শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৯০
১৮- দুগ্ধ পোষ্য ছেলে এবং মেয়ের পেশাবের বিধান
৫৯০. আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ).... আলী (রাযিঃ) এর বরাতে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি দুগ্ধপোষ্য শিশুর ব্যাপারে বলেছেনঃ দুগ্ধপোষ্য মেয়ের পেশাব ধৌত করতে হবে, আর দুগ্ধ পোষ্য ছেলের পেশাবে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
بَابُ حُكْمِ بَوْلِ الْغُلَامِ وَالْجَارِيَةِ قَبْلَ أَنْ يَأْكُلَا الطَّعَامَ
590 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ، قَالَ: ثنا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي حَرْبِ بْنِ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ فِي الرَّضِيعِ: «يُغْسَلُ بَوْلُ الْجَارِيَةِ , وَيُنْضَحُ بَوْلُ الْغُلَامِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯২
দুগ্ধ পোষ্য ছেলে এবং মেয়ের পেশাবের বিধান
৫৯১-৫৯২. ইবন আবী দাউদ (রাহঃ).... লুবাবা বিনত হারিস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার হুসাইন ইবন আলী (রাযিঃ) নবী (ﷺ)-এর শরীরে পেশাব করে দেন। আমি বললাম, আপনার কাপড়খানা আমাকে দিন, তা ধৌত করে দিব। তিনি বললেনঃ দুগ্ধপোষ্য মেয়ের পেশাব ধৌত করতে হয় এবং দুগ্ধপোষ্য ছেলের পেশাবে পানি ছিটিয়ে দিতে হয়।
ফাহাদ (রাহঃ).... আবুল আহওয়াস (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ফাহাদ (রাহঃ).... আবুল আহওয়াস (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
591 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ قَابُوسِ بْنِ الْمُخَارِقِ، عَنْ لُبَابَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ: أَنَّ الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , بَالَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقُلْتُ: أَعْطِنِي ثَوْبَكَ أَغْسِلْهُ فَقَالَ: «إِنَّمَا يُغْسَلُ مِنَ الْأُنْثَى , وَيُنْضَحُ مِنْ بَوْلِ الذَّكَرِ»
592 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ
592 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৫৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯৪
দুগ্ধ পোষ্য ছেলে এবং মেয়ের পেশাবের বিধান
৫৯৩-৫৯৪. ইউনুস (রাহঃ)..... উম্মু কায়স বিনত মিহসান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি একবার তাঁর দুগ্ধপোষ্য পুত্রকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর দরবারে উপস্থিত হলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে কোলে বসালেন। তারপর সে তাঁর কাপড়ে পেশাব করে দিল। তিনি পানি চেয়ে এনে তাতে ছিটিয়ে দিলেন, কিন্তু তা ধৌত করেন নি।
ইউনুস (রাহঃ)..... যুহ্বী (রাহঃ) থকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ইউনুস (রাহঃ)..... যুহ্বী (রাহঃ) থকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
593 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، وَاللَّيْثُ , وَعَمْرٌو , وَيُونُسُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ أُمِّ قَيْسٍ بِنْتِ مِحْصَنٍ «أَنَّهَا أَتَتْ بِابْنٍ لَهَا لَمْ يَأْكُلِ الطَّعَامَ , إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَجْلَسَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حِجْرِهِ , فَبَالَ عَلَى ثَوْبِهِ , فَدَعَا بِمَاءٍ , فَنَضَحَهُ وَلَمْ يَغْسِلْهُ»
594 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ
594 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৯৫
দুগ্ধ পোষ্য ছেলে এবং মেয়ের পেশাবের বিধান
৫৯৫. ইবন খুযায়মা (রাহঃ)...... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার নবী (ﷺ)-এর নিকটে একটি শিশুকে নিয়ে আসা হয়, যেন তিনি তাকে 'তাহনীক' (খেজুর ইত্যাদি চিবিয়ে শিশুর মুখে দেয়া) এবং দু'আ করেন। সে তাঁর গায়ে পেশাব করে দিল। তিনি পানি চেয়ে এনে তাতে ছিটিয়ে দিলেন। কিন্তু তা ধৌত করেন নি।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর বিশ্লেষণ
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবীর (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম দুগ্ধপোষ্য ছেলে এবং মেয়ের পেশাবের মাঝে পার্থক্য করে বলেছেনঃ ছেলের পেশাব পাক এবং মেয়ের পেশাব নাপাক।
পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করে তাদের উভয়ের (ছেলে-মেয়ে) পেশারকে অভিন্নভাবে নাপাক সাব্যস্ত করেছেন। তাঁরা বলেছেন, নবী (ﷺ)-এর উক্তি "দুগ্ধপোষ্য ছেলের পেশাবে পানি ছিটিয়ে দাও" এতে সম্ভাবনা আছে যে, তিনি ছিটানো দ্বারা তাতে পানি প্রবাহিত করা বুঝিয়েছেন। আরবগণ একে ছিটানো দ্বারা ব্যক্ত করে। এ থেকেই নবী (ﷺ)-এর উক্তি এসেছেঃ “আমি এরূপ একটি নগরী সম্পর্কে অবহিত আছি, সমুদ্রের ঢেউ যার তীরে আছড়িয়ে পড়ে।” বস্তুত এখানে النفح দ্বারা ছিটানো বুঝানো হয়নি, বরং পানি এর তীরে মিলিত হয়ে যায়, একথা বুঝিয়েছেন।
ফকীহদের মত
ফকীহ আলিমগণ বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উভয়ের মাঝে পার্থক্য এজন্য করেছেন যে, দুগ্ধপোষ্য ছেলের পেশাব নির্গত হওয়ার স্থান সংকীর্ণ হওয়ার কারণে একস্থানে পতিত হয়; পক্ষান্তরে মেয়ের পেশাব নির্গত হওয়ার স্থান প্রশস্ত হওয়ার কারণে বিক্ষিপ্তভাবে পতিত হয়। সুতরাং তিনি (ﷺ) দুগ্ধপোষ্য ছেলের পেশাবের ব্যাপারে পানি ছিটানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং এতে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল এক স্থানে পানি ঢালা। আর দুগ্ধপোষ্য মেয়ের পেশাবকে ধৌত করার দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য ধারাবাহিক পানি ঢালা। যেহেতু তা বিভিন্ন স্থানে পতিত হয়। এতে এমন সম্ভাবনা রয়েছে যা আমরা উল্লেখ করেছি।
কতেক পূর্ববর্তী মনীষীদের এরূপ উক্তি বর্ণিত আছে, যা এর সপক্ষে প্রমাণ বহন করে তা থেকে কিছু নিম্নরূপঃ
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর বিশ্লেষণ
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবীর (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম দুগ্ধপোষ্য ছেলে এবং মেয়ের পেশাবের মাঝে পার্থক্য করে বলেছেনঃ ছেলের পেশাব পাক এবং মেয়ের পেশাব নাপাক।
পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করে তাদের উভয়ের (ছেলে-মেয়ে) পেশারকে অভিন্নভাবে নাপাক সাব্যস্ত করেছেন। তাঁরা বলেছেন, নবী (ﷺ)-এর উক্তি "দুগ্ধপোষ্য ছেলের পেশাবে পানি ছিটিয়ে দাও" এতে সম্ভাবনা আছে যে, তিনি ছিটানো দ্বারা তাতে পানি প্রবাহিত করা বুঝিয়েছেন। আরবগণ একে ছিটানো দ্বারা ব্যক্ত করে। এ থেকেই নবী (ﷺ)-এর উক্তি এসেছেঃ “আমি এরূপ একটি নগরী সম্পর্কে অবহিত আছি, সমুদ্রের ঢেউ যার তীরে আছড়িয়ে পড়ে।” বস্তুত এখানে النفح দ্বারা ছিটানো বুঝানো হয়নি, বরং পানি এর তীরে মিলিত হয়ে যায়, একথা বুঝিয়েছেন।
ফকীহদের মত
ফকীহ আলিমগণ বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উভয়ের মাঝে পার্থক্য এজন্য করেছেন যে, দুগ্ধপোষ্য ছেলের পেশাব নির্গত হওয়ার স্থান সংকীর্ণ হওয়ার কারণে একস্থানে পতিত হয়; পক্ষান্তরে মেয়ের পেশাব নির্গত হওয়ার স্থান প্রশস্ত হওয়ার কারণে বিক্ষিপ্তভাবে পতিত হয়। সুতরাং তিনি (ﷺ) দুগ্ধপোষ্য ছেলের পেশাবের ব্যাপারে পানি ছিটানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং এতে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল এক স্থানে পানি ঢালা। আর দুগ্ধপোষ্য মেয়ের পেশাবকে ধৌত করার দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য ধারাবাহিক পানি ঢালা। যেহেতু তা বিভিন্ন স্থানে পতিত হয়। এতে এমন সম্ভাবনা রয়েছে যা আমরা উল্লেখ করেছি।
কতেক পূর্ববর্তী মনীষীদের এরূপ উক্তি বর্ণিত আছে, যা এর সপক্ষে প্রমাণ বহন করে তা থেকে কিছু নিম্নরূপঃ
595 - حَدَّثَنَا ابْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ، قَالَ: أنا زَائِدَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِصَبِيٍّ يُحَنِّكُهُ وَيَدْعُو لَهُ , فَبَالَ عَلَيْهِ , فَدَعَا بِمَاءٍ , فَنَضَحَهُ وَلَمْ يَغْسِلْهُ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى التَّفْرِيقِ بَيْنَ حُكْمِ بَوْلِ الْغُلَامِ , وَبَوْلِ الْجَارِيَةِ قَبْلَ أَنْ يَأْكُلَا الطَّعَامَ. فَقَالُوا: بَوْلُ الْغُلَامِ طَاهِرٌ , وَبَوْلُ الْجَارِيَةِ نَجِسٌ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَسَوَّوْا بَيْنَ بَوْلَيْهِمَا جَمِيعًا , وَجَعَلُوهُمَا نَجِسَيْنِ. وَقَالُوا: قَدْ يَحْتَمِلُ قَوْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «بَوْلُ الْغُلَامِ يُنْضَحُ» إِنَّمَا أَرَادَ بِالنَّضْحِ صَبَّ الْمَاءِ عَلَيْهِ. فَقَدْ تُسَمِّي الْعَرَبُ ذَلِكَ نَضْحًا وَمِنْهُ قَوْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّي لَأَعْرِفُ مَدِينَةً يَنْضَحُ الْبَحْرُ بِجَانِبِهَا , فَلَمْ يَعْنِ بِذَلِكَ النَّضْحِ الرَّشَّ. وَلَكِنَّهُ أَرَادَ يَلْزَقُ بِجَانِبِهَا قَالُوا: وَإِنَّمَا فَرَّقَ بَيْنَهُمَا , لِأَنَّ بَوْلَ الْغُلَامِ يَكُونُ فِي مَوْضِعٍ وَاحِدٍ , لِضِيقِ مَخْرَجِهِ , وَبَوْلُ الْجَارِيَةِ يَتَفَرَّقُ , لِسَعَةِ مَخْرَجِهِ. فَأَمَرَ فِي بَوْلِ الْغُلَامِ بِالنَّضْحِ: يُرِيدُ صَبَّ الْمَاءِ فِي مَوْضِعٍ وَاحِدٍ , وَأَرَادَ بِغَسْلِ بَوْلِ الْجَارِيَةِ أَنْ يُتَتَبَّعَ بِالْمَاءِ , لِأَنَّهُ يَقَعُ فِي مَوَاضِعَ مُتَفَرِّقَةٍ , وَهَذَا مُحْتَمَلٌ لِمَا ذَكَرْنَاهُ
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ بَعْضِ الْمُتَقَدِّمِينَ , مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ. فَمِنْ ذَلِكَ
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ بَعْضِ الْمُتَقَدِّمِينَ , مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ. فَمِنْ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৯৬
দুগ্ধ পোষ্য ছেলে এবং মেয়ের পেশাবের বিধান
৫৯৬. মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ).... সাঈদ ইবন মুসাইয়াব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ সমস্ত পেশাবে ছিটানোর সঙ্গে ছিটানো এবং প্রবাহিত করার সঙ্গে প্রবাহিত করা।
596 - مَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , أَنَّهُ قَالَ: «الرَّشُّ بِالرَّشِّ , وَالصَّبُّ بِالصَّبِّ , مِنَ الْأَبْوَالِ كُلِّهَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৯৭
দুগ্ধ পোষ্য ছেলে এবং মেয়ের পেশাবের বিধান
৫৯৭. মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ).... হাসান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, দুগ্ধপোষ্য মেয়ের পেশাব উত্তমরূপে ধৌত করতে হবে এবং দুগ্ধপোষ্য ছেলের পেশাবে ধারাবাহিকভাবে পানি ঢালতে হবে।
বিশ্লেষণ
আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন না যে, সাঈদ (রাহঃ) শিশু এবং অন্যদের সমস্ত পেশাবের অভিন্ন বিধান সাব্যস্ত করেছেন। এর থেকে যা ছিটানো অবস্থায় হবে তা পানি ছিটানো দ্বারা পাক হয়ে যাবে। এবং যা প্রবাহিত হওয়ার অবস্থায় হবে তা পানি প্রবাহিত করার দ্বারা পাক হয়ে যাবে। এই অর্থ নয় যে, তাঁর নিকট কিছু (পেশাব) পাক এবং কিছু নাপাক। বরং তাঁর নিকট সমস্ত (পেশাব) নাপাক। তবে তিনি নির্গত হওয়ার স্থান সংকীর্ণ এবং প্রশস্ত হওয়ার কারণে এর অপবিত্রতা থেকে পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতিগত পার্থক্য বর্ণনা করেছেন।
তারপর আমরা ইচ্ছা পোষণ করেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীস সমূহ দেখব, তাতে কি এরূপ কোন রিওয়ায়াত আছে, যা আমাদের উল্লিখিত ব্যাখ্যার স্বপক্ষে প্রমাণ বহন করে। এতে আমরা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াতসমূহ লক্ষ্য করেছিঃ
বিশ্লেষণ
আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন না যে, সাঈদ (রাহঃ) শিশু এবং অন্যদের সমস্ত পেশাবের অভিন্ন বিধান সাব্যস্ত করেছেন। এর থেকে যা ছিটানো অবস্থায় হবে তা পানি ছিটানো দ্বারা পাক হয়ে যাবে। এবং যা প্রবাহিত হওয়ার অবস্থায় হবে তা পানি প্রবাহিত করার দ্বারা পাক হয়ে যাবে। এই অর্থ নয় যে, তাঁর নিকট কিছু (পেশাব) পাক এবং কিছু নাপাক। বরং তাঁর নিকট সমস্ত (পেশাব) নাপাক। তবে তিনি নির্গত হওয়ার স্থান সংকীর্ণ এবং প্রশস্ত হওয়ার কারণে এর অপবিত্রতা থেকে পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতিগত পার্থক্য বর্ণনা করেছেন।
তারপর আমরা ইচ্ছা পোষণ করেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীস সমূহ দেখব, তাতে কি এরূপ কোন রিওয়ায়াত আছে, যা আমাদের উল্লিখিত ব্যাখ্যার স্বপক্ষে প্রমাণ বহন করে। এতে আমরা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াতসমূহ লক্ষ্য করেছিঃ
597 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّهُ قَالَ: «بَوْلُ الْجَارِيَةِ يُغْسَلُ غَسْلًا , وَبَوْلُ الْغُلَامِ يُتَّبَعُ بِالْمَاءِ» أَفَلَا تَرَى أَنَّ سَعِيدًا قَدْ سَوَّى بَيْنَ حُكْمِ الْأَبْوَالِ كُلِّهَا مِنَ الصِّبْيَانِ وَغَيْرِهِمْ؟ فَجَعَلَ مَا كَانَ مِنْهُ رَشًّا , يَطْهُرُ بِالرَّشِّ , وَمَا كَانَ مِنْهُ صَبًّا يَطْهُرُ بِالصَّبِّ. لَيْسَ أَنَّ بَعْضَهَا عِنْدَهُ طَاهِرٌ , وَبَعْضَهَا غَيْرُ طَاهِرٍ , وَلَكِنَّهَا كُلَّهَا عِنْدَهُ نَجِسَةٌ وَفَرْقٌ بَيْنَ التَّطَهُّرِ مِنْ نَجَاسَتِهَا عِنْدَهُ , بِضِيقِ مَخْرَجِهَا وَسَعَتِهِ ثُمَّ أَرَدْنَا بَعْدَ ذَلِكَ , أَنْ نَنْظُرَ فِي الْآثَارِ الْمَأْثُورَةِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , هَلْ فِيهَا مَا يَدُلُّ عَلَى شَيْءٍ مِمَّا ذَكَرْنَا؟ فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَإِذَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯৯
দুগ্ধ পোষ্য ছেলে এবং মেয়ের পেশাবের বিধান
৫৯৮-৫৯৯. মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন ইউনুস (রাহঃ).... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দরবারে শিশুদের আনা হত এবং তিনি তাদের জন্য দু'আ করতেন। একবার একটি শিশু আনা হয় এবং সে তাঁর গায়ে পেশাব করে দেয়। তিনি বললেনঃ তোমরা এর উপর খুব ভালভাবে পানি ঢেলে দাও।
রবী' (রাহঃ)..... মুহাম্মাদ ইবন হাযিম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
রবী' (রাহঃ)..... মুহাম্মাদ ইবন হাযিম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
598 - مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ يُونُسَ , قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: " كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يُؤْتَى بِالصِّبْيَانِ فَيَدْعُو لَهُمْ , فَأُتِيَ بِصَبِيٍّ مَرَّةً , فَبَالَ عَلَيْهِ , فَقَالَ: صُبُّوا عَلَيْهِ الْمَاءَ صَبًّا "
599 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ خَازِمٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
599 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ خَازِمٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬০০
আন্তর্জাতিক নং: ৬০১
দুগ্ধ পোষ্য ছেলে এবং মেয়ের পেশাবের বিধান
৬০০-৬০১. রবী'উল মুয়াযযিন (রাহঃ)..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ)-এর খিদমতে একটি শিশুকে নিয়ে আসা হয় সে তাঁর শরীরে পেশাব করে দেয়। তিনি তাতে পানি ঢেলে দিলেন এবং তা ধৌত করেননি।
ইউনুস (রাহঃ).... হিশাম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি "তা ধৌত করেননি" শব্দমালা বলেন নি।
ব্যাখ্যা
বস্তুত পানি ঢালার বিধান তা-ই, যা ধৌত করার বিধান। তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না, যদি কোন ব্যক্তির কাপড়ে পায়খানা লাগে, এরপর তাতে পানি ঢেলে দেয় এবং তা বিদূরিত হয়ে যায় তাহলে তার কাপড় পাক হয়ে যাবে। এই হাদীসটি যায়দা (রাহঃ) হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ তিনি পানি চেয়ে এনে তাতে ছিটিয়ে দেন। মালিক (রাহঃ), আবু মুআবিয়া (রাহঃ) ও আব্দা (রাহঃ) হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি পানি চেয়ে এনে তাতে ঢেলে দেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, তাঁদের নিকট ছিটানো দ্বারা পানি ঢালা-ই বুঝানো হয়েছে।
ইউনুস (রাহঃ).... হিশাম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি "তা ধৌত করেননি" শব্দমালা বলেন নি।
ব্যাখ্যা
বস্তুত পানি ঢালার বিধান তা-ই, যা ধৌত করার বিধান। তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না, যদি কোন ব্যক্তির কাপড়ে পায়খানা লাগে, এরপর তাতে পানি ঢেলে দেয় এবং তা বিদূরিত হয়ে যায় তাহলে তার কাপড় পাক হয়ে যাবে। এই হাদীসটি যায়দা (রাহঃ) হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ তিনি পানি চেয়ে এনে তাতে ছিটিয়ে দেন। মালিক (রাহঃ), আবু মুআবিয়া (রাহঃ) ও আব্দা (রাহঃ) হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি পানি চেয়ে এনে তাতে ঢেলে দেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, তাঁদের নিকট ছিটানো দ্বারা পানি ঢালা-ই বুঝানো হয়েছে।
600 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِصَبِيٍّ، فَبَالَ عَلَيْهِ , فَأَتْبَعَهُ الْمَاءَ , وَلَمْ يَغْسِلْهُ»
601 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ هِشَامٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ: «وَلَمْ يَغْسِلْهُ» وَإِتْبَاعُ الْمَاءِ حُكْمُهُ حُكْمُ الْغَسْلِ , أَلَا تَرَى أَنَّ رَجُلًا لَوْ أَصَابَ ثَوْبَهُ عَذِرَةٌ , فَأَتْبَعَهَا الْمَاءَ حَتَّى ذَهَبَ بِهَا , أَنَّ ثَوْبَهُ قَدْ طَهُرَ. وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ زَائِدَةُ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ فَقَالَ فِيهِ: فَدَعَا بِمَاءٍ , فَنَضَحَهُ عَلَيْهِ. وَقَالَ: مَالِكٌ , وَأَبُو مُعَاوِيَةَ , وَعَبْدَةُ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ: فَدَعَا بِمَاءٍ , فَصَبَّهُ عَلَيْهِ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ النَّضْحَ عِنْدَهُمُ الصَّبُّ
601 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ هِشَامٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ: «وَلَمْ يَغْسِلْهُ» وَإِتْبَاعُ الْمَاءِ حُكْمُهُ حُكْمُ الْغَسْلِ , أَلَا تَرَى أَنَّ رَجُلًا لَوْ أَصَابَ ثَوْبَهُ عَذِرَةٌ , فَأَتْبَعَهَا الْمَاءَ حَتَّى ذَهَبَ بِهَا , أَنَّ ثَوْبَهُ قَدْ طَهُرَ. وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ زَائِدَةُ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ فَقَالَ فِيهِ: فَدَعَا بِمَاءٍ , فَنَضَحَهُ عَلَيْهِ. وَقَالَ: مَالِكٌ , وَأَبُو مُعَاوِيَةَ , وَعَبْدَةُ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ: فَدَعَا بِمَاءٍ , فَصَبَّهُ عَلَيْهِ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ النَّضْحَ عِنْدَهُمُ الصَّبُّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬০২
আন্তর্জাতিক নং: ৬০৩
দুগ্ধ পোষ্য ছেলে এবং মেয়ের পেশাবের বিধান
৬০২-৬০৩. ফাহাদ (রাহঃ)..... আব্দুর রহমান ইবন লায়লা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত ছিলাম, এমন সময় হাসান (রাযিঃ)-কে নিয়ে আসা হয়। তিনি তাঁর শরীরে পেশাব করেছেন। এতে লোকেরা (তাঁকে উঠানোর জন্য) তাড়াহুড়া করল। তিনি বললেনঃ আমার বংশধর (দৌহিত্র) কে ছেড়ে দাও, আমার বংশধরকে (দৌহিত্র) ছেড়ে দাও। যখন তিনি পেশাব শেষ করলেন তখন তাতে পানি ঢেলে দিলেন।
ফাহাদ (রাহঃ).... ইবন আবী লায়লা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ফাহাদ (রাহঃ).... ইবন আবী লায়লা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
602 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: ثنا ابْنُ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عِيسَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَبِي لَيْلَى، قَالَ: " كُنْتُ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجِيءَ بِالْحَسَنِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَبَالَ عَلَيْهِ , فَأَرَادَ الْقَوْمُ أَنْ يُعْجِلُوهُ , فَقَالَ: «ابْنِي ابْنِي» فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ بَوْلِهِ , صَبَّ عَلَيْهِ الْمَاءَ "
603 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: أنا وَكِيعٌ , عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى , فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ
603 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: أنا وَكِيعٌ , عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى , فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬০৪
দুগ্ধ পোষ্য ছেলে এবং মেয়ের পেশাবের বিধান
৬০৪. ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) আব্দুর রহমান ইবন আবী লায়লা তাঁর পিতা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট বসা ছিলাম। এমতাবস্থায় তাঁর কোলে অথবা বুকে হাসান (রাযিঃ) অথবা হুসাইন (রাযিঃ) ছিলেন। তিনি তাঁর উপর পেশাব করে দিলেন। এমনকি আমি দেখেছি তার পেশাব দ্রুত বয়ে যাচ্ছিল। আমি তাঁর দিকে উঠে দাঁড়ালাম। তিনি বললেন, তাকে ছেড়ে দাও। তারপর তিনি পানি চেয়ে এনে তার উপর ঢেলে দিলেন।
604 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عِيسَى، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى بَطْنِهِ , أَوْ عَلَى صَدْرِهِ , حَسَنٌ أَوْ حُسَيْنٌ , فَبَالَ عَلَيْهِ حَتَّى رَأَيْتُ بَوْلَهُ أَسَارِيعَ فَقُمْنَا إِلَيْهِ , فَقَالَ: «دَعُوهُ فَدَعَا بِمَاءٍ فَصَبَّهُ عَلَيْهِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬০৫
দুগ্ধ পোষ্য ছেলে এবং মেয়ের পেশাবের বিধান
৬০৫. ফাহাদ (রাহঃ).... উম্মুল ফযল (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যখন হুসাইন (রাযিঃ) জন্মগ্রহণ করেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! তাঁকে আমাকে দান করুন, যেন আমি তার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করতে পারি অথবা বলেছেন, আমি তাকে আমার দুগ্ধ পান করাতে পারি। তিনি অনুমতি দিলেন। তারপর আমি তাঁকে (একদিন) নিয়ে এলাম এবং তিনি তাকে তাঁর বুকে নিলেন, শিশুটি তখন পেশাব করেছে, যা তাঁর চাদরে লেগে যায়। আমি বললাম! হে আল্লাহর রাসূল! আপনার চাদরটি আমাকে দিন, আমি তা ধৌত করে দিব। তিনি বললেনঃ দুগ্ধপোষ্য ছেলের পেশাবে পানি ঢেলে দিতে হবে এবং দুগ্ধপোষ্য মেয়ের পেশাব ধৌত করতে হবে।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর ব্যাখ্যা
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেছেনঃ উন্মুল ফযল (রাযিঃ)-এর এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, দুগ্ধপোষ্য ছেলের পেশাবে পানি ঢেলে দিতে হবে। পক্ষান্তরে তারই হাদীসে যা আমরা অনুচ্ছেদের শুরুভাগে উল্লেখ করেছি- ব্যক্ত হয়েছে যে, ছেলের পেশাবে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। যখন বিষয়টি এরূপ, যা আমরা উল্লেখ করেছি, তাহলে সাব্যস্ত হল যে, প্রথমোক্ত হাদীসে যে ছিটানোর কথা উল্লেখ রয়েছে তাতে পানি ঢেলে দেয়াই বুঝানো হয়েছে, যা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। এভাবে উভয় হাদীসে বৈপরিত্য থাকে না। আর আবু লায়লা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসও এর বিরোধী নয়। তিনি নবী তাকে দেখছেন যে, তিনি পেশাবে পানি ঢেলেছেন। সুতরাং এই সমস্ত হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত হল যে, দুগ্ধপোষ্য ছেলের পেশাবকেও ধৌত করার বিধান। তবে সেই ধৌত করার মধ্যে শুধু পানি প্রবাহিত করে দেয়াই যথেষ্ট এবং দুগ্ধপোষ্য মেয়ের পেশাবকেও ধৌত করার বিধান। তিনি উভয়ের মাঝে (বিধান বর্ণনা করতে গিয়ে) শাব্দিক পার্থক্য করেছেন, যদিও উভয়টি অর্থগতভাবে অভিন্ন। উক্ত পার্থক্যের কারণ পেশাব বের হওয়ার স্থান সংকীর্ণ এবং প্রশস্ত হওয়া, যা আমরা উল্লেখ করেছি। বস্তুত এটাই হচ্ছে হাদীস সমূহ বর্ণনার নিরিখে এই অনুচ্ছেদের বিশ্লেষণ।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ) এর যুক্তি-ভিত্তিক প্রমাণ
অতএব যুক্তির নিরিখে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বর্ণনা নিম্নরূপঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, দুগ্ধপোষ্য ছেলে এবং মেয়ে আহার শুরু করার পর তাদের উভয়ের পেশাবের বিধান অভিন্ন। সুতরাং যুক্তির দাবি হচ্ছে যে, উভয়ে আহার শুরু করার পূর্বে (দুগ্ধপোষ্য অবস্থায়) ও উভয়টি অভিন্ন হবে। যেহেতু দুগ্ধপোষ্য মেয়ের পেশাব নাপাক, তাই দুগ্ধপোষ্য ছেলের পেশাবও নাপাক। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর ব্যাখ্যা
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেছেনঃ উন্মুল ফযল (রাযিঃ)-এর এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, দুগ্ধপোষ্য ছেলের পেশাবে পানি ঢেলে দিতে হবে। পক্ষান্তরে তারই হাদীসে যা আমরা অনুচ্ছেদের শুরুভাগে উল্লেখ করেছি- ব্যক্ত হয়েছে যে, ছেলের পেশাবে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। যখন বিষয়টি এরূপ, যা আমরা উল্লেখ করেছি, তাহলে সাব্যস্ত হল যে, প্রথমোক্ত হাদীসে যে ছিটানোর কথা উল্লেখ রয়েছে তাতে পানি ঢেলে দেয়াই বুঝানো হয়েছে, যা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। এভাবে উভয় হাদীসে বৈপরিত্য থাকে না। আর আবু লায়লা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসও এর বিরোধী নয়। তিনি নবী তাকে দেখছেন যে, তিনি পেশাবে পানি ঢেলেছেন। সুতরাং এই সমস্ত হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত হল যে, দুগ্ধপোষ্য ছেলের পেশাবকেও ধৌত করার বিধান। তবে সেই ধৌত করার মধ্যে শুধু পানি প্রবাহিত করে দেয়াই যথেষ্ট এবং দুগ্ধপোষ্য মেয়ের পেশাবকেও ধৌত করার বিধান। তিনি উভয়ের মাঝে (বিধান বর্ণনা করতে গিয়ে) শাব্দিক পার্থক্য করেছেন, যদিও উভয়টি অর্থগতভাবে অভিন্ন। উক্ত পার্থক্যের কারণ পেশাব বের হওয়ার স্থান সংকীর্ণ এবং প্রশস্ত হওয়া, যা আমরা উল্লেখ করেছি। বস্তুত এটাই হচ্ছে হাদীস সমূহ বর্ণনার নিরিখে এই অনুচ্ছেদের বিশ্লেষণ।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ) এর যুক্তি-ভিত্তিক প্রমাণ
অতএব যুক্তির নিরিখে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বর্ণনা নিম্নরূপঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, দুগ্ধপোষ্য ছেলে এবং মেয়ে আহার শুরু করার পর তাদের উভয়ের পেশাবের বিধান অভিন্ন। সুতরাং যুক্তির দাবি হচ্ছে যে, উভয়ে আহার শুরু করার পূর্বে (দুগ্ধপোষ্য অবস্থায়) ও উভয়টি অভিন্ন হবে। যেহেতু দুগ্ধপোষ্য মেয়ের পেশাব নাপাক, তাই দুগ্ধপোষ্য ছেলের পেশাবও নাপাক। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
605 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ: ثنا شَرِيكٌ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ قَابُوسٍ، عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ، قَالَتْ: " لَمَّا وُلِدَ الْحُسَيْنُ , قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ أَعْطِنِيهِ , أَوِ ادْفَعْهُ إِلَيَّ فَلِأَكْفُلْهُ أَوْ أُرْضِعْهُ بِلَبَنِي فَفَعَلَ. فَأَتَيْتُهُ بِهِ فَوَضَعَهُ عَلَى صَدْرِهِ فَبَالَ عَلَيْهِ فَأَصَابَ إِزَارَهُ , فَقُلْتُ لَهُ: يَا رَسُولَ اللهِ , أَعْطِنِي إِزَارَكَ أَغْسِلْهُ. قَالَ: «إِنَّمَا يُصَبُّ عَلَى بَوْلِ الْغُلَامِ , وَيُغْسَلُ بَوْلُ الْجَارِيَةِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذِهِ أُمُّ الْفَضْلِ فِي حَدِيثِهَا هَذَا , إِنَّمَا يُصَبُّ عَلَى بَوْلِ الْغُلَامِ. وَفِي حَدِيثِهَا الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي الْفَصْلِ الْأَوَّلِ , إِنَّمَا يُنْضَحُ مِنْ بَوْلِ الْغُلَامِ. فَلَمَّا كَانَ مَا ذَكَرْنَاهُ كَذَلِكَ , ثَبَتَ أَنَّ النَّضْحَ الَّذِي أَرَادَ بِهِ فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ , هُوَ الصَّبُّ الْمَذْكُورُ هَاهُنَا , حَتَّى لَا يَتَضَادَّ الْأَثَرَانِ. وَهَذَا أَبُو لَيْلَى فَلَمْ يَخْتَلِفْ عَنْهُ أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَبَّ عَلَى الْبَوْلِ الْمَاءَ. فَثَبَتَ بِهَذِهِ الْآثَارِ أَنَّ حُكْمَ بَوْلِ الْغُلَامِ هُوَ الْغَسْلُ , إِلَّا أَنَّ ذَلِكَ الْغَسْلَ , يُجْزِئُ مِنْهُ الصَّبُّ , وَأَنَّ حُكْمَ بَوْلِ الْجَارِيَةِ هُوَ الْغَسْلُ أَيْضًا. وَفَرَّقَ فِي اللَّفْظِ بَيْنَهُمَا وَإِنْ كَانَا مُسْتَوِيَيْنِ فِي الْمَعْنَى , لِلْعِلَّةِ الَّتِي ذَكَرْنَا , مِنْ ضِيقِ الْمَخْرَجِ وَسَعَتِهِ. فَهَذَا حُكْمُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ , وَأَمَّا وَجْهُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا رَأَيْنَا الْغُلَامَ وَالْجَارِيَةَ , حُكْمُ أَبْوَالِهِمَا سَوَاءٌ , بَعْدَمَا يَأْكُلَانِ الطَّعَامَ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ أَيْضًا سَوَاءً قَبْلَ أَنْ يَأْكُلَا الطَّعَامَ , فَإِذَا كَانَ بَوْلُ الْجَارِيَةِ نَجِسًا فَبَوْلُ الْغُلَامِ أَيْضًا نَجِسٌ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: