আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৪৩. খুনের শাস্তি স্বরূপ অর্থদন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৬০২
৪. তুলে হত্যা করায় দিয়াত প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ৪. ইরাক ইবনে মালিক ও সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, বনি সাদের এক ব্যক্তি ঘোড়া দৌড়াইল যাহাতে জুহায়ন গোত্রের এক ব্যক্তির অঙ্গুলি নষ্ট করিয়া দিল; অঙ্গুলি হইতে এত রক্ত ঝরিল যে, তাহাতে ঐ ব্যক্তি মারা গেল। উমর (রাযিঃ) প্রথমে তো বনী সা’দকে বলিলেনঃ তুমি এই কথার উপর পঞ্চাশ বার কসম করিতে পার যে, এই ব্যক্তি অঙ্গুলি নষ্ট হওয়ার দরুন মরে নাই; তাহারা ইহাতে সম্মত হইল না। যখন তাহারা কসম করিল না তিনি জুহায়নী গোত্রের লোকদের বলিলেনঃ তোমরা কসম করিবে কি? তাহারাও ইহাতে সম্মত হইল না। অতঃপর তিনি বনী সা’দ হইতে অর্ধেক দিয়াত দেওয়াইয়া দিলেন।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসের উপর আমল করা হইবে না। ইবনে শিহাব, সুলায়মান ইবনে ইয়াসার ও রবী’আ ইবনে আবী আব্দুর রহমান বলেনঃ ভুলবশত হত্যার দিয়াতে কুড়িটি বিনতে মাখায, কুড়িটি বিনতে লবুন, কুড়িটি ইবনে কবুননের, কুড়িটি হক্কা এবং কুড়িটি জায’আ দেওয়া হইয়া থাকে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহা একটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত যে, নাবালেগদের হইতে কিসাস লওয়া হইবে না, যদিও সে স্বেচ্ছায় হত্যা করে। এই ধরনের হত্যা ভুলবশত হত্যার পর্যায়ে পড়িবে। বালেগ না হওয়া পর্যন্ত এই হুকুম অর্থাৎ তাহার উপর শাস্তি বর্তাইবে না তাহার বলেগ হওয়া পর্যন্ত।
এইজন্যই যদি কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে কাহাকেও হত্যা করে, তবে ইহা ভুলক্রমে হত্যা হইয়াছে মনে করিতে হইবে। যদি নাবালেগ ও বালেগ মিলিতভাবে কাহাকেও হত্যা করে, প্রত্যেকের জন্য অর্ধেক দিয়াত নির্ধারিত হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ভুলক্রমে নিহত হয় তাহার দিয়াত তাহার ও তাহার মালের পরিমাণে হইবে, যাহা দ্বারা তাহার ফরয আদায় করা হইবে, তাহার ওসীয়ত আদায় করা হইবে যদি তাহার নিকট দিয়াতের সমান মাল থাকে আর দিয়াত ক্ষমা করিয়া দেওয়া হয় তবে তাহা বৈধ। যদি এত মাল না থাকে তবে ১/৩ -এর পরিমাণ ক্ষমা করিতে পারে। অবশিষ্ট যাহা থাকে উহা ওয়ারিসদের হক।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসের উপর আমল করা হইবে না। ইবনে শিহাব, সুলায়মান ইবনে ইয়াসার ও রবী’আ ইবনে আবী আব্দুর রহমান বলেনঃ ভুলবশত হত্যার দিয়াতে কুড়িটি বিনতে মাখায, কুড়িটি বিনতে লবুন, কুড়িটি ইবনে কবুননের, কুড়িটি হক্কা এবং কুড়িটি জায’আ দেওয়া হইয়া থাকে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহা একটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত যে, নাবালেগদের হইতে কিসাস লওয়া হইবে না, যদিও সে স্বেচ্ছায় হত্যা করে। এই ধরনের হত্যা ভুলবশত হত্যার পর্যায়ে পড়িবে। বালেগ না হওয়া পর্যন্ত এই হুকুম অর্থাৎ তাহার উপর শাস্তি বর্তাইবে না তাহার বলেগ হওয়া পর্যন্ত।
এইজন্যই যদি কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে কাহাকেও হত্যা করে, তবে ইহা ভুলক্রমে হত্যা হইয়াছে মনে করিতে হইবে। যদি নাবালেগ ও বালেগ মিলিতভাবে কাহাকেও হত্যা করে, প্রত্যেকের জন্য অর্ধেক দিয়াত নির্ধারিত হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ভুলক্রমে নিহত হয় তাহার দিয়াত তাহার ও তাহার মালের পরিমাণে হইবে, যাহা দ্বারা তাহার ফরয আদায় করা হইবে, তাহার ওসীয়ত আদায় করা হইবে যদি তাহার নিকট দিয়াতের সমান মাল থাকে আর দিয়াত ক্ষমা করিয়া দেওয়া হয় তবে তাহা বৈধ। যদি এত মাল না থাকে তবে ১/৩ -এর পরিমাণ ক্ষমা করিতে পারে। অবশিষ্ট যাহা থাকে উহা ওয়ারিসদের হক।
باب دِيَةِ الْخَطَإِ فِي الْقَتْلِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ وَسُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ رَجُلًا مِنْ بَنِي سَعْدِ بْنِ لَيْثٍ أَجْرَى فَرَسًا فَوَطِئَ عَلَى إِصْبَعِ رَجُلٍ مِنْ جُهَيْنَةَ فَنُزِيَ مِنْهَا فَمَاتَ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لِلَّذِي ادُّعِيَ عَلَيْهِمْ أَتَحْلِفُونَ بِاللَّهِ خَمْسِينَ يَمِينًا مَا مَاتَ مِنْهَا فَأَبَوْا وَتَحَرَّجُوا وَقَالَ لِلْآخَرِينَ أَتَحْلِفُونَ أَنْتُمْ فَأَبَوْا فَقَضَى عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ بِشَطْرِ الدِّيَةِ عَلَى السَّعْدِيِّينَ قَالَ مَالِك وَلَيْسَ الْعَمَلُ عَلَى هَذَا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ وَرَبِيعَةَ بْنَ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَانُوا يَقُولُونَ دِيَةُ الْخَطَإِ عِشْرُونَ بِنْتَ مَخَاضٍ وَعِشْرُونَ بِنْتَ لَبُونٍ وَعِشْرُونَ ابْنَ لَبُونٍ ذَكَرًا وَعِشْرُونَ حِقَّةً وَعِشْرُونَ جَذَعَةً
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا قَوَدَ بَيْنَ الصِّبْيَانِ وَإِنَّ عَمْدَهُمْ خَطَأٌ مَا لَمْ تَجِبْ عَلَيْهِمْ الْحُدُودُ وَيَبْلُغُوا الْحُلُمَ وَإِنَّ قَتْلَ الصَّبِيِّ لَا يَكُونُ إِلَّا خَطَأً وَذَلِكَ لَوْ أَنَّ صَبِيًّا وَكَبِيرًا قَتَلَا رَجُلًا حُرًّا خَطَأً كَانَ عَلَى عَاقِلَةِ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا نِصْفُ الدِّيَةِ قَالَ مَالِك وَمَنْ قُتِلَ خَطَأً فَإِنَّمَا عَقْلُهُ مَالٌ لَا قَوَدَ فِيهِ وَإِنَّمَا هُوَ كَغَيْرِهِ مِنْ مَالِهِ يُقْضَى بِهِ دَيْنُهُ وَتَجُوزُ فِيهِ وَصِيَّتُهُ فَإِنْ كَانَ لَهُ مَالٌ تَكُونُ الدِّيَةُ قَدْرَ ثُلُثِهِ ثُمَّ عَفَا عَنْ دِيَتِهِ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُ دِيَتِهِ جَازَ لَهُ مِنْ ذَلِكَ الثُّلُثُ إِذَا عَفَا عَنْهُ وَأَوْصَى بِهِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ وَرَبِيعَةَ بْنَ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَانُوا يَقُولُونَ دِيَةُ الْخَطَإِ عِشْرُونَ بِنْتَ مَخَاضٍ وَعِشْرُونَ بِنْتَ لَبُونٍ وَعِشْرُونَ ابْنَ لَبُونٍ ذَكَرًا وَعِشْرُونَ حِقَّةً وَعِشْرُونَ جَذَعَةً
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا قَوَدَ بَيْنَ الصِّبْيَانِ وَإِنَّ عَمْدَهُمْ خَطَأٌ مَا لَمْ تَجِبْ عَلَيْهِمْ الْحُدُودُ وَيَبْلُغُوا الْحُلُمَ وَإِنَّ قَتْلَ الصَّبِيِّ لَا يَكُونُ إِلَّا خَطَأً وَذَلِكَ لَوْ أَنَّ صَبِيًّا وَكَبِيرًا قَتَلَا رَجُلًا حُرًّا خَطَأً كَانَ عَلَى عَاقِلَةِ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا نِصْفُ الدِّيَةِ قَالَ مَالِك وَمَنْ قُتِلَ خَطَأً فَإِنَّمَا عَقْلُهُ مَالٌ لَا قَوَدَ فِيهِ وَإِنَّمَا هُوَ كَغَيْرِهِ مِنْ مَالِهِ يُقْضَى بِهِ دَيْنُهُ وَتَجُوزُ فِيهِ وَصِيَّتُهُ فَإِنْ كَانَ لَهُ مَالٌ تَكُونُ الدِّيَةُ قَدْرَ ثُلُثِهِ ثُمَّ عَفَا عَنْ دِيَتِهِ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُ دِيَتِهِ جَازَ لَهُ مِنْ ذَلِكَ الثُّلُثُ إِذَا عَفَا عَنْهُ وَأَوْصَى بِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: