শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১১৩৩
১২- আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৩৩। আলী ইবন মা'বাদ (রাযিঃ)..... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অপেক্ষা আসরের সালাত জলদি আদায়কারী কেউ ছিল না। আনসারের দুই ব্যক্তির ঘর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মসজিদ (মসজিদে নববী) থেকে দূরে ছিল। (এক) আবু লুবাবা ইব্‌ন আব্দিল মুনযির, যিনি বনু আমর ইবন আওফ গোত্রীয় ছিলেন এবং (দ্বিতীয়জন) আবু আবাস ইবন খায়র, যিনি ছিলেন বনু হারিসা গোত্রীয়। আবু লুবাবা (রাযিঃ)-এর বাড়ি ছিল 'কূবা' (পল্লীতে) এবং আবু আবাস (রাযিঃ)-এর বাড়ি ছিল বনু হারিসা গোত্রে। এঁরা দুইজন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সঙ্গে আসরের সালাত আদায় করে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের নিকট আসতেন এবং তাঁদেরকে দেখতে পেতেন যে তাঁরা তখনও সালাত আদায় করেননি। (আর এটা এ জন্য হত যে,) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা (আসর) জলদি পড়তেন।
بَابُ صَلَاةِ الْعَصْرِ هَلْ تُعَجَّلُ أَوْ تُؤَخَّرُ؟
1133 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: ثنا أَبِي , عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ , عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ ثُمَّ الظَّفَرِيِّ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ: «مَا كَانَ أَحَدٌ أَشَدَّ تَعْجِيلًا لِصَلَاةِ الْعَصْرِ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ كَانَ أَبْعَدَ رَجُلَيْنِ مِنَ الْأَنْصَارِ دَارًا مِنْ مَسْجِدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَأَبُو لُبَابَةَ بْنُ عَبْدِ الْمُنْذِرِ أَخُو بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ وَأَبُو عَبْسِ بْنُ خَيْرٍ أَحَدُ بَنِي حَارِثَةَ دَارُ أَبِي لُبَابَةَ بِقُبَاءَ , وَدَارُ أَبِي عَبْسٍ فِي بَنِي حَارِثَةَ , ثُمَّ إِنْ كَانَ لَيُصَلِّيَانِ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَصْرَ , ثُمَّ يَأْتِيَانِ قَوْمَهُمَا وَمَا صَلَّوْهَا لِتَبْكِيرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৩৪
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৩৪। ইবন আবী দাউদ (রাযিঃ)..... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে,বলেছেন, তিনি বলেছেন, আমরা আসরের সালাত আদায় করতাম। তারপর কোন ব্যক্তি বনু আমর ইব্‌ন আওফের নিকট চলে যেত এবং তাদেরকে আসরের সালাত আদায়রত পেত।
1134 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أنا مَالِكٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «كُنَّا نُصَلِّي الْعَصْرَ , ثُمَّ يَخْرُجُ الْإِنْسَانُ إِلَى بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ , فَيَجِدُهُمْ يُصَلُّونَ الْعَصْرَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৩৫
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৩৫। ইবন আবী দাউদ (রাযিঃ)..... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) আসরের সালাত এমন সময় আদায় করতেন, তারপর কোন গমনকারী 'কুবা' পর্যন্ত যেত। (বর্ণনাকারী) মুহুরী (রাহঃ) অথবা ইসহাকের মধ্যে একজন বলেন, তারা (কূবাবাসী তখন) সালাতরত থাকত। অন্যজন বলেন সূর্য তখনও উপরে (উজ্জ্বল) থাকত।
1135 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا نُعَيْمٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ، قَالَ: أنا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ , ثُمَّ يَذْهَبُ الذَّاهِبُ إِلَى قُبَاءَ قَالَ أَحَدُهُمَا: وَهُمْ يُصَلُّونَ , وَقَالَ: الْآخِرُ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ১১৩৭
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৩৬-১১৩৭। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ও ইউনুস (রাযিঃ) আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতাম যে, কোন গমনকারী 'কুবা' পর্যন্ত যেত। গমনকারী কুবাবাসীদের নিকটে এমন সময় পৌঁছতেন যে, সূর্য তখনও উপরে (উজ্জ্বল) থাকত।
1136 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أنا مَالِكٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، ح

1137 - وَحَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: «كُنَّا نُصَلِّي الْعَصْرَ , ثُمَّ يَذْهَبُ الذَّاهِبُ إِلَى قُبَاءَ , فَيَأْتِيهِمْ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৩৮
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৩৮। ইবনে আবু দাউদ (রাহঃ)...... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতেন যে, কোন গমনকারী 'আওয়ালী' (মদিনার পার্শ্ববর্তী উঁচু মহল্লা)-তে পৌছাতো, সূর্য তখনও উপরে (উজ্জ্বল) থাকতো। ইমাম যুহরী (রাহঃ) বলেন: 'আওয়ালি' দুই-তিন মাইল দূরে অবস্থিত ছিল। আমার ধারণা তিনি চার মাইলেরও উল্লেখ করেছেন।
1138 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا نُعَيْمٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ، قَالَ: أنا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ , فَيَذْهَبُ الذَّاهِبُ إِلَى الْعَوَالِي , وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ» قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَالْعَوَالِي , عَلَى الْمِيلَيْنِ وَالَثَّلَاثَةِ وَأَحْسَبُهُ قَالَ: وَالْأَرْبَعَةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৩৯
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৩৯। ইউনুস ইব্‌ন আব্দিল আ'লা (রাহঃ).... আনাস ইব্‌ন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আসরের সালাত এমন সময় আদায় করতেন যে, সূর্য তখনও অনেক উপরে উজ্জ্বল থাকত। কোন গমনকারী 'আওয়ালী'তে গমন করত এবং 'আওয়ালী'তে এমন সময় পৌঁছাত যে সূর্য তখনও উপরে (উজ্জ্বল) থাকত।
1139 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ حَيَّةٌ , فَيَذْهَبُ الذَّاهِبُ إِلَى الْعَوَالِي , فَيَأْتِي الْعَوَالِي وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৪০
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৪০। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ)..... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদেরকে নিয়ে এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতেন যে, সূর্য তখনও উজ্জ্বল থাকত । তারপর আমি আমার গোত্রের নিকট ফিরতাম, দেখতাম, তারা মদীনার এক প্রান্তে বসে রয়েছে। আমি তাদেরকে বলতামঃ উঠ, সালাত আদায় কর, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সালাত আদায় করে ফেলেছেন।

বিশ্লেষণ
আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত এই হাদীসে বৈপরিত্য রয়েছে। আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদা (রাহঃ), ইসহাক ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ও আবুল আবইয়ায (রাহঃ) আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে যা রিওয়ায়াত করেছেন, তা জলদি সালাত আদায়ের স্বপক্ষে প্রমাণ বহন করে। যেহেতু তাঁদের হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা (আসরের সালাত) এমন সময় আদায় করতেন যে, কোন গমনকারী তাঁদের উল্লিখিত স্থানে গমন করত এবং তাঁদেরকে এ অবস্থায় পেত যে, তারা তখনও সালাত আদায় করেনি। আর আমরা জ্ঞাত আছি যে, তাঁরা সূর্যের রং হলদে হওয়ার পূর্বেই সালাত আদায় করে নিতেন। সুতরাং এটা জলদি পড়ার দলীল।

ইমাম যুহরী (রাহঃ) আনাস (রাযিঃ)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে যা রিওয়ায়াত করেছেন যে, “আমরা নবী (ﷺ)-এর সঙ্গে এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতাম যে, আমরা 'আওয়ালী'তে পৌঁছলেও সূর্য তখনও উর্ধ্বাকাশে থাকত। সম্ভবত তা উপরেও থাকত অথচ হলদেও হয়ে যেত।
অতএব আনাস (রাযিঃ)-এর এই হাদীসে 'ইযতিরাব' দিব্যমান। কারণ, যা কিছু যুহরী (রাহঃ) তাঁর থেকে রিওয়ায়াত করেছেন এর মর্ম ওই হাদীসের পরিপন্থী, যা ইসহাক ইব্‌ন আব্দিল্লাহ (রাহঃ), আসিম ইবন উমার (রাহঃ) ও আবু আবইয়ায (রাহঃ) আনাস (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আনাস (রাযিঃ) ব্যতীত অন্যদের থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। তা থেকে কিছু নিম্নরূপ:
1140 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ، قَالَ: أنا زَائِدَةٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَبْيَضِ، قَالَ: ثنا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: " كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي بِنَا الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ , ثُمَّ أَرْجِعُ إِلَى قَوْمِي , وَهُمْ جُلُوسٌ فِي نَاحِيَةِ الْمَدِينَةِ , فَأَقُولُ لَهُمْ: قُومُوا فَصَلُّوا , فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ صَلَّى " فَقَدِ اخْتَلَفَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , فَكَانَ مَا رَوَى عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ وَإِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللهِ , وَأَبُو الْأَبْيَضِ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , يَدُلُّ عَلَى التَّعْجِيلِ بِهَا , لِأَنَّ فِي حَدِيثِهِمْ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّيهَا , ثُمَّ يَذْهَبُ الذَّاهِبُ إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي ذَكَرُوا , فَيَجِدُهُمْ لَمْ يُصَلُّوا الْعَصْرَ. وَنَحْنُ نَعْلَمُ أَنَّ أُولَئِكَ لَمْ يَكُونُوا يُصَلُّونَهَا إِلَّا قَبْلَ اصْفِرَارِ الشَّمْسِ , فَهَذَا دَلِيلُ التَّعْجِيلِ. وَأَمَّا مَا رَوَى الزُّهْرِيُّ عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَإِنَّهُ قَالَ: كُنَّا نُصَلِّيهَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ نَأْتِي الْعَوَالِيَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةُ , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ تَكُونَ مُرْتَفِعَةً قَدِ اصْفَرَّتْ. فَقَدِ اضْطَرَبَ حَدِيثُ أَنَسٍ هَذَا , لِأَنَّ مَعْنَى مَا رَوَى الزُّهْرِيُّ مِنْهُ , بِخِلَافِ مَا رَوَى إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللهِ , وَعَاصِمُ بْنُ عُمَرَ , وَأَبُو الْأَبْيَضِ عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ غَيْرِ أَنَسٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৪১
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৪১। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ) ও ফাহাদ (রাহঃ)...... আবু আরওয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি মদীনাতে নবী (ﷺ)-এর সঙ্গে আসরের সালাত আদায় করতাম। তারপর সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্বে যুলহুলায়ফার গাছের নিকট চলে আসতাম। আর এটা দুই ‘ফারসাখ’ (ছয়মাইল) দূরে অবস্থিত।

এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, তিনি আসরের সালাতের পরে সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্বে দুই 'ফারসাখ' দূরত্ব অতিক্রম করতেন। সম্ভবত ওই ভ্রমণ পদব্রজে হবে। আবার হতে পারে ওই ভ্রমণ উট বা অন্য কোন বাহনের মাধ্যমে ছিল। আমরা বিষয়টি নিতান্ত গভীরভাবে লক্ষ্য করেছি, এবং দেখছি :
1141 - فَمِنْ ذَلِكَ مَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ وَفَهْدٌ , قَالَا: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ , قَالَ: ثنا وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ , قَالَ: ثنا أَبُو وَاقِدٍ اللَّيْثِيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو أَرْوَى قَالَ: «كُنْتُ أُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَصْرَ بِالْمَدِينَةِ ثُمَّ آتِي الشَّجَرَةَ ذَا الْحُلَيْفَةِ , قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسُ , وَهِيَ عَلَى رَأْسِ فَرْسَخَيْنِ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ كَانَ يَسِيرُ بَعْدَ الْعَصْرِ فَرْسَخَيْنِ , قَبْلَ أَنْ تَغِيبَ الشَّمْسُ. فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ سَيْرًا عَلَىالْأَقْدَامِ , وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ سَيْرًا عَلَى الْإِبِلِ وَالدَّوَابِّ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৪২
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৪২। মুহাম্মাদ ইব্‌ন ইসমাঈল ইব্‌ন সালিম আস-সায়িগ (রাহঃ)...... আবু আরওয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি নবী (ﷺ)-এর সঙ্গে আসরের সালাত আদায় করতাম। তারপর পদব্রজে যুলহুলায়ফা অভিমুখে যেতাম। সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্বে আমি তাঁদের নিকট পৌঁছে যেতাম।

এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, তিনি সেখানে পদব্রজে যেতেন এবং তাঁর এ কথা বলা “সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্বে” (পৌঁছে যেতেন), সম্ভবত সূর্য হলদে হয়ে যেত এবং তা খুব সামান্যই অবশিষ্ট থাকত। আবু মাসউদ (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে :
1142 - فَإِذَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَالِمٍ الصَّائِغُ , قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا مُعَلَّى وَأَحْمَدُ بْنُ إِسْحَاقَ الْحَضْرَمِيُّ، قَالَا ثنا وُهَيْبٌ , عَنْ أَبِي وَاقِدٍ قَالَ: ثنا أَبُو أَرْوَى , قَالَ: «كُنْتُ أُصَلِّي الْعَصْرَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ أَمْشِي إِلَى ذِي الْحُلَيْفَةِ , فَآتِيهِمْ قَبْلَ أَنْ تَغِيبَ الشَّمْسُ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ كَانَ يَأْتِيهَا مَاشِيًا. وَأَمَّا قَوْلُهُ «قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسُ» فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ وَقَدِ اصْفَرَّتِ الشَّمْسُ , وَلَمْ يَبْقَ مِنْهَا إِلَّا أَقَلُّ الْقَلِيلِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ , نَحْوٌ مِنْ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৪৩
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৪৩। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)...... বাশীর ইব্‌ন আবু মাসউদ (রাহঃ) তাঁর পিতা আবু মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতেন যে, সূর্য তখনও উর্ধ্বাকাশে উজ্জ্বল থাকত। আর তা থেকে অবসর হওয়ার পর কোন ব্যক্তি সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্বে ছয় মাইল দূরে অবস্থিত যুলহুলায়ফায় পৌঁছে যেত।

ব্যাখ্যা
এই হাদীসটিও আবু আরওয়া (রাযিঃ)-এর হাদীসের অনুকূলে রয়েছে। এই হাদীসে তিনি এই বাক্যটি বৃদ্ধি করেছেন: “তিনি এমন সময় তা (আসরের সালাত) আদায় করতেন যে, তখনও সূর্য উর্ধ্বাকাশে (উজ্জ্বল) থাকত।” এতে প্রমাণিত হয় যে, তিনি তা বিলম্বেও আদায় করতেন। আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকেও এক হাদীস বর্ণিত আছে, যা এর স্বপক্ষে প্রমাণ বহন করে :
1143 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو صَالِحٍ، قَالَ: ثنا اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ شِهَابٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، يَقُولُ , أَخْبَرَنِي بَشِيرُ بْنُ أَبِي مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي صَلَاةَ الْعَصْرِ , وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ مُرْتَفِعَةٌ , يَسِيرُ الرَّجُلُ حِينَ يَنْصَرِفُ مِنْهَا إِلَى ذِي الْحُلَيْفَةِ سِتَّةَ أَمْيَالٍ , قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ» فَقَدْ وَافَقَ هَذَا الْحَدِيثَ أَيْضًا حَدِيثُ أَبِي أَرْوَى , وَزَادَ فِيهِ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّيهَا وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ , فَذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ قَدْ كَانَ يُؤَخِّرُهَا. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَيْضًا مَا يَدُلُّ عَلَى هَذَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৪৪
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৪৪। নাসসার ইবন হারর মিসমাঈ বসরী (রাহঃ)..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতেন, যখন সূর্য উর্ধ্বাকাশে উজ্জ্বল থাকত।

বিশ্লেষণ
এই হাদীসে আনাস (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে সংবাদ দিচ্ছেন যে, তিনি তা এমন সময় আদায় করতেন যখন সূর্য উর্ধ্বাকাশে উজ্জ্বল থাকত। এতে প্রমাণিত হয় যে, তিনি কখনও তা বিলম্বে আদায় করতেন এবং সালাত আদায় করার সময় এবং সূর্য অস্তমিত হওয়ার মাঝখানে এতটুকু সময় থাকত যে, কোন ব্যক্তি যুলহুলায়ফা এবং ওই সমস্ত স্থানসমূহের দিকে যেতে পারত, যা এই সমস্ত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে। আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে এ বিষয়ে এটাও বর্ণিত আছে :
1144 - مَا حَدَّثَنَا نَصَّارُ بْنُ حَرْبٍ الْمِسْمَعِيُّ الْبَصْرِيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ رِبْعِيٍّ , عَنْ أَبِي الْأَبْيَضِ , عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي صَلَاةَ الْعَصْرِ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ مُحَلِّقَةٌ» فَقَدْ أَخْبَرَ أَنَسٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّيهَا وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ مُحَلِّقَةٌ , فَذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ قَدْ كَانَ يُؤَخِّرُهَا , ثُمَّ يَكُونُ بَيْنَ الْوَقْتِ الَّذِي كَانَ يُصَلِّيهَا فِيهِ وَبَيْنَ غُرُوبِهَا , مِقْدَارُ مَا كَانَ يَسِيرُ الرَّجُلُ إِلَى ذِي الْحُلَيْفَةِ وَإِلَى مَا ذُكِرَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ , مِنَ الْأَمَاكِنِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , أَيْضًا فِي ذَلِكَ ,
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৪৫
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৪৫। ইবরাহীম ইব্‌ন মারযুক (রাহঃ)...... আনাস (রাযিঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম আবু সাদাকা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার তাঁকে [আনাস (রাযিঃ)] সালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। এতে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আসরের সালাত তোমাদের এই দুই সালাতের মাঝখানে আদায় করতেন।

ব্যাখ্যা
এতে সম্ভাবনা রয়েছে যে, তাঁর বক্তব্য “এই দুই সালাতের মাঝখানে" দ্বারা যুহরের এবং মাগরিবের সালাতের মাঝখানে বুঝানো হয়েছে। এটা তাঁর আসরের সালাতের বিলম্বের স্বপক্ষে প্রমাণ বহন করে। আবার এটারও সম্ভাবনা আছে যে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল তোমাদের জলদি করা এবং বিলম্ব করার মাঝখানে। এটাও বিলম্বের প্রমাণ, তবে অধিক বিলম্বের নয়। যখন হাদীসে আমাদের উল্লিখিত সেই সম্ভাবনা রয়েছে, আর আবুল আবইয়ায (রাহঃ)-এর হাদীসে আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ওই সালাত এমন সময় আদায় করতেন, যখন সূর্য উর্ধ্বাকাশে উজ্জ্বল থাকত, এটা প্রমাণ বহন করে যে, তিনি কখনও তা বিলম্ব করে আদায় করতেন।

কোন ব্যক্তি যদি প্রশ্ন করে বলে যে, এটা কিভাবে হতে পারে, যেখানে আনাস (রাযিঃ) থেকে ঐ সমস্ত লোকদের প্রতি তিরস্কার বর্ণিত হয়েছে, যারা আসরের সালাত বিলম্ব করে এবং প্রশ্নকারী নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছে :
1145 - مَا حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ أَبِي صَدَقَةَ مَوْلَى أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ أَنَسٍ " أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلَاةِ فَقَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي صَلَاةَ الْعَصْرِ , مَا بَيْنَ صَلَاتَيْكُمْ هَاتَيْنِ» فَذَلِكَ مُحْتَمَلٌ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِقَوْلِهِ «فِيمَا بَيْنَ صَلَاتَيْكُمْ هَاتَيْنِ» مَا بَيْنَ صَلَاةِ الظُّهْرِ , وَصَلَاةِ الْمَغْرِبِ , فَذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى تَأْخِيرِهِ الْعَصْرَ. وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ فِيمَا بَيْنَ تَعْجِيلِكُمْ وَتَأْخِيرِكُمْ , فَذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى التَّأْخِيرِ أَيْضًا , وَلَيْسَ بِالتَّأْخِيرِ الشَّدِيدِ. فَلَمَّا احْتَمَلَ ذَلِكَ مَا ذَكَرْنَا , وَكَانَ فِي حَدِيثِ أَبِي الْأَبْيَضِ , عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّيهَا وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ مُحَلِّقَةٌ , دَلَّ عَلَى أَنَّهُ قَدْ كَانَ يُؤَخِّرُهَا. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: وَكَيْفَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي ذَمِّ مَنْ يُؤَخِّرُ الْعَصْرَ. فَذَكَرَ فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৪৬
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৪৬। ইউনুস (রাহঃ)..... আলা ইব্‌ন আব্দির রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার যুহরের সালাতের পরে আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ)-এর নিকট গেলাম। তারপর তিনি দাঁড়িয়ে আসরের সালাত আদায় করা আরম্ভ করে দিলেন। যখন সালাত শেষ করলেন তখন আমরা সালাত জলদি আদায় করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করলাম অথবা তিনি নিজেই তা উল্লেখ পূর্বক বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি: “এতো মুনাফিকদের সালাত” কথাটি তিনি তিনবার বলেছেন। তাদের কেউ (সূর্যের প্রতীক্ষায়) বসে থাকে। অবশেষে যখন সূর্য হলদে হয়ে যায় এবং তা শয়তানের দুই শিংয়ের মাঝে পৌঁছে যায় (আর অস্তগমনের নিকটবর্তী হয়ে যায়) তখন সে উঠে দাঁড়ায় আর চারটি ঠোকর দিয়ে দেয়। এতে সে আল্লাহর স্মরণ খুব কমই করে থাকে।

উত্তরে তাকে বলা হবে : বস্তুত আনাস (রাযিঃ) এই হাদীসে কোন্ ধরনের বিলম্বকরণ মাকরূহ, তা বর্ণনা করেছেন। আর এটা সেই বিলম্বকরণ, যার পরে আসরের সালাত শুধু মাত্র চার রাক'আত আদায় করা সম্ভবপর হয় এবং আল্লাহর স্মরণ খুব কমই হয়ে থাকে। কিন্তু সেই সালাত যা নিশ্চিন্ত মনে, সুস্থিরভাবে আদায় করা যায় এবং তাতে নিশ্চিন্তমনে আল্লাহর স্মরণ করা যায় সূর্যের রং পরিবর্তন হওয়ার পূর্বে, তার সাথে ওই প্রথমোক্ত বিষয়ের কোন সম্পর্ক নেই। আমাদের জন্য এই সমস্ত হাদীসের বিষয়ে সর্বোত্তম পন্থা হল, ওই রিওয়ায়াতগুলোর ঐকমত্যের মর্মকে বের করা এবং প্রয়োগ করা, বৈপরিত্য ও ভিন্নতা পরিহার করা। সুতরাং যা কিছু আলা (রাযিঃ) আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন তাকে এরূপ বিলম্বকরণ সাব্যস্ত করব যা মাকরূহ। আর তা আদায় করার মুস্তাহাব ওয়াক্ত সাব্যস্ত করব ওই সময়কে, যা আবুল আবইয়ায (রাহঃ) আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। আবু মাসউদ (রাযিঃ) ও এ বিষয়ে তার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

যদি কোন প্রশ্নকারী বলে যে, আয়েশা (রাযিঃ) থেকেও তো তা জলদি আদায় করার স্বপক্ষে প্রমাণ বহনকারী রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে ? যেমন প্রশ্নকারী নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছে :
1146 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بَعْدَ الظُّهْرِ فَقَامَ يُصَلِّي الْعَصْرَ. فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ صَلَاتِهِ , ذَكَرْنَا تَعْجِيلَ الصَّلَاةِ , أَوْ ذَكَرَهَا فَقَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «تِلْكَ صَلَاةُ الْمُنَافِقِينَ قَالَهَا ثَلَاثًا يَجْلِسُ أَحَدُهُمْ حَتَّى إِذَا اصْفَرَّتِ الشَّمْسُ , وَكَانَتْ بَيْنَ قَرْنَيِ الشَّيْطَانِ قَامَ , فَنَقْرَ أَرْبَعًا لَا يَذْكُرُ اللهَ فِيهِنَّ إِلَّا قَلِيلًا» قِيلَ لَهُ فَقَدْ بَيَّنَ أَنَسٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ التَّأْخِيرَ الْمَكْرُوهَ مَا هُوَ؟ وَإِنَّمَا هُوَ التَّأْخِيرُ الَّذِي لَا يُمْكِنُ بَعْدَهُ أَنْ يُصَلِّيَ الْعَصْرَ إِلَّا أَرْبَعًا لَا يَذْكُرُ اللهَ إِلَّا قَلِيلًا. فَأَمَّا صَلَاةٌ يُصَلِّيهَا مُتَمَكِّنًا , وَيَذْكُرُ اللهَ تَعَالَى فِيهَا مُتَمَكِّنًا قَبْلَ تَغَيُّرِ الشَّمْسِ , فَلَيْسَ ذَلِكَ مِنَ الْأَوَّلِ فِي شَيْءٍ. وَالْأَوْلَى بِنَا فِي هَذِهِ الْآثَارِ لَمَّا جَاءَتْ هَذَا الْمَجِيءَ أَنْ نَحْمِلَهَا وَنُخَرِّجَ وُجُوهَهَا عَلَى الِاتِّفَاقِ , لَا عَلَى الْخِلَافِ وَالتَّضَادِّ. فَنَجْعَلَ التَّأْخِيرَ الْمَكْرُوهَ فِيهَا هُوَ مَا بَيَّنَهُ الْعَلَاءُ , عَنْ أَنَسٍ , وَنَجْعَلَ الْوَقْتَ الْمُسْتَحَبَّ مِنْ وَقْتِهَا أَنْ يُصَلِّيَ فِيهِ هُوَ مَا بَيَّنَهُ أَبُو الْأَبْيَضِ , عَنْ أَنَسٍ , وَوَافَقَهُ عَلَى ذَلِكَ أَبُو مَسْعُودٍ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مَا يَدُلُّ عَلَى التَّعْجِيلِ بِهَا , فَذَكَرَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৪৭
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৪৭। ইউনুস (রাহঃ) ...... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতেন যে, তখনও সূর্যের আলো আমার কক্ষের মাঝে ছিল এবং তখনও তা প্রকাশ হত না (আলো বাইরে বের হত না)।
1147 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عُرْوَةَ , قَالَ: حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا قَبْلَ أَنْ تَظْهَرَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৪৮
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৪৮। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ) আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতেন যে, তখনও সূর্যের আলো আমার কক্ষের মাঝে ছিল এবং তখনও ছায়া হত না।

উত্তরে তাকে বলা হবে: সম্ভবত কখনও এরূপই হত। আবার কখনও তিনি আসরের সালাতকে বিলম্বে আদায় করতেন। কিন্তু তাঁর কক্ষ ছোট হওয়ার কারণে সূর্যের আলো শুধুমাত্র সূর্য অস্তমিত হওয়ার নিকটবর্তী সময় তার (কক্ষ) থেকে বিচ্ছিন্ন হত। সুতরাং এই হাদীসে আসরের সালাত জলদি আদায় করার ব্যাপারে কোনরূপ প্রমাণ নেই। এ বিষয়ে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত উল্লেখ করা হয়:
1148 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنِ الزُّهْرِيِّ سَمِعَ عُرْوَةَ يُحَدِّثَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ , وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا لَمْ يَفِئِ الْفَيْءُ بَعْدُ» قِيلَ لَهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , وَقَدْ أَخَّرَ الْعَصْرَ لِقِصَرِ حُجْرَتِهَا , فَلَمْ يَكُنِ الشَّمْسُ تَنْقَطِعُ مِنْهَا إِلَّا بِقُرْبِ غُرُوبِهَا فَلَا دَلَالَةَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَلَى تَعْجِيلِ الْعَصْرِ. وَذَكَرَ فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৪৯
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৪৯। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) আসরের নামায পড়তেন আর সূর্যের আলো তখনো আমার কক্ষে স্পষ্ট থাকতো।
1149 - حَدَّثَنَا ابْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي صَلَاةَ الْعَصْرِ , وَالشَّمْسُ طَالِعَةٌ فِي حُجْرَتِي»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৫০
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫১
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৫০-১১৫১। আব্দুল গনী ইবন আবী আকীল (রাহঃ) ও ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ...... ইয়াসার ইব্‌ন সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি আমার পিতার সঙ্গে আবু বারযা (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতেন যে, কোন ব্যক্তি (সালাতের পর) মদীনার অপর প্রান্তে ফিরে যেত, তখনও সূর্য উজ্জ্বল থাকত।

তাকে বলা হবে যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমাদের উত্তর প্রসঙ্গে এই অনুচ্ছেদের পূর্ববর্তী অংশে আলোচনা করা হয়েছে। তাই এই সমস্ত রিওয়ায়াতের মাঝে সমন্বয় সাধন ও সঠিক মর্ম নির্ধারণের পর আমরা এতে এরূপ কোন বিষয় পাইনা, যা আসরের সালাত বিলম্বে আদায় করার স্বপক্ষে প্রমাণ বহন করে । তা ছাড়া আমরা আসরের সালাত জলদি আদায় করার ব্যাপারে যেসব রিওয়ায়াত পাই তার সাথে সাথে সেগুলোর পরিপন্থী রিওয়ায়াতও দেখতে পাই। সুতরাং আমরা আসরের সালাত বিলম্বে আদায় করা মুস্তাহাব সাব্যস্ত করেছি। (কিন্তু অধিক বিলম্বে নয়, বরং) এমন সময় তা আদায় করা হবে, যখন সূর্য উজ্জ্বল থাকবে এবং তা আদায়ের পর সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্বে বেশ কিছু সময় অবশিষ্ট থাকবে। যদি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা বাদ দেই তাহলে সকল সালাতকে তার আওয়াল ওয়াক্তে জলদি আদায় উত্তম মনে হবে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ হ(ﷺ) থেকে যা বর্ণিত আছে এবং যা মুতাওয়াতির রিওয়ায়াতসমূহ দ্বারা সাব্যস্ত রয়েছে তার উপর আমল করা সর্বোত্তম হবে। তাঁর (ﷺ) পরবর্তী সাহাবীগণ থেকেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সমর্থনে (হাদীস) বর্ণিত আছে:
1150 - مَا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْغَنِيِّ بْنُ أَبِي عَقِيلٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، ح

1151 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ سَيَّارِ بْنِ سَلَامَةَ , قَالَ: دَخَلْتُ مَعَ أَبِي عَلَى أَبِي بَرْزَةَ فَقَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي الْعَصْرَ فَيَرْجِعُ الرَّجُلُ إِلَى أَقْصَى الْمَدِينَةِ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ» قِيلَ لَهُ: قَدْ مَضَى جَوَابُنَا فِي هَذَا , فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْبَابِ , فَلَمْ نَجِدْ فِي هَذِهِ الْآثَارِ لَمَّا صُحِّحَتْ وَجُمِعَتْ , مَا يَدُلُّ إِلَّا عَلَى تَأْخِيرِ الْعَصْرِ , وَلَمْ نَجِدْ شَيْئًا مِنْهَا يَدُلُّ عَلَى تَعْجِيلِهَا إِلَّا قَدْ عَارَضَهُ غَيْرُهُ , فَاسْتَحْبَبْنَا بِذَلِكَ تَأْخِيرَ الْعَصْرِ إِلَّا أَنَّهَا تُصَلَّى وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ , فِي وَقْتٍ يَبْقَى بَعْدَهُ مِنْ وَقْتِهَا مُدَّةٌ قَبْلُ تَغَيُّبِ الشَّمْسِ. وَلَوْ خُلِّينَا وَالنَّظَرَ , لَكَانَ تَعْجِيلُ الصَّلَوَاتِ كُلِّهَا فِي أَوَائِلِ أَوْقَاتِهَا أَفْضَلَ وَلَكِنَّ اتِّبَاعَ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِمَّا تَوَاتَرَتْ بِهِ الْآثَارُ أَوْلَى. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَصْحَابِهِ مِنْ بَعْدِهِ , مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৫২
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৫২। ইউনুস (রাহঃ) ...... নাফি' (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উমার (রাযিঃ) তাঁর গভর্ণরদের উদ্দেশ্যে লিখলেন : “আমার নিকট তোমাদের সর্বাপ্রেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল সালাত। যে ব্যক্তি এর হিফাযত করবে সে নিজের দ্বীনের হিফাযত করল, আর যে ব্যক্তি তা বিনষ্ট করবে সে তো (সালাত ব্যতীত) অপরাপর বিধানকে অধিক বিনষ্টকারী হবে। আসরের সালাতকে এমন সময় আদায় করবে, যখন সূর্য উর্ধ্বাকাশে উজ্জ্বল ও নির্মল থাকবে এবং কোন আরোহী দুই বা তিন ফরসাখ দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম হবে।”
1152 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ كَتَبَ إِلَى عُمَّالِهِ: «إِنَّ أَهَمَّ أَمْرِكُمْ عِنْدِي الصَّلَاةُ , مَنْ حَفِظَهَا وَحَافَظَ عَلَيْهَا , حَفِظَ دِينَهُ , وَمَنْ ضَيَّعَهَا فَهُوَ لِمَا سِوَاهَا أَضْيَعُ , صَلُّوا الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ , قَدْرَ مَا يَسِيرُ الرَّاكِبُ فَرْسَخَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةً»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৫৩
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৫৩। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ) ইকরামা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমরা এক জানাযায় আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি আসরের সালাত আদায় করলেন না এবং চুপ রইলেন। অবশেষে আমরা বারবার তাঁর নিকট সালাত আদায়ের জন্য অনুরোধ জানালাম। কিন্তু তিনি আসরের সালাত আদায় করলেন না, যতক্ষণ না আমরা মদীনার সর্বাপেক্ষা উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় সূর্য (আলো) দেখতে পাই।
1153 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَكِيمٍ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ: «كُنَّا مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي جِنَازَةٍ , فَلَمْ يُصَلِّ الْعَصْرَ , وَسَكَتَ حَتَّى رَاجَعْنَاهُ مِرَارًا , فَلَمْ يُصَلِّ الْعَصْرَ , حَتَّى رَأَيْنَا الشَّمْسَ عَلَى رَأْسِ أَطْوَلِ جَبَلٍ بِالْمَدِينَةِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৫৪
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৫৪। ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... . ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা [সাহাবী (রাযিঃ)] যুহরের ক্ষেত্রে তোমাদের তুলনায় বেশী জলদি করতেন এবং আসরের ক্ষেত্রে বেশী বিলম্ব করতেন।

বিশ্লেষণ
এদিকে উমার ইব্ন খাত্তাব (রাযিঃ), তাঁর গভর্ণরদের উদ্দেশ্যে লিখছেন। আর তাঁরা হলেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহাবা। তিনি (ﷺ) তাঁদেরকে আসরের সালাত এমন সময় আদায় করতে নির্দেশ দিতেন যখন সূর্য উর্ধ্বাকাশে উজ্জ্বল থাকত। তারপর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তা এমন বিলম্ব করে আদায় করেছেন যে, ইকরামা (রাযিঃ) সূর্যকে মদীনার সর্বাপ্রেক্ষা উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় দেখেছেন। তারপর ইবরাহীম (রাহঃ) তাঁর পূর্ববর্তী মনীষীদের অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহাবীগণ এবং আব্দুল্লাহ্ [ইবন মাসউদ (রাযিঃ)]-এর শিষ্যদের ব্যাপারে বলছেন যে, তাঁরা আসরের ক্ষেত্রে পরবর্তীদের তুলনায় বেশী বিলম্ব করে আদায় করতেন। বস্তুত যখন সাহাবীগণের আমল ও বক্তব্য এভাবে এসেছে যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকেও বর্ণিত আছে যে, তিনি এমন সময় তা আদায় করতেন যে, তখনও সূর্য উর্ধ্বাকাশে থাকত। কতেক রিওয়ায়াতে 'মুহাল্লিকা' (উর্ধ্বাকাশে) শব্দ এসেছে। সুতরাং এই সমস্ত হাদীসকে গ্রহণ করা এবং এর পরিপন্থীকে পরিত্যাগ করা ওয়াজিব। আর লোকজন আসরের সালাতকে বিলম্ব করবে, কিন্তু এতটুকু বিলম্ব না হয় যে, বিলম্বকারী সেই ওয়াক্ত পর্যন্ত পৌঁছে যায় যার ব্যাপারে আলী (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতে আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, এতো মুনাফিকদের সালাত। এটাই সেই ওয়াক্ত, যে পর্যন্ত আসরের সালাতকে বিলম্ব করা মাকরূহ। কিন্তু এর পূর্বের ওয়াক্ত যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্যের রং হলদে হয়ে না যায়, যে কোন লোকের জন্য সেই ওয়াক্তে আসরের সালাত আদায় করা সম্ভবপর এবং নিশ্চিন্ত মনে তাতে আল্লাহর যিকির করতে সক্ষম হয়; সূর্য অনুরূপ থাকা অবস্থায় সালাত থেকে বের হতে ( শেষ করতে) সক্ষম হয়, তাহলে সেই ওয়াক্ত পর্যন্ত আসরের সালাতকে বিলম্ব করাতে কোন অসুবিধা নেই। আর এটা সেই সমস্ত মুতাওয়াতির রিওয়ায়াত মুতাবিক উত্তম, যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং তাঁর পরবর্তী সাহাবা থেকে বর্ণিত আছে।

আবু কিলাবা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, 'আসর'কে বিলম্বের কারণে 'আসর' বলা হয়:
1154 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: «كَانَ مَنْ قَبْلَكُمْ أَشَدَّ تَعْجِيلًا لِلظُّهْرِ وَأَشَدَّ تَأْخِيرًا لِلْعَصْرِ مِنْكُمْ» فَهَذَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَكْتُبُ إِلَى عُمَّالِهِ , وَهُمْ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُهُمْ , بِأَنْ يُصَلُّوا الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ مُرْتَفِعَةٌ. ثُمَّ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ أَخَّرَهَا , حَتَّى رَآهَا عِكْرِمَةُ عَلَى رَأْسِ أَطْوَلِ جَبَلٍ بِالْمَدِينَةِ ثُمَّ إِبْرَاهِيمُ يُخْبِرُ عَمَّنْ كَانَ قَبْلَهُ يَعْنِي مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَأَصْحَابِ عَبْدِ اللهِ , أَنَّهُمْ كَانُوا أَشَدَّ تَأْخِيرًا لِلْعَصْرِ مِمَّنْ بَعْدَهُمْ. فَلَمَّا جَاءَ هَذَا مِنْ أَفْعَالِهِمْ , وَمِنْ أَقْوَالِهِمْ مُؤْتَلِفًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا , وَرُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّيهَا وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ وَفِي بَعْضِ الْآثَارِ مُحَلِّقَةٌ , وَجَبَ التَّمَسُّكُ بِهَذِهِ الْآثَارِ , وَتَرْكُ خِلَافِهَا , وَأَنْ يُؤَخِّرُوا الْعَصْرَ , حَتَّى لَا يَكُونَ تَأْخِيرُهَا يُدْخِلُ مُؤَخِّرَهَا فِي الْوَقْتِ الَّذِي أَخْبَرَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي حَدِيثِ الْعَلَاءِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «تِلْكَ صَلَاةُ الْمُنَافِقِينَ» فَإِنَّ ذَلِكَ الْوَقْتَ , هُوَ الْوَقْتُ الْمَكْرُوهُ تَأْخِيرُ صَلَاةِ الْعَصْرِ إِلَيْهِ " فَأَمَّا مَا قَبْلَهُ مِنْ وَقْتِهَا , مِمَّا لَمْ تَدْخُلِ الشَّمْسُ فِيهِ صُفْرَةٌ , وَكَانَ الرَّجُلُ يُمْكِنُهُ أَنْ يُصَلِّيَ فِيهِ صَلَاةَ الْعَصْرِ وَيَذْكُرَ اللهَ فِيهَا مُتَمَكِّنًا , وَيَخْرُجُ مِنَ الصَّلَاةِ وَالشَّمْسُ كَذَلِكَ , فَلَا بَأْسَ بِتَأْخِيرِ الْعَصْرِ إِلَى ذَلِكَ الْوَقْتِ وَذَلِكَ أَفْضَلُ لِمَا قَدْ تَوَاتَرَتْ بِهِ الْآثَارُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ مِنْ بَعْدِهِ. وَلَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ , أَنَّهُ قَالَ: إِنَّمَا سُمِّيَتِ الْعَصْرَ لِتَعَصُّرٍ أَيْ تَأَخُّرٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান