শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৮৭৩
৫- একজন কর্তৃক আযান এবং অপরজন কর্তৃক ইকামত দেয়া প্রসঙ্গে
৮৭২-৮৭৩। ইউনুস (রাহঃ)..... যিয়াদ ইবনুল হারিছ সুদাঈ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একদিন আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর দরবারে উপস্থিত হলাম। যখন সুবহের সূচনা হল, তিনি আমাকে নির্দেশ দিলেন, আমি আযান দিলাম। তারপর সালাতের জন্য দাঁড়ালেন। বিলাল (রাযিঃ) ইকামত বলার জন্য এলেন, এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ সুদাঈ ভাই আযান দিয়েছে, আর যে আযান দেয় সে-ই ইকামত দিবে।
ইবন মারয়ূক (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনুল হারিছ সুদাঈ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন একদল আলিম এই হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা বলেছেন, যে ব্যক্তি সালাতের জন্য আযান দেয়, অন্যের জন্য ইকামত দেয়া উচিত নয়। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, যে ব্যক্তি সালাতের জন্য আযান দেয় অন্যের জন্য ইকামত বলায় কোনরূপ অসুবিধা নেই।
ইবন মারয়ূক (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনুল হারিছ সুদাঈ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন একদল আলিম এই হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা বলেছেন, যে ব্যক্তি সালাতের জন্য আযান দেয়, অন্যের জন্য ইকামত দেয়া উচিত নয়। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, যে ব্যক্তি সালাতের জন্য আযান দেয় অন্যের জন্য ইকামত বলায় কোনরূপ অসুবিধা নেই।
بَابُ الرَّجُلَيْنِ , يُؤَذِّنُ أَحَدُهُمَا , وَيُقِيمُ الْآخَرُ
872 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمٍ , عَنْ زِيَادِ بْنِ نُعَيْمٍ , أَنَّهُ سَمِعَ زِيَادَ بْنَ الْحَارِثِ الصُّدَائِيَّ قَالَ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَلَمَّا كَانَ أَوَّلُ الصُّبْحِ أَمَرَنِي فَأَذَّنْتُ , ثُمَّ قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ فَجَاءَ بِلَالٌ لِيُقِيمَ , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَخَا صُدَاءٍ أَذَّنَ , وَمَنْ أَذَّنَ فَهُوَ يُقِيمُ»
873 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ نُعَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ الصُّدَائِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ , فَقَالُوا: لَا يَنْبَغِي أَنْ يُقِيمَ لِلصَّلَاةِ غَيْرُ الَّذِي أَذَّنَ لَهَا , وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: لَا بَأْسَ أَنْ يُقِيمَ الصَّلَاةَ غَيْرُ الَّذِي أَذَّنَ لَهَا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
873 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ نُعَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ الصُّدَائِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ , فَقَالُوا: لَا يَنْبَغِي أَنْ يُقِيمَ لِلصَّلَاةِ غَيْرُ الَّذِي أَذَّنَ لَهَا , وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: لَا بَأْسَ أَنْ يُقِيمَ الصَّلَاةَ غَيْرُ الَّذِي أَذَّنَ لَهَا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৭৪
একজন কর্তৃক আযান এবং অপরজন কর্তৃক ইকামত দেয়া প্রসঙ্গে
৮৭৪। আবু উমাইয়া (রাহঃ) আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ ইবন আব্দিল্লাহ্ ইবন যায়দ তাঁর পিতা-পিতামহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, যখন তাঁকে (স্বপ্নে) আযান (এর বাকাগুলো) দেখানো হয়, তখন নবী(ﷺ) বিলাল (রাযিঃ) কে (আযান দিতে নির্দেশ দিলেন, তিনি আযান দিলেন। তারপর তিনি আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ)-কে (ইকামত দিতে) নির্দেশ দিলেন, তিনি ইকামত দিলেন।
874 - بِمَا حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ قَالَ: ثنا الْمُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ حَرْبٍ , عَنْ أَبِي الْعُمَيْسِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَدِّهِ: «أَنَّهُ حِينَ أُرِيَ الْأَذَانَ أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَالًا فَأَذَّنَ , ثُمَّ أَمَرَ عَبْدَ اللهِ فَأَقَامَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮৭৫
একজন কর্তৃক আযান এবং অপরজন কর্তৃক ইকামত দেয়া প্রসঙ্গে
৮৭৫। ফাহাদ (রাহঃ)..... আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ ইবন আব্দিল্লাহ ইবন যায়দ তাঁর পিতা-পিতামহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার নবী (ﷺ)-এর দরবারে এসে আমাকেকিভাবে আযান দেখানো হয়েছে তা তাঁকে জানালাম। তিনি বললেন, এ বাক্যগুলো বিলাল (রাযিঃ) কে শিক্ষা দাও। যেহেতু সে তোমার অপেক্ষা উঁচু আওয়াজের অধিকারী। যখন বিলাল (রাযিঃ) আযান দিয়ে ফেললেন, তখন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) লজ্জা বোধ করলেন। তাই রাসুলুল্লাহ তাঁকে ইকামত বলার নির্দেশ দিলেন।
বিশ্লেষণ
বস্তুত যখন এই দুই হাদীস পরস্পর বিরোধী হল। তাই আমরা যুক্তির নিরিখের এই বিষয়ের বিধান অনুসন্ধানের প্রয়াস পাব, যেন উভয় অভিমত থেকে বিশুদ্ধতমটি নিরূপণ করতে সক্ষম হই। এই বিষয়ে আমরা গভীরভাবে দৃষ্টি দেয়ার পর একটি সর্বজন স্বীকৃত মূলনীতি পেয়েছি যে, দুই ব্যক্তির জন্য আংশিকভাবে একই আযান বলা সঠিক নয় যে, তাদের প্রত্যেক আযানের কিছু অংশ করে বলল সুতরাং এ কথার সম্ভাবনা রয়েছে যে, আযান ও ইকামতও অনুরূপ হবে যে, তা একই ব্যক্তি বলবে আবার এটারও সম্ভাবনা আছে যে, এ উভয়টা দুই ভিন্ন বস্তুর ন্যায় হবে। তাহলে এতে কোন অসুবিধা নেই যে, এ দু'টার প্রত্যেকটার জন্য পৃথক ব্যক্তি হবে। এ বিষয়ে আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করেছি এবং দেখতে পেয়েছি যে, সালাতের জন্য কিছু (কারণ) রয়েছে, যা এর পূর্বে হয়ে থাকে। আযান ও ইকামত ও সালাতের দিকে আহবানকারী 'কারণ' হিসাবে বিবেচিত। আর এটা সমস্ত সালাতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য
আমরা জুমু'আ (এর সালাত) কে দেখছি। এর পূর্বে খুত্বা হয়ে থাকে, যা আবশ্যক। তাই সালাত সুত্বাকেও অন্তর্ভুক্ত করে। অতএব কোন ব্যক্তি যুবা ব্যতীত জুমু'আ (এর সালাত আদায় করলে তার সালাত বাতিল হয়ে যাবে। যতক্ষণ না সালাতের পূর্বে খুত্বা পাওয়া যায়। আমরা দেখছি যে, খতীব ব্যতীত অন্য ব্যক্তি ইমাম হওয়া আবশ্যক নয়। যেহেতু এ দু'টির (মৃতবা সালাত) প্রত্যেকটি অপরটিকে অন্তর্ভুক্ত করে। সুতরাং যখন দু'টি হওয়া আবশ্যক, তাহলে উভয়টিকে কায়েম করার জন্য একই ব্যক্তি শেষ
আমরা দেখছি যে, ইকামতকেও সালাতের 'কারণ' সাব্যস্ত করা হয়েছে। আর ব্যাপারে তাঁদের (ফকীহ) ইজমা' (ঐকমতা) রয়েছে যে, ইমাম ব্যতীত অন্য ব্যক্তিও এটাকে কায়েম করতে পারে, এতে কোনরূপ অসুবিধা নেই। তাই যেভাবে এটাকে ইমাম ব্যতীত অন্য ব্যক্তি কায়েম করবে অথচ এটা আযান অপেক্ষা সালাতের অধিক নিকটবর্তী। সুতরাং এতে কোন অসুবিধা নেই যে, মুয়াযযিন ব্যতীত অন্য ব্যক্তি এর দায়িত্ব বহন করবে। এটাই হচ্ছে যুক্তি এবং ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর এটাই অভিমত।
বিশ্লেষণ
বস্তুত যখন এই দুই হাদীস পরস্পর বিরোধী হল। তাই আমরা যুক্তির নিরিখের এই বিষয়ের বিধান অনুসন্ধানের প্রয়াস পাব, যেন উভয় অভিমত থেকে বিশুদ্ধতমটি নিরূপণ করতে সক্ষম হই। এই বিষয়ে আমরা গভীরভাবে দৃষ্টি দেয়ার পর একটি সর্বজন স্বীকৃত মূলনীতি পেয়েছি যে, দুই ব্যক্তির জন্য আংশিকভাবে একই আযান বলা সঠিক নয় যে, তাদের প্রত্যেক আযানের কিছু অংশ করে বলল সুতরাং এ কথার সম্ভাবনা রয়েছে যে, আযান ও ইকামতও অনুরূপ হবে যে, তা একই ব্যক্তি বলবে আবার এটারও সম্ভাবনা আছে যে, এ উভয়টা দুই ভিন্ন বস্তুর ন্যায় হবে। তাহলে এতে কোন অসুবিধা নেই যে, এ দু'টার প্রত্যেকটার জন্য পৃথক ব্যক্তি হবে। এ বিষয়ে আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করেছি এবং দেখতে পেয়েছি যে, সালাতের জন্য কিছু (কারণ) রয়েছে, যা এর পূর্বে হয়ে থাকে। আযান ও ইকামত ও সালাতের দিকে আহবানকারী 'কারণ' হিসাবে বিবেচিত। আর এটা সমস্ত সালাতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য
আমরা জুমু'আ (এর সালাত) কে দেখছি। এর পূর্বে খুত্বা হয়ে থাকে, যা আবশ্যক। তাই সালাত সুত্বাকেও অন্তর্ভুক্ত করে। অতএব কোন ব্যক্তি যুবা ব্যতীত জুমু'আ (এর সালাত আদায় করলে তার সালাত বাতিল হয়ে যাবে। যতক্ষণ না সালাতের পূর্বে খুত্বা পাওয়া যায়। আমরা দেখছি যে, খতীব ব্যতীত অন্য ব্যক্তি ইমাম হওয়া আবশ্যক নয়। যেহেতু এ দু'টির (মৃতবা সালাত) প্রত্যেকটি অপরটিকে অন্তর্ভুক্ত করে। সুতরাং যখন দু'টি হওয়া আবশ্যক, তাহলে উভয়টিকে কায়েম করার জন্য একই ব্যক্তি শেষ
আমরা দেখছি যে, ইকামতকেও সালাতের 'কারণ' সাব্যস্ত করা হয়েছে। আর ব্যাপারে তাঁদের (ফকীহ) ইজমা' (ঐকমতা) রয়েছে যে, ইমাম ব্যতীত অন্য ব্যক্তিও এটাকে কায়েম করতে পারে, এতে কোনরূপ অসুবিধা নেই। তাই যেভাবে এটাকে ইমাম ব্যতীত অন্য ব্যক্তি কায়েম করবে অথচ এটা আযান অপেক্ষা সালাতের অধিক নিকটবর্তী। সুতরাং এতে কোন অসুবিধা নেই যে, মুয়াযযিন ব্যতীত অন্য ব্যক্তি এর দায়িত্ব বহন করবে। এটাই হচ্ছে যুক্তি এবং ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর এটাই অভিমত।
875 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْأَصْبَهَانِيِّ، قَالَ: ثنا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ أَبِي الْعُمَيْسِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَتْهُ كَيْفَ رَأَيْتُ الْأَذَانَ فَقَالَ: «أَلْقِهِنَّ عَلَى بِلَالٍ , فَإِنَّهُ أَنْدَى صَوْتًا مِنْكَ» فَلَمَّا أَذَّنَ بِلَالٌ نَدِمَ عَبْدُ اللهِ , فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , أَنْ يُقِيمَ فَلَمَّا تَضَادَّ هَذَانِ الْحَدِيثَانِ أَرَدْنَا أَنْ نَلْتَمِسَ حُكْمَ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ لِنَسْتَخْرِجَ بِهِ مِنَ الْقَوْلَيْنِ , قَوْلًا صَحِيحًا. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَوَجَدْنَا الْأَصْلَ الْمُتَّفَقَ عَلَيْهِ , أَنَّهُ لَا يَنْبَغِي أَنْ يُؤَذِّنَ رَجُلَانِ أَذَانًا وَاحِدًا , يُؤَذِّنُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بَعْضَهُ. فَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ الْأَذَانُ وَالْإِقَامَةُ كَذَلِكَ , لَا يَفْعَلُهُمَا إِلَّا رَجُلٌ وَاحِدٌ. وَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَا , كَالشَّيْئَيْنِ الْمُتَفَرِّقَيْنِ , فَلَا بَأْسَ بِأَنْ يَتَوَلَّى كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا رَجُلٌ عَلَى حِدَةٍ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ فَرَأَيْنَا الصَّلَاةَ لَهَا أَسْبَابٌ تَتَقَدَّمُهَا مِنَ الدُّعَاءِ , إِلَيْهَا بِالْأَذَانِ , وَمِنَ الْإِقَامَةِ لَهَا هَذَا فِي سَائِرِ الصَّلَاةِ. وَرَأَيْنَا الْجُمُعَةَ يَتَقَدَّمُهَا خُطْبَةٌ لَا بُدَّ مِنْهَا , فَكَانَتِ الصَّلَاةُ مُضَمَّنَةً بِالْخُطْبَةِ , وَكَانَ مَنْ صَلَّى الْجُمُعَةَ بِغَيْرِ خُطْبَةٍ فَصَلَاتُهُ بَاطِلَةٌ , حَتَّى تَكُونَ الْخُطْبَةُ قَدْ تَقَدَّمَتِ الصَّلَاةُ. وَرَأَيْنَا الْإِمَامَ لَا يَجِبُ أَنْ يَكُونَ هُوَ غَيْرَ الْخَطِيبِ , لِأَنَّ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مُضَمَّنٌ بِصَاحِبِهِ. فَلَمَّا كَانَ لَا بُدَّ مِنْهُمَا لَمْ يَنْبُعْ أَنْ يَكُونَ الْقَائِمُ بِهِمَا إِلَّا رَجُلًا وَاحِدًا. وَرَأَيْنَا الْإِقَامَةَ جُعِلَتْ مِنْ أَسْبَابِ الصَّلَاةِ أَيْضًا وَأَجْمَعُوا أَنَّهُ لَا بَأْسَ أَنْ يَتَوَلَّاهَا غَيْرُ الْإِمَامِ فَكَمَا كَانَ يَتَوَلَّاهَا غَيْرُ الْإِمَامِ , وَهِيَ مِنَ الصَّلَاةِ , أَقْرَبُ مِنْهَا مِنَ الْأَذَانِ , كَانَ لَا بَأْسَ أَنْ يَتَوَلَّاهَا غَيْرُ الَّذِي يَتَوَلَّى الْأَذَانَ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান