আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৪৩. খুনের শাস্তি স্বরূপ অর্থদন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৬০৫
৭. গর্ভস্থ সন্তানের দিয়াত
রেওয়ায়ত ৫. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, হুযাইলের দুই স্ত্রীলোক পরস্পর মারামারি করিতে যাইয়া একে অপরের প্রতি পাথর নিক্ষেপ করিল যাহাতে তাহার পেটের বাচ্চা বাহির হইয়া গেল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দিয়াত একটি দাস বা একটা দাসী দেওয়াইলেন।
باب عَقْلِ الْجَنِينِ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ امْرَأَتَيْنِ مِنْ هُذَيْلٍ رَمَتْ إِحْدَاهُمَا الْأُخْرَى فَطَرَحَتْ جَنِينَهَا فَقَضَى فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِغُرَّةٍ عَبْدٍ أَوْ وَلِيدَةٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৬০৬
৭. গর্ভস্থ সন্তানের দিয়াত
রেওয়ায়ত ৬. সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গর্ভস্থ সন্তান হত্যার ব্যাপারে একটি দাস অথবা দাসী দিয়াত দেওয়ার আদেশ করিয়াছেন। যাহার উপর দিয়াতের আদেশ হইয়াছে সে বলিলঃ আমি এই সন্তানের রক্তপণ কিরূপে আদায় করিব, যে খায় নাই, পান করে নাই, কথা বলে নাই, না ক্ৰন্দন করিয়াছে। এইরূপ সন্তানের তো খুন মাফ করা হইয়া থাকে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ লোকটি তো (কাহিন) যাদুকরের ভাই।
রবী’আ ইবনে আবী আবিদের রহমান বলিতেন, দাস বা দাসীর মূল্য যাহা গর্ভস্থ শিশুর জন্য দেওয়া হয় পঞ্চাশ দীনার অথবা ছয় শত দিরহাম হওয়া উচিত, আর স্বাধীন মুসলমানের স্ত্রীর দিয়াত পাঁচ শত দীনার বা ছয় হাজার দিরহাম।
মালিক (রাহঃ) বলেন, স্বাধীনা রমণীর গর্ভস্থ বাচ্চার দিয়াত স্ত্রীলোকের দিয়াতের দশমাংশ আর উহা পঞ্চাশ দীনার বা ছয় শত দিরহাম। গর্ভস্থ বাচ্চার দিয়াত ঐ সময় দেওয়া অনিবার্য হয় যখন বাচ্চা মরিয়া পেট হইতে বাহির হইয়া পড়ে। আমি ইহাতে কাহাকেও ইখতিলাফ করিতে দেখি নাই। যদি বাচ্চা পেট হইতে জীবিত বাহির হইয়া মারা যায় তবে পূর্ণ দিয়াত দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, গর্ভস্থ সন্তানের ক্ৰন্দন দ্বারা বুঝা যাইবে যে, সে জীবিত না মৃত। যদি ক্ৰন্দন করিয়া মরিয়া যায় তবে পূর্ণ দিয়াত দেওয়া অনিবার্য হইবে। দাসীর পেটের সন্তানের বেলায় দাসীর মূল্যের দশমাংশ দিয়াত দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি গর্ভবতী স্ত্রী কোন পুরুষ অথবা স্ত্রীলোককে হত্যা করে, তবে তাহার সন্তান প্রসবের পূর্বে তাহার হইতে কিসাস লওয়া হইবে না। যদি গর্ভবতী স্ত্রীলোককে কেহ হত্যা করে, ইচ্ছাকৃতই হউক বা ভুলক্রমেই হউক, তাহার গর্ভস্থ সন্তানের দিয়াত অনিবার্য হইবে না, বরং যদি তাহাকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করা হইয়া থাকে, তবে হত্যাকারীকে হত্যা করা হইবে আর যদি ভুলক্রমে হত্যা করা হইয়া থাকে, তবে দিয়াত দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইয়াছিল, যদি কেহ ইহুদী বা খ্রিস্টান স্ত্রীলোকের গর্ভস্থ বাচ্চাকে হত্যা করিয়া বাহির করিয়া দেয় উহার হুকুম কি? তিনি উত্তর দিলেন, তাহার মাতার দিয়াতের এক দশমাংশ অংশ দিতে হইবে।
রবী’আ ইবনে আবী আবিদের রহমান বলিতেন, দাস বা দাসীর মূল্য যাহা গর্ভস্থ শিশুর জন্য দেওয়া হয় পঞ্চাশ দীনার অথবা ছয় শত দিরহাম হওয়া উচিত, আর স্বাধীন মুসলমানের স্ত্রীর দিয়াত পাঁচ শত দীনার বা ছয় হাজার দিরহাম।
মালিক (রাহঃ) বলেন, স্বাধীনা রমণীর গর্ভস্থ বাচ্চার দিয়াত স্ত্রীলোকের দিয়াতের দশমাংশ আর উহা পঞ্চাশ দীনার বা ছয় শত দিরহাম। গর্ভস্থ বাচ্চার দিয়াত ঐ সময় দেওয়া অনিবার্য হয় যখন বাচ্চা মরিয়া পেট হইতে বাহির হইয়া পড়ে। আমি ইহাতে কাহাকেও ইখতিলাফ করিতে দেখি নাই। যদি বাচ্চা পেট হইতে জীবিত বাহির হইয়া মারা যায় তবে পূর্ণ দিয়াত দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, গর্ভস্থ সন্তানের ক্ৰন্দন দ্বারা বুঝা যাইবে যে, সে জীবিত না মৃত। যদি ক্ৰন্দন করিয়া মরিয়া যায় তবে পূর্ণ দিয়াত দেওয়া অনিবার্য হইবে। দাসীর পেটের সন্তানের বেলায় দাসীর মূল্যের দশমাংশ দিয়াত দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যদি গর্ভবতী স্ত্রী কোন পুরুষ অথবা স্ত্রীলোককে হত্যা করে, তবে তাহার সন্তান প্রসবের পূর্বে তাহার হইতে কিসাস লওয়া হইবে না। যদি গর্ভবতী স্ত্রীলোককে কেহ হত্যা করে, ইচ্ছাকৃতই হউক বা ভুলক্রমেই হউক, তাহার গর্ভস্থ সন্তানের দিয়াত অনিবার্য হইবে না, বরং যদি তাহাকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করা হইয়া থাকে, তবে হত্যাকারীকে হত্যা করা হইবে আর যদি ভুলক্রমে হত্যা করা হইয়া থাকে, তবে দিয়াত দিতে হইবে।
মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইয়াছিল, যদি কেহ ইহুদী বা খ্রিস্টান স্ত্রীলোকের গর্ভস্থ বাচ্চাকে হত্যা করিয়া বাহির করিয়া দেয় উহার হুকুম কি? তিনি উত্তর দিলেন, তাহার মাতার দিয়াতের এক দশমাংশ অংশ দিতে হইবে।
باب عَقْلِ الْجَنِينِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى فِي الْجَنِينِ يُقْتَلُ فِي بَطْنِ أُمِّهِ بِغُرَّةٍ عَبْدٍ أَوْ وَلِيدَةٍ فَقَالَ الَّذِي قُضِيَ عَلَيْهِ كَيْفَ أَغْرَمُ مَا لَا شَرِبَ وَلَا أَكَلْ وَلَا نَطَقَ وَلَا اسْتَهَلْ وَمِثْلُ ذَلِكَ بَطَلْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَإِنَّمَا هَذَا مِنْ إِخْوَانِ الْكُهَّانِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ الْغُرَّةُ تُقَوَّمُ خَمْسِينَ دِينَارًا أَوْ سِتَّ مِائَةِ دِرْهَمٍ وَدِيَةُ الْمَرْأَةِ الْحُرَّةِ الْمُسْلِمَةِ خَمْسُ مِائَةِ دِينَارٍ أَوْ سِتَّةُ آلَافِ دِرْهَمٍ
قَالَ مَالِك فَدِيَةُ جَنِينِ الْحُرَّةِ عُشْرُ دِيَتِهَا وَالْعُشْرُ خَمْسُونَ دِينَارًا أَوْ سِتُّ مِائَةِ دِرْهَمٍ قَالَ مَالِك وَلَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا يُخَالِفُ فِي أَنَّ الْجَنِينَ لَا تَكُونُ فِيهِ الْغُرَّةُ حَتَّى يُزَايِلَ بَطْنَ أُمِّهِ وَيَسْقُطُ مِنْ بَطْنِهَا مَيِّتًا قَالَ مَالِك وَسَمِعْت أَنَّهُ إِذَا خَرَجَ الْجَنِينُ مِنْ بَطْنِ أُمِّهِ حَيًّا ثُمَّ مَاتَ أَنَّ فِيهِ الدِّيَةَ كَامِلَةً قَالَ مَالِك وَلَا حَيَاةَ لِلْجَنِينِ إِلَّا بِالْاسْتِهْلَالِ فَإِذَا خَرَجَ مِنْ بَطْنِ أُمِّهِ فَاسْتَهَلَّ ثُمَّ مَاتَ فَفِيهِ الدِّيَةُ كَامِلَةً وَنَرَى أَنَّ فِي جَنِينِ الْأَمَةِ عُشْرَ ثَمَنِ أُمِّهِ قَالَ مَالِك وَإِذَا قَتَلَتْ الْمَرْأَةُ رَجُلًا أَوْ امْرَأَةً عَمْدًا وَالَّتِي قَتَلَتْ حَامِلٌ لَمْ يُقَدْ مِنْهَا حَتَّى تَضَعَ حَمْلَهَا وَإِنْ قُتِلَتْ الْمَرْأَةُ وَهِيَ حَامِلٌ عَمْدًا أَوْ خَطَأً فَلَيْسَ عَلَى مَنْ قَتَلَهَا فِي جَنِينِهَا شَيْءٌ فَإِنْ قُتِلَتْ عَمْدًا قُتِلَ الَّذِي قَتَلَهَا وَلَيْسَ فِي جَنِينِهَا دِيَةٌ وَإِنْ قُتِلَتْ خَطَأً فَعَلَى عَاقِلَةِ قَاتِلِهَا دِيَتُهَا وَلَيْسَ فِي جَنِينِهَا دِيَةٌ وَحَدَّثَنِي يَحْيَى سُئِلَ مَالِك عَنْ جَنِينِ الْيَهُودِيَّةِ وَالنَّصْرَانِيَّةِ يُطْرَحُ فَقَالَ أَرَى أَنَّ فِيهِ عُشْرَ دِيَةِ أُمِّهِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ الْغُرَّةُ تُقَوَّمُ خَمْسِينَ دِينَارًا أَوْ سِتَّ مِائَةِ دِرْهَمٍ وَدِيَةُ الْمَرْأَةِ الْحُرَّةِ الْمُسْلِمَةِ خَمْسُ مِائَةِ دِينَارٍ أَوْ سِتَّةُ آلَافِ دِرْهَمٍ
قَالَ مَالِك فَدِيَةُ جَنِينِ الْحُرَّةِ عُشْرُ دِيَتِهَا وَالْعُشْرُ خَمْسُونَ دِينَارًا أَوْ سِتُّ مِائَةِ دِرْهَمٍ قَالَ مَالِك وَلَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا يُخَالِفُ فِي أَنَّ الْجَنِينَ لَا تَكُونُ فِيهِ الْغُرَّةُ حَتَّى يُزَايِلَ بَطْنَ أُمِّهِ وَيَسْقُطُ مِنْ بَطْنِهَا مَيِّتًا قَالَ مَالِك وَسَمِعْت أَنَّهُ إِذَا خَرَجَ الْجَنِينُ مِنْ بَطْنِ أُمِّهِ حَيًّا ثُمَّ مَاتَ أَنَّ فِيهِ الدِّيَةَ كَامِلَةً قَالَ مَالِك وَلَا حَيَاةَ لِلْجَنِينِ إِلَّا بِالْاسْتِهْلَالِ فَإِذَا خَرَجَ مِنْ بَطْنِ أُمِّهِ فَاسْتَهَلَّ ثُمَّ مَاتَ فَفِيهِ الدِّيَةُ كَامِلَةً وَنَرَى أَنَّ فِي جَنِينِ الْأَمَةِ عُشْرَ ثَمَنِ أُمِّهِ قَالَ مَالِك وَإِذَا قَتَلَتْ الْمَرْأَةُ رَجُلًا أَوْ امْرَأَةً عَمْدًا وَالَّتِي قَتَلَتْ حَامِلٌ لَمْ يُقَدْ مِنْهَا حَتَّى تَضَعَ حَمْلَهَا وَإِنْ قُتِلَتْ الْمَرْأَةُ وَهِيَ حَامِلٌ عَمْدًا أَوْ خَطَأً فَلَيْسَ عَلَى مَنْ قَتَلَهَا فِي جَنِينِهَا شَيْءٌ فَإِنْ قُتِلَتْ عَمْدًا قُتِلَ الَّذِي قَتَلَهَا وَلَيْسَ فِي جَنِينِهَا دِيَةٌ وَإِنْ قُتِلَتْ خَطَأً فَعَلَى عَاقِلَةِ قَاتِلِهَا دِيَتُهَا وَلَيْسَ فِي جَنِينِهَا دِيَةٌ وَحَدَّثَنِي يَحْيَى سُئِلَ مَالِك عَنْ جَنِينِ الْيَهُودِيَّةِ وَالنَّصْرَانِيَّةِ يُطْرَحُ فَقَالَ أَرَى أَنَّ فِيهِ عُشْرَ دِيَةِ أُمِّهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: