আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৪৩. খুনের শাস্তি স্বরূপ অর্থদন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৬১৩
১৪. দাসদের যখমের দিয়াত
সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) ও সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, তাহারা উভয়ে বলিতেন, দাসের ক্ষতে তাহার মূল্যের ১/২ অংশ হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, মারওয়ান ইবনে হাকাম ঐ ব্যক্তিকে, যে কোন দাসকে ক্ষত করিয়া দিত, আদেশ করিতেন যে, এই ক্ষতের দরুন তাহার মূল্যের যতটুকু কম পড়িল তাহাকে উহা দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদেন নিকট সিদ্ধান্ত এই যে, দাসের ক্ষতে তাহার মূল্যের বিশ ভাগের এক ভাগ আর যে ক্ষতের দরুন হ্যাঁড় স্থানচ্যুত হয় উহাতে তাহার মূল্যের দশ ভাগের একভাগ ও বিশ ভাগের একভাগ আর মাসুমায়* ও জাইফার প্রতিটার জন্য তাহার মূল্যের ত্রিশ ভাগের একভাগ দিতে হইবে। উহা ব্যতীত প্রতি প্রকার ক্ষত করার জন্য তাহার মূল্যে ক্ষতের যে ক্ষতি হইবে তাহা আদায় করিতে হইবে। যখন দাস সুস্থ হইয়া যাইবে, তখন দেখিতে হইবে ক্ষতের পূর্বে কি মূল্য ছিল এবং ক্ষতের জন্য কত কম হইল, উহা দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কেহ দাসের হাত-পা ভাঙ্গিয়া ফেলে, পরে সে ভাল হইয়া যায়, তবে কোন ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে না। হ্যাঁ, যদি কোন ক্রটি থাকিয়া যায় তবে ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, দাস ও দাসীর ব্যাপারে স্বাধীনদের মতো কিসাস দিতে হইবে। যদি দাস ইচ্ছাকৃতভাবে কোন দাসীকে হত্যা করে, তবে দাসকেও কিসাসে হত্যা করিতে হইবে। যদি ক্ষত করিয়া দেয় তদ্রূপ ক্ষত তাহারও করা হইবে। যদি এক দাস অন্য কোন দাসকে ইচ্ছাকৃতভাবে মারিয়া ফেলে, তবে নিহতের প্রভুর ইচ্ছার উপর নির্ভর করিবে, হয় হত্যাকারীকে হত্যা করিবে অথবা দিয়াত অর্থাৎ গোলামের মূল্য লইয়া লইবে। অনুরূপভাবে হত্যাকারীর প্রভুর ইচ্ছার উপর নির্ভর করিবে, হয় নিহত ব্যক্তির মূল্য আদায় করিবে এবং হত্যাকারীকে নিজের নিকট থাকিতে দিবে অথবা নিহতের প্রভু দিয়াতের উপর রাযী হইয়া হত্যাকারীকে লইয়া লইবে, তাহা হইলে তাহাকে হত্যা করিবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কোন মুসলমান দাস কোন ইহুদী অথবা খ্রিষ্টানকে যখম করিয়া ফেলে তবে দাসের প্রভু ইচ্ছা করিলে দিয়াত দিয়া দিবে বা ঐ দাস বিনিময়ে দিয়া দিবে এবং দাসকে বিক্রয় করিয়া তাহার ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করিবে। কিন্তু ঐ মুসলমান গোলামকে অমুসলমানের নিকট থাকিতে দেওয়া হইবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেন, মারওয়ান ইবনে হাকাম ঐ ব্যক্তিকে, যে কোন দাসকে ক্ষত করিয়া দিত, আদেশ করিতেন যে, এই ক্ষতের দরুন তাহার মূল্যের যতটুকু কম পড়িল তাহাকে উহা দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদেন নিকট সিদ্ধান্ত এই যে, দাসের ক্ষতে তাহার মূল্যের বিশ ভাগের এক ভাগ আর যে ক্ষতের দরুন হ্যাঁড় স্থানচ্যুত হয় উহাতে তাহার মূল্যের দশ ভাগের একভাগ ও বিশ ভাগের একভাগ আর মাসুমায়* ও জাইফার প্রতিটার জন্য তাহার মূল্যের ত্রিশ ভাগের একভাগ দিতে হইবে। উহা ব্যতীত প্রতি প্রকার ক্ষত করার জন্য তাহার মূল্যে ক্ষতের যে ক্ষতি হইবে তাহা আদায় করিতে হইবে। যখন দাস সুস্থ হইয়া যাইবে, তখন দেখিতে হইবে ক্ষতের পূর্বে কি মূল্য ছিল এবং ক্ষতের জন্য কত কম হইল, উহা দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কেহ দাসের হাত-পা ভাঙ্গিয়া ফেলে, পরে সে ভাল হইয়া যায়, তবে কোন ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে না। হ্যাঁ, যদি কোন ক্রটি থাকিয়া যায় তবে ক্ষতিপূরণ দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, দাস ও দাসীর ব্যাপারে স্বাধীনদের মতো কিসাস দিতে হইবে। যদি দাস ইচ্ছাকৃতভাবে কোন দাসীকে হত্যা করে, তবে দাসকেও কিসাসে হত্যা করিতে হইবে। যদি ক্ষত করিয়া দেয় তদ্রূপ ক্ষত তাহারও করা হইবে। যদি এক দাস অন্য কোন দাসকে ইচ্ছাকৃতভাবে মারিয়া ফেলে, তবে নিহতের প্রভুর ইচ্ছার উপর নির্ভর করিবে, হয় হত্যাকারীকে হত্যা করিবে অথবা দিয়াত অর্থাৎ গোলামের মূল্য লইয়া লইবে। অনুরূপভাবে হত্যাকারীর প্রভুর ইচ্ছার উপর নির্ভর করিবে, হয় নিহত ব্যক্তির মূল্য আদায় করিবে এবং হত্যাকারীকে নিজের নিকট থাকিতে দিবে অথবা নিহতের প্রভু দিয়াতের উপর রাযী হইয়া হত্যাকারীকে লইয়া লইবে, তাহা হইলে তাহাকে হত্যা করিবে না।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি কোন মুসলমান দাস কোন ইহুদী অথবা খ্রিষ্টানকে যখম করিয়া ফেলে তবে দাসের প্রভু ইচ্ছা করিলে দিয়াত দিয়া দিবে বা ঐ দাস বিনিময়ে দিয়া দিবে এবং দাসকে বিক্রয় করিয়া তাহার ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করিবে। কিন্তু ঐ মুসলমান গোলামকে অমুসলমানের নিকট থাকিতে দেওয়া হইবে না।
باب مَا جَاءَ فِي دِيَةِ جِرَاحِ الْعَبْدِ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ كَانَا يَقُولَانِ فِي مُوضِحَةِ الْعَبْدِ نِصْفُ عُشْرِ ثَمَنِهِ وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ كَانَ يَقْضِي فِي الْعَبْدِ يُصَابُ بِالْجِرَاحِ أَنَّ عَلَى مَنْ جَرَحَهُ قَدْرَ مَا نَقَصَ مِنْ ثَمَنِ الْعَبْدِ قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ فِي مُوضِحَةِ الْعَبْدِ نِصْفَ عُشْرِ ثَمَنِهِ وَفِي مُنَقِّلَتِهِ الْعُشْرُ وَنِصْفُ الْعُشْرِ مِنْ ثَمَنِهِ وَفِي مَأْمُومَتِهِ وَجَائِفَتِهِ فِي كُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا ثُلُثُ ثَمَنِهِ وَفِيمَا سِوَى هَذِهِ الْخِصَالِ الْأَرْبَعِ مِمَّا يُصَابُ بِهِ الْعَبْدُ مَا نَقَصَ مِنْ ثَمَنِهِ يُنْظَرُ فِي ذَلِكَ بَعْدَ مَا يَصِحُّ الْعَبْدُ وَيَبْرَأُ كَمْ بَيْنَ قِيمَةِ الْعَبْدِ بَعْدَ أَنْ أَصَابَهُ الْجُرْحُ وَقِيمَتِهِ صَحِيحًا قَبْلَ أَنْ يُصِيبَهُ هَذَا ثُمَّ يَغْرَمُ الَّذِي أَصَابَهُ مَا بَيْنَ الْقِيمَتَيْنِ قَالَ مَالِك فِي الْعَبْدِ إِذَا كُسِرَتْ يَدُهُ أَوْ رِجْلُهُ ثُمَّ صَحَّ كَسْرُهُ فَلَيْسَ عَلَى مَنْ أَصَابَهُ شَيْءٌ فَإِنْ أَصَابَ كَسْرَهُ ذَلِكَ نَقْصٌ أَوْ عَثَلٌ كَانَ عَلَى مَنْ أَصَابَهُ قَدْرُ مَا نَقَصَ مِنْ ثَمَنِ الْعَبْدِ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الْقِصَاصِ بَيْنَ الْمَمَالِيكِ كَهَيْئَةِ قِصَاصِ الْأَحْرَارِ نَفْسُ الْأَمَةِ بِنَفْسِ الْعَبْدِ وَجُرْحُهَا بِجُرْحِهِ فَإِذَا قَتَلَ الْعَبْدُ عَبْدًا عَمْدًا خُيِّرَ سَيِّدُ الْعَبْدِ الْمَقْتُولِ فَإِنْ شَاءَ قَتَلَ وَإِنْ شَاءَ أَخَذَ الْعَقْلَ فَإِنْ أَخَذَ الْعَقْلَ أَخَذَ قِيمَةَ عَبْدِهِ وَإِنْ شَاءَ رَبُّ الْعَبْدِ الْقَاتِلِ أَنْ يُعْطِيَ ثَمَنَ الْعَبْدِ الْمَقْتُولِ فَعَلَ وَإِنْ شَاءَ أَسْلَمَ عَبْدَهُ فَإِذَا أَسْلَمَهُ فَلَيْسَ عَلَيْهِ غَيْرُ ذَلِكَ وَلَيْسَ لِرَبِّ الْعَبْدِ الْمَقْتُولِ إِذَا أَخَذَ الْعَبْدَ الْقَاتِلَ وَرَضِيَ بِهِ أَنْ يَقْتُلَهُ وَذَلِكَ فِي الْقِصَاصِ كُلِّهِ بَيْنَ الْعَبِيدِ فِي قَطْعِ الْيَدِ وَالرِّجْلِ وَأَشْبَاهِ ذَلِكَ بِمَنْزِلَتِهِ فِي الْقَتْلِ قَالَ مَالِك فِي الْعَبْدِ الْمُسْلِمِ يَجْرَحُ الْيَهُودِيَّ أَوْ النَّصْرَانِيَّ إِنَّ سَيِّدَ الْعَبْدِ إِنْ شَاءَ أَنْ يَعْقِلَ عَنْهُ مَا قَدْ أَصَابَ فَعَلَ أَوْ أَسْلَمَهُ فَيُبَاعُ فَيُعْطِي الْيَهُودِيَّ أَوْ النَّصْرَانِيَّ مِنْ ثَمَنِ الْعَبْدِ دِيَةَ جُرْحِهِ أَوْ ثَمَنَهُ كُلَّهُ إِنْ أَحَاطَ بِثَمَنِهِ وَلَا يُعْطِي الْيَهُودِيَّ وَلَا النَّصْرَانِيَّ عَبْدًا مُسْلِمًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: