শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১০৭
৫- ওযুতে তাসমিয়া তথা বিসমিল্লাহ পাঠের পরিচ্ছেদ
১০৭.মুহাম্মাদ ইব্ন আলী ইব্ন দাউদ আল-বাগদাদী (রাহঃ) ……... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি উযূ করবে না তার সালাত হবে না। যে ব্যক্তি আল্লাহর নাম নিবে না, তার উযূ হবে না। (পূর্ণ ছওয়াব পাওয়া যাবে না)।
بَابُ التَّسْمِيَةِ عَلَى الْوُضُوءِ
107 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ دَاوُدَ الْبَغْدَادِيُّ، قَالَ: ثنا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَرْمَلَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا ثِفَالٍ الْمُرِّيَّ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَبَاحَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ بْنِ حُوَيْطِبٍ يَقُولُ: حَدَّثَتْنِي جَدَّتِي أَنَّهَا سَمِعَتْ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا صَلَاةَ لِمَنْ لَا وُضُوءَ لَهُ , وَلَا وُضُوءَ لِمَنْ لَمْ يَذْكُرِ اسْمَ اللهِ عَلَيْهِ» .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১০৮
ওযুতে তাসমিয়া তথা বিসমিল্লাহ পাঠের পরিচ্ছেদ
১০৮.আব্দুর রহমান ইব্নুল জারূদ আল-বাগদাদী (রাহঃ) ……... রাবাহ ইব্ন আব্দির রহমান ইব্ন আবী সুফইয়ান (রাহঃ) তাঁর পিতামহী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে অনুরূপ বলতে শুনেছেন।
باب التسمية على الوضوء
108 - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْجَارُودِ الْبَغْدَادِيُّ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ قَالَ: حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، عَنْ أَبِي ثِفَالٍ الْمُرِّيِّ قَالَ: سَمِعْتُ رَبَاحَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ يَقُولُ: حَدَّثَتْنِي جَدَّتِي أَنَّهَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ ذَلِكَ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০৯
ওযুতে তাসমিয়া তথা বিসমিল্লাহ পাঠের পরিচ্ছেদ
১০৯. ফাহাদ (রাহঃ) ……… আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী ﷺ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
পর্যালােচনা ও বিশ্লেষণ
বস্তুত একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, যে ব্যক্তি সালাতের উযূ করার সময় বিসমিল্লাহ্ তথা আল্লাহর নাম নিবে না, তার উযূ হবে না। তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উল্লিখিত হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন।
পক্ষান্তরে এই বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরােধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন : যে ব্যক্তি উযূ করার সময় বিসমিল্লাহ্ পড়ে না সে খারাপ কাজ করেছে। তবে তার এই উযূ দ্বারা পবিত্রতা অর্জিত হয়ে গিয়েছে।
পর্যালােচনা ও বিশ্লেষণ
বস্তুত একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, যে ব্যক্তি সালাতের উযূ করার সময় বিসমিল্লাহ্ তথা আল্লাহর নাম নিবে না, তার উযূ হবে না। তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উল্লিখিত হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন।
পক্ষান্তরে এই বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরােধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন : যে ব্যক্তি উযূ করার সময় বিসমিল্লাহ্ পড়ে না সে খারাপ কাজ করেছে। তবে তার এই উযূ দ্বারা পবিত্রতা অর্জিত হয়ে গিয়েছে।
باب التسمية على الوضوء
109 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: أنا الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنِ ابْنِ حَرْمَلَةَ، عَنْ أَبِي ثِفَالٍ الْمُرِّيِّ، عَنْ رَبَاحِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَامِرِيِّ، عَنِ ابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ. فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ مَنْ لَمْ يُسَمِّ عَلَى وُضُوءِ الصَّلَاةِ فَلَا يُجْزِيهِ وُضُوءُهُ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ، فَقَالُوا: مَنْ لَمْ يُسَمِّ عَلَى وُضُوئِهِ فَقَدْ أَسَاءَ، وَقَدْ طَهُرَ بِوُضُوئِهِ ذَلِكَ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১০
ওযুতে তাসমিয়া তথা বিসমিল্লাহ পাঠের পরিচ্ছেদ
১১০.তারা এই বিষয়ে (নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা) প্রমাণ পেশ করেছেনঃ
আলী ইব্ন মা'বাদ (রাহঃ).........মুহাজির ইন কুনফুয (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে উযূরত অবস্থায় সালাম করেন। তিনি তাঁর সালামের উত্তর দেননি। উযূ শেষ করে বললেনঃ আমি তােমার সালামের উত্তর দানে বিরত থেকেছি এই জন্য যে, অপবিত্র অবস্থায় আমি আল্লাহর যিকর কর পছন্দ করিনি।
বিশ্লেষণ
এই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হল যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ অপবিত্র অবস্থায় আল্লাহর যিকর করাকে অপছন্দ করেছেন এবং উযূ দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করার পর সালামের উত্তর প্রদান করেছেন। তাতে সাব্যস্ত হয় যে, তিনি আল্লাহর নাম নেয়ার পূর্বে উযূ করেছেন। আর তাঁর যে ইরশাদঃ “যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ পড়বে না তার উযূ হবে না”-এর মর্ম তাও হতে পারে, যা প্রথমােক্ত মত পােষণকারীগণ গ্রহণ করেছেন। আবার এটিও হতে পারে যে, ছাওয়াবের দিক দিয়ে তার উযূ পূর্ণ হবে না (পূর্ণ ছাওয়াব পাবে না)। যেমনিভাবে তিনি (ﷺ) বলেছেনঃ(ﷺ) সেই ব্যক্তি মিসকীন নয়, যাকে এক-দুই খেজুর এবং এক দুই লােকমা প্রদান করে বিদায় জানানাে হয়। বস্তুত এ কথা দ্বারা তাঁর এই উদ্দেশ্য নয় যে, এরূপ ব্যক্তি মিসকীন নয় এবং সে মুখাপেক্ষীতার আওতা বহির্ভুত, যাতে তার উপর সাদাকা হারাম হয়ে যাবে। বরং তার উদ্দেশ্য হচ্ছে এ কথা বুঝানাে যে, সেই ব্যক্তি মুখাপেক্ষিতায় এমন পরিপূর্ণতায় পৌঁছায়নি যার পরে মুখাপেক্ষিতার কোন পর্যায় অবশিষ্ট থাকে না।
আলী ইব্ন মা'বাদ (রাহঃ).........মুহাজির ইন কুনফুয (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে উযূরত অবস্থায় সালাম করেন। তিনি তাঁর সালামের উত্তর দেননি। উযূ শেষ করে বললেনঃ আমি তােমার সালামের উত্তর দানে বিরত থেকেছি এই জন্য যে, অপবিত্র অবস্থায় আমি আল্লাহর যিকর কর পছন্দ করিনি।
বিশ্লেষণ
এই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হল যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ অপবিত্র অবস্থায় আল্লাহর যিকর করাকে অপছন্দ করেছেন এবং উযূ দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করার পর সালামের উত্তর প্রদান করেছেন। তাতে সাব্যস্ত হয় যে, তিনি আল্লাহর নাম নেয়ার পূর্বে উযূ করেছেন। আর তাঁর যে ইরশাদঃ “যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ পড়বে না তার উযূ হবে না”-এর মর্ম তাও হতে পারে, যা প্রথমােক্ত মত পােষণকারীগণ গ্রহণ করেছেন। আবার এটিও হতে পারে যে, ছাওয়াবের দিক দিয়ে তার উযূ পূর্ণ হবে না (পূর্ণ ছাওয়াব পাবে না)। যেমনিভাবে তিনি (ﷺ) বলেছেনঃ(ﷺ) সেই ব্যক্তি মিসকীন নয়, যাকে এক-দুই খেজুর এবং এক দুই লােকমা প্রদান করে বিদায় জানানাে হয়। বস্তুত এ কথা দ্বারা তাঁর এই উদ্দেশ্য নয় যে, এরূপ ব্যক্তি মিসকীন নয় এবং সে মুখাপেক্ষীতার আওতা বহির্ভুত, যাতে তার উপর সাদাকা হারাম হয়ে যাবে। বরং তার উদ্দেশ্য হচ্ছে এ কথা বুঝানাে যে, সেই ব্যক্তি মুখাপেক্ষিতায় এমন পরিপূর্ণতায় পৌঁছায়নি যার পরে মুখাপেক্ষিতার কোন পর্যায় অবশিষ্ট থাকে না।
باب التسمية على الوضوء
110 - وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ حُضَيْنٍ أَبِي سَاسَانَ، عَنِ الْمُهَاجِرِ بْنِ قُنْفُدٍ أَنَّهُ سَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ وُضُوئِهِ قَالَ: إِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ إِلَّا أَنِّي كَرِهْتُ أَنْ أَذْكُرَ اللهَ إِلَّا عَلَى طَهَارَةٍ ". فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَرِهَ أَنْ يَذْكُرَ اللهَ إِلَّا عَلَى طَهَارَةٍ، وَرَدَّ السَّلَامَ بَعْدَ الْوُضُوءِ الَّذِي صَارَ بِهِ مُتَطَهِّرًا. فَفِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّهُ قَدْ تَوَضَّأَ قَبْلَ أَنْ يَذْكُرَ اسْمَ اللهِ. وَكَانَ قَوْلُهُ: «لَا وُضُوءَ لِمَنْ لَمْ يُسَمِّ» يُحْتَمَلُ أَيْضًا مَا قَالَهُ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى وَيُحْتَمَلُ «لَا وُضُوءَ لَهُ» أَيْ لَا وُضُوءَ لَهُ مُتَكَامِلًا فِي الثَّوَابِ , كَمَا قَالَ: «لَيْسَ الْمِسْكِينُ الَّذِي تَرُدُّهُ التَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ وَاللُّقْمَةُ وَاللُّقْمَتَانِ» فَلَمْ يُرِدْ بِذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ بِمِسْكِينٍ خَارِجٍ مِنْ حَدِّ الْمَسْكَنَةِ كُلِّهَا حَتَّى تَحْرُمَ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ. وَإِنَّمَا أَرَادَ بِذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ بِالْمِسْكِينِ الْمُتَكَامِلِ فِي الْمَسْكَنَةِ الَّذِي لَيْسَ بَعْدَ دَرَجَتِهِ فِي الْمَسْكَنَةِ دَرَجَةٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১১
ওযুতে তাসমিয়া তথা বিসমিল্লাহ পাঠের পরিচ্ছেদ
১১১.ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ)......... আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী ﷺ বলেছেন : সেই ব্যক্তি মিসকীন নয়, যে চক্কর লাগায় এবং এক বা দুই খেজুর, এক লােকমা বা দুই লােমা দ্বারা তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। তাঁরা (সাহাবীগণ) বললেন, (তাহলে) মিসকীন কে ? তিনি বললেন, ভিক্ষা করাতে যার লজ্জাবােধ হয় অথচ তার কাছে প্রয়ােজন মিটাবার মত কিছু নেই, অপর লােকেরা তার অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত নয়, যা তাকে দান করা হবে।
باب التسمية على الوضوء
111 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ، قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ الْهَجَرِيِّ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " لَيْسَ الْمِسْكِينُ بِالطَّوَّافِ الَّذِي تَرُدُّهُ التَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ وَاللُّقْمَةُ وَاللُّقْمَتَانِ. قَالُوا: فَمَنِ الْمِسْكِينُ؟ قَالَ: الَّذِي يَسْتَحِي أَنْ يَسْأَلَ , وَلَا يَجِدُ مَا يُغْنِيهِ، وَلَا يُفْطَنُ لَهُ فَيُعْطَى ".

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১২
ওযুতে তাসমিয়া তথা বিসমিল্লাহ পাঠের পরিচ্ছেদ
১১২.আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) ………….ইবরাহীম (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
باب التسمية على الوضوء
112 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا قَبِيصَةُ بْنُ عُقْبَةَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৩
ওযুতে তাসমিয়া তথা বিসমিল্লাহ পাঠের পরিচ্ছেদ
১১৩. ইউনুস (রাহঃ) ………...আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ, থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
باب التسمية على الوضوء
113 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أنا ابْنُ أَبِي ذِئبٍ، عَنْ أَبِي الْوَلِيدِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৪
ওযুতে তাসমিয়া তথা বিসমিল্লাহ পাঠের পরিচ্ছেদ
১১৪.আবু উমাইয়া মুহাম্মাদ ইব্ন ইবরাহীম ইব্ন মুসলিম (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب التسمية على الوضوء
114 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُسْلِمٍ قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ الْحِمْصِيُّ، عَنِ ابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৫
ওযুতে তাসমিয়া তথা বিসমিল্লাহ পাঠের পরিচ্ছেদ
১১৫.ইউনুস (রাহঃ)....... আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। যেমনটি তিনি বলেছেন সেই ব্যক্তি মু'মিন নয়, যে ব্যক্তি পরিতৃপ্ত হয়ে রাত অতিবাহিত করে, অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত।
باب التسمية على الوضوء
115 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , أَوْ كَمَا قَالَ: «لَيْسَ الْمُؤْمِنُ الَّذِي يَبِيتُ شَبْعَانَ وَجَارُهُ جَائِعٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১১৬
ওযুতে তাসমিয়া তথা বিসমিল্লাহ পাঠের পরিচ্ছেদ
১১৬.আবু বাকরা (রাহঃ)... আব্দুল্লাহ্ ইব্ন মুসাবির (রাহঃ) থেকে অথবা ইব্ন আবী মুসাবির (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বললেন, আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি। তিনি আব্দুল্লাহ্ ইব্ন যুবাইর (রাযিঃ)-কে কৃপণতার ব্যাপারে ধমকাচ্ছেন আর বলছেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেনঃ সেই ব্যক্তি মু'মিন নয়, যে ব্যক্তি পরিতৃপ্ত হয়ে রাত অতিবাহিত করে অথচ তার পাশে তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে।
বিশ্লেষণ
বস্তুত এতে তাঁর এই উদ্দেশ্য নয় যে, সেই ব্যক্তি প্রতিবেশীর সহযােগিতা ত্যাগ করায় ঈমান থেকে বের হয়ে কুফরীতে পৌছে গেছে; বরং এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য হচ্ছে, সেই ব্যক্তির ঈমানের উঁচু মর্যাদা লাভ হয় নাই। অনুরূপ অনেক উদাহরণ আছে, যা উল্লেখ করলে গ্রন্থের পরিসর দীর্ঘ হয়ে যাবে। একইভাবে তাঁর ইরশাদঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহর নাম নিবে না, তার উযূ হবে না”-এর মর্ম এটি নয় যে, সেই ব্যক্তি এমন উযূ বিশিষ্ট হয়নি, যা তাকে অপবিত্রতা থেকে বের করেনি; বরং এর মর্ম হচ্ছে, সেই ব্যক্তি পূর্ণ উযূর সাথে উযূ বিশিষ্ট হয়নি, যা ছওয়াব লাভের অন্যতম এক মাধ্যম। সুতরাং যখন এই হাদীস সেই মর্মের সম্ভাবনা রাখে, যা আমরা বর্ণনা করেছি, আর এখানে এরূপ কোন প্রমাণ বিদ্যমান নেই, যাতে এক ব্যাখ্যা অপর ব্যাখ্যার উপর নিশ্চিতভাবে প্রাধান্য পেতে পারে, তাই এর অর্থ মুহাজির (রাযিঃ)-এর হাদীসের অর্থের অনুকূলে সাব্যস্ত করা আবশ্যক, যেন উভয়ের মাঝে পারস্পরিক বৈপরিত্য সৃষ্টি না হয়।
অতএব প্রমাণিত হল যে, বিসমিল্লাহ্ পড়া ব্যতীত উযূ দ্বারাও উযূকারী ব্যক্তি অপবিত্রতা থেকে পবিত্রতার দিকে বের হয়ে আসে।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক প্রমাণ ও বিশ্লেষণ
যুক্তির নিরিখে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশ্লেষণ নিম্নরূপঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, এমন কতেক বস্তু আছে। যাতে কথা বা বাক্য ব্যতীত প্রবেশ করা যায় না বা সম্পাদিত হয় না। তার মধ্যে রয়েছে সেই সমস্ত লেনদেন যা লােকদের মাঝে বেচা-কেনা, ইজারা, বিবাহ ও খুলা ইত্যাদি রূপে প্রচলিত আছে। এই সমস্ত বস্তু বাক্য বা কথা বলা ব্যতীত সম্পন্ন হয় না, বরং বিষয়ের উল্লেখ সম্বলিত কথার মাধ্যমে তা সম্পাদিত হয়। যেমন মানুষ বলে থাকেঃ আমি তােমার কাছে বিক্রি করেছি, আমি তােমাকে বিবাহ করেছি, আমি তােমার সাথে খুলা করেছি। এগুলাে সেই সমস্ত বাক্য, যাতে লেনদেনের উল্লেখ আছে। আবার কিছু বস্তু আছে, যাতে বিশেষ কথা দ্বারা প্রবেশ করা যায়। তা হচ্ছে সালাত এবং হজ্জ। সালাতে তাকবীরের দ্বারা এবং হজ্জে তালবিয়া দ্বারা প্রবেশ করা যায়। সুতরাং সালাতে তাকবীর’ এবং হজ্জে তালবিয়া’ এগুলাের রুকনের অন্তর্ভুক্ত।
এবার আমরা উযূতে বিসমিল্লাহ্ বলার দিকে লক্ষ্য করব, তা পূর্বোল্লিখিত বিষয়গুলাের কোনটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ কি-না ? আমরা দেখেছি যে, তাতে কোন বস্তু সম্পন্ন করার উল্লেখ নেই, যেমনটি বিবাহ এবং ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে রয়েছে। এইজন্য বিসমিল্লাহ্ বলা সেই বস্তুর বিধান থেকে ভিন্ন হবে। আর বিসমিল্লাহ্ বলা উযূর কোন রুকনও নয়। যেমনিভাবে তাকবীর বলা সালাতের একটি রুকন এবং তালবিয়া বলা হজ্জের একটি রুকন। অনুরূপভাবে এর দ্বারা এর বিধান তাকবীর ও তালবিয়ার বিধান থেকেও পৃথক হয়ে গেল। অতএব এতে সেই ব্যক্তির বক্তব্য নাকচ হয়ে গেল, যে ব্যক্তি বলে যে, উযূতে বিসমিল্লাহ্ বলা অনুরূপভাবে আবশ্যক, যেমনিভাবে এই সমস্ত বস্তুগুলাে সংশ্লিষ্ট ইবাদাতসমূহের মধ্যে আবশ্যক।
যদি কোন প্রশ্নকারী বলে যে, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, জবাই করার সময় জন্তুর উপর বিসমিল্লাহ্ পড়া আবশ্যক। যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে তা পরিত্যাগ করবে তার জবাইকৃত জন্তু খাওয়া যাবে না। অনুরূপভাবে উযূতে বিসমিল্লাহ্ বলাও আবশ্যক।
তাকে উত্তরে বলা হবেঃ যুক্তির নিরিখে যা প্রমাণিত হয় তা হচ্ছে, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে জবাই করার জন্তুর উপর বিসমিল্লাহ্ বলা পরিত্যাগ করবে সেটি ভক্ষণ না করার ব্যাপারে আলিমদের মতবিরােধ আছে। কতেক আলিম বলেছেন, ভক্ষণ করা যাবে, কতেক আলিম বলেছেন, যাবে না। যারা বলেছেন ভক্ষণ করা যাবে তাদের অভিমতের ব্যাপারে আমাদের বর্ণনা যথেষ্ট। আর যারা বলেছেন যে, ভক্ষণ করা যাবে না, বস্তুত তারা বলেছেন, যদি ভুলে তা পরিত্যাগ করে তাহলে ভক্ষণ করা যাবে । জবাইকারী মুসলমান হউক বা আহলে ফিরাকের কাফির হউক, তা তাদের নিকট সমান। সুতরাং এখানে সেই ব্যক্তির কথামতে যে কি-না জন্তুর উপর বিসমিল্লাহ্ পড়াকে ওয়াজিব সাব্যস্ত করে তারা মিল্লাত তথা আহলে কিতাব হওয়ার বর্ণনার জন্য। যদি জবাইকারী বিসমিল্লাহ্ পড়ে তাহলে এটি সে সমস্ত মিল্লাত অবলম্বীদের জবাই করা জন্তু হবে, যাদের জবাই করা জন্তু ভক্ষণ করা হয়। আর যখন বিসমিল্লাহ্ পড়বে না, তখন এটি সেই সমস্ত মিল্লাত অবলম্বীদের জবাই করা জন্তু হবে, যাদেরটি ভক্ষণ করা হয় না। পক্ষান্তরে উযূ করার সময় বিসমিল্লাহ্ পড়া কোন মিল্লাত প্রকাশের জন্য নয়; বরং এটি সালাতের কারণসমূহ থেকে একটি কারণের যিকরের স্বরূপ । সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি উযূ করা এবং সতর ঢাকা সালাতের কারণ (ও শর্ত )-সমূহের অন্তর্ভুক্ত। কেউ যদি বিসমিল্লাহ্ পড়া ব্যতীত সতর ঢেকে নেয়, এতে কোনরূপ অসুবিধা হয় না। অতএব যুক্তির দাবি হচ্ছে, যদি কেউ বিসমিল্লাহ্ পড়া ব্যতীত তাহারাত তথা উযূ করে তাতেও অসুবিধা হবে না। এটিই হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইব্নুল হাসান (রাহঃ)-এর অভিমত।
বিশ্লেষণ
বস্তুত এতে তাঁর এই উদ্দেশ্য নয় যে, সেই ব্যক্তি প্রতিবেশীর সহযােগিতা ত্যাগ করায় ঈমান থেকে বের হয়ে কুফরীতে পৌছে গেছে; বরং এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য হচ্ছে, সেই ব্যক্তির ঈমানের উঁচু মর্যাদা লাভ হয় নাই। অনুরূপ অনেক উদাহরণ আছে, যা উল্লেখ করলে গ্রন্থের পরিসর দীর্ঘ হয়ে যাবে। একইভাবে তাঁর ইরশাদঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহর নাম নিবে না, তার উযূ হবে না”-এর মর্ম এটি নয় যে, সেই ব্যক্তি এমন উযূ বিশিষ্ট হয়নি, যা তাকে অপবিত্রতা থেকে বের করেনি; বরং এর মর্ম হচ্ছে, সেই ব্যক্তি পূর্ণ উযূর সাথে উযূ বিশিষ্ট হয়নি, যা ছওয়াব লাভের অন্যতম এক মাধ্যম। সুতরাং যখন এই হাদীস সেই মর্মের সম্ভাবনা রাখে, যা আমরা বর্ণনা করেছি, আর এখানে এরূপ কোন প্রমাণ বিদ্যমান নেই, যাতে এক ব্যাখ্যা অপর ব্যাখ্যার উপর নিশ্চিতভাবে প্রাধান্য পেতে পারে, তাই এর অর্থ মুহাজির (রাযিঃ)-এর হাদীসের অর্থের অনুকূলে সাব্যস্ত করা আবশ্যক, যেন উভয়ের মাঝে পারস্পরিক বৈপরিত্য সৃষ্টি না হয়।
অতএব প্রমাণিত হল যে, বিসমিল্লাহ্ পড়া ব্যতীত উযূ দ্বারাও উযূকারী ব্যক্তি অপবিত্রতা থেকে পবিত্রতার দিকে বের হয়ে আসে।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক প্রমাণ ও বিশ্লেষণ
যুক্তির নিরিখে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশ্লেষণ নিম্নরূপঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, এমন কতেক বস্তু আছে। যাতে কথা বা বাক্য ব্যতীত প্রবেশ করা যায় না বা সম্পাদিত হয় না। তার মধ্যে রয়েছে সেই সমস্ত লেনদেন যা লােকদের মাঝে বেচা-কেনা, ইজারা, বিবাহ ও খুলা ইত্যাদি রূপে প্রচলিত আছে। এই সমস্ত বস্তু বাক্য বা কথা বলা ব্যতীত সম্পন্ন হয় না, বরং বিষয়ের উল্লেখ সম্বলিত কথার মাধ্যমে তা সম্পাদিত হয়। যেমন মানুষ বলে থাকেঃ আমি তােমার কাছে বিক্রি করেছি, আমি তােমাকে বিবাহ করেছি, আমি তােমার সাথে খুলা করেছি। এগুলাে সেই সমস্ত বাক্য, যাতে লেনদেনের উল্লেখ আছে। আবার কিছু বস্তু আছে, যাতে বিশেষ কথা দ্বারা প্রবেশ করা যায়। তা হচ্ছে সালাত এবং হজ্জ। সালাতে তাকবীরের দ্বারা এবং হজ্জে তালবিয়া দ্বারা প্রবেশ করা যায়। সুতরাং সালাতে তাকবীর’ এবং হজ্জে তালবিয়া’ এগুলাের রুকনের অন্তর্ভুক্ত।
এবার আমরা উযূতে বিসমিল্লাহ্ বলার দিকে লক্ষ্য করব, তা পূর্বোল্লিখিত বিষয়গুলাের কোনটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ কি-না ? আমরা দেখেছি যে, তাতে কোন বস্তু সম্পন্ন করার উল্লেখ নেই, যেমনটি বিবাহ এবং ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে রয়েছে। এইজন্য বিসমিল্লাহ্ বলা সেই বস্তুর বিধান থেকে ভিন্ন হবে। আর বিসমিল্লাহ্ বলা উযূর কোন রুকনও নয়। যেমনিভাবে তাকবীর বলা সালাতের একটি রুকন এবং তালবিয়া বলা হজ্জের একটি রুকন। অনুরূপভাবে এর দ্বারা এর বিধান তাকবীর ও তালবিয়ার বিধান থেকেও পৃথক হয়ে গেল। অতএব এতে সেই ব্যক্তির বক্তব্য নাকচ হয়ে গেল, যে ব্যক্তি বলে যে, উযূতে বিসমিল্লাহ্ বলা অনুরূপভাবে আবশ্যক, যেমনিভাবে এই সমস্ত বস্তুগুলাে সংশ্লিষ্ট ইবাদাতসমূহের মধ্যে আবশ্যক।
যদি কোন প্রশ্নকারী বলে যে, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, জবাই করার সময় জন্তুর উপর বিসমিল্লাহ্ পড়া আবশ্যক। যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে তা পরিত্যাগ করবে তার জবাইকৃত জন্তু খাওয়া যাবে না। অনুরূপভাবে উযূতে বিসমিল্লাহ্ বলাও আবশ্যক।
তাকে উত্তরে বলা হবেঃ যুক্তির নিরিখে যা প্রমাণিত হয় তা হচ্ছে, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে জবাই করার জন্তুর উপর বিসমিল্লাহ্ বলা পরিত্যাগ করবে সেটি ভক্ষণ না করার ব্যাপারে আলিমদের মতবিরােধ আছে। কতেক আলিম বলেছেন, ভক্ষণ করা যাবে, কতেক আলিম বলেছেন, যাবে না। যারা বলেছেন ভক্ষণ করা যাবে তাদের অভিমতের ব্যাপারে আমাদের বর্ণনা যথেষ্ট। আর যারা বলেছেন যে, ভক্ষণ করা যাবে না, বস্তুত তারা বলেছেন, যদি ভুলে তা পরিত্যাগ করে তাহলে ভক্ষণ করা যাবে । জবাইকারী মুসলমান হউক বা আহলে ফিরাকের কাফির হউক, তা তাদের নিকট সমান। সুতরাং এখানে সেই ব্যক্তির কথামতে যে কি-না জন্তুর উপর বিসমিল্লাহ্ পড়াকে ওয়াজিব সাব্যস্ত করে তারা মিল্লাত তথা আহলে কিতাব হওয়ার বর্ণনার জন্য। যদি জবাইকারী বিসমিল্লাহ্ পড়ে তাহলে এটি সে সমস্ত মিল্লাত অবলম্বীদের জবাই করা জন্তু হবে, যাদের জবাই করা জন্তু ভক্ষণ করা হয়। আর যখন বিসমিল্লাহ্ পড়বে না, তখন এটি সেই সমস্ত মিল্লাত অবলম্বীদের জবাই করা জন্তু হবে, যাদেরটি ভক্ষণ করা হয় না। পক্ষান্তরে উযূ করার সময় বিসমিল্লাহ্ পড়া কোন মিল্লাত প্রকাশের জন্য নয়; বরং এটি সালাতের কারণসমূহ থেকে একটি কারণের যিকরের স্বরূপ । সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি উযূ করা এবং সতর ঢাকা সালাতের কারণ (ও শর্ত )-সমূহের অন্তর্ভুক্ত। কেউ যদি বিসমিল্লাহ্ পড়া ব্যতীত সতর ঢেকে নেয়, এতে কোনরূপ অসুবিধা হয় না। অতএব যুক্তির দাবি হচ্ছে, যদি কেউ বিসমিল্লাহ্ পড়া ব্যতীত তাহারাত তথা উযূ করে তাতেও অসুবিধা হবে না। এটিই হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইব্নুল হাসান (রাহঃ)-এর অভিমত।
باب التسمية على الوضوء
116 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَشِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْمُسَاوِرِ أَوِ ابْنِ أَبِي الْمُسَاوِرِ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يُعَاتِبُ ابْنَ الزُّبَيْرِ فِي الْبُخْلِ وَيَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ الْمُؤْمِنُ الَّذِي يَبِيتُ شَبْعَانَ وَجَارُهُ إِلَى جَنْبِهِ جَائِعٌ» . فَلَمْ يُرِدْ بِذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ بِمُؤْمِنٍ إِيمَانًا خَرَجَ بِتَرْكِهِ إِيَّاهُ إِلَى الْكُفْرِ , وَلَكِنَّهُ أَرَادَ بِهِ أَنَّهُ لَيْسَ فِي أَعْلَى مَرَاتِبِ الْإِيمَانِ. وَأَشْبَاهُ هَذَا كَثِيرَةٌ , يَطُولُ الْكِتَابُ بِذِكْرِهَا. فَكَذَلِكَ قَوْلُهُ: «لَا وُضُوءَ لِمَنْ لَمْ يُسَمِّ» لَمْ يُرِدْ بِذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ بِمُتَوَضِّئٍ وُضُوءًا لَمْ يَخْرُجْ بِهِ مِنَ الْحَدَثِ , وَلَكِنَّهُ أَرَادَ أَنَّهُ لَيْسَ بِمُتَوَضِّئٍ وُضُوءًا كَامِلًا فِي أَسْبَابِ الْوُضُوءِ الَّذِي يُوجِبُ الثَّوَابَ. فَلَمَّا احْتَمَلَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنَ الْمَعَانِي مَا وَصَفْنَا، وَلَمْ يَكُنْ هُنَاكَ دَلَالَةٌ يُقْطَعُ بِهَا لِأَحَدِ التَّأْوِيلَيْنِ عَلَى الْآخَرِ؛ وَجَبَ أَنْ يُجْعَلَ مَعْنَاهُ مُوَافِقًا لِمَعَانِي حَدِيثِ الْمُهَاجِرِ , حَتَّى لَا يَتَضَادَّا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْوُضُوءَ بِلَا تَسْمِيَةٍ يَخْرُجُ بِهِ الْمُتَوَضِّئُ مِنَ الْحَدَثِ إِلَى الطَّهَارَةِ. وَأَمَّا وَجْهُ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ، فَإِنَّا رَأَيْنَا أَشْيَاءَ لَا يَدْخُلُ فِيهَا إِلَّا بِكَلَامٍ. مِنْهَا الْعُقُودُ الَّتِي يَعْقِدُهَا بَعْضُ النَّاسِ لِبَعْضٍ مِنَ الْبِيَاعَاتِ وَالْإِجَارَاتِ وَالْمُنَاكَحَاتِ وَالْخُلْعِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ. فَكَانَتْ تِلْكَ الْأَشْيَاءُ لَا تَجِبُ إِلَّا بِأَقْوَالٍ، وَكَانَتِ الْأَقْوَالُ مِنْهَا إِيجَابٌ , لِأَنَّهُ يَقُولُ (قَدْ بِعْتُكَ , قَدْ زَوَّجْتُكَ , قَدْ خَلَعْتُكِ) . فَتِلْكَ أَقْوَالٌ فِيهَا ذِكْرُ الْعُقُودِ وَأَشْيَاءُ تَدْخُلُ فِيهَا بِأَقْوَالٍ وَهِيَ الصَّلَاةُ وَالْحَجُّ , فَتَدْخُلُ فِي الصَّلَاةِ بِالتَّكْبِيرِ , وَفِي الْحَجِّ بِالتَّلْبِيَةِ. فَكَانَ التَّكْبِيرُ فِي الصَّلَاةِ وَالتَّلْبِيَةُ فِي الْحَجِّ رُكْنًا مِنْ أَرْكَانِهَا. ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى التَّسْمِيَةِ فِي الْوُضُوءِ , هَلْ تُشْبِهُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ؟ فَرَأَيْنَاهَا غَيْرَ مَذْكُورٍ فِيهَا إِيجَابُ شَيْءٍ كَمَا كَانَ فِي النِّكَاحِ وَالْبُيُوعِ. فَخَرَجَتِ التَّسْمِيَةُ لِذَلِكَ مِنْ حُكْمِ مَا وَضَعْنَا , وَلَمْ تَكُنِ التَّسْمِيَةُ أَيْضًا رُكْنًا مِنْ أَرْكَانِ الْوُضُوءِ كَمَا كَانَ التَّكْبِيرُ رُكْنًا مِنْ أَرْكَانِ الصَّلَاةِ , وَكَمَا كَانَتِ التَّلْبِيَةُ رُكْنًا مِنْ أَرْكَانِ الْحَجِّ , فَخَرَجَ أَيْضًا بِذَلِكَ حُكْمُهَا مِنْ حُكْمِ التَّكْبِيرِ وَالتَّلْبِيَةِ. فَبَطَلَ بِذَلِكَ قَوْلُ مَنْ قَالَ: إِنَّهُ لَا بُدَّ مِنْهَا فِي الْوُضُوءِ كَمَا لَا بُدَّ مِنْ تِلْكَ الْأَشْيَاءِ فِيمَا يُعْمَلُ فِيهِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الذَّبِيحَةَ لَا بُدَّ مِنَ التَّسْمِيَةِ عِنْدَهَا , وَمَنْ تَرَكَ ذَلِكَ مُتَعَمِّدًا لَمْ تُؤْكَلْ ذَبِيحَتُهُ , فَالتَّسْمِيَةُ أَيْضًا عَلَى الْوُضُوءِ كَذَلِكَ. قِيلَ لَهُ: مَا ثَبَتَ فِي حُكْمِ النَّظَرِ أَنَّ مَنْ تَرَكَ التَّسْمِيَةَ عَلَى الذَّبِيحَةِ مُتَعَمِّدًا أَنَّهَا لَا تُؤْكَلُ , لَقَدْ تَنَازَعَ النَّاسُ فِي ذَلِكَ. فَقَالَ بَعْضُهُمْ: تُؤْكَلُ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَا تُؤْكَلُ. فَأَمَّا مَنْ قَالَ: تُؤْكَلُ فَقَدْ كُفِينَا الْبَيَانَ لِقَوْلِهِ. وَأَمَّا مَنْ قَالَ: لَا تُؤْكَلُ , فَإِنَّهُ يَقُولُ: إِنْ تَرَكَهَا نَاسِيًا تُؤْكَلُ , وَسَوَاءٌ عِنْدَهُ كَانَ الذَّابِحُ مُسْلِمًا أَوْ كَافِرًا , بَعْدَ أَنْ يَكُونَ كِتَابِيًّا. فَجُعِلَتِ التَّسْمِيَةُ هَاهُنَا فِي قَوْلِ مَنْ أَوْجَبَهَا فِي الذَّبِيحَةِ , إِنَّمَا هِيَ لِبَيَانِ الْمِلَّةِ. فَإِذَا سَمَّى الذَّابِحُ صَارَتْ ذَبِيحَتُهُ مِنْ ذَبَائِحِ الْمِلَّةِ الْمَأْكُولَةِ ذَبِيحَتُهَا، وَإِذَا لَمْ يُسَمِّ جُعِلَتْ مِنْ ذَبَائِحِ الْمِلَلِ الَّتِي لَا تُؤْكَلُ ذَبَائِحُهَا. وَالتَّسْمِيَةُ عَلَى الْوُضُوءِ لَيْسَ لِلْمِلَّةِ إِنَّمَا هِيَ مَجْعُولَةٌ لِذِكْرٍ عَلَى سَبَبٍ مِنْ أَسْبَابِ الصَّلَاةِ، فَرَأَيْنَا مِنْ أَسْبَابِ الصَّلَاةِ الْوُضُوءَ وَسَتْرَ الْعَوْرَةِ , فَكَانَ مَنْ سَتَرَ عَوْرَتَهُ لَا بِتَسْمِيَةٍ , لَمْ يَضُرَّهُ ذَلِكَ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ , أَنْ يَكُونَ مَنْ تَطَهَّرَ أَيْضًا لَا بِتَسْمِيَةٍ , لَمْ يَضُرَّهُ ذَلِكَ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান