শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৮
২২- হালাল পশুর পেশাবের বিধান
৬৪৭-৬৪৮। আবু বাকরা (রাহঃ)..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার উরায়না গোত্রের কিছু লোক মদীনায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দরবারে আসে। কিন্তু মদীনার আবহাওয়া তাদের উপযোগী না হওয়ায় তিনি তাদেরকে বললেন, যদি তোমরা আমাদের (সাদাকার) উটগুলোর দিকে চলে যেতে এবং এগুলোর দুধ পান করতে। রাবী বলেন, কাতাদা (রাযিঃ) উল্লেখ করেছেন যে, তিনি আনাস (রাযিঃ) থেকে 'পেশাব' শব্দটি স্মরণ রেখেছেন।

আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ ইবন খুশায়শ (রাহঃ)........ আনাস (রাযিঃ)-এর বরাতে নবীন্দ্র থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং বলেছেন, 'এগুলোর দুধ এবং পেশাব পান কর।'

বিশ্লেষণ

একদল আলিম মত গ্রহণ করেছেন যে, হালাল পশুর পেশাব পাক এবং এর বিধান উক্ত পশুর গোশতের অনুরূপ। এ অভিমত যারা পোষণ করেছেন, মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ) তাদের মধ্যে অন্যতম। তাঁরা বলেছেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ওটা তাদের রোগের জন্য ওষুধরূপে সাব্যস্ত করেছেন তখন প্রমাণিত হল যে, এটা হালাল। যেহেতু যদি তা হারাম হত তাহলে তিনি ওটা তাদের জন্য চিকিৎসারূপে নির্ধারণ করতেন না। কারণ ওটা তো রোগ, শিফা (নিরাময়) নয়, যেমনটি আলকামা ইবন ওয়াইল ইবন হুজর (রাযিঃ)-এর হাদীসে বলেছেন।
بَابُ حُكْمِ بَوْلِ مَا يُؤْكَلُ لَحْمُهُ
647 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَكْرٍ قَالَ: ثنا حُمَيْدٌ , عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَدِمَ نَاسٌ مِنْ عُرَيْنَةَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ , فَاجْتَوَوْهَا فَقَالَ: «لَوْ خَرَجْتُمْ إِلَى ذَوْدٍ لَنَا , فَشَرِبْتُمْ مِنْ أَلْبَانِهَا» قَالَ: وَذَكَرَ قَتَادَةُ أَنَّهُ قَدْ حَفِظَ عَنْهُ , أَبْوَالَهَا

648 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خُشَيْشٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ ثَابِتٍ وَقَتَادَةَ وَحُمَيْدٍ , عَنْ أَنَسٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ وَقَالَ: «مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا» فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ بَوْلَ مَا يُؤْكَلُ لَحْمُهُ طَاهِرٌ , وَأَنَّ حُكْمَ ذَلِكَ , كَحُكْمِ لَحْمِهِ. وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ , مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ. وَقَالُوا: لَمَّا جَعَلَ ذَلِكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَوَاءً لِمَا بِهِمْ , ثَبَتَ أَنَّهُ حَلَالٌ , لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ حَرَامًا , لَمْ يُدَاوِهِمْ بِهِ , لِأَنَّهُ دَاءٌ لَيْسَ بِشِفَاءٍ , كَمَا قَالَ: فِي حَدِيثِ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫০
হালাল পশুর পেশাবের বিধান
৬৪৯-৬৫০। রবীউল মুয়াযিন (রাহঃ) ও ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)...... তারিক ইবন সুওয়াঈদ হাযরামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের এলাকায় আঙ্গুর উৎপন্ন হয়, আমরা এর থেকে রস বের করি (মদ প্রস্তুত করি), আমরা কি এর থেকে পান করতে পারব? তিনি বললেন, না। আমি পুনরার তাঁকে বললাম। তিনি বললেন, না। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা এর দ্বারা রোগীর ওষুধ তথা চিকিৎসা করি। তিনি বললেন, ওটা ব্যাধি, শিফা (নিরাময়) নয়, যেমনটি আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ এবং রাসূলুল্লাহ্ -এর অপরাপর সাহাবীগণ বলেছেন।
649 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، ح

650 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ سُوَيْدٍ الْحَضْرَمِيِّ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ , إِنَّ بِأَرْضِنَا أَعْنَابًا نَعْتَصِرُهَا , فَنَشْرَبُ مِنْهَا , قَالَ: «لَا» فَرَاجَعْتُهُ فَقَالَ: «لَا» فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ , إِنَّا نَسْتَشْفِي بِهَا الْمَرِيضَ قَالَ: «ذَاكَ دَاءٌ , وَلَيْسَ بِشِفَاءٍ» وَكَمَا قَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْعُودٍ وَغَيْرُهُ , مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৫১
হালাল পশুর পেশাবের বিধান
৬৫১। ইব্ন মারযূক (রাহঃ)...... আবুল আহওয়াস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বলেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা নাপাক এবং হারাম বস্তুর মধ্যে শিফা রাখেননি।
651 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللهِ: «مَا كَانَ اللهُ لِيَجْعَلَ فِي رِجْسٍ , أَوْ فِيمَا حَرَّمَ , شِفَاءً»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৫২
হালাল পশুর পেশাবের বিধান
৬৫২। হুসাইন ইন নসর (রাহঃ)...... আবু ওয়াইল (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তাকে নেশা জাতীয় কোন বস্তুর কথা জানানো হল। তারপর আমরা আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর নিকট গেলাম এবং আমরা তাঁকে (এ বিষয়ে) জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদের উপর যা হারাম করেছেন তাতে শিফা রাখেননি।
652 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ: اشْتَكَى رَجُلٌ مِنَّا فَنُعِتَ لَهُ السُّكْرُ , فَأَتَيْنَا عَبْدَ اللهِ فَسَأَلْنَاهُ , فَقَالَ: «إِنَّ اللهَ لَمْ يَجْعَلْ شِفَاءَكُمْ فِيمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمْ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৫৩
হালাল পশুর পেশাবের বিধান
৬৫৩। ইবন মারযূক (রাহঃ)...... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আয়েশা (রাযিঃ) দু'আ করে বলেছেন, হে আল্লাহ্! মদের দ্বারা চিকিৎসাকারীদের শিফা দিওনা। তাঁরা বলেছেন, যখন এই সমস্ত হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত হল যে, বান্দার উপর হারামকৃত বস্তুর দ্বারা শিফা অর্জিত হয় না। সুতরাং প্রথমোক্ত হাদীস, যাতে নবী উটের পেশাবকে ওষুধ হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। তাতে সাব্যস্ত হয় যে, তা পাক, হারাম নয়। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসও বর্ণিত আছে:
653 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: «اللهُمَّ لَا تَشْفِ مَنِ اسْتَشْفَى بِالْخَمْرِ» قَالُوا: فَلَمَّا ثَبَتَ بِهَذِهِ الْآثَارِ أَنَّ الشِّفَاءَ لَا يَكُونُ فِيمَا حُرِّمَ عَلَى الْعِبَادِ , ثَبَتَ بِالْأَثَرِ الْأَوَّلِ الَّذِي جَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَوْلَ الْإِبِلِ فِيهِ دَوَاءً , أَنَّهُ طَاهِرٌ غَيْرُ حَرَامٍ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا مَا
হাদীস নং:৬৫৪
হালাল পশুর পেশাবের বিধান
৬৫৪। রবী' ইবন সুলায়মানুল মুয়াযযিন (রাহঃ) ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, উটের পেশাব এবং দুধে তাদের পেটের পীড়ার জন্য শিফা রয়েছে। তাঁরা (সেই আলিমগণ) বলেছেন, এ হাদীসেও সেই বিষয়ের প্রমাণ বিদ্যমান রয়েছে, যা আমরা বর্ণনা করেছি। পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন এবং তাঁরা বলেছেন, উটের পেশাব নাপাক, এর বিধান এর রক্তের অনুরূপ, এর দুধ ও গোশতের অনুরূপ নয়। উপরন্তু তাঁরা বলেন, তোমরা উরায়না গোত্রের লোকদের সম্পর্কে যে হাদীস রিওয়ায়াত করেছ, সেই বিধান ছিল বিশেষ জরুরী প্রয়োজনবশত। তাতে এ বিষয়ের কোন দলীল নেই যে, এটা বিশেষ জরুরী প্রয়োজন ব্যতীতও মুবাহ (হালাল)। কেননা আমরা অনেক বস্তু দেখতে পাচ্ছি, যা বিশেষ প্রয়োজনবশত মুবাহ (জায়িষ) হয়ে থাকে; কিন্তু জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত মুবাহ (জায়িষ) হয় না। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াতসমূহ বর্ণিত আছে :
654 - حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ قَالَ: ثنا ابْنُ هُبَيْرَةَ , عَنْ حَنَشِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ فِي أَبْوَالِ الْإِبِلِ وَأَلْبَانِهَا شِفَاءً لِذِرْبَةِ بُطُونِهِمْ» قَالُوا: فَفِي ذَلِكَ تَثْبِيتُ مَا وَصَفْنَا أَيْضًا. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: أَبْوَالُ الْإِبِلِ نَجِسَةٌ , وَحُكْمُهَا حُكْمُ دِمَائِهَا لَا حُكْمُ أَلْبَانِهَا وَلُحُومِهَا. [ص:109] وَقَالُوا: أَمَّا مَا رَوَيْتُمُوهُ فِي حَدِيثِ الْعُرَنِيِّينَ , فَذَلِكَ إِنَّمَا كَانَ لِلضَّرُورَةِ , فَلَيْسَ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّهُ مُبَاحٌ فِي غَيْرِ الضَّرُورَةِ , لِأَنَّا قَدْ رَأَيْنَا أَشْيَاءَ أُبِيحَتْ فِي الضَّرُورَاتِ , وَلَمْ تُبَحْ فِي غَيْرِ الضَّرُورَاتِ , وَرُوِيَتْ فِيهَا الْآثَارُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীস নং:৬৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫৬
হালাল পশুর পেশাবের বিধান
৬৫৫-৬৫৬। হুসাইন ইবন নসর (রাহঃ) ও আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ ইবন খাশীশ (রাহঃ)...... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার এক যুদ্ধে যুবাইর (রাযিঃ) ও আব্দুর রহমান ইবন আউফ (রাযিঃ) নবী -এর দরবারে উকুন সম্পর্কে অভিযোগ উত্থাপন করলে তিনি তাদেরকে রেশমী জামা পরিধান করার অনুমতি প্রদান করেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি তাদের উভয়ের পরিধানে রেশমী জামা দেখেছি।

বিশ্লেষণ

বস্তুত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সেই সমস্ত পুরুষদের জন্য রেশম পরিধান করা বৈধ সাব্যস্ত করেছেন, যাদের খোস-পাঁচড়া ছিল এবং ওটা ছিল তার চিকিৎসা। উক্ত রোগের কারণে তাদের জন্য রেশমের বৈধতা এ বিষয়ের কোনরূপ দলীল নয় যে, উক্ত রোগ: ব্যতীতও রেশম বৈধ হবে। অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উরায়না গোত্রের লোকদের জন্য তাদের রোগের কারণে যে বস্তু হালাল করেছেন, এর দ্বারা এটা সাব্যস্ত হবে না যে, তা উক্ত রোগ ব্যতীতও হালাল হবে। রেশমী পোশাক পরিধান হারাম হওয়া জরুরী; প্রয়োজনের অবস্থায় এর হালাল হওয়ার পরিপন্থী নয়। অনুরূপভাবে জরুরী প্রয়োজনের অবস্থা ব্যতিরেক পেশাব হারাম হওয়ার দ্বারা এটা আবশ্যক নয় যে, ওটা জরুরী প্রয়োজনের সময়ও হারাম হবে। অতএব এতে প্রমাণিত হল যে, মদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর উক্তি “এটা ব্যাধি, শিফা নয়" এটা এই ভিত্তিতে ছিল যে, যেহেতু তারা এটাকে মদ মনে করেই এর থেকে শিক্ষা অর্জন করতে চাইত এবং ওটা হারাম। অনুরূপভাবে আমাদের মতে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ)-এর উক্তির মর্ম, আল্লাহ্ তা'আলা যে বস্তু তোমাদের উপর হারাম করেছেন তাতে তোমাদের শিক্ষা রাখেনি। এর ভিত্তি ছিল এ যে, তারা মদের সম্মান করত এবং তারা এটাকে প্রকৃতিগতভাবে উপকারী মনে করত। তাই তিনি তাদেরকে বললেন, আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদের উপর যে বস্তু হারাম করেছেন তাতে তোমাদের জন্য শিক্ষা রাখেননি।

এই সমস্ত হাদীসের এটাই হচ্ছে বিশ্লেষণ। এই সমস্ত রিওয়ায়াত যখন সেই সম্ভাবনাও রাখছে যা আমরা উল্লেখ করেছি এবং তাতে পেশাব পাক হওয়ার ব্যাপারে কোনরূপ দলীল নেই, তাই আমরা আবশ্যক মনে করছি যে, গভীর চিন্তা ও যুক্তির নিরিখে অনুসন্ধান চালাব এবং দেখব যে, এর বিধান কি? যখন আমরা এ বিষয়ে গভীরভাবে লক্ষ্য করেছি তখন দেখতে পেয়েছি যে, সমস্ত আলিমগণ এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, মানুষের গোশ্ত-পাক এবং তাদের পেশাব হারাম ও নাপাক।
আর তাদের পেশাবের বিধান ঐকমত্যভাবে তাদের রক্তের অধীন, গোশতের বিধানের অধীন নয়। সুতরাং যুক্তির দাবি হল, অনুরূপভাবে উঠের পেশাবের বিধান এর রক্তের সাথে সংশ্লিষ্ট হবে এর গোশূতের সাথে নয়। যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি এতে প্রমাণিত হল যে, উটের পেশাব নাপাক। আর এটাই হচ্ছে যুক্তির দাবি এবং এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমত। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পূর্ববর্তী মনীষী আলিমগণ মতবিরোধ করেছেন। এ বিষয়ে তাঁদের থেকে বর্ণিত কিছু রিওয়ায়াত নিম্নরূপঃ
655 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ، قَالَ: أنا هَمَّامٌ، ح

656 - وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خُشَيْشٍ، قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، قَالَ: أنا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ " أَنَّ الزُّبَيْرَ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ شَكَوْا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقَمْلَ , فَرَخَّصَ لَهُمَا فِي قَمِيصِ الْحَرِيرِ , فِي غَزَاةٍ لَهُمَا. قَالَ أَنَسٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: فَرَأَيْتُ عَلَى كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا قَمِيصًا مِنْ حَرِيرٍ «فَهَذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَدْ أَبَاحَ الْحَرِيرَ لِمَنْ أَبَاحَ لَهُ اللُّبْسَ مِنَ الرِّجَالِ , لِلْحَكَّةِ الَّتِي كَانَتْ بِمَنْ أَبَاحَ ذَلِكَ لَهُ فَكَانَ ذَلِكَ مِنْ عِلَاجِهَا , وَلَمْ يَكُنْ فِي إِبَاحَتِهِ ذَلِكَ لَهُمْ لِلْعِلَّةِ الَّتِي كَانَتْ بِهِمْ مَا يَدُلُّ أَنَّ ذَلِكَ مُبَاحٌ فِي غَيْرِ تِلْكَ الْعِلَّةِ. فَكَذَلِكَ أَيْضًا مَا أَبَاحَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْعُرَنِيِّينَ لِلْعِلَلِ الَّتِي كَانَتْ بِهِمْ , فَلَيْسَ فِي إِبَاحَةِ ذَلِكَ لَهُمْ , دَلِيلٌ أَنَّ ذَلِكَ مُبَاحٌ فِي غَيْرِ تِلْكَ الْعِلَلِ. وَلَمْ يَكُنْ فِي تَحْرِيمِ لُبْسِ الْحَرِيرِ مَا يَنْفِي أَنْ يَكُونَ حَلَالًا فِي حَالِ الضَّرُورَةِ , وَلَا أَنَّهُ عِلَاجٌ مِنْ بَعْضِ الْعِلَلِ. وَكَذَلِكَ حُرْمَةُ الْبَوْلِ فِي غَيْرِ حَالِ الضَّرُورَةِ , لَيْسَ فِيهِ دَلِيلٌ , أَنَّهُ حَرَامٌ فِي حَالِ الضَّرُورَةِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ قَوْلَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْخَمْرِ» إِنَّهُ دَاءٌ وَلَيْسَ بِشِفَاءٍ «إِنَّمَا هُوَ لِأَنَّهُمْ كَانُوا يَسْتَشِفُّونَ بِهَا , لِأَنَّهَا خَمْرٌ , فَذَلِكَ حَرَامٌ. وَكَذَلِكَ مَعْنَى قَوْلِ عَبْدِ اللهِ عِنْدَنَا إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ ,» لَمْ يَجْعَلْ شِفَاءَكُمْ فِيمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمْ " , إِنَّمَا هُوَ لَمَّا كَانُوا يَفْعَلُونَ بِالْخَمْرِ , لِإِعْظَامِهِمْ إِيَّاهَا. وَلِأَنَّهُمْ كَانُوا يَعُدُّونَهَا شِفَاءً فِي نَفْسِهَا , فَقَالَ لَهُمْ: «إِنَّ اللهَ لَمْ يَجْعَلْ شِفَاءَكُمْ فِيمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمْ» فَهَذِهِ وُجُوهُ هَذِهِ الْآثَارِ. فَلَمَّا احْتَمَلَتْ مَا ذَكَرْنَا , وَلَمْ يَكُنْ فِيهَا دَلِيلٌ عَلَى طَهَارَةِ الْأَبْوَالِ , احْتَجْنَا أَنْ نَرْجِعَ فَنَلْتَمِسَ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ فَنَعْلَمَ كَيْفَ حُكْمُهُ؟ فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَإِذَا لُحُومُ بَنِي آدَمَ , كُلٌّ قَدْ أَجْمَعَ أَنَّهَا لُحُومٌ طَاهِرَةٌ وَأَنَّ أَبْوَالَهُمْ حَرَامٌ نَجِسَةٌ , فَكَانَتْ أَبْوَالُهُمْ بِاتِّفَاقِهِمْ مَحْكُومًا لَهَا بِحُكْمِ دِمَائِهِمْ , لَا بِحُكْمِ لُحُومِهِمْ. [ص:110] فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ تَكُونَ كَذَلِكَ أَبْوَالُ الْإِبِلِ , يَحْكُمُ لَهَا بِحُكْمِ دِمَائِهَا , لَا بِحُكْمِ لُحُومِهَا , فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ أَبْوَالَ الْإِبِلِ نَجِسَةٌ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى وَقَدِ اخْتَلَفَ الْمُتَقَدِّمُونَ فِي ذَلِكَ. فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُمْ فِي ذَلِكَ مَا
হাদীস নং:৬৫৭
হালাল পশুর পেশাবের বিধান
৬৫৭। হুসাইন ইবন নসর (রাহঃ)..... মুহাম্মাদ ইবন আলী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন, উট, গরু ও বকরীর পেশাবকে ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করতে কোন অসুবিধা নেই। আম সম্ভবত তিনি এ অভিমত এ জন্য পোষণ করেছেন, যেহেতু এই পেশাব তাঁর মতে সমস্ত অবস্থায় হালাল ও পাক। যেমনটি মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ) বলেছেন। আবার হতে পারে তিনি জরুরী প্রয়োজনের শর্তে এর দ্বারা শুধু চিকিৎসা বৈধ সাব্যস্ত করেছেন। এই জন্য নয় যে, এটা প্রকৃতিগতভাবে পাক এবং অপ্রয়োজনীয় অবস্থায়ও বৈধ।
657 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ قَالَ: ثنا جَابِرٌ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: " لَا بَأْسَ بِأَبْوَالِ الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ وَالْغَنَمِ , أَنْ يُتَدَاوَى بِهَا فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ لِأَنَّهَا عِنْدَهُ حَلَالٌ طَاهِرَةٌ , فِي الْأَحْوَالِ كُلِّهَا كَمَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَبَاحَ الْعِلَاجَ بِهَا لِلضَّرُورَةِ , لَا لِأَنَّهَا طَاهِرَةٌ فِي نَفْسِهَا , وَلَا مُبَاحَةٌ فِي غَيْرِ حَالِ الضَّرُورَةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৫৮
হালাল পশুর পেশাবের বিধান
৬৫৮। হুসাইন ইবন নসর (রাহঃ)....ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, লোকেরা উটের পেশাব দ্বারা শিফা অর্জন করত এবং এতে কোন অসুবিধা মনে করত না। বস্তুত এটাও সেই সম্ভাবনা রাখছে, যা মুহাম্মাদ ইবন আলী (রাহঃ)-এর উক্তিতে রয়েছে।
658 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: «كَانُوا يَسْتَشِفُّونَ بِأَبْوَالِ الْإِبِلِ , لَا يَرَوْنَ بِهَا بَأْسًا» فَقَدْ يَحْتَمِلُ هَذَا أَيْضًا مَا احْتَمَلَ قَوْلُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৫৯
হালাল পশুর পেশাবের বিধান
৬৫৯। হুসাইন ইবন নসর (রাযিঃ)...... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হালাল পশুর পেশাবে কোনরূপ অসুবিধা নেই। বস্তুত এটা এরূপ হাদীস যার অর্থ সুস্পষ্ট।
659 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ: «كُلُّ مَا أُكِلَتْ لَحْمُهُ , فَلَا بَأْسَ بِبَوْلِهِ» فَهَذَا حَدِيثٌ مَكْشُوفُ الْمَعْنَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৬০
হালাল পশুর পেশাবের বিধান
৬৬০। বাকর ইবন ইদ্রীস (রাযিঃ)........ হাসান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি উট, গরু ও বকরীর পেশাবকে মাকরূহ মনে করতেন। অথবা অনুরূপ অর্থ সম্বলিত বাক্য বলেছেন।
660 - حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ: ثنا آدَمُ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ أَنَّهُ كَرِهَ أَبْوَالَ الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ وَالْغَنَمِ , أَوْ كَلَامًا هَذَا مَعْنَاهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান