শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৪২১
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২২
২৪- ইমামের জন্য সামিআল্লাহুলিমান হামিদা বলার পরে রাব্বানা ওয়া লাকালহামদ বলা সমীচীন কি-না ?
১৪২১-১৪২২। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ).... আবু মুসা আশআরী (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে,তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের সালাত শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইমাম যখন তাকবীর বলবে, তোমরাও তাকবীর বলবে; (ইমাম) রুকূ করলে তোমরাও রুকু করবে; (ইমাম) সিজদা করে তোমরাও সিজদা করবে; ইমাম سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বললে তোমরা বলবে اللهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ আল্লাহ তা'আলা তোমাদের কথা শুনবেন।আল্লাহ তা'আলা তার নবী (ﷺ) এর জবানীতে বলেছেন : “যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করে, তিনি তা শুনেন।”
আবু বাকর (রাহঃ) ও ইবন মারযূক (রাহঃ)... কাতাদা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু বাকর (রাহঃ) ও ইবন মারযূক (রাহঃ)... কাতাদা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
بَابٌ الْإِمَامُ يَقُولُ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ هَلْ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَقُولَ بَعْدَهَا رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ أَمْ لَا؟
1421 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، وَأَبُو عَوَانَةَ , وَأَبَانُ , عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، قَالَ: عَلَّمَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلَاةَ فَقَالَ: " إِذَا كَبَّرَ الْإِمَامُ فَكَبِّرُوا , وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا , وَاذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا , وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا: اللهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ يَسْمَعِ اللهُ لَكُمْ , فَإِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ "
1422 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، وَابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَا: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
1422 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، وَابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَا: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৪২৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২৫
ইমামের জন্য সামিআল্লাহুলিমান হামিদা বলার পরে রাব্বানা ওয়া লাকালহামদ বলা সমীচীন কি-না ?
১৪২৩-১৪২৫। আবু বাকর (রাহঃ)....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি তাঁর এই উক্তি يَسْمَعِ اللهُ لَكُمْ (আল্লাহ তা'আলা তোমাদের কথা শুনবেন) উল্লেখ করেননি।
আবু বাকরা (রাহঃ)....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
নসর ইবন মারযূক (রাহঃ)....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আবু বাকরা (রাহঃ)....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
নসর ইবন মারযূক (রাহঃ)....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
1423 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا عَلْقَمَةَ، يُحَدِّثُ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ قَوْلَهُ: «يَسْمَعِ اللهُ لَكُمْ» إِلَى آخِرِ الْحَدِيثِ
1424 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو , عَنْ أَبِي سَلَمَةَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
1425 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ بْنُ نَاصِحٍ، قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيِّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
1424 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو , عَنْ أَبِي سَلَمَةَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
1425 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ بْنُ نَاصِحٍ، قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيِّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪২৬
ইমামের জন্য সামিআল্লাহুলিমান হামিদা বলার পরে রাব্বানা ওয়া লাকালহামদ বলা সমীচীন কি-না ?
১৪২৬। ইউনুস (রাহঃ)....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, ইমাম যখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলবে তখন তোমরা বলবে اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ যার দু'আ পাঠ ফিরিশতাদের এই দু'আর অনুরূপ হবে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ হয়ে যাবে।
ব্যাখ্যা
একদল আলিম এই সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন, যাতে ইমাম ও মুকতাদী উভয়ের উক্তির বর্ণনা রয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ ( ﷺ)-এর ইরশাদ : ইমাম যখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলবে তোমরাও তখন اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে, এতে প্রমাণিত হয় যে, سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ এটা শুধু ইমাম বলবে, মুকতাদী নয় এবং رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ এটা শুধু মুকতাদী বলবে, ইমাম নয়।
যাঁরা এ অভিমত পোষণ করেছেন ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম মালিক (রাহঃ) তাদের অন্যতম।পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ ভিন্নমত পোষণ করে বলেছেন, বরং ইমাম سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ এবং رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ উভয়টি বলবে। তারপর মুকতাদী শুধু رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলবে।
তাঁরা বলেন, নবী (ﷺ) -এর ইরশাদ : যখন ইমাম سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলবে তখন তোমরা رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলবে, এতে এ কথার কোনরূপ প্রমাণ নেই যে, এটা শুধু মুকতাদী বলবে অন্য কেউ নয় । যদি বিষয়টি অনুরূপ হত তাহলে যে ব্যক্তি মুকতাদী নয়, তার জন্য এটা বলা জায়িয হত না। অথচ তোমাদেরকে দেখছি তোমরা ঐকমত্য পোষণ করছ যে, একাকী সালাত আদায়কারী سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ এর সঙ্গে ঐ বাক্যগুলোও رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলবে।
সুতরাং যেভাবে একাকী সালাত আদায়কারী এ বাক্যগুলো বলে অথচ সে মুকাতাদী নয় এবং আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যে উক্তি উল্লেখ করেছি, তা এটা নাকচ করে না। তাই ইমামও অনুরূপভাবে এ বাক্যগুলো বলবেন। এ বিষয়ে তাঁরা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন :
ব্যাখ্যা
একদল আলিম এই সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন, যাতে ইমাম ও মুকতাদী উভয়ের উক্তির বর্ণনা রয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ ( ﷺ)-এর ইরশাদ : ইমাম যখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলবে তোমরাও তখন اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে, এতে প্রমাণিত হয় যে, سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ এটা শুধু ইমাম বলবে, মুকতাদী নয় এবং رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ এটা শুধু মুকতাদী বলবে, ইমাম নয়।
যাঁরা এ অভিমত পোষণ করেছেন ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম মালিক (রাহঃ) তাদের অন্যতম।পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ ভিন্নমত পোষণ করে বলেছেন, বরং ইমাম سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ এবং رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ উভয়টি বলবে। তারপর মুকতাদী শুধু رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলবে।
তাঁরা বলেন, নবী (ﷺ) -এর ইরশাদ : যখন ইমাম سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলবে তখন তোমরা رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলবে, এতে এ কথার কোনরূপ প্রমাণ নেই যে, এটা শুধু মুকতাদী বলবে অন্য কেউ নয় । যদি বিষয়টি অনুরূপ হত তাহলে যে ব্যক্তি মুকতাদী নয়, তার জন্য এটা বলা জায়িয হত না। অথচ তোমাদেরকে দেখছি তোমরা ঐকমত্য পোষণ করছ যে, একাকী সালাত আদায়কারী سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ এর সঙ্গে ঐ বাক্যগুলোও رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলবে।
সুতরাং যেভাবে একাকী সালাত আদায়কারী এ বাক্যগুলো বলে অথচ সে মুকাতাদী নয় এবং আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যে উক্তি উল্লেখ করেছি, তা এটা নাকচ করে না। তাই ইমামও অনুরূপভাবে এ বাক্যগুলো বলবেন। এ বিষয়ে তাঁরা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন :
1426 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ سُمَيٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِذَا قَالَ الْإِمَامُ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , فَقُولُوا: اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ «فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ هَذِهِ الْآثَارَ قَدْ دَلَّتْهُمْ عَلَى مَا يَقُولُ الْإِمَامُ وَالْمَأْمُومُ جَمِيعًا وَأَنَّ قَوْلَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» إِذَا قَالَ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , فَقُولُوا: اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ «دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ» سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ «يَقُولُهَا الْإِمَامُ دُونَ الْمَأْمُومِ , وَأَنَّ» رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ " يَقُولُهَا الْمَأْمُومُ دُونَ الْإِمَامِ. وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى هَذَا الْقَوْلِ , أَبُو حَنِيفَةَ , وَمَالِكٌ رَحِمَهُمَا اللهُ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: بَلْ يَقُولُ الْإِمَامُ «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ» ثُمَّ يَقُولُ الْمَأْمُومُ «رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ» خَاصَّةً. وَقَالُوا: لَيْسَ فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَإِذَا قَالَ الْإِمَامُ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , فَقُولُوا رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ ذَلِكَ يَقُولُهُ الْمَأْمُومُ دُونَ غَيْرِهِ. وَلَوْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , لَاسْتَحَالَ أَنْ يَقُولَهَا , مَنْ لَيْسَ بِمَأْمُومٍ. فَقَدْ رَأَيْنَاكُمْ تُجْمِعُونَ أَنَّ الْمُصَلِّيَ وَحْدَهُ يَقُولُهَا مَعَ قَوْلِهِ» سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " فَكَمَا كَانَ مَنْ يُصَلِّي وَحْدَهُ يَقُولُهَا وَلَيْسَ بِمَأْمُومٍ , وَلَمْ يَنْفِ ذَلِكَ مَا ذَكَرْنَا مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ الْإِمَامُ أَيْضًا يَقُولُهَا كَذَلِكَ , وَلَا يَنْفِي ذَلِكَ مَا ذَكَرْنَا مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪২৭
ইমামের জন্য সামিআল্লাহুলিমান হামিদা বলার পরে রাব্বানা ওয়া লাকালহামদ বলা সমীচীন কি-না ?
১৪২৭। রবী'উল মুয়াযযিন (রাহঃ)....আলী ইবন আবী তালিব (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি (রাসূলুল্লাহ্ ﷺ) যখন রুকূ থেকে মাথা তুলতেন তখন বলতেন : اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَاءِ وَمِلْءَ الْأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ
হে আল্লাহ্! আমাদের রব, আপনার জন্যই সকল প্রশংসা! আকাশ ও পৃথিবী এ ছাড়াও আপনি যে পরিমাণ চান তা সব পরিপূর্ণ করে দেয়, এমন প্রশংসা আপনারই জন্য।
হে আল্লাহ্! আমাদের রব, আপনার জন্যই সকল প্রশংসা! আকাশ ও পৃথিবী এ ছাড়াও আপনি যে পরিমাণ চান তা সব পরিপূর্ণ করে দেয়, এমন প্রশংসা আপনারই জন্য।
1427 - بِمَا حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْفَضْلِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ , عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ: «اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَاءِ وَمِلْءَ الْأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪২৮
ইমামের জন্য সামিআল্লাহুলিমান হামিদা বলার পরে রাব্বানা ওয়া লাকালহামদ বলা সমীচীন কি-না ?
১৪২৮। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ).... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
1428 - وَبِمَا حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ قَالَ: أنا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ , عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪২৯
ইমামের জন্য সামিআল্লাহুলিমান হামিদা বলার পরে রাব্বানা ওয়া লাকালহামদ বলা সমীচীন কি-না ?
১৪২৯। আবু বাকরা (রাহঃ).... ইবন আবী আওফা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
1429 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُبَيْدٌ هُوَ ابْنُ حَسَنٍ أَبُو الْحَسَنِ , قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي أَوْفَى، يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৩০
ইমামের জন্য সামিআল্লাহুলিমান হামিদা বলার পরে রাব্বানা ওয়া লাকালহামদ বলা সমীচীন কি-না ?
১৪৩০। মালিক ইবন আব্দিল্লাহ ইবন সায়ফ (রাহঃ)..... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি নিম্নোক্ত বাক্যগুলো অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন : أَهْلَ الثَّنَاءِ وَالْمَجْدِ , أَحَقُّ مَا قَالَ الْعَبْدُ , وَكُلُّنَا لَكَ عَبْدٌ لَا نَازِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
"বান্দা যা কিছু বলেছে, প্রশংসার অধিকারী ও মহিমান্বিত সত্তা এর অধিক উপযোগী। আমরা সকলে তোমার বান্দা; যা তুমি দান কর তা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে না এবং প্রচেষ্টাকারীর প্রচেষ্টা অথবা কোন ধনাঢ্য ব্যক্তির ধনসম্পদ (আল্লাহর আনুগত্য ব্যতীত) তার কোন উপকার করতে পারে না।
"বান্দা যা কিছু বলেছে, প্রশংসার অধিকারী ও মহিমান্বিত সত্তা এর অধিক উপযোগী। আমরা সকলে তোমার বান্দা; যা তুমি দান কর তা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে না এবং প্রচেষ্টাকারীর প্রচেষ্টা অথবা কোন ধনাঢ্য ব্যক্তির ধনসম্পদ (আল্লাহর আনুগত্য ব্যতীত) তার কোন উপকার করতে পারে না।
1430 - حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَيْفٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ الدِّمَشْقِيُّ، قَالَ: أنا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ التَّنُوخِيُّ، عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ قَيْسٍ الْكَلَاعِيِّ، عَنْ قَزَعَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ , وَزَادَ «أَهْلَ الثَّنَاءِ وَالْمَجْدِ , أَحَقُّ مَا قَالَ الْعَبْدُ , وَكُلُّنَا لَكَ عَبْدٌ لَا نَازِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৩১
ইমামের জন্য সামিআল্লাহুলিমান হামিদা বলার পরে রাব্বানা ওয়া লাকালহামদ বলা সমীচীন কি-না ?
১৪৩১। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ).... আবু জুহায়ফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার নবী (ﷺ) -এর নিকট বিত্ত সম্পদের আলোচনা হল। এক ব্যক্তি বলল, অমুক ব্যক্তির সম্পদ রয়েছে উটের মধ্যে, আরেক ব্যক্তি বলল, ঘোড়ার মধ্যে। নবী (ﷺ) চুপ রইলেন। যখন সালাতের জন্য দাঁড়ালেন, তখন তিনি রুকূ থেকে মাথা তুলে বললেন : اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَاءِ وَمِلْءَ الْأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ
“হে আল্লাহ্! হে আমাদের রব, আপনার জন্যই সকল প্রশংসা। আকাশ ও পৃথিবী এবং এছাড়ও আপনি যে পরিমাণ চান, তা সব পরিপূর্ণ করে দেয় এমন প্রশংসা আপনারই জন্য। যাকে আপনি দান করেন তা কেউ ঠেকাতে পারে না এবং যাকে আপনি আটকিয়ে রাখেন তার জন্য কেউ দান করতে পারে না; কোন ধনাঢ্য ব্যক্তিকে তার সম্পদ কোন উপকার দিতে পারে না।”
সুতরাং এই সমস্ত হাদীসে এরূপ কোন কথা নেই যে, তিনি ইমামতি অবস্থায় ঐ বাক্যগুলো বলেছেন। এ বিষয়ে এখানে কোন দলীল নেই। তবে এর দ্বারা এতটুকু সাব্যস্ত হয় যে, কোন ব্যক্তি একাকী সালাত আদায় করলে সে (سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ) বলবে।
আমরা লক্ষ্য করতে প্রয়াস পাব যে, নবী (ﷺ) থেকে কি এরূপ কিছু বর্ণিত আছে, যা দ্বারা এ বিষয়ে ইমামের বিধান কি, তা বুঝা যায় ? থাকলে তা কিরূপ ? এবং সেও কি সেই বাক্যগুলো বলবে যা একাকী সালাত আদায়কারী বলে থাকে ? বিষয়ে আমরা নিম্নোক্ত হাদীসকে লক্ষ্য করছি :
“হে আল্লাহ্! হে আমাদের রব, আপনার জন্যই সকল প্রশংসা। আকাশ ও পৃথিবী এবং এছাড়ও আপনি যে পরিমাণ চান, তা সব পরিপূর্ণ করে দেয় এমন প্রশংসা আপনারই জন্য। যাকে আপনি দান করেন তা কেউ ঠেকাতে পারে না এবং যাকে আপনি আটকিয়ে রাখেন তার জন্য কেউ দান করতে পারে না; কোন ধনাঢ্য ব্যক্তিকে তার সম্পদ কোন উপকার দিতে পারে না।”
সুতরাং এই সমস্ত হাদীসে এরূপ কোন কথা নেই যে, তিনি ইমামতি অবস্থায় ঐ বাক্যগুলো বলেছেন। এ বিষয়ে এখানে কোন দলীল নেই। তবে এর দ্বারা এতটুকু সাব্যস্ত হয় যে, কোন ব্যক্তি একাকী সালাত আদায় করলে সে (سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ) বলবে।
আমরা লক্ষ্য করতে প্রয়াস পাব যে, নবী (ﷺ) থেকে কি এরূপ কিছু বর্ণিত আছে, যা দ্বারা এ বিষয়ে ইমামের বিধান কি, তা বুঝা যায় ? থাকলে তা কিরূপ ? এবং সেও কি সেই বাক্যগুলো বলবে যা একাকী সালাত আদায়কারী বলে থাকে ? বিষয়ে আমরা নিম্নোক্ত হাদীসকে লক্ষ্য করছি :
1431 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو هُوَ الْمُنَبِّهِيُّ , عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، قَالَ: " ذَكَرْتُ الْجُدُودَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ: جَدُّ فُلَانٍ فِي الْإِبِلِ وَقَالَ بَعْضُهُمْ: فِي الْخَيْلِ فَسَكَتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا قَامَ يُصَلِّي , فَرَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ , قَالَ: «اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَاءِ وَمِلْءَ الْأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ , لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ , وَلَا مُعْطِيَ لَمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ» فَلَيْسَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ أَنَّهُ قَدْ كَانَ يَقُولُ ذَلِكَ وَهُوَ إِمَامٌ , وَلَا فِيهَا مَا يَدُلُّ عَلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ. غَيْرَ أَنَّهُ قَدْ ثَبَتَ: بِهَا , أَنَّ مَنْ صَلَّى وَحْدَهُ يَقُولُ «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ» . فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ: هَلْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى حُكْمِ الْإِمَامِ فِي ذَلِكَ كَيْفَ هُوَ؟ وَهَلْ يَقُولُ مِنْ ذَلِكَ مَا يَقُولُهُ مَنْ يُصَلِّي وَحْدَهُ أَمْ لَا؟

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৩২
ইমামের জন্য সামিআল্লাহুলিমান হামিদা বলার পরে রাব্বানা ওয়া লাকালহামদ বলা সমীচীন কি-না ?
১৪৩২। ইউনুস (রাহঃ) .... সাঈদ ইবন মুসাইয়্যিব (রাহঃ) ও আবু সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তাঁরা আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেন : "রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন ফজরের সালাতে কিরাআত থেকে অবসর হতেন এবং তাকবীর বলতেন, তারপর রুকূ থেকে মাথা তুলে বলতেন : سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ , اللهُمَّ أَنْجِ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ
তারপর সম্পূর্ণ হাদীস উল্লেখ করেছেন।
এতেও সম্ভবত তিনি তা কুনূতে (নাযিলার অংশ) হিসাবে পড়েছেন। তারপর তা পরবর্তীতে ছেড়ে দিয়েছেন। যখন তিনি এ কুনূত পরিত্যাগ করেছেন। সুতরাং আমরা অন্য হাদীসের দিকে প্রত্যাবর্তন করব এবং দেখব তাতে আমরা যা উল্লেখ করেছি তার কোন কিছুর প্রমাণ রয়েছে কি-না :
তারপর সম্পূর্ণ হাদীস উল্লেখ করেছেন।
এতেও সম্ভবত তিনি তা কুনূতে (নাযিলার অংশ) হিসাবে পড়েছেন। তারপর তা পরবর্তীতে ছেড়ে দিয়েছেন। যখন তিনি এ কুনূত পরিত্যাগ করেছেন। সুতরাং আমরা অন্য হাদীসের দিকে প্রত্যাবর্তন করব এবং দেখব তাতে আমরা যা উল্লেখ করেছি তার কোন কিছুর প্রমাণ রয়েছে কি-না :
1432 - فَإِذَا يُونُسُ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , وَأَبِي سَلَمَةَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , أَنَّهُمَا سَمِعَاهُ يَقُولُ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ يَفْرَغُ مِنْ صَلَاةِ الْفَجْرِ مِنَ الْقِرَاءَةِ وَيُكَبِّرُ , ويَرْفَعُ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ يَقُولُ: «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ , اللهُمَّ أَنْجِ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ» ثُمَّ ذَكَرَ الْحَدِيثَ، فَقَدْ يَجُوزُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ قَالَ ذَلِكَ ; لِأَنَّهُ مِنَ الْقُنُوتِ ثُمَّ تَرَكَهُ بَعْدُ , لَمَّا تَرَكَ الْقُنُوتَ , فَرَجَعْنَا إِلَى غَيْرِ هَذَا الْحَدِيثِ هَلْ فِيهِ دَلَالَةٌ عَلَى شَيْءٍ مِمَّا ذَكَرْنَا؟

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৩৩
ইমামের জন্য সামিআল্লাহুলিমান হামিদা বলার পরে রাব্বানা ওয়া লাকালহামদ বলা সমীচীন কি-না ?
১৪৩৩। রবী'উল মুয়াযযিন (রাহঃ).... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তোমাদের সকলের অপেক্ষা আমার সালাত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সালাতের সাথে বেশী সাদৃশ্যপূর্ণ। তিনি যখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলতেন তখন (সাথে সাথে) اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলতেন।
1433 - فَإِذَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ , عَنِ الْمَقْبُرِيِّ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: أَنَا أَشْبَهُكُمْ صَلَاةً بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَانَ إِذَا قَالَ: " سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ قَالَ: اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৩৪
ইমামের জন্য সামিআল্লাহুলিমান হামিদা বলার পরে রাব্বানা ওয়া লাকালহামদ বলা সমীচীন কি-না ?
১৪৩৪। ইউনুস (রাহঃ).... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবদ্দশায় চন্দ্রগ্রহণ লাগলে তিনি লোকদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেন। যখন তিনি রুকূ থেকে মাথা তুললেন তখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বললেন।
1434 - وَإِذَا يُونُسُ قَدْ أَخْبَرَنِي قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَصَلَّى بِالنَّاسِ , فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ: «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪৩৫
ইমামের জন্য সামিআল্লাহুলিমান হামিদা বলার পরে রাব্বানা ওয়া লাকালহামদ বলা সমীচীন কি-না ?
১৪৩৫। আবু বাকরা (রাহঃ).... সালিম (রাহঃ) তাঁর পিতা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন রুকূ থেকে মাথা তুলতেন তখন তা (অনুরূপ) বলতেন।
বস্তুত এসব হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইমাম তা সেভাবে বলবেন যেভাবে একাকী সালাত আদায়কারী বলে। কারণ, আয়েশা (রাযিঃ)-এর হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লোকদের নিয়ে সালাত আদায়কালে তা বলেছেন। আর আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীসে রয়েছে যে, তোমাদের সকলের অপেক্ষা আমার সালাত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সালাতের সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ।
তারপর তিনি তা উল্লেখ করেছেন এবং ব্যক্ত করেছেন যে, তিনি সালাতে সেসব কিছু করেছেন, যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজে সালাতে করতেন, অন্য কিছু করতেন না। ইবন উমার (রাযিঃ)-এর হাদীসে তাই রয়েছে, যা আমরা তাঁরই সূত্রে উল্লেখ করেছি। তাতেও তাঁর (ﷺ) সালাতের বিবরণ কিরূপ ছিল ব্যক্ত হয়েছে।
সুতরাং যখন তাঁর থেকে প্রমাণিত হল যে, তিনি ইমামতি অবস্থায় যখন রুকূ থেকে মাথা তুলতেন তখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলতেন, তাই এতে প্রমাণিত হল যে, তাঁর অনুসরণে ইমামও অনুরূপ করবে। কারণ, এই আমল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে প্রমাণিত রয়েছে ।
এটাই হল হাদীসমূহের বর্ণনার ভিত্তিতে এ বিষয়ের বিশ্লেষণ। যুক্তির নিরিখে এর বর্ণনা হল যে, একাকী সালাত আদায়কারীর ব্যাপারে সকল আলিমদের ঐকমত্য রয়েছে যে, সে উক্ত বাক্যগুলো বলবে। আমরা ইমামের বিষয়ে লক্ষ্য করতে প্রয়াস পাব যে, এ বিষয়ে তার বিধান কি সেইরূপ, যা একাকী সালাত আদায়কারীর বিধান হিসাবে বিবেচিত, না অন্য কোন রকম ? আমরা দেখছি যে, ইমাম তার সমস্ত সালাতে তাকবীর, কিরাআত, কিয়াম, বৈঠক ও তাশাহহুদ ইত্যাদির বিষয়ে অনুরূপ আমল করে থাকেন, যা একাকী সালাত আদয়কারী করে থাকে। আরো দেখছি যে, যদি ইমামের সালাতে এরূপ কোন কিছু ঘটে যায়, যার দ্বারা সালাত বিনষ্ট হয়ে যায়, সিজদা সাহু ওয়াজিব হয় ইত্যাদি, তাহলে এর সেই বিধান, যা একাকী সালাত আদায়কারীর জন্য অনুরূপ অবস্থায় হয়ে থাকে। সুতরাং এ বিষয়ে ইমাম ও একাকী সালাত আদায়কারীর (মুনফারিদের) বিধান অভিন্ন, মুকতাদীর পরিপন্থী (অর্থাৎ ইমাম ও মুকতাদী অভিন্ন নয়)।
অতএব যখন তাঁদের (আলিমদের) ঐকমত্যের দ্বারা সাব্যস্ত হল যে, একাকী সালাত আদায়কারী سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ এর পরে رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলবে।তাহলে এতে সাব্যস্ত হল যে, ইমামও سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ এর পরে তা (রাব্বানা ওয়া লাকালহাম্দ) বলবে। আর এ বিষয়ে এটাই হল যুক্তির দাবি এবং আমরা এ অভিমতই গ্রহণ করি। ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর এটাই অভিমত। পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রথমোক্ত অভিমত পোষণ করেন।
বস্তুত এসব হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইমাম তা সেভাবে বলবেন যেভাবে একাকী সালাত আদায়কারী বলে। কারণ, আয়েশা (রাযিঃ)-এর হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লোকদের নিয়ে সালাত আদায়কালে তা বলেছেন। আর আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীসে রয়েছে যে, তোমাদের সকলের অপেক্ষা আমার সালাত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সালাতের সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ।
তারপর তিনি তা উল্লেখ করেছেন এবং ব্যক্ত করেছেন যে, তিনি সালাতে সেসব কিছু করেছেন, যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজে সালাতে করতেন, অন্য কিছু করতেন না। ইবন উমার (রাযিঃ)-এর হাদীসে তাই রয়েছে, যা আমরা তাঁরই সূত্রে উল্লেখ করেছি। তাতেও তাঁর (ﷺ) সালাতের বিবরণ কিরূপ ছিল ব্যক্ত হয়েছে।
সুতরাং যখন তাঁর থেকে প্রমাণিত হল যে, তিনি ইমামতি অবস্থায় যখন রুকূ থেকে মাথা তুলতেন তখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলতেন, তাই এতে প্রমাণিত হল যে, তাঁর অনুসরণে ইমামও অনুরূপ করবে। কারণ, এই আমল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে প্রমাণিত রয়েছে ।
এটাই হল হাদীসমূহের বর্ণনার ভিত্তিতে এ বিষয়ের বিশ্লেষণ। যুক্তির নিরিখে এর বর্ণনা হল যে, একাকী সালাত আদায়কারীর ব্যাপারে সকল আলিমদের ঐকমত্য রয়েছে যে, সে উক্ত বাক্যগুলো বলবে। আমরা ইমামের বিষয়ে লক্ষ্য করতে প্রয়াস পাব যে, এ বিষয়ে তার বিধান কি সেইরূপ, যা একাকী সালাত আদায়কারীর বিধান হিসাবে বিবেচিত, না অন্য কোন রকম ? আমরা দেখছি যে, ইমাম তার সমস্ত সালাতে তাকবীর, কিরাআত, কিয়াম, বৈঠক ও তাশাহহুদ ইত্যাদির বিষয়ে অনুরূপ আমল করে থাকেন, যা একাকী সালাত আদয়কারী করে থাকে। আরো দেখছি যে, যদি ইমামের সালাতে এরূপ কোন কিছু ঘটে যায়, যার দ্বারা সালাত বিনষ্ট হয়ে যায়, সিজদা সাহু ওয়াজিব হয় ইত্যাদি, তাহলে এর সেই বিধান, যা একাকী সালাত আদায়কারীর জন্য অনুরূপ অবস্থায় হয়ে থাকে। সুতরাং এ বিষয়ে ইমাম ও একাকী সালাত আদায়কারীর (মুনফারিদের) বিধান অভিন্ন, মুকতাদীর পরিপন্থী (অর্থাৎ ইমাম ও মুকতাদী অভিন্ন নয়)।
অতএব যখন তাঁদের (আলিমদের) ঐকমত্যের দ্বারা সাব্যস্ত হল যে, একাকী সালাত আদায়কারী سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ এর পরে رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলবে।তাহলে এতে সাব্যস্ত হল যে, ইমামও سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ এর পরে তা (রাব্বানা ওয়া লাকালহাম্দ) বলবে। আর এ বিষয়ে এটাই হল যুক্তির দাবি এবং আমরা এ অভিমতই গ্রহণ করি। ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর এটাই অভিমত। পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রথমোক্ত অভিমত পোষণ করেন।
1435 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ، قَالَ: ثنا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا قَامَ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ ذَلِكَ فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ الْإِمَامَ يَقُولُ مِنْ ذَلِكَ مِثْلَ مَا يَقُولُ مَنْ صَلَّى وَحْدَهُ , لِأَنَّ فِي حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ذَلِكَ وَهُوَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ. وَفِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «أَنَا أَشْبَهُكُمْ صَلَاةً بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» ثُمَّ ذَكَرَ ذَلِكَ. فَأَخْبَرَ أَنَّ مَا فَعَلَ مِنْ ذَلِكَ , هُوَ مَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُهُ فِي صَلَاتِهِ لَا يَفْعَلُ غَيْرَهُ. وَفِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مَا ذَكَرْنَا عَنْهُ وَهُوَ أَيْضًا فِيهِ إِخْبَارٌ عَنْ صِفَةِ صَلَاتِهِ كَيْفَ كَانَتْ. فَلَمَّا ثَبَتَ عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ وَهُوَ إِمَامٌ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ» ثَبَتَ أَنَّ هَكَذَا يَنْبَغِي لِلْإِمَامِ أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ , اتِّبَاعًا لِمَا قَدْ ثَبَتَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ فَهَذَا حُكْمُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. وَأَمَّا مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّهُمْ قَدْ أَجْمَعُوا فِيمَنْ يُصَلِّي وَحْدَهُ , عَلَى أَنَّهُ يَقُولُ ذَلِكَ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي الْإِمَامِ هَلْ حُكْمُهُ فِي ذَلِكَ حُكْمُ مَنْ يُصَلِّي وَحْدَهُ أَمْ لَا؟ فَوَجَدْنَا الْإِمَامَ يَفْعَلُ فِي كُلِّ صَلَاتِهِ مِنَ التَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَةِ وَالْقِيَامِ وَالْقُعُودِ وَالتَّشَهُّدِ , مِثْلَ مَا يَفْعَلُهُ مَنْ يُصَلِّي وَحْدَهُ. وَوَجَدْنَا أَحْكَامَهُ فِيمَا يَطْرَأُ عَلَيْهِ فِي صَلَاتِهِ , كَأَحْكَامِ مَنْ يُصَلِّي وَحْدَهُ فِيمَا يَطْرَأُ عَلَيْهِ , مِنْ صَلَاتِهِ مِنَ الْأَشْيَاءِ الَّتِي تُوجِبُ فَسَادَهَا , وَمَا يُوجِبُ سُجُودَ السَّهْوِ فِيهَا , وَغَيْرَ ذَلِكَ , وَكَانَ الْإِمَامُ وَمَنْ يُصَلِّي وَحْدَهُ فِي ذَلِكَ سَوَاءً , بِخِلَافِ الْمَأْمُومِ. فَلَمَّا ثَبَتَ بِاتِّفَاقِهِمْ أَنَّ الْمُصَلِّيَ وَحْدَهُ يَقُولُ بَعْدَ قَوْلِهِ «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ» رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ «ثَبَتَ أَنَّ الْإِمَامَ أَيْضًا يَقُولُهَا بَعْدَ قَوْلِهِ» سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ". فَهَذَا وَجْهُ النَّظَرِ أَيْضًا فِي هَذَا الْبَابِ , فَبِهَذَا نَأْخُذُ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمَا اللهُ. وَأَمَّا أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ فَكَانَ يَذْهَبُ فِي ذَلِكَ إِلَى الْقَوْلِ الْأَوَّلِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান