শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৪ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৮৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮৪৮
৪- ফজরের আযান কখন দেয়া হবে, ফজর উদয়ের পরে না পূর্বে
৮৪৫-৮৪৮। ইয়াযীদ ইব্ন সিনান (রাহঃ)..... সালিম (রাহঃ) তাঁর পিতা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ বিলাল (রাযিঃ) রাতেরবেলা আযান দেয়। সুতরাং তোমরা পানাহার কর যতহ্মণ ইব্ন উম্মু মাকতুম আযান না দেয়। ইব্ন শিহাব (রাহঃ) বলেন, তিনি একজন অন্ধ ব্যক্তি (সাহাবী) ছিলেন, তিনি ততহ্মণ পর্যন্ত আযান দিতেন না যতহ্মণ না তাঁকে বলা হত সকাল হয়ে গিয়েছে, সকাল হয়ে গিয়েছে।

ইউনুস (রাহঃ)..... সালিম (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি (এতে) ইব্ন উমার (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেননি।

ইয়াযীদ (রাহঃ)..... ইব্ন উমার (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

ইয়াযীদ (রাহঃ)..... যুহরী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
بَابُ التَّأْذِينِ لِلْفَجْرِ , أَيُّ وَقْتٍ هُوَ؟ بَعْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ , أَوْ قَبْلَ ذَلِكَ؟
845 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ قَالَ: ثنا مَالِكٌ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ سَالِمٍ , عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ بِلَالًا يُنَادِي بِلَيْلٍ , فَكُلُوا وَاشْرَبُوا , حَتَّى يُنَادِيَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ» قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: وَكَانَ رَجُلًا أَعْمَى لَا يُنَادِي حَتَّى يُقَالَ: لَهُ «أَصْبَحْتَ أَصْبَحْتَ»

846 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا.

847 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

848 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৮৫৩
ফজরের আযান কখন দেয়া হবে, ফজর উদয়ের পরে না পূর্বে
৮৪৯-৮৫৩। ইব্ন আবী দাউদ(রাহঃ)..... আব্দুল্লাহ্ (ইব্ন উমার রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, নবী (ﷺ)ঃ বিলাল (রাযিঃ) রাতে আযান দেয়। সুতরাং তোমরা পানাহার কর যতহ্মণ ইব্ন উম্মু মাকতূম আযান না দেয়।

হাসান ইব্ন আব্দিল্লাহ্ ইব্ন মনসুর বালিসী (রাহঃ)..... সালিম (রাহঃ)-এর পিতা ইব্ন উমার (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

ইব্ন মারযূক (রাহঃ)..... ইব্ন উমার (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

ইউনুস (রাহঃ)..... আব্দুল্লাহ্ ইব্ন দীনার (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ)..... আব্দুল্লাহ্ ইব্ন দীনার থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেনঃ যতহ্মণ বিলাল (রাযিঃ), ইব্ন উম্মু মাকতূম আযান দেয়, অথবা এতে শু’বা (রাহঃ) সন্দেহ করেছেন।
849 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ: أنا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: قَالَ سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللهِ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ، يَقُولُ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ بِلَالًا يُنَادِي بِلَيْلٍ , فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ»

850 - حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَنْصُورِ الْبَالِسِيُّ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

851 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

852 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

853 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، قَالَ: ثنا مَالِكٌ، وَشُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «حَتَّى يُنَادِيَ بِلَالٌ أَوِ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ» شَكَّ شُعْبَةُ.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৫৪
ফজরের আযান কখন দেয়া হবে, ফজর উদয়ের পরে না পূর্বে
৮৫৪। ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ)..... আয়িশা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এতে (বিলাল রা এবং উম্মু মাকতূম রা-এর ব্যাপারে) সন্দেহ করা হয় না। আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ তাদের উভয়ের (আযানের) মাঝে এতটুকু বিরতি থাকত যে, ইনি (বিলাল রা আযান দেয়ার স্থান থেকে) অবতরণ করতেন এবং তিনি (উম্মু মাকতূম রা) আরোহণ করতেন।
854 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , وَلَمْ يَشُكَّ. قَالَتْ «وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمَا إِلَّا مِقْدَارُ مَا يَنْزِلُ هَذَا وَيَصْعَدُ هَذَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮৫৬
ফজরের আযান কখন দেয়া হবে, ফজর উদয়ের পরে না পূর্বে
৮৫৫-৮৫৬। আলী ইব্ন মা’বাদ (রাহঃ)..... উনায়সা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ বিলাল (রাযিঃ) অথবা, বলেছেন ইব্ন উম্মু মাকতূম (রাযিঃ) রাতে আযান দেয়। সুতরাং তোমরা পানাহার কর যতহ্মণ না বিলাল (রাযিঃ) অথবা বলেছেন ইব্ন উম্মু মাকতূম (রাযিঃ) আযান দেয়। যখন ইনি অবতরণ করতেন অথবা বলেছেন, তিনি (দ্বিতীয় মু’আযযিন) উপরে আরোহণ করতে ইচ্ছা করতেন তখন সাহাবীগণ তাঁকে ধরে ফেলতেন এবং বলতেন, থাম; সাহরী হতে দাও।

ইব্ন মারযূক (রাহঃ)..... শু’বা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিনি একথাটি বৃদ্ধি করেছেনঃ উনায়সা (রাযিঃ) নবী (ﷺ)-এর সঙ্গে করেছিলেন। ওই দুইজনের (আযানের) মাঝখানে শুধু এতটুকু বিরতি থাকত যে, ইনি আরোহণ করতেন এবং উনি অবতরণ করতেন।
855 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا رَوْحٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، قَالَ: سَمِعْتُ خُبَيْبَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يُحَدِّثُ عَنْ عَمَّتِهِ أُنَيْسَةَ أَنَّ نَبِيَّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ بِلَالًا أَوِ ابْنَ أُمِّ مَكْتُومٍ يُنَادِي بِلَيْلٍ , فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ بِلَالٌ أَوِ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ» . فَكَانَ إِذَا نَزَلَ هَذَا , وَأَرَادَ هَذَا أَنْ يَصْعَدَ , تَعَلَّقُوا بِهِ وَقَالُوا: كَمَا أَنْتَ حَتَّى نَتَسَحَّرَ

856 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ وَزَادُوا «كَانَتْ قَدْ حَجَّتْ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمَا إِلَّا مِقْدَارُ مَا يَصْعَدُ هَذَا وَيَنْزِلُ هَذَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৫৭
ফজরের আযান কখন দেয়া হবে, ফজর উদয়ের পরে না পূর্বে
৮৫৭। ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ)..... উনায়সা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ ইব্ন উম্মু মাকতূম (রাযিঃ) রাতে আযান দেয়। সুতরাং তোমরা পানাহার কর যতহ্মণ না বিলাল (রাযিঃ)-এর আযান শুনতে পাও।
857 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ زَاذَانَ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَمَّتِهِ، أُنَيْسَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ ابْنَ أُمِّ مَكْتُومٍ يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ , فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى تَسْمَعُوا نِدَاءَ بِلَالٍ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৮৫৯
ফজরের আযান কখন দেয়া হবে, ফজর উদয়ের পরে না পূর্বে
৮৫৮-৮৫৯। আলী ইব্ন মা’বাদ (রাহঃ)..... শু’বা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ছুয়াদা কুশায়রী (রাহঃ) থেকে শুনেছি এবং তিনি তাদের ইমাম ছিলেন। তিনি বলেন, আমি সামুরা ইব্ন জুন্দুব (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ বিলাল (রাযিঃ)-এর আযান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত না করে এবং না এই শুভ্রতা, যতহ্মণ না ফজর উদ্ভাসিত হয়।

ইব্ন মারযূক (রাহঃ)..... সামূরা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইমাম আবু জা‘ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, ফজরের জন্য ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বেই আযান দেওয়া হবে। তাঁরা এ বিষয়ে উল্লিখিত এই সমস্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেম করেছেন। যারা এ মত গ্রহণ করেছেন, ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) তাঁদের অন্যতম। পহ্মান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেন, ফজরের জন্যও ওয়াক্ত আসার পরে আযান দেয়া হবে, যেমনিভাবে অন্যান্য সালাত সমূহের জন্য ওয়াক্ত আসার পরে আযান দেয়া হয়। এ বিষয়ে তাঁরা প্রমাণ দিতে গিয়ে বলেছেন যে, বিলাল (রাযিঃ) যে আযান রাতে দিতেন, তা সালাতের জন্য ছিলনা। তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ উল্লেখ করেছেনঃ
858 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، قَالَ: سَمِعْتُ سَوَادَةَ الْقُشَيْرِيَّ وَكَانَ إِمَامَهُمْ , قَالَ: سَمِعْتُ سَمُرَةَ بْنَ جُنْدَبٍ، يَقُولُ: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَغُرَّنَّكُمْ نِدَاءُ بِلَالٍ , وَلَا هَذَا الْبَيَاضُ , حَتَّى يَبْدُوَ الْفَجْرُ , وَيَنْفَجِرَ الْفَجْرُ»

859 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ سَوَادَةَ الْقُشَيْرِيِّ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْفَجْرَ يُؤَذَّنُ لَهَا قَبْلَ دُخُولِ وَقْتِهَا , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ , فَمَنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا لَا يَنْبَغِي أَنْ يُؤَذَّنَ لِلْفَجْرِ أَيْضًا إِلَّا بَعْدَ دُخُولِ وَقْتِهَا , كَمَا لَا يُؤَذَّنُ لِسَائِرِ الصَّلَوَاتِ إِلَّا بَعْدَ دُخُولِ وَقْتِهَا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ فَقَالُوا: إِنَّمَا كَانَ أَذَانُ بِلَالٍ الَّذِي كَانَ يُؤَذِّنُ بِهِ بِلَيْلٍ , لِغَيْرِ الصَّلَاةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৮৬৩
ফজরের আযান কখন দেয়া হবে, ফজর উদয়ের পরে না পূর্বে
৮৬০-৮৬৩। আলী ইব্ন মা‘বাদ (রাহঃ), আবু বিশর রকী (রাহঃ), মুহাম্মাদ ইব্ন আমর ইব্ন ইউনুস (রাহঃ), নসর ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ও ফাহাদ (রাহঃ)..... আব্দুল্লাহ্ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)ঃ তোমাদের কাউকে যেন বিলাল (রাযিঃ)-এর আযান সাহরী থেকে বাধা না দেয়। যেহেতু তিনি এ জন্য আযান দেন যেন তোমাদের মধ্যে যারা অনুপস্থিত তারা ফিরে আসে এবং তোমাদের যারা ঘুমন্ত তারা জাগরিত হয়। ফজর অথবা সুব্হ এরূপ এবং এরূপ নয়। তিনি দু‘অঙ্গুলীকে একত্রিত করলেন তারপর তা পৃথক করলেন। জুহায়র (রাহঃ) এর রিওয়ায়াতে বিশেষভাবে রয়েছে এবং জুহায়র (রাহঃ) তাঁর হাত উঠিয়েছেন এবং নিচু করেছেন। অবশেষে বললেন, এরূপভাবে ! জুহায়র (রাহঃ) তাঁর দুই হাত বিস্তৃতভাবে প্রসারিত করলেন।
বস্তুত নবী (ﷺ) বলেছেন, বিলাল (রাযিঃ) এর উক্ত আযান ছিল এজন্য যে ঘুমন্ত (ব্যক্তি) যেন জাগরিত হয় এবং অনুপস্থিত ব্যক্তি যেন ফিরে আসে, সালাতের জন্য ছিল না। ইব্ন উমার (রাযিঃ) থেকেও বর্ণিত আছেঃ
860 - فَذَكَرُوا مَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ وَأَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ قَالَا: حَدَّثَنَا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ , وَاللَّفْظُ لِابْنِ مَعْبَدٍ , ح

861 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ يُونُسَ قَالَ: ثنا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ ح

862 - وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا نُعَيْمٌ قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ ح

863 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ قَالَ: ثنا زُهَيْرٌ , عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ , عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَمْنَعَنَّ أَحَدَكُمْ أَذَانُ بِلَالٍ مِنْ سُحُورِهِ , فَإِنَّهُ يُنَادِي , أَوْ يُؤَذِّنُ , لِيَرْجِعَ غَائِبُكُمْ , وَلِيَنْتَبِهَ قَائِمُكُمْ» وَقَالَ: «لَيْسَ الْفَجْرُ أَوِ الصُّبْحُ هَكَذَا وَهَكَذَا وَجَمَعَ أُصْبُعَيْهِ وَفَرَّقَهُمَا» وَفِي حَدِيثِ زُهَيْرٍ خَاصَّةً وَرَفَعَ زُهَيْرٌ يَدَهُ وَخَفَضَهَا حَتَّى يَقُولَ هَكَذَا , أَوْ مَدَّ زُهَيْرٌ يَدَيْهِ عَرْضًا فَقَدْ أَخْبَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ ذَلِكَ النِّدَاءَ كَانَ مِنْ بِلَالٍ , لِيَنْتَبِهَ النَّائِمُ وَلِيَرْجِعَ الْغَائِبُ لَا لِلصَّلَاةِ ". وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৬৪
ফজরের আযান কখন দেয়া হবে, ফজর উদয়ের পরে না পূর্বে
৮৬৪। ইয়াযীদ ইব্ন সিনান (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ)..... ইব্ন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার বিলাল (রাযিঃ) ফজর উদয় হওয়ার পূর্বে আযান দিয়ে ফেলেছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে আযান পুনঃ

দেয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন। তিনি আওয়াজ দিলেনঃ শুন, আল্লাহর বান্দা (বিলাল রা) ঘুমিয়ে পড়েছিল, আবার আওয়াজ দিলেন শুন, আল্লাহর বান্দা (বিলাল রা) ঘুমিয়ে পড়েছিল (তাই সময়টা ঠিক ধরতে পারে নি)।
বস্তুত এই ইব্ন উমার (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে সেই বিষয়টিই রিওয়ায়াত করেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি। তিনি তাঁদের মধ্যে অন্যতম, যারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ বিলাল (রাযিঃ) রাতে আযান দেয়। সুতরাং তোমরা পানাহার কর যতহ্মণ না ইব্ন উম্মু মাকতূম (রাযিঃ) আযান দেয়। এতে সাব্যস্ত হল যে, তাঁর সেই আযান যা ফজর উদয় হওয়ার পূর্বে হত তাঁর জন্য তা জায়েয ছিল এবং তা সালাতের জন্য ছিল না। আর যে আযান ফজরের পূর্বে দেয়ার কারণে আপত্তি করেছেন তা ছিল সালাতের জন্য। ইব্ন উমার (রাযিঃ) হাফসা (রাযিঃ) থেকেও রিওয়ায়াত করেছেন, তা নিম্নরূফঃ
مَا حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ ح
864 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا " أَنَّ بِلَالًا أَذَّنَ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ , فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَرْجِعَ فَنَادَى: أَلَا إِنَّ الْعَبْدَ قَدْ نَامَ فَرَجَعَ فَنَادَى أَلَا إِنَّ الْعَبْدَ قَدْ نَامَ " فَهَذَا ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَرْوِي عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا ذَكَرْنَا , وَهُوَ مِمَّنْ قَدْ رَوَى عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ بِلَالًا يُنَادِي بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ»

فَثَبَتَ بِذَلِكَ , أَنَّ مَا كَانَ مِنْ نِدَائِهِ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ مِمَّا كَانَ مُبَاحًا لَهُ , هُوَ لِغَيْرِ الصَّلَاةِ , وَأَنَّ مَا أَنْكَرَهُ عَلَيْهِ إِذْ فَعَلَهُ قَبْلَ الْفَجْرِ , كَانَ لِلصَّلَاةِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَيْضًا عَنْ حَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৬৫
ফজরের আযান কখন দেয়া হবে, ফজর উদয়ের পরে না পূর্বে
৮৬৫। ইউনুস (রাহঃ)..... হাফসা বিনত উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, মুয়াযযিন যখন ফজরের আযান দিত তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দাঁড়িয়ে যেতেন এবং ফজরের দু’রাকাত (সুন্নত) পড়তেন তারপর মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যেহেন এবং আহার করা হারাম ঘোষণা করতেন। আর ফজরের পূর্বে আযান হত না।

ইমাম তাহাবী বিশ্লেষণ
ইনি হচ্ছেন ইব্ন উমার (রাযিঃ) যিনি হাফসা (রাযিঃ) থেকে খবর দিচ্ছেন যে মুয়াযযিনগণ সালাতের জন্য ফজর উদয় হওয়ার পরে-ই আযান দিতেন। নবী (ﷺ) বিলাল (রাযিঃ)-কে পুনরায় আযান দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন যে, তিনি ঘোষণা করবেন, আল্লাহর বান্দা (বিলাল রা) ঘুমিয়ে পড়েছিল। এতে বুঝা যাচ্ছে যে, তাদের অভ্যাস হচ্ছে, তারা ফজরের পূর্বে আযানকে আযান হিসাবে জানতেন না। যদি তারা সেটাকে আযান হিসাবে জানতেন তাহলে এই ঘোষণার মুখাপেহ্মী হতেন না। আমাদের মতে ওই ঘোষণার উদ্দেশ্য ছিল (আল্লাহই উত্তমরূপে জ্ঞাত) যে, তিনি তাদেরকে সতর্ক করে দিবেন যে, ওই আযানের পর রাত (বাকী রয়েছে) যেন যে ব্যক্তি রাতে সালাত আদায় করতে চায়, সে তা আদায় করতে পারে এবং সেই সমস্ত বস্তু থেকে বিরত না থাকে, যা থেকে সিয়াম পালনকারী বিরত থাকে। আবার এটারও সম্ভাবনা আছে যে, বিলাল (রাযিঃ) তাঁর ধারণা ফজর উদয় হয়ে গিয়েছে ভেবে সেই সময় আযান দিতেন যদিও দৃষ্টি শক্তির দুর্বলতার কারণে সঠিক সময় নির্ধারিত করতে সহ্মম হতেন না। এ সম্পর্কে দলীল হল নিম্নরূফঃ
865 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ بْنُ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ الْجَزَرِيِّ عَنْ نَافِعِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ حَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِنْتِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ بِالْفَجْرِ قَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ , ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الْمَسْجِدِ وَحَرَّمَ الطَّعَامَ , وَكَانَ لَا يُؤَذِّنُ حَتَّى يُصْبِحَ» فَهَذَا ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يُخْبِرُ عَنْ حَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهُمْ كَانُوا لَا يُؤَذِّنُونَ لِلصَّلَاةِ إِلَّا بَعْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ وَأَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا بِلَالًا أَنْ يَرْجِعَ فَيُنَادِيَ أَلَا إِنَّ الْعَبْدَ قَدْ نَامَ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ عَادَتَهُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا لَا يَعْرِفُونَ أَذَانًا قَبْلَ الْفَجْرِ. وَلَوْ كَانُوا يَعْرِفُونَ ذَلِكَ أَذَانًا , لَمَا احْتَاجُوا إِلَى هَذَا النِّدَاءِ , وَأَرَادَ بِهِ عِنْدَنَا وَاللهُ أَعْلَمُ بِذَلِكَ النِّدَاءِ إِنَّمَا هُوَ لِيُعْلِمَهُمْ أَنَّهُمْ فِي لَيْلٍ بعد حَتَّى يُصَلِّيَ مَنْ آثَرَ مِنْهُمْ أَنْ يُصَلِّيَ وَلَا يَمَسَّكَ عَمَّا يَمَسُّكَ عَنْهُ الصَّائِمُ. وَقَدْ يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ بِلَالٌ كَانَ يُؤَذِّنُ فِي وَقْتٍ كَانَ يَرَى أَنَّ الْفَجْرَ قَدْ طَلَعَ فِيهِ وَلَا يَتَحَقَّقُ ذَلِكَ , لِضَعْفِ بَصَرِهِ. وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ
مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮৬৭
ফজরের আযান কখন দেয়া হবে, ফজর উদয়ের পরে না পূর্বে
৮৬৬-৮৬৭। ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ও ফাহাদ (রাহঃ)..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ বিলাল (রাযিঃ)-এর আযান যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত না করে, যেহেতু তার দৃষ্টি শক্তিতে কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে।

ব্যাখ্যা
এতে বুঝা যাচ্ছে যে, বিলাল (রাযিঃ) ফজর হয়েছে বলে ধারণা পোষণ করতেন, কিন্তু দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতার কারণে তা ভুল হয়ে যেত। তাই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লোকদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তারা তাঁর আযানের উপর আমল না করে। যেহেতু দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতার কারণে ভুল করা তার অভ্যেসে পরিণত হয়েছে।
866 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ إِشْكَابَ ح
867 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا شِهَابُ بْنُ عَبَّادٍ الْعَبْدِيُّ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ , عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَغُرَّنَّكُمْ أَذَانُ بِلَالٍ فَإِنَّ فِي بَصَرِهِ شَيْئًا» فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ بِلَالًا كَانَ يُرِيدُ الْفَجْرَ فَيُخْطِئُهُ لِضَعْفِ بَصَرِهِ. فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ لَا يَعْمَلُوا عَلَى أَذَانِهِ , إِذْ كَانَ مِنْ عَادَاتِهِ الْخَطَأُ , لِضَعْفِ بَصَرِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৬৮
ফজরের আযান কখন দেয়া হবে, ফজর উদয়ের পরে না পূর্বে
৮৬৮। রাবী ইব্ন সুলায়মান আল্ জীযী (রাহঃ)..... আবু যির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, বিলাল (রাযিঃ) বলেছেনঃ তুমি সেই সময় আযান দিয়ে থাক যখন প্রভাতের আলো (দিগন্তে) প্রলম্বিত হয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকে। এটা কিন্তু প্রভাত নয়; বরং প্রভাত এভাবে (দিগন্তে) চওড়াভাবে প্রসারিত হয়।

বিশ্লেষণ
তিনি তাঁকে এই হাদীসে বলেছেন যে, তিনি সেই বস্তু উদয় হওয়ার উপর আযান দেন, যাকে তিনি ফজর মনে করেন; কিন্তু তা বাস্তবে ফজর নয়। আমরা আয়িশা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ বিলাল (রাযিঃ) রাতে আযান দেয়। সুতরাং তোমরা পনাহার কর যতহ্মণ না ইব্ন উম্মু মাকতূম (রাযিঃ) আযান দেয়। তিনি (আয়িশা রা) বলেন, উভয়ের মাঝে শুধু এতটুকু ব্যবধান থাকত যে, ইনি (আযানের জন্য) আরোহণ করতেন এবং উনি (আযানের স্থান থেকে) অবতরণ করতেন। যেহেতু তাঁদের উভয়ের আযানের মাঝে এতটুকু নৈকট্য ছিল, যা আমরা উল্লেখ করেছি। তাই সাব্যস্ত হল যে, তাঁরা উভয়ে অভিন্ন সময় অর্থাৎ ফজর উদয় হওয়ার ইচ্ছা করতেন। বিলাল (রাযিঃ) দৃষ্টিশক্তিতে অসুবিধার কারণে তাতে ভুল করতেন এবং ইব্ন উম্মু মাকতূম (রাযিঃ) সঠিক সময়ে আযান দিতেন। যেহেতু
তিনি ততহ্মণ পর্যন্ত আযান দিতেন না যতহ্মণ না জমাতের লোকজন বলত ‘সকাল করে ফেলেছে’ ‘সকাল করে ফেলেছে’। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর (ইন্তিকালের) পরে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে নিম্নরূপ বর্ণিত আছেঃ
868 - وَقَدْ حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْجِيزِيُّ قَالَ: ثنا أَبُو الْأَسْوَدِ قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ , عَنْ سَالِمٍ , عَنْ سُلَيْمَانَ عَنِ ابْنِ عُثْمَانَ , أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِبِلَالٍ: «إِنَّكَ تُؤَذِّنُ إِذَا كَانَ الْفَجْرُ سَاطِعًا , وَلَيْسَ ذَلِكَ الصُّبْحَ , إِنَّمَا الصُّبْحُ هَكَذَا مُعْتَرِضًا» فَأَخْبَرَهُ فِي هَذَا الْأَثَرِ أَنَّهُ كَانَ يُؤَذِّنُ بِطُلُوعِ مَا يَرَى أَنَّهُ الْفَجْرُ , وَلَيْسَ هُوَ فِي الْحَقِيقَةِ بِفَجْرٍ. وَقَدْ رَوَيْنَا عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ بِلَالًا يُنَادِي بِلَيْلٍ , فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ» قَالَتْ: وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمَا إِلَّا مِقْدَارُ مَا يَصْعَدُ هَذَا وَيَنْزِلُ هَذَا. فَلَمَّا كَانَ بَيْنَ أَذَانِهِمَا مِنَ الْقُرْبِ مَا ذَكَرْنَا , ثَبَتَ أَنَّهُمَا كَانَا يَقْصِدَانِ وَقْتًا وَاحِدًا وَهُوَ طُلُوعُ الْفَجْرِ , فَيُخْطِئُهُ بِلَالٌ لَمَّا يُبْصِرُهُ , وَيُصِيبُهُ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يَفْعَلُهُ حَتَّى يَقُولَ لَهُ الْجَمَاعَةُ «أَصْبَحْتَ أَصْبَحْتَ» . ثُمَّ قَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِنْ بَعْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৬৯
ফজরের আযান কখন দেয়া হবে, ফজর উদয়ের পরে না পূর্বে
৮৬৯। ইব্ন মারযূক (রাহঃ)..... আসওয়াদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি বললাম, হে উম্মুল মু‘মিনীন! আপনি বিতর এর সালাত কখন আদায় করেন? তিনি বললেন, যখন মআযযিন আযান দেয়।

বিশ্লেষণ
আসওয়াদ (রাহঃ) বললেন, মআযযিনগণ সুবহ হওয়ার পরে আযান দিতেন এবং তাঁদের এই আযান মসজিদে নববীতে হত। কারণ আয়িশা (রাহঃ) থেকে আসওয়াদ (রাহঃ) এর এই শ্রবণ মদীনায় হয়েছে আর উম্মুল মু‘মিনীন (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে সেই বিষয়টি শ্রবণ করেছেন যা আমরা তাঁর থেকে রিওয়ায়াত করেছি। সুতরাং সাহাবীগণ কর্তৃক ফজরের পূর্বে আযান পরিত্যাগ করার বিরুদ্দে কোন প্রতিবাদ হয়নি এবং অন্যরাও এর প্রতিবাদ করেন নি। এতে প্রতীয়মান হয় যে, বিলাল (রাযিঃ) এর উক্ত আযান দ্বারা উদ্দেশ্য ছিল ফজরের আযান। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর উক্তি “পনাহার কর যতহ্মণ না ইব্ন উম্মু মাকতূম (রাযিঃ) আযান দেয়” তা ছিল সঠিক ফজর উদয় হওয়ার ভিত্তিতে। যখন এই সমস্ত রিওয়ায়াত সেইভাবে বর্ণিত আছে যেভাবে আমরা উল্লেখ করেছি। হাফসা (রাযিঃ)-এর হাদীসে রয়েছে রয়েছে যে, তাঁরা ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত আযান দিতেন না। যদি বিষয়টি এরূপই হয়ে থাকে তাহলে সেই মত বাতিল হয়ে গেল, যা ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) গ্রহণ করেছেন। আর যদি বিষয়টি অন্যরূপ হয় এবং তারা ইচ্ছাকৃতভাবে ফজরের পূর্বে আযান দিয়ে থাকেন, তাহলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসে যেমনটি হাদীসে যেমনটি স্পষ্টরূপে বর্ণনা করে দেয়া হয়েছে যে, উক্ত আযান সালাতের জন্য ছিল না। ইব্ন উম্মু মাকতূম (রাযিঃ)-এর ফজর উদয় হওয়ার পর আযান দেয়াতে প্রতীয়মান হয় যে, তা সেই সালাতের আযানের ওয়াক্ত ছিল। যদি তা আযানের ওয়াক্ত না হত তাহলে সেই ওয়াক্তে আযান জায়েয হতনা। যখন তা জায়েয হয়েছে তখন সাব্যস্ত হয়েছে যে, সেই ওয়াক্ত আযানের ওয়াক্ত ছিল। আর এর পূর্বে বিলাল (রাযিঃ)-এর আযানকে অগ্রবর্তী করাতে সেই সম্ভাবনা রয়েছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি (অনুপস্থিতের উপস্থিতি ও নিদ্রিত ব্যক্তির জাগরণ)।

ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিক দলীল ও বিশ্লেষণ
তারপর আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়টিকে যুক্তির নিরিখেও বিবেচনা করেছি, যেন উভয় অভিমতের বিশুদ্ধতমটি নিরূপণ করতে সহ্মম হই। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ফজর ব্যতীত আপরাপর সালাতের জন্য সময় আসার পরেই আযান দেয়া হয়। তারা ফজরের মধ্যে মতভেদ করেছেন। একদল আলিম বলেন, এর জন্য ওয়াক্ত আসার পূর্বে আযান দেয়া হবে। অপরদল আলিম বলেন, বরং এর আযান ওয়াক্ত আসার পরে দেয়া হবে। সুতরাং আমরা যা বর্ণনা করেছি এর ভিত্তিতে যুক্তির দাবি হচ্ছে, এর জন্য আযানও অনুরূপ হবে যেমনিভাবে অপরাপর সালাতের জন্য হয়। যখন তা অপরাপর সালাতের ওয়াক্ত আসার পরে হয় তাহলে ফজরের জন্য অনুরূপভাবে হবে। এটাই হচ্ছে যুক্তি এবং ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) ও সুফইয়ান ছাওরী (রাহঃ)-এর অভিমত।
869 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبٌ , عَنْ شُعْبَةَ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , عَنِ الْأَسْوَدِ قَالَ: قُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ , مَتَى تُوتِرِينَ؟ قَالَتْ «إِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ» قَالَ الْأَسْوَدُ: وَإِنَّمَا كَانُوا يُؤَذِّنُونَ بَعْدَ الصُّبْحِ وَهَذَا تَأْذِينُهُمْ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَنَّ الْأَسْوَدَ إِنَّمَا كَانَ سَمَاعُهُ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِالْمَدِينَةِ , وَهِيَ قَدْ سَمِعَتْ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا رَوَيْنَا عَنْهَا ذَلِكَ , فَلَمْ يُنْكِرْ عَلَيْهِمْ تَرْكَهُمُ التَّأْذِينَ قَبْلَ الْفَجْرِ , وَلَا أَنْكَرَ ذَلِكَ غَيْرُهَا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ مُرَادَ بِلَالٍ بِأَذَانِهِ ذَلِكَ , الْفَجْرُ وَأَنَّ قَوْلَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ» إِنَّمَا هُوَ لِإِصَابَةِ طُلُوعِ الْفَجْرِ. فَلَمَّا رَوَيْتُ هَذِهِ الْآثَارَ عَلَى مَا ذَكَرْنَا , وَكَانَ فِي حَدِيثِ حَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , أَنَّهُمْ كَانُوا لَا يُؤَذِّنُونَ حَتَّى يَطْلُعَ الْفَجْرُ , فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , فَقَدْ بَطَلَ الْمَعْنَى الَّذِي ذَهَبَ إِلَيْهِ , أَبُو يُوسُفَ. وَإِنْ كَانَ الْمَعْنَى عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ , وَكَانُوا يُؤَذِّنُونَ قَبْلَ الْفَجْرِ عَلَى الْقَصْدِ مِنْهُمْ لِذَلِكَ فَإِنَّ حَدِيثَ ابْنِ مَسْعُودٍ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ بَيَّنَ أَنَّ ذَلِكَ التَّأْذِينَ كَانَ لِغَيْرِ الصَّلَاةِ. وَفِي تَأْذِينِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ بَعْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ دَلِيلُ أَنَّ ذَلِكَ مَوْضِعُ أَذَانٍ لِتِلْكَ الصَّلَاةِ. وَلَوْ لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ مَوْضِعَ أَذَانٍ لَهَا لَمَا أُبِيحَ الْأَذَانُ فِيهَا. فَلَمَّا أُبِيحَ ذَلِكَ ثَبَتَ أَنَّ ذَلِكَ الْوَقْتَ , وَقْتٌ لِلْأَذَانِ , وَاحْتَمَلَ تَقْدِيمَهُمْ أَذَانَ بِلَالٍ قَبْلَ ذَلِكَ مَا ذَكَرْنَا. ثُمَّ اعْتَبَرْنَا ذَلِكَ أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ لِنَسْتَخْرِجَ مِنَ الْقَوْلَيْنِ , قَوْلًا صَحِيحًا فَرَأَيْنَا سَائِرَ الصَّلَوَاتِ , غَيْرَ الْفَجْرِ لَا يُؤَذَّنُ لَهَا إِلَّا بَعْدَ دُخُولِ أَوْقَاتِهَا. وَاخْتَلَفُوا فِي الْفَجْرِ , فَقَالَ قَوْمٌ: التَّأْذِينُ لَهَا قَبْلَ دُخُولِ وَقْتِهَا. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ هُوَ بَعْدَ دُخُولِ وَقْتِهَا. فَالنَّظَرُ عَلَى مَا وَصَفْنَا أَنْ يَكُونَ الْأَذَانُ لَهَا كَالْأَذَانِ لِغَيْرِهَا مِنَ الصَّلَوَاتِ , فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ بَعْدَ دُخُولِ أَوْقَاتِهَا , كَانَ أَيْضًا فِي الْفَجْرِ كَذَلِكَ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَمُحَمَّدٍ وَسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৭০
ফজরের আযান কখন দেয়া হবে, ফজর উদয়ের পরে না পূর্বে
৮৭০। ইব্ন আবী ইমরান (রাহঃ)..... সুফইয়ান ইব্ন সাঈদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তাঁকে জনৈক ব্যক্তি বললঃ আমি ফজর উদয় হওয়ার পূর্বে আযান দেই, যেন আমি সর্ব প্রথম ব্যক্তি হই, যে আসমানের দরোজার কড়া নাড়বে। সুফইয়ান (রাহঃ) বললেন, না, (এরূপ করবে না) যতহ্মণ না ফজর উদ্ভাসিত হয়।
এ বিষয়ে আলকামা (রাহঃ) থেকেও বর্ণিত আছেঃ
870 - حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، قَالَ: سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ سَعِيدٍ، وَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: إِنِّي أُؤَذِّنُ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ لِأَكُونَ أَوَّلَ مَنْ يَقْرَعُ بَابَ السَّمَاءِ بِالنِّدَاءِ. فَقَالَ سُفْيَانُ: «لَا , حَتَّى يَنْفَجِرَ الْفَجْرُ» وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلْقَمَةَ مِنْ هَذَا شَيْءٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৭১
ফজরের আযান কখন দেয়া হবে, ফজর উদয়ের পরে না পূর্বে
৮৭১। ফাহাদ (রাহঃ)..... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমরা আলকামা (রাযিঃ) কে মক্কা অভিমুখে বিদায় সম্বর্ধনা জানালাম। তিনি রাতে বের হলেন, তখন এক মুয়াযযিনকে রাতে আযান দিতে শুনেন। তিনি
বললেন, এই (মুয়াযযিন) ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহাবীগণের সুন্নতের বিরোধিতা করেছে। সে যদি ঘুমিয়ে থাকত, তার জন্য উত্তম হত। যখন ফজর উদয় হত তখন আযান দিত।
বস্তুত আলকামা (রাহঃ) বলেন যে, ফজর উদয় হওয়ার পূর্বে আযান দেয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাহাবীগণের সুন্নত-এর পরিপন্থী।
871 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْأَصْبَهَانِيِّ، قَالَ: أنا شَرِيكٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: شَيَّعْنَا عَلْقَمَةَ إِلَى مَكَّةَ , فَخَرَجَ بِلَيْلٍ فَسَمِعَ مُؤَذِّنًا يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ فَقَالَ: «أَمَّا هَذَا فَقَدْ خَالَفَ سُنَّةَ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَوْ كَانَ نَائِمًا كَانَ خَيْرًا لَهُ فَإِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ , أَذَّنَ» فَأَخْبَرَ عَلْقَمَةُ أَنَّ التَّأْذِينَ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ , خِلَافٌ لِسُنَّةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান