শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৯
১২. অনুচ্ছেদঃ ‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৬৩.ইবন মারজূক (রাহঃ)...... হাম্মাদ ইবন হারিস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি একবার আয়িশা (রাযিঃ)-এর নিকট (মেহমানরুপে) অবস্থান করেছিলেন। তার স্বপ্নদোষ হয়ে যায়। এরপর আয়িশা (রাযিঃ)-এর জনৈকা দাসী তাঁকে দেখলেন যে, তিনি কাপড় থেকে জানাবাত তথা বীর্যের দাগ ধৌত করছিলেন বা কাপড় ধৌত করছিলেন। দাসী তা আয়িশা (রাযিঃ)-কে অবহিত করে। এতে আয়িশা (রাযিঃ) বললেনঃ আমার অভিজ্ঞতা হল এই যে, আমি নিজে রাসূলুল্লাহ (স)-এর কাপড় থেকে তা রগড়ে ঘষা ব্যতীত অতিরিক্ত কিছুই করিনি।
২৬৪.আবু বাকরা (রাহঃ)...... হাকাম (রাহঃ) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন।
২৬৫.ফাহাদ (রাহঃ)...... হাম্মাম (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৬৬.আবু বাকরা (রাহঃ)....... হাম্মাম (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৬৭. ফাহাদ (রাহঃ)....... আ’মাশ (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৬৮. ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)....... আয়িশা (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৬৯. ফাহাদ (রাহঃ)...... হাম্মাম (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন।
২৬৪.আবু বাকরা (রাহঃ)...... হাকাম (রাহঃ) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন।
২৬৫.ফাহাদ (রাহঃ)...... হাম্মাম (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৬৬.আবু বাকরা (রাহঃ)....... হাম্মাম (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৬৭. ফাহাদ (রাহঃ)....... আ’মাশ (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৬৮. ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)....... আয়িশা (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৬৯. ফাহাদ (রাহঃ)...... হাম্মাম (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন।
بَابُ حُكْمِ الْمَنِيِّ هَلْ هُوَ طَاهِرٌ أَمْ نَجَسٌ؟
263 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ الْحَارِثِ أَنَّهُ كَانَ نَازِلًا عَلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , فَاحْتَلَمَ , فَرَأَتْهُ جَارِيَةٌ لِعَائِشَةَ , وَهُوَ يَغْسِلُ أَثَرَ الْجَنَابَةِ مِنْ ثَوْبِهِ , أَوْ يَغْسِلُ ثَوْبَهُ , فَأَخْبَرَتْ بِذَلِكَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , فَقَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: «لَقَدْ رَأَيْتُنِي وَمَا أَزِيدُ عَلَى أَنْ أَفْرُكَهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
264 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ شُعْبَةُ: أنا عَنِ الْحَكَمِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
265 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا نَحْوَهُ
266 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامٍ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ.
267 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عَلِيٌّ، قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ، عَنْ زَيْدٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ.
268 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: أنا حَفْصٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، وَهَمَّامٍ عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , مِثْلَهُ
269 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ، قَالَ: ثنا شَرِيكٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ
264 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ شُعْبَةُ: أنا عَنِ الْحَكَمِ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
265 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا نَحْوَهُ
266 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامٍ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ.
267 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عَلِيٌّ، قَالَ: ثنا عُبَيْدِ اللهِ، عَنْ زَيْدٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ.
268 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: أنا حَفْصٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، وَهَمَّامٍ عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , مِثْلَهُ
269 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ، قَالَ: ثنا شَرِيكٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৭০
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৭০.আবু বাকরা (রাহঃ)...... হাম্মাম (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি এতে বলেছেন, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, আমি নিজে কাপড় থেকে তা রগড়ানো ব্যতীত অতিরিক্ত কিছু করিনি, যখন তা শুকিয়ে যেত তখন তা ঘষে ফেলতাম।
بَابُ حُكْمِ الْمَنِيِّ هَلْ هُوَ طَاهِرٌ أَمْ نَجَسٌ؟
270 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «لَقَدْ رَأَيْتُنِي وَمَا أَزِيدُ عَلَى أَنْ أَحُتَّهُ مِنَ الثَّوْبِ فَإِذَا جَفَّ دَلَّكْتُهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৭১
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৭১.ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)...... আসওয়াদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আয়িশা (রাযিঃ) আমাকে দেখেন, আমি আমার কাপড় থেকে বীর্য ধৌত করছি। তিনি বললেন, আমি নিজে দেখছি যে, রাসূলুল্লাহ (স)-এর কাপড়ে-এর দাগ লেগেছে, তখন তিনি এরুপ করা অর্থাৎ ঘর্ষণ করা ব্যতীত অতিরিক্ত কিছু করতেন না।
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
271 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنُ أَسْمَاءَ، قَالَ: ثنا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ: ثنا وَاصِلٌ الْأَحْدَبُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ، عَنِ الْأَسْوَدِ، قَالَ: لَقَدْ رَأَتْنِي عَائِشَةُ , وَأَنَا أَغْسِلُ، جَنَابَةً مِنْ ثَوْبِي فَقَالَتْ: «لَقَدْ رَأَيْتُنِي وَإِنَّهُ لَيُصِيبُ ثَوْبَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا يَزِيدُ عَلَى أَنْ يَفْعَلَ بِهِ هَكَذَا» تَعْنِي يَفْرُكُهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৭২
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৩
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৭২.ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)...... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (স)-এর কাপড় থেকে মনী’র (দাগ) রগড়ে ঘষে পরিষ্কার করে দিতাম।
২৭৩.ইবন আবী দাউদ (রাযিঃ)....... হারিস ইবন নওফাল (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৭৩.ইবন আবী দাউদ (রাযিঃ)....... হারিস ইবন নওফাল (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
272 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا دُحَيْمٌ، قَالَ: ثنا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ: ثنا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كُنْتُ أَفْرُكُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَعْنِي الْمَنِيَّ»
273 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ
273 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৭৪
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৭৪.ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)....... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (স)-এর চাদর থেকে মনী ঘষে দিতাম। আর সে সময়ে আমাদের চাদরসমূহ ছিল পশমের।
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
274 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي السَّرِيِّ، قَالَ: ثنا مُبَشِّرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: ثنا جَعْفَرُ بْنُ بُرْقَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: «كُنْتُ أَفْرُكُ الْمَنِيَّ مِنْ مِرْطِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَتْ مِرْطُنَا يَوْمَئِذٍ الصُّوفَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৭৫
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৭৫.আহমদ ইবন আব্দুল্লাহ (রাহঃ)...... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (স)-এর কাপড় থেকে মনী রগড়ে-ঘষে পরিষ্কার করে দিতাম, যদি তা শুকানো হত। আর তা আর্দ্র হলে ধৌত করে দিতাম বা ‘মুছে দিতাম’ (রাবী হুমায়দীর সন্দেহ)।
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
275 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحِيمِ الْبَرْقِيُّ، قَالَ: ثنا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: «كُنْتُ أَفْرُكُ الْمَنِيَّ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , إِذَا كَانَ يَابِسًا , وَأَغْسِلُهُ أَوْ أَمْسَحُهُ , إِذَا كَانَ رَطْبًا» شَكَّ الْحُمَيْدِيُّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৭৬
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৭৬.ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)....... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি রালুল্লাহ (স)-এর কাপড় থেকে মনী রগড়ে-ঘষে পরিষ্কার করে দিতাম।
ইমাম আবু জা’ফর আহমদ ইবন মুহাম্মাদ তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ কিছু সংখ্যক আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, মনী পাক (পবিত্র), যদি তা পানিতে পতিত হয় এতে পানি নাপাক করবে না এবং এর বিধান হচ্ছে নাকের ময়লার বিধানের অনুরুপ। তাঁরা এই বিষয়ে উল্লিখিত রিওয়ায়াতসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন।
পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ বরং তা হচ্ছে নাপাক (অপিবত্র)। তাঁরা বলেছেন, এই সমস্ত হাদীসে তোমাদের স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নাই। কারণ এই সমস্ত হাদীস ঘুমানোর কাপড় সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, সালাত আদায়ের কাপড় সম্পর্কে নয়। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, পেশাব, পায়খানা ও রক্তযুক্ত নাপাক কাপড়ে ঘুমাতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু তাতে সালাত আদায় করা জায়েয নয়। সুতরাং সম্ভবত মনীর ভিধানও অনুরুপ। বস্তুত এই হাদীস আমাদের বিপক্ষে তখন প্রমাণিত হত, যদি আমরা বলতাম যে, নাপাক কাপড়ে ঘুমানোও সঠিক নয়; আমরাতো তা জায়েয বলি এবং এই বিষয়ে তোমরা নবী (স) থেকে যা কিছু রিওয়ায়াত করেছ তা আমরাও সমর্থন করি। পরবর্তীতে আমরা বলেছি যে, এরুপ কাপড়ে সালাত আদায় করা সঠিক বা জায়েয নেই। সুতরাং আমরা এই বিষয়ে নবী (স) থেকে বর্ণিত হাদীসসমূহের বিরোধিতা করছি না। রাসূলুল্লাহ (স) যে কাপড়ে সালাত আদায় করতেন তাতে মনী লাগলে আয়িশা (রাযিঃ) যা করতেন সেই সম্পর্কে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছেঃ
ইমাম আবু জা’ফর আহমদ ইবন মুহাম্মাদ তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ কিছু সংখ্যক আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, মনী পাক (পবিত্র), যদি তা পানিতে পতিত হয় এতে পানি নাপাক করবে না এবং এর বিধান হচ্ছে নাকের ময়লার বিধানের অনুরুপ। তাঁরা এই বিষয়ে উল্লিখিত রিওয়ায়াতসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন।
পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ বরং তা হচ্ছে নাপাক (অপিবত্র)। তাঁরা বলেছেন, এই সমস্ত হাদীসে তোমাদের স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নাই। কারণ এই সমস্ত হাদীস ঘুমানোর কাপড় সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, সালাত আদায়ের কাপড় সম্পর্কে নয়। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, পেশাব, পায়খানা ও রক্তযুক্ত নাপাক কাপড়ে ঘুমাতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু তাতে সালাত আদায় করা জায়েয নয়। সুতরাং সম্ভবত মনীর ভিধানও অনুরুপ। বস্তুত এই হাদীস আমাদের বিপক্ষে তখন প্রমাণিত হত, যদি আমরা বলতাম যে, নাপাক কাপড়ে ঘুমানোও সঠিক নয়; আমরাতো তা জায়েয বলি এবং এই বিষয়ে তোমরা নবী (স) থেকে যা কিছু রিওয়ায়াত করেছ তা আমরাও সমর্থন করি। পরবর্তীতে আমরা বলেছি যে, এরুপ কাপড়ে সালাত আদায় করা সঠিক বা জায়েয নেই। সুতরাং আমরা এই বিষয়ে নবী (স) থেকে বর্ণিত হাদীসসমূহের বিরোধিতা করছি না। রাসূলুল্লাহ (স) যে কাপড়ে সালাত আদায় করতেন তাতে মনী লাগলে আয়িশা (রাযিঃ) যা করতেন সেই সম্পর্কে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছেঃ
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
276 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: ثنا عَبْثَرُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ بُرْدٍ، أَخِي يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ أَبِي شَقَّالَةَ النَّخَعِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: «كُنْتُ أَفْرُكُ الْمَنِيَّ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الطَّحَاوِيُّ رَحِمَهُ اللهُ: فَذَهَبَ ذَاهِبُونَ إِلَى أَنَّ الْمَنِيَّ طَاهِرٌ , وَأَنَّهُ لَا يُفْسِدُ الْمَاءَ وَإِنْ وَقَعَ فِيهِ , وَأَنَّ حُكْمَهُ فِي ذَلِكَ حُكْمُ النُّخَامَةِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: بَلْ هُوَ نَجَسٌ , وَقَالُوا: لَا حُجَّةَ لَكُمْ فِي هَذِهِ الْآثَارِ , لِأَنَّهَا إِنَّمَا جَاءَتْ فِي ذِكْرِ ثِيَابٍ يَنَامُ فِيهَا وَلَمْ تَأْتِ فِي ثِيَابٍ يُصَلِّي فِيهَا وَقَدْ رَأَيْنَا الثِّيَابَ النَّجِسَةَ بِالْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالدَّمِ لَا بَأْسَ بِالنَّوْمِ فِيهَا وَلَا تَجُوزُ الصَّلَاةُ فِيهَا , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ الْمَنِيُّ كَذَلِكَ. وَإِنَّمَا يَكُونُ هَذَا الْحَدِيثُ حُجَّةً عَلَيْنَا لَوْ كُنَّا نَقُولُ: لَا يَصْلُحُ النَّوْمُ فِي الثَّوْبِ النَّجِسِ فَإِذَا كُنَّا نُبِيحُ ذَلِكَ وَنُوَافِقُ مَا رَوَيْتُمْ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ , وَنَقُولُ مِنْ بَعْدُ , لَا يَصْلُحُ الصَّلَاةُ فِي ذَلِكَ , فَلَمْ نُخَالِفْ شَيْئًا مِمَّا رُوِيَ فِي ذَلِكَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ جَاءَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِيمَا كَانَتْ تَفْعَلُ بِثَوْبِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي كَانَ يُصَلِّي فِيهِ إِذَا أَصَابَهُ الْمَنِيُّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৯
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৭৭.ইউনুস (রাহঃ)......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (স)-এর কাপড় থেকে মনী ধৌত করতাম। তারপর তিনি সালাতের জন্য বের হয়ে যেতেন এবং তাঁর কাপড়ে তখনও পানির চিহ্ন বিদ্যমান থাকত।
২৭৮. আবু বিশর রকী (রাহঃ)...... আমর (রাহঃ) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন।
২৭৯.আলী ইবন শায়বা (রাহঃ)...... আমর সূত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এভাবে আয়িশা (রাযিঃ) নবী (স)-এর সালাত আদায়ের কাপড় থেকে মনী ধৌত করে ফেলতেন এবং যে কাপড়ে তিনি সালাত আদায় করতেন তা রগড়ে-ঘষে পরিষ্কার করতেন। উম্মু হাবীবা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস-এর অনুকূলে রয়েছেঃ
২৭৮. আবু বিশর রকী (রাহঃ)...... আমর (রাহঃ) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন।
২৭৯.আলী ইবন শায়বা (রাহঃ)...... আমর সূত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এভাবে আয়িশা (রাযিঃ) নবী (স)-এর সালাত আদায়ের কাপড় থেকে মনী ধৌত করে ফেলতেন এবং যে কাপড়ে তিনি সালাত আদায় করতেন তা রগড়ে-ঘষে পরিষ্কার করতেন। উম্মু হাবীবা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস-এর অনুকূলে রয়েছেঃ
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
277 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ وَبِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ , عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ , عَنْ سُلَيْمَانَ [ص:50] بْنِ يَسَارٍ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: «كُنْتُ أَغْسِلُ الْمَنِيَّ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَخْرُجُ إِلَى الصَّلَاةِ وَإِنَّ بُقَعَ الْمَاءِ لَفِي ثَوْبِهِ»
278 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَمْرٍو، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ.
279 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أنا عَمْرٌو،. فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَكَذَا كَانَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا تَفْعَلُ بِثَوْبِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي كَانَ يُصَلِّي فِيهِ , تَغْسِلُ الْمَنِيَّ مِنْهُ وَتَفْرُكُهُ مِنْ ثَوْبِهِ الَّذِي كَانَ لَا يُصَلِّي فِيهِ. وَقَدْ وَافَقَ ذَلِكَ , مَا رُوِيَ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ
278 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَمْرٍو، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ.
279 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أنا عَمْرٌو،. فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَكَذَا كَانَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا تَفْعَلُ بِثَوْبِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي كَانَ يُصَلِّي فِيهِ , تَغْسِلُ الْمَنِيَّ مِنْهُ وَتَفْرُكُهُ مِنْ ثَوْبِهِ الَّذِي كَانَ لَا يُصَلِّي فِيهِ. وَقَدْ وَافَقَ ذَلِكَ , مَا رُوِيَ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৮০
আন্তর্জাতিক নং: ২৮১
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৮০. রবীউল জীযী (রাহঃ)...... মূ’আবিয়া ইবন আবী সুফিয়ান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি একবার তাঁর বোন উম্মুল মু’মিনীন উম্মু হাবীবা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেনঃ নবী (স) কি সেই কাপড়ে সালাত আদায় করতেন, যাতে তোমার সঙ্গে শয্যা গ্রহণ করতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ! যখন নাজাসাত (মনী) থাকত না।
২৮১. ইউনুস (রাহঃ)..... ইয়াজীদ (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। আয়িশা (রাযিঃ) থেকেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অনুকূলে বর্ণিত আছেঃ
২৮১. ইউনুস (রাহঃ)..... ইয়াজীদ (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। আয়িশা (রাযিঃ) থেকেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অনুকূলে বর্ণিত আছেঃ
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
280 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا إِسْحَاقُ بْنُ بَكْرِ بْنِ مُضَرَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ حُدَيْجٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ: أَنَّهُ سَأَلَ أُخْتَهُ أُمَّ حَبِيبَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي فِي الثَّوْبِ الَّذِي يُضَاجِعُكِ فِيهِ؟ فَقَالَتْ نَعَمْ إِذَا لَمْ يُصِبْهُ أَذًى "
281 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، وَابْنُ لَهِيعَةَ , وَاللَّيْثُ عَنْ يَزِيدَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَيْضًا , مَا يُوَافِقُ ذَلِكَ
281 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، وَابْنُ لَهِيعَةَ , وَاللَّيْثُ عَنْ يَزِيدَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَيْضًا , مَا يُوَافِقُ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৮২
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৩
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৮২.ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)...... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (স) স্ত্রীদের সঙ্গে শয্যা গ্রহনকালীন পোশাকে সালাত আদায় করতেন না।
২৮৩. ফাহাদ (রাহঃ)...... আশ’আস (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এতে أَنَّهُ -এর স্থলে فِي لُحُفِنَا বলেছেন।
ইমামা আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আমরা যা কিছু উল্লেখ করলাম, তা থেকে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ (স) সেই কাপড়ে সালাত আদায় করতেন না, যা পরে তিনি ঘুমাতেন, যদি তাতে জানাবাত (বীর্য) থেকে কিছু লেগে থাকত। আরো প্রমাণিত হয় যে, আসওয়াদ (রাহঃ) ও হাম্মাম (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী (স) থেকে যা রিওয়ায়াত করেছেন তা ঘুমের পোশাক সম্পর্কে, সালাতের পোশাক সম্পর্কে নয়।
এই বিষয়ে প্রথমোক্ত মত পোষণকারীগণ দ্বিতীয় মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াতসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেনঃ
২৮৩. ফাহাদ (রাহঃ)...... আশ’আস (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এতে أَنَّهُ -এর স্থলে فِي لُحُفِنَا বলেছেন।
ইমামা আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আমরা যা কিছু উল্লেখ করলাম, তা থেকে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ (স) সেই কাপড়ে সালাত আদায় করতেন না, যা পরে তিনি ঘুমাতেন, যদি তাতে জানাবাত (বীর্য) থেকে কিছু লেগে থাকত। আরো প্রমাণিত হয় যে, আসওয়াদ (রাহঃ) ও হাম্মাম (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী (স) থেকে যা রিওয়ায়াত করেছেন তা ঘুমের পোশাক সম্পর্কে, সালাতের পোশাক সম্পর্কে নয়।
এই বিষয়ে প্রথমোক্ত মত পোষণকারীগণ দ্বিতীয় মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াতসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেনঃ
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
282 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْمُقَدَّمِيُّ، قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُصَلِّي فِي لُحُفِ نِسَائِهِ»
283 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ: ثنا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَشْعَثَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: فِي لُحُفِنَا قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَمْ يَكُنْ يُصَلِّي فِي الثَّوْبِ الَّذِي يَنَامُ فِيهِ إِذَا أَصَابَهُ شَيْءٌ مِنَ الْجَنَابَةِ , وَثَبَتَ أَنَّ مَا ذَكَرَهُ الْأَسْوَدُ وَهَمَّامٌ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , إِنَّمَا هُوَ فِي ثَوْبِ النَّوْمِ , لَا فِي ثَوْبِ الصَّلَاةِ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِأَهْلِ الْقَوْلِ الْأَوَّلِ عَلَى أَهْلِ الْقَوْلِ الثَّانِي فِي ذَلِكَ
283 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ: ثنا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَشْعَثَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: فِي لُحُفِنَا قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَمْ يَكُنْ يُصَلِّي فِي الثَّوْبِ الَّذِي يَنَامُ فِيهِ إِذَا أَصَابَهُ شَيْءٌ مِنَ الْجَنَابَةِ , وَثَبَتَ أَنَّ مَا ذَكَرَهُ الْأَسْوَدُ وَهَمَّامٌ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , إِنَّمَا هُوَ فِي ثَوْبِ النَّوْمِ , لَا فِي ثَوْبِ الصَّلَاةِ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِأَهْلِ الْقَوْلِ الْأَوَّلِ عَلَى أَهْلِ الْقَوْلِ الثَّانِي فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৫
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৮৪.আলী ইবন শায়বা (রাযিঃ)...... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (স)-এর কাপড় থেকে শুকনো মনী অঙ্গুলি দ্বারা রগড়ে-ঘষে পরিষ্কার করে দিতাম। তারপর তিনি তাতে সালাত আদায় করতেন এবং তা ধৌত করতেন না।
২৮৫.ফাহাদ (রাহঃ)........ হাম্মাম (রাহঃ) আয়িশা (রাহঃ) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন।
২৮৫.ফাহাদ (রাহঃ)........ হাম্মাম (রাহঃ) আয়িশা (রাহঃ) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন।
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
284 - مَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى قَالَ: أنا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ خَالِدٍ عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ وَالْأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ «كُنْتُ أَفْرُكُ الْمَنِيَّ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَابِسًا بِأَصَابِعِي , ثُمَّ يُصَلِّي فِيهِ وَلَا يَغْسِلُهُ»
285 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: أنا شَرِيكٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ
285 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: أنا شَرِيكٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৮
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৮৬.মুহাম্মাদ ইবনুল হাজ্জাজ (রাহঃ) ও সুলায়মান ইবন শু’আইব (রাহঃ)...... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (স)-এর কাপড় থেকে তা ঘষে ফেলতাম। তারপর তিনি তাতে সালাত আদায় করতেন।
২৮৭.রবীউল মুয়াজজিন (রাহঃ)...... মুজাহিদ (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন।
২৮৮.নসর ইবন মারজূক (রাহঃ)...... কাসিম ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
বস্তুত তাঁরা বলেছেনঃ এই সমস্ত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, আয়িশা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (স)-এর সালাতের কাপড় থেকেও মনী (বীর্য) রগড়ে-ঘষে ফেলতেন, যেমনিভাবে তা ঘষে ফেলতেন শয্যা গ্রহণের কাপড় থেকে।
ইমামা আবু জাফ’র তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের মতে এতেও (মনীর) তাহারাতের ব্যাপারে কোন প্রমাণ নেই। সম্ভবত তিনি তা এজন্য করেছেন, যেন এতে কাপড় পাক হয়ে যায়। আর মনী তো আসলেই নাপাক। যেমন জুতায় নাজাসাত লাগার ব্যাপারে বর্ণিত আছেঃ
২৮৭.রবীউল মুয়াজজিন (রাহঃ)...... মুজাহিদ (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন।
২৮৮.নসর ইবন মারজূক (রাহঃ)...... কাসিম ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
বস্তুত তাঁরা বলেছেনঃ এই সমস্ত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, আয়িশা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (স)-এর সালাতের কাপড় থেকেও মনী (বীর্য) রগড়ে-ঘষে ফেলতেন, যেমনিভাবে তা ঘষে ফেলতেন শয্যা গ্রহণের কাপড় থেকে।
ইমামা আবু জাফ’র তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের মতে এতেও (মনীর) তাহারাতের ব্যাপারে কোন প্রমাণ নেই। সম্ভবত তিনি তা এজন্য করেছেন, যেন এতে কাপড় পাক হয়ে যায়। আর মনী তো আসলেই নাপাক। যেমন জুতায় নাজাসাত লাগার ব্যাপারে বর্ণিত আছেঃ
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
286 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَجَّاجِ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَا: ثنا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: «كُنْتُ أَفْرُكُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ يُصَلِّي فِيهِ»
287 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا قَزَعَةُ بْنُ سُوَيْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي حُمَيْدٌ الْأَعْرَجُ، وَعَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي نَجِيحٍ , عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ
288 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، قَالَ: ثنا عِيسَى بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ: ثنا الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , مِثْلَهُ قَالُوا: فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ أَنَّهَا كَانَتْ تَفْرُكُ الْمَنِيَّ مِنْ ثَوْبِ الصَّلَاةِ , كَمَا تَفْرُكُهُ مِنْ ثَوْبِ النَّوْمِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَلَيْسَ فِي هَذَا عِنْدَنَا دَلِيلٌ عَلَى طَهَارَتِهِ , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ كَانَتْ تَفْعَلُ بِهِ هَذَا , فَيَطْهُرُ بِذَلِكَ الثَّوْبُ وَالْمَنِيُّ فِي نَفْسِهِ نَجَسٌ كَمَا قَدْ رُوِيَ فِيمَا أَصَابَ النَّعْلَ مِنَ الْأَذَى
287 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا قَزَعَةُ بْنُ سُوَيْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي حُمَيْدٌ الْأَعْرَجُ، وَعَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي نَجِيحٍ , عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ
288 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، قَالَ: ثنا عِيسَى بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ: ثنا الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , مِثْلَهُ قَالُوا: فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ أَنَّهَا كَانَتْ تَفْرُكُ الْمَنِيَّ مِنْ ثَوْبِ الصَّلَاةِ , كَمَا تَفْرُكُهُ مِنْ ثَوْبِ النَّوْمِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَلَيْسَ فِي هَذَا عِنْدَنَا دَلِيلٌ عَلَى طَهَارَتِهِ , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ كَانَتْ تَفْعَلُ بِهِ هَذَا , فَيَطْهُرُ بِذَلِكَ الثَّوْبُ وَالْمَنِيُّ فِي نَفْسِهِ نَجَسٌ كَمَا قَدْ رُوِيَ فِيمَا أَصَابَ النَّعْلَ مِنَ الْأَذَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৮৯
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৮৯.ফাহাদ (রাহঃ)..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেনঃ যদি তোমাদের কেউ মোজা অথবা জুতা দ্বারা নাজাসাত পদদলিত করে তাহলে মাটি একে পাক করবে।
আবু জাফ’র তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ মাটিই ঐ দু’টোকে পাক করার জন্য যথেষ্ট, (ধৌত করা জরুরী নয়) । এতে কিন্তু নাজাসাত স্বয়ং পাক হওয়ার উপর কোন প্রমাণ নাই। মনী সম্পর্কে আমরা যা কিছু রিওয়ায়াত করেছি তার বিধানও অনুরুপ। সম্ভবত তাঁদের মতে রগড়ে-ঘষে তা দূর করার দ্বারা কাপড় পাক হয়ে যায়, কিন্তু তা স্বয়ং নাপাক। যেমনিভাবে জুতা থেকে নাজাসাত দূর করার দ্বারা তা পাক হয়ে যায়। অথচ নাজাসাত স্বয়ং নাপাক। সুতরাং মনী সম্পর্কে এই সমস্ত বর্ণিত হাদীস থেকে আমরা যা অবহিত হয়েছি তা হচ্ছে এই যে, কাপড়ে যা লাগবে তা শুকনো হওয়া অবস্থায় ঘর্ষণের দ্বারা পাক হয়ে যায় এবং ধৌত করা প্রয়োজন থাকে না। এতে কিন্তু এর বিধান সম্পর্কীয় কোন রুপ প্রমাণ নেই যে, তা স্বয়ং পাক না নাপাক। একদল আলিম এই দিকে গিয়েছেনঃ আয়িশা (রাযিঃ) থেকে এরুপ হাদীসও বর্ণিত আছে, যাতে বুঝা যাচ্ছে এটা তাঁর নিকটও নাপাক। এ বিষয়ে তাঁরা নিম্নরূপ উল্লেখ করেছেনঃ
আবু জাফ’র তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ মাটিই ঐ দু’টোকে পাক করার জন্য যথেষ্ট, (ধৌত করা জরুরী নয়) । এতে কিন্তু নাজাসাত স্বয়ং পাক হওয়ার উপর কোন প্রমাণ নাই। মনী সম্পর্কে আমরা যা কিছু রিওয়ায়াত করেছি তার বিধানও অনুরুপ। সম্ভবত তাঁদের মতে রগড়ে-ঘষে তা দূর করার দ্বারা কাপড় পাক হয়ে যায়, কিন্তু তা স্বয়ং নাপাক। যেমনিভাবে জুতা থেকে নাজাসাত দূর করার দ্বারা তা পাক হয়ে যায়। অথচ নাজাসাত স্বয়ং নাপাক। সুতরাং মনী সম্পর্কে এই সমস্ত বর্ণিত হাদীস থেকে আমরা যা অবহিত হয়েছি তা হচ্ছে এই যে, কাপড়ে যা লাগবে তা শুকনো হওয়া অবস্থায় ঘর্ষণের দ্বারা পাক হয়ে যায় এবং ধৌত করা প্রয়োজন থাকে না। এতে কিন্তু এর বিধান সম্পর্কীয় কোন রুপ প্রমাণ নেই যে, তা স্বয়ং পাক না নাপাক। একদল আলিম এই দিকে গিয়েছেনঃ আয়িশা (রাযিঃ) থেকে এরুপ হাদীসও বর্ণিত আছে, যাতে বুঝা যাচ্ছে এটা তাঁর নিকটও নাপাক। এ বিষয়ে তাঁরা নিম্নরূপ উল্লেখ করেছেনঃ
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
289 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ: ثنا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا وَطِئَ أَحَدُكُمُ الْأَذَى بِخُفِّهِ أَوْ بِنَعْلِهِ , فَطَهُورُهُمَا التُّرَابُ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَكَانَ ذَلِكَ التُّرَابُ يُجْزِئُ عَنْ غَسْلِهِمَا , وَلَيْسَ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى طَهَارَةِ الْأَذَى فِي نَفْسِهِ. فَكَذَلِكَ مَا رَوَيْنَا فِي الْمَنِيِّ , يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ كَانَ حُكْمُهُ عِنْدَهُمَا كَذَلِكَ يَطْهُرُ الثَّوْبُ بِإِزَالَتِهِمْ إِيَّاهُ عَنْهُ بِالْفَرْكِ وَهُوَ فِي نَفْسِهِ نَجَسٌ , كَمَا كَانَ الْأَذَى يَطْهُرُ النَّعْلُ بِإِزَالَتِهِمْ إِيَّاهُ عَنْهَا , وَهُوَ فِي نَفْسِهِ نَجَسٌ. فَالَّذِي وَقَفْنَا عَلَيْهِ مِنْ هَذِهِ الْآثَارِ الْمَرْوِيَّةِ فِي الْمَنِيِّ , هُوَ أَنَّ الثَّوْبَ يَطْهُرُ مِمَّا أَصَابَهُ مِنْ ذَلِكَ بِالْفَرْكِ إِذَا كَانَ يَابِسًا وَيُجْزِئُ ذَلِكَ مِنَ الْغُسْلِ وَلَيْسَ فِي شَيْءٍ مِنْ هَذَا , دَلِيلٌ عَلَى حُكْمِهِ هُوَ فِي نَفْسِهِ , أَطَاهِرٌ هُوَ أَمْ نَجَسٌ؟ . فَذَهَبَ ذَاهِبٌ إِلَى أَنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ كَانَ، عِنْدَهَا، نَجَسًا , وَذَكَرَ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯০
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৩
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৯০.ইবন আবী দাউদ (রাযিঃ)...... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি মনী সম্পর্কে বলেনঃ যদি কাপড়ে মনী লেগে যায় এবং তুমি তা দেখতে পাও তবে ধৌত করে ফেলবে, আর যদি দেখতে না পাও তাহলে তাতে পানি ছিটিয়ে দিও।
২৯১. আবু বাকরা (রাহঃ)......শু’বা (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৯২. সুলায়ামান ইবন শু’আইব (রাহঃ)..... আবু বাকর ইবন হাফস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আমার চাচাকে শুনেছি, তিনি আয়িশা (রাযিঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৯৩.ইবন মারজূক (রাহঃ)...... শু’বা (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেনঃ এটা (মনী) তাঁর (আয়িশার) মতে নাপাক হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করে। এই মতাবলম্বীকে বলে হবে, এই হাদীসে আপনার স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নেই। যেহেতু যদি আয়িশা (রাযিঃ)-এর মতে এর বিধান পেশাব-পায়খানা ও রক্তসহ অপরাপর সমস্ত নাজাসাতের ন্যায় হত তাহলে তিনি সমস্ত কাপড় ধৌত করার নির্দেশ প্রদান করতেন, যদি নাজাসাতের স্থান জানা না থাকত। দেখ না যদি কাপড়ে পেশাপ লেগে যায় এবং এর স্থান অস্পষ্ট হয় তখন শুধু পানি ছিটানোর দ্বারা তা পাক হয় না। বরং পুরো কাপড় ধৌত করা আবশ্যক হয়, যতক্ষণ না জানা যায় তা নাজাসাত থেকে পাক হয়েছে। অতএব যখন আয়িশা (রাযিঃ)-এর মতে মনী’র বিধান হল, যখন কাপড়ে এর লাগার স্থান জানা না থাকে (পানির) ছিটা মেরে দিবে। এতে সাব্যস্ত হল, তাঁর মতে এর বিধান অপরাপর নাজাসাতের (বিধান) থেকে ভিন্ন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাহাবাগণ বিরোধ করেছেন। এ সম্পর্কে তাঁদের থেকে (নিম্নরূপ) বর্ণিত আছেঃ
২৯১. আবু বাকরা (রাহঃ)......শু’বা (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৯২. সুলায়ামান ইবন শু’আইব (রাহঃ)..... আবু বাকর ইবন হাফস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আমার চাচাকে শুনেছি, তিনি আয়িশা (রাযিঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৯৩.ইবন মারজূক (রাহঃ)...... শু’বা (রাহঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেনঃ এটা (মনী) তাঁর (আয়িশার) মতে নাপাক হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করে। এই মতাবলম্বীকে বলে হবে, এই হাদীসে আপনার স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নেই। যেহেতু যদি আয়িশা (রাযিঃ)-এর মতে এর বিধান পেশাব-পায়খানা ও রক্তসহ অপরাপর সমস্ত নাজাসাতের ন্যায় হত তাহলে তিনি সমস্ত কাপড় ধৌত করার নির্দেশ প্রদান করতেন, যদি নাজাসাতের স্থান জানা না থাকত। দেখ না যদি কাপড়ে পেশাপ লেগে যায় এবং এর স্থান অস্পষ্ট হয় তখন শুধু পানি ছিটানোর দ্বারা তা পাক হয় না। বরং পুরো কাপড় ধৌত করা আবশ্যক হয়, যতক্ষণ না জানা যায় তা নাজাসাত থেকে পাক হয়েছে। অতএব যখন আয়িশা (রাযিঃ)-এর মতে মনী’র বিধান হল, যখন কাপড়ে এর লাগার স্থান জানা না থাকে (পানির) ছিটা মেরে দিবে। এতে সাব্যস্ত হল, তাঁর মতে এর বিধান অপরাপর নাজাসাতের (বিধান) থেকে ভিন্ন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাহাবাগণ বিরোধ করেছেন। এ সম্পর্কে তাঁদের থেকে (নিম্নরূপ) বর্ণিত আছেঃ
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
290 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ شُعْبَةَ , عَنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ فِي الْمَنِيِّ إِذَا أَصَابَ الثَّوْبَ: «إِذَا رَأَيْتَهُ فَاغْسِلْهُ وَإِنْ لَمْ تَرَهُ فَانْضَحْهُ»
291 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
292 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: أنا أَبُو بَكْرِ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَمَّتِي، تُحَدِّثُ عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ
293 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ: فَهَذَا , قَدْ دَلَّ عَلَى نَجَاسَتِهِ عِنْدَهَا. قِيلَ: لَهُ مَا فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى مَا ذَكَرْتُ , لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ حُكْمُهُ عِنْدَهَا , حُكْمُ سَائِرِ النَّجَاسَاتِ مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالدَّمِ , لَأَمَرَتْ بِغَسْلِ الثَّوْبِ كُلِّهِ إِذَا لَمْ يَعْرِفْ مَوْضِعَهُ مِنْهُ.أَلَا تَرَى أَنَّ ثَوْبًا لَوْ أَصَابَهُ بَوْلٌ فَخَفِيَ مَكَانُهُ أَنَّهُ لَا يُطَهِّرُهُ النَّضْحُ وَأَنَّهُ لَا بُدَّ مِنْ غَسْلِهِ كُلِّهِ , حَتَّى يَعْلَمَ طَهُورَهُ مِنَ النَّجَاسَةِ. فَلَمَّا كَانَ حُكْمُ الْمَنِيِّ، عِنْدَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، إِذَا كَانَ مَوْضِعُهُ مِنَ الثَّوْبِ , غَيْرَ مَعْلُومٍ، النَّضْحُ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ حُكْمَهُ , كَانَ عِنْدَهَا , بِخِلَافِ سَائِرِ النَّجَاسَاتِ وَقَدِ اخْتَلَفَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ فَرُوِيَ عَنْهُمْ فِي ذَلِكَ
291 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
292 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: أنا أَبُو بَكْرِ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَمَّتِي، تُحَدِّثُ عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ
293 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ: فَهَذَا , قَدْ دَلَّ عَلَى نَجَاسَتِهِ عِنْدَهَا. قِيلَ: لَهُ مَا فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى مَا ذَكَرْتُ , لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ حُكْمُهُ عِنْدَهَا , حُكْمُ سَائِرِ النَّجَاسَاتِ مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالدَّمِ , لَأَمَرَتْ بِغَسْلِ الثَّوْبِ كُلِّهِ إِذَا لَمْ يَعْرِفْ مَوْضِعَهُ مِنْهُ.أَلَا تَرَى أَنَّ ثَوْبًا لَوْ أَصَابَهُ بَوْلٌ فَخَفِيَ مَكَانُهُ أَنَّهُ لَا يُطَهِّرُهُ النَّضْحُ وَأَنَّهُ لَا بُدَّ مِنْ غَسْلِهِ كُلِّهِ , حَتَّى يَعْلَمَ طَهُورَهُ مِنَ النَّجَاسَةِ. فَلَمَّا كَانَ حُكْمُ الْمَنِيِّ، عِنْدَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، إِذَا كَانَ مَوْضِعُهُ مِنَ الثَّوْبِ , غَيْرَ مَعْلُومٍ، النَّضْحُ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ حُكْمَهُ , كَانَ عِنْدَهَا , بِخِلَافِ سَائِرِ النَّجَاسَاتِ وَقَدِ اخْتَلَفَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ فَرُوِيَ عَنْهُمْ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৪
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৯৪.সালিহ ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ)..... সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নিজের কাপড় থেকে জানাবাত (বীর্য)-কে রগড়ে-ঘষে পরিষ্কার করতেন।
বস্তুত এতে এই সম্ভাবনা আছে যে, তিনি এরুপ এইজন্য করতেন যে, এটা তাঁর মতে পাক এবং এই সম্ভবনাও আছে যে, তিনি এরুপ এ জন্য করতেন যেমনিভাবে জুতা থেকে গোবর রগড়ে-ঘষে পরিষ্কার করা হয়, এই জন্য নয় যে, তা তাঁর মত পাক।
বস্তুত এতে এই সম্ভাবনা আছে যে, তিনি এরুপ এইজন্য করতেন যে, এটা তাঁর মতে পাক এবং এই সম্ভবনাও আছে যে, তিনি এরুপ এ জন্য করতেন যেমনিভাবে জুতা থেকে গোবর রগড়ে-ঘষে পরিষ্কার করা হয়, এই জন্য নয় যে, তা তাঁর মত পাক।
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
294 - مَا حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: ثنا سَعِيدٌ قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , قَالَ: أنا حُصَيْنٌ , عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ: «كَانَ يَفْرُكُ الْجَنَابَةَ مِنْ ثَوْبِهِ» فَهَذَا يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ لِأَنَّهُ، عِنْدَهُ، طَاهِرٌ. وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ كَمَا يُفْعَلُ بِالرَّوْثِ الْمَحْكُوكِ مِنَ النَّعْلِ لَا لِأَنَّهُ، عِنْدَهُ، طَاهِرٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৫
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৯৫.ইউনুস (রাহঃ)...... ইয়াহয়া ইবন আব্দুর রহমান ইবন হাতিব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি একবার উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর সঙ্গে সেই কাফেলায় উমরা পালন করেছেন, যাতে তাঁদের মধ্যে আমর ইবনুল আ’স (রাযিঃ) অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। উমার (রাযিঃ) সফরের মাঝপথে এক পর্যায়ে কোন এক জলাশয়ের নিকটবর্তী স্থানে রাত যাপন করলেন। তাঁর স্বপ্নদোষ হয়ে গেল। সকাল হয়ে যাওয়ার নিকটবর্তী হয়ে গেল অথচ কাফেলায় পানি পাওয়া গেল না। তিন সওয়ার পানির কাছে এলেন এবং স্বপ্ন দোষে দৃষ্ট বস্তু ধুতে লাগলেন। ততক্ষণে ফর্সা হয়ে গেল। আমর (রাযিঃ) তাঁকে বললেন, আপনিতো সকাল করে ফেললেন, আমাদের কাছে কাপড় আছে, আপনার কাপড় রেখে দিন। উমার (রাযিঃ) বললেন (না) বরং যা কিছু আমি দেখেছি তা ধৌত করব আর যা দেখিনি তাতে পানি ছিটিয়ে দিব।
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
295 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ، أَنَّهُ اعْتَمَرَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي رَكْبٍ , فِيهِمْ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ , وَأَنَّ عُمَرَ عَرَّسَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ , قَرِيبًا مِنْ بَعْضِ الْمِيَاهِ فَاحْتَلَمَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَقَدْ كَادَ أَنْ يُصْبِحَ , فَلَمْ يَجِدْ مَاءً فِي الرَّكْبِ , فَرَكِبَ حَتَّى جَاءَ الْمَاءَ , فَجَعَلَ يَغْسِلُ مَا رَأَى مِنَ الِاحْتِلَامِ , حَتَّى أَسْفَرَ فَقَالَ لَهُ عَمْرٌو: أَصْبَحْتُ , وَمَعَنَا ثِيَابٌ , فَدَعْ ثَوْبَكَ , فَقَالَ: عُمَرُ: «بَلْ أَغْسِلُ مَا رَأَيْتُ وَأَنْضَحُ مَا لَمْ أَرَهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৬
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৯৬.ইউনুস (রাহঃ)......যায়দ ইবন সলত (রাহঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর সঙ্গে 'যুরুফ' নামক স্থানের উদ্দেশ্যে বের হই। অকস্মাৎ তিনি অনুভব করলেন যে, তার স্বপ্নদোষ হয়ে গিয়েছে। অথচ তিনি গোসল করেননি। তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমার বিশ্বাস , আমার স্বপ্নদোষ হয়ে গিয়েছে, অথচ আমি টের পাইনি, আমি গোসল না করেই সালাত আদায় করে ফেলেছি। পরে তিনি গোসল করলেন, যা কিছু কাপড়ে দেখেন তা ধৌত করেছেন আর যা দেখেননি তাতে পানি ছিটিয়ে দিলেন।
ব্যাখ্যা
বস্তুত ইয়াহয়া ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) উমার (রাযিঃ) থেকে যে রিওয়ায়াত করেছেন তাতে বুঝা যাচ্ছে যে, তিনি সালাতের সময়ের স্বল্পতা হেতু যা কিছু আবশ্যক ছিল তাই করেছেন এবং তার সঙ্গীদের কেউ এ ব্যাপারে তার প্রতিবাদ করেননি। এতে বুঝা যাচ্ছে যে,তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার অনুসরণ করেছেন। পক্ষান্তরে তার এ উক্তি "যা কিছু আমি দেখিনি তাতে পানি ছিটিয়ে দিব" এর দ্বারা হতে পারে তার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমি না দেখে সন্দেহ করছি যে, হয়ত এতে মনী লেগেছে কিন্তু নিশ্চিত নই, তাই এ সন্দেহ দূরীভূত হয়ে এটা পানির আদ্রতা বলে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পানি ছিটিয়ে যাব।
ব্যাখ্যা
বস্তুত ইয়াহয়া ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) উমার (রাযিঃ) থেকে যে রিওয়ায়াত করেছেন তাতে বুঝা যাচ্ছে যে, তিনি সালাতের সময়ের স্বল্পতা হেতু যা কিছু আবশ্যক ছিল তাই করেছেন এবং তার সঙ্গীদের কেউ এ ব্যাপারে তার প্রতিবাদ করেননি। এতে বুঝা যাচ্ছে যে,তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার অনুসরণ করেছেন। পক্ষান্তরে তার এ উক্তি "যা কিছু আমি দেখিনি তাতে পানি ছিটিয়ে দিব" এর দ্বারা হতে পারে তার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমি না দেখে সন্দেহ করছি যে, হয়ত এতে মনী লেগেছে কিন্তু নিশ্চিত নই, তাই এ সন্দেহ দূরীভূত হয়ে এটা পানির আদ্রতা বলে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পানি ছিটিয়ে যাব।
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
296 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ الصَّلْتِ، أَنَّهُ قَالَ: خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ إِلَى الْجَرْفِ فَنَظَرَ , فَإِذَا هُوَ قَدِ احْتَلَمَ وَلَمْ يَغْتَسِلْ فَقَالَ: «وَاللهِ مَا أَرَانِي إِلَّا قَدِ احْتَلَمْتُ , وَمَا شَعَرْتُ , وَصَلَّيْتُ وَمَا اغْتَسَلْتُ , فَاغْتَسَلَ , وَغَسَلَ مَا رَأَى فِي ثَوْبِهِ وَنَضَحَ مَا لَمْ يَرَهُ» فَأَمَّا مَا رَوَى يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عُمَرَ , فَهُوَ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ عُمَرَ فَعَلَ مَا لَا بُدَّ لَهُ مِنْهُ , لِضِيقِ وَقْتِ الصَّلَاةِ وَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِ أَحَدٌ مِمَّنْ كَانَ مَعَهُ , فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى مُتَابَعَتِهِمْ إِيَّاهُ عَلَى مَا رَأَى مِنْ ذَلِكَ. وَأَمَّا قَوْلُهُ «وَأَنْضَحُ مَا لَمْ أَرَهُ بِالْمَاءِ» فَإِنَّ ذَلِكَ يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِهِ وَأَنْضَحُ مَا لَمْ أَرَ مِمَّا أَتَوَهَّمُ أَنَّهُ أَصَابَهُ , وَلَا أَتَيَقَّنُ ذَلِكَ حَتَّى يَقْطَعَ ذَلِكَ عَنْهُ الشَّكَّ فِيمَا يُسْتَأْنَفُ وَيَقُولُ: هَذَا الْبَلَلُ مِنَ الْمَاءِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৭
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৯৭.আবু বাকরা (রাহঃ)..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি কাপড়ে লেগে যাওয়া মনী’র বিষয়ে বলেছেনঃ যদি তা দেখতে পাও, তবে ধৌত করে নাও, অন্যথায় সমস্ত কাপড় ধুয়ে ফেল। এতে প্রমাণিত হয় যে, তিনি তা নাপাক (অপবিত্র) মনে করতেন।
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
297 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: فِي الْمَنِيِّ يُصِيبُ الثَّوْبَ «إِنْ رَأَيْتَهُ فَاغْسِلْهُ , وَإِلَّا فَاغْسِلِ الثَّوْبَ كُلَّهُ» فَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ قَدْ كَانَ يَرَاهُ نَجَسًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৯
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৯৮. হুসাইন ইবন নসর (রাহঃ)..... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, এটাকে ইজখির ঘাস দিয়ে রগড়ে নাও। বস্তুত এতে বুঝা যাচ্ছে যে, তিনি তা পাক মনে করতেন।
২৯৯. সুলায়মান ইবন শু’আইব (রাহঃ).. আতা (রাহঃ) ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
২৯৯. সুলায়মান ইবন শু’আইব (রাহঃ).. আতা (রাহঃ) ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
298 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «امْسَحُوا بِإِذْخِرٍ» فَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ قَدْ كَانَ يَرَاهُ طَاهِرًا
299 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , عَنْ عَطَاءٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ نَحْوَهُ
299 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , عَنْ عَطَاءٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ نَحْوَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩০০
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
৩০০.আবু বাকরা (রাহঃ)..... জাবালা ইবন সুহায়ম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ইবন উমার (রাযিঃ)-কে কাপড়ে লেগে যাওয়া মনী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বলেছেনঃ তাতে পানি ছিটিয়ে দাও। সম্ভবত তিনি পানি ছিটানোর দ্বারা ধৌত করা বুঝিয়েছেন। যেহেতু ছিটানো কখনও ধোয়ার অর্থে ব্যবহৃত হয়। (যেমন) রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেনঃ আমি এরুপ একটি নগরী সম্পর্কে জ্ঞাত আছি, যার একপ্রান্তে সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ে। আবার এও হতে পারে যে ইবন উমার (রাযিঃ) অন্য কিছু বুঝিয়েছেন।
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
300 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ جَبَلَةَ بْنِ سُحَيْمٍ، قَالَ: سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ عَنِ الْمَنِيِّ، يُصِيبُ الثَّوْبَ قَالَ: «انْضَحْهُ بِالْمَاءِ» فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِالنَّضْحِ , الْغُسْلَ , لِأَنَّ النَّضْحَ قَدْ يُسَمَّى غَسْلًا , قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِنِّي لَأَعْرِفُ مَدِينَةً يَنْضَحُ الْبَحْرُ بِجَانِبِهَا» يَعْنِي يَضْرِبُ الْبَحْرُ بِجَانِبِهَا. وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ ابْنُ عُمَرَ , أَرَادَ غَيْرَ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান