শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১১৮৪
১৫-সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১১৮৪। সালিহ ইব্ন আব্দির রহমান (রাহঃ)..... নাঈম ইব্ন মুজমির (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর পিছনে সালাত আদায় করেছি। তিনি বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়েছেন। যখন (غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ) পড়েছেন তখন আমীন বলেছেন এবং লোকেরাও আমীন বলেছে। এরপর সালামের পর বললেন, সেই সত্তার কসম, যার কুদরতী নিয়ন্ত্রণে আমার প্রাণ রয়েছে, তোমাদের সকলের সালাত অপেক্ষা আমার সালাত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সালাতের সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ।
بَابُ قِرَاءَةِ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فِي الصَّلَاةِ
1184 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أنا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ الْمُجْمِرِ، قَالَ: صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَقَرَأَ , {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] فَلَمَّا بَلَغَ {غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ} [الفاتحة: 7] قَالَ: آمِينَ , فَقَالَ: النَّاسُ آمِينَ ثُمَّ يَقُولُ إِذَا سَلَّمَ: «أَمَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لَأَشْبَهُكُمْ صَلَاةً بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৮৫
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১১৮৫। ফাহাদ ইব্ন সুলায়মান (রাহঃ)..... উম্মু সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) নিজ ঘরে সালাত আদায় করতেন এবং (তাতে) পড়তেন:
দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে। প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্ই, যিনি দয়াময়,পরম দয়ালু, কর্মফল দিবসের মালিক। আমরা শুধু তোমারই ‘ইবাদত করি, শুধু তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি, আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন কর, তাদের পথ, যাদেরকে তুমি অনুগ্রহ দান করেছ, তাদের পথ নয়, যারা ক্রোধ-নিপতিত ও পথভ্রষ্ট।
ইমাম তাবারী (রাহঃ)-এর ব্যাখ্যা
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, 'বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম’ সূরা ফাতিহার অংশ। সুতরাং মুসল্লীর জন্য উচিত হল সূরা ফাতিহার ন্যায় 'বিসমিল্লাহ'ও পড়বে। এই বিষয়ে তাঁরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহাবীগণ থেকে বর্ণিত নিম্নোক্ত রিওয়ায়াতসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন:
দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে। প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্ই, যিনি দয়াময়,পরম দয়ালু, কর্মফল দিবসের মালিক। আমরা শুধু তোমারই ‘ইবাদত করি, শুধু তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি, আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন কর, তাদের পথ, যাদেরকে তুমি অনুগ্রহ দান করেছ, তাদের পথ নয়, যারা ক্রোধ-নিপতিত ও পথভ্রষ্ট।
ইমাম তাবারী (রাহঃ)-এর ব্যাখ্যা
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, 'বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম’ সূরা ফাতিহার অংশ। সুতরাং মুসল্লীর জন্য উচিত হল সূরা ফাতিহার ন্যায় 'বিসমিল্লাহ'ও পড়বে। এই বিষয়ে তাঁরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহাবীগণ থেকে বর্ণিত নিম্নোক্ত রিওয়ায়াতসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন:
1185 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: ثنا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، قَالَ: ثنا أَبِي، قَالَ: ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي فِي بَيْتِهَا , فَيَقْرَأُ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ} » قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] مِنْ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ , وَأَنَّهُ يَنْبَغِي لِلْمُصَلِّي أَنْ يَقْرَأَ بِهَا , كَمَا يَقْرَأُ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا , بِمَا رُوِيَ عَنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৮৬
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১১৮৬। আবু বাকরা (রাযিঃ)..... সাঈদ ইবন আব্দির রহমান ইবন আবযা (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার উমার (রাযিঃ)-এর পিছনে সালাত আদায় করেছি। তিনি ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম' জোরে পড়েছেন। আমার পিতাও বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম জোরে পড়তেন।
1186 - كَمَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو أَحْمَدَ قَالَ: ثنا عُمَرُ بْنُ ذَرٍّ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى , عَنْ أَبِيهِ قَالَ: " صَلَّيْتُ خَلْفَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَجَهَرَ بِ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] وَكَانَ أَبِي يَجْهَرُ بِبِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৮৭
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১১৮৭। ফাহাদ (রাযিঃ).... ইবন আব্বাস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি তা সালাতে জোরে পড়েছেন।
1187 - وَكَمَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ , قَالَ: أنا شَرِيكٌ , عَنْ عَاصِمٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «أَنَّهُ جَهَرَ بِهَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৮৮
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১১৮৮। আবু বাকরা (রাহঃ)...... ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি সালাতে সূরা পড়ার পূর্বে এবং পরে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম পড়া ত্যাগ করতেন না: যদি কিনা পরে অন্য সূরা পড়তেন।
1188 - وَكَمَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ قَالَ: أنا ابْنُ جُرَيْجٍ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ " أَنَّهُ كَانَ لَا يَدَعُ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] قَبْلَ السُّورَةِ وَبَعْدَهَا , إِذَا قَرَأَ بِسُورَةٍ أُخْرَى فِي الصَّلَاةِ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৮৯
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১১৮৯। আবু বাকরা (রাহঃ)...... ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম দ্বারা কিরাআতের সূচনা করতেন।
1189 - وَكَمَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ النَّهْشَلِيُّ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ الْفَقِيرُ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ " أَنَّهُ كَانَ يَفْتَتِحُ الْقِرَاءَةَ بِ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৯০
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১১৯০। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাযিঃ).....আযরাক ইবন কায়স (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার (আব্দুল্লাহ) ইবনে যুবাইর (রাযিঃ)-এর পেছনে সালাত আদায় করেছি। আমি তাকে শুনেছি, তিনি পড়তেন: বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম.....بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন:
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন:
1190 - وَكَمَا حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو زَيْدٍ الْهَرَوِيُّ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنِ الْأَزْرَقِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ: " صَلَّيْتُ خَلْفَ ابْنِ الزُّبَيْرِ , فَسَمِعْتُهُ يَقْرَأُ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] {غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ} [الفاتحة: 7] {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৯১
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১১৯১। আবু বাকরা (রাহঃ)..... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন , وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعًا مِنَ الْمَثَانِي “আমিতো তোমাকে দিয়েছি সাত আয়াত, যা পুনঃ পুনঃ আবৃত্ত হয়” (সূরা : ১৫ আয়াত : ৮৭)-এর দ্বারা তিনি সূরা ফাতিহা উদ্দেশ্য নিয়েছেন। এরপর ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) 'বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম’ পড়ে বললেন, এটা হল সপ্তম আয়াত। বর্ণনাকারী বলেন, সাঈদ ইব্ন জুবাইর (রাযিঃ) আমার সম্মুখে অনুরূপ পড়েছেন যেরূপ তাঁর সম্মুখে ইবন আব্বাস (রাযিঃ) পড়েছেন।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেন, আমরা সালাতে এটা জোরে পড়ার মত পোষণ করি না। এরপর তাঁদের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলেছেন, তা আস্তে পড়বে। আবার কতেক বলেছেন, আস্তে- জোরে কোনভাবেই পড়বে না। তাঁরা এ বিষয়ে প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে নিম্নোক্ত দলীল পেশ করেছেন:
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেন, আমরা সালাতে এটা জোরে পড়ার মত পোষণ করি না। এরপর তাঁদের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলেছেন, তা আস্তে পড়বে। আবার কতেক বলেছেন, আস্তে- জোরে কোনভাবেই পড়বে না। তাঁরা এ বিষয়ে প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে নিম্নোক্ত দলীল পেশ করেছেন:
1191 - وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا بِمَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ قَالَ: أنا ابْنُ جُرَيْجٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: " {وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعًا مِنَ الْمَثَانِي} [الحجر: 87] قَالَ: فَاتِحَةُ الْكِتَابِ , ثُمَّ قَرَأَ ابْنُ عَبَّاسٍ: {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] وَقَالَ: هِيَ الْآيَةُ السَّابِعَةُ " قَالَ: وَقَرَأَ عَلَى سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ , كَمَا قَرَأَ عَلَيْهِ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا نَرَى الْجَهْرَ بِهَا فِي الصَّلَاةِ , وَاخْتَلَفُوا بَعْدَ ذَلِكَ. فَقَالَ بَعْضُهُمْ: يَقُولُهَا سِرًّا , وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَا يَقُولُهَا أَلْبَتَّةَ , لَا فِي السِّرِّ , وَلَا فِي الْعَلَانِيَةِ. وَاحْتَجُّوا عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৯২
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১১৯২। হুসাইন ইব্ন নসর (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন দ্বিতীয় রাক'আতের জন্য উঠতেন তখন 'আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন'-এর মাধ্যমে (কিরাআত) শুরু করতেন এবং চুপ থাকতেন না।
বিশ্লেষণ
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, এতে প্রমাণিত হয় যে, 'বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম' সূরা ফাতিহার অংশ নয়। যদি তা সূরা ফাতিহার অংশ হত তাহলে তিনি দ্বিতীয় রাক'আতে সূরা ফাতিহার ন্যায় তাও পড়তেন। আর যারা এটাকে সূরা ফাতিহার অংশ সাব্যস্ত করে প্রথম রাক'আতে জোরে পড়াকে পছন্দ করেছেন তাঁরা দ্বিতীয় রাক'আতেও এটাকে মুস্তাহাব মনে করেন। সুতরাং যখন আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর এই হাদীস দ্বারা রাসূলুল্লাহ্ কর্তৃক দ্বিতীয় রাক'আতে 'বিসমিল্লাহ' খণ্ডিত হয়ে গেল, তাহলে প্রথম রাক'আতেও খন্ডিত হওয়াটা সাব্যস্ত হয়ে গেল। সুতরাং এই হাদীস ..... পড়া নাঈম ইবন মুজমির (রাহঃ)-এর হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক হল। অথচ এটা রিওয়াতের নীতি ও বিশুদ্ধ সনদের দিক দিয়ে নাঈম (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াত অপেক্ষা অধিক সূদৃঢ় ও শ্রেষ্ঠ। তাঁরা বলেন, ইবন আবী মুলায়কা (রাহঃ) বর্ণিত উম্মু সালামা (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতের বর্ণনাকারীগণ এর শব্দে মতভেদ করেছেন। কেউ এটাকে সেইরূপ বর্ণনা করেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি। আবার অন্যরা তার পরিপন্থী বর্ণনা করেছেন।
বিশ্লেষণ
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, এতে প্রমাণিত হয় যে, 'বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম' সূরা ফাতিহার অংশ নয়। যদি তা সূরা ফাতিহার অংশ হত তাহলে তিনি দ্বিতীয় রাক'আতে সূরা ফাতিহার ন্যায় তাও পড়তেন। আর যারা এটাকে সূরা ফাতিহার অংশ সাব্যস্ত করে প্রথম রাক'আতে জোরে পড়াকে পছন্দ করেছেন তাঁরা দ্বিতীয় রাক'আতেও এটাকে মুস্তাহাব মনে করেন। সুতরাং যখন আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর এই হাদীস দ্বারা রাসূলুল্লাহ্ কর্তৃক দ্বিতীয় রাক'আতে 'বিসমিল্লাহ' খণ্ডিত হয়ে গেল, তাহলে প্রথম রাক'আতেও খন্ডিত হওয়াটা সাব্যস্ত হয়ে গেল। সুতরাং এই হাদীস ..... পড়া নাঈম ইবন মুজমির (রাহঃ)-এর হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক হল। অথচ এটা রিওয়াতের নীতি ও বিশুদ্ধ সনদের দিক দিয়ে নাঈম (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াত অপেক্ষা অধিক সূদৃঢ় ও শ্রেষ্ঠ। তাঁরা বলেন, ইবন আবী মুলায়কা (রাহঃ) বর্ণিত উম্মু সালামা (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতের বর্ণনাকারীগণ এর শব্দে মতভেদ করেছেন। কেউ এটাকে সেইরূপ বর্ণনা করেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি। আবার অন্যরা তার পরিপন্থী বর্ণনা করেছেন।
1192 - بِمَا حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ , قَالَ: ثنا عُمَارَةُ بْنُ الْقَعْقَاعِ , قَالَ: ثنا أَبُو زُرْعَةَ بْنُ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ , قَالَ: ثنا أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: " كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا نَهَضَ فِي الثَّانِيَةِ , اسْتَفْتَحَ بِ {الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [البقرة: 1] وَلَمْ يَسْكُتْ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا دَلِيلٌ أَنَّ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] لَيْسَتْ مِنْ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ , وَلَوْ كَانَتْ مِنْ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ , لَقَرَأَ بِهَا فِي الثَّانِيَةِ , كَمَا قَرَأَ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ. وَالَّذِينَ اسْتَحَبُّوا الْجَهْرَ بِهَا فِي الرَّكْعَةِ الْأُولَى لِأَنَّهَا عِنْدَهُمْ مِنْ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ , اسْتَحَبُّوا ذَلِكَ أَيْضًا فِي الثَّانِيَةِ فَلَمَّا انْتَفَى بِحَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ هَذَا أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ بِهَا فِي الثَّانِيَةِ , انْتَفَى بِهِ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ قَرَأَ بِهَا فِي الْأُولَى. فَعَارَضَ هَذَا الْحَدِيثُ , حَدِيثَ نُعَيْمِ بْنِ الْمُجْمِرِ , وَكَانَ هَذَا أَوْلَى مِنْهُ , لِاسْتِقَامَةِ طَرِيقِهِ , وَفَضَّلَ صِحَّةَ مَجِيئِهِ , عَلَى مَجِيءِ حَدِيثِ نُعَيْمٍ. وَقَالُوا: وَأَمَّا حَدِيثُ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , الَّذِي رَوَاهُ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ , فَقَدِ اخْتَلَفَ الَّذِينَ رَوَوْهُ فِي لَفْظِهِ. فَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَلَى مَا ذَكَرْنَاهُ , وَرَوَاهُ آخَرُونَ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৯৩
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১১৯৩। রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... ইয়া'লা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি উম্মু সালামা (রাযিঃ)-কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কিরাআত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি তাঁকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কিরাআত স্পষ্ট করে এক এক অক্ষর করে বিবরণ পেশ করেন।
বিশ্লেষণ
এই হাদীসে উম্মু সালামা (রাযিঃ)-এর পক্ষ থেকে 'বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম' পড়ার উল্লেখ করা এদিকে ইঙ্গিত বহন করে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পুরা কুরআনের কিরাআত কিরূপ ছিল, এর দ্বারা তার বিবরণ দিচ্ছেন। এতে রাসূলুল্লাহ্ 'বিসমিল্লাহ .....' পড়তেন বলে কোনরূপ দলীল নেই । 'তাই এর মর্ম ইব্ন জুরায়জ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতের মর্ম থেকে ভিন্ন।
এটাও হতে পারে যে, ইবন জুরায়জ (রাহঃ)-এর হাদীসে সূরা ফাতিহার যে উল্লেখ রয়েছে এতে সম্ভাবনা রয়েছে যে, ইবন জুরায়জ (রাহঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কিরাআত এক এক অক্ষর করে স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেছেন। যেমনিভাবে লায়স (রাহঃ) ইবন আবী মুলায়কা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। সুতরাং উন্মু সালামা (রাযিঃ)-এর ওই হাদীসে কারো জন্য দলীল সাব্যস্ত হল না। তাঁরা তাঁদের (প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের)-কে এটাও বলেছেন, যা কিছু তোমরা সাঈদ ইবন জুবাইর (রাহঃ) সূত্রে ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعًا مِنَ الْمَثَانِي (আমি তো তোমাকে দিয়েছি সাত আয়াত যা পুনঃ পুনঃ আবৃত্ত হয়, সূরাঃ ১৫ আয়াতঃ ৮৭) সম্পর্কে রিওয়ায়াত করেছেন এবং বলেছেন, এটা (সূরা ফাতিহা) ‘সাবয়ে মাসানী' (সাত আয়াত যা পুনঃ পুনঃ আবৃত্ত হয়)-এর অন্তর্ভুক্ত। আমরা এ বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হব না। কিন্তু আপনারা যা বলেছেন যে 'বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম' তার অংশ এবং ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে এটা বর্ণিত আছে এ বিষয়ে কিন্তু অন্যদের থেকে (যাদের থেকে আমরা এই অনুচ্ছেদে হাদীস রিওয়ায়াত করেছি) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) 'বিসমিল্লাহ' জোরে পড়েননি মর্মে হাদীস বর্ণিত আছে, যেগুলো ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর বর্ণনার বিরুদ্ধে প্রমাণ বহন করে। এতে তাদের কারো মতভেদ নেই যে, সূরা ফাতিহা সাত আয়াত বিশিষ্ট। সুতরাং যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ ..... কে তার অংশ সাব্যস্ত করেছে সে এটাকে ভিন্ন এক আয়াত গণ্য করেছে। আর যে ব্যক্তি এটাকে ফাতিহার অংশ সাব্যস্ত করেনি সে أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ -কে এক আয়াত গণ্য করেছে। বস্তুত যখন এ বিষয়ে তাঁরা মতভেদ করেছেন তখন গভীর পর্যবেক্ষণ জরুরী। আমরা বিষয়টিকে যথাস্থানে ইনশাআল্লাহ্ বর্ণনা করব।
উসমান ইব্ন আফফান (রাযিঃ) থেকে এ বিষয়ে (নিম্নোক্ত হাদীস) বর্ণিত আছেঃ
বিশ্লেষণ
এই হাদীসে উম্মু সালামা (রাযিঃ)-এর পক্ষ থেকে 'বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম' পড়ার উল্লেখ করা এদিকে ইঙ্গিত বহন করে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পুরা কুরআনের কিরাআত কিরূপ ছিল, এর দ্বারা তার বিবরণ দিচ্ছেন। এতে রাসূলুল্লাহ্ 'বিসমিল্লাহ .....' পড়তেন বলে কোনরূপ দলীল নেই । 'তাই এর মর্ম ইব্ন জুরায়জ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতের মর্ম থেকে ভিন্ন।
এটাও হতে পারে যে, ইবন জুরায়জ (রাহঃ)-এর হাদীসে সূরা ফাতিহার যে উল্লেখ রয়েছে এতে সম্ভাবনা রয়েছে যে, ইবন জুরায়জ (রাহঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কিরাআত এক এক অক্ষর করে স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেছেন। যেমনিভাবে লায়স (রাহঃ) ইবন আবী মুলায়কা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। সুতরাং উন্মু সালামা (রাযিঃ)-এর ওই হাদীসে কারো জন্য দলীল সাব্যস্ত হল না। তাঁরা তাঁদের (প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের)-কে এটাও বলেছেন, যা কিছু তোমরা সাঈদ ইবন জুবাইর (রাহঃ) সূত্রে ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعًا مِنَ الْمَثَانِي (আমি তো তোমাকে দিয়েছি সাত আয়াত যা পুনঃ পুনঃ আবৃত্ত হয়, সূরাঃ ১৫ আয়াতঃ ৮৭) সম্পর্কে রিওয়ায়াত করেছেন এবং বলেছেন, এটা (সূরা ফাতিহা) ‘সাবয়ে মাসানী' (সাত আয়াত যা পুনঃ পুনঃ আবৃত্ত হয়)-এর অন্তর্ভুক্ত। আমরা এ বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হব না। কিন্তু আপনারা যা বলেছেন যে 'বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম' তার অংশ এবং ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে এটা বর্ণিত আছে এ বিষয়ে কিন্তু অন্যদের থেকে (যাদের থেকে আমরা এই অনুচ্ছেদে হাদীস রিওয়ায়াত করেছি) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) 'বিসমিল্লাহ' জোরে পড়েননি মর্মে হাদীস বর্ণিত আছে, যেগুলো ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর বর্ণনার বিরুদ্ধে প্রমাণ বহন করে। এতে তাদের কারো মতভেদ নেই যে, সূরা ফাতিহা সাত আয়াত বিশিষ্ট। সুতরাং যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ ..... কে তার অংশ সাব্যস্ত করেছে সে এটাকে ভিন্ন এক আয়াত গণ্য করেছে। আর যে ব্যক্তি এটাকে ফাতিহার অংশ সাব্যস্ত করেনি সে أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ -কে এক আয়াত গণ্য করেছে। বস্তুত যখন এ বিষয়ে তাঁরা মতভেদ করেছেন তখন গভীর পর্যবেক্ষণ জরুরী। আমরা বিষয়টিকে যথাস্থানে ইনশাআল্লাহ্ বর্ণনা করব।
উসমান ইব্ন আফফান (রাযিঃ) থেকে এ বিষয়ে (নিম্নোক্ত হাদীস) বর্ণিত আছেঃ
1193 - كَمَا حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ قَالَ: ثنا اللَّيْثُ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ , عَنْ يَعْلَى «أَنَّهُ سَأَلَ أُمَّ سَلَمَةِ عَنْ قِرَاءَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَعَتَتْ لَهُ قِرَاءَةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مُفَسَّرَةً حَرْفًا حَرْفًا» فَفِي هَذَا أَنَّ ذِكْرَ قِرَاءَةِ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] مِنْ أُمِّ سَلَمَةَ , تَنْعَتُ بِذَلِكَ قِرَاءَةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَائِرِ الْقُرْآنِ , كَيْفَ كَانَتْ؟ وَلَيْسَ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْرَأُ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] فَمَعْنَى هَذَا غَيْرُ مَعْنَى حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ. وَقَدْ يَجُوزُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ تَقْطِيعُ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ الَّذِي فِي حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ , كَانَ مِنِ ابْنِ جُرَيْجٍ أَيْضًا حِكَايَةً مِنْهُ لِلْقِرَاءَةِ الْمُفَسَّرَةِ حَرْفًا حَرْفًا , الَّتِي حَكَاهَا اللَّيْثُ , عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ. فَانْتَفَى بِذَلِكَ أَنْ يَكُونَ فِي حَدِيثِ أُمِّ سَلَمَةَ ذَلِكَ حُجَّةٌ لِأَحَدٍ. وَقَالُوا لَهُمْ أَيْضًا , فِيمَا رَوَوْهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي قَوْلِهِ: {وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعًا مِنَ الْمَثَانِي} [الحجر: 87] أَمَّا مَا ذَكَرْتُمُوهُ مِنْ أَنَّهَا هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي , فَإِنَّا لَا نُنَازِعُكُمْ فِي ذَلِكَ. وَأَمَّا مَا ذَكَرْتُمُوهُ مِنْ أَنَّ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] مِنْهَا , فَقَدْ رُوِيَ هَذَا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , كَمَا ذَكَرْتُمْ , وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِهِ مِمَّنْ رَوَيْنَا عَنْهُ , فِي هَذَا الْبَابِ , مَا يَدُلُّ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ أَنَّهُ لَمْ يَجْهَرْ بِهَا وَلَمْ يَخْتَلِفُوا جَمِيعًا أَنَّ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ سَبْعُ آيَاتٍ. فَمَنْ جَعَلَ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] مِنْهَا عَدَّهَا آيَةً , وَمَنْ لَمْ يَجْعَلْهَا مِنْهَا , عَدَّ {أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ} [الفاتحة: 7] آيَةً. فَلَمَّا اخْتَلَفُوا فِي ذَلِكَ , وَجَبَ النَّظَرُ وَسَنُبَيِّنُ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৯৪
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১১৯৪। আলী ইবন শায়বা (রাযিঃ) ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার উসমান ইব্ন আফফান (রাযিঃ)-কে বললাম! সূরা আনফাল, যা সাতটি দীর্ঘ সূরার অন্যতম এবং সূরা বারাআত যা শতাধিক আয়াত বিশিষ্ট সূরাগুলোর অন্যতম, এ উভয়টিকে একত্রিত করার উপর আপনাদেরকে কিসে অনুপ্রাণিত করেছে এবং আপনারা এ উভয়টিকে সাতটি দীর্ঘতম সূরার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আর এই দুই সূরার মাঝখানে বিসমিল্লাহ .... লিপিবদ্ধ করেননি। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর উপর যখন কোন আয়াত অবতীর্ণ হত তখন বলতেন, এটাকে সেই সূরার অন্তর্ভুক্ত কর যাতে অমুক অমুক বিষয় রয়েছে। (এ দু'টি সূরার) একটির বিষয়বস্তু অপরটির বিষয়বস্তুর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এদিকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইন্তিকাল করে গেছেন এবং আমি তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিনি। আমার আশংকা হল দ্বিতীয়টি প্রথমটির অংশ হতে পারে, তাই আমি উভয়টিকে একত্রিত করে ফেললাম এবং উভয়ের মাঝখানে বিসমিল্লাহ..... লিখলাম না। আর উভয় সূরাকে সাতটি দীর্ঘতম সূরার অন্তর্ভুক্ত করে দিলাম।
আবু জা'ফর তাহাবী বলেন, ইনি হলেন উসমান (রাযিঃ), যিনি এই হাদীসে সংবাদ দিচ্ছেন যে, তাঁর মতে বিসমিল্লাহ .....সূরার অংশ ছিল না। তিনি তা সূরাগুলোকে পৃথক করার নিমিত্ত লিখতেন এবং এটা সূরাগুলো থেকে ভিন্ন বস্তু। এটা এ বিষয়ে ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর মতের পরিপন্থী। মুতাওয়াতির হাদীসসমূহ দ্বারা সাব্যস্ত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আবু বাকর (রাযিঃ), উমার (রাযিঃ) ও উসমান (রাযিঃ) সকলেই সালাতে বিসমিল্লাহ.... জোরে পড়তেন না।
আবু জা'ফর তাহাবী বলেন, ইনি হলেন উসমান (রাযিঃ), যিনি এই হাদীসে সংবাদ দিচ্ছেন যে, তাঁর মতে বিসমিল্লাহ .....সূরার অংশ ছিল না। তিনি তা সূরাগুলোকে পৃথক করার নিমিত্ত লিখতেন এবং এটা সূরাগুলো থেকে ভিন্ন বস্তু। এটা এ বিষয়ে ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর মতের পরিপন্থী। মুতাওয়াতির হাদীসসমূহ দ্বারা সাব্যস্ত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আবু বাকর (রাযিঃ), উমার (রাযিঃ) ও উসমান (রাযিঃ) সকলেই সালাতে বিসমিল্লাহ.... জোরে পড়তেন না।
1194 - مَا قَدْ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا هَوْذَةُ بْنُ خَلِيفَةَ , عَنْ عَوْفٍ عَنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: قُلْتُ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: مَا حَمَلَكُمْ عَلَى أَنْ عَمَدْتُمْ إِلَى الْأَنْفَالِ , وَهِيَ مِنَ السَّبْعِ الطُّوَلِ وَإِلَى بَرَاءَةٌ وَهِيَ مِنَ الْمِئِينَ؟ فَقَرَنْتُمْ بَيْنَهُمَا , وَجَعَلْتُمُوهُمَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ , وَلَمْ تَكْتُبُوا بَيْنَهُمَا سَطْرَ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1]فَقَالَ عُثْمَانُ: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَانَ يَنْزِلُ عَلَيْهِ الْآيَةُ فَيَقُولُ: اجْعَلُوهَا فِي السُّورَةِ الَّتِي يَذْكُرُ فِيهَا كَذَا وَكَذَا " , وَكَانَتْ قِصَّتُهَا شَبِيهَةً بِقِصَّتِهَا. فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَلَمْ أَسْأَلْهُ عَنْ ذَلِكَ , فَخِفْتُ أَنْ تَكُونَ مِنْهَا فَقَرَنْتُ بَيْنَهُمَا , وَلَمْ أَكْتُبْ بَيْنَهَا سَطْرَ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] وَجَعَلْتُهُمَا فِي السَّبْعِ الطُّوَلِ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا عُثْمَانُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , يُخْبِرُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] لَمْ تَكُنْ عِنْدَهُ مِنَ السُّورَةِ , وَأَنَّهُ إِنَّمَا كَانَ يَكْتُبُهَا فِي فَصْلِ السُّوَرِ , وَهِيَ غَيْرُهُنَّ: فَهَذَا خِلَافُ , مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ ذَلِكَ. وَقَدْ جَاءَتِ الْآثَارُ مُتَوَاتِرَةً عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَعَنْ أَبِي بَكْرٍ , وَعُمَرَ , وَعُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , أَنَّهُمْ كَانُوا لَا يَجْهَرُونَ بِهَا فِي الصَّلَاةِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৯৫
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১১৯৫। ফাহাদ (রাহঃ) ইবন আব্দিল্লাহ ইবন মুগাফ্ফল (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, আমি ইসলামে নতুন বিধান (বিদ'আত) সৃষ্টি করায় ব্যাপারে তাঁর অপেক্ষা কঠোর কাউকে দেখিনি। তিনি আমাকে (একবার সালাতে) বিসমিল্লাহ পড়তে শুনে বললেনঃ প্রিয় বৎস, তুমি অবশ্যই ইসলামে 'বিদআত' সৃষ্টি থেকে বেঁচে থাকবে। আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আবু বাকর, উমার, উসমান (রাযিঃ) সকলের সঙ্গে সালাত আদায় করেছি; কিন্তু তাঁদের কাউকেই এটা জোরে পড়তে শুনিনি। সুতরাং যখন তুমি কিরাআত পড়বে তখন বলবে, 'আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন'।
1195 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عَبَايَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، عَنْ أَبِيهِ وَقَلَّمَا رَأَيْتُ رَجُلًا أَشَدَّ عَلَيْهِ حَدَثًا فِي الْإِسْلَامِ، مِنْهُ , فَسَمِعَنِي وَأَنَا أَقْرَأُ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] فَقَالَ: " أَيْ بُنَيَّ , إِيَّاكَ وَالْحَدَثَ فِي الْإِسْلَامِ , فَإِنِّي قَدْ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ , وَعُمَرَ , وَعُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , فَلَمْ أَسْمَعْهَا مِنْ أَحَدٍ مِنْهُمْ , وَلَكِنْ إِذَا قَرَأَتْ فَقُلْ: {الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [الفاتحة: 2] "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৯৬
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১১৯৬। আবু বাকরা (রাযিঃ) ..... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) আবু বাকর, উমার, উসমান (রাযিঃ) সকলেই “আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন”-এর মাধ্যমে কিরাআত শুরু করতেন।
1196 - وَكَمَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , وَسَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ قَالَا: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , كَانُوا يَسْتَفْتِحُونَ الْقِرَاءَةَ بِ {الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [الفاتحة: 2]

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৯৭
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১১৯৭। সুলায়মান ইবন শু'আইব কায়সানী (রাহঃ) আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন , যে, তিনি বলেছেন, আমি নবী (ﷺ), আবু বাকর, উমার, উসমান (রাযিঃ) সকলের পিছনে সালাত আদায় করেছি ৷ তাঁদের কাউকেই বিসমিল্লাহ ..... জোরে পড়তে শুনিনি।
1197 - وَكَمَا حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ الْكَيْسَانِيُّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ قَتَادَةَ , قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُولُ: " صَلَّيْتُ خَلْفَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , فَلَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا مِنْهُمْ يَجْهَرُ بِ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ১১৯৯
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১১৯৮-১১৯৯। ইউনুস ইবন আব্দিল আ'লা (রাহঃ) …. আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আবু বাকর, উমার, উসমান (রাযিঃ) সকলের পিছনে দাঁড়িয়ে (সালাত আদায় করেছি) তারা সকলেই যখন সালাত শুরু করতেন বিসমিল্লাহ ...... পড়তেন না।
ফাহাদ (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু বাকর ও উমার (রাযিঃ), রাবী হুমায়দ (রাহঃ)-এর ধারণায় তিনি নবী (ﷺ)-এরও উল্লেখ করেছেন। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
ফাহাদ (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু বাকর ও উমার (রাযিঃ), রাবী হুমায়দ (রাহঃ)-এর ধারণায় তিনি নবী (ﷺ)-এরও উল্লেখ করেছেন। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
1198 - وَكَمَا حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: " قُمْتُ وَرَاءَ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , فَكُلُّهُمْ كَانَ لَا يَقْرَأُ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ "
1199 - وَكَمَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ , قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ , عَنْ حُمَيْدٍ , عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَيَرَى حُمَيْدٌ أَنَّهُ قَدْ ذَكَرَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ
1199 - وَكَمَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ , قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ , عَنْ حُمَيْدٍ , عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَيَرَى حُمَيْدٌ أَنَّهُ قَدْ ذَكَرَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২০০
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১২০০। আহমদ ইবন আবী ইমরান (রাহঃ) ও আলী ইবন আব্দির রহমান ইবন মুহাম্মাদ ইবন মুগীরা (রাহঃ) ....... কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আনাস (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি ও "আমি নবী (ﷺ), আবু বাকর, উমার, উসমান (রাযিঃ)-এর পিছনে সালাত আদায় করেছি। আমি তাঁদের কাউকে বিসমিল্লাহ..... জোরে পড়তে শুনিনি।”
1200 - وَكَمَا حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ , وَعَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ , قَالَا: ثنا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ , قَالَ: أنا شَيْبَانُ , عَنْ قَتَادَةَ , قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسًا يَقُولُ: " صَلَّيْتُ خَلْفَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ فَلَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا مِنْهُمْ يَجْهَرُ بِ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২০১
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১২০১। আবু উমাইয়া (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ), আবু বাকর, উমার (রাযিঃ) জোরে বিসমিল্লাহ ..... পড়তেন না।
1201 - وَكَمَا حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ قَالَ: ثنا الْأَحْوَصُ بْنُ جَوَّابٍ , قَالَ: ثنا عَمَّارُ بْنُ رُزَيْقٍ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ شُعْبَةَ , عَنْ ثَابِتٍ , عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: " لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَلَا أَبُو بَكْرٍ وَلَا عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ يَجْهَرُونَ بِ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২০২
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১২০২। ইবরাহীম ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ), আবু বাকর, উমার (রাযিঃ) সকলেই নীরবে বিসমিল্লাহ ….. পড়তেন।
1202 - وَكَمَا حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا دُحَيْمُ بْنُ الْيَتِيمِ , قَالَ: ثنا سُوَيْدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ , عَنْ عِمْرَانَ الْقَصِيرِ , عَنِ الْحَسَنِ , عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانُوا يُسِرُّونَ بِ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২০৩
আন্তর্জাতিক নং: ১২০৪
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১২০৩-১২০৪। আবৃ উমাইয়া (রাহঃ) …. আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ), আবু বাকর, উমার, উসমান (রাযিঃ) সকলেই “আল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন”-এর মাধ্যমে কিরাআত শুরু করতেন।
আহমদ ইবন মাসউদ আল-খাইয়াত আল-মুকাদ্দাসী (রাহঃ) ......আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আহমদ ইবন মাসউদ আল-খাইয়াত আল-মুকাদ্দাসী (রাহঃ) ......আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
1203 - وَكَمَا حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ , قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ الرَّقِّيُّ , قَالَ: ثنا مَخْلَدُ بْنُ الْحُسَيْنِ , عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ , عَنِ ابْنِ سِيرِينَ , وَالْحَسَنُ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ , قَالَ: " كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ يَسْتَفْتِحُونَ بِ {الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [الفاتحة: 2] "
1204 - وَكَمَا حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَسْعُودٍ الْخَيَّاطُ الْمَقْدِسِيُّ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ , عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ , عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
1204 - وَكَمَا حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَسْعُودٍ الْخَيَّاطُ الْمَقْدِسِيُّ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ , عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ , عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২০৫
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১২০৫। ইবরাহীম ইবন মুনকিয (রাহঃ) …… আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ), আবু বাকর, উমার (রাযিঃ)-কে “আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন"-এর মাধ্যমে কিরাআত শুরু করতে শুনেছি।
1205 - وَكَمَا حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُنْقِذٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ نُوحٍ , أَخَا بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ , حَدَّثَهُ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: " سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَسْتَفْتِحُونَ الْقِرَاءَةَ بِ {الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [الفاتحة: 2]

তাহকীক:
তাহকীক চলমান