আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৫৪. ঘরে প্রবেশের অনুমতি গ্রহণ বিষয়ক অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৮২৫
১২. সৰ্প মারিয়া ফেলা সম্পর্কিত মাসাইল
রেওয়ায়ত ৩১. আবু লুবাবা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে সমস্ত সর্প ঘরে বাস করে উহাদেরকে মারিতে (হত্যা করিতে) নিষেধ করিয়াছেন।*
بَاب مَا جَاءَ فِي قَتْلِ الْحَيَّاتِ وَمَا يُقَالُ فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ أَبِي لُبَابَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ قَتْلِ الْحَيَّاتِ الَّتِي فِي الْبُيُوتِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৮২৬
১২. সৰ্প মারিয়া ফেলা সম্পর্কিত মাসাইল
রেওয়ায়ত ৩২. আয়েশা (রাযিঃ) কর্তৃক আযাদকৃত বাদী সায়েবা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেই সমস্ত সর্পকে মারিতে নিষেধ করিয়াছেন, যাহা ঘরে বাস করে। তবে যুততুফয়াতাইন ও আবতর জাতীয় সর্প মারিতে নিষেধ করেন নাই। কেননা এই দুই প্রকার সর্প চক্ষু নষ্ট করে এবং মহিলাদের গর্ভ নষ্ট করে।*
بَاب مَا جَاءَ فِي قَتْلِ الْحَيَّاتِ وَمَا يُقَالُ فِي ذَلِكَ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ سَائِبَةَ مَوْلَاةٍ لِعَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ قَتْلِ الْجِنَّانِ الَّتِي فِي الْبُيُوتِ إِلَّا ذَا الطُّفْيَتَيْنِ وَالْأَبْتَرَ فَإِنَّهُمَا يَخْطِفَانِ الْبَصَرَ وَيَطْرَحَانِ مَا فِي بُطُونِ النِّسَاءِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৮২৭
১২. সৰ্প মারিয়া ফেলা সম্পর্কিত মাসাইল
রেওয়ায়ত ৩৩. হিশামের আযাদকৃত গোলাম আবু সায়েব (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ)-এর নিকট গেলাম। তিনি নামায পড়িতেছিলেন। আমি তাহার নামায হইতে অবসর হইবার অপেক্ষায় বসিয়া রহিলাম। তিনি যখন নামায শেষ করিলেন তখন আমি তাহার ঘরের চৌকির নীচে সরসর শুনিতে পাইলাম। আমি তাকাইয়া দেখিলাম যে, উহা একটি সর্প। আমি উহাকে মারিতে উদ্যত হইলাম। আবু সাঈদ (রাযিঃ) আমাকে ইশারা করিলেন যে বস (অর্থাৎ মারিও না)। অতঃপর তিনি (আমার দিকে) ফিরিয়া ঘরের একটি কামরার দিকে ইশারা করিয়া বলিলেন, ঐ ঘরটি দেখিতেছ ? আমি বলিলাম, হ্যাঁ। তিনি বলিলেন, সেই ঘরে জনৈক যুবক বাস করিত, নূতন বিবাহ করিয়াছিল।
সে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সঙ্গে পরিখা যুদ্ধে গমন করিয়াছিল। ইহার পর হঠাৎ এক সময় সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহু! আমাকে একটু অনুমতি দান করুন, আমি আমার পরিবারের সঙ্গে একটু কথা বলিয়া আসি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহাকে অনুমতি দান করিলেন এবং বলিলেন, যুদ্ধাস্ত্র সঙ্গে রাখ। কেননা বনু কুরায়যার আশঙ্কা রহিয়াছে (বনু কুরায়যা সেই ইহুদী গোত্র, যাহারা পরিখা যুদ্ধের সময় ওয়াদা ভঙ্গ করিয়া মক্কাবাসীদের সঙ্গে মিলিয়া মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হইয়াছিল)। যুবকটি অস্ত্রসহ রওয়ানা হইয়া গেল। ঘরে পৌছিয়া সে তাহার স্ত্রীকে ঘরের দুই দরজার মধ্যবর্তী স্থানে দগুায়মান দেখিতে পাইল। স্ত্রীকে এই অবস্থায় দেখিয়া সে ক্রোধান্বিত হইল এবং বর্শা দিয়া স্ত্রীকে হত্যা করিতে উদ্যত হইল। স্ত্রী বলিল, (আমাকে মারিতে এত) তাড়াহুড়া করিও না, বরং আগে ঘরের ভিতরে যাইয়া দেখ।
অতঃপর সে ঘরের ভিতরে গিয়া দেখিল যে, কুগুলী পাকাইয়া একটি সর্প তাহার বিছানায় বসিয়া আছে। সে বর্শা দিয়া সপটিকে গাথিয়া ফেলিল এবং বর্শাটিকে ঘরে দাড় করাইয়া রাখিয়া দিয়া নিজে বাহির হইয়া আসিল। সপটি বর্শার ফলায় পেচাইতেছিল, আর তখনই যুবকটি মারা গেল। তবে ইহা জানা যায় নাই যে, যুবকটি আগে মারা গেল, না-সর্পটি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উক্ত ঘটনা বিবৃত করা হইলে পরে তিনি বলিলেন, মদীনায় জ্বিন ইসলাম গ্রহণ করিয়াছে। অতএব তোমরা যদি সৰ্প দেখ তবে তিনদিন পর্যন্ত তাহাকে সতর্ক কর। তারপরেও যদি তাহাকে দেখ, তবে তাহাকে হত্যা কর। কেননা সে শয়তান।
সে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সঙ্গে পরিখা যুদ্ধে গমন করিয়াছিল। ইহার পর হঠাৎ এক সময় সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহু! আমাকে একটু অনুমতি দান করুন, আমি আমার পরিবারের সঙ্গে একটু কথা বলিয়া আসি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহাকে অনুমতি দান করিলেন এবং বলিলেন, যুদ্ধাস্ত্র সঙ্গে রাখ। কেননা বনু কুরায়যার আশঙ্কা রহিয়াছে (বনু কুরায়যা সেই ইহুদী গোত্র, যাহারা পরিখা যুদ্ধের সময় ওয়াদা ভঙ্গ করিয়া মক্কাবাসীদের সঙ্গে মিলিয়া মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হইয়াছিল)। যুবকটি অস্ত্রসহ রওয়ানা হইয়া গেল। ঘরে পৌছিয়া সে তাহার স্ত্রীকে ঘরের দুই দরজার মধ্যবর্তী স্থানে দগুায়মান দেখিতে পাইল। স্ত্রীকে এই অবস্থায় দেখিয়া সে ক্রোধান্বিত হইল এবং বর্শা দিয়া স্ত্রীকে হত্যা করিতে উদ্যত হইল। স্ত্রী বলিল, (আমাকে মারিতে এত) তাড়াহুড়া করিও না, বরং আগে ঘরের ভিতরে যাইয়া দেখ।
অতঃপর সে ঘরের ভিতরে গিয়া দেখিল যে, কুগুলী পাকাইয়া একটি সর্প তাহার বিছানায় বসিয়া আছে। সে বর্শা দিয়া সপটিকে গাথিয়া ফেলিল এবং বর্শাটিকে ঘরে দাড় করাইয়া রাখিয়া দিয়া নিজে বাহির হইয়া আসিল। সপটি বর্শার ফলায় পেচাইতেছিল, আর তখনই যুবকটি মারা গেল। তবে ইহা জানা যায় নাই যে, যুবকটি আগে মারা গেল, না-সর্পটি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উক্ত ঘটনা বিবৃত করা হইলে পরে তিনি বলিলেন, মদীনায় জ্বিন ইসলাম গ্রহণ করিয়াছে। অতএব তোমরা যদি সৰ্প দেখ তবে তিনদিন পর্যন্ত তাহাকে সতর্ক কর। তারপরেও যদি তাহাকে দেখ, তবে তাহাকে হত্যা কর। কেননা সে শয়তান।
بَاب مَا جَاءَ فِي قَتْلِ الْحَيَّاتِ وَمَا يُقَالُ فِي ذَلِكَ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ صَيْفِيٍّ مَوْلَى ابْنِ أَفْلَحَ عَنْ أَبِي السَّائِبِ مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ أَنَّهُ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فَوَجَدْتُهُ يُصَلِّي فَجَلَسْتُ أَنْتَظِرُهُ حَتَّى قَضَى صَلَاتَهُ فَسَمِعْتُ تَحْرِيكًا تَحْتَ سَرِيرٍ فِي بَيْتِهِ فَإِذَا حَيَّةٌ فَقُمْتُ لِأَقْتُلَهَا فَأَشَارَ أَبُو سَعِيدٍ أَنْ اجْلِسْ فَلَمَّا انْصَرَفَ أَشَارَ إِلَى بَيْتٍ فِي الدَّارِ فَقَالَ أَتَرَى هَذَا الْبَيْتَ فَقُلْتُ نَعَمْ قَالَ إِنَّهُ قَدْ كَانَ فِيهِ فَتًى حَدِيثُ عَهْدٍ بِعُرْسٍ فَخَرَجَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْخَنْدَقِ فَبَيْنَا هُوَ بِهِ إِذْ أَتَاهُ الْفَتَى يَسْتَأْذِنُهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ائْذَنْ لِي أُحْدِثُ بِأَهْلِي عَهْدًا فَأَذِنَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ خُذْ عَلَيْكَ سِلَاحَكَ فَإِنِّي أَخْشَى عَلَيْكَ بَنِي قُرَيْظَةَ فَانْطَلَقَ الْفَتَى إِلَى أَهْلِهِ فَوَجَدَ امْرَأَتَهُ قَائِمَةً بَيْنَ الْبَابَيْنِ فَأَهْوَى إِلَيْهَا بِالرُّمْحِ لِيَطْعُنَهَا وَأَدْرَكَتْهُ غَيْرَةٌ فَقَالَتْ لَا تَعْجَلْ حَتَّى تَدْخُلَ وَتَنْظُرَ مَا فِي بَيْتِكَ فَدَخَلَ فَإِذَا هُوَ بِحَيَّةٍ مُنْطَوِيَةٍ عَلَى فِرَاشِهِ فَرَكَزَ فِيهَا رُمْحَهُ ثُمَّ خَرَجَ بِهَا فَنَصَبَهُ فِي الدَّارِ فَاضْطَرَبَتْ الْحَيَّةُ فِي رَأْسِ الرُّمْحِ وَخَرَّ الْفَتَى مَيِّتًا فَمَا يُدْرَى أَيُّهُمَا كَانَ أَسْرَعَ مَوْتًا الْفَتَى أَمْ الْحَيَّةُ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنَّ بِالْمَدِينَةِ جِنًّا قَدْ أَسْلَمُوا فَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْهُمْ شَيْئًا فَآذِنُوهُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فَإِنْ بَدَا لَكُمْ بَعْدَ ذَلِكَ فَاقْتُلُوهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: