শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৭ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬১৯
২১- মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬১৯। মুহাম্মাদ ইব্ন নো'মান সাকতী (রাহঃ).... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উম্মু হাবীবা বিত জাহশ (রাযিঃ) আব্দুর রহমান ইবন আউফ (রাযিঃ) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আব্দ্ধ ছিলেন। তিনি এরূপ ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন যে, কোন সময়ই পাক হতেন না। তাঁর বিষয়টি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট উল্লেখ করা হলো। তিনি বললেনঃ তা হায়য নয়; বরং তা রেহেম (গর্ভাশয়)-এর লাথি। তার জন্য আবশ্যক হল, হায়যের নির্ধারিত দিনগুলো লক্ষ্য করবে এবং সালাত পরিত্যাগ করবে। তারপর পরবর্তী দিনগুলোতে খেয়াল করে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে এবং সালাত আদায় করবে।
بَابُ الْمُسْتَحَاضَةِ كَيْفَ تَتَطَهَّرُ لِلصَّلَاةِ
619 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ النُّعْمَانِ السَّقَطِيُّ قَالَ: ثنا الْحُمَيْدِيُّ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعُزَيْرِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِي عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ , عَنْ عَمْرَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِنْتَ جَحْشٍ , كَانَتْ تَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ , وَأَنَّهَا اسْتُحِيضَتْ حَتَّى لَا تَطْهُرَ , فَذَكَرَ شَأْنَهَا لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: «لَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ , وَلَكِنَّهَا رَكْضَةٌ مِنَ الرَّحِمِ , لِتَنْظُرْ قَدْرَ قُرُوئِهَا الَّتِي تَحِيضُ لَهَا , فَلْتَتْرُكِ الصَّلَاةَ , ثُمَّ لِتَنْظُرْ مَا بَعْدَ ذَلِكَ , فَلْتَغْتَسِلْ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ وَتُصَلِّي»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২০
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬২০। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ).... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উম্মু হাবীবা বিনত জাহশ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর যুগে ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হতেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি পানি ভর্তি বড় গামলায় ডুব দিতেন তারপর তা থেকে বের হতেন এবং রক্ত সেই পানির উপর প্রবল হত। এরপর সালাত আদায় করতেন।
প্রথম অভিমতঃ ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলা হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দিবে। তারপর প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করবে। তারা এ বিষয়ে এই সমস্ত হাদীসে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর উক্তি এবং উম্মু হাবীবা বিনত জাহশ (রাযিঃ)-এর আমল দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর যুগে ঘটেছে।
প্রথম অভিমতঃ ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলা হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দিবে। তারপর প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করবে। তারা এ বিষয়ে এই সমস্ত হাদীসে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর উক্তি এবং উম্মু হাবীবা বিনত জাহশ (রাযিঃ)-এর আমল দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর যুগে ঘটেছে।
620 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِنْتِ جَحْشٍ كَانَتِ اسْتُحِيضَتْ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْغُسْلِ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَإِنْ كَانَتْ لَتَغْتَمِسُ فِي الْمِرْكَنِ , وَهُوَ مَمْلُوءٌ مَاءً , ثُمَّ تَخْرُجُ مِنْهُ , وَإِنَّ الدَّمَ لِغَالِبِهِ , ثُمَّ تُصَلِّي " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْمُسْتَحَاضَةَ تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا , ثُمَّ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِقَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَرْوِيِّ فِي هَذِهِ الْآثَارِ , وَبِفِعْلِ أُمِّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِنْتِ جَحْشٍ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২১
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬২১। রবী' ইবন সুলায়মান আল-জীযী (রাহঃ)..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, উম্মু হাবীবা বিনত জাহশ (রাযিঃ) ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে এর সমাধান জিজ্ঞাসা করেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে বললেন : এটা হায়য নয়, এতো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত, যা ইব্লীস খুলে দিয়েছে। যখন হায়যের দিনগুলো চলে যাবে তখন গোসল করে সালাত আদায় করবে আর যখন হায়যের নির্ধারিত দিনগুলো আসে তখন সে ক'দিন সালাত ছেড়ে দিবে। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, উম্মু হাবীবা (রাযিঃ) প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করতেন। কখনও তিনি তাঁর সহোদরা যয়নাব (রাযিঃ)-এর গৃহে বড় গামলায় গোসল করতেন আর তিনি (যয়নব রা) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সহধর্মিণী ছিলেন। এমনকি রক্তের (লালিমা) পানির উপর প্রবল হয়ে যেত। তারপর তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সঙ্গে সালাত আদায় করতেন; কিন্তু তা তাঁকে সালাত থেকে বিরত রাখত না।
621 - حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: ثنا الْهَيْثَمُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي النُّعْمَانُ، وَالْأَوْزَاعِيُّ , وَأَبُو مَعْبَدٍ حَفْصُ بْنُ غَيْلَانَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، وَعَمْرَةُ , عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: " اسْتُحِيضَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِنْتُ جَحْشٍ , فَاسْتَفْتَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: لَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ هَذِهِ لَيْسَتْ بِحَيْضَةٍ , وَلَكِنَّهُ عِرْقٌ فَتَقَهُ إِبْلِيسُ , فَإِذَا أَدْبَرَتِ الْحَيْضَةُ , فَاغْتَسِلِي وَصَلِّي , وَإِذَا أَقْبَلَتْ , فَاتْرُكِي لَهَا الصَّلَاةَ» قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: فَكَانَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , وَكَانَتْ تَغْتَسِلُ أَحْيَانًا فِي مِرْكَنٍ , فِي حُجْرَةِ أُخْتِهَا زَيْنَبَ , وَهِيَ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , حَتَّى إِنَّ حُمْرَةَ الدَّمِ لِتَعْلُوَ الْمَاءَ , فَتُصَلِّي مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا مَنَعَهَا ذَلِكَ مِنَ الصَّلَاةِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২২
আন্তর্জাতিক নং: ৬২৫
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬২২ - ৬২৫। রবী' ইবন সুলায়মানুল মুয়াযিন (রাহঃ).... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উম্মু হাবীবা বিনত জাহশ (রাযিঃ) সাত বছর পর্যন্ত ইস্তিহাযায় ছিলেন। তাই তিনি এ বিষয়ে নবী (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি তাঁকে গোসল করার নির্দেশ দিলেন এবং বললেনঃ এটা তো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত, হায়য নয়। তাই তিনি প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করতেন।
ইউনুস (রাহঃ)... উরওয়া (রাহঃ) আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। লায়স (রাহঃ) বলেন, ইবন শিহাব (রাহঃ) এটা উল্লেখ করেননি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উম্মু হাবীবা (রাযিঃ)কে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ইসমাঈল ইবন ইয়াহইয়া মুযানী (রাহঃ)... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু (বর্ণনাকারী ইবরাহীম ইবন সা'দ) লায়স (রাহঃ)-এর উক্তি উল্লেখ করেননি।
ইসমাঈল (রাহঃ)..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি লায়সের
উক্তি উল্লেখ করেন নি।
ফকীহদের অভিমত
বস্তুত তাঁরা (ফকীহ আলিমগণ) বলেছেন: দেখুন না! এই উম্মু হাবীবা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যুগে এমনটি করতেন, যেহেতু তিনি তাঁকে গোসলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সুতরাং তাঁর নিকট প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করা আবশ্যক ছিল। রাসূলুল্লাহ্ -এর পরবর্তীতে আলী (রাযিঃ) ও ইবন আব্বাস (রাযিঃ) ও অনুরূপ অভিমত পোষণ করেছেন এবং তাঁরা এরূপই ফাতওয়া দিয়েছেন।
ইউনুস (রাহঃ)... উরওয়া (রাহঃ) আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। লায়স (রাহঃ) বলেন, ইবন শিহাব (রাহঃ) এটা উল্লেখ করেননি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উম্মু হাবীবা (রাযিঃ)কে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ইসমাঈল ইবন ইয়াহইয়া মুযানী (রাহঃ)... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু (বর্ণনাকারী ইবরাহীম ইবন সা'দ) লায়স (রাহঃ)-এর উক্তি উল্লেখ করেননি।
ইসমাঈল (রাহঃ)..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি লায়সের
উক্তি উল্লেখ করেন নি।
ফকীহদের অভিমত
বস্তুত তাঁরা (ফকীহ আলিমগণ) বলেছেন: দেখুন না! এই উম্মু হাবীবা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যুগে এমনটি করতেন, যেহেতু তিনি তাঁকে গোসলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সুতরাং তাঁর নিকট প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করা আবশ্যক ছিল। রাসূলুল্লাহ্ -এর পরবর্তীতে আলী (রাযিঃ) ও ইবন আব্বাস (রাযিঃ) ও অনুরূপ অভিমত পোষণ করেছেন এবং তাঁরা এরূপই ফাতওয়া দিয়েছেন।
622 - حَدَّثَنَا رَبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، وَعَمْرَةَ , عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِنْتَ جَحْشٍ اسْتُحِيضَتْ سَبْعَ سِنِينَ فَسَأَلَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ , فَأَمَرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ وَقَالَ: «إِنَّ هَذِهِ عِرْقٌ وَلَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ» فَكَانَتْ هِيَ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ
623 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ قَالَ اللَّيْثُ: لَمْ يَذْكُرِ ابْنُ شِهَابٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ أُمَّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنْ تَغْتَسِلَ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ
624 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى الْمُزَنِيُّ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ: أنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، سَمِعَ ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ
625 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدٌ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ اللَّيْثِ. قَالُوا: فَهَذِهِ أُمُّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَدْ كَانَتْ تَفْعَلُ هَذَا فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لِأَمْرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهَا بِالْغُسْلِ , فَكَانَ ذَلِكَ عِنْدَهَا , عَلَى الْغُسْلِ لِكُلِّ صَلَاةٍ وَقَدْ قَالَ ذَلِكَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ بَعْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَفْتَيَا بِذَلِكَ
623 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ قَالَ اللَّيْثُ: لَمْ يَذْكُرِ ابْنُ شِهَابٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ أُمَّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنْ تَغْتَسِلَ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ
624 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى الْمُزَنِيُّ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ: أنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، سَمِعَ ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ
625 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدٌ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ اللَّيْثِ. قَالُوا: فَهَذِهِ أُمُّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَدْ كَانَتْ تَفْعَلُ هَذَا فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لِأَمْرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهَا بِالْغُسْلِ , فَكَانَ ذَلِكَ عِنْدَهَا , عَلَى الْغُسْلِ لِكُلِّ صَلَاةٍ وَقَدْ قَالَ ذَلِكَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ بَعْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَفْتَيَا بِذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৬
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬২৬। সুলায়মান ইবন শু'আইব (রাহঃ)..... সাঈদ ইবন জুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার জনৈকা মহিলা ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট একটি পত্র নিয়ে আসে। তখন তাঁর দৃষ্টিশক্তি লোপ পেয়েছে। তিনি উক্ত পত্র তাঁর ছেলের হাতে দিলেন। ছেলেটি অতি দ্রুত তা পড়ে ফেললে তিনি পত্রটি আমাকে দিয়ে দিলেন। আমি তা পড়লাম। তিনি তাঁর ছেলেকে বললেন, তুমি এমনটি কেন পড়লে না যেমনটি এই মিসরী বালকটি পড়েছে। তাতে ছিল : "বিস্মিল্লাহির রহমানির রাহীম। জনৈকা মুসলিম নারীর পক্ষ থেকে। সে ইস্তিহাযায় আক্রান্ত, তাই সে আলী (রাযিঃ) কে এর সমাধান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছে। তিনি তাকে গোসল করে সালাত আদায়ের নির্দেশ দিলেন। এরপর তিনি (ইন আব্বাস রা) বললেন, হে আল্লাহ্! আমি আলী (রাযিঃ) এ ব্যাপারে যা বলেছেন, তা ব্যতীত কিছু জানি না, একথা তিনি তিনবার বললেন। কাতাদা (রাহঃ) বলেন : আমার নিকট আযরা (রাহঃ) সাঈদ (রাহঃ) সূত্রে রিওয়ায়াত করেছে যে, তাঁকে বলা হয়েছিল যে, কুফা (শহর) শীত প্রধান এলাকা। তাই তার জন্য প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করা কষ্টকর। তিনি বললেনঃ যদি আল্লাহ্ চাইতেন তাহলে তাকে তার চাইতে কঠিনতর অবস্থার সম্মুখীন করতেন।
626 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ بْنُ نَاصِحٍ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي حَسَّانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ: أَنَّ امْرَأَةً، أَتَتِ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِكِتَابٍ , بَعْدَمَا ذَهَبَ بَصَرُهُ فَدَفَعَهُ إِلَى ابْنِهِ فَتَتَرْتَرَ فِيهِ , فَدَفَعَهُ إِلَيَّ فَقَرَأْتُهُ , فَقَالَ لِابْنِهِ: أَلَا هَذْرَمْتَهُ كَمَا هَذْرَمَهُ الْغُلَامُ الْمِصْرِيُّ؟ . فَإِذَا فِيهِ: بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ , مِنِ امْرَأَةٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ , أَنَّهَا اسْتُحِيضَتْ , فَاسْتَفْتَتْ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَأَمَرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ وَتُصَلِّيَ فَقَالَ: «اللهُمَّ لَا أَعْلَمُ الْقَوْلَ إِلَّا مَا قَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ» ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. قَالَ قَتَادَةُ: وَأَخْبَرَنِي عُزْرَةُ , عَنْ سَعِيدٍ أَنَّهُ قِيلَ لَهُ: إِنَّ الْكُوفَةَ أَرْضٌ بَارِدَةٌ , وَأَنَّهُ يَشُقُّ عَلَيْهَا الْغُسْلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , فَقَالَ: «لَوْ شَاءَ اللهُ لَابْتَلَاهَا بِمَا هُوَ أَشَدُّ مِنْهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৭
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬২৭। সুলায়মান ইব্ন শু'আইব (রাহঃ).... সাঈদ ইব্ন জুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, কুফার অধিবাসী জনৈকা মহিলা ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হন। তিনি আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ), আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ্ ইবন জুবাইর (রাযিঃ)-কে লিখলেন এবং তাঁদেরকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি একজন মুসলিম নারী, বিপদগ্রস্ত, দু'বছর পর্যন্ত ইস্তিহাযায় আক্রান্ত। এ বিষয়ে আপনাদের অভিমত কি? এ পত্র সর্ব প্রথম আব্দুল্লাহ্ ইবন জুবাইর (রাযিঃ)-এর হাতে আসে। তিনি বললেন, আমি শুধুমাত্র তার জন্য এতটুকু জানি যে, সে হায়যের নির্ধারিত দিনগুলো ছেড়ে দিয়ে (অবশিষ্ট দিনগুলোর জন্য) প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করবে এবং সালাত আদায় করবে। পরে তাঁরা সকলেই এর অনুসরণ করেন।
627 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ: أَنَّ امْرَأَةً، مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ اسْتُحِيضَتْ , فَكَتَبَتْ إِلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ , وَعَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ , وَعَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ , تُنَاشِدُهُمُ اللهَ وَتَقُولُ: إِنِّي امْرَأَةٌ مُسْلِمَةٌ أَصَابَنِي بَلَاءٌ , إِنَّمَا اسْتُحِضْتُ مُنْذُ سَنَتَيْنِ , فَمَا تَرَوْنَ فِي ذَلِكَ؟ فَكَانَ أَوَّلُ مَنْ وَقَعَ الْكِتَابُ فِي يَدِهِ , ابْنُ الزُّبَيْرِ فَقَالَ: «مَا أَعْلَمُ لَهَا إِلَّا أَنْ تَدَعَ قُرُوءَهَا , وَتَغْتَسِلُ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ وَتُصَلِّي , فَتَتَابَعُوا عَلَى ذَلِكَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৮
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬২৮। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ).... সাঈদ ইবন জুবাইর (রাহঃ) বিশেষ করে ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন : তার হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোতে সালাত ছেড়ে দিবে।
দ্বিতীয় অভিমত
প্রথমোক্ত মত পোষণকারী (আলিম)গণ এই সমস্ত হাদীসের ভিত্তিতে ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলার জন্য প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করা সাব্যস্ত করেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেন, তার উপর যুহর এবং আসরের জন্য একই গোসল করা ওয়াজিব। এতে যুহরের সালাতকে শেষ ওয়াক্তে এবং আসরের সালাতকে প্রথম ওয়াক্তে আদায় করবে। মাগরিব এবং ইশার জন্য এক গোসল করবে এবং এতে উভয় সালাত আদায় করবে। প্রথমটিকে বিলম্বে আর দ্বিতীয়াটিকে তাড়াতাড়ি আদায় করবে। যেমনটি যুহর ও আসরে করেছে। আর ফজরের (সালাতের) জন্য পৃথক গোসল করবে। তাঁরা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস সমূহ দ্বারা দলীল পেশ করেছেন :
দ্বিতীয় অভিমত
প্রথমোক্ত মত পোষণকারী (আলিম)গণ এই সমস্ত হাদীসের ভিত্তিতে ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলার জন্য প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করা সাব্যস্ত করেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেন, তার উপর যুহর এবং আসরের জন্য একই গোসল করা ওয়াজিব। এতে যুহরের সালাতকে শেষ ওয়াক্তে এবং আসরের সালাতকে প্রথম ওয়াক্তে আদায় করবে। মাগরিব এবং ইশার জন্য এক গোসল করবে এবং এতে উভয় সালাত আদায় করবে। প্রথমটিকে বিলম্বে আর দ্বিতীয়াটিকে তাড়াতাড়ি আদায় করবে। যেমনটি যুহর ও আসরে করেছে। আর ফজরের (সালাতের) জন্য পৃথক গোসল করবে। তাঁরা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস সমূহ দ্বারা দলীল পেশ করেছেন :
628 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ خَاصَّةً مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: تَدَعُ الصَّلَاةَ , أَيَّامَ حَيْضِهَا. فَجَعَلَ أَهْلُ هَذِهِ الْمَقَالَةِ عَلَى الْمُسْتَحَاضَةِ , أَنْ تَغْتَسِلَ لِكُلِّ صَلَاةٍ لَمَا ذَكَرْنَاهُ مِنْ هَذِهِ الْآثَارِ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: الَّذِي يَجِبُ عَلَيْهَا أَنْ تَغْتَسِلَ لِلظُّهْرِ وَالْعَصْرِ غُسْلًا وَاحِدًا تُصَلِّي بِهِ الظُّهْرَ فِي آخِرِ وَقْتِهَا وَالْعَصْرَ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا , وَتَغْتَسِلُ لِلْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ غُسْلًا وَاحِدًا , تُصَلِّيهِمَا بِهِ , فَتُؤَخِّرُ الْأُولَى مِنْهُمَا , وَتُقَدِّمُ الْآخِرَةَ , كَمَا فَعَلَتْ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ , وَتَغْتَسِلُ لِلصُّبْحِ غُسْلًا. وَذَهَبُوا فِي ذَلِكَ إِلَى مَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৩১
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬২৯ - ৬৩১। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ............ যায়নাব বিনত জাহাশ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) -কে জিজ্ঞাসা করেছেন যে, তিনি ইস্তিহাযা আক্রান্ত (তাঁর জন্য পবিত্রতা অর্জনের বিধান কি ?)। তিনি বললেনঃ সে তার হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোতে বসে থাকবে (সালাত আদায় করবে না)। তারপর গোসল করে যুহরের সালাতকে বিলম্বে পড়বে এবং আসরকে তাড়াতাড়ি পড়বে। আবার গোসল করে সালাত আদায় করবে, মাগরিবকে বিলম্বে এবং ইশাকে তাড়াতাড়ি পড়বে। আর ফজরের জন্য (পৃথক) গোসল করবে।
ইউনুস (রাহঃ).... আব্দুর রহমান ইবন কাসিম (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, জনৈকা মুসলিম মহিলা ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হন। তখন লোকেরা নবী (ﷺ) কে (এ বিষয়ে) জিজ্ঞাসা করে। এরপর তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি (এটাও বলেছেন : “তার হায়যের নির্ধারিত দিনগুলো পরিমাণ" (সালাত ছেড়ে দিবে)।
ইবন মারযূক (রাহঃ)..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, জনৈকা মহিলা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর যুগে ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হয় এবং তাকে নির্দেশ দেয়া হয়। তারপর অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তাতে এ বাক্যটি উল্লেখ করেন নি যে, "তার হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দিবে”। ('হায়য' এবং 'আকরা' কোন শব্দ-ই বলেন নি।)
ইউনুস (রাহঃ).... আব্দুর রহমান ইবন কাসিম (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, জনৈকা মুসলিম মহিলা ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হন। তখন লোকেরা নবী (ﷺ) কে (এ বিষয়ে) জিজ্ঞাসা করে। এরপর তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি (এটাও বলেছেন : “তার হায়যের নির্ধারিত দিনগুলো পরিমাণ" (সালাত ছেড়ে দিবে)।
ইবন মারযূক (রাহঃ)..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, জনৈকা মহিলা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর যুগে ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হয় এবং তাকে নির্দেশ দেয়া হয়। তারপর অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তাতে এ বাক্যটি উল্লেখ করেন নি যে, "তার হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দিবে”। ('হায়য' এবং 'আকরা' কোন শব্দ-ই বলেন নি।)
629 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ قَالَ: أنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ , عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ قَالَ: " سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا مُسْتَحَاضَةٌ فَقَالَ: «لِتَجْلِسْ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا , ثُمَّ تَغْتَسِلْ , وَتُؤَخِّرِ الظُّهْرَ وَتُعَجِّلِ الْعَصْرَ , وَتَغْتَسِلْ وَتُصَلِّي , وَتُؤَخِّرِ الْمَغْرِبَ , وَتُعَجِّلِ الْعِشَاءَ , وَتَغْتَسِلْ وَتُصَلِّي , وَتَغْتَسِلْ لِلْفَجْرِ»
630 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، " أَنَّ امْرَأَةً، مِنَ الْمُسْلِمِينَ اسْتُحِيضَتْ , فَسَأَلُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: قَدْرَ أَيَّامِهَا
631 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ امْرَأَةً، اسْتُحِيضَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأُمِرَتْ ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ تَرْكَهَا الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا , وَلَا أَيَّامَ حَيْضِهَا
630 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، " أَنَّ امْرَأَةً، مِنَ الْمُسْلِمِينَ اسْتُحِيضَتْ , فَسَأَلُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: قَدْرَ أَيَّامِهَا
631 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ امْرَأَةً، اسْتُحِيضَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأُمِرَتْ ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ تَرْكَهَا الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا , وَلَا أَيَّامَ حَيْضِهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৩২
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬৩২। ফাহাদ (রাহঃ).... আসমা বিনত উমাইস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল। ফাতিমা বিনত আবী হুবাইশ (রাযিঃ) এত এত দিন থেকে ইস্তহাযায় আক্রান্ত, তিনি সালাত আদায় করেন নি। তিনি বললেনঃ সুবহানাল্লাহ্! শয়তানের পক্ষ থেকে (সংঘটিত)। তার জন্য উচিত বড় গামলায় বসে যাওয়া, যখন পানির উপর হরিদ্রাভ রং দেখবে তখন যুহর ও আসরের জন্য একবার গোসল করবে, তারপর মাগরিব ও ইশা'র জন্য একবার গোসল করবে এবং এর মাঝামাঝি উযূ করবে।
বিশ্লেষণ
তাঁর উক্তি-“এর মাঝামাঝি উযূ করবে"- বস্তুত এতে সম্ভাবনা আছে যে, যদি উযূ বিনষ্টকারী কোন হাদাস পাওয়া যায় তাহলে উযূ করবে এবং এটারও সম্ভাবনা আছে যে ফজরের জন্য উযূ করবে। কিন্তু এতে শু’বা (রাহঃ) ও সুফইয়ান (রাহঃ)-এর পূর্ববর্তী হাদীসের পরিপন্থী কোন দলীল নেই। তাঁরা বলেন, এই সমস্ত হাদীস যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত, যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি যে, যুহর ও আসরকে এক গোসলের সাথে একত্রিত করবে এবং মাগরিব ও ইশাকে এক গোসলের সাথে একত্রিত করবে, আর ফজরের জন্য পৃথক গোসল করবে। এটাই আমরা গ্রহণ করি। বস্তুত এটা প্রথমোক্ত সেই সমস্ত হাদীস অপেক্ষা উত্তম যাতে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেহেতু এরূপ হাদীসও বর্ণিত আছে, যাতে বুঝা যায় যে, এটা ওইগুলোর জন্য রহিতকারী। তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ উল্লেখ করেছেন :
বিশ্লেষণ
তাঁর উক্তি-“এর মাঝামাঝি উযূ করবে"- বস্তুত এতে সম্ভাবনা আছে যে, যদি উযূ বিনষ্টকারী কোন হাদাস পাওয়া যায় তাহলে উযূ করবে এবং এটারও সম্ভাবনা আছে যে ফজরের জন্য উযূ করবে। কিন্তু এতে শু’বা (রাহঃ) ও সুফইয়ান (রাহঃ)-এর পূর্ববর্তী হাদীসের পরিপন্থী কোন দলীল নেই। তাঁরা বলেন, এই সমস্ত হাদীস যা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত, যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি যে, যুহর ও আসরকে এক গোসলের সাথে একত্রিত করবে এবং মাগরিব ও ইশাকে এক গোসলের সাথে একত্রিত করবে, আর ফজরের জন্য পৃথক গোসল করবে। এটাই আমরা গ্রহণ করি। বস্তুত এটা প্রথমোক্ত সেই সমস্ত হাদীস অপেক্ষা উত্তম যাতে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেহেতু এরূপ হাদীসও বর্ণিত আছে, যাতে বুঝা যায় যে, এটা ওইগুলোর জন্য রহিতকারী। তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ উল্লেখ করেছেন :
632 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ، قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ ابْنَةِ عُمَيْسٍ، قَالَتْ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ , إِنَّ فَاطِمَةَ بِنْتِ أَبِي جَحْشٍ اسْتُحِيضَتْ مُنْذُ كَذَا كَذَا , فَلَمْ تُصَلِّ. فَقَالَ: سُبْحَانَ اللهِ , هَذَا مِنَ الشَّيْطَانِ , لِتَجْلِسْ فِي مِرْكَنٍ فَإِذَا رَأَتْ صُفْرَةً فَوْقَ الْمَاءِ , فَلْتَغْتَسِلْ لِلظُّهْرِ وَالْعَصْرِ غُسْلًا وَاحِدًا , ثُمَّ تَغْتَسِلْ لِلْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ غُسْلًا وَاحِدًا , وَتَتَوَضَّأْ فِيمَا بَيْنَ ذَلِكَ " فَقَوْلُهُ: «وَتَتَوَضَّأْ فِيمَا بَيْنَ ذَلِكَ» يَحْتَمِلُ أَنْ تَتَوَضَّأَ لِمَا يَكُونُ مِنْهَا مِنَ الْأَحْدَاثِ الَّتِي تُوجِبُ نَقْضَ الطَّهَارَاتِ , وَيَحْتَمِلُ أَنْ تَتَوَضَّأَ لِلصُّبْحِ. فَلَيْسَ فِيهِ دَلِيلٌ عَلَى خِلَافِ مَا تَقَدَّمَهُ , مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ وَسُفْيَانَ. قَالُوا: فَهَذِهِ الْآثَارُ قَدْ رُوِيَتْ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا ذَكَرْنَا , فِي جَمْعِ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ بِغُسْلٍ وَاحِدٍ , وَفِي جَمْعِ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ , بِغُسْلٍ وَاحِدٍ , وَإِفْرَادِ الصُّبْحِ بِغُسْلٍ وَاحِدٍ. فَبِهَذَا نَأْخُذُ , وَهُوَ أَوْلَى مِنَ الْآثَارِ الْأُوَلِ , الَّتِي فِيهَا ذِكْرُ الْأَمْرِ بِالْغُسْلِ لِكُلِّ صَلَاةٍ لِأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ هَذَا نَاسِخٌ لِذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৬৩৩
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬৩৩। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ).... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, সাহলা বিত সুহাইল ইবন আমর (রাযিঃ) ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসলের নির্দেশ দিতেন। কিন্তু যখন তা তার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ল তখন তিনি তাঁকে নির্দেশ দিলেন যে, যুহর ও আসরকে এক গোসলের সাথে একত্রিত করবে, মাগরিব ও ইশাকে এক গোসলের সাথে এবং ফজরের জন্য পৃথক গোসল করবে।
তাঁরা বলেনঃ এটা প্রমাণ বহন করে যে, এই বিধান প্রথমোক্ত হাদীস সমূহে উল্লিখিত বিধানের জন্য রহিতকারী। যেহেতু তিনি এই নির্দেশ পরবর্তীতে প্রদান করেছেন। সুতরাং প্রথমোক্ত হাদীস সমূহ গ্রহণ করা অপেক্ষা পরবর্তী বিধান গ্রহণ করা উত্তম। তাঁরা বলেন: এ বিষয়টি আলী (রাযিঃ) ও ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও বর্ণিত আছে। তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ উল্লেখ করেছেনঃ
তাঁরা বলেনঃ এটা প্রমাণ বহন করে যে, এই বিধান প্রথমোক্ত হাদীস সমূহে উল্লিখিত বিধানের জন্য রহিতকারী। যেহেতু তিনি এই নির্দেশ পরবর্তীতে প্রদান করেছেন। সুতরাং প্রথমোক্ত হাদীস সমূহ গ্রহণ করা অপেক্ষা পরবর্তী বিধান গ্রহণ করা উত্তম। তাঁরা বলেন: এ বিষয়টি আলী (রাযিঃ) ও ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও বর্ণিত আছে। তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ উল্লেখ করেছেনঃ
633 - فَذَكَرُوا مَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: «إِنَّمَا هِيَ سَهْلَةُ ابْنَةُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو , اسْتُحِيضَتْ , وَأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْمُرُهَا بِالْغُسْلِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ فَلَمَّا أَجْهَدَهَا ذَلِكَ أَمَرَهَا أَنْ تَجْمَعَ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ فِي غُسْلٍ وَاحِدٍ , وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ فِي غُسْلٍ وَاحِدٍ , وَتَغْتَسِلَ لِلصُّبْحِ» قَالُوا: فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ هَذَا الْحُكْمَ نَاسِخٌ لِلْحُكْمِ الَّذِي فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ , لِأَنَّهُ إِنَّمَا أَمَرَ بِهِ بَعْدَ ذَلِكَ , فَصَارَ الْقَوْلُ بِهِ أَوْلَى مِنَ الْقَوْلِ بِالْآثَارِ الْأُوَلِ. قَالُوا: وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا , عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৩৪
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬৩৪। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ).... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার তাঁর নিকট জনৈকা ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলা উপস্থিত হয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন। তিনি তাকে ফাতওয়া দিয়ে বললেন, অন্যকে জিজ্ঞাসা কর। রাবী বলেন, তারপর সেই মহিলা ইবন উমার (রাযিঃ) এর নিকট এসে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি তাকে বললেন, যতক্ষণ পর্যন্ত রক্ত দেখবে সালাত আদায় করবে না। এরপর মহিলাটি ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর নিকট প্রত্যাবর্তন করলেন এবং তাকে বিষয়টি বললেন। তিনি বললেন, আল্লাহ্ তাঁর উপর রহমত করুন। তিনি তো তোমাকে ‘কুফরী পর্যন্ত পৌছে দেয়ার উপক্রম করে ফেলেছেন। রাবী বলেন, তারপর সে আলী ইবন আবী তালিব (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করল, তিনি বললেন, এটা শয়তানের পক্ষ থেকে লাথি অথবা বলেছেন, গর্ভাশয়ে আঘাত। প্রত্যেক দুই সালাতের জন্য একটি বার গোসল করে সালাত আদায় করবে। পরবর্তীতে সে ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করল। তিনি বললেন, আমি তোমার জন্য সেটাই (বিধান) পাচ্ছি যা আলী (রাযিঃ) ব্যক্ত করেছেন।
634 - فَذَكَرُوا مَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا أَبُو مَعْمَرٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَارِثِ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: " جَاءَتْهُ امْرَأَةٌ مُسْتَحَاضَةٌ تَسْأَلُهُ , فَلَمْ يُفْتِهَا , وَقَالَ لَهَا: سَلِي غَيْرِي. قَالَ: فَأَتَتِ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَسَأَلَتْهُ , فَقَالَ لَهَا: لَا تُصَلِّي مَا رَأَيْتُ الدَّمَ , فَرَجَعَتْ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَأَخْبَرَتْهُ , فَقَالَ رَحِمَهُ اللهُ: إِنْ كَادَ لَيُكَفِّرُكَ. قَالَ: ثُمَّ سَأَلْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَقَالَ: تِلْكَ رِكْزَةٌ مِنَ الشَّيْطَانِ , أَوْ قُرْحَةٌ فِي الرَّحِمِ , اغْتَسِلِي عِنْدَ كُلِّ صَلَاتَيْنِ مَرَّةً , وَصَلِّ. قَالَ: فَلَقِيتُ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بَعْدُ , فَسَأَلْتُهُ , فَقَالَ: مَا أَجِدُ لَكَ إِلَّا مَا قَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৩৫
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬৩৫। ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ)..... মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার ইন আব্বাস (রাযিঃ)-এর নিকট বলা হল যে, আমাদের এলাকা শীত প্রধান এলাকা। তিনি বললেন, যুহরের সালাতকে পিছিয়ে এবং আসরের সালাত এগিয়ে নিয়ে উভয়ের জন্য একবার গোসল করবে, মাগরিবের সালাতকে পিছিয়ে এবং ইশার সালাতকে কিছুটা এগিয়ে নিয়ে উভয়ের জন্য একবার গোসল করবে, আর ফজরের সালাতের জন্য পৃথক গোসল করবে।
সুতরাং তাঁরা এই সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন। পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন : ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলা তার হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দিবে। তারপর প্রত্যেক সালাতের গোসল এবং উযূ করে সালাত আদায় করবে। তাঁরা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহের মর্ম গ্রহণ করেছেন।
সুতরাং তাঁরা এই সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন। পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন : ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলা তার হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দিবে। তারপর প্রত্যেক সালাতের গোসল এবং উযূ করে সালাত আদায় করবে। তাঁরা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহের মর্ম গ্রহণ করেছেন।
635 - حَدَّثَنَا ابْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: قِيلَ لِابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: إِنَّ أَرْضَنَا أَرْضٌ بَارِدَةٌ. قَالَ: " تُؤَخِّرُ الظُّهْرَ , وَتُعَجِّلُ الْعَصْرَ , وَتَغْتَسِلُ لَهُمَا غُسْلًا وَاحِدًا , وَتُؤَخِّرُ الْمَغْرِبَ , وَتُعَجِّلُ الْعِشَاءَ , وَتَغْتَسِلُ لَهُمَا غُسْلًا , وَتَغْتَسِلُ لِلْفَجْرِ غُسْلًا فَذَهَبَ هَؤُلَاءِ إِلَى هَذِهِ الْآثَارِ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: تَدَعُ الْمُسْتَحَاضَةُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا , ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ وَتُصَلِّي
وَذَهَبُوا فِي ذَلِكَ إِلَى
وَذَهَبُوا فِي ذَلِكَ إِلَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৩৬
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬৩৬। মুহাম্মাদ ইব্ন আমর ইব্ন ইউনুস সূসী (রাহঃ).... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, ফাতিমা বিনত আবী হুবায়শ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহ্ রাসূল! আমি ইস্তিহাযায় আক্রান্ত, ফলে আমার রক্ত বন্ধ হয় না। তিনি তাকে তার হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। তারপর সে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল এবং উযূ করে সালাত আদায় করবে। যদিও রক্তের ফোটা চাটাইয়ের উপরে নির্গত হয়।
636 - مَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ يُونُسَ السُّوسِيُّ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عِيسَى قَالَ: ثنا الْأَعْمَشُ , عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ أَتَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللهِ ; إِنِّي أُسْتَحَاضُ فَلَا يَنْقَطِعُ عَنِّي الدَّمُ , فَأَمَرَهَا أَنْ تَدَعَ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلَ وَتَتَوَضَّأَ لِكُلِّ صَلَاةٍ , وَتُصَلِّيَ وَإِنْ قَطَرَ الدَّمُ عَلَى الْحَصِيرِ قَطْرًا "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৩৮
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬৩৭। সালিহ ইব্ন আব্দির রহমান (রাহঃ) ও ফাহাদ (রাহঃ).... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, ফাতিমা বিনত আবী হুবায়শ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর নিকট এসে বললেন, আমার একমাস, দুইমাস হায়য (রক্ত) নির্গত হতে থাকে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন: এটাতো হায়য নয়, এতো তোমার শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়যের নির্ধারিত দিনগুলো আসে তখন সে ক'দিন সালাত ছেড়ে দিবে আর হায়যের দিনগুলো চলে গেলে তাহারাত অর্জনের জন্য গোসল করবে। তারপর প্রত্যেক সালাতের সময় উযূ করবে।
637 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، قَالَ: ثنا أَبُو حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللهُ ح
638 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا أَبُو حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللهُ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ، أَتَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: إِنِّي أَحِيضُ الشَّهْرَ وَالشَّهْرَيْنِ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ ذَلِكَ لَيْسَ بِحَيْضٍ وَإِنَّمَا ذَلِكَ عِرْقٌ مِنْ دَمِكَ ; فَإِذَا أَقْبَلَ الْحَيْضُ فَدَعِي الصَّلَاةَ وَإِذَا أَدْبَرَ فَاغْتَسِلِي لِطُهْرِكِ ; ثُمَّ تَوَضَّئِي عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ»
638 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا أَبُو حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللهُ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ، أَتَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: إِنِّي أَحِيضُ الشَّهْرَ وَالشَّهْرَيْنِ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ ذَلِكَ لَيْسَ بِحَيْضٍ وَإِنَّمَا ذَلِكَ عِرْقٌ مِنْ دَمِكَ ; فَإِذَا أَقْبَلَ الْحَيْضُ فَدَعِي الصَّلَاةَ وَإِذَا أَدْبَرَ فَاغْتَسِلِي لِطُهْرِكِ ; ثُمَّ تَوَضَّئِي عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪১
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬৩৯-৬৪১। আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) ও ফাহাদ (রাহঃ)..... আদী ইবন সাবিত (রাযিঃ) তাঁর পিতা-পিতামহ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলা সম্পর্কে বলেছেন : সে তার হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দিবে। সে দিনগুলো অতিক্রান্ত হওয়ার পর সে গোসল করবে এবং প্রত্যেক সালাতের সময় উযূ করবে আর যথারীতি সিয়াম ও সালাত আদায় করতে থাকবে।
তাঁরা বলেন, আলী (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীস উল্লেখ করেছেন :
ফাহাদ (রাহঃ) ....... আদী ইবন সাবিত (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে তিনি আলী (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। অর্থাৎ সেই হাদীসের অনুরূপ, যা তিনি তাঁর পিতা-পিতামহ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন, আর আমরা তা এর পূর্বে উল্লেখ করেছি।
তিনি বলেন, যা কিছু আমরা এই অভিমত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং আলী (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি, সেগুলোর বিরুদ্ধে জনৈক প্রশ্ন উত্থাপনকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেছে যে, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর হাদীস, যা তিনি হিশাম (রাহঃ) সূত্রে উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তা বিশুদ্ধ নয়। যেহেতু হাদীসের হাফিযগণ হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে এটাকে অন্যভাবে রিওয়ায়াত করেছেন। তাঁরা নিম্নরূপ উল্লেখ করেছেন :
তাঁরা বলেন, আলী (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীস উল্লেখ করেছেন :
ফাহাদ (রাহঃ) ....... আদী ইবন সাবিত (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে তিনি আলী (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। অর্থাৎ সেই হাদীসের অনুরূপ, যা তিনি তাঁর পিতা-পিতামহ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন, আর আমরা তা এর পূর্বে উল্লেখ করেছি।
তিনি বলেন, যা কিছু আমরা এই অভিমত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং আলী (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি, সেগুলোর বিরুদ্ধে জনৈক প্রশ্ন উত্থাপনকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেছে যে, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর হাদীস, যা তিনি হিশাম (রাহঃ) সূত্রে উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তা বিশুদ্ধ নয়। যেহেতু হাদীসের হাফিযগণ হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে এটাকে অন্যভাবে রিওয়ায়াত করেছেন। তাঁরা নিম্নরূপ উল্লেখ করেছেন :
639 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ: قَرَأْتُ عَلَى شَرِيكٍ عَنْ أَبِي الْيَقِظَانِ، ح
640 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْأَصْبَهَانِيِّ، قَالَ: أنا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي الْيَقِظَانِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْمُسْتَحَاضَةُ تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ حَيْضِهَا ; ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ وَتَصُومُ وَتُصَلِّي» قَالُوا: وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِثْلُ ذَلِكَ فَذَكَرُوا
641 - مَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: أنا شَرِيكٌ , عَنْ أَبِي الْيَقِظَانِ , عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِثْلَهُ يَعْنِي مِثْلَ حَدِيثِهِ عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي الْفَصْلِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا. قَالَ: فِيمَا رَوَيْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ هَذَا الْقَوْلِ. فَعَارَضَهُمْ مُعَارِضٌ فَقَالَ: أَمَّا حَدِيثُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى الَّذِي رَوَاهُ عَنْ هِشَامٍ ; عَنْ عُرْوَةَ فَخَطَأٌ. وَذَلِكَ أَنَّ الْحُفَّاظَ ; عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ رَوَوْهُ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ
640 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْأَصْبَهَانِيِّ، قَالَ: أنا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي الْيَقِظَانِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْمُسْتَحَاضَةُ تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ حَيْضِهَا ; ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ وَتَصُومُ وَتُصَلِّي» قَالُوا: وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِثْلُ ذَلِكَ فَذَكَرُوا
641 - مَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: أنا شَرِيكٌ , عَنْ أَبِي الْيَقِظَانِ , عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِثْلَهُ يَعْنِي مِثْلَ حَدِيثِهِ عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي الْفَصْلِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا. قَالَ: فِيمَا رَوَيْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ هَذَا الْقَوْلِ. فَعَارَضَهُمْ مُعَارِضٌ فَقَالَ: أَمَّا حَدِيثُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى الَّذِي رَوَاهُ عَنْ هِشَامٍ ; عَنْ عُرْوَةَ فَخَطَأٌ. وَذَلِكَ أَنَّ الْحُفَّاظَ ; عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ رَوَوْهُ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৪
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬৪২-৬৪৪। ইউনুস (রাহঃ)...... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার ফাতিমা বিনত আবী হুবায়শ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর দরবারে এলেন। তিনি ছিলেন ইস্তিহাযায় আক্রান্ত একজন মহিলা। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কসম! আমি তো (রক্ত থেকে) পাক হইনা। তাই আমি সর্বদা সালাত ছেড়ে দিব কি? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, এ রক্ত হায়যের নয়, বরং শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়যের নির্ধারিত দিনগুলো আসে তখন সে ক'দিন সালাত ছেড়ে দিবে আর হায়যের দিনগুলোর পরিমাণ সময় চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নিবে এবং সালাত আদায় করবে।
মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন দাউদ (রাহঃ)...... আব্দুর রহমান ইবন আবু্য যিনাদ (রাহঃ) তাঁর পিতা এবং হিশাম (রাহঃ) উভয় থেকে, তিনি উরওয়া (রাহঃ) থেকে, তিনি আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
সুতরাং হাদীসের হাফিযগণ এ হাদীসটি হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে এভাবেই রিওয়ায়াত করেছেন, সেইরূপভাবে নয় যেমনটি ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) তা রিওয়ায়াত করেছেন। অতএব তাদের বিরুদ্ধে দলীল হল যে, হাম্মাদ ইবন সালামা (রাহঃ) এই হাদীসটি হিশাম (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন এবং এতে তিনি এরূপ একটি হরফ (শব্দ) বৃদ্ধি করেছেন, যা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অনুকূলে প্রমাণ বহন করে।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ)...... আয়েশা (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী থেকে সেই হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন, যা ইউনুস (রাহঃ) ইবন ওয়াহব (রাহঃ) থেকে এবং মুহাম্মাদ ইব্ন আলী (রাহঃ) সুলায়মান ইবন দাউদ (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, যখন হায়যের দিনগুলো পরিমাণ অতিক্রান্ত হয়ে যাবে তখন তোমার রক্ত ধুয়ে উযূ করে সালাত আদায় করবে। বস্তুত এ হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ তাঁকে গোসলের সঙ্গে সঙ্গে উযূরও নির্দেশ দিয়েছেন। আর এটা সেই উযূ, যা প্রত্যেক সালাতের জন্য করা হয়ে থাকে। এটাই হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর হাদীসের মর্ম। হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে হাম্মাদ ইবন সালামা রাবীর মর্যাদা (এমনকি) তোমাদের মতে মালিক (রাহঃ), লায়স (রাহঃ) ও আমর ইবন হারিস (রাহঃ) থেকে কোন অংশেই কম নয়।
সুতরাং আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি, তাতে রাসূলুল্লাহ্ তা থেকে বর্ণিত মুস্তাহায়া মহিলার রিওয়ায়াতের বিশুদ্ধতা সাব্যস্ত হল। সে তার ইস্তিহাযা অবস্থায় প্রত্যেক সালাতের সময় উযু করবে। তবে রাসূলুল্লাহ্ ফন্ট্র থেকে তাও বর্ণিত আছে, যা আমরা এই অনুচ্ছেদে ইতিপূর্বে আলোচনা করে এসেছি।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
আমরা এ বিষয়ে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রয়াস পাব, যেন অবহিত হতে পারি যে, এর কোন্টির উপর আমল করা শ্রেয়। সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত, যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে বর্ণনা করেছি যে, তিনি উর্দু হাবীবা বিনত জাহশ (রাযিঃ)-কে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসলের নির্দেশ দিয়েছেন। এটা এ হাদীসের দ্বারা রহিত হয়ে যাওয়াটা সাব্যস্ত হল, যা আমরা এই অনুচ্ছেদের দ্বিতীয় অংশে সাহলা বিনূত সুহাইল (রাযিঃ)-এর বিষয়ে ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)....... ওয়াহবী (রাহঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি। রাসূলুল্লাহ্ তাঁকে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসলের নির্দেশ দিতেন। যখন তার উপর এটা কষ্টকর হয়ে পড়ল তখন তাঁকে এক গোসলে যুহর ও আসরের সালাত আর এক গোসলে মাগরিব ও ইশা'র সালাত একত্রিত করার এবং ফজরের সালাতের জন্য পৃথক গোসল করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। অতএব তাঁর জন্য তাঁর এই নির্দেশ পূর্ববর্তী নির্দেশের জন্য রহিতকারী যে, প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে। আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বর্ণিত রিওয়ায়াতসমূহের মর্ম কিরূপ, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রয়াস পাব।
আমরা দেখতে পাচ্ছি আব্দুর রহমান ইবন কাসিম (রাহঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর যুগের ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলার বিষয়ে তাঁর পিতা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। এ বিষয়ে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা রয়েছে। ছাওরী (রাহঃ) তাঁর থেকে, তিনি তার পিতা থেকে, তিনি যয়নাব বিনত জাহশ (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, নবী তাকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাঁকে হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দেয়ার জন্য বলেছেন। ইবন উয়ায়না (রাহঃ) ও তা আব্দুর রহমান (রাহঃ) তাঁর পিতা সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি যয়নাব (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেননি। তবে তিনি হাদীসের শব্দগত অর্থে ছাওরী (রাহঃ)-এর সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। আর তা হচ্ছে সে বিশেষভাবে ইস্তিহাযার দিনগুলোতে প্রত্যেক দুই সালাতকে এক গোসলে একত্রিত করা। এতে সাব্যস্ত হল যে, তাঁর হায়যের দিনগুলো নির্ধারিত ছিল। তারপর শু'বা (রাহঃ) এলেন এবং তিনি তা আব্দুর রহমান ইবন কাসিম (রাহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে আয়েশা (রাযিঃ)-কে ছাওরী (রাহঃ) ও ইবন উয়ায়না (রাহঃ)-এর অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি 'হায়যের দিনগুলোর' উল্লেখ করেননি। এই বিষয়ে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (রাহঃ) তাঁর অনুসরণ করেছেন। যখন হাদীসটি এরূপই বর্ণিত যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি যে, এতে তাঁরা মত পার্থক্য করেছেন। তাই আমরা তা সুস্পষ্টরূপে প্রকাশ করে দিয়েছি, যেন আমরা অবহিত হতে পারি যে, বিরোধ কোত্থেকে এসেছে। 'হায়যের দিনগুলোর' উল্লেখ যা কাসিম (রাহঃ)...... যয়নাব (রাযিঃ)-এর হাদীসে উক্ত হয়েছে, তা কিন্তু তাঁর সূত্রে বর্ণিত আয়েশা (রাযিঃ) এর হাদীসে বিদ্যমান নেই। অতএব যয়নাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তাঁর রিওয়ায়াতকে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তাঁর রিওয়ায়াত থেকে ভিন্নতর সাব্যস্ত করা আবশ্যক। তাই যয়নাব (রাযিঃ)-এর হাদীস যাতে হায়যের উল্লেখ রয়েছে 'মুনকাতি-হাদীস', যা হাদীস বিশেষজ্ঞদের নিকট প্রমাণ্য নয়। যেহেতু তাঁরা ‘মুনকাতি’ হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন না। এ হাদীসটি মুনকাতি হয়েছে এজন্য যে, কাসিম (রাহঃ)
যয়নাব (রাযিঃ)-এর (সময়কাল) পান নাই; এমনকি সে যুগে তাঁর জন্মও হয়নি। কেননা উমার ইব্ন খাত্তাব (রাযিঃ)-এর (খিলাফতের) যুগে তাঁর ইন্তিকাল হয়ে গিয়েছে। নবী (ﷺ)-এর ওফাতের পরে তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে সর্বপ্রথম তাঁরই ইন্তিকাল হয়েছে। আয়েশা (রাযিঃ)-এর হাদীস, যাতে হায়যের উল্লেখ নেই; তাতে শুধু রয়েছে যে, নবী ইস্তিহাযা
আক্রান্ত মহিলাকে এক গোসলে দুই সালাত একত্রিত করার নির্দেশ দিয়েছেন, যা ওই হাদীসে
রয়েছে। কিন্তু এটা বর্ণনা করেননি যে, সে কোন্ মুস্তাহাযা মহিলা ছিল। বস্তুত আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ইস্তিহাযা কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমত, ইস্তিহাযা আক্রান্ত এমন মহিলা যার সব সময় রক্ত ঝরতে থাকে এবং তার হায়যের দিনগুলো নির্ধারিত। তার বিষয়ে বিধান হচ্ছে, হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দিবে এবং তারপর গোসল করবে ও উযূ করবে (ও সালাত আদায় করবে)। দ্বিতীয়ত, ইস্তিহাযা আক্রান্ত এমন মহিলা যার সব সময় রক্ত ঝরতে থাকে, রক্ত বন্ধ হয় না এবং হায়যের দিনগুলো তার অনির্ধারিত (অজানা)। তার বিধান হচ্ছে, প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে। যেহেতু তার জন্য এমন একটি সময় অতিবাহিত হয় না, যাতে সে হায়য বিশিষ্ট হওয়া বা হায়য থেকে পাক হওয়া বা ইস্তিহাযা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করে তাকে গোসল করার নির্দেশ দেয়া হবে। তৃতীয়ত, ইস্তিহাযা আক্রান্ত এমন মহিলা, যার হায়যের দিনগুলো অনির্ধারিত (অজানা) থাকে, রক্ত সব সময় ঝরে না এবং এক সময় বন্ধ হয়ে যায়। তারপর পুনরায় চলে আসে, সমস্ত দিন তার এ অবস্থা অব্যাহতভাবে চলতে থাকে। তাহলে সে লক্ষ্য করবে যে, রক্ত বন্ধ হওয়ার অবস্থায় যখন সে গোসল করবে তখন তার জন্য হায়য থেকে সেই পবিত্রতা লাভ হবে না, যার দ্বারা তার উপর গোসল ওয়াজিব হয়। সুতরাং সে এ অবস্থায় উক্ত গোসল দ্বারা যত সালাত ইচ্ছা করে আদায় করতে পারবে, যদি তা তার জন্য সম্ভব হয়।
অতএব আমরা যখন দেখতে পেলাম যে, মহিলা কখনও ওইসব বিভিন্ন অবস্থা থেকে কোন একটির সাথে ইস্তিহাযাগ্রস্ত হয় এবং প্রত্যেক অবস্থার বিধান ভিন্নতর অথচ মুস্তাহাযা শব্দটি সবগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে। আমরা কিন্তু আয়েশা (রাযিঃ)-এর ওই হাদীসে সেই মহিলার ব্যাপারে, যার সম্পর্কে নবী (ﷺ) উল্লেখিত নির্দেশ দিয়েছেন স্পষ্টত বর্ণনা পাইনা যে, সে কোন রকম মুস্তাহাযা ছিল। তাই আমাদের জন্য জায়িয হবে না আমরা কোন দলীল ব্যতীত একে কোন এক প্রকারের জন্য প্রয়োগ করা এবং অবশিষ্টকে ছেড়ে দেয়া। সুতরাং আমরা গভীরভাবে দেখেছি যে, এ সম্পর্কে আমরা কোন প্রমাণ পাই কিনা। আমরা নিম্নোক্ত হাদীসে দেখিঃ
মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন দাউদ (রাহঃ)...... আব্দুর রহমান ইবন আবু্য যিনাদ (রাহঃ) তাঁর পিতা এবং হিশাম (রাহঃ) উভয় থেকে, তিনি উরওয়া (রাহঃ) থেকে, তিনি আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
সুতরাং হাদীসের হাফিযগণ এ হাদীসটি হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে এভাবেই রিওয়ায়াত করেছেন, সেইরূপভাবে নয় যেমনটি ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) তা রিওয়ায়াত করেছেন। অতএব তাদের বিরুদ্ধে দলীল হল যে, হাম্মাদ ইবন সালামা (রাহঃ) এই হাদীসটি হিশাম (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন এবং এতে তিনি এরূপ একটি হরফ (শব্দ) বৃদ্ধি করেছেন, যা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অনুকূলে প্রমাণ বহন করে।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ)...... আয়েশা (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী থেকে সেই হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন, যা ইউনুস (রাহঃ) ইবন ওয়াহব (রাহঃ) থেকে এবং মুহাম্মাদ ইব্ন আলী (রাহঃ) সুলায়মান ইবন দাউদ (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, যখন হায়যের দিনগুলো পরিমাণ অতিক্রান্ত হয়ে যাবে তখন তোমার রক্ত ধুয়ে উযূ করে সালাত আদায় করবে। বস্তুত এ হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ তাঁকে গোসলের সঙ্গে সঙ্গে উযূরও নির্দেশ দিয়েছেন। আর এটা সেই উযূ, যা প্রত্যেক সালাতের জন্য করা হয়ে থাকে। এটাই হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর হাদীসের মর্ম। হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে হাম্মাদ ইবন সালামা রাবীর মর্যাদা (এমনকি) তোমাদের মতে মালিক (রাহঃ), লায়স (রাহঃ) ও আমর ইবন হারিস (রাহঃ) থেকে কোন অংশেই কম নয়।
সুতরাং আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি, তাতে রাসূলুল্লাহ্ তা থেকে বর্ণিত মুস্তাহায়া মহিলার রিওয়ায়াতের বিশুদ্ধতা সাব্যস্ত হল। সে তার ইস্তিহাযা অবস্থায় প্রত্যেক সালাতের সময় উযু করবে। তবে রাসূলুল্লাহ্ ফন্ট্র থেকে তাও বর্ণিত আছে, যা আমরা এই অনুচ্ছেদে ইতিপূর্বে আলোচনা করে এসেছি।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
আমরা এ বিষয়ে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রয়াস পাব, যেন অবহিত হতে পারি যে, এর কোন্টির উপর আমল করা শ্রেয়। সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত, যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে বর্ণনা করেছি যে, তিনি উর্দু হাবীবা বিনত জাহশ (রাযিঃ)-কে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসলের নির্দেশ দিয়েছেন। এটা এ হাদীসের দ্বারা রহিত হয়ে যাওয়াটা সাব্যস্ত হল, যা আমরা এই অনুচ্ছেদের দ্বিতীয় অংশে সাহলা বিনূত সুহাইল (রাযিঃ)-এর বিষয়ে ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)....... ওয়াহবী (রাহঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি। রাসূলুল্লাহ্ তাঁকে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসলের নির্দেশ দিতেন। যখন তার উপর এটা কষ্টকর হয়ে পড়ল তখন তাঁকে এক গোসলে যুহর ও আসরের সালাত আর এক গোসলে মাগরিব ও ইশা'র সালাত একত্রিত করার এবং ফজরের সালাতের জন্য পৃথক গোসল করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। অতএব তাঁর জন্য তাঁর এই নির্দেশ পূর্ববর্তী নির্দেশের জন্য রহিতকারী যে, প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে। আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বর্ণিত রিওয়ায়াতসমূহের মর্ম কিরূপ, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রয়াস পাব।
আমরা দেখতে পাচ্ছি আব্দুর রহমান ইবন কাসিম (রাহঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর যুগের ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলার বিষয়ে তাঁর পিতা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। এ বিষয়ে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা রয়েছে। ছাওরী (রাহঃ) তাঁর থেকে, তিনি তার পিতা থেকে, তিনি যয়নাব বিনত জাহশ (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, নবী তাকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাঁকে হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দেয়ার জন্য বলেছেন। ইবন উয়ায়না (রাহঃ) ও তা আব্দুর রহমান (রাহঃ) তাঁর পিতা সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি যয়নাব (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেননি। তবে তিনি হাদীসের শব্দগত অর্থে ছাওরী (রাহঃ)-এর সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। আর তা হচ্ছে সে বিশেষভাবে ইস্তিহাযার দিনগুলোতে প্রত্যেক দুই সালাতকে এক গোসলে একত্রিত করা। এতে সাব্যস্ত হল যে, তাঁর হায়যের দিনগুলো নির্ধারিত ছিল। তারপর শু'বা (রাহঃ) এলেন এবং তিনি তা আব্দুর রহমান ইবন কাসিম (রাহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে আয়েশা (রাযিঃ)-কে ছাওরী (রাহঃ) ও ইবন উয়ায়না (রাহঃ)-এর অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি 'হায়যের দিনগুলোর' উল্লেখ করেননি। এই বিষয়ে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (রাহঃ) তাঁর অনুসরণ করেছেন। যখন হাদীসটি এরূপই বর্ণিত যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি যে, এতে তাঁরা মত পার্থক্য করেছেন। তাই আমরা তা সুস্পষ্টরূপে প্রকাশ করে দিয়েছি, যেন আমরা অবহিত হতে পারি যে, বিরোধ কোত্থেকে এসেছে। 'হায়যের দিনগুলোর' উল্লেখ যা কাসিম (রাহঃ)...... যয়নাব (রাযিঃ)-এর হাদীসে উক্ত হয়েছে, তা কিন্তু তাঁর সূত্রে বর্ণিত আয়েশা (রাযিঃ) এর হাদীসে বিদ্যমান নেই। অতএব যয়নাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তাঁর রিওয়ায়াতকে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তাঁর রিওয়ায়াত থেকে ভিন্নতর সাব্যস্ত করা আবশ্যক। তাই যয়নাব (রাযিঃ)-এর হাদীস যাতে হায়যের উল্লেখ রয়েছে 'মুনকাতি-হাদীস', যা হাদীস বিশেষজ্ঞদের নিকট প্রমাণ্য নয়। যেহেতু তাঁরা ‘মুনকাতি’ হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন না। এ হাদীসটি মুনকাতি হয়েছে এজন্য যে, কাসিম (রাহঃ)
যয়নাব (রাযিঃ)-এর (সময়কাল) পান নাই; এমনকি সে যুগে তাঁর জন্মও হয়নি। কেননা উমার ইব্ন খাত্তাব (রাযিঃ)-এর (খিলাফতের) যুগে তাঁর ইন্তিকাল হয়ে গিয়েছে। নবী (ﷺ)-এর ওফাতের পরে তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে সর্বপ্রথম তাঁরই ইন্তিকাল হয়েছে। আয়েশা (রাযিঃ)-এর হাদীস, যাতে হায়যের উল্লেখ নেই; তাতে শুধু রয়েছে যে, নবী ইস্তিহাযা
আক্রান্ত মহিলাকে এক গোসলে দুই সালাত একত্রিত করার নির্দেশ দিয়েছেন, যা ওই হাদীসে
রয়েছে। কিন্তু এটা বর্ণনা করেননি যে, সে কোন্ মুস্তাহাযা মহিলা ছিল। বস্তুত আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ইস্তিহাযা কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমত, ইস্তিহাযা আক্রান্ত এমন মহিলা যার সব সময় রক্ত ঝরতে থাকে এবং তার হায়যের দিনগুলো নির্ধারিত। তার বিষয়ে বিধান হচ্ছে, হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দিবে এবং তারপর গোসল করবে ও উযূ করবে (ও সালাত আদায় করবে)। দ্বিতীয়ত, ইস্তিহাযা আক্রান্ত এমন মহিলা যার সব সময় রক্ত ঝরতে থাকে, রক্ত বন্ধ হয় না এবং হায়যের দিনগুলো তার অনির্ধারিত (অজানা)। তার বিধান হচ্ছে, প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে। যেহেতু তার জন্য এমন একটি সময় অতিবাহিত হয় না, যাতে সে হায়য বিশিষ্ট হওয়া বা হায়য থেকে পাক হওয়া বা ইস্তিহাযা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করে তাকে গোসল করার নির্দেশ দেয়া হবে। তৃতীয়ত, ইস্তিহাযা আক্রান্ত এমন মহিলা, যার হায়যের দিনগুলো অনির্ধারিত (অজানা) থাকে, রক্ত সব সময় ঝরে না এবং এক সময় বন্ধ হয়ে যায়। তারপর পুনরায় চলে আসে, সমস্ত দিন তার এ অবস্থা অব্যাহতভাবে চলতে থাকে। তাহলে সে লক্ষ্য করবে যে, রক্ত বন্ধ হওয়ার অবস্থায় যখন সে গোসল করবে তখন তার জন্য হায়য থেকে সেই পবিত্রতা লাভ হবে না, যার দ্বারা তার উপর গোসল ওয়াজিব হয়। সুতরাং সে এ অবস্থায় উক্ত গোসল দ্বারা যত সালাত ইচ্ছা করে আদায় করতে পারবে, যদি তা তার জন্য সম্ভব হয়।
অতএব আমরা যখন দেখতে পেলাম যে, মহিলা কখনও ওইসব বিভিন্ন অবস্থা থেকে কোন একটির সাথে ইস্তিহাযাগ্রস্ত হয় এবং প্রত্যেক অবস্থার বিধান ভিন্নতর অথচ মুস্তাহাযা শব্দটি সবগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে। আমরা কিন্তু আয়েশা (রাযিঃ)-এর ওই হাদীসে সেই মহিলার ব্যাপারে, যার সম্পর্কে নবী (ﷺ) উল্লেখিত নির্দেশ দিয়েছেন স্পষ্টত বর্ণনা পাইনা যে, সে কোন রকম মুস্তাহাযা ছিল। তাই আমাদের জন্য জায়িয হবে না আমরা কোন দলীল ব্যতীত একে কোন এক প্রকারের জন্য প্রয়োগ করা এবং অবশিষ্টকে ছেড়ে দেয়া। সুতরাং আমরা গভীরভাবে দেখেছি যে, এ সম্পর্কে আমরা কোন প্রমাণ পাই কিনা। আমরা নিম্নোক্ত হাদীসে দেখিঃ
642 - فَذَكَرُوا مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَمَالِكٌ، وَاللَّيْثُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُمْ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ فَاطِمَةَ ابْنَةَ أَبِي حُبَيْشٍ جَاءَتْ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَتْ تُسْتَحَاضُ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي وَاللهِ مَا أَطْهَرُ أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ أَبَدًا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا ذَلِكَ عِرْقٌ ; وَلَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ ; فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَاتْرُكِي الصَّلَاةَ , وَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا , فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي»
643 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ دَاوُدَ قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ أَبِيهِ وَهِشَامٍ , كِلَيْهِمَا عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ فَهَكَذَا رَوَى الْحُفَّاظُ , هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , لَا كَمَا رَوَاهُ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ , أَنَّ حَمَّادَ بْنَ سَلَمَةَ , قَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ , عَنْ هِشَامٍ , فَزَادَ فِيهِ حَرْفًا يَدُلُّ عَلَى مُوَافَقَتِهِ لِأَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى
644 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ حَدِيثِ يُونُسَ , عَنِ ابْنِ وَهْبٍ , وَحَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «فَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا , فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ , وَتَوَضَّئِي وَصَلِّي» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا بِالْوُضُوءِ مَعَ أَمْرِهِ إِيَّاهَا بِالْغُسْلِ , فَذَلِكَ الْوُضُوءُ , هُوَ الْوُضُوءُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , فَهَذَا مَعْنَى حَدِيثِ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى وَلَيْسَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عِنْدَكُمْ , فِي هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , بِدُونِ مَالِكٍ وَاللَّيْثِ وَعَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ. فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا صِحَّةُ الرِّوَايَةِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ فِي حَالِ اسْتِحَاضَتِهَا لِوَقْتِ كُلِّ صَلَاةٍ. إِلَّا أَنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لَهُ فِي هَذَا الْبَابِ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي ذَلِكَ , لِنَعْلَمَ مَا الَّذِي يَنْبَغِي أَنْ يُعْمَلَ بِهِ مِنْ ذَلِكَ؟ فَكَانَ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا رَوَيْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , «أَنَّهُ أَمَرَ أُمَّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِنْتَ جَحْشٍ بِالْغُسْلِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ» فَقَدْ ثَبَتَ نَسْخُ ذَلِكَ , بِمَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْفَصْلِ الثَّانِي مِنْ هَذَا الْبَابِ , فِي حَدِيثِ ابْنِ أَبِي دَاوُدَ عَنِ الْوَهْبِيِّ , فِي أَمْرِ سَهْلَةَ بِنْتِ سُهَيْلٍ , فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَمَرَهَا بِالْغُسْلِ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَلَمَّا أَجْهَدَهَا ذَلِكَ أَمَرَهَا أَنْ تَجْمَعَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ بِغُسْلٍ , وَبَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْغِشَاءِ , بِغُسْلٍ , وَتَغْتَسِلُ لِلصُّبْحِ غُسْلًا " فَكَانَ مَا أَمَرَهَا بِهِ مِنْ ذَلِكَ , نَاسِخًا لَمَا كَانَ أَمَرَهَا بِهِ قَبْلَ ذَلِكَ , مِنَ الْغُسْلِ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِيمَا رُوِيَ فِي ذَلِكَ , كَيْفَ مَعْنَاهُ؟ فَإِذَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ , قَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِيهِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ الَّتِي اسْتُحِيضَتْ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاخْتَلَفَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فِي ذَلِكَ. فَرَوَى الثَّوْرِيُّ عَنْهُ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا بِذَلِكَ , وَأَنْ تَدَعَ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا. وَرَوَاهُ ابْنُ عُيَيْنَةَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَيْضًا , عَنْ أَبِيهِ , وَلَمْ يَذْكُرْ زَيْنَبَ , إِلَّا أَنَّهُ وَافَقَ الثَّوْرِيَّ فِي مَعْنَى مَتْنِ الْحَدِيثِ , فَكَانَ ذَلِكَ عَلَى الْجَمْعِ بَيْنَ كُلِّ صَلَاتَيْنِ بِغُسْلٍ فِي أَيَّامِ الِاسْتِحَاضَةِ خَاصَّةً. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ أَيَّامَ الْحَيْضِ , كَانَ مَوْضِعُهَا مَعْرُوفًا. ثُمَّ جَاءَ شُعْبَةُ , فَرَوَاهُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا كَمَا رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ , وَابْنُ عُيَيْنَةَ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ أَيَّامَ الْأَقْرَاءِ وَتَابَعَهُ عَلَى ذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ. فَلَمَّا رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ كَمَا ذَكَرْنَا , فَاخْتَلَفُوا فِيهِ , كَشَفْنَاهُ , لِنَعْلَمَ مِنْ أَيْنَ جَاءَ الِاخْتِلَافُ , فَكَانَ ذِكْرُ أَيَّامِ الْأَقْرَاءِ فِي حَدِيثِ الْقَاسِمِ عَنْ زَيْنَبَ , وَلَيْسَ ذَلِكَ فِي حَدِيثِهِ , عَنْ عَائِشَةَ , فَوَجَبَ أَنْ يَجْعَلَ رِوَايَتَهُ عَنْ زَيْنَبَ , غَيْرَ رِوَايَتِهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَكَانَ حَدِيثُ زَيْنَبَ الَّذِي فِيهِ ذِكْرُ الْأَقْرَاءِ , حَدِيثًا مُنْقَطِعًا لَا يُثْبِتُهُ أَهْلُ الْخَبَرِ لِأَنَّهُمْ لَا يَحْتَجُّونَ بِالْمُنْقَطِعِ وَإِنَّمَا جَاءَ انْقِطَاعُهُ , لِأَنَّ زَيْنَبَ لَمْ يُدْرِكْهَا الْقَاسِمُ وَلَمْ يُولَدْ فِي زَمَنِهَا , لِأَنَّهَا تُوُفِّيَتْ فِي عَهْدِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَهِيَ أَوَّلُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفَاةً بَعْدَهُ. وَكَانَ حَدِيثُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا هُوَ الَّذِي لَيْسَ فِيهِ ذِكْرُ الْأَقْرَاءِ , إِنَّمَا فِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ الْمُسْتَحَاضَةَ أَنْ تَجْمَعَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ بِغُسْلٍ , عَلَى مَا فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ , وَلَمْ يُبَيِّنْ أَيُّ مُسْتَحَاضَةٍ هِيَ؟ فَقَدْ وَجَدْنَا اسْتِحَاضَةً قَدْ تَكُونُ عَلَى مَعَانِي مُخْتَلِفَةٍ. فَمِنْهَا أَنْ يَكُونَ مُسْتَحَاضَةٌ , قَدِ اسْتَمَرَّ بِهَا الدَّمُ , وَأَيَّامُ حَيْضِهَا مَعْرُوفَةٌ لَهَا. فَسَبِيلُهَا أَنْ تَدَعَ الصَّلَاةَ أَيَّامَ حَيْضِهَا , ثُمَّ تَغْتَسِلَ وَتَتَوَضَّأَ بَعْدَ ذَلِكَ. وَمِنْهَا أَنْ يَكُونَ مُسْتَحَاضَةٌ , لِأَنَّ دَمَهَا قَدِ اسْتَمَرَّ بِهَا , فَلَا يَنْقَطِعُ عَنْهَا , وَأَيَّامُ حَيْضِهَا قَدْ خَفِيَتْ عَلَيْهَا. فَسَبِيلُهَا أَنْ تَغْتَسِلَ لِكُلِّ صَلَاةٍ , لِأَنَّهَا لَا يَأْتِي عَلَيْهَا وَقْتٌ إِلَّا احْتَمَلَ أَنْ تَكُونَ فِيهِ حَائِضًا أَوْ طَاهِرًا مِنْ حَيْضٍ أَوْ مُسْتَحَاضَةً , فَيُحْتَاطُ لَهَا فَتُؤْمَرُ بِالْغُسْلِ. وَمِنْهَا أَنْ تَكُونَ مُسْتَحَاضَةٌ , قَدْ خَفِيَتْ عَلَيْهَا أَيَّامَ حَيْضِهَا , وَدَمُهَا غَيْرُ مُسْتَمِرٍّ بِهَا , يَنْقَطِعُ سَاعَةً , وَيَعُودُ بَعْدَ ذَلِكَ هَكَذَا هِيَ فِي أَيَّامِهَا كُلِّهَا. فَتَكُونُ قَدْ أَحَاطَ عِلْمُهَا أَنَّهَا فِي وَقْتِ انْقِطَاعِ دَمِهَا , إِذَا اغْتَسَلَتْ حِينَئِذٍ , غَيْرُ طَاهِرٍ مِنْ حَيْضٍ , طُهْرًا يُوجِبُ عَلَيْهَا غُسْلًا. فَلَهَا أَنْ تُصَلِّيَ فِي حَالِهَا تِلْكَ مَا أَرَادَتْ مِنَ الصَّلَوَاتِ بِذَلِكَ الْغُسْلِ إِنْ أَمْكَنَهَا ذَلِكَ. فَلَمَّا وَجَدْنَا الْمَرْأَةَ قَدْ تَكُونُ مُسْتَحَاضَةً بِكُلِّ وَجْهٍ مِنْ هَذِهِ الْوُجُوهِ , الَّتِي مَعَانِيهَا مُخْتَلِفَةٌ , وَأَحْكَامُهَا مُخْتَلِفَةٌ , وَاسْمُ الْمُسْتَحَاضَةِ يَجْمَعُهَا وَلَمْ نَجِدْ فِي حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا ذَلِكَ , بَيَانُ اسْتِحَاضَةِ تِلْكَ الْمَرْأَةِ الَّتِي أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهَا بِمَا ذَكَرْنَا , أَيُّ مُسْتَحَاضَةٍ هِيَ؟ لَمْ يَجُزْ لَنَا أَنْ نَحْمِلَ ذَلِكَ عَلَى وَجْهٍ مِنْ هَذِهِ الْوُجُوهِ , دُونَ غَيْرِهِ , إِلَّا بِدَلِيلٍ يَدُلُّنَا عَلَى ذَلِكَ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ هَلْ نَجِدُ فِيهِ دَلِيلًا؟ فَإِذَا
643 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ دَاوُدَ قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ أَبِيهِ وَهِشَامٍ , كِلَيْهِمَا عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ فَهَكَذَا رَوَى الْحُفَّاظُ , هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , لَا كَمَا رَوَاهُ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ , أَنَّ حَمَّادَ بْنَ سَلَمَةَ , قَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ , عَنْ هِشَامٍ , فَزَادَ فِيهِ حَرْفًا يَدُلُّ عَلَى مُوَافَقَتِهِ لِأَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى
644 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ حَدِيثِ يُونُسَ , عَنِ ابْنِ وَهْبٍ , وَحَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «فَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا , فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ , وَتَوَضَّئِي وَصَلِّي» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا بِالْوُضُوءِ مَعَ أَمْرِهِ إِيَّاهَا بِالْغُسْلِ , فَذَلِكَ الْوُضُوءُ , هُوَ الْوُضُوءُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , فَهَذَا مَعْنَى حَدِيثِ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ تَعَالَى وَلَيْسَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عِنْدَكُمْ , فِي هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , بِدُونِ مَالِكٍ وَاللَّيْثِ وَعَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ. فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا صِحَّةُ الرِّوَايَةِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ فِي حَالِ اسْتِحَاضَتِهَا لِوَقْتِ كُلِّ صَلَاةٍ. إِلَّا أَنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لَهُ فِي هَذَا الْبَابِ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي ذَلِكَ , لِنَعْلَمَ مَا الَّذِي يَنْبَغِي أَنْ يُعْمَلَ بِهِ مِنْ ذَلِكَ؟ فَكَانَ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا رَوَيْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , «أَنَّهُ أَمَرَ أُمَّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِنْتَ جَحْشٍ بِالْغُسْلِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ» فَقَدْ ثَبَتَ نَسْخُ ذَلِكَ , بِمَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْفَصْلِ الثَّانِي مِنْ هَذَا الْبَابِ , فِي حَدِيثِ ابْنِ أَبِي دَاوُدَ عَنِ الْوَهْبِيِّ , فِي أَمْرِ سَهْلَةَ بِنْتِ سُهَيْلٍ , فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَمَرَهَا بِالْغُسْلِ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَلَمَّا أَجْهَدَهَا ذَلِكَ أَمَرَهَا أَنْ تَجْمَعَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ بِغُسْلٍ , وَبَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْغِشَاءِ , بِغُسْلٍ , وَتَغْتَسِلُ لِلصُّبْحِ غُسْلًا " فَكَانَ مَا أَمَرَهَا بِهِ مِنْ ذَلِكَ , نَاسِخًا لَمَا كَانَ أَمَرَهَا بِهِ قَبْلَ ذَلِكَ , مِنَ الْغُسْلِ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِيمَا رُوِيَ فِي ذَلِكَ , كَيْفَ مَعْنَاهُ؟ فَإِذَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ , قَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِيهِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ الَّتِي اسْتُحِيضَتْ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاخْتَلَفَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فِي ذَلِكَ. فَرَوَى الثَّوْرِيُّ عَنْهُ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا بِذَلِكَ , وَأَنْ تَدَعَ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا. وَرَوَاهُ ابْنُ عُيَيْنَةَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَيْضًا , عَنْ أَبِيهِ , وَلَمْ يَذْكُرْ زَيْنَبَ , إِلَّا أَنَّهُ وَافَقَ الثَّوْرِيَّ فِي مَعْنَى مَتْنِ الْحَدِيثِ , فَكَانَ ذَلِكَ عَلَى الْجَمْعِ بَيْنَ كُلِّ صَلَاتَيْنِ بِغُسْلٍ فِي أَيَّامِ الِاسْتِحَاضَةِ خَاصَّةً. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ أَيَّامَ الْحَيْضِ , كَانَ مَوْضِعُهَا مَعْرُوفًا. ثُمَّ جَاءَ شُعْبَةُ , فَرَوَاهُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا كَمَا رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ , وَابْنُ عُيَيْنَةَ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ أَيَّامَ الْأَقْرَاءِ وَتَابَعَهُ عَلَى ذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ. فَلَمَّا رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ كَمَا ذَكَرْنَا , فَاخْتَلَفُوا فِيهِ , كَشَفْنَاهُ , لِنَعْلَمَ مِنْ أَيْنَ جَاءَ الِاخْتِلَافُ , فَكَانَ ذِكْرُ أَيَّامِ الْأَقْرَاءِ فِي حَدِيثِ الْقَاسِمِ عَنْ زَيْنَبَ , وَلَيْسَ ذَلِكَ فِي حَدِيثِهِ , عَنْ عَائِشَةَ , فَوَجَبَ أَنْ يَجْعَلَ رِوَايَتَهُ عَنْ زَيْنَبَ , غَيْرَ رِوَايَتِهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَكَانَ حَدِيثُ زَيْنَبَ الَّذِي فِيهِ ذِكْرُ الْأَقْرَاءِ , حَدِيثًا مُنْقَطِعًا لَا يُثْبِتُهُ أَهْلُ الْخَبَرِ لِأَنَّهُمْ لَا يَحْتَجُّونَ بِالْمُنْقَطِعِ وَإِنَّمَا جَاءَ انْقِطَاعُهُ , لِأَنَّ زَيْنَبَ لَمْ يُدْرِكْهَا الْقَاسِمُ وَلَمْ يُولَدْ فِي زَمَنِهَا , لِأَنَّهَا تُوُفِّيَتْ فِي عَهْدِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَهِيَ أَوَّلُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفَاةً بَعْدَهُ. وَكَانَ حَدِيثُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا هُوَ الَّذِي لَيْسَ فِيهِ ذِكْرُ الْأَقْرَاءِ , إِنَّمَا فِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ الْمُسْتَحَاضَةَ أَنْ تَجْمَعَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ بِغُسْلٍ , عَلَى مَا فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ , وَلَمْ يُبَيِّنْ أَيُّ مُسْتَحَاضَةٍ هِيَ؟ فَقَدْ وَجَدْنَا اسْتِحَاضَةً قَدْ تَكُونُ عَلَى مَعَانِي مُخْتَلِفَةٍ. فَمِنْهَا أَنْ يَكُونَ مُسْتَحَاضَةٌ , قَدِ اسْتَمَرَّ بِهَا الدَّمُ , وَأَيَّامُ حَيْضِهَا مَعْرُوفَةٌ لَهَا. فَسَبِيلُهَا أَنْ تَدَعَ الصَّلَاةَ أَيَّامَ حَيْضِهَا , ثُمَّ تَغْتَسِلَ وَتَتَوَضَّأَ بَعْدَ ذَلِكَ. وَمِنْهَا أَنْ يَكُونَ مُسْتَحَاضَةٌ , لِأَنَّ دَمَهَا قَدِ اسْتَمَرَّ بِهَا , فَلَا يَنْقَطِعُ عَنْهَا , وَأَيَّامُ حَيْضِهَا قَدْ خَفِيَتْ عَلَيْهَا. فَسَبِيلُهَا أَنْ تَغْتَسِلَ لِكُلِّ صَلَاةٍ , لِأَنَّهَا لَا يَأْتِي عَلَيْهَا وَقْتٌ إِلَّا احْتَمَلَ أَنْ تَكُونَ فِيهِ حَائِضًا أَوْ طَاهِرًا مِنْ حَيْضٍ أَوْ مُسْتَحَاضَةً , فَيُحْتَاطُ لَهَا فَتُؤْمَرُ بِالْغُسْلِ. وَمِنْهَا أَنْ تَكُونَ مُسْتَحَاضَةٌ , قَدْ خَفِيَتْ عَلَيْهَا أَيَّامَ حَيْضِهَا , وَدَمُهَا غَيْرُ مُسْتَمِرٍّ بِهَا , يَنْقَطِعُ سَاعَةً , وَيَعُودُ بَعْدَ ذَلِكَ هَكَذَا هِيَ فِي أَيَّامِهَا كُلِّهَا. فَتَكُونُ قَدْ أَحَاطَ عِلْمُهَا أَنَّهَا فِي وَقْتِ انْقِطَاعِ دَمِهَا , إِذَا اغْتَسَلَتْ حِينَئِذٍ , غَيْرُ طَاهِرٍ مِنْ حَيْضٍ , طُهْرًا يُوجِبُ عَلَيْهَا غُسْلًا. فَلَهَا أَنْ تُصَلِّيَ فِي حَالِهَا تِلْكَ مَا أَرَادَتْ مِنَ الصَّلَوَاتِ بِذَلِكَ الْغُسْلِ إِنْ أَمْكَنَهَا ذَلِكَ. فَلَمَّا وَجَدْنَا الْمَرْأَةَ قَدْ تَكُونُ مُسْتَحَاضَةً بِكُلِّ وَجْهٍ مِنْ هَذِهِ الْوُجُوهِ , الَّتِي مَعَانِيهَا مُخْتَلِفَةٌ , وَأَحْكَامُهَا مُخْتَلِفَةٌ , وَاسْمُ الْمُسْتَحَاضَةِ يَجْمَعُهَا وَلَمْ نَجِدْ فِي حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا ذَلِكَ , بَيَانُ اسْتِحَاضَةِ تِلْكَ الْمَرْأَةِ الَّتِي أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهَا بِمَا ذَكَرْنَا , أَيُّ مُسْتَحَاضَةٍ هِيَ؟ لَمْ يَجُزْ لَنَا أَنْ نَحْمِلَ ذَلِكَ عَلَى وَجْهٍ مِنْ هَذِهِ الْوُجُوهِ , دُونَ غَيْرِهِ , إِلَّا بِدَلِيلٍ يَدُلُّنَا عَلَى ذَلِكَ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ هَلْ نَجِدُ فِيهِ دَلِيلًا؟ فَإِذَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪৬
মুস্তাহাযা মহিলা কিভাবে সালাতের জন্য তাহারাত অর্জন করবে।
৬৪৫-৬৪৬। বাকর ইবন ইদরীস (রাহঃ)...... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলা সম্পর্কে বলেন, সে হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দিবে তারপর সে একবার গোসল করবে এবং প্রত্যেক সালাতের সময় উযূ করবে।
হুসাইন ইন নসর (রাহঃ) ও আলী ইবন শায়বা (রাহঃ)........ শা'বী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। ইমাম তাহাবীর বিশ্লেষণ
যখন আয়েশা (রাযিঃ) থেকে সেই বিষয়টি বর্ণিত আছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর পরে তিনি এই ফাতওয়া দিতেন, মুস্তাহাযা মহিলার বিধান যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, সে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে, আবার যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, সে এক গোসলে দুই সালাত একত্রিত করবে, এবং আরো যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, সে হায়য়ের নির্ধারিত দিনগুলোতে সালাত ছেড়ে দিবে তারপর প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল এবং উযূ করবে। বস্তুত এসব কিছু আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে। সুতরাং তাঁর এই উত্তর দ্বারা সাব্যস্ত হল যে, এই বিধান অপর দুই বিধানের জন্য রহিতকারী। যেহেতু আমাদের মতে তাঁর সম্পর্কে এ ধারণা করা বৈধ নয় যে, তিনি রহিতকারী (হাদীস) ছেড়ে দিয়েছেন এবং মানসূখ (রহিত) হাদীস অনুযায়ী ফাতওয়া দিতেন। যদি এটা না হত তাহলে তাঁর রিওয়ায়াত রহিত হয়ে যেত। যখন সাব্যস্ত হল যে, এটাই রহিতকারী যা আমরা উল্লেখ করেছি। তাহলে এ অভিমতকে গ্রহণ করা আবশ্যক এবং এর পরিপন্থী বিধান জায়িয। রিওয়ায়াতসমূহের উল্লিখিত মর্মও হতে পারে আবার এতে অন্য সম্ভাবনাও আছে। সম্ভবত ফাতিমা বিধৃত আবী হুবায়শ (রাযিঃ) সম্পর্কে যা কিছু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে তা এর পরিপন্থী হবে না যা তাঁর থেকে সাহলা বিত সুহায়ল (রাযিঃ)-এর ব্যাপারে বর্ণিত আছে। যেহেতু ফাতিমা বিনৃত আবী হুবায়শ (রাযিঃ)-এর হায়যের দিনগুলো নির্ধারিত ছিল, সাহলা (রাযিঃ)-এর দিনগুলো অজ্ঞাত ছিল। তবে তাঁর রক্ত কোন সময় বন্ধ হয়ে যেত এবং কোন সময় প্রত্যাবর্তন করত। এজন্য তাঁর এমন ধারণা থাকতে পারে যে, গোসলের পরেও হায়য থেকে পাক হননি। যার কারণে তিনি এক গোসল দ্বারা দুই সালাত আদায় করতেন।
যদি বিষয়টি এরূপ হয়ে থাকে তাহলে আমরা একই সঙ্গে উভয় হাদীসের মর্মই গ্রহণ করি। ফাতিমা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসের বিধান-এর উপর প্রয়োগ করি, যেরূপ আমরা ব্যাখ্যা করেছি। (অর্থাৎ হায়যের দিনগুলো নির্ধারিত হওয়া)। আর সাহলা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসের বিধান তাই হবে যা আমরা বর্ণনা করেছি। আর উম্মু হাবীবা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি বিরোধের সাথে বর্ণিত হয়েছে। কতেক রাবী আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ তাঁকে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাঁর হায়যের দিনগুলো উল্লেখ করেননি। হতে পারে তিনি তাঁকে এ বিধান এ জন্য প্রদান করেছেন যেন ওরই পানি তাঁর জন্য চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু তা (পানি) গর্ভাশয়ের রক্তকে খতম করে দেয় ফলে তা প্রবাহিত হয় না। কতেক রাবী এটাকে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে এভাবে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তিনি হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দেন তারপর প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করেন। যদি বিষয়টি এরূপই হয়ে থাকে, তাহলে সম্ভবত এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল চিকিৎসা। আবার এটাও হতে পারে যে, এর দ্বারা আমাদের পূর্ব বর্ণিত সেই বিষয়টিই তাঁর উদ্দেশ্যে ছিল। যেহেতু তাঁর রক্ত সর্বদা প্রবাহিত হতে থাকত এবং প্রত্যেক সালাতের সময় হায়য থেকে পাক হওয়ার সম্ভাবনা হত আর গোসল করার পর-ই সালাত আদায় করতে পারতেন। এরই ভিত্তিতে তাঁকে গোসলের নির্দেশ প্রদান করেছেন। যদি বিষয়টি এরূপই হয়, তাহলে আমরা সেই মহিলার ব্যাপারে যার রক্ত সর্বদা ঝরতে থাকে এবং হায়যের দিনগুলো অজ্ঞাত থাকে তার সম্পর্কে এই অভিমতই ব্যক্ত করি।
বস্তুত যখন এই সমস্ত হাদীসে এইরূপ সম্ভাবনা রয়েছে যা আমরা বর্ণনা করেছি। এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর পরে আয়েশা (রাযিঃ)-এর অভিমত আমরা সেই মর্মে রিওয়ায়াত করেছি যা আমরা বর্ণনা করেছি। এতে সাব্যস্ত হল যে, এটা সেই ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলার বিধান যার (হায়যের) দিনগুলো জানা নেই এবং আরো সাব্যস্ত হল যে, যা কিছু এর পরিপন্থী উম্মুল মু'মিনীন আয়েশা (রাযিঃ) এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) না থেকে মুস্তাহাযা সম্পর্কে বর্ণিত তা অন্য ইস্তিহাযা অথবা ঐ মুস্তাহাযা সম্পর্কে যার ইস্তিহাযা এই ইস্তিহাযার অনুরূপ। কিন্তু এতে যাই উদ্দেশ্য হউক না কেন ফাতিমা বিনত আবী হুবায়শ (রাযিঃ)-এর ব্যাপারে যা বর্ণিত আছে তাই উত্তম। যেহেতু নবী এর পরে আয়েশা (রাযিঃ) তাই গ্রহণ করেছেন। অথচ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক এর অনুকূল বা পরিপন্থী যত উক্তি ছিল সবই তাঁর জানা ছিল। অনুরূপভাবে যা কিছু আমরা ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলার ব্যাপারে আলী (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি যে, সে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে এবং যা কিছু আমরা তাঁর থেকে রিওয়ায়াত করেছি যে, সে এক গোসলে দুই সালাত একত্রিত করবে। তাছাড়াও তাঁর থেকেই বর্ণিত আছে যে, সে হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোতে সালাত ছেড়ে দিবে। তারপর প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে এবং উযূ করবে। সুতরাং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর (আলী রা) উক্তিসমূহ বিভিন্ন রকম হয়েছে ইস্তিহাযা বিভিন্ন রকম হওয়ার কারণে যে সম্পর্কে তিনি ফাতওয়া দিয়েছেন।
যা কিছু তাঁরা উম্মু হাবীবা (রাযিঃ) সম্পর্কে রিওয়ায়াত করেছেন যে, সে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করবে, আমাদের মতে গোসলের উদ্দেশ্য ছিল চিকিৎসা। হাদীসসমূহ বর্ণনার ভিত্তিতে এটাই হচ্ছে এই অনুচ্ছেদের বিশ্লেষণ। আর এতে এই সমস্ত রিওয়ায়াত দ্বারাই প্রমাণ পেশ করা হয়।
অতঃপর সেই সমস্ত আলিমগণ মতবিরোধ করেছেন, যারা বলেছেন ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলা প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ করবে। কেউ কেউ বলেছেন, প্রত্যেক সালাতের ওয়াক্তের জন্য উযূ করবে। ইমাম আবু হানীফা (রাযিঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাযিঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর এটাই অভিমত। অপরাপর আলিমগণ বলেছেন, বরং প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ করবে। তারা এ বিষয়ে ওয়াক্তের উল্লেখ সম্পর্কে স্বীকৃতি দেন না।
আমরা দুই অভিমত থেকে বিশুদ্ধতমটিকে বের করার ইচ্ছা পোষণ করছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি তাঁরা (আলিমগণ) এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, যখন ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলা এক সালাতের ওয়াক্তের জন্য উযূ করে এবং সালাত আদায় করার পূর্বেই ওয়াক্ত চলে যায়, এরপর উক্ত উযূ দ্বারা সালাত আদায় করতে চায় তাহলে সে এরূপ করতে পারবে না (জায়িয হবে না) যতক্ষণ না নতুন উস্ করবে। আমরা আরো লক্ষ্য করেছি যে, যদি যে কোন সালাতের ওয়াক্তে উযূ করে সালাত আদায় করে, তারপর উক্ত উযূ দ্বারা নফল সালাত আদায় করতে ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত ওয়াক্ত থাকবে তা তার জন্য জায়িয আছে।
সুতরাং আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি তাতে প্রমাণিত হয় যে, তার উযূ ওয়াক্ত চলে যাওয়ার কারণে ভেঙ্গে যায় এবং ওয়াক্ত (প্রবেশের) দ্বারাই তার উপর উযূ ওয়াজিব হয়, সালাতের দ্বারা নয়। আরো দেখছি, তার যদি কয়েকটি সালাত কাযা হয়ে যায় এবং তা আদায় (কাযা) করতে চায় তাহলে সে তা এক ওয়াক্তে এক উযূর দ্বারা করতে পারবে। যদি প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ ওয়াজিব হত তাহলে তার জন্য আবশ্যক হত ছুটে যাওয়া সালাতসমূহ থেকে প্রত্যেক সালাতের জন্য পৃথক উযূ করা যাতে সে ওই সমস্ত সালাত এক উযূর দ্বারা আদায় করতে পারে। এতে প্রমাণিত হল যে, তার উপর সালাত নয় বরং ওয়াক্তের কারণে উযূ ওয়াজিব হয়।
দ্বিতীয় দলীলঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, হাদাসসমূহ দ্বারা তাহারাত (উযূ) নষ্ট হয়। ঐ সমস্ত হাদাস এর মধ্যে পায়খানা ও পেশাব অন্যতম। কিছু তাহারাত ওয়াক্ত বের হয়ে যাওয়ার কারণেও ভেঙ্গে যায় আর তা হচ্ছে চামড়ার মোজায় মাসেহ করার তাহারাত। মুসাফির ও মুর্কীমের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে তা ভেঙ্গে যায়। বস্তুত এই সমস্ত তাহারাতের বিষয়ে সমস্ত আলিমদের ঐকমত্য রয়েছে। এগুলোকে ভঙ্গকারী বস্তুর মধ্যে আমরা সালাতকে দেখতে পাই না। এগুলোকে ভঙ্গ করে হয় হাদাস নয়ত ওয়াক্ত বের হয়ে যাওয়া। আর এটা সাব্যস্ত হল যে, মুস্তাহাযার তাহারাত এরূপ তাহারাত যা হাদাস অথবা হাদাস ব্যতীত অন্য বস্তু দ্বারা ভেঙ্গে যায়। একদল আলিম বলেছেন, এই হাদাস ব্যতীত অন্য বস্তু হচ্ছে ওয়াক্ত বের হয়ে যাওয়া। অপরাপর আলিমগণ বলেছেন, তা হচ্ছে সালাত থেকে অবসর হওয়া (শেষ করা)। আমরা এই ক্ষেত্র ব্যতীত কোথাও 'সালাত থেকে অবসর হওয়া'কে হাদাস হিসেবে দেখতে পাইনা। তবে ওয়াক্ত বের হওয়া’কে এই ক্ষেত্র ব্যতীতও হাদাস হিসাবে দেখতে পাই। তাই সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে, আমরা বিরোধপূর্ণ হাদাসের পরিবর্তে একে সেই হাদাসের অনুরূপ সাব্যস্ত করব, যার উপর ঐকমত্য পোষণ করা হয়েছে এবং এর জন্য কোন ভিত্তি রয়েছে। একে আমরা সেইরূপ সাব্যস্ত করব না, যার উপর ইমামদের ঐকমত্যও নেই এবং এর জন্য কোন ভিত্তিও নেই। সুতরাং এতে তাঁদের অভিমত প্রমাণিত সাব্যস্ত হল, যারা বলেছেন যে, সে (ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলা) প্রত্যেক সালাতের ওয়াক্তের জন্য উযূ করবে। আর এটা হচ্ছে, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর অভিমত।
হুসাইন ইন নসর (রাহঃ) ও আলী ইবন শায়বা (রাহঃ)........ শা'বী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। ইমাম তাহাবীর বিশ্লেষণ
যখন আয়েশা (রাযিঃ) থেকে সেই বিষয়টি বর্ণিত আছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর পরে তিনি এই ফাতওয়া দিতেন, মুস্তাহাযা মহিলার বিধান যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, সে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে, আবার যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, সে এক গোসলে দুই সালাত একত্রিত করবে, এবং আরো যা আমরা উল্লেখ করেছি যে, সে হায়য়ের নির্ধারিত দিনগুলোতে সালাত ছেড়ে দিবে তারপর প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল এবং উযূ করবে। বস্তুত এসব কিছু আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে। সুতরাং তাঁর এই উত্তর দ্বারা সাব্যস্ত হল যে, এই বিধান অপর দুই বিধানের জন্য রহিতকারী। যেহেতু আমাদের মতে তাঁর সম্পর্কে এ ধারণা করা বৈধ নয় যে, তিনি রহিতকারী (হাদীস) ছেড়ে দিয়েছেন এবং মানসূখ (রহিত) হাদীস অনুযায়ী ফাতওয়া দিতেন। যদি এটা না হত তাহলে তাঁর রিওয়ায়াত রহিত হয়ে যেত। যখন সাব্যস্ত হল যে, এটাই রহিতকারী যা আমরা উল্লেখ করেছি। তাহলে এ অভিমতকে গ্রহণ করা আবশ্যক এবং এর পরিপন্থী বিধান জায়িয। রিওয়ায়াতসমূহের উল্লিখিত মর্মও হতে পারে আবার এতে অন্য সম্ভাবনাও আছে। সম্ভবত ফাতিমা বিধৃত আবী হুবায়শ (রাযিঃ) সম্পর্কে যা কিছু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে তা এর পরিপন্থী হবে না যা তাঁর থেকে সাহলা বিত সুহায়ল (রাযিঃ)-এর ব্যাপারে বর্ণিত আছে। যেহেতু ফাতিমা বিনৃত আবী হুবায়শ (রাযিঃ)-এর হায়যের দিনগুলো নির্ধারিত ছিল, সাহলা (রাযিঃ)-এর দিনগুলো অজ্ঞাত ছিল। তবে তাঁর রক্ত কোন সময় বন্ধ হয়ে যেত এবং কোন সময় প্রত্যাবর্তন করত। এজন্য তাঁর এমন ধারণা থাকতে পারে যে, গোসলের পরেও হায়য থেকে পাক হননি। যার কারণে তিনি এক গোসল দ্বারা দুই সালাত আদায় করতেন।
যদি বিষয়টি এরূপ হয়ে থাকে তাহলে আমরা একই সঙ্গে উভয় হাদীসের মর্মই গ্রহণ করি। ফাতিমা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসের বিধান-এর উপর প্রয়োগ করি, যেরূপ আমরা ব্যাখ্যা করেছি। (অর্থাৎ হায়যের দিনগুলো নির্ধারিত হওয়া)। আর সাহলা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসের বিধান তাই হবে যা আমরা বর্ণনা করেছি। আর উম্মু হাবীবা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি বিরোধের সাথে বর্ণিত হয়েছে। কতেক রাবী আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ তাঁকে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাঁর হায়যের দিনগুলো উল্লেখ করেননি। হতে পারে তিনি তাঁকে এ বিধান এ জন্য প্রদান করেছেন যেন ওরই পানি তাঁর জন্য চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু তা (পানি) গর্ভাশয়ের রক্তকে খতম করে দেয় ফলে তা প্রবাহিত হয় না। কতেক রাবী এটাকে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে এভাবে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তিনি হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোর সালাত ছেড়ে দেন তারপর প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করেন। যদি বিষয়টি এরূপই হয়ে থাকে, তাহলে সম্ভবত এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল চিকিৎসা। আবার এটাও হতে পারে যে, এর দ্বারা আমাদের পূর্ব বর্ণিত সেই বিষয়টিই তাঁর উদ্দেশ্যে ছিল। যেহেতু তাঁর রক্ত সর্বদা প্রবাহিত হতে থাকত এবং প্রত্যেক সালাতের সময় হায়য থেকে পাক হওয়ার সম্ভাবনা হত আর গোসল করার পর-ই সালাত আদায় করতে পারতেন। এরই ভিত্তিতে তাঁকে গোসলের নির্দেশ প্রদান করেছেন। যদি বিষয়টি এরূপই হয়, তাহলে আমরা সেই মহিলার ব্যাপারে যার রক্ত সর্বদা ঝরতে থাকে এবং হায়যের দিনগুলো অজ্ঞাত থাকে তার সম্পর্কে এই অভিমতই ব্যক্ত করি।
বস্তুত যখন এই সমস্ত হাদীসে এইরূপ সম্ভাবনা রয়েছে যা আমরা বর্ণনা করেছি। এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর পরে আয়েশা (রাযিঃ)-এর অভিমত আমরা সেই মর্মে রিওয়ায়াত করেছি যা আমরা বর্ণনা করেছি। এতে সাব্যস্ত হল যে, এটা সেই ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলার বিধান যার (হায়যের) দিনগুলো জানা নেই এবং আরো সাব্যস্ত হল যে, যা কিছু এর পরিপন্থী উম্মুল মু'মিনীন আয়েশা (রাযিঃ) এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) না থেকে মুস্তাহাযা সম্পর্কে বর্ণিত তা অন্য ইস্তিহাযা অথবা ঐ মুস্তাহাযা সম্পর্কে যার ইস্তিহাযা এই ইস্তিহাযার অনুরূপ। কিন্তু এতে যাই উদ্দেশ্য হউক না কেন ফাতিমা বিনত আবী হুবায়শ (রাযিঃ)-এর ব্যাপারে যা বর্ণিত আছে তাই উত্তম। যেহেতু নবী এর পরে আয়েশা (রাযিঃ) তাই গ্রহণ করেছেন। অথচ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক এর অনুকূল বা পরিপন্থী যত উক্তি ছিল সবই তাঁর জানা ছিল। অনুরূপভাবে যা কিছু আমরা ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলার ব্যাপারে আলী (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি যে, সে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে এবং যা কিছু আমরা তাঁর থেকে রিওয়ায়াত করেছি যে, সে এক গোসলে দুই সালাত একত্রিত করবে। তাছাড়াও তাঁর থেকেই বর্ণিত আছে যে, সে হায়যের নির্ধারিত দিনগুলোতে সালাত ছেড়ে দিবে। তারপর প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে এবং উযূ করবে। সুতরাং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর (আলী রা) উক্তিসমূহ বিভিন্ন রকম হয়েছে ইস্তিহাযা বিভিন্ন রকম হওয়ার কারণে যে সম্পর্কে তিনি ফাতওয়া দিয়েছেন।
যা কিছু তাঁরা উম্মু হাবীবা (রাযিঃ) সম্পর্কে রিওয়ায়াত করেছেন যে, সে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করবে, আমাদের মতে গোসলের উদ্দেশ্য ছিল চিকিৎসা। হাদীসসমূহ বর্ণনার ভিত্তিতে এটাই হচ্ছে এই অনুচ্ছেদের বিশ্লেষণ। আর এতে এই সমস্ত রিওয়ায়াত দ্বারাই প্রমাণ পেশ করা হয়।
অতঃপর সেই সমস্ত আলিমগণ মতবিরোধ করেছেন, যারা বলেছেন ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলা প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ করবে। কেউ কেউ বলেছেন, প্রত্যেক সালাতের ওয়াক্তের জন্য উযূ করবে। ইমাম আবু হানীফা (রাযিঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাযিঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর এটাই অভিমত। অপরাপর আলিমগণ বলেছেন, বরং প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ করবে। তারা এ বিষয়ে ওয়াক্তের উল্লেখ সম্পর্কে স্বীকৃতি দেন না।
আমরা দুই অভিমত থেকে বিশুদ্ধতমটিকে বের করার ইচ্ছা পোষণ করছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি তাঁরা (আলিমগণ) এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, যখন ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলা এক সালাতের ওয়াক্তের জন্য উযূ করে এবং সালাত আদায় করার পূর্বেই ওয়াক্ত চলে যায়, এরপর উক্ত উযূ দ্বারা সালাত আদায় করতে চায় তাহলে সে এরূপ করতে পারবে না (জায়িয হবে না) যতক্ষণ না নতুন উস্ করবে। আমরা আরো লক্ষ্য করেছি যে, যদি যে কোন সালাতের ওয়াক্তে উযূ করে সালাত আদায় করে, তারপর উক্ত উযূ দ্বারা নফল সালাত আদায় করতে ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত ওয়াক্ত থাকবে তা তার জন্য জায়িয আছে।
সুতরাং আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি তাতে প্রমাণিত হয় যে, তার উযূ ওয়াক্ত চলে যাওয়ার কারণে ভেঙ্গে যায় এবং ওয়াক্ত (প্রবেশের) দ্বারাই তার উপর উযূ ওয়াজিব হয়, সালাতের দ্বারা নয়। আরো দেখছি, তার যদি কয়েকটি সালাত কাযা হয়ে যায় এবং তা আদায় (কাযা) করতে চায় তাহলে সে তা এক ওয়াক্তে এক উযূর দ্বারা করতে পারবে। যদি প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ ওয়াজিব হত তাহলে তার জন্য আবশ্যক হত ছুটে যাওয়া সালাতসমূহ থেকে প্রত্যেক সালাতের জন্য পৃথক উযূ করা যাতে সে ওই সমস্ত সালাত এক উযূর দ্বারা আদায় করতে পারে। এতে প্রমাণিত হল যে, তার উপর সালাত নয় বরং ওয়াক্তের কারণে উযূ ওয়াজিব হয়।
দ্বিতীয় দলীলঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, হাদাসসমূহ দ্বারা তাহারাত (উযূ) নষ্ট হয়। ঐ সমস্ত হাদাস এর মধ্যে পায়খানা ও পেশাব অন্যতম। কিছু তাহারাত ওয়াক্ত বের হয়ে যাওয়ার কারণেও ভেঙ্গে যায় আর তা হচ্ছে চামড়ার মোজায় মাসেহ করার তাহারাত। মুসাফির ও মুর্কীমের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে তা ভেঙ্গে যায়। বস্তুত এই সমস্ত তাহারাতের বিষয়ে সমস্ত আলিমদের ঐকমত্য রয়েছে। এগুলোকে ভঙ্গকারী বস্তুর মধ্যে আমরা সালাতকে দেখতে পাই না। এগুলোকে ভঙ্গ করে হয় হাদাস নয়ত ওয়াক্ত বের হয়ে যাওয়া। আর এটা সাব্যস্ত হল যে, মুস্তাহাযার তাহারাত এরূপ তাহারাত যা হাদাস অথবা হাদাস ব্যতীত অন্য বস্তু দ্বারা ভেঙ্গে যায়। একদল আলিম বলেছেন, এই হাদাস ব্যতীত অন্য বস্তু হচ্ছে ওয়াক্ত বের হয়ে যাওয়া। অপরাপর আলিমগণ বলেছেন, তা হচ্ছে সালাত থেকে অবসর হওয়া (শেষ করা)। আমরা এই ক্ষেত্র ব্যতীত কোথাও 'সালাত থেকে অবসর হওয়া'কে হাদাস হিসেবে দেখতে পাইনা। তবে ওয়াক্ত বের হওয়া’কে এই ক্ষেত্র ব্যতীতও হাদাস হিসাবে দেখতে পাই। তাই সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে, আমরা বিরোধপূর্ণ হাদাসের পরিবর্তে একে সেই হাদাসের অনুরূপ সাব্যস্ত করব, যার উপর ঐকমত্য পোষণ করা হয়েছে এবং এর জন্য কোন ভিত্তি রয়েছে। একে আমরা সেইরূপ সাব্যস্ত করব না, যার উপর ইমামদের ঐকমত্যও নেই এবং এর জন্য কোন ভিত্তিও নেই। সুতরাং এতে তাঁদের অভিমত প্রমাণিত সাব্যস্ত হল, যারা বলেছেন যে, সে (ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলা) প্রত্যেক সালাতের ওয়াক্তের জন্য উযূ করবে। আর এটা হচ্ছে, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর অভিমত।
645 - بَكْرُ بْنُ إِدْرِيسَ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا آدَمُ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَيْسَرَةَ وَالْمُجَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ وَبَيَانٌ , قَالُوا: سَمِعْنَا عَامِرَ الشَّعْبِيِّ يُحَدِّثُ عَنْ قُمَيْرٍ , امْرَأَةَ مَسْرُوقٍ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ: «تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ حَيْضِهَا , ثُمَّ تَغْتَسِلُ غُسْلًا وَاحِدًا , وَتَتَوَضَّأُ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ»
646 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، وَعَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَا: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَا: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ فِرَاسٍ، وَبَيَانٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَلَمَّا رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مَا ذَكَرْنَا مِنْ قَوْلِهَا الَّذِي أَفْتَتْ بِهِ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ مَا ذَكَرْنَا مِنْ حُكْمِ الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , وَمَا ذَكَرْنَا أَنَّهَا تَجْمَعُ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ بِغُسْلٍ , وَمَا ذَكَرْنَا أَنَّهَا تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ كُلُّهُ عَنْهَا ثَبَتَ بِجَوَابِهَا ذَلِكَ , أَنَّ ذَلِكَ الْحُكْمَ هُوَ النَّاسِخُ لِلْحُكْمَيْنِ الْآخَرَيْنِ لِأَنَّهُ لَا يَجُوزُ عِنْدَنَا عَلَيْهَا أَنْ تَدَعَ النَّاسِخَ , وَتُفْتِيَ بِالْمَنْسُوخِ , وَلَوْلَا ذَلِكَ , لَسَقَطَتْ رِوَايَتُهَا. فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ هَذَا هُوَ النَّاسِخُ لِمَا ذَكَرْنَا , وَجَبَ الْقَوْلُ بِهِ , وَلَمْ يَجُزْ خِلَافُهَا. هَذَا وَجْهٌ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَعَانِي هَذِهِ الْآثَارِ عَلَيْهِ. وَقَدْ يَجُوزُ فِي هَذَا وَجْهٌ آخَرُ , يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي فَاطِمَةَ ابْنَةِ أَبِي حُبَيْشٍ لَا يُخَالِفُ مَا رُوِيَ عَنْهُ , فِي أَمْرِ سَهْلَةَ ابْنَةِ سُهَيْلٍ لِأَنَّ فَاطِمَةَ ابْنَةَ أَبِي حُبَيْشٍ , كَانَتْ أَيَّامُهَا مَعْرُوفَةً , وَسَهْلَةَ كَانَتْ أَيَّامُهَا مَجْهُولَةً إِلَّا أَنَّ دَمَهَا يَنْقَطِعُ فِي أَوْقَاتٍ , وَيَعُودُ فِي أَوْقَاتٍ وَهِيَ قَدْ أَحَاطَ عِلْمُهَا أَنَّهَا لَمْ تَخْرُجْ مِنَ الْحَيْضِ بَعْدَ غُسْلِهَا إِلَى أَنْ صَلَّتِ الصَّلَاتَيْنِ جَمِيعًا. فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , فَإِنَّا نَقُولُ بِالْحَدِيثَيْنِ جَمِيعًا , فَنَجْعَلُ حُكْمَ حَدِيثِ فَاطِمَةَ عَلَى مَا صَرَفْنَاهُ إِلَيْهِ , وَنَجْعَلُ حُكْمَ حَدِيثِ سَهْلَةَ , عَلَى مَا صَرَفْنَاهُ أَيْضًا إِلَيْهِ. وَأَمَّا حَدِيثُ أُمِّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , فَقَدْ رُوِيَ مُخْتَلِفًا. فَبَعْضُهُمْ يَذْكُرُ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا بِالْغُسْلِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ , وَلَمْ يَذْكُرْ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا [ص:106] فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَمَرَهَا بِذَلِكَ , لِيَكُونَ ذَلِكَ الْمَاءُ عِلَاجًا لَهَا , لِأَنَّهَا تُقَلِّصُ الدَّمَ فِي الرَّحِمِ , فَلَا يَسِيلُ. وَبَعْضُهُمْ يَرْوِيهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا أَنْ تَدَعَ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا , ثُمَّ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِهِ الْعِلَاجَ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِهِ مَا ذَكَرْنَا فِي الْفَصْلِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا , لِأَنَّ دَمَهَا سَائِلٌ دَائِمُ السَّيَلَانِ , فَلَيْسَتْ صَلَاةٌ إِلَّا يُحْتَمَلُ أَنْ تَكُونَ عِنْدَهَا طَاهِرًا مِنْ حَيْضٍ لَيْسَ لَهَا أَنْ تُصَلِّيهَا إِلَّا بَعْدَ الِاغْتِسَالِ , فَأَمَرَهَا بِالْغُسْلِ لِذَلِكَ. فَإِنْ كَانَ هَذَا هُوَ مَعْنَى حَدِيثِهَا , فَإِنَّا كَذَلِكَ نَقُولُ أَيْضًا فِيمَنِ اسْتَمَرَّ بِهَا الدَّمُ , وَلَمْ تَعْرِفْ أَيَّامَهَا. فَلَمَّا احْتَمَلَتْ هَذِهِ الْآثَارُ مَا ذَكَرْنَا وَرَوَيْنَا عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِنْ قَوْلِهَا بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا وَصَفْنَا ثَبَتَ أَنَّ ذَلِكَ هُوَ حُكْمُ الْمُسْتَحَاضَةِ , الَّتِي لَا تَعْرِفُ أَيَّامَهَا , وَثَبَتَ أَنَّ مَا خَالَفَ ذَلِكَ , مِمَّا رُوِيَ عَنْهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مُسْتَحَاضَةٍ , اسْتِحَاضَتُهَا , غَيْرُ اسْتِحَاضَةِ هَذِهِ , أَوْ فِي مُسْتَحَاضَةٍ , اسْتِحَاضَتُهَا مِثْلُ اسْتِحَاضَةِ هَذِهِ. إِلَّا أَنَّ ذَلِكَ، عَلَى أَيِّ الْمَعَانِي كَانَ، فَمَا رُوِيَ فِي أَمْرِ فَاطِمَةَ ابْنَةِ أَبِي حُبَيْشٍ , أَوْلَى لِأَنَّ مَعَهُ الِاخْتِيَارَ مِنْ عَائِشَةَ لَهُ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ عَلِمَتْ مَا خَالَفَهُ , وَمَا وَافَقَهُ مِنْ قَوْلِهِ. وَكَذَلِكَ أَيْضًا مَا رَوَيْنَاهُ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ وَمَا رَوَيْنَاهُ عَنْهُ أَنَّهَا تَجْمَعُ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ بِغُسْلٍ وَمَا رَوَيْنَاهُ عَنْهُ أَنَّهَا تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا , ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ إِنَّمَا اخْتَلَفَتْ أَقْوَالُهُ فِي ذَلِكَ لِاخْتِلَافِ الِاسْتِحَاضَةِ الَّتِي أَفْتَى فِيهَا بِذَلِكَ. وَأَمَّا مَا رَوَوْا عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي اغْتِسَالِهَا لِكُلِّ صَلَاةٍ , فَوَجْهُ ذَلِكَ عِنْدَنَا أَنَّهَا كَانَتْ تَتَعَالَجُ بِهِ. فَهَذَا حُكْمُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ , وَهِيَ الَّتِي يُحْتَجُّ بِهَا فِيهِ. ثُمَّ اخْتَلَفَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَقَالَ بَعْضُهُمْ: تَتَوَضَّأُ لِوَقْتِ كُلِّ صَلَاةٍ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ وَزُفَرَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , وَلَا يَعْرِفُونَ ذِكْرَ الْوَقْتِ فِي ذَلِكَ. فَأَرَدْنَا نَحْنُ أَنْ نَسْتَخْرِجَ مِنَ الْقَوْلَيْنِ , قَوْلًا صَحِيحًا. فَرَأَيْنَاهُمْ قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّهَا إِذَا تَوَضَّأَتْ فِي وَقْتِ صَلَاةٍ , فَلَمْ تُصَلِّ حَتَّى خَرَجَ الْوَقْتُ , فَأَرَادَتْ أَنْ تُصَلِّيَ بِذَلِكَ الْوُضُوءِ، أَنَّهُ لَيْسَ ذَلِكَ لَهَا حَتَّى تَتَوَضَّأَ وُضُوءًا جَدِيدًا. وَرَأَيْنَاهَا لَوْ تَوَضَّأَتْ فِي وَقْتِ صَلَاةٍ فَصَلَّتْ , ثُمَّ أَرَادَتْ أَنْ تَتَطَوَّعَ بِذَلِكَ الْوُضُوءِ كَانَ ذَلِكَ لَهَا مَا دَامَتْ فِي الْوَقْتِ.فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا أَنَّ الَّذِي يَنْقُضُ تَطَهُّرَهَا هُوَ خُرُوجُ الْوَقْتِ , وَأَنَّ وُضُوءَهَا يُوجِبُهُ الْوَقْتُ لَا الصَّلَاةُ , وَقَدْ رَأَيْنَاهَا لَوْ فَاتَتْهَا صَلَوَاتٌ , فَأَرَادَتْ أَنْ تَقْضِيَهُنَّ كَانَ لَهَا أَنْ تَجْمَعَهُنَّ فِي وَقْتِ صَلَاةٍ وَاحِدَةٍ بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ. فَلَوْ كَانَ الْوُضُوءُ يَجِبُ عَلَيْهَا لِكُلِّ صَلَاةٍ , لَكَانَ يَجِبُ أَنْ تَتَوَضَّأَ لِكُلِّ صَلَاةٍ مِنَ الصَّلَوَاتِ الْفَائِتَاتِ. فَلَمَّا كَانَتْ تُصَلِّيهِنَّ جَمِيعًا بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْوُضُوءَ الَّذِي يَجِبُ عَلَيْهَا , هُوَ لِغَيْرِ الصَّلَاةِ , وَهُوَ الْوَقْتُ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى , أَنَّا قَدْ رَأَيْنَا الطَّهَارَاتِ تَنْتَقِضُ بِأَحْدَاثٍ , مِنْهَا الْغَائِطُ , وَالْبَوْلُ. وَطِهَارَاتٍ تَنْتَقِضُ بِخُرُوجِ أَوْقَاتٍ , وَهِيَ الطَّهَارَةُ بِالْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ , يَنْقُضُهَا خُرُوجُ وَقْتِ الْمُسَافِرِ وَخُرُوجُ وَقْتِ الْمُقِيمِ. وَهَذِهِ الطَّهَارَاتُ الْمُتَّفَقُ عَلَيْهَا , لَمْ نَجِدْ فِيمَا يَنْقُضُهَا صَلَاةً , إِنَّمَا يَنْقُضُهَا حَدَثٌ , أَوْ خُرُوجُ وَقْتٍ. وَقَدْ ثَبَتَ أَنَّ طَهَارَةَ الْمُسْتَحَاضَةِ , طَهَارَةٌ يَنْقُضُهَا الْحَدَثُ وَغَيْرُ الْحَدَثِ. فَقَالَ قَوْمٌ: هَذَا الَّذِي هُوَ غَيْرُ الْحَدَثِ , هُوَ خُرُوجُ الْوَقْتِ. وَقَالَ آخَرُونَ: هُوَ فَرَاغٌ مِنْ صَلَاةٍ , وَلَمْ نَجِدِ الْفَرَاغَ مِنَ الصَّلَاةِ حَدَثًا فِي شَيْءٍ غَيْرَ ذَلِكَ , وَقَدْ وَجَدْنَا خُرُوجَ الْوَقْتِ حَدَثًا فِي غَيْرِهِ. فَأَوْلَى الْأَشْيَاءِ أَنْ نَرْجِعَ فِي هَذَا الْحَدَثِ الْمُخْتَلَفِ فِيهِ , فَنَجْعَلَهُ كَالْحَدَثِ الَّذِي قَدْ أُجْمِعَ عَلَيْهِ وَوُجِدَ لَهُ أَصْلٌ وَلَا نَجْعَلَهُ كَمَا لَمْ يُجْمَعْ عَلَيْهِ , وَلَمْ نَجِدْ لَهُ أَصْلًا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ قَوْلُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ وَقْتِ صَلَاةٍ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
646 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، وَعَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَا: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَا: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ فِرَاسٍ، وَبَيَانٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَلَمَّا رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مَا ذَكَرْنَا مِنْ قَوْلِهَا الَّذِي أَفْتَتْ بِهِ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ مَا ذَكَرْنَا مِنْ حُكْمِ الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , وَمَا ذَكَرْنَا أَنَّهَا تَجْمَعُ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ بِغُسْلٍ , وَمَا ذَكَرْنَا أَنَّهَا تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ كُلُّهُ عَنْهَا ثَبَتَ بِجَوَابِهَا ذَلِكَ , أَنَّ ذَلِكَ الْحُكْمَ هُوَ النَّاسِخُ لِلْحُكْمَيْنِ الْآخَرَيْنِ لِأَنَّهُ لَا يَجُوزُ عِنْدَنَا عَلَيْهَا أَنْ تَدَعَ النَّاسِخَ , وَتُفْتِيَ بِالْمَنْسُوخِ , وَلَوْلَا ذَلِكَ , لَسَقَطَتْ رِوَايَتُهَا. فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ هَذَا هُوَ النَّاسِخُ لِمَا ذَكَرْنَا , وَجَبَ الْقَوْلُ بِهِ , وَلَمْ يَجُزْ خِلَافُهَا. هَذَا وَجْهٌ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَعَانِي هَذِهِ الْآثَارِ عَلَيْهِ. وَقَدْ يَجُوزُ فِي هَذَا وَجْهٌ آخَرُ , يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي فَاطِمَةَ ابْنَةِ أَبِي حُبَيْشٍ لَا يُخَالِفُ مَا رُوِيَ عَنْهُ , فِي أَمْرِ سَهْلَةَ ابْنَةِ سُهَيْلٍ لِأَنَّ فَاطِمَةَ ابْنَةَ أَبِي حُبَيْشٍ , كَانَتْ أَيَّامُهَا مَعْرُوفَةً , وَسَهْلَةَ كَانَتْ أَيَّامُهَا مَجْهُولَةً إِلَّا أَنَّ دَمَهَا يَنْقَطِعُ فِي أَوْقَاتٍ , وَيَعُودُ فِي أَوْقَاتٍ وَهِيَ قَدْ أَحَاطَ عِلْمُهَا أَنَّهَا لَمْ تَخْرُجْ مِنَ الْحَيْضِ بَعْدَ غُسْلِهَا إِلَى أَنْ صَلَّتِ الصَّلَاتَيْنِ جَمِيعًا. فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , فَإِنَّا نَقُولُ بِالْحَدِيثَيْنِ جَمِيعًا , فَنَجْعَلُ حُكْمَ حَدِيثِ فَاطِمَةَ عَلَى مَا صَرَفْنَاهُ إِلَيْهِ , وَنَجْعَلُ حُكْمَ حَدِيثِ سَهْلَةَ , عَلَى مَا صَرَفْنَاهُ أَيْضًا إِلَيْهِ. وَأَمَّا حَدِيثُ أُمِّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , فَقَدْ رُوِيَ مُخْتَلِفًا. فَبَعْضُهُمْ يَذْكُرُ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا بِالْغُسْلِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ , وَلَمْ يَذْكُرْ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا [ص:106] فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَمَرَهَا بِذَلِكَ , لِيَكُونَ ذَلِكَ الْمَاءُ عِلَاجًا لَهَا , لِأَنَّهَا تُقَلِّصُ الدَّمَ فِي الرَّحِمِ , فَلَا يَسِيلُ. وَبَعْضُهُمْ يَرْوِيهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا أَنْ تَدَعَ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا , ثُمَّ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَإِنْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِهِ الْعِلَاجَ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِهِ مَا ذَكَرْنَا فِي الْفَصْلِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا , لِأَنَّ دَمَهَا سَائِلٌ دَائِمُ السَّيَلَانِ , فَلَيْسَتْ صَلَاةٌ إِلَّا يُحْتَمَلُ أَنْ تَكُونَ عِنْدَهَا طَاهِرًا مِنْ حَيْضٍ لَيْسَ لَهَا أَنْ تُصَلِّيهَا إِلَّا بَعْدَ الِاغْتِسَالِ , فَأَمَرَهَا بِالْغُسْلِ لِذَلِكَ. فَإِنْ كَانَ هَذَا هُوَ مَعْنَى حَدِيثِهَا , فَإِنَّا كَذَلِكَ نَقُولُ أَيْضًا فِيمَنِ اسْتَمَرَّ بِهَا الدَّمُ , وَلَمْ تَعْرِفْ أَيَّامَهَا. فَلَمَّا احْتَمَلَتْ هَذِهِ الْآثَارُ مَا ذَكَرْنَا وَرَوَيْنَا عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِنْ قَوْلِهَا بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا وَصَفْنَا ثَبَتَ أَنَّ ذَلِكَ هُوَ حُكْمُ الْمُسْتَحَاضَةِ , الَّتِي لَا تَعْرِفُ أَيَّامَهَا , وَثَبَتَ أَنَّ مَا خَالَفَ ذَلِكَ , مِمَّا رُوِيَ عَنْهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مُسْتَحَاضَةٍ , اسْتِحَاضَتُهَا , غَيْرُ اسْتِحَاضَةِ هَذِهِ , أَوْ فِي مُسْتَحَاضَةٍ , اسْتِحَاضَتُهَا مِثْلُ اسْتِحَاضَةِ هَذِهِ. إِلَّا أَنَّ ذَلِكَ، عَلَى أَيِّ الْمَعَانِي كَانَ، فَمَا رُوِيَ فِي أَمْرِ فَاطِمَةَ ابْنَةِ أَبِي حُبَيْشٍ , أَوْلَى لِأَنَّ مَعَهُ الِاخْتِيَارَ مِنْ عَائِشَةَ لَهُ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ عَلِمَتْ مَا خَالَفَهُ , وَمَا وَافَقَهُ مِنْ قَوْلِهِ. وَكَذَلِكَ أَيْضًا مَا رَوَيْنَاهُ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ وَمَا رَوَيْنَاهُ عَنْهُ أَنَّهَا تَجْمَعُ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ بِغُسْلٍ وَمَا رَوَيْنَاهُ عَنْهُ أَنَّهَا تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا , ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ إِنَّمَا اخْتَلَفَتْ أَقْوَالُهُ فِي ذَلِكَ لِاخْتِلَافِ الِاسْتِحَاضَةِ الَّتِي أَفْتَى فِيهَا بِذَلِكَ. وَأَمَّا مَا رَوَوْا عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي اغْتِسَالِهَا لِكُلِّ صَلَاةٍ , فَوَجْهُ ذَلِكَ عِنْدَنَا أَنَّهَا كَانَتْ تَتَعَالَجُ بِهِ. فَهَذَا حُكْمُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ , وَهِيَ الَّتِي يُحْتَجُّ بِهَا فِيهِ. ثُمَّ اخْتَلَفَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ. فَقَالَ بَعْضُهُمْ: تَتَوَضَّأُ لِوَقْتِ كُلِّ صَلَاةٍ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ وَزُفَرَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ , وَلَا يَعْرِفُونَ ذِكْرَ الْوَقْتِ فِي ذَلِكَ. فَأَرَدْنَا نَحْنُ أَنْ نَسْتَخْرِجَ مِنَ الْقَوْلَيْنِ , قَوْلًا صَحِيحًا. فَرَأَيْنَاهُمْ قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّهَا إِذَا تَوَضَّأَتْ فِي وَقْتِ صَلَاةٍ , فَلَمْ تُصَلِّ حَتَّى خَرَجَ الْوَقْتُ , فَأَرَادَتْ أَنْ تُصَلِّيَ بِذَلِكَ الْوُضُوءِ، أَنَّهُ لَيْسَ ذَلِكَ لَهَا حَتَّى تَتَوَضَّأَ وُضُوءًا جَدِيدًا. وَرَأَيْنَاهَا لَوْ تَوَضَّأَتْ فِي وَقْتِ صَلَاةٍ فَصَلَّتْ , ثُمَّ أَرَادَتْ أَنْ تَتَطَوَّعَ بِذَلِكَ الْوُضُوءِ كَانَ ذَلِكَ لَهَا مَا دَامَتْ فِي الْوَقْتِ.فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا أَنَّ الَّذِي يَنْقُضُ تَطَهُّرَهَا هُوَ خُرُوجُ الْوَقْتِ , وَأَنَّ وُضُوءَهَا يُوجِبُهُ الْوَقْتُ لَا الصَّلَاةُ , وَقَدْ رَأَيْنَاهَا لَوْ فَاتَتْهَا صَلَوَاتٌ , فَأَرَادَتْ أَنْ تَقْضِيَهُنَّ كَانَ لَهَا أَنْ تَجْمَعَهُنَّ فِي وَقْتِ صَلَاةٍ وَاحِدَةٍ بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ. فَلَوْ كَانَ الْوُضُوءُ يَجِبُ عَلَيْهَا لِكُلِّ صَلَاةٍ , لَكَانَ يَجِبُ أَنْ تَتَوَضَّأَ لِكُلِّ صَلَاةٍ مِنَ الصَّلَوَاتِ الْفَائِتَاتِ. فَلَمَّا كَانَتْ تُصَلِّيهِنَّ جَمِيعًا بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْوُضُوءَ الَّذِي يَجِبُ عَلَيْهَا , هُوَ لِغَيْرِ الصَّلَاةِ , وَهُوَ الْوَقْتُ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى , أَنَّا قَدْ رَأَيْنَا الطَّهَارَاتِ تَنْتَقِضُ بِأَحْدَاثٍ , مِنْهَا الْغَائِطُ , وَالْبَوْلُ. وَطِهَارَاتٍ تَنْتَقِضُ بِخُرُوجِ أَوْقَاتٍ , وَهِيَ الطَّهَارَةُ بِالْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ , يَنْقُضُهَا خُرُوجُ وَقْتِ الْمُسَافِرِ وَخُرُوجُ وَقْتِ الْمُقِيمِ. وَهَذِهِ الطَّهَارَاتُ الْمُتَّفَقُ عَلَيْهَا , لَمْ نَجِدْ فِيمَا يَنْقُضُهَا صَلَاةً , إِنَّمَا يَنْقُضُهَا حَدَثٌ , أَوْ خُرُوجُ وَقْتٍ. وَقَدْ ثَبَتَ أَنَّ طَهَارَةَ الْمُسْتَحَاضَةِ , طَهَارَةٌ يَنْقُضُهَا الْحَدَثُ وَغَيْرُ الْحَدَثِ. فَقَالَ قَوْمٌ: هَذَا الَّذِي هُوَ غَيْرُ الْحَدَثِ , هُوَ خُرُوجُ الْوَقْتِ. وَقَالَ آخَرُونَ: هُوَ فَرَاغٌ مِنْ صَلَاةٍ , وَلَمْ نَجِدِ الْفَرَاغَ مِنَ الصَّلَاةِ حَدَثًا فِي شَيْءٍ غَيْرَ ذَلِكَ , وَقَدْ وَجَدْنَا خُرُوجَ الْوَقْتِ حَدَثًا فِي غَيْرِهِ. فَأَوْلَى الْأَشْيَاءِ أَنْ نَرْجِعَ فِي هَذَا الْحَدَثِ الْمُخْتَلَفِ فِيهِ , فَنَجْعَلَهُ كَالْحَدَثِ الَّذِي قَدْ أُجْمِعَ عَلَيْهِ وَوُجِدَ لَهُ أَصْلٌ وَلَا نَجْعَلَهُ كَمَا لَمْ يُجْمَعْ عَلَيْهِ , وَلَمْ نَجِدْ لَهُ أَصْلًا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ قَوْلُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ وَقْتِ صَلَاةٍ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান