আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৪৫. বিভিন্ন প্রকারের মাসআলা সম্বলিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৬৫৪
৭. মহামারীর বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২২. আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) শাম দেশের দিকে যাত্রা করিলেন। যখন তিনি সুরগ নামক স্থানে পৌছিলেন তখন বড় বড় সেনাপতি তাহার সহিত মিলিত হইলেন, যেমন আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ ও তাহার সঙ্গিগণ। ঐ সেনাপতিগণ বলিলেন, আজকাল শাম দেশে মহামারী বিস্তার লাভ করিয়াছে। ইবনে আব্বাস বলিলেন, নেতৃস্থানীয় মুহাজিরদেরকে ডাকিয়া আন যাহারা প্রথমে হিজরত করিয়াছেন। উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলিলেন তাহাদিগকে ডাকিয়া আনা হইল। উমর (রাযিঃ) তাহাদের সহিত শাম দেশের মহামারী সম্বন্ধে পরামর্শ করিলেন। তাহাদের কেহ মন্তব্য করিলেন, আপনি কাজের জন্য বাহির হইয়াছেন এখন প্রত্যাবর্তন করা সমীচীন হইবে না। কেহ বলিলেন, আপনার সহিত অন্যান্য লোকও রহিয়াছে আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীও রহিয়াছেন। তাহাদিগকে এই মহামারীতে লইয়া যাওয়া যুক্তিযুক্ত হইবে না। উমর (রাযিঃ) তাহাদিগকে বিদায় দিলেন। অতঃপর বলিলেন, যাও আনসারদেরকে ডাকিয়া আন! অতঃপর ইবনে আব্বাস আনসারদেরকে ডাকিয়া আনিলেন। উমর (রাযিঃ) তাহদের সহিত পরামর্শ করিলেন। তাহারাও মুহাজিরদের মতো মত প্রকাশ করিলেন। উমর (রাযিঃ) তাহাদিগকেও বিদায় দিলেন। অতঃপর বলিলেন, যাও কুরাইশ সর্দারদিগকে ডাকিয়া আন। যাহারা মক্কা বিজয়ের পর হিজরত করিয়াছেন, আমি কুরাইশের বয়োবৃদ্ধদের ডাকিয়া আনিলাম। তাহদের দুইজনের মধ্যেও কোন মতবিরোধ হইল না, বরং সকলেই এক বাক্যে বলিলেন, আমাদের মতে আপনার ফিরিয়া যাওয়াই যুক্তিযুক্ত মনে হইতেছে। লোকদেরকে মহামারিতে লইয়া যাওয়া সমীচীন মনে হইতেছে না। অতঃপর উমর (রাযিঃ) ঘোষণা করিয়া দিলেন, সকাল বেলায় আমরা ফিরিয়া যাইব ।
সকাল বেলা সকলেই সওয়ার হইয়া তাহার সহিত সাক্ষাত করিতে আসিল। সে সময় আবু উবায়দা (রাহঃ) বলিলেন, কি হইল, আল্লাহর তকদীর (নির্ধারিত বিধান) হইতে পলাইয়া যাইতেছ? উমর (রাযিঃ) বলিলেন, যদি এই কথা অন্য কেহ বলিত। হ্যাঁ, আমরা আল্লাহর তকদীর হইতে আল্লাহর তকদীরের প্রতি পলায়ন করিতেছি। যদি তোমার নিকট উট থাকে আর তুমি দুই দিক ঘেরাও করা মাঠে লইয়া যাও, যাহার একদিক শস্য শ্যামল থাকে আর অন্যদিক শুষ্ক ও খালি থাকে। যদি তুমি উটকে শ্যামল দিকে চরাও তখনও তুমি উহা আল্লাহর তকদীরেই উহাকে চরাইলে আর যদি শুষ্ক ভূমিতে চরাও তবুও আল্লাহর তকদীরেই চরাইলে। এই সময়ে আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) আসিয়া পড়িলেন। তিনি কোথাও কোন কাজে গিয়াছিলেন। তিনি বলিলেন, আমার এই ব্যাপারে জানা আছে। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি যদি তুমি কোন স্থানে মহামারীর কথা শুনিতে পাও তবে তথায় গমন করিও না। আর যদি কোন স্থানে মহামারী ছড়াইয়া পড়ে আর তুমি সেখানে থাক তবে তথা হইতে পলাইও না। ইবনে আব্বাস বলিলেন, ইহা শুনিয়া উমর (রাযিঃ) আল্লাহর প্রশংসা করিলেন এবং তথা হইতে প্রত্যাবর্তন করিলেন।
সকাল বেলা সকলেই সওয়ার হইয়া তাহার সহিত সাক্ষাত করিতে আসিল। সে সময় আবু উবায়দা (রাহঃ) বলিলেন, কি হইল, আল্লাহর তকদীর (নির্ধারিত বিধান) হইতে পলাইয়া যাইতেছ? উমর (রাযিঃ) বলিলেন, যদি এই কথা অন্য কেহ বলিত। হ্যাঁ, আমরা আল্লাহর তকদীর হইতে আল্লাহর তকদীরের প্রতি পলায়ন করিতেছি। যদি তোমার নিকট উট থাকে আর তুমি দুই দিক ঘেরাও করা মাঠে লইয়া যাও, যাহার একদিক শস্য শ্যামল থাকে আর অন্যদিক শুষ্ক ও খালি থাকে। যদি তুমি উটকে শ্যামল দিকে চরাও তখনও তুমি উহা আল্লাহর তকদীরেই উহাকে চরাইলে আর যদি শুষ্ক ভূমিতে চরাও তবুও আল্লাহর তকদীরেই চরাইলে। এই সময়ে আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) আসিয়া পড়িলেন। তিনি কোথাও কোন কাজে গিয়াছিলেন। তিনি বলিলেন, আমার এই ব্যাপারে জানা আছে। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি যদি তুমি কোন স্থানে মহামারীর কথা শুনিতে পাও তবে তথায় গমন করিও না। আর যদি কোন স্থানে মহামারী ছড়াইয়া পড়ে আর তুমি সেখানে থাক তবে তথা হইতে পলাইও না। ইবনে আব্বাস বলিলেন, ইহা শুনিয়া উমর (রাযিঃ) আল্লাহর প্রশংসা করিলেন এবং তথা হইতে প্রত্যাবর্তন করিলেন।
مَا جَاءَ فِي الطَّاعُونِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ خَرَجَ إِلَى الشَّامِ حَتَّى إِذَا كَانَ بِسَرْغَ لَقِيَهُ أُمَرَاءُ الْأَجْنَادِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ وَأَصْحَابُهُ فَأَخْبَرُوهُ أَنَّ الْوَبَأَ قَدْ وَقَعَ بِأَرْضِ الشَّامِ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ادْعُ لِي الْمُهَاجِرِينَ الْأَوَّلِينَ فَدَعَاهُمْ فَاسْتَشَارَهُمْ وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّ الْوَبَأَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ فَاخْتَلَفُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ قَدْ خَرَجْتَ لِأَمْرٍ وَلَا نَرَى أَنْ تَرْجِعَ عَنْهُ وَقَالَ بَعْضُهُمْ مَعَكَ بَقِيَّةُ النَّاسِ وَأَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا نَرَى أَنْ تُقْدِمَهُمْ عَلَى هَذَا الْوَبَإِ فَقَالَ عُمَرُ ارْتَفِعُوا عَنِّي ثُمَّ قَالَ ادْعُ لِي الْأَنْصَارَ فَدَعَوْتُهُمْ فَاسْتَشَارَهُمْ فَسَلَكُوا سَبِيلَ الْمُهَاجِرِينَ وَاخْتَلَفُوا كَاخْتِلَافِهِمْ فَقَالَ ارْتَفِعُوا عَنِّي ثُمَّ قَالَ ادْعُ لِي مَنْ كَانَ هَاهُنَا مِنْ مَشْيَخَةِ قُرَيْشٍ مِنْ مُهَاجِرَةِ الْفَتْحِ فَدَعَوْتُهُمْ فَلَمْ يَخْتَلِفْ عَلَيْهِ مِنْهُمُ رَجُلَانِ فَقَالُوا نَرَى أَنْ تَرْجِعَ بِالنَّاسِ وَلَا تُقْدِمَهُمْ عَلَى هَذَا الْوَبَإِ فَنَادَى عُمَرُ فِي النَّاسِ إِنِّي مُصْبِحٌ عَلَى ظَهْرٍ فَأَصْبِحُوا عَلَيْهِ فَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ أَفِرَارًا مِنْ قَدَرِ اللَّهِ فَقَالَ عُمَرُ لَوْ غَيْرُكَ قَالَهَا يَا أَبَا عُبَيْدَةَ نَعَمْ نَفِرُّ مِنْ قَدَرِ اللَّهِ إِلَى قَدَرِ اللَّهِ أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَ لَكَ إِبِلٌ فَهَبَطَتْ وَادِيًا لَهُ عُدْوَتَانِ إِحْدَاهُمَا خَصِبَةٌ وَالْأُخْرَى جَدْبَةٌ أَلَيْسَ إِنْ رَعَيْتَ الْخَصِبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللَّهِ وَإِنْ رَعَيْتَ الْجَدْبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللَّهِ فَجَاءَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ وَكَانَ غَائِبًا فِي بَعْضِ حَاجَتِهِ فَقَالَ إِنَّ عِنْدِي مِنْ هَذَا عِلْمًا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلَا تَقْدَمُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ قَالَ فَحَمِدَ اللَّهَ عُمَرُ ثُمَّ انْصَرَفَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৬৫৫
৭. মহামারীর বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৩. সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) উসামা ইবনে যায়দের নিকট জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট মহামারী সম্বন্ধে কি শুনিয়াছ? তিনি বলিলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেন মহামারী এক প্রকার আযাব যাহা বনী ইসরাইলের এক সম্প্রদায়ের প্রতি পাঠান হইয়াছে (অথবা বলিয়াছেন) তোমাদের পূর্বেকার লোকদের প্রতি পাঠান হইয়াছে। যখন তোমরা কোন স্থানে মহামারীর কথা শোন তথায় যাইও না, আর যদি কোথাও মহামারী সংক্রামিত হইয়া পড়ে আর তোমরা তথায় থাক, তবে তথা হইতে পলায়ন করিও না। আবু নসর বলেন, পলায়নের ইচ্ছায় বাহির হইও না।
مَا جَاءَ فِي الطَّاعُونِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ وَعَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَسْأَلُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ مَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الطَّاعُونِ فَقَالَ أُسَامَةُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الطَّاعُونُ رِجْزٌ أُرْسِلَ عَلَى طَائِفَةٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَوْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلَا تَدْخُلُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ قَالَ مَالِك قَالَ أَبُو النَّضْرِ لَا يُخْرِجُكُمْ إِلَّا فِرَارٌ مِنْهُ
হাদীস নং:১৬৫৬
৭. মহামারীর বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৪. আব্দুল্লাহ ইবনে আমির ইবনে রবী’আ (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, উমর (রাযিঃ) শাম দেশের দিকে রওয়ানা হইলেন, যখন সুরগ নামক স্থানে পৌছিলেন, তখন জানিতে পারিলেন, শাম দেশে মহামারী বিস্তার লাভ করিয়াছে।
مَا جَاءَ فِي الطَّاعُونِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ خَرَجَ إِلَى الشَّامِ فَلَمَّا جَاءَ سَرْغَ بَلَغَهُ أَنَّ الْوَبَأَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ فَأَخْبَرَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلَا تَقْدَمُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ فَرَجَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ مِنْ سَرْغَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৬৫৭
৭. মহামারীর বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৫. সালেম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) আব্দুর রহমান ইবনে আউফ-এর কথায় সুরগ হইতে ফিরিয়া আসিলেন।
مَا جَاءَ فِي الطَّاعُونِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ إِنَّمَا رَجَعَ بِالنَّاسِ مِنْ سَرْغَ عَنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৬৫৮
৭. মহামারীর বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২৬. মালিক (রাহঃ) বলেন, উমর (রাযিঃ) বলিয়াছেন, রুকবার একটি ঘর আমার নিকট শাম দেশের দশটি ঘর হইতে উৎকৃষ্ট। মালিক (রাহঃ) বলেন, ইহা এইজন্য যে, রুকবা স্বাস্থ্যকর স্থান ছিল, সেখানে লোকেরা দীর্ঘায়ু লাভ করিত, আর শামে প্রায়ই মহামারী দেখা দিত।
مَا جَاءَ فِي الطَّاعُونِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ لَبَيْتٌ بِرُكْبَةَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ عَشَرَةِ أَبْيَاتٍ بِالشَّامِ قَالَ مَالِك يُرِيدُ لِطُولِ الْأَعْمَارِ وَالْبَقَاءِ وَلِشِدَّةِ الْوَبَإِ بِالشَّامِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: