আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৪৫. বিভিন্ন প্রকারের মাসআলা সম্বলিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৬৪৬
৪. মদীনার মহামারী সম্বন্ধে রেওয়ায়ত
রেওয়ায়ত ১৪. উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মদীনায় আগমন করিলেন তখন আবু বকর ও বেলালের জ্বর আসিতে শুরু করিল। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি উভয়ের নিকট গেলাম। আমি তাহাকে বলিলাম, আব্বা আপনার অবস্থা কিরূপ? হে বেলাল! আপনার অবস্থা কিরূপ?
আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আবু বকরের যখন জ্বর আসিত তিনি বলিতেনঃ
كُلُّ امْرِئٍ مُصَبَّحٌ فِي أَهْلِهِ وَالْمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ
প্রত্যেকে নিজের পরিজনের মধ্যে প্রভাত করে আর মৃত্যু তাহার জুতার ফিতার চাইতেও তাহার অতি নিকটে থাকে,
আর যখন বেলালের জ্বর হইত তখন তিনি উচ্চঃস্বরে এই কবিতা পড়িতেনঃ
أَلاَ لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُ
وَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مَجَنَّةٍ وَهَلْ يَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلُ
হায়! যদি আমি জানিতে পারিতাম যে, কখনও আমি এক রাত্রির জন্যও মক্কার উপত্যকায় রাত্রি যাপন করিতে পারিব। আর আমার চতুষ্পার্শ্বে উযখার ও জলিল নামক ঘাস থাকিবে। আর পুনরায় কখনও মাজিনা কুয়ার নিকট যাইতে পারিব, আর পুনরায় কখনও শামা ও তফীল পাহাড় আমার দৃষ্টিগোচর হইবে।
আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি ইহা শুনিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট বর্ণনা করিলাম। তিনি দুআ করিলেনঃ
اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ وَصَحِّحْهَا وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِهَا وَمُدِّهَا وَانْقُلْ حُمَّاهَا فَاجْعَلْهَا بِالْجُحْفَةِ
হে আল্লাহ আমাদের মনে মদীনার মুহব্বত এইরূপ করিয়া দিন যেইরূপ মক্কার মুহব্বত রহিয়াছে, বরং উহা হইতেও প্রগাঢ় ভালবাসা। আর মদীনাকে স্বাস্থ্যকর করিয়া দিন। উহার সা’ ও মুদে বরকত দিন, উহার জ্বর রূপ ব্যাধি অন্যত্র লইয়া যান এবং জুহফাতে উহার জ্বরকে সরাইয়া দিন।
আর উহার সা ও মুদ্দে (পরিমাণ বিশেষ) বরকত দান করুন। আর তথাকার জ্বরকে জুহফার দিকে দূর করিয়া দিন।*
আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আবু বকরের যখন জ্বর আসিত তিনি বলিতেনঃ
كُلُّ امْرِئٍ مُصَبَّحٌ فِي أَهْلِهِ وَالْمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ
প্রত্যেকে নিজের পরিজনের মধ্যে প্রভাত করে আর মৃত্যু তাহার জুতার ফিতার চাইতেও তাহার অতি নিকটে থাকে,
আর যখন বেলালের জ্বর হইত তখন তিনি উচ্চঃস্বরে এই কবিতা পড়িতেনঃ
أَلاَ لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُ
وَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مَجَنَّةٍ وَهَلْ يَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلُ
হায়! যদি আমি জানিতে পারিতাম যে, কখনও আমি এক রাত্রির জন্যও মক্কার উপত্যকায় রাত্রি যাপন করিতে পারিব। আর আমার চতুষ্পার্শ্বে উযখার ও জলিল নামক ঘাস থাকিবে। আর পুনরায় কখনও মাজিনা কুয়ার নিকট যাইতে পারিব, আর পুনরায় কখনও শামা ও তফীল পাহাড় আমার দৃষ্টিগোচর হইবে।
আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি ইহা শুনিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট বর্ণনা করিলাম। তিনি দুআ করিলেনঃ
اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ وَصَحِّحْهَا وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِهَا وَمُدِّهَا وَانْقُلْ حُمَّاهَا فَاجْعَلْهَا بِالْجُحْفَةِ
হে আল্লাহ আমাদের মনে মদীনার মুহব্বত এইরূপ করিয়া দিন যেইরূপ মক্কার মুহব্বত রহিয়াছে, বরং উহা হইতেও প্রগাঢ় ভালবাসা। আর মদীনাকে স্বাস্থ্যকর করিয়া দিন। উহার সা’ ও মুদে বরকত দিন, উহার জ্বর রূপ ব্যাধি অন্যত্র লইয়া যান এবং জুহফাতে উহার জ্বরকে সরাইয়া দিন।
আর উহার সা ও মুদ্দে (পরিমাণ বিশেষ) বরকত দান করুন। আর তথাকার জ্বরকে জুহফার দিকে দূর করিয়া দিন।*
مَا جَاءَ فِي وَبَاءِ الْمَدِينَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وُعِكَ أَبُو بَكْرٍ وَبِلَالٌ قَالَتْ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِمَا فَقُلْتُ يَا أَبَتِ كَيْفَ تَجِدُكَ وَيَا بِلَالُ كَيْفَ تَجِدُكَ قَالَتْ فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ إِذَا أَخَذَتْهُ الْحُمَّى يَقُولُ
كُلُّ امْرِئٍ مُصَبَّحٌ فِي أَهْلِهِ وَالْمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ
وَكَانَ بِلَالٌ إِذَا أُقْلِعَ عَنْهُ يَرْفَعُ عَقِيرَتَهُ فَيَقُولُ
أَلَا لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُ
وَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مَجِنَّةٍ وَهَلْ يَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلُ
قَالَتْ عَائِشَةُ فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ وَصَحِّحْهَا وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِهَا وَمُدِّهَا وَانْقُلْ حُمَّاهَا فَاجْعَلْهَا بِالْجُحْفَةِ
كُلُّ امْرِئٍ مُصَبَّحٌ فِي أَهْلِهِ وَالْمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ
وَكَانَ بِلَالٌ إِذَا أُقْلِعَ عَنْهُ يَرْفَعُ عَقِيرَتَهُ فَيَقُولُ
أَلَا لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُ
وَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مَجِنَّةٍ وَهَلْ يَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلُ
قَالَتْ عَائِشَةُ فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ وَصَحِّحْهَا وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِهَا وَمُدِّهَا وَانْقُلْ حُمَّاهَا فَاجْعَلْهَا بِالْجُحْفَةِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৬৪৭
৪. মদীনার মহামারী সম্বন্ধে রেওয়ায়ত
রেওয়ায়ত ১৫. আয়েশ (রাযিঃ) বলিয়াছেন, আমির ইবনে ফুহাইরা বলতেন, আমি মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুকে দেখিয়াছি, যাহার ভীরু তাহদের মৃত্যু উপর হইতে অবতরণ করে।
مَا جَاءَ فِي وَبَاءِ الْمَدِينَةِ
قَالَ مَالِك وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ وَكَانَ عَامِرُ بْنُ فُهَيْرَةَ يَقُولُ
قَدْ رَأَيْتُ الْمَوْتَ قَبْلَ ذَوْقِهِ إِنَّ الْجَبَانَ حَتْفُهُ مِنْ فَوْقِهِ
قَدْ رَأَيْتُ الْمَوْتَ قَبْلَ ذَوْقِهِ إِنَّ الْجَبَانَ حَتْفُهُ مِنْ فَوْقِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৬৪৮
৪. মদীনার মহামারী সম্বন্ধে রেওয়ায়ত
রেওয়ায়ত ১৬. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মদীনার দ্বারে ফিরিশতা মোতায়েন রহিয়াছে। উহাতে কখনও মহামারী দেখা দিবে না আর দাজ্জালও প্রবেশ করিবে না।
مَا جَاءَ فِي وَبَاءِ الْمَدِينَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُجْمِرِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَنْقَابِ الْمَدِينَةِ مَلَائِكَةٌ لَا يَدْخُلُهَا الطَّاعُونُ وَلَا الدَّجَّالُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান