শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৭ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৫
২- বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম।
৪৫. ইউনুস ইবন আব্দুল আ'লা (রাহঃ)...... আবু কাতাদার পুত্রবধূ কাবশা বিন্ত কা'ব ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেন যে, (তার শ্বশুর) আবু কাতাদা (রাযিঃ) একবার তার কাছে এলে তিনি তাঁর জন্য ওযুর পানি ঢেলে দিলেন। এমন সময় একটি বিড়াল এসে তা থেকে পানি পান করতে শুরু করল। আবু কাতাদা (রাযিঃ) বিড়ালটির জন্য পানির পাত্রটি কাত করে ধরলেন। বিড়ালটি পরিতৃপ্ত পান করল৷ কাশা বলেন, তিনি আমাকে আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে বললেনঃ “হে ভ্রাতৃষ্পুত্রী, তুমি এতে বিস্ময় প্রকাশ করছ”! আমি বললাম ঃ হ্যাঁ। তিনি বললেন ঃ রাসূলুল্লাহ্ বলেছেনঃ বিড়ালের উচ্ছিষ্ট নাপাক নয়। কারণ বিড়াল তো তোমাদের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে।
بَابُ سُؤْرِ الْهِرِّ
45 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: أنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ حُمَيْدَةَ بِنْتِ عُبَيْدِ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ كَبْشَةَ بِنْتِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، وَكَانَتْ تَحْتَ ابْنِ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ أَبَا قَتَادَةَ دَخَلَ عَلَيْهَا فَسَكَبَتْ لَهُ وُضُوءًا، فَجَاءَتْ هِرَّةٌ فَشَرِبَتْ مِنْهُ، فَأَصْغَى لَهَا أَبُو قَتَادَةَ الْإِنَاءَ حَتَّى شَرِبَتْ. قَالَتْ كَبْشَةُ فَرَآنِي أَنْظُرُ إِلَيْهِ، فَقَالَ: أَتَعْجَبِينَ يَا ابْنَةَ أَخِي؟ قَالَتْ: قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «[ص:19] إِنَّهَا لَيْسَتْ بِنَجَسٍ , إِنَّهَا مِنَ الطَّوَّافِينَ عَلَيْكُمْ أَوِ الطَّوَّافَاتِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৬
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৪৬.মুহাম্মাদ ইবনুল হাজ্জাজ (রাহঃ)...... বর্ণনা করেন, কা'ব ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) তাঁর দাদা আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি তাঁকে (দাদা) দেখেছি,তিনি উযূ করছিলেন। এমন সময় একটি বিড়াল এল। তিনি বিড়ালের জন্য পাত্র কাত করে ধরলেন, আর সেটি তা থেকে তৃপ্ত হয়ে পানি পান করল। আমি বললাম, আব্বাজান, এমনটি কেন করছেন ? তিনি বললেন, নবী(ﷺ)ও এমনটি করতেন।অথবা তিনি বলেছেন, এটি তোমাদের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে।
باب سؤر الهر
46 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَجَّاجِ، قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: ثنا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ كَعْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: رَأَيْتُهُ يَتَوَضَّأُ، فَجَاءَ الْهِرُّ فَأَصْغَى لَهُ حَتَّى شَرِبَ مِنَ الْإِنَاءِ، فَقُلْتُ: يَا أَبَتَاهُ , لِمَ تَفْعَلُ هَذَا؟ فَقَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُهُ. أَوْ قَالَ: «هِيَ مِنَ الطَّوَّافِينَ عَلَيْكُمْ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৭
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৪৭.আবু বাকরা (রাহঃ)...... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন : আমি এবং রাসুলুল্লাহ্ একই পাত্র থেকে গোসল করতাম, এর পূর্বে বিড়াল এটি থেকে পানি পান করে যেত।
باب سؤر الهر
47 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو الرِّجَالِ، عَنْ أُمِّهِ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْإِنَاءِ الْوَاحِدِ، وَقَدْ أَصَابَتِ الْهِرُّ مِنْهُ قَبْلَ ذَلِكَ ".

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৪৮. ইউনুস (রাহঃ) ও আবু বিশর আব্দুল মালিক ইবন মারওয়ান রকী (রাহঃ)........ আয়েশা (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
باب سؤر الهر
48 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ أَبِي الرِّجَالِ رَحِمَهُ اللهُ.
49 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ الرَّقِّيُّ، قَالَ: ثنا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
49 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ الرَّقِّيُّ، قَالَ: ثنا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫০
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৫০.আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ)...... আয়েশা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ বিড়ালের (পানি পানের) জন্য পাত্র কাত করে দিতেন। আর তিনি এর অবশিষ্ট অংশ (উচ্ছিষ্ট) দিয়ে উযূ করতেন। আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এক দল আলিম এই সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন। তাঁরা বিড়ালের উচ্ছিষ্ট বস্তুতে কোন দোষ আছে বলে মনে করেন না। যারা এমত পোষণ করেছেন, ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) তাঁদের অন্তর্ভুক্ত। পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন এবং একে (বিড়ালের উচ্ছিষ্টকে) মাকরূহ বলেছেন। প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে তাঁদের প্রমাণ হল যে, ইসহাক ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) থেকে মালিক (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ -এর উক্তি : “তা-তো (বিড়াল) তোমাদের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে।” এতে তোমাদের স্বপক্ষে কোনরূপ প্রমাণ নেই। কারণ হতে পারে এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্যে হচ্ছে, এটি গৃহসমূহে অবস্থান করে এবং কাপড়সমূহকে স্পর্শ করে, এটা বুঝানো। পক্ষান্তরে এর পাত্রে মুখ দেয়ার ক্ষেত্রে নাজাসাত প্রমাণিত হওয়া অথবা না হওয়ার বিষয়ে কোনরূপ দলীল নেই। আবু কাতাদা (রাযিঃ)-এর আমলও এর প্রতি ইঙ্গিত করে। অতএব, এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ্ -এর উক্তি দ্বারা প্রমাণ পেশ করা যাবে না। যেহেতু এতে এই সম্ভাবনার সাথে সাথে এর বিপরীত সম্ভাবনাও রয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ঘরসমূহে কুকুর থাকা মাকরূহ নয়। অথচ এর উচ্ছিষ্ট মাকরূহ (নাপাক)। অতএব হতে পারে আবু কাতাদা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ থেকে যা কিছু বর্ণিত আছে, এর দ্বারা শিকার, পাহারা এবং কৃষি কার্যের জন্য ঘরসমূহে এগুলোর অবস্থান করা বুঝানো হয়েছে। কিন্তু তারই উচ্ছিষ্ট মাকরূহ কিনা, এ ব্যাপারে এতে কোন দলীল নেই। হ্যাঁ অপরাপর রিওয়ায়াতসমূহ যা আয়েশা (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ্ থেকে বর্ণিত আছে, সেই মুতাবিক তার উচ্ছিষ্ট মুবাহ। সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে-এর বিপরীতও কি কিছু বর্ণিত আছে, তা আমরা দেখার প্রয়াস পাব। এই বিষয়ে আমরা দেখছিঃ
باب سؤر الهر
50 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ عَمْرٍو الْخُرَاسَانِيُّ، قَالَ: ثنا صَالِحُ بْنُ حَيَّانَ، قَالَ: ثنا عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصْغِي الْإِنَاءَ لِلْهِرِّ وَيَتَوَضَّأُ بِفَضْلِهِ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذِهِ الْآثَارِ فَلَمْ يَرَوْا بِسُؤْرِ الْهِرِّ بَأْسًا. وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ أَبُو يُوسُفَ وَمُحَمَّدٌ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَكَرِهُوهُ، وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , أَنَّ حَدِيثَ مَالِكٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنَ عَبْدِ اللهِ , لَا حُجَّةَ لَكُمْ فِيهِ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَنَّهَا لَيْسَتْ بِنَجَسٍ , إِنَّهَا مِنَ الطَّوَّافِينَ عَلَيْكُمْ أَوِ الطَّوَّافَاتِ لِأَنَّ ذَلِكَ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أُرِيدَ بِهِ كَوْنُهَا فِي الْبُيُوتِ وَمُمَاسَّتُهَا الثِّيَابَ. فَأَمَّا وُلُوغُهَا فِي الْإِنَاءِ فَلَيْسَ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّ ذَلِكَ يُوجِبُ النَّجَاسَةَ أَمْ لَا. وَإِنَّمَا الَّذِي فِي الْحَدِيثِ مِنْ ذَلِكَ , فِعْلُ أَبِي قَتَادَةَ. فَلَا يَنْبَغِي أَنْ يُحْتَجَّ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا قَدْ يَحْتَمِلُ الْمَعْنَى الَّذِي يُحْتَجُّ بِهِ فِيهِ وَيُحْتَمَلُ خِلَافُهُ , وَقَدْ رَأَيْنَا الْكِلَابَ كَوْنُهَا فِي الْمَنَازِلِ غَيْرُ مَكْرُوهٍ، وَسُؤْرُهَا مَكْرُوهٌ، فَقَدْ يَجُوزُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا فِي حَدِيثِ أَبِي قَتَادَةَ أُرِيدَ بِهِ الْكَوْنُ فِي الْمَنَازِلِ لِلصَّيْدِ وَالْحِرَاسَةِ وَالزَّرْعِ. وَلَيْسَ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى حُكْمِ سُؤْرِهَا , هَلْ هُوَ مَكْرُوهٌ أَمْ لَا. وَلَكِنَّ الْآثَارَ الْأُخَرَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا إِبَاحَةُ سُؤْرِهَا. فَنُرِيدُ أَنْ نَنْظُرَ هَلْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يُخَالِفُهَا فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫১
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৫১. আবু বাকরা (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ যখন পাত্রে বিড়াল মুখ দিবে তখন একবার বা দুইবার (সন্দেহটা বর্ণনাকারী কুররার) ধৌত করার পর পবিত্র হয়ে যাবে। এই হাদীসটি সনদের দিক দিয়ে মুত্তাসিল (ধারাবাহিক সনদ সম্বলিত) এবং এটি প্রথমোক্ত রিওয়ায়াতসমূহের বিষয়বস্তুর পরিপন্থী। আর এটি সনদের বিশুদ্ধতার কারণে সেই সমস্ত হাদীসসমূহের উপরে প্রাধান্য পাওয়ার দাবি রাখে। যদি সনদের দিকটির প্রতি লক্ষ্য করা হয়, তাহলে বিরোধী রিওয়ায়াত অপেক্ষা এটা গ্রহণ করা অধিকতর শ্রেয় বিবেচিত হবে। কেউ যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলে যে, হিশাম ইবন হাসানের (রাহঃ) এই হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবন সীরীন (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন, কিন্তু তিনি তা মারফূ'রূপে বর্ণনা করেন নি। আর এই সম্পর্কে এরূপ উল্লিখিত হয়েছেঃ
باب سؤر الهر
51 - فَإِذَا أَبُو بَكْرَةَ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ قُرَّةَ بْنِ خَالِدٍ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «طَهُورُ الْإِنَاءِ إِذَا وَلَغَ فِيهِ الْهِرُّ أَنْ يُغْسَلَ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ» . قُرَّةُ شَكَّ، وَهَذَا حَدِيثٌ مُتَّصِلُ الْإِسْنَادِ , فِيهِ خِلَافُ مَا فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ , وَقَدْ فَصَّلَهَا هَذَا الْحَدِيثُ لِصِحَّةِ إِسْنَادِهِ. فَإِنْ كَانَ هَذَا الْأَمْرُ يُؤْخَذُ مِنْ جِهَةِ الْإِسْنَادِ، فَإِنَّ الْقَوْلَ بِهَذَا أَوْلَى مِنَ الْقَوْلِ بِمَا خَالَفَهُ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫২
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৫২. আবু বাকরা (রাহঃ)....... মুহাম্মাদ ইবন সীরীন (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন : বিড়ালের উচ্ছিষ্ট ভাসিয়ে দেয়া হবে এবং পাত্রকে একবার বা দুইবার ধৌত করা হবে।
উত্তরে তাকে বলা হবে যে, এই হাদীসে এমন কিছু নেই, যা কুররা (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াত নাকচ হওয়াকে অপরিহার্য করে। যেহেতু মুহাম্মাদ ইব্ন সীরীন (রাহঃ) কখনও আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীস মাউকুফ হিসাবে বর্ণনা করেন। আর যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, এটি কি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে ? তখন তিনি তা মারফূ-হিসাবে বর্ণনা করতেন। (তিনি যে এমনটি করতেন)
উত্তরে তাকে বলা হবে যে, এই হাদীসে এমন কিছু নেই, যা কুররা (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াত নাকচ হওয়াকে অপরিহার্য করে। যেহেতু মুহাম্মাদ ইব্ন সীরীন (রাহঃ) কখনও আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীস মাউকুফ হিসাবে বর্ণনা করেন। আর যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, এটি কি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে ? তখন তিনি তা মারফূ-হিসাবে বর্ণনা করতেন। (তিনি যে এমনটি করতেন)
باب سؤر الهر
52 -فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِنَّ هِشَامَ بْنَ حَسَّانَ قَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ فَلَمْ يَرْفَعْهُ وَذَكَرَ فِي ذَلِكَ مَا حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ , قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «سُؤْرُ الْهِرَّةِ يُهْرَاقُ، وَيُغْسَلُ الْإِنَاءُ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ» . قِيلَ لَهُ: لَيْسَ فِي هَذَا مَا يَجِبُ بِهِ فَسَادُ حَدِيثِ قُرَّةَ؛ لِأَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ سِيرِينَ قَدْ كَانَ يَفْعَلُ هَذَا فِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ يُوقِفُهَا عَلَيْهِ , فَإِذَا سُئِلَ عَنْهَا: هَلْ هِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ رَفَعَهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৩
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৫৩.এর প্রমাণ হল নিম্নরূপ বর্ণনাঃ
ইবরাহীম ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)...... ইয়াহইয়া ইবন ঈসা (রাহঃ) সূত্রে মুহাম্মাদ ইব্ন সীরীন (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি যখন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণনা করতেন তখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হতঃ এটি কি নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি এমনটি এই জন্য করতেন যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তাঁদেরকে প্রত্যেক হাদীস নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করতেন।
এ কারণেই তাঁকে (মুহাম্মাদ ইব্ন সীরীন)-কে তিনি মারফূ'রূপে উল্লেখ করেছেন। ফলে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত প্রত্যেক হাদীসকে মারফূ' হিসাবে বর্ণনা করা প্রয়োজন থাকল না। এতে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীস মুত্তাসিল হওয়াটা প্রমাণিত হয়ে গেল। এর সাথে সাথে (তাঁর শাগরেদ) কুররা (রাহঃ) প্রমাণ্য, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য (ছাবিত, যাবিত ও ইতকানের অধিকারী) রাবীরূপে প্রমাণিত হলেন। তাছাড়া এই হাদীসটিই আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে অন্য সনদে মাউকুফ রূপে বর্ণিত আছে, যা মারফূ' নয়।
ইবরাহীম ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)...... ইয়াহইয়া ইবন ঈসা (রাহঃ) সূত্রে মুহাম্মাদ ইব্ন সীরীন (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি যখন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণনা করতেন তখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হতঃ এটি কি নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি এমনটি এই জন্য করতেন যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তাঁদেরকে প্রত্যেক হাদীস নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করতেন।
এ কারণেই তাঁকে (মুহাম্মাদ ইব্ন সীরীন)-কে তিনি মারফূ'রূপে উল্লেখ করেছেন। ফলে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত প্রত্যেক হাদীসকে মারফূ' হিসাবে বর্ণনা করা প্রয়োজন থাকল না। এতে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীস মুত্তাসিল হওয়াটা প্রমাণিত হয়ে গেল। এর সাথে সাথে (তাঁর শাগরেদ) কুররা (রাহঃ) প্রমাণ্য, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য (ছাবিত, যাবিত ও ইতকানের অধিকারী) রাবীরূপে প্রমাণিত হলেন। তাছাড়া এই হাদীসটিই আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে অন্য সনদে মাউকুফ রূপে বর্ণিত আছে, যা মারফূ' নয়।
باب سؤر الهر
53 - وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ مَا حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْهَرَوِيُّ، قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَتِيقٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا حَدَّثَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فَقِيلَ لَهُ: عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: «كُلُّ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» وَإِنَّمَا كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ لِأَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ لَمْ يَكُنْ يُحَدِّثُهُمْ إِلَّا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَأَغْنَاهُ مَا أَعْلَمَهُمْ مِنْ ذَلِكَ فِي حَدِيثِ ابْنِ أَبِي دَاوُدَ , أَنْ يَرْفَعَ كُلَّ حَدِيثٍ يَرْوِيهِ لَهُمْ مُحَمَّدٌ عَنْهُ فَثَبَتَ بِذَلِكَ اتِّصَالُ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ هَذَا , مَعَ ثَبْتِ قُرَّةَ وَضَبْطِهِ وَإِتْقَانِهِ. ثُمَّ قَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مَوْقُوفًا مِنْ غَيْرِ هَذَا الطَّرِيقِ , وَلَكِنَّهُ غَيْرُ مَرْفُوعٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৪
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৫৪. রবীউল জীযী (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, বিড়ালের মুখ দেয়া পাত্রকে অনুরূপভাবে ধৌত করা হবে, যেমনিভাবে কুকুর মুখ দেয়া পাত্র ধৌত করা হয়।
باب سؤر الهر
54 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ، قَالَ: أنا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: «يُغْسَلُ الْإِنَاءُ مِنَ الْهِرِّ , كَمَا يُغْسَلُ مِنَ الْكَلْبِ» .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৫৫.ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)....... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়টি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর একদল সাহাবী ও তৎপরবর্তী (তাবেঈন আলিম) দের থেকে বর্ণিত আছেঃ
باب سؤر الهر
55 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أنا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ خَيْرِ بْنِ نُعَيْمٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مِثْلَهُ وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَابِعِيهِمْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৫৬. ইয়াযীদ ইব্ন সিনান (রাহঃ)....... ইব্ন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি কুকুর এবং বিড়ালের উচ্ছিষ্ট (পানি) দ্বারা উযূ করতেন না। তা ব্যতীত অন্য (উচ্ছিষ্ট) কিছুতে অসুবিধা নেই।
باب سؤر الهر
56 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ نَافِعٍ مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّهُ كَانَ لَا يَتَوَضَّأُ بِفَضْلِ الْكَلْبِ وَالْهِرِّ، وَمَا سِوَى ذَلِكَ فَلَيْسَ بِهِ بَأْسٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৭
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৫৭. ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ)...... ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ গাধা, কুকুর ও বিড়ালের উচ্ছিষ্ট (পানি) দ্বারা উযূ করবেনা ।
باب سؤر الهر
57 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الرَّبِيعُ بْنُ يَحْيَى الْأَشْنَانِيُّ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ وَاقِدِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ: «لَا تَوَضَّئُوا مِنْ سُؤْرِ الْحِمَارِ وَلَا الْكَلْبِ وَلَا السِّنَّوْرِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৫৮.ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ)... সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ বিড়াল পাত্রে মুখ দিলে তা দুইবার অথবা তিনবার ধৌত কর ।
باب سؤر الهر
58 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ أَبِي عَبْدِ اللهِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدٍ، قَالَ: «إِذَا وَلَغَ السِّنَّوْرُ فِي الْإِنَاءِ فَاغْسِلْهُ مَرَّتَيْنِ وَثَلَاثًا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৯
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৫৯.মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ)...... কাতাদা (রাহঃ) হাসান (রাহঃ) এবং সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব (রাহঃ) থেকে বিড়ালের পাত্রে মুখ দেয়া প্রসঙ্গে রিওয়ায়াত করেছেন। তাঁদের একজন বলেছেনঃ তা একবার ধৌত করবে। অপর জন বলেছেন : তা দুইবার ধৌত করবে।
باب سؤر الهر
59 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ فِي السِّنَّوْرِ يَلِغُ فِي الْإِنَاءِ، قَالَ أَحَدُهُمَا: " يَغْسِلُهُ مَرَّةً. وَقَالَ الْآخَرُ: يَغْسِلُهُ مَرَّتَيْنِ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬০
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৬০.সুলায়মান ইবন শুআইব (রাহঃ)..... কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, সাঈদ ইবনুল মুসাইয়ার (রাহঃ) ও হাসান (রাহঃ) বলেনঃ বিড়ালের মুখ দেয়া পাত্র তিনবার ধৌত কর।
باب سؤر الهر
60 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْكَيْسَانِيُّ، قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ بْنُ نَاصِحٍ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: كَانَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ وَالْحَسَنُ يَقُولَانِ: «اغْسِلِ الْإِنَاءَ ثَلَاثًا» يَعْنِي مِنْ سُؤْرِ الْهِرِّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৬১.আবু বাকরা (রাহঃ)....... আবু হুররা (রাহঃ) হাসান (রাহঃ) থেকে এরূপ বিড়ালের ব্যাপারে রিওয়ায়াত করেছেন, যা পাত্রে মুখ দিয়েছে বা তা থেকে পান করেছে। তিনি বলেনঃ তা ভাসিয়ে দিবে এবং পাত্রকে একবার ধৌত করবে।
باب سؤر الهر
61 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: ثنا أَبُو حُرَّةَ، عَنِ الْحَسَنِ فِي هِرٍّ وَلَغَ فِي إِنَاءٍ أَوْ شَرِبَ مِنْهُ، قَالَ: «يُصَبُّ، وَيُغْسَلُ الْإِنَاءُ مَرَّةً»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৬২.রাওহ ইবনুল ফারাজ আল-কাত্তান (রাহঃ)....... ইয়াহইয়া ইবন আয়্যূব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। যে, তিনি একবার ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রাযিঃ)-কে সেই সমস্ত প্রাণীর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন, যেগুলোর উচ্ছিষ্ট (পানি) দ্বারা উযু করা হয় না। তিনি বলেন : শূকর, কুকুর ও বিড়াল
বস্তুত বিশুদ্ধ পর্যবেক্ষণ উক্ত বক্তব্যকে শক্তিশালীরূপে প্রতিষ্ঠিত করে। আর তা এভাবেঃ আমরা লক্ষ্য করেছি যে, গোশত চার প্রকারঃ
(১) প্রথম গোশত যা পবিত্র এবং ভক্ষণ করা হয়। আর তা হচ্ছে উট, গরু ও বকরীর গোশত। এই সমস্তের উচ্ছিষ্ট পবিত্র। যেহেতু তা পবিত্র গোশ্তকে স্পর্শ করে আছে।
(২) দ্বিতীয় প্রকার গোশত পবিত্র কিন্তু ভক্ষণ করা হয় না। আর তা হচ্ছে মানুষের গোশ্ত। তাদের উচ্ছিষ্ট পবিত্র। যেহেতু তা পবিত্র গোশ্তকে স্পর্শ করে আছে।
(৩) তৃতীয় প্রকার গোশত যা হারাম, আর তা হচ্ছে শূকর ও কুকুরের গোশত। এদের উচ্ছিষ্টও হারাম। যেহেতু তা হারাম গোতকে স্পর্শ করে আছে। সুতরাং এই তিন প্রকার গোশতের সঙ্গে যে বস্তু স্পর্শ করে থাকবে (যেমনিভাবে আমরা উল্লেখ করেছি) পবিত্রতা এবং হারাম হওয়া সম্পর্কে এর গোশতের অনুরূপ বিধান প্রযোজ্য হবে।
(৪) চতুর্থ প্রকার গোশ্ত হল যা খেতে নিষেধ করা হয়েছে। তা হচ্ছে, গৃহপালিত গাধা এবং হিংস প্রাণীর গোশ্ত, যা দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে ভক্ষণ করে। বিড়াল এবং অনুরূপ অপরাপর জন্তুও এর অন্তর্ভুক্ত এগুলোর গোশত ভক্ষণ সুন্নাহ মুতাবিক হারাম এবং নিষিদ্ধ। অতএব যুক্তির নিরিখে এর উচ্ছিষ্টের বিধান তা-ই হবে, যা এর গোশতের বিধান; যেহেতু তা মাকরূহ গোশতের সঙ্গে স্পর্শ করে আছে।
এর বিধানও তা-ই হবে, যেমনিভাবে প্রথমোক্ত তিন প্রকার গোশ্ত-এর সঙ্গে স্পর্শকারী বস্তুর বিধান গোশতের বিধানের অনুরূপ। এতে প্রমাণিত হল যে, বিড়ালের উচ্ছিষ্ট মাকরূহ। আর এটিই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমত।
বস্তুত বিশুদ্ধ পর্যবেক্ষণ উক্ত বক্তব্যকে শক্তিশালীরূপে প্রতিষ্ঠিত করে। আর তা এভাবেঃ আমরা লক্ষ্য করেছি যে, গোশত চার প্রকারঃ
(১) প্রথম গোশত যা পবিত্র এবং ভক্ষণ করা হয়। আর তা হচ্ছে উট, গরু ও বকরীর গোশত। এই সমস্তের উচ্ছিষ্ট পবিত্র। যেহেতু তা পবিত্র গোশ্তকে স্পর্শ করে আছে।
(২) দ্বিতীয় প্রকার গোশত পবিত্র কিন্তু ভক্ষণ করা হয় না। আর তা হচ্ছে মানুষের গোশ্ত। তাদের উচ্ছিষ্ট পবিত্র। যেহেতু তা পবিত্র গোশ্তকে স্পর্শ করে আছে।
(৩) তৃতীয় প্রকার গোশত যা হারাম, আর তা হচ্ছে শূকর ও কুকুরের গোশত। এদের উচ্ছিষ্টও হারাম। যেহেতু তা হারাম গোতকে স্পর্শ করে আছে। সুতরাং এই তিন প্রকার গোশতের সঙ্গে যে বস্তু স্পর্শ করে থাকবে (যেমনিভাবে আমরা উল্লেখ করেছি) পবিত্রতা এবং হারাম হওয়া সম্পর্কে এর গোশতের অনুরূপ বিধান প্রযোজ্য হবে।
(৪) চতুর্থ প্রকার গোশ্ত হল যা খেতে নিষেধ করা হয়েছে। তা হচ্ছে, গৃহপালিত গাধা এবং হিংস প্রাণীর গোশ্ত, যা দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে ভক্ষণ করে। বিড়াল এবং অনুরূপ অপরাপর জন্তুও এর অন্তর্ভুক্ত এগুলোর গোশত ভক্ষণ সুন্নাহ মুতাবিক হারাম এবং নিষিদ্ধ। অতএব যুক্তির নিরিখে এর উচ্ছিষ্টের বিধান তা-ই হবে, যা এর গোশতের বিধান; যেহেতু তা মাকরূহ গোশতের সঙ্গে স্পর্শ করে আছে।
এর বিধানও তা-ই হবে, যেমনিভাবে প্রথমোক্ত তিন প্রকার গোশ্ত-এর সঙ্গে স্পর্শকারী বস্তুর বিধান গোশতের বিধানের অনুরূপ। এতে প্রমাণিত হল যে, বিড়ালের উচ্ছিষ্ট মাকরূহ। আর এটিই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমত।
باب سؤر الهر
62 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ الْقَطَّانُ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ أَنَّهُ سَأَلَ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ عَمَّا لَا يُتَوَضَّأُ بِفَضْلِهِ مِنَ الدَّوَابِّ , فَقَالَ: الْخِنْزِيرُ وَالْكَلْبُ وَالْهِرُّ ". وَقَدْ شَدَّ هَذَا الْقَوْلُ النَّظَرَ الصَّحِيحَ , وَذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا اللُّحْمَانَ عَلَى أَرْبَعَةِ أَوْجُهٍ، فَمِنْهَا لَحْمٌ طَاهِرٌ مَأْكُولٌ , وَهُوَ لَحْمُ الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ وَالْغَنَمِ , فَسُؤْرُ ذَلِكَ كُلِّهِ طَاهِرٌ , لِأَنَّهُ مَاسَّ لَحْمًا طَاهِرًا. وَمِنْهَا لَحْمٌ طَاهِرٌ غَيْرُ مَأْكُولٍ وَهُوَ لَحْمُ بَنِي آدَمَ وَسُؤْرُهُمْ طَاهِرٌ , لِأَنَّهُ مَاسَّ لَحْمًا طَاهِرًا. وَمِنْهَا لَحْمٌ حَرَامٌ , وَهُوَ لَحْمُ الْخِنْزِيرِ وَالْكَلْبِ , فَسُؤْرُ ذَلِكَ حَرَامٌ , لِأَنَّهُ مَاسَّ لَحْمًا حَرَامًا. فَكَانَ حُكْمُ مَا مَاسَّ هَذِهِ اللُّحْمَانَ الثَّلَاثَةَ كَمَا ذَكَرْنَا , يَكُونُ حُكْمُهُ حُكْمَهَا فِي الطَّهَارَةِ وَالتَّحْرِيمِ. وَمِنَ اللُّحْمَانِ أَيْضًا لَحْمٌ قَدْ نُهِيَ عَنْ أَكْلِهِ , وَهُوَ لَحْمُ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ وَكُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ أَيْضًا. وَمِنْ ذَلِكَ السِّنَّوْرُ وَمَا أَشْبَهَهُ , فَكَانَ ذَلِكَ مَنْهِيًّا عَنْهُ , مَمْنُوعًا مِنْ أَكْلِ لَحْمِهِ بِالسُّنَّةِ. وَكَانَ فِي النَّظَرِ أَيْضًا سُؤْرُ ذَلِكَ حُكْمُهُ حُكْمُ لَحْمِهِ , لِأَنَّهُ مَاسَّ لَحْمًا مَكْرُوهًا , فَصَارَ حُكْمُهُ حُكْمَهُ كَمَا صَارَ حُكْمُ مَا مَاسَّ اللُّحْمَانَ الثَّلَاثَ الْأُوَلَ حُكْمَهَا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ كَرَاهَةُ سُؤْرِ السِّنَّوْرِ , فَبِهَذَا نَأْخُذُ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান