আশ-শামাঈলুল মুহাম্মাদিয়্যাহ- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الشمائل المحمدية للإمام الترمذي

শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২০৫
রাসূলুল্লাহ্ -এর পানীয় বস্তুর বিবরণ
২০৫।আহমাদ ইবন মানী' (রাহঃ).. ইবন 'আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাথে আমি এবং খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রাযিঃ) একবার মায়মূনা (রাযিঃ)-এর নিকট গেলাম। তিনি আমাদের জন্য একটি পাত্রে দুধ আনলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পান করলেন। আর ঐ সময় আমি ছিলাম তাঁর ডানে এবং খালিদ (রাযিঃ) তাঁর বামে। তারপর তিনি আমাকে বললেন : এখন পান করার হক তোমার। তবে ইচ্ছে করলে তুমি খালিদকে তোমার উপর অগ্রাধিকার দিতে পার। এরপর তিনি [ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) ] বললেন : আমি আপনার উচ্ছিষ্টের ব্যাপারে কাউকে অগ্রাধিকার দিতে রাযী নই। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ্ যদি কাউকে কোন খানা খাওয়ান তাহলে তার বলা উচিত :

اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْرًا مِنْهُ

হে আল্লাহ্! তুমি এতে বরকত দাও এবং আমাদেরকে এর চেয়েও অধিকতর সুস্বাদু খাবার খাওয়াও
আর যদি আল্লাহ্ তাকে দুধ পান করান, তাহলে বলা উচিতঃহে আল্লাহ্! তুমি এতে আমাদের জন্য বরকত দাও এবং আমাদেরকে এ থেকে আরো বেশী দাও। এরপর তিনি (রাবী) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, দুধ ব্যতীত এমন কোন বস্তু নেই যা খাদ্য ও পানীয় উভয়ের কাজ দেয়।

ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) ( প্রথম হাদীছ সম্পর্কে) বলেন, সূফয়ান ইবন 'উয়াইনা (রাহঃ) একইভাবে মা'মার সূত্রে যুহরী ও উরওয়া (রাহঃ) হতে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেন। কিন্তু 'আব্দুল্লাহ ইবন মুবারক, আব্দুর রাযযাক (রাহঃ) এবং আরো অনেকে মা'মার (রাহঃ)... যুহরী (রাহঃ) সূত্রে নবী থেকে মুরসাল সনদে রিওয়ায়াত করেন। আর এতে 'উরওয়া (রাহঃ)... 'আয়িশা (রাযিঃ) সূত্রে যে রিওয়ায়াত করেন, তার উল্লেখ করেননি। অনুরূপভাবে য়ূনুস (রাহঃ)-ও একাধিক রাবী যুবায়র সূত্রে নবী থেকে মুরসাল সনদে রিওয়ায়াত করেন। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেন, সবার মধ্যে একমাত্র ইবন 'উয়াইনা (রাহঃ) একে মারুফূ ও পূর্ণ সনদে রিওয়ায়াত করেন।

ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) (দ্বিতীয় হাদীস সম্পর্কে) বলেন, নবী পত্নী মায়মূনা বিনত হারিছ (রাযিঃ) হলেন খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রাযিঃ), ইবন আব্বাস (রাযিঃ) ও ইয়াযীদ ইবন আসাম্ম (রাযিঃ)-এর খালা। এই হাদীছের সনদ বর্ণনার ব্যাপারে আলী ইবন যায়দ ইবন জুদ'আন (রাহঃ) সম্পর্কে মুহাদ্দিস মহলে (ছিকাহ – নির্ভরযোগ্যতা ও বিশ্বস্ততা নিয়ে) দ্বিমত রয়েছে। তাই কেউ কেউ রিওয়ায়াত করেন, 'আলী ইবন যায়দ (রাহঃ) হতে, তিনি 'উমর ইবন আবু হারমালা (রাহঃ) হতে। কিন্তু শু'বা (রাহঃ) 'আলী ইবন যায়দ সূত্রে রিওয়ায়াত করেন এবং তারপর বলেন 'আমর ইবন হারমালা (রাহঃ) হতে। তবে বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে উমর ইবন আবু হারমালা (রাহঃ)।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ قَالَ : حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ : حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ ، عَنْ عُمَرَ هُوَ ابْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ : دَخَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا وَخَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ عَلَى مَيْمُونَةَ فَجَاءَتْنَا بِإِنَاءٍ مِنْ لَبَنٍ ، فَشَرِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا عَلَى يَمِينِهِ وَخَالِدٌ عَلَى شِمَالِهِ ، فَقَالَ لِي : الشَّرْبَةُ لَكَ ، فَإِنْ شِئِتَ آثَرْتَ بِهَا خَالِدًا فَقُلْتُ : مَا كُنْتُ لِأُوثِرَ عَلَى سُؤْرِكَ أَحدًا ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ أَطْعَمَهُ اللَّهُ طَعَامًا ، فَلْيَقُلِ : اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْرًا مِنْهُ ، وَمَنْ سَقَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَبَنًا ، فَلْيَقُلِ : اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَزِدْنَا مِنْهُ.
ثُمَّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لَيْسَ شَيْءٌ يُجْزِئُ مَكَانَ الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ غَيْرُ اللَّبَنِ.
قَالَ أَبُو عِيسَى : وَمَيْمُونَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ زَوْجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هِيَ خَالَةُ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ ، وَخَالَةُ ابْنِ عَبَّاسٍ ، وَخَالَةُ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ ، وَاخْتَلَفَ النَّاسُ فِي رِوَايَةِ هَذَا الْحَدِيثِ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ ، فَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي حَرْمَلَةَ ، وَرَوَى شُعْبَةُ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، فَقَالَ : عَنْ عَمْرِو بْنِ حَرْمَلَةَ ، وَالصَّحِيحُ عُمَرُ بْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ.