শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৫৬
৯- অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৫৬.ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ)....... নাযাল ইব্ন সাবরা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আলী (রাযিঃ) কে দেখেছি, তিনি যুহরের সালাত আদায় করেন। তারপর লােকদের জন্য মসজিদের আঙ্গিনায় বসলেন। কিছুক্ষণ পর পানি আনা হলে তিনি চেহারা এবং দুই হাত মাসেহ করেন। পরে মাথা ও দুই পা মাসেহ করেন এবং দাঁড়িয়ে এর অবশিষ্ট পানি পান করেন। তারপর বললেন : লােকেরা ধারণা করে যে, এটি মাকরূহ। আর আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -কে এমনটি করতে দেখেছি, যেমনটি আমি করেছি। আর এটি হচ্ছে সেই ব্যক্তির উযু, যে অপবিত্র নয় (যে ব্যক্তি উযূ ছাড়া নয়)।
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের মতে এই হাদীসে পা মাসেহ করা ফরয হওয়ার কোন দলীল নেই। যেহেতু এতে ব্যক্ত হয়েছে যে, তিনি নিজের চেহারা মাসেহ্ করেছেন। আর প্রকৃতপক্ষে মাসেহ্ ছিল ধােয়া। অনুরূপভাবে সম্ভাবনা থাকছে যে, পায়ের মাসেহ্ও তেমনিভাবে (ধােয়া) ছিল।
بَابُ فَرْضِ الرِّجْلَيْنِ فِي وُضُوءِ الصَّلَاةِ
156 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنِ النَّزَّالِ بْنِ سَبْرَةَ، قَالَ: رَأَيْتُ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ صَلَّى الظُّهْرَ، ثُمَّ قَعَدَ لِلنَّاسِ فِي الرَّحْبَةِ، ثُمَّ أُتِيَ بِمَاءٍ فَمَسَحَ بِوَجْهِهِ وَيَدَيْهِ وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ وَرِجْلَيْهِ وَشَرِبَ فَضْلَهُ قَائِمًا، ثُمَّ قَالَ: «إِنَّ نَاسًا يَزْعُمُونَ أَنَّ هَذَا يُكْرَهُ، وَإِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ مِثْلَ مَا صَنَعْتُ، وَهَذَا وُضُوءُ مَنْ لَمْ يُحْدِثْ» . قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَلَيْسَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَنَا دَلِيلٌ أَنَّ فَرْضَ الرِّجْلَيْنِ هُوَ الْمَسْحُ؛ لِأَنَّ فِيهِ أَنَّهُ قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ , فَكَانَ ذَلِكَ الْمَسْحُ هُوَ غَسْلٌ، فَقَدْ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ مَسْحُهُ بِرِجْلِهِ أَيْضًا كَذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫৭
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৫৭. ফাহাদ (রাহঃ) ……… ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আলী (রাযিঃ) আমার কাছে এলেন। তিনি পানি প্রবাহিত করে ছিলেন (গােসল করেছিলেন)। তিনি উযূ করার জন্য পানি চাইলেন। আমরা তাঁর জন্য পানির পাত্র আনলাম। তিনি বললেন, হে ইব্‌ন আব্বাস! আমি কি তােমাকে উযূ করে দেখাব না, যেমনিভাবে আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ- -কে উযূ করতে দেখেছি ? আমি বললাম, হ্যাঁ। আমার মাতা-পিতা আপনার প্রতি উৎসর্গ হউক। তারপর দীর্ঘ হাদীস উল্লেখ পূর্বক বললেনঃ তারপর তিনি দুই হাত মিলিত করে এককোষ পানি নিয়ে ডান পায়ে এরপরে অনুরূপভাবে বাম পায়ে পানি ঢেলে দিলেন।
باب فرض الرجلين في وضوء الصلاة
157 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو كُرَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدَةُ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ رُكَانَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ الْخَوْلَانِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: دَخَلَ عَلَى عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَقَدْ أَرَاقَ الْمَاءَ فَدَعَا بِوَضُوءٍ فَجِئْنَاهُ بِإِنَاءٍ مِنْ مَاءٍ، فَقَالَ: " يَا ابْنَ عَبَّاسٍ أَلَا أَتَوَضَّأُ لَكَ كَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَوَضَّأُ؟ قُلْتُ: بَلَى فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي. فَذَكَرَ حَدِيثًا طَوِيلًا. قَالَ: ثُمَّ أَخَذَ بِيَدَيْهِ جَمِيعًا حَفْنَةً مِنْ مَاءٍ فَصَكَّ بِهَا عَلَى قَدَمِهِ الْيُمْنَى وَالْيُسْرَى كَذَلِكَ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫৮
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৫৮.আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) ……… ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺউযূ করেছেন, পরে তিনি কোষভর্তি পানি নিয়ে দুই পায়ে ছিটিয়ে দিলেন, তখন তিনি জুতা পরিহিত অবস্থায় ছিলেন ।
باب فرض الرجلين في وضوء الصلاة
158 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «تَوَضَّأَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذَ مِلْءَ كَفِّهِ مَاءً فَرَشَّ بِهِ عَلَى قَدَمَيْهِ وَهُوَ مُتَنَعِّلٌ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫৯
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৫৯.আবু উমাইয়া (রাহঃ) ……… আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি একবার উযূ করেন, তিনি পায়ের উপর অংশে মাসেহ করে বললেনঃ আমি যদি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ- -কে এরূপভাবে করতে না দেখতাম তাহলে (এরূপ করতাম না) (কেননা বাহ্যত) পায়ের উপর অংশ অপেক্ষা নীচের অংশই মাসেহের অধিক উপযােগী।
باب فرض الرجلين في وضوء الصلاة
159 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْأَصْبَهَانِيِّ، قَالَ: أنا شَرِيكٌ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ عَبْدِ خَيْرٍ، عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ تَوَضَّأَ فَمَسَحَ عَلَى ظَهْرِ الْقَدَمِ وَقَالَ: «لَوْلَا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَلَهُ لَكَانَ بَاطِنُ الْقَدَمِ أَحَقَّ مِنْ ظَاهِرِهِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬০
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৬০.ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ……… ইব্ন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি যখন উযূ করতেন এবং তাঁর জুতা জোড়া পায়ে থাকত, তখন তিনি হাত দ্বারা পায়ের উপর অংশ মাসেহ করতেন। আর বলতেনঃ রাসূলুল্লাহ্ ﷺ অনুরূপ করতেন।
باب فرض الرجلين في وضوء الصلاة
160 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ الْحُسَيْنِ اللِّهْبِيُّ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا تَوَضَّأَ وَنَعْلَاهُ فِي قَدَمَيْهِ , مَسَحَ ظُهُورَ قَدَمَيْهِ بِيَدَيْهِ , وَيَقُولُ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ هَكَذَا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬১
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৬১.মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) …….রিফাআ ইব্ন রাফি (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার তিনি নবী ﷺ-এর নিকট বসা ছিলেন। তারপর পূর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি বললেনঃ কারাে সালাত পূর্ণ হবে না যতক্ষণ না সেইভাবে উযূ পূর্ণ করবে, যেভাবে আল্লাহ্ তা'আলা নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং নিজের চেহারা এবং হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে, মাথা মাসেহ করবে এবং পায়ের গিরা (টাখনু) পর্যন্ত (ধৌত) করবে।
باب فرض الرجلين في وضوء الصلاة
161 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: ثنا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: أنا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ يَحْيَى بْنِ خَلَّادٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمِّهِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ حَتَّى قَالَ: «إِنَّهُ لَا تَتِمُّ صَلَاةُ أَحَدِكُمْ حَتَّى يُسْبِغَ الْوُضُوءَ كَمَا أَمَرَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ , فَيَغْسِلُ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ، وَيَمْسَحُ بِرَأْسِهِ وَرِجْلَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬২
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৬২.রাওহ ইব্নুল ফারাজ (রাহঃ) ........ আব্বাদ ইব্ন তামীম-এর পিতা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী ﷺ উযূ করেছেন এবং পা মাসেহ করেছেন। উরওয়া (রাযিঃ) ও অনুরূপ করতেন।
একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা বলেছেনঃ অনুরূপভাবে পায়ের বিধান হচ্ছে তা মাসেহ্ করা হবে, যেমনিভাবে মাথা মাসেহ করা হয়। পক্ষান্তরে এই বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরােধিতা করে বলেছেনঃ বরং তা ধোয়া হবে। তাঁরা এই বিষয়ে (নিম্নোক্ত) হাদীসসমূহ দ্বারা দলীল পেশ করেছেনঃ
باب فرض الرجلين في وضوء الصلاة
162 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى الْقَدَمَيْنِ، وَأَنَّ عُرْوَةَ كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ» . فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا وَقَالُوا: هَكَذَا حُكْمُ الرِّجْلَيْنِ يُمْسَحَانِ , كَمَا يُمْسَحُ الرَّأْسُ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: بَلْ يُغْسَلَانِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ مِنَ الْآثَارِ بِمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৬
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৬৩.হুসাইন ইব্ন নসর (রাহঃ) ........ আব্দ খায়র (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আলী (রাযিঃ) (ইস্তিঞ্জার পর) আঙ্গিনায় প্রবেশ করে নিজের গােলামকে বললেন, আমার জন্য পানি নিয়ে এস। সে পানি এবং গামলা নিয়ে আসল, তিনি উযূ করলেন এবং তিনবার করে পা ধৌত করে বললেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺএর উযূ অনুরূপ ছিল।
১৬৪.হুসাইন (রাহঃ) ………আলী (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী ﷺ থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন।
১৬৫. আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) ……… আবু ইসহাক (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
১৬৬. ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ……… মালিক থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب فرض الرجلين في وضوء الصلاة
163 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ قَالَ: ثنا زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ قَالَ: ثنا عَلْقَمَةُ بْنُ خَالِدٍ أَوْ خَالِدُ بْنُ عَلْقَمَةَ , عَنْ عَبْدِ خَيْرٍ قَالَ: " دَخَلَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ الرَّحْبَةَ ثُمَّ قَالَ لِغُلَامِهِ: ائْتِنِي بِطَهُورٍ. فَأَتَاهُ بِمَاءٍ وَطَسْتٍ , فَتَوَضَّأَ فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلَاثًا ثَلَاثًا , وَقَالَ: «هَكَذَا كَانَ طَهُورُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .

164 - حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ، قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ، قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي حَيَّةَ الْوَادِعِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ.

165 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ. فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

166 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ عُرْفُطَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ خَيْرٍ قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًّا. فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৮
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৬৭.ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ……… উসমান ইব্‌ন আফফান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি একবার উযূ করলেন এবং তিনবার করে পা ধৌত করলেন। তারপর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-কে অনুরূপ উযূ করতে দেখেছি।

১৬৮. ইউনুস (রাহঃ) ও ইব্ন আবী আকীল (রাহঃ) ……… উসমান (রাযিঃ)-এর আযাদকৃত গােলাম হুমরান (রাযিঃ) উসমান (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
167 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، قَالَ: ثنا إِسْحَاقُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَنَّهُ تَوَضَّأَ فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلَاثًا ثَلَاثًا وَقَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَوَضَّأَ هَكَذَا»
168 - حَدَّثَنَا يُونُسُ وَابْنُ أَبِي عَقِيلٍ قَالَا: أنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَزِيدَ اللَّيْثِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّ حُمْرَانَ مَوْلَى عُثْمَانَ أَخْبَرَهُ عَنْ عُثْمَانَ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৯
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৬৯.ইয়াযীদ ইব্ন সিনান (রাহঃ)....... মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আবী মারইয়াম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার যায়দ ইব্ন দারা (রাহঃ)-এর ঘরে গেলাম। আমি কুল্লিরত অবস্থায় তিনি আমাকে (হাদীস) শুনিয়ে বললেন, হে আবু মুহাম্মাদ! আমি বললাম, আমি উপস্থিত। তিনি বললেন, আমি কি তােমাকে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -এর উযু সম্পর্কে বলব না? আমি বললাম, হ্যা, অবশ্যই বলুন। তিনি বললেন, আমি উসমান ইব্ন আফফান (রাযিঃ)-কে উযূ করার স্থানে দেখলাম। তিনি (উযূর জন্য) পানি চেয়ে আনলেন। তারপর প্রতিটি অঙ্গ তিনবার ধৌত করলেন। এর পরে বললেনঃ যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর উযূ দেখতে ইচ্ছুক, সে যেন আমার উযূ দেখে নেয়।
باب فرض الرجلين في وضوء الصلاة
169 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالَ: ثنا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى زَيْدِ بْنِ دَارَةَ بَيْتَهُ، فَسَمِعَنِي وَأَنَا أُمَضْمِضُ، فَقَالَ لِي: يَا أَبَا مُحَمَّدٍ. فَقُلْتُ: لَبَّيْكَ. فَقَالَ: أَلَا أُخْبِرُكَ عَنْ وُضُوءِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قُلْتُ: بَلَى. قَالَ: " رَأَيْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عِنْدَ الْمَقَاعِدِ دَعَا بِوَضُوءٍ , فَتَوَضَّأَ ثَلَاثًا ثَلَاثًا , فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلَاثًا، ثُمَّ قَالَ: «مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى وُضُوءِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلْيَنْظُرْ إِلَى وُضُوئِي»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৭০
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৭০.ইয়াযীদ ইব্ন সিনান (রাহঃ)....... হুমরান ইব্‌ন আবান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উসমান (রাযিঃ) একবার উযূ করেন । তিনি তিন বার করে পা ধৌত করে বললেন : আমি যদি বলি এটা রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -এর উযূ তাহলে আমি সত্য কথাই বলব ।
باب فرض الرجلين في وضوء الصلاة
170 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، قَالَ: ثنا كَثِيرُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ: ثنا الْمُطَّلِبُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ حَنْطَبٍ الْمَخْزُومِيُّ، عَنْ حُمْرَانَ بْنِ أَبَانَ أَنَّ عُثْمَانَ تَوَضَّأَ فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلَاثًا ثَلَاثًا وَقَالَ: «لَوْ قُلْتُ إِنَّ هَذَا وُضُوءُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقْتُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৭১
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৭১. ইব্‌ন আবী আকীল (রাহঃ)....... মুসতাওরিদ ইব্‌ন শাদ্দাদ কারশী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-কে দেখেছি, তিনি কনিষ্ঠাঙ্গুলী দ্বারা পায়ের আঙ্গুলির মাঝে ঘষছিলেন। আর এটা তাে শুধুমাত্র ধৌত করার ব্যাপারে হয়ে থাকে। যেহেতু মাসেহ সেখান পর্যন্ত পৌছে না। মাসেহ তাে বিশেষ করে পায়ের পিঠে (উপরের অংশে) হয়ে থাকে।
باب فرض الرجلين في وضوء الصلاة
171 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَقِيلٍ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَمْرٍو الْمَعَافِرِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَبْدَ اللهِ بْنَ يَزِيدَ يَقُولُ: سَمِعْتُ الْمُسْتَوْرِدَ بْنَ شَدَّادٍ الْقُرَشِيَّ يَقُولُ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُدَلِّكُ بِخِنْصَرِهِ مَا بَيْنَ أَصَابِعِ رِجْلَيْهِ» . وَهَذَا لَا يَكُونُ إِلَّا فِي الْغُسْلِ , لِأَنَّ الْمَسْحَ لَا يَبْلُغُ فِيهِ ذَلِكَ , إِنَّمَا هُوَ عَلَى ظُهُورِ الْقَدَمَيْنِ خَاصَّةً
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১৭২
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৭২.মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ) ও ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ)...... বর্ণনা করেন যে, আমর ইব্‌ন উবায়দুল্লাহ্ ইব্ন আবী রাফি (রাহঃ) তাঁর পিতা-পিতামহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-কে উযূ করতে দেখেছি। তিনি তিনবার পা ধৌত করেছেন।
باب فرض الرجلين في وضوء الصلاة
172 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَا: ثنا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْوَاسِطِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَوَضَّأُ، فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلَاثًا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৪
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৭৩-১৭৪.ইউনুস ও হুসাইন ইব্ন নসর (রাহঃ) ………রুবায়্যি (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ ﷺআমাদের নিকট আসতেন এবং সালাতের জন্য উযূ করতেন এবং তিনবার করে পা ধৌত করতেন।
باب فرض الرجلين في وضوء الصلاة
174- 173 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، وَحُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنِ الرُّبَيِّعِ، قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْتِينَا فَيَتَوَضَّأُ لِلصَّلَاةِ , فَيَغْسِلُ رِجْلَيْهِ ثَلَاثًا ثَلَاثًا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৭৫
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৭৫.ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ………আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ উযূ করেন। তিনি তিনবার কুলি করলেন, তিনবার নাকে পানি দিলেন; তিনবার চেহারা ধুলেন, দুই হাত তিন বার করে ধুলেন, মাথা মাসেহ্ করলেন এবং পা ধৌত করলেন।
175 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، قَالَ: ثنا عَامِرٌ الْأَحْوَلُ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَوَضَّأَ فَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ ثَلَاثًا , وَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلَاثًا , وَذِرَاعَيْهِ ثَلَاثًا ثَلَاثًا , وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ , وَوَضَّأَ قَدَمَيْهِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৭৬
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৭৬.আহমদ ইব্ন দাউদ (রাহঃ)………বর্ণনা করেন যে, ইব্ন শু’আইব (রাহঃ) তাঁর পিতা-পিতামহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার জনৈক ব্যক্তি নবী ﷺ-এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলঃ উযূর পদ্ধতি কি ? তিনি পানি চেয়ে এনে প্রতিটি অঙ্গ তিনবার করে ধুয়ে উযূ করলেন, মাথা মাসেহ্ করলেন এবং পা ধুলেন। তারপর বললেনঃ উযূ (এর পদ্ধতি) এরূপ। সুতরাং যে ব্যক্তি এর অতিরিক্ত বা এর থেকে কম করবে সে খারাপ কাজ এবং যুলুম করল।
176 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ: كَيْفَ الطَّهُورُ؟ فَدَعَا بِمَاءٍ , فَتَوَضَّأَ ثَلَاثًا ثَلَاثًا , وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ , وَغَسَلَ رِجْلَيْهِ , ثُمَّ قَالَ: «هَكَذَا الْوُضُوءُ , فَمَنْ زَادَ عَلَى هَذَا أَوْ نَقَصَ , فَقَدْ أَسَاءَ وَظَلَمَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৭৭
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৭৭.ইউনুস (রাহঃ) ও ইব্ন আবী আকীল (রাহঃ) ………বর্ণনা করেন যে, আমর ইব্ন ইয়াহইয়া মাযিনী (রাহঃ)-এর পিতা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি আব্দুল্লাহ্ ইব্ন যায়দ ইব্ন আসিম-কে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি আমাকে দেখাতে পারেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ কিভাবে উযূ করেছেন? এতে তিনি পানি চেয়ে আনলেন, উযূ করলেন এবং দুই পা ধুলেন।
177 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، وَابْنُ أَبِي عَقِيلٍ، قَالَا: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَاصِمٍ: «هَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تُرِيَنِي كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَوَضَّأُ؟ فَدَعَا بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ وَغَسَلَ رِجْلَيْهِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৭৮
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৭৮.বাহর (রাহঃ)……… আব্দুর রহমান ইব্ন জুবাইর ইব্ন নুফাইর (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু জুবাইর কিন্দী (রাযিঃ) একবার রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -এর খিদমতে উপস্থিত হলেন। তিনি তাঁর জন্য (উযূর) পানি আনার নির্দেশ দিলেন, পরে বললেনঃ হে আবু জুবাইর! উযূ কর। তিনি মুখমণ্ডল থেকে (উযূ) আরম্ভ করলেন। এতে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ তাঁকে বললেন, মুখমণ্ডল থেকে আরম্ভ কর না। কেননা কাফির ব্যক্তিই মুখমণ্ডল থেকে আরম্ভ করে। তারপর রাসূলুল্লাহ্ ﷺ পানি চেয়ে এনে প্রতিটি অঙ্গ তিনবার করে ধৌত করে উযূ করেন। মাথা মাসেহ করেন এবং পা ধৌত করেন।
178 - حَدَّثَنَا بَحْرٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَبَا جُبَيْرٍ الْكِنْدِيَّ قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَ لَهُ بِوَضُوءٍ , فَقَالَ: «تَوَضَّأْ يَا أَبَا جُبَيْرٍ» فَبَدَأَ بِفِيهِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَبْدَأْ بِفِيكَ , فَإِنَّ الْكَافِرَ يَبْدَأُ بِفِيهِ» وَدَعَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَاءٍ , فَتَوَضَّأَ ثَلَاثًا ثَلَاثًا , ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ وَغَسَلَ رِجْلَيْهِ.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৭৯
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৭৯. ফাহাদ (রাহঃ) ………মু'আবিয়া (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। বর্ণনাকারী ফাহাদ (রাহঃ) বলেনঃ আমি আব্দুল্লাহ্ ইব্ন সালিহ (রাহঃ)-এর নিকট এ বিষয় উল্লেখ করলে তিনি বলেনঃ আমি তা মুআবিয়া ইব্ন সালিহ (রাহঃ) থেকে শুনেছি।
বস্তুত এই সমস্ত হাদীস রাসূলুল্লাহ্ ﷺ থেকে মুতাওয়াতির সনদ তথা বহু ধারাবাহিক সূত্র পরম্পরায় বর্ণিত আছে যে, তিনি সালাতের উযূতে পা ধৌত করেছেন। তাঁর থেকে এরূপ রিওয়ায়াতও বর্ণিত আছে, যা থেকে বুঝা যায় যে, দুই পায়ের বিধান হচ্ছে ধৌত করা।
এই সম্পর্কে বর্ণিত কিছু রিওয়ায়াত নিম্নরূপঃ
باب فرض الرجلين في وضوء الصلاة
179 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا آدَمُ، قَالَ: ثنا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ. قَالَ فَهْدٌ: فَذَكَرْتُهُ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ صَالِحٍ , فَقَالَ: سَمِعْتُهُ مِنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ. فَهَذِهِ الْآثَارُ قَدْ تَوَاتَرَتْ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ غَسَلَ قَدَمَيْهِ فِي وُضُوئِهِ لِلصَّلَاةِ , وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَيْضًا مَا يَدُلُّ أَنَّ حُكْمَهُمَا الْغُسْلُ. فَمِمَّا رُوِيَ فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৮০
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৮০. ইউনুস (রাহঃ) ও ইব্ন আবী আকীল (রাহঃ) ……… আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ﷺ বলেছেনঃ যখন কোন মুসলিম অথবা বলেছেন, ‘মু’মিন বান্দা উযূ করে আর সে তার মুখ ধোয় তখন তার চেহারা থেকে সব গুনাহ বের হয়ে যায়, যা সে তার দু'চোখ দিয়ে দেখে ছিল; যখন সে তার দু’হাত ধােয় তখন তার উভয় হাত থেকে সকল গুনাহ বের হয়ে যায়, যা সে হাত দিয়ে ধরেছিল; যখন সে তার দু'পা ধােয় তখন (তার উভয় পা থেকে) সকল গুনাহ বের হয়ে যায়, যার দিকে সে দু’পা দিয়ে হেঁটে গিয়েছিল।
باب فرض الرجلين في وضوء الصلاة
180 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ , وَابْنُ أَبِي عَقِيلٍ قَالَا: أنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ الْمُسْلِمُ أَوِ الْمُؤْمِنُ، فَغَسَلَ وَجْهَهُ؛ خَرَجَتْ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَيْنِهِ، فَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ ; خَرَجَتْ مِنْ يَدَيْهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ , فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ؛ خَرَجَتْ كُلُّ خَطِيئَةٍ مَشَتْ إِلَيْهَا رِجْلَاهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা