আশ-শামাঈলুল মুহাম্মাদিয়্যাহ- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الشمائل المحمدية للإمام الترمذي

শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৪ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হুলিয়া মুবারক (দৈহিক গঠন)
২। হুমায়দ ইবন মাস’আদা বসরী (র.)... আনাস ইবন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উচ্চতায় দীর্ঘ কিংবা বেঁটে ছিলেন না বরং মধ্যমাকৃতির ছিলেন। তাঁর দেহ (শরীর) মুবারক ছিল খুব আকর্ষণীয়। আর তাঁর কেশ মুবারক অত্যধিক কোঁকড়ানো কিংবা একেবারে সোজা ছিল না। তিনি গৌরবর্ণের ছিলেন। পথ চলাকালীন তিনি সামনের দিকে খানিকটা ঝুঁকে চলতেন।
باب ما جاء في خَلقِ رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ الْبَصْرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبْعَةً، لَيْسَ بِالطَّوِيلِ وَلَا بِالْقَصِيرِ، حَسَنَ الْجِسْمِ، وَكَانَ شَعْرُهُ لَيْسَ بِجَعْدٍ وَلَا سَبْطٍ أَسْمَرَ اللَّوْنِ، إِذَا مَشَى يَتَكَفَّأُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হুলিয়া মুবারক (দৈহিক গঠন)
৩।মুহাম্মাদ ইবন বাশ্শার আব্দী (র.)... আবু ইসহাক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি বারা’ ইবন আযিব (রাযিঃ) থেকে শুনেছি, তিনি বলেছেন: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মধ্যমাকৃতির দেহ বিশিষ্ট ছিলেন। তাঁর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী অংশ সাধারণের তুলনায় প্রশস্ত ছিল। তাঁর ঘন কেশরাজি কর্ণমূল পর্যন্ত প্রলম্বিত ছিল। তাঁর দেহে লাল তহবন্দ ও লাল চাদর শোভা পেত। আমি তাঁর চাইতে সুদর্শন কাউকে কখনো দেখিনি।
باب ما جاء في خَلقِ رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ قَالَ: سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ يَقُولُ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا مَرْبُوعًا بَعِيدَ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ، عَظِيمَ الْجُمَّةِ إِلَى شَحْمَةِ أُذُنَيْهِ الْيُسْرَى، عَلَيْهِ حُلَّةٌ حَمْرَاءُ، مَا رَأَيْتُ شَيْئًا قَطُّ أَحْسَنَ مِنْهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হুলিয়া মুবারক (দৈহিক গঠন)
৪।মাহমুদ গায়লান (র.)......বারা’ ইবন আযিব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি কাঁধ পর্যন্ত প্রলম্বিত কেশবিশিষ্ট লাল চাদর ও লাল তহবন্দ পরিহিত কাউকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অপেক্ষা অধিকৃত সুদর্শন দেখিনি। তাঁর গর্দান ও বাহুদ্বয়ের সংযোগস্থল প্রশস্ততর ছিল। তিনি অধিক বেঁটে কিংবা অধিক দীর্ঘদেহী ছিলেন না।
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ : «مَا رَأَيْتُ مِنْ ذِي لِمَّةٍ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ أَحْسَنَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ، لَهُ شَعْرٌ يَضْرِبُ مَنْكِبَيْهِ، بَعِيدُ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ، لَمْ يَكُنْ بِالْقَصِيرِ وَلَا بِالطَّوِيلِ»
হাদীস নং:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হুলিয়া মুবারক (দৈহিক গঠন)
৫।মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল (রাহঃ)...আলী ইবন আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দীর্ঘকায় কিংবা খর্বাকৃতির ছিলেন না। তাঁর হস্তদদ্বয়ের তালু ও পদদ্বয়ের তালু এবং অংগুলিগুলো মাংসল ছিল। তাঁর শির হৃষ্টপুষ্ট এবং অস্থিগ্রন্থিগুলো মোটা ছিল। বক্ষদেশ হতে নাভি পর্যন্ত পশমের একটি সরু রেখা প্রলম্বিত ছিল। যখন পথ চলতেন মনে হত যেন কোন উঁচু স্থান থেকে নীচে অবতরণ করেছেন।
তিনি (রাবী) বলেনঃ তাঁর মত (অনুপম আকর্ষণীয়) আমি কাউকে তাঁর পূর্বে কিংবা পরে দেখিনি
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ هُرْمُزَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: «لَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالطَّوِيلِ وَلَا بِالْقَصِيرِ، شَثْنُ الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ، ضَخْمُ الرَّأْسِ، ضَخْمُ الْكَرَادِيسِ، طَوِيلُ الْمَسْرُبَةِ، إِذَا مَشَى تَكَفَّأَ تَكَفُّؤًا كَأَنَّمَا يَنْحَطُّ مِنْ صَبَبٍ، لَمْ أَرَ قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ مِثْلَهُ ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হুলিয়া মুবারক (দৈহিক গঠন)
৬।সুফয়ান ইবন ওয়াকী (রা.)..... মাসউদী (রা.) থেকে এই সনদে একই অর্থে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ الْمَسْعُودِيِّ، بِهَذَا الْإِسْنَادِ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হুলিয়া মুবারক (দৈহিক গঠন)
৭।আহমদ ইবন ’আব্দা আয-যাব্বী আল-বসরী ইবন হুজর, আবু জাফর মুহাম্মাদ ইবনুল হুসায়ন (রা.) আলী ইবন আবু তালিব (রা.) এর বংশধর ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আলী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর শারীরিক গঠন বর্ণনাকালে বলতেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অত্যধিক দীর্ঘকায়ও ছিলেন না এবং পরস্পরের মধ্যে প্রবিষ্ট মাংসপেশীযুক্ত খর্বাকৃতিরও ছিলেন না। বরং তিনি তাঁর গোত্র ও সমাজের লোকদের মধ্যে মধ্যমাকৃতির ছিলেন। তাঁর কেশ মুবারক অধিক কোঁকড়ানো কিংবা একেবারে সোজা ছিল না। বরং তাঁর কেশ মুবারক কিছুটা কোঁকড়ানো ছিল। তাঁর দেহ মুবারক নাদুস-নুদুস ও মুখমণ্ডল ফোলা-ফাঁপা ছিল না (কিংবা ছিপছিপে পাতলাগোছের ছিল না)। তাঁর চেহারা মুবারক সম্পূর্ণ গোলাকার ছিল না, তবে সামান্য গোলাকার ভাব ছিল। তিনি ছিলেন শুভ্র ও লোহিত বর্ণ বিশিষ্ট দেহের অধিকারী। তাঁর নয়নতারা অত্যন্ত কাল ছিল এবং চক্ষুদ্বয়ের পাঁপড়ির চুল দীর্ঘ ছিল। অস্থি গ্রন্থিগুলো এবং দুই কাঁধের মিলনস্থল ছিল উন্নত ও সুস্পষ্ট। হাত-পা ছিল লোমশূন্য। পশমের একটি সরু রেখা বক্ষ থেকে নাভিস্থল পর্যন্ত প্রলম্বিত ছিল। হাতের তালু, পায়ের তলা এবং হাত-পায়ের আঙ্গুলগুলো ছিল মাংসল ও মোটা গোছের। হ্যাঁটার সময় এমনভাবে দৃঢ়পদে পা তুলে হ্যাঁটতেন যেন নিম্নস্থানে নামছেন। যখন কোন দিকে তাকাতেন তখন সম্পূর্ণভাবেই দৃষ্টি ফেলতেন। তাঁর দুই কাঁধের মিলনস্থলে নবুওয়াতের মোহর ছিল। তিনি ছিলেন সর্বশেষ নবী (ﷺ)। মনের দিক দিয়ে তিনি ছিলেন লোকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা, জিহবার দিক দিয়ে সর্বাধিক সত্যবাদী, আচার-ব্যবহারে অত্যধিক কোমল এবং আত্মীয়তা ও সখ্যতা রক্ষার ব্যাপারে সর্বাধিক দয়াপ্রবণ। যে কেউ তাঁকে হঠাৎ করে দেখত, তারই ভক্তি-শ্রদ্ধা মিশ্রিত ভয়ের সঞ্চার হতো। যে কেউ পরিচিতিব্যপদেশে তাঁকে সম্বোধন করতো, তাঁর প্রতি অনুরাগী হয়ে পড়তো। তাঁর সম্পর্কে সাক্ষাতদানকারীমাত্রই বলে উঠবে, তাঁর অনুরূপ কাউকে আমি পূর্বে দেখিনি এবং পরেও দেখিনি।’ আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহমত বর্ষণ করুন এবং তাঁকে নিরাপত্তা দান করুন।

আবু ঈসা (ইমাম তিরমিযী) (রাহঃ) বলেন, আমি আবু জাফর মুহাম্মাদ ইবন হুসায়ন (রাহঃ)-কে বলতে
শুনেছি তিনি বলেন যে, আমি নবী (ﷺ)-এর গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য আলোচনা প্রসঙ্গে আসমা’ঈ (রাহঃ)-কে
বলতে শুনেছি الممغط অর্থ অতি দীর্ঘকায়। তিনি আরও বলেন, আমি এক বেদুঈনকে বলতে শুনেছি تمعط في نشابته সে তার ধনুক (-এর ছিলা) জোরে টেনে ধরেছে। المتردد যারা বেঁটে হওয়ার কারণে একে অন্যের মধ্যে প্রবিষ্ট হয় অর্থাৎ দৃঢ় থেকে যাকে চেনা যায় না। القطط অতিশয় কোঁকড়ানো الرجل হালকা কোঁকড়ানো। المطهم মাংসল ভারী দেহ।المكلثم গোলাকৃতির মুখমণ্ডল।المشرب রক্তিমাভ সাদা।الادعج চোখের তারা ঘোর কাল, দীর্ঘ পলক, الكتد স্কন্দদ্বয় মাংসল। المسر بة খেজুর শাখার ন্যায় বুক হতে নাভি পর্যন্ত পশমের শুরু রেখা প্রলম্বিত ছিল। الشثنকষ্টপুষ্ট আঙ্গুলসমূহ । التقلع দৃঢ় পদে পথ চলা।انحدرنا তুমি নিম্নে অবতরণ করলে বলে থাকে। (সাবুব)صبوب বা (সাবার) صبب এ নামলাম। المشاش বলে বর্ণনাকারী ’মুশাশ’ অর্থ কাঁধ ও বাহুর সংযোগস্থল বুঝিয়েছেন। العشرة অর্থ সঙ্গ, আর العشير .অর্থ সঙ্গী-সাথী।

البداهة অর্থ আকস্মিক ঘটা। আমি যদি কারও কাছে কোন বিষয় আকস্মিকভাবে পেশ করি তাহলে বলা হয় بداهته بامر।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ الْبَصْرِيُّ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، وَأَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْحُسَيْنِ وَهُوَ ابْنُ أَبِي حَلِيمَةَ، وَالْمَعْنَى وَاحِدٌ، قَالُوا: حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ مَوْلَى غُفْرَةَ قَالَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ مِنْ وَلَدِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: كَانَ عَلِيٌّ إِذَا وَصَفَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ بِالطَّوِيلِ الْمُمَّغِطِ، وَلَا بِالْقَصِيرِ الْمُتَرَدِّدِ، وَكَانَ رَبْعَةً مِنَ الْقَوْمِ، لَمْ يَكُنْ بِالْجَعْدِ الْقَطَطِ، وَلَا بِالسَّبْطِ، كَانَ جَعْدًا رَجِلًا، وَلَمْ يَكُنْ بِالْمُطَهَّمِ وَلَا بِالْمُكَلْثَمِ، وَكَانَ فِي وَجْهِهِ تَدْوِيرٌ أَبْيَضُ مُشَرَبٌ، أَدْعَجُ الْعَيْنَيْنِ، أَهْدَبُ الْأَشْفَارِ، جَلِيلُ الْمُشَاشِ وَالْكَتَدِ، أَجْرَدُ ذُو مَسْرُبَةٍ، شَثْنُ الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ، إِذَا مَشَى تَقَلَّعَ كَأَنَّمَا يَنْحَطُّ فِي صَبَبٍ، وَإِذَا الْتَفَتَ الْتَفَتَ مَعًا، بَيْنَ كَتِفَيْهِ خَاتَمُ النُّبُوَّةِ، وَهُوَ خَاتَمُ النَّبِيِّينَ، أَجْوَدُ النَّاسِ صَدْرًا، وَأَصْدَقُ النَّاسِ لَهْجَةً، وَأَلْيَنُهُمْ عَرِيكَةً، وَأَكْرَمُهُمْ عِشْرَةً، مَنْ رَآهُ بَدِيهَةً هَابَهُ، وَمَنْ خَالَطَهُ مَعْرِفَةً أَحَبَّهُ، يَقُولُ نَاعِتُهُ: لَمْ أَرَ قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ مِثْلَهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ". قَالَ أَبُو عِيسَى: سَمِعْتُ أَبَا جَعْفَرٍ مُحَمَّدَ بْنَ الْحُسَيْنِ يَقُولُ: سَمِعْتُ الْأَصْمَعِيَّ يَقُولُ فِي تَفْسِيرِ صِفَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْمُمَّغِطُ: الذَّاهِبُ طُولًا ". وَقَالَ: " سَمِعْتُ أَعْرَابِيًّا يَقُولُ فِي كَلَامِهِ: تَمَغَّطَ فِي نَشَّابَتِهِ أَيْ مَدَّهَا مَدًّا شَدِيدًا. وَالْمُتَرَدِّدُ: الدَّاخِلُ بَعْضُهُ فِي بَعْضٍ قِصَرًا. وَأَمَّا الْقَطَطُ: فَالشَّدِيدُ الْجُعُودَةِ. وَالرَّجُلُ الَّذِي فِي شَعْرِهِ حُجُونَةٌ: أَيْ تَثَنٍّ قَلِيلٌ. وَأَمَّا الْمُطَهَّمُ فَالْبَادِنُ الْكَثِيرُ اللَّحْمِ. وَالْمُكَلْثَمُ: الْمُدَوَّرُ الْوَجْهِ. وَالْمُشَرَبُ: الَّذِي فِي بَيَاضِهِ حُمْرَةٌ. وَالْأَدْعَجُ: الشَّدِيدُ سَوَادِ الْعَيْنِ. وَالْأَهْدَبُ: الطَّوِيلُ الْأَشْفَارِ. وَالْكَتَدُ: مُجْتَمِعُ الْكَتِفَيْنِ وَهُوَ الْكَاهِلُ. وَالْمَسْرُبَةُ: هُوَ الشَّعْرُ الدَّقِيقُ الَّذِي كَأَنَّهُ قَضِيبٌ مِنَ الصَّدْرِ إِلَى السُّرَّةِ. وَالشَّثْنُ: الْغَلِيظُ الْأَصَابِعِ مِنَ الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ. وَالتَّقَلُّعُ: أَنْ يَمْشِيَ بِقُوَّةٍ. وَالصَّبَبُ الْحُدُورُ، نَقُولُ: انْحَدَرْنَا فِي صَبُوبٍ وَصَبَبٍ. وَقَوْلُهُ: جَلِيلُ الْمُشَاشِ يُرِيدُ رُءُوسَ الْمَنَاكِبِ. وَالْعِشْرَةُ: الصُّحْبَةُ، وَالْعَشِيرُ: الصَّاحِبُ. وَالْبَدِيهَةُ: الْمُفَاجَأَةُ، يُقَالُ: بَدَهْتُهُ بِأَمْرٍ أَيْ فَجَأْتُهُ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হুলিয়া মুবারক (দৈহিক গঠন)
৮।সুফয়ান ইবন ওয়াকী (রাহঃ)..... হাসান ইবন আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমার মামা হিন্দ ইবন আবু হালাহ্ (রাযিঃ)-এর কাছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর হুলিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি তাঁর হুলিয়া সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ছিলেন। আমি চাইছিলাম যে, তিনি আমাকে সে সম্পর্কে বিবরণ দিলে আমি তা আমার জন্য দলীল হিসেবে স্মৃতিপটে গেঁথে রাখবো। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছিলেন সম্মান ও মর্যাদার আঁধার। পূর্ণিমা রাত্রির চাঁদের স্নিগ্ধ আলোর ন্যায় তাঁর চেহারা ঝলমল করত। তিনি মধ্যম আকৃতির চেয়ে অধিকতর দীর্ঘদেহী এবং অতিশয় দীর্ঘকায় ব্যক্তির চেয়ে খানিকটা খর্বকায় ছিলেন। তাঁর মাথা (তুলনামূলক) বড় এবং কেশরাজি কিছুটা কোঁকড়ানো ছিল। সহসা সিঁথি করা গেলে সিঁথি করতেন নতুবা সিঁথি করতেন না। তিনি তাঁর কেশরাজিকে যখন ‘অফরা’ করে কাটতেন তখন তা তাঁর উভয় কানের লতি অতিক্রম করত। তাঁর বর্ণ অতি প্রাঞ্জল এবং ললাটের উভয় পার্শ্ব প্রশস্ততর। তাঁর ভূযুগল বিমুক্ত বৃত্তাংশের ন্যায় বাঁকা, খুব সূক্ষ্ম তবে ঘন চুল বিশিষ্ট। আর ঐ ভুযুগলের মাঝে এমন একটি শিরা রয়েছে যা রাগের সময় অধিক রক্ত সঞ্চারিত হওয়ার ফলে ভেসে উঠত (প্রকাশ পেত)। তাঁর নাসিকা সুদীর্ঘ, অগ্রভাগ সরু এবং মধ্যভাগ ন্যুজ। তাঁর নাসিকায় এমন নূর (জ্যোতি) ছিল যা নাকের উপর বিকীর্ণ হত। কেউ গভীর অভিনিবেশ সহকারে তাঁর নাকের প্রতি না তাকালে অত্যুন্নত নাসা মনে করত। তাঁর দাঁড়ি ছিল বিস্তীর্ণ খুব ঘন, গদ্বয় মসৃণ এবং মুখ-বিবর প্রশস্ত। সম্মুখের উপরের পাটির দু’টি দাঁত ও নিম্নের পাটির দু’টি দাঁত আলাদা ছিল— মিলিত ছিল না। বক্ষদেশ থেকে নাভি পর্যন্ত প্রলম্বিত চুলের রেখাটি ছিল সরু। তাঁর গ্রীবা যেন হাতির দাঁত দ্বারা নির্মিত মোতির গ্রীবা কিন্তু তার শুভ্রতা রৌপ্যের ন্যায়। তাঁর দেহের গঠন ছিল শোভনীয় (সুসমঞ্জস) এবং মাংসপেশী ছিল সুদৃঢ় মজবুত। তাঁর পেট ও বক্ষ (সমান) উচ্চ এবং বক্ষদেশ প্রশস্ত। তাঁর এক কাঁধ থেকে অন্য কাঁধ অপেক্ষাকৃত দূরত্বে ছিল। তাঁর অস্থি গ্রন্থিগুলো স্থুল ছিল। আর সচরাচর অনাবৃত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো দীপ্তিমান ছিল। তাঁর বক্ষ ও নাভির মধ্যভাগ এমন কেশরাজি দ্বারা সংযুক্ত ছিল যা দেখতে যেন একটি প্রলম্বিত (সরু) রেখা। এতদ্ব্যতীত তাঁর পেট ও স্তনদেশ লোমশূন্য ছিল। তাঁর উভয় বাহু কাঁধের সংযোগস্থল ও বক্ষের উপরিভাগ লোমশ ছিল। তাঁর উভয় কনুই হতে কজি পর্যন্ত বাহুর অগ্রভাগ দীর্ঘ, হাতের তালু অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত এবং হাত-পায়ের অঙ্গুলিগুলো মাংসল ও লম্বা লম্বা ছিল। তিনি খড়ম পরিধান করতেন। পথ চলার সময় ঐ অংশ মাটি স্পর্শ করত না। তাঁর পায়ের নীচের অংশ ছিল মসৃণ, পানি ঢাললে তৎক্ষণাৎ তা গড়িয়ে যেত। হ্যাঁটার সময় তিনি দৃঢ়তার সাথে পা তুলে চলতেন, সামনের দিকে ন্যুজ্ব হয়ে পা ফেলতেন এবং স্বচ্ছন্দ গতিতে চলতেন। পথ চলার সময় তিনি দ্রুত চলতেন, মনে হতো যেন উপর থেকে নীচে অবতরণ করছেন। তিনি কোন দিকে তাকালে সম্পূর্ণভাবে চেহারা ফিরাতেন। তিনি ছিলেন আনত নয়ন, আসমানের দিকে দৃষ্টি করার তুলনায় বেশীরভাগ তাঁর দৃষ্টি যমীনের দিকেই নিবদ্ধ থাকত। তাঁর দৃষ্টির পুরোটাই ছিল হালকা দৃষ্টি। তিনি তাঁর সাহাবাদের পেছনে থাকতেন। পথিমধ্যে যার সাক্ষাত হত, তাঁকেই তিনি প্রথম সালাম দিতেন।
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا جُمَيْعُ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعِجْلِيُّ إِمْلَاءً عَلَيْنَا مِنْ كِتَابِهِ قَالَ : أَخْبَرَنِي رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ مِنْ وَلَدِ أَبِي هَالَةَ زَوْجِ خَدِيجَةَ، يُكَنَى أَبَا عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنٍ لِأَبِي هَالَةَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: سَأَلْتُ خَالِي هِنْدَ بْنَ أَبِي هَالَةَ، وَكَانَ وَصَّافًا، عَنْ حِلْيَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَا أَشْتَهِي أَنْ يَصِفَ لِي مِنْهَا شَيْئًا أَتَعَلَّقُ بِهِ، فَقَالَ: " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخْمًا مُفَخَّمًا، يَتَلَأْلَأُ وَجْهُهُ تَلَأْلُؤَ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ، أَطْوَلُ مِنَ الْمَرْبُوعِ، وَأَقْصَرُ مِنَ الْمُشَذَّبِ، عَظِيمُ الْهَامَةِ، رَجِلُ الشَّعْرِ، إِنِ انْفَرَقَتْ عَقِيقَتُهُ فَرَّقَهَا، وَإِلَّا فَلَا يُجَاوِزُ شَعْرُهُ شَحْمَةَ أُذُنَيْهِ إِذَا هُوَ وَفَّرَهُ، أَزْهَرُ اللَّوْنِ، وَاسِعُ الْجَبِينِ، أَزَجُّ الْحَوَاجِبِ سَوَابِغَ فِي غَيْرِ قَرَنٍ، بَيْنَهُمَا عِرْقٌ يُدِرُّهُ الْغَضَبُ، أَقْنَى الْعِرْنَيْنِ، لَهُ نُورٌ يَعْلُوهُ، يَحْسَبُهُ مَنْ لَمْ يَتَأَمَّلْهُ أَشَمَّ، كَثُّ اللِّحْيَةِ، سَهْلُ الْخدَّيْنِ، ضَلِيعُ الْفَمِ، مُفْلَجُ الْأَسْنَانِ، دَقِيقُ الْمَسْرُبَةِ، كَأَنَّ عُنُقَهُ جِيدُ دُمْيَةٍ فِي صَفَاءِ الْفِضَّةِ، مُعْتَدِلُ الْخَلْقِ، بَادِنٌ مُتَمَاسِكٌ، سَوَاءُ الْبَطْنِ وَالصَّدْرِ، عَرِيضُ الصَّدْرِ، بَعِيدُ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ، ضَخْمُ الْكَرَادِيسِ، أَنْوَرُ الْمُتَجَرَّدِ، مَوْصُولُ مَا بَيْنَ اللَّبَّةِ وَالسُّرَّةِ بِشَعْرٍ يَجْرِي كَالْخَطِّ، عَارِي الثَّدْيَيْنِ وَالْبَطْنِ مِمَّا سِوَى ذَلِكَ، أَشْعَرُ الذِّرَاعَيْنِ وَالْمَنْكِبَيْنِ وَأَعَالِي الصَّدْرِ، طَوِيلُ الزَّنْدَيْنِ، رَحْبُ الرَّاحَةِ، شَثْنُ الْكَفَّيْنِ وَالْقَدَمَيْنِ، سَائِلُ الْأَطْرَافِ - أَوْ قَالَ: شَائِلُ الْأَطْرَافِ - خَمْصَانُ الْأَخْمَصَيْنِ، مَسِيحُ الْقَدَمَيْنِ، يَنْبُو عَنْهُمَا الْمَاءُ، إِذَا زَالَ زَالَ قَلِعًا، يَخْطُو تَكَفِّيًا، وَيَمْشِي هَوْنًا، ذَرِيعُ الْمِشْيَةِ، إِذَا مَشَى كَأَنَّمَا يَنْحَطُّ مِنْ صَبَبٍ، وَإِذَا الْتَفَتَ الْتَفَتَ جَمِيعًا، خَافِضُ الطَّرْفِ، نَظَرُهُ إِلَى الْأَرْضِ أَطْوَلُ مِنْ نَظَرِهِ إِلَى السَّمَاءِ، جُلُّ نَظَرِهِ الْمُلَاحَظَةُ، يَسُوقُ أَصْحَابَهُ وَيَبْدَأُ مَنْ لَقِيَ بِالسَّلَامِ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হুলিয়া মুবারক (দৈহিক গঠন)
৯। আবু মুসা মুহাম্মাদ ইবনুল মুছান্না (রাহঃ)... জাবির ইবন সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছিলেন যালীউল ফাম, আশকালুল ’আয়ন’ ও মানহুসুল আকিব। শু’বা (রাহঃ) বলেন, আমি সিমাককে বললাম, ’যালীউল ফাম’ কি? তিনি বললেন, বড় মুখ বিবর বিশিষ্ট। আমি (আবার) বললাম, ’আশকালুল আয়ন’ কি? তিনি বললেন, ডাগর ডাগর চক্ষুবিশিষ্ট। আমি বললাম, ‘মানহুসুল আকাব’ কি? তিনি বললেন, সরু গোড়ালি বিশিষ্ট।
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ قَالَ: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ يَقُولُ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَلِيعَ الْفَمِ، أَشْكَلَ الْعَيْنِ، مَنْهُوسَ الْعَقِبِ». قَالَ شُعْبَةُ: قُلْتُ لِسِمَاكٍ: مَا ضَلِيعُ الْفَمِ؟ قَالَ: عَظِيمُ الْفَمِ، قُلْتُ: مَا أَشْكَلُ الْعَيْنِ؟ قَالَ: طَوِيلُ شِقِّ الْعَيْنِ، قُلْتُ: مَا مَنْهُوسُ الْعَقِبِ؟ قَالَ: قَلِيلُ لَحْمِ الْعَقِبِ.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১০
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হুলিয়া মুবারক (দৈহিক গঠন)
১০।হান্নাদ ইবন সাররী (রাহঃ)... জাবির ইবন সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি একবার পূর্ণিমা রাত্রির স্নিগ্ধ আলোতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে ’লাল হুল্লাহ্’ (চাদর ও লুঙ্গি) পরিহিত অবস্থায় দেখেছি। তখন আমি একবার তাঁর দিকে ও একবার চাঁদের দিকে তাকাতে থাকলাম। (ফলে) তিনি আমার কাছে পূর্ণিমার (প্রাঞ্জল) চাঁদের চেয়ে অধিকতর চমৎকার প্রতিভাত হন।
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْثَرُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ أَشْعَثَ، يَعْنِي ابْنَ سَوَّارٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي لَيْلَةٍ إِضْحِيَانٍ، وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ حَمْرَاءُ، فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَيْهِ وَإِلَى الْقَمَرِ، فَلَهُوَ عِنْدِي أَحْسَنُ مِنَ الْقَمَرِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১১
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হুলিয়া মুবারক (দৈহিক গঠন)
১১।সূফয়ান ইবন ওয়াকী’ (রাহঃ).... আবু ইসহাক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার বারা’ ইবন আযিব (রাযিঃ)-কে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চেহারা কি তরবারির ন্যায় ছিল। তিনি বললেন, না। বরং তা চাঁদের (প্রাঞ্জল আলোর) মত ছিল।
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الرُّؤَاسِيُّ، عَنْ زُهَيْرٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ قَالَ: سَأَلَ رَجُلٌ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ: أَكَانَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ السَّيْفِ؟ قَالَ: «لَا، بَلْ مِثْلَ الْقَمَرِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১২
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হুলিয়া মুবারক (দৈহিক গঠন)
১২।আবু দাউদ আল-মাসাহিফী সুলায়মান ইবনে সালম (রাহঃ)... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শুভ্রতায় ছিলেন রৌপ্যের ন্যায় এবং তাঁর কেশরাজি ছিল খানিকটা কোঁকড়ানো।
حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْمَصَاحِفِيُّ سُلَيْمَانُ بْنُ سَلْمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ أَبِي الْأَخْضَرِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبْيَضَ كَأَنَّمَا صِيغَ مِنْ فِضَّةٍ، رَجِلَ الشَّعْرِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হুলিয়া মুবারক (দৈহিক গঠন)
১৩।কুতায়বা ইবন সাঈদ (রাহঃ)... জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলূল্লাহ বলেছেন, আমার কাছে আম্বিয়া কিরামকে পেশ করা হয়। মুসা (আ)-এর মধ্যে বিভিন্ন লোকের সাদৃশ্য বর্তমান (দেখা গেল)। তিনি যেন শানুয়াহ গোত্রের লোক। আর মারয়াম তনয় ঈসা (আ)-কে উরওয়া ইবন মাসউদের সর্বাধিক সাদৃশ্য দেখতে পাই। তারপর আমি ইবরাহীম (আ)-কে দেখতে পাই এবং তাঁকে পাই তোমাদের সঙ্গীর সাথে সর্বাধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। ’তোমাদের সঙ্গী’ বলে, তিনি নিজ সত্তাকে বুঝিয়েছেন। আর আমি জিবরাঈল (আ)-কে দিহয়া (কালবী)-এর সর্বাধিক সাদৃশ্য দেখতে পাই।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «عُرِضَ عَلَيَّ الْأَنْبِيَاءُ، فَإِذَا مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ ضَرْبٌ مِنَ الرِّجَالِ، كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ، وَرَأَيْتُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ، وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا صَاحِبُكُمْ، يَعْنِي نَفْسَهُ، وَرَأَيْتُ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا دِحْيَةُ»
হাদীস নং:১৪
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হুলিয়া মুবারক (দৈহিক গঠন)
১৪।সুফয়ান ইবন ওয়াকী’ মুহাম্মাদ ইবন বাশ্শার ও (রাহঃ)... আবু তুফায়ল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেখেছি—তবে তাঁকে যারা দেখেছেন তাঁদের মধ্যে আমি ব্যতীত কেউ ভূপৃষ্ঠে বেঁচে নেই। (জুরায়বী বলেন) আমি বললামঃ আপনি আমার কাছে তাঁর বিবরণ পেশ করুন। তিনি বলেন তিনি ছিলেন শুদ্রকায় ও লাবণ্যময় সুসমঞ্জস।
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، الْمَعْنَى وَاحِدٌ، قَالَا: أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا الطُّفَيْلِ يَقُولُ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا بَقِيَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ أَحَدٌ رَآهُ غَيْرِي» ، قُلْتُ: صِفْهُ لِي، قَالَ: «كَانَ أَبْيَضَ مَلِيحًا مُقَصَّدًا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৫
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হুলিয়া মুবারক (দৈহিক গঠন)
১৫।আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ)... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সামনের দাঁত দু’টির মধ্যে খানিকটা ফাঁকা ছিল। বাক্যালাপ করার সময় তাঁর সামনের ছানায়া দাঁতের মধ্যখান থেকে যেন জ্যোতির মত কিছু বিকীর্ণ (বের) হত।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ الزُّهْرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ابْنُ أَخِي مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْلَجَ الثَّنِيَّتَيْنِ، إِذَا تَكَلَّمَ رُئِيَ كَالنُّورِ يَخْرُجُ مِنْ بَيْنِ ثَنَايَاهُ»