আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৪৬. তাকদির সংশ্লিষ্ট অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৬৫৯
১. তকদীরের ব্যাপারে বিতর্ক করা নিষেধ
রেওয়ায়ত ১. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন, আদম ও মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর মধ্যে তর্ক হইয়াছিল। অবশেষে আদম (আলাইহিস সালাম) মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর উপর জয়ী হইয়াছিলেন। মুসা (আলাইহিস সালাম) বলিয়াছিলেন, আপনি ঐ আদম যিনি বহু লোককে পথভ্রষ্ট করিয়াছেন। আর তাহাদেরকে বেহেশত হইতে বাহির করিয়াছেন। আদম (আলাইহিস সালাম) বলিলেন, তুমি ঐ মুসাই তো, তোমাকে আল্লাহ্ সর্বপ্রকার ইলম দান করিয়াছিলেন, তোমাকে নবী বানাইয়াছিলেন। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর আদম (আলাইহিস সালাম) বললেন, তা সত্ত্বেও তুমি আমাকে এমন কাজের ব্যাপারে দোষারোপ করিতেছ যাহা আমার সৃষ্টির পূর্বেই আমার তকদীরে লেখা ছিল।
باب النَّهْيِ عَنْ الْقَوْلِ بِالْقَدَرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَحَاجَّ آدَمُ وَمُوسَى فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى قَالَ لَهُ مُوسَى أَنْتَ آدَمُ الَّذِي أَغْوَيْتَ النَّاسَ وَأَخْرَجْتَهُمْ مِنْ الْجَنَّةِ فَقَالَ لَهُ آدَمُ أَنْتَ مُوسَى الَّذِي أَعْطَاهُ اللَّهُ عِلْمَ كُلِّ شَيْءٍ وَاصْطَفَاهُ عَلَى النَّاسِ بِرِسَالَتِهِ قَالَ نَعَمْ قَالَ أَفَتَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قَدْ قُدِّرَ عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ أُخْلَقَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৬৬০
১. তকদীরের ব্যাপারে বিতর্ক করা নিষেধ
রেওয়ায়ত ২. মুসলিম ইবনে ইয়াসার জুহানী (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর (রাযিঃ)-এর নিকট (وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ) (সূরা আ’রাফঃ ১৭২) আয়াত সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হইল। তিনি বলিলেন, আমি শুনিয়াছি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হইয়াছিল। তিনি বলিয়াছিলেন, আল্লাহ তাআলা আদম (আলাইহিস সালাম)-কে সৃষ্টি করিলেন এবং তাহার পৃষ্ঠে স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা মাসেহ করিলেন, অতঃপর আদমের পৃষ্ঠদেশ হইতে তাহার সন্তানদেরকে বাহির করিলেন এবং বলিলেন, আমি ইহাদেরকে বেহেশতের জন্য সৃষ্টি করিয়াছি। ইহারা বেহেশতের কাজ করবে। অতঃপর পুনরায় তাহার পৃষ্ঠদেশে স্বীয় দক্ষিণ হস্ত বুলাইলেন এবং তাহার আর কিছু সংখ্যক সন্তান বাহির করিলেন এবং বলিলেন, আমি ইহাদেরকে দোযখের জন্য সৃষ্টি করিয়াছি। ইহারা দোযখের কাজ করবে। এক ব্যক্তি বলিয়া উঠিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাহা হইলে আমল করায় লাভ কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহু পাক যখন কোন বান্দাকে বেহেশতের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তাহার দ্বারা বেহেশতীদের কাজ করান আর মৃত্যুর সময়েও সে নেক কাজ করিয়া মৃত্যুবরণ করে, তখন আল্লাহ তাআলা তাহাকে বেহেশতে প্রবেশ করাইয়া থাকেন। আর যখন কোন বান্দাকে দোযখের জন্য সৃষ্টি করেন তখন তাহার দ্বারা দোযখীদের কাজ করাইয়া থাকেন। অতঃপর মৃত্যুর সময়েও তাহাকে খারাপ কাজ করাইয়াই মৃত্যুবরণ করান। আর আল্লাহ তখন তাহাকে দোযখে প্রবেশ করাইয়া থাকেন।
باب النَّهْيِ عَنْ الْقَوْلِ بِالْقَدَرِ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ الْجُهَنِيِّ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ سُئِلَ عَنْ هَذِهِ الْآيَةِ وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَأَشْهَدَهُمْ عَلَى أَنْفُسِهِمْ أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُوا بَلَى شَهِدْنَا أَنْ تَقُولُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّا كُنَّا عَنْ هَذَا غَافِلِينَ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسْأَلُ عَنْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى خَلَقَ آدَمَ ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ بِيَمِينِهِ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً فَقَالَ خَلَقْتُ هَؤُلَاءِ لِلْجَنَّةِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ يَعْمَلُونَ ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً فَقَالَ خَلَقْتُ هَؤُلَاءِ لِلنَّارِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ يَعْمَلُونَ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَفِيمَ الْعَمَلُ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ إِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلْجَنَّةِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيُدْخِلُهُ رَبُّهُ الْجَنَّةَ وَإِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلنَّارِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ النَّارِ فَيُدْخِلُهُ رَبُّهُ النَّارَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৬৬১
১. তকদীরের ব্যাপারে বিতর্ক করা নিষেধ
রেওয়ায়ত ৩. মালিক (রাহঃ) বলেন, তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন, আমি তোমাদের নিকট দুইটি বস্তু ছাড়িয়া যাইতেছি। তোমরা যতক্ষণ উহাকে ধরিয়া থাকিবে পথভ্রষ্ট হইবে না। উহা হইল আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নত।
باب النَّهْيِ عَنْ الْقَوْلِ بِالْقَدَرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا كِتَابَ اللَّهِ وَسُنَّةَ نَبِيِّهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৬৬২
১. তকদীরের ব্যাপারে বিতর্ক করা নিষেধ
রেওয়ায়ত ৪. তাউস ইয়ামানী (রাহঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কয়েকজন সাহাবীকে পাইয়াছি যাহারা বলিতেন, প্রতিটি বস্তুই তকদীরের লিখন অনুসারে হইয়া থাকে। তাউস বলেন, আর আমি ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলিতেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিতেন, প্রতিটি ব্যাপারই তকদীর অনুযায়ী হইয়া থাকে, এমন কি মানুষের দুর্বল হওয়া এবং বুদ্ধিমান হওয়াও।
باب النَّهْيِ عَنْ الْقَوْلِ بِالْقَدَرِ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زِيَادِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ طَاوُسٍ الْيَمَانِيِّ أَنَّهُ قَالَ أَدْرَكْتُ نَاسًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُونَ كُلُّ شَيْءٍ بِقَدَرٍ قَالَ طَاوُسٌ وَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلُّ شَيْءٍ بِقَدَرٍ حَتَّى الْعَجْزِ وَالْكَيْسِ أَوْ الْكَيْسِ وَالْعَجْزِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৬৬৩
১. তকদীরের ব্যাপারে বিতর্ক করা নিষেধ
রেওয়ায়ত ৫. আমর ইবনে দীনার (রাহঃ) বলেন, আমি ইবনে যুবাইর (রাহঃ)-এর নিকট শুনিয়াছি, তিনি স্বীয় খুতবা দেওয়ার সময় বলিতেন, আল্লাহ তাআলাই মানুষকে সৎপথ প্রদর্শনকারী, আর তিনিই পথভ্রষ্টকারী। (কুরআন মাজীদেও বলা হইয়াছে, আল্লাহ্ তাআলা যাহাকে ইচ্ছা হিদায়ত দান করেন, যাহাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন। সুতরাং ভাল-মন্দ সমস্ত কাজ আল্লাহই সৃষ্টি করিয়া থাকেন, কিন্তু মানুষকে ভাল-মন্দ কাজ বলিয়া দেওয়া হইয়াছে এবং উহা হইতে বাছিয়া লওয়ার ইখতিয়ার দেওয়া হইয়াছে। এই স্বাধীনতার উপরই তাহার সওয়াব ও আযাব হইবে। কদরীয়া* ও শীয়া দলের মতে মানুষ নিজের কাজের নিজেই সৃষ্টিকর্তা। এই মতবাদ কুরআন ও হাদীসের বিপরীত।)
باب النَّهْيِ عَنْ الْقَوْلِ بِالْقَدَرِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ زِيَادِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْهَادِي وَالْفَاتِنُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৬৬৪
১. তকদীরের ব্যাপারে বিতর্ক করা নিষেধ
রেওয়ায়ত ৬. আবু সুহাইল ইবনে মালিক (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি উমর আব্দুল আযীয (রাহঃ)-এর সহিত কোথাও যাইতেছিলেন। তিনি আবু সুহাইলকে বলিলেন, কদরিয়া সম্বন্ধে তোমার মত কি ? আমি বলিলাম, আমার মত এই যে, তাহাদেরকে তওবা করানো উচিত। যদি তাহারা তওবা করিয়া ফেলে তবে তো ভাল, না হয় তাহাদেরকে হত্যা করা যাইতে পারে। উমর (রাহঃ) বলেন, তাহদের সম্বন্ধে আমার মতও ইহাই।
মালিক (রাহঃ) বলেন, তাহাদের সম্বন্ধে আমারও মত ইহাই।
মালিক (রাহঃ) বলেন, তাহাদের সম্বন্ধে আমারও মত ইহাই।
باب النَّهْيِ عَنْ الْقَوْلِ بِالْقَدَرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ أَسِيرُ مَعَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَقَالَ مَا رَأْيُكَ فِي هَؤُلَاءِ الْقَدَرِيَّةِ فَقُلْتُ رَأْيِي أَنْ تَسْتَتِيبَهُمْ فَإِنْ تَابُوا وَإِلَّا عَرَضْتَهُمْ عَلَى السَّيْفِ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَذَلِكَ رَأْيِي قَالَ مَالِك وَذَلِكَ رَأْيِي

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: