আশ-শামাঈলুল মুহাম্মাদিয়্যাহ- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الشمائل المحمدية للإمام الترمذي

শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৭
মোহরে নবুওয়াত
১৭। সাঈদ ইবন ইয়াকুব তালিকানী (রাহঃ)..... জাবির ইবন সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর দু’কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে মোহরে নবুওয়াত দেখেছি। আর তা যেন ছিল কবুতরের ডিমের ন্যায় লাল বর্ণের গোশতপিণ্ড।
باب ما جاء في خاتم النبوة
حدّثنا سَعِيدُ بْنُ يَعْقُوبَ الطَّالقانيُّ، أَخْبَرَنَا أَيُّوبُ بْنُ جَابِرٍ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: رَأَيْتُ الْخَاتَمَ بَيْنَ كَتِفَيْ رَسُولِ اللّه صلى الله عليه وسلم غُدّةً حَمْرَاءَ مِثْلَ بَيْضَةِ الْحَمَامَةِ.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৮
মোহরে নবুওয়াত
১৮। আবু মুসআব মাদানী (রাহঃ)... রুমায়ছা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : সা’দ ইবন মু’আয (রাযিঃ)-এর ওফাতের দিন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি যে, তাঁর ওফাতে পরম দয়ালু আল্লাহ্ তাআলার আরশ কেঁপে উঠেছিল। রুমায়ছা (রাযিঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন এই উক্তি করেন তখন আমি তাঁর এত নিকটে ছিলাম যে, ইচ্ছে করলে মোহরে নবৃওয়াত চুম্বন করতে পারতাম।
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ الْمَدَنِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ الْمَاجِشُونِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، عَنْ جَدَّتِهِ رُمَيْثَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَلَوْ أَشَاءُ أن أُقَبِّلَ الْخَاتَمَ الَّذِي بَيْنَ كَتِفَيْهِ مِنْ قُرْبِهِ لَفَعَلْتُ - يَقُولُ لِسَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ يَوْمَ مَاتَ: «اهْتَزَّ لَهُ عَرْشُ الرَّحْمَنِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৯
মোহরে নবুওয়াত
১৯।আহমদ ইবন আব্দা যাব্বী, আলী ইবন হুজর এবং আরো অনেকে (রাহঃ)... আলী (রাযিঃ)-এর দৌহিত্র ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন: আলী (রাযিঃ) যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর গুণাবলী বর্ণনা করতেন – এ বলে অনুরূপ একটি দীর্ঘ হাদীস রিওয়ায়াত করতেন। তিনি বলতেনঃ তাঁর দু’কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে মোহরে নবূওয়াত অবস্থিত ছিল। আর তিনি সর্বশেষ নবী (ﷺ)।
حدّثنا أحْمدُ بْنُ عَبدَةَ الضَّبَّيُّ، وعَلِيُّ بنُ حُجْرٍ، وغَيرُ واحدٍ قالوا: أنْبأنا عيسى بنُ يونسَ، عن عُمَرَ بنِ عبدِ اللهِ مولي غُفْرَةَ قال: حدّثني إبراهيمُ بنُ محمّدٍ - من ولدِ عليِّ بنِ أبي طالبٍ - قال: كان عليٌّ إذا وصفَ رسُولَ اللهِ صلى الله عليه وآله وسلم - فذكرَ الحديثَ بطولهِ - وقال: بينَ كتفيهِ خاتمُ النّبوّةِ، وهو خاتم النَّبيِّينَ.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২০
মোহরে নবুওয়াত
২০। মুহাম্মাদ ইবন বাশ্শার (রাহঃ)... উমর ইবন আখতাব আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে আবু যায়দ! আমার কাছে এসো এবং আমার পৃষ্ঠদেশে হাত বুলাও। তখন আমি তাঁর পিঠে হাত বুলাতে থাকলাম। এক পর্যায়ে আমার অঙ্গুলিগুলো মোহরে নবুওয়াতের উপর লেগে গেল। ইলবা (রাহঃ) বলেন, আমি বললাম, ’খাতাম’ কি জিনিস? তিনি বললেন, এক গুচ্ছ কেশদাম।
حدّثنا محمدُ بنُ بشَّارٍ، حدّثنا أبو عاصمٍ، حدّثنا عَزْرَةُ بنُ ثابتٍ، حدّثني عِلْبَاءُ بنُ أحمرَ اليَشكُريُّ قال: حدّثني أبو زيدٍ عَمْرُو ابن أخطب الأنصاري قال: قال لي رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم: «يا أبا زيد أدن مني فامسح ظهري» فمسحت ظهره، فوقعت أصابعي على الخاتم، قلت: وما الخاتم؟ قال: شعرات مجتمعات.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২১
মোহরে নবুওয়াত
২১।আবু ’আম্মার হুসায়ন ইবন হুরায়ছ খুযাঈ (রাহঃ)... আব্দুল্লাহ ইবন বুরায়দা তাঁর পিতা বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর মদীনায় হিজরতের পর একদা সালমান ফারসী (রাযিঃ) একটি পাত্রে কিছু কাঁচা খেজুর নিয়ে এলেন এবং তিনি তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সামনে রাখলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন : হে সালমান! এ কিসের খেজুর? (অর্থাৎ হাদীয়া না সাদকা?) তিনি বললেন, আপনার ও আপনার সাহাবাদের জন্য সাদকা। তখন তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ) বললেন : এগুলো তুলে নাও। আমরা সাদকা খাই না। তিনি (রাবী) বলেনঃ তিনি তা তুলে নিলেন। পর দিন তিনি অনুরূপ খেজুর নিয়ে আসলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সামনে পেশ করেন। তখন তিনি বললেনঃ হে সালমান! এ কিসের খেজুর? তিনি বললেন, আপনার জন্য হাদিয়া। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সাহাবীদের বললেনঃ তোমরা হাত বাড়িয়ে দাও (অর্থাৎ হাদিয়া গ্রহণ কর)। এরপর সালমান (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর পৃষ্ঠদেশে মোহরে নবূওয়াত দেখে তাঁর প্রতি ঈমান আনলেন। (রাবী বলেন), সালমান (রাযিঃ) জনৈক ইয়াহূদীর গোলাম ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে এত এত দিরহামের বিনিময়ে এবং এই শর্তে খরিদ করেন যে, সালমান তাঁর ইয়াহুদী মুনিবের জন্য একটি খেজুর বাগান করে দেবে এবং তাতে ফুল আসা পর্যন্ত তত্ত্বাবধান করতে থাকবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর পবিত্র হাতে একটি চারা ব্যতীত সবগুলো রোপণ করলেন এবং একটি চারাগাছ উমর (রাযিঃ) রোপণ করেছিলেন। ঐ বছরই সকল গাছে ফল আসল কিন্তু একটি গাছে খেজুর ধরলো না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এ গাছটির এ অবস্থা কেন ? উমর (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি সেটি রোপণ করেছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ধরলো। ঐ চারাটি উপড়িয়ে পুনঃ নিজ হাতে তা রোপণ করলেন। ফলে ঐ বছরই তাতে খেজুর ধরলো।
حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ الْخُزَاعِيُّ قَالَ : حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ : حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ قَالَ : سَمِعْتُ أَبِي بُرَيْدَةَ ، يَقُولُ : جَاءَ سَلْمَانُ الْفَارِسِيُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ بِمَائِدَةٍ عَلَيْهَا رُطَبٌ فَوَضَعَهَا بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَ : يَا سَلْمَانُ مَا هَذَا ؟ فَقَالَ : صَدَقَةٌ عَلَيْكَ وَعَلَى أَصْحَابِكَ ، فَقَالَ : ارْفَعْهَا ، فَإِنَّا لاَ نَأْكُلُ الصَّدَقَةَ قَالَ : فَرَفَعَهَا ، فَجَاءَ الْغَدَ بِمِثْلِهِ ، فَوَضَعَهُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَ : مَا هَذَا يَا سَلْمَانُ ؟ فَقَالَ : هَدِيَّةٌ لَكَ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَصْحَابِهِ : ابْسُطُوا.
ثُمَّ نَظَرَ إِلَى الْخَاتَمِ عَلَى ظَهْرِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَآمَنَ بِهِ وَكَانَ لِلْيَهُودِ فَاشْتَرَاهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِكَذَا وَكَذَا دِرْهَمًا عَلَى أَنْ يَغْرِسَ لَهُمْ نَخْلا فَيَعْمَلَ سَلْمَانُ فِيهِ حَتَّى تُطْعِمَ فَغَرَسَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم النَّخلَ إِلا نَخْلَةً وَاحِدَةً غَرَسَهَا عُمَرُ فَحَمَلَتِ النَّخْلُ مِنْ عَامِهَا وَلَمْ تَحْمِلْ نَخْلَةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا شَأْنُ هَذِهِ النَّخْلَةِ فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللهِ أَنَا غَرَسْتُهَا فَنَزَعَهَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَغَرَسَهَا فَحَمَلَتْ مِنْ عَامِهَا.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২২
মোহরে নবুওয়াত
২২।মুহাম্মাদ ইবন বাশ্শার (রাহঃ)... আবু নাযরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর মোহরে নবৃওয়াত সম্পর্কে আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বললেন, তা ছিল তাঁর পৃষ্ঠদেশের উপর এক টুকরা বাড়তি গোশতপিণ্ড।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ : حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْوَضَّاحِ قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ الدَّوْرَقِيُّ ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ الْعَوَقِيِّ قَالَ : سَأَلْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ عَنْ خَاتَمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَعْنِي خَاتَمَ النُّبُوَّةِ - فَقَالَ : كَانَ فِي ظَهْرِهِ بَضْعَةٌ نَاشِزَةٌ.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৩
মোহরে নবুওয়াত
২৩।আবুল আশ’আছ আহমদ ইবনুল মিকদাম ’ইজলী বসরী (রাহঃ)... আব্দুল্লাহ ইবন সারজাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে এলাম তখন তিনি তাঁর সাহাবীদের মাঝে অবস্থান করছিলেন। এক পর্যায়ে আমি তাঁর পেছনে ঘুরে ফিরলাম। তিনি আমার মনোবাঞ্ছা বুঝতে পেরে পৃষ্ঠদেশ থেকে চাদর সরিয়ে ফেলেন। তখন আমি তাঁর দু’কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে মোহরে নবূওয়াত দেখতে পাই। আর তা ছিল মুষ্টিবদ্ধ অঙ্গুলীর ন্যায় এবং চতুস্পার্শ্বে সাচিলের মত কতগুলো তিলক শোভা পাচ্ছিল। এরপর আমি তাঁর সামনে এসে দাঁড়ালাম এবং বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহ্ আপনাকে ক্ষমা করুন। তখন তিনি বললেন : তোমাকেও ক্ষমা করুন। তারপর লোকে আমাকে বলতে লাগল, তুমি বড়ই সৌভাগ্যবান। রাসূলূল্লাহ তোমার মাগফিরাত কামনা করেছেন। তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি তোমাদের জন্য দুআ করেছেন। এরপর তিনি এই আয়াত তিলাওয়াত করেন ।
وَاسْتَغْفِرْ لِذَنْبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ

(হে রাসূল!) আপনি আপনার জন্য এবং মু’মিন পুরুষ ও মুমিনা নারীদের জন্য মাগফিরাত কামনা
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْمِقْدَامِ أَبُو الأَشْعَثِ الْعِجْلِيُّ الْبَصْرِيُّ قَالَ : أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ قَالَ : أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي نَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ ، فَدُرْتُ هَكَذَا مِنْ خَلْفِهِ ، فَعَرَفَ الَّذِي أُرِيدُ ، فَأَلْقَى الرِّدَاءَ عَنْ ظَهْرِهِ ، فَرَأَيْتُ مَوْضِعَ الْخَاتَمِ عَلَى كَتِفَيْهِ مِثْلَ الْجُمْعِ حَوْلَهَا خِيلاَنٌ كَأَنَّهَا ثَآلِيلُ ، فَرَجَعْتُ حَتَّى اسْتَقْبَلْتُهُ ، فَقُلْتُ : غَفَرَ اللَّهُ لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ، فَقَالَ : وَلَكَ فَقَالَ الْقَوْمُ : أَسْتَغْفَرَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ فَقَالَ : نَعَمْ ، وَلَكُمْ ، ثُمَّ تَلاَ هَذِهِ الآيَةَ { وَاسْتَغْفِرْ لِذَنْبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ } [محمد: 19].
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান