَى حَدِيثَ أَبِي حُمَيْدٍ وَوَصَلَهُ لَمْ يُفَصِّلْ حُكْمَ الْجُلُوسِ كَمَا فَصَّلَهُ عَبْدُ الْحَمِيدِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৪৭
সালাতে বসার বিবরণ, কিভাবে বসবে?
১৫৪৫-১৫৪৭। নসর ইবনে আমার আল-বাগদাদী (রাহঃ) . ....আইয়াশ (রাহঃ) অথবা আব্বাস ইবনে সাহল সাঈদী
(রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি এক মজলিসে ছিলেন, যেখানে তাঁর পিতাও ছিলেন এবং তিনি
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাহাবীগণের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। আর মজলিসে আবু হুরায়রা (রাযিঃ), আবু উসায়দ (রাযিঃ) ও আবু হুমায়দ সাঈদ আনসারী (রাযিঃ)ও ছিলেন। তারা সালাতের বিষয়ে আলােচনা করছিলেন। তখন আবু হুমায়দ (রাযিঃ) বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সালাত সম্পর্কে সবচেয়ে ভাল জ্ঞাত আছি। তাঁরা বললেন, তা কিভাবে ? তিনি বললেন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর অনুসরণ করে তা (শিখেছি)। তাঁরা বললেন, দেখাও তাে, বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তিনি সালাত আদায় করতে দাঁড়ালেন আর অন্যান্যরা তা দেখছিলেন। তিনি কাঁধ বরাবর উভয় হাত উত্তোলন করে তাকবীরের মাধ্যমে সূচনা করলেন। এরপর রুকূর জন্য তাকবীর বললেন এবং উভয় হাতও উত্তোলন করলেন। এরপর উভয় হাত সুদৃঢ়ভাবে হাঁটুতে রাখলেন, পিঠ থেকে মাথা উপরেও রাখলেন না এবং নিচুও করলেন না। তারপর (রুকূ থেকে) মাথা উঠালেন। আর “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্ আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ্” বলে উভয় হাত উত্তোলন করলেন। এরপর
আল্লাহু আকবার বলে সিজদা করলেন এবং উভয় হাত, হাঁটু ও পায়ের অগ্রভাগ (আঙ্গুলি)-এর উপর সিজদারত থাকলেন তারপর তাকবীর বলে এক পা বিছিয়ে দিয়ে অপর পা খাড়া করে বসলেন। এরপর তাকবীর বলে (দ্বিতীয়) সিজদা করলেন। এরপর তাকবীর বলে দাঁড়ালেন এবং আসন গেড়ে বসলেন না। তারপর দ্বিতীয় রাকআত আদায় করলেন এবং অনুরূপভাবে তাকবীর বললেন। দু'রাকআত আদায় করার পর বসলেন। অবশেষে যখন তিনি দাড়াবার ইচ্ছা পােষণ করলেন, তাকবীর বলে দাড়ালেন। তারপর
দুরাক'আত আদায় করলেন। এরপর ডান দিকে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ' বলে
সালাম ফিরালেন এবং বাম দিকেও আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ' বলে সালাম ফিরালেন।

নসর ইবনে আম্মার (রাহঃ).... হাসান ইবনু হুর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ
আমাকে ঈসা ইব্‌ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) এই হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আর ঈসা ইবনে
আব্দুর রহমান (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসেও তাশাহহুদে বসা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে যে, বাম হাত বাম
উরুতে এবং ডান হাত ডান উরুতে রাখবে। তারপর এক অঙ্গুলি দ্বারা দু'আতে ইশারা করবে।

ইবরাহীম ইবনে মারযূক (রাহঃ)....আব্বাস ইবন সাহল (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি।
বলেছেনঃ আবু হুমায়দ (রাযিঃ), আবু উসায়দ (রাযিঃ) ও সাহল ইবন সা'দ (রাযিঃ) একত্রিত হয়ে রাসূলুল্লাহ
(ﷺ) -এর সালাত সম্পর্কে আলােচনা করছিলেন। তারা (এক পর্যায়ে) বৈঠক নিয়ে আলােচনা করেন, আব্দুল হামিদ তাঁর বর্ণিত হাদীসে প্রথম বৈঠক সম্পর্কে যা বর্ণনা করেছেন তার অনুরূপ তিনি আর অন্য কিছু বর্ণনা করেননি।
1545 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَمَّارٍ الْبَغْدَادِيُّ قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ إِشْكَابَ , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو بَدْرٍ شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ , قَالَ: ثنا أَبُو خَيْثَمَةَ , قَالَ: ثنا الْحَسَنُ بْنُ الْحُرِّ , قَالَ: حَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَالِكٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ أَحَدِ بَنِي مَالِكٍ عَنْ عَيَّاشٍ أَوْ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ السَّاعِدِيِّ وَكَانَ فِي مَجْلِسٍ فِيهِ أَبُوهُ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِي الْمَجْلِسِ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَأَبُو أُسَيْدٍ وَأَبُو حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ مِنَ الْأَنْصَارِ " أَنَّهُمْ تَذَاكَرُوا الصَّلَاةَ فَقَالَ أَبُو حُمَيْدٍ: أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالُوا: وَكَيْفَ؟ فَقَالَ: اتَّبَعْتُ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالُوا: فَأَرِنَا , قَالَ: فَقَامَ يُصَلِّي وَهُمْ يَنْظُرُونَ فَبَدَأَ فَكَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ نَحْوَ الْمَنْكِبَيْنِ , ثُمَّ كَبَّرَ لِلرُّكُوعِ , وَرَفَعَ يَدَيْهِ أَيْضًا , ثُمَّ أَمْكَنَ يَدَيْهِ مِنْ رُكْبَتَيْهِ , غَيْرَ مُقْنِعٍ رَأْسَهُ وَلَا مُصَوِّبَهُ , ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ: «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , اللهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ» ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ , ثُمَّ قَالَ: «اللهُ أَكْبَرُ» فَسَجَدَ فَانْتَصَبَ عَلَى كَفَّيْهِ وَرُكْبَتَيْهِ وَصُدُورِ قَدَمَيْهِ وَهُوَ سَاجِدٌ , ثُمَّ كَبَّرَ فَجَلَسَ فَتَوَرَّكَ إِحْدَى رِجْلَيْهِ وَنَصَبَ قَدَمَهُ الْأُخْرَى , ثُمَّ كَبَّرَ فَسَجَدَ ثُمَّ كَبَّرَ فَقَامَ , فَلَمْ يَتَوَرَّكْ , ثُمَّ عَادَ فَرَكَعَ الرَّكْعَةَ الْأُخْرَى وَكَبَّرَ كَذَلِكَ , ثُمَّ جَلَسَ بَعْدَ الرَّكْعَتَيْنِ , حَتَّى إِذَا هُوَ أَرَادَ أَنْ يَنْهَضَ لِلْقِيَامِ قَامَ بِتَكْبِيرٍ , ثُمَّ رَكَعَ الرَّكْعَتَيْنِ , ثُمَّ سَلَّمَ عَنْ يَمِينِهِ , «السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ» , وَسَلَّمَ عَنْ شِمَالِهِ أَيْضًا «السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ»

1546 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ: ثنا عَلِيٌّ، قَالَ: ثنا أَبُو بَدْرٍ، قَالَ: ثنا أَبُو خَيْثَمَةَ، قَالَ: ثنا الْحَسَنُ بْنُ الْحُرِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي عِيسَى، هَذَا الْحَدِيثَ هَكَذَا , أَوْ نَحْوَهُ وَحَدِيثُ عِيسَى أَنَّ مِمَّا حَدَّثَهُ أَيْضًا فِي الْجُلُوسِ فِي التَّشَهُّدِ أَنْ يَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى , وَيَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى , ثُمَّ يُشِيرَ فِي الدُّعَاءِ بِأُصْبُعٍ وَاحِدَةٍ

1547 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، قَالَ: ثنا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ، قَالَ: اجْتَمَعَ أَبُو حُمَيْدٍ وَأَبُو أُسَيْدٍ , وَسَهْلُ بْنُ سَعْدٍ , فَذَكَرُوا صَلَاةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرُوا الْقُعُودَ عَلَى مَا ذَكَرَهُ عَبْدُ الْحَمِيدِ فِي حَدِيثِهِ فِي الْمَرَّةِ الْأُولَى وَلَمْ يَذْكُرْ غَيْرَ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫৪৮
সালাতে বসার বিবরণ, কিভাবে বসবে?
১৫৪৮। আবুল হুসায়ন আল-ইস্ফাহানী (রাহঃ) আবু হুমায়দ আস-সাইদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন
যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাহাবীগণকে বলতেন ঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সালাত সম্পর্কে তােমাদের অপেক্ষা অধিক অবহিত। তাঁরা বললেন, (তা) কিভাবে ? তিনি বললেন, আমি তার প্রতি লক্ষ্য করেছি এবং তাঁর সালাতকে সংরক্ষণ করেছি। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন সালাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং মুখমণ্ডল বরাবর উভয় হাত উত্তোলন করতেন। যখন রুকূর জন্য তাকবীর বলতেন, অনুরূপ করতেন। আর যখন রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন তখন 'সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ' বলে অনুরূপ করতেন। আর বলতেন, “রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ"। আর যখন সিজদা করতেন তখন পেটকে উভয় উরুর উপর ভর না দিয়ে সরিয়ে রাখতেন এবং উভয় হাতকে (যমীনের উপর) বিছিয়ে রাখতেন না। যখন তাশাহ্হুদের জন্য বসতেন তখন বাম পাকে বিছিয়ে দিয়ে ডান পা-কে এর অগ্রভাগের (আঙ্গুলের) উপর খাড়া করে রাখতেন এবং তাশাহহুদ পড়তেন।
পক্ষান্তরে এটি-ই হচ্ছে আবু হুমায়দ আস্-সাইদী (রাযিঃ)-এর মূল এবং বিস্তারিত হাদীস। এতে বৈঠকের
উল্লেখ ওয়াইল ইবনে হুজর (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। বস্তুত যে হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনে
আমর (রাহঃ) রিওয়ায়াত করেছেন এটি সুপরিচিত (মা'রূফ) নয় এবং আমাদের নিকট আবু হুমায়দ (রাযিঃ)
থেকে অবিচ্ছিন্ন সনদযুক্ত (মুত্তাসিল)ও নয়। যেহেতু তার হাদীসে উল্লেখ রয়েছে যে, তিনি আবু
হুমায়দ (রাযিঃ) এবং আবু কাতাদা (রাযিঃ)-এর সাথে ছিলেন। অথচ আবু কাতাদা (রাযিঃ)-এর দীর্ঘকাল পূর্বে
ইন্তেকাল করেছেন। যেহেতু তিনি আলী (রাযিঃ)-এর যুগে শহীদ হয়েছেন এবং আলী (রাযিঃ) তাঁর
জানাযার সালাত পড়েছেন। তাই কোথায় আবু কাতাদা (রাযিঃ) আর কোথায় মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে
আতা (রাহঃ)-এর বয়স।

অতএব আবু হুমায়দ (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত মুত্তাসিল-হাদীস-ই দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হবে,
যা ওয়াইল (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই এর ভিত্তিতেই উক্তি করা সঠিক, এর
বিপরীত দ্বারা বৈধ নয়।

তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল

বস্তুত সংশ্লিষ্ট বিষয়টিকে যুক্তি ভিত্তিক দলীল আরাে সুদৃঢ় করে। আর সেটি হচ্ছে, আমরা দেখতে পাই
যে, সালাতের মধ্যে প্রথম বৈঠক এবং প্রতি রাক'আতে দু’সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের অবস্থা হচ্ছে,
বাম পা বিছিয়ে দিয়ে এর উপর বসে যাওয়া। তারপর আলিমগণের মধ্যে শেষ বৈঠকের ব্যাপারে -
মতবিরােধ রয়েছে। শেষ বৈঠকের দুটি হুকুম হয়তাে সুন্নত অন্যথায় ফরয। যদি তা সুন্নত হয়।
তাহলে-এর উপর প্রথম বৈঠকের বিধান প্রযােজ্য হবে। (অর্থাৎ নিতম্বের উপর না বসে বাম পা
বিছিয়ে এর উপর বসা প্রমাণিত হবে) আর যদি তা ফরয হয় তাহলে এর উপর উভয় সিজদার
মধ্যবর্তী বৈঠকের বিধান প্রযােজ্য হবে। অর্থাৎ নিতম্বের উপর না বসে বাম পা বিছিয়ে দিয়ে এর উপর
বসা প্রমাণিত হবে। এর দ্বারা ওয়াইল ইবন হুজুর (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বিষয়বস্তু প্রমাণিত হলো। আর এটিই হচ্ছে আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। ইবরাহীম নাখ্ঈ (রাহঃ) ও উক্ত মত পোষণ করেছেন। যেমন-
1548 - حَدَّثَنِي أَبُو الْحُسَيْنِ الْأَصْبَهَانِيُّ , قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ , قَالَ: ثنا عُتْبَةُ بْنُ حَكِيمٍ , عَنْ عِيسَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَدَوِيِّ , عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ , عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لِأَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالُوا: مِنْ أَيْنَ؟ قَالَ: رَقَبْتُ ذَلِكَ مِنْهُ حَتَّى حَفِظْتُ صَلَاتَهُ. قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حِذَاءَ وَجْهِهِ , فَإِذَا كَبَّرَ لِلرُّكُوعِ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ , وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ: «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ» , فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ فَقَالَ: «رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ» , وَإِذَا سَجَدَ فَرَّجَ بَيْنَ فَخِذَيْهِ غَيْرَ حَامِلٍ بَطْنَهُ عَلَى شَيْءٍ مِنْ فَخِذَيْهِ , وَلَا مُفْتَرِشٍ ذِرَاعَيْهِ , فَإِذَا قَعَدَ لِلتَّشَهُّدِ , أَضْجَعَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَنَصَبَ الْيُمْنَى عَلَى صَدْرِهَا وَيَتَشَهَّدُ " فَهَذَا أَصْلُ حَدِيثِ أَبِي حُمَيْدٍ هَذَا لَيْسَ فِيهِ ذِكْرُ الْقُعُودِ إِلَّا عَلَى مِثْلِ مَا فِي حَدِيثِ وَائِلٍ وَالَّذِي رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو , فَغَيْرُ مَعْرُوفٍ وَلَا مُتَّصِلٍ عِنْدَنَا عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ ; لِأَنَّ فِي حَدِيثِهِ أَنَّهُ حَضَرَ أَبَا حُمَيْدٍ وَأَبَا قَتَادَةَ , وَوَفَاةُ أَبِي قَتَادَةَ قَبْلَ ذَلِكَ بِدَهْرٍ طَوِيلٍ ; لِأَنَّهُ قُتِلَ مَعَ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَصَلَّى عَلَيْهِ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَأَيْنَ سِنُّ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ مِنْ هَذَا. فَلَمَّا كَانَ الْمُتَّصِلُ , عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ مُوَافِقًا لَمَا رَوَى وَائِلٌ , ثَبَتَ الْقَوْلُ بِذَلِكَ وَلَمْ يَجُزْ خِلَافُهُ مَعَ مَا شَدَّهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ وَذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا الْقُعُودَ الْأَوَّلَ فِي الصَّلَاةِ وَفِيمَا بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ , هُوَ أَنْ يَفْتَرِشَ الْيُسْرَى فَيَقْعُدَ عَلَيْهَا. ثُمَّ اخْتَلَفُوا فِي الْقُعُودِ الْأَخِيرِ , فَلَمْ يَخْلُ مِنْ أَحَدِ وَجْهَيْنِ , أَنْ يَكُونَ سُنَّةً أَوْ فَرِيضَةً. فَإِنْ كَانَ سُنَّةً , فَحُكْمُهُ حُكْمُ الْقُعُودِ الْأَوَّلِ , وَإِنْ كَانَ فَرِيضَةً , فَحُكْمُهُ حُكْمُ الْقُعُودِ فِيمَا بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ مَا رَوَى وَائِلُ بْنُ حُجْرٍ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ. وَقَدْ قَالَ بِذَلِكَ أَيْضًا: إِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ رَحِمَهُ اللهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫৪৯
সালাতে বসার বিবরণ, কিভাবে বসবে?
১৫৪৯। রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ)....... ইবরাহীম নাখ্ঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি সালাতের মধ্যে বাম পা যমীনে বিছিয়ে দিয়ে এর উপর বসাকে মুস্তাহাব (সুন্নত) মনে করতেন।
1549 - كَمَا حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , عَنِ الْمُغِيرَةِ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ «أَنَّهُ كَانَ يَسْتَحِبُّ إِذَا جَلَسَ الرَّجُلُ فِي الصَّلَاةِ أَنْ يَفْرِشَ قَدَمَهُ الْيُسْرَى عَلَى الْأَرْضِ ثُمَّ يَجْلِسَ عَلَيْهَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান