আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৪১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৫৪৬
১. প্রস্তরাঘাত করা
রেওয়ায়ত ১. আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, ইহুদীদের একদল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া বলিল, তাহাদের একজন পুরুষ ও একজন স্ত্রীলোক ব্যভিচারে লিপ্ত হইয়াছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাদেরকে জিজ্ঞাসা করিলেন : রজম বা প্রস্তরাঘাতের ব্যাপারে তাওরাতে কি আদেশ রহিয়াছে? তাহারা বলিলঃ আমরা ব্যভিচারকারীকে লজ্জিত করি এবং বেত্ৰাঘাত করিয়া থাকি। আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম বলিলেন, তোমরা মিথ্যা বলিতেছ। তাওরাতে প্রস্তরাঘাতের শাস্তি রহিয়াছে। তাওরাত আনয়ন কর, উহা পড়িয়া দেখ। অতঃপর তাহারা তাওরাত খুলিল এক ব্যক্তি বেত্রাঘাতের উপর হাত রাখিয়া পূর্বাপর অবশিষ্ট আয়াত পড়িয়া শুনাইল। আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম তাহাকে বলিলঃ তোমার হাত উঠাও তো। সে তাহার হাত উঠাইলে দেখা গেল উহাতে প্রস্তরাঘাতের আয়াত রহিয়াছে। অতঃপর সকল ইহুদীই স্বীকার করিল যে, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম ঠিকই বলিয়াছে তাওরাতে প্রস্তাঘাতের আয়াত বিদ্যমান রহিয়াছে। রসূলুল্লাহ (ﷺ) উভয়কে প্রস্তরাঘাতের আদেশ করিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আদেশে উভয়কে প্রস্তরাঘাত করা হইল। আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি দেখিলাম, পুরুষটি ঐ নারীকে আঘাত হইতে রক্ষা করিতে তাহার উপর ঝুঁকিয়া পড়িতেছিল।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উহার উপর ঝুঁকিয়া পড়িতেছিল অর্থ পুরুষ নিজে প্রস্তরাঘাত সহ্য করিয়াও ঐ নারীকে প্রস্তরাঘাত হইতে রক্ষা করিতে যাইয়া তাহার উপর উপুড় হইয়া পড়িয়ছিল।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উহার উপর ঝুঁকিয়া পড়িতেছিল অর্থ পুরুষ নিজে প্রস্তরাঘাত সহ্য করিয়াও ঐ নারীকে প্রস্তরাঘাত হইতে রক্ষা করিতে যাইয়া তাহার উপর উপুড় হইয়া পড়িয়ছিল।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ جَاءَتْ الْيَهُودُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرُوا لَهُ أَنَّ رَجُلًا مِنْهُمْ وَامْرَأَةً زَنَيَا فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا تَجِدُونَ فِي التَّوْرَاةِ فِي شَأْنِ الرَّجْمِ فَقَالُوا نَفْضَحُهُمْ وَيُجْلَدُونَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ كَذَبْتُمْ إِنَّ فِيهَا الرَّجْمَ فَأَتَوْا بِالتَّوْرَاةِ فَنَشَرُوهَا فَوَضَعَ أَحَدُهُمْ يَدَهُ عَلَى آيَةِ الرَّجْمِ ثُمَّ قَرَأَ مَا قَبْلَهَا وَمَا بَعْدَهَا فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ ارْفَعْ يَدَكَ فَرَفَعَ يَدَهُ فَإِذَا فِيهَا آيَةُ الرَّجْمِ فَقَالُوا صَدَقَ يَا مُحَمَّدُ فِيهَا آيَةُ الرَّجْمِ فَأَمَرَ بِهِمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرُجِمَا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَرَأَيْتُ الرَّجُلَ يَحْنِي عَلَى الْمَرْأَةِ يَقِيهَا الْحِجَارَةَ قَالَ مَالِك يَعْنِي يَحْنِي يُكِبُّ عَلَيْهَا حَتَّى تَقَعَ الْحِجَارَةُ عَلَيْهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৪৭
১. প্রস্তরাঘাত করা
রেওয়ায়ত ২. সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) বলেন, আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তি আবু বকর (রাযিঃ)-এর নিকট আসিয়া বলিল, এই অধম ব্যক্তি* ব্যভিচারে লিপ্ত হইয়াছে। আবু বকর (রাযিঃ) তাহাকে বলিলেন, আমাকে ব্যতীত অন্য কাহারও নিকট ইহা প্রকাশ কর নাই তো? সে ব্যক্তি বলিলঃ না। তিনি বলিলেনঃ আল্লাহর নিকট তওবা কর আর আল্লাহর পর্দার আড়ালে লুকাইয়া থাক। কেননা আল্লাহ তাআলা স্বীয় বান্দাদের তওবা গ্রহণ করিয়া থাকেন।
কিন্তু ইহাতে তাহার প্রবোধ হইল না। সে অতঃপর উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হইল এবং আবু বকর (রাযিঃ)-এর নিকট যেরূপ বর্ণনা করিয়াছিল তদ্রূপ বর্ণনা করিল। উমরও তাহাকে ঐরপই বলিলেন, যেরূপ আবু বকর (রাযিঃ) বলিয়াছিলেন। ইহাতেও তাহার মনে প্রবোধ মানিল না। অগত্যা সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া বলিলঃ এই হতভাগা ব্যভিচারে লিপ্ত হইয়াছে। সাঈদ বলেনঃ ইহা শ্রবণে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহা হইতে মুখ ফিরাইয়া লইলেন। সে ব্যক্তি তাহার নিকট তিনবার এইরূপ বলিল। তিনবারই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহা হইতে মুখ ফিরাইয়া লইলেন। অতঃপর যখন সে বলিতেই থাকিল তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহার পরিবারের নিকট লোক পাঠাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন : এ ব্যক্তি কি রোগাক্রান্ত? এ ব্যক্তি উন্মাদ তো হইয়া যায় নাই? তাহারা বলিলেনঃ এই ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ রহিয়াছে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করিলেন, তাহার বিবাহ হইয়াছে কি? রাবী বলেন, উপস্থিত লোকগণ বলিলঃ তাহার বিবাহ হইয়াছে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। অতঃপর তাহার সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রস্তরাঘাতের আদেশ করিলে তাহাকে প্রস্তরাঘাত করা হইল।
কিন্তু ইহাতে তাহার প্রবোধ হইল না। সে অতঃপর উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হইল এবং আবু বকর (রাযিঃ)-এর নিকট যেরূপ বর্ণনা করিয়াছিল তদ্রূপ বর্ণনা করিল। উমরও তাহাকে ঐরপই বলিলেন, যেরূপ আবু বকর (রাযিঃ) বলিয়াছিলেন। ইহাতেও তাহার মনে প্রবোধ মানিল না। অগত্যা সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া বলিলঃ এই হতভাগা ব্যভিচারে লিপ্ত হইয়াছে। সাঈদ বলেনঃ ইহা শ্রবণে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহা হইতে মুখ ফিরাইয়া লইলেন। সে ব্যক্তি তাহার নিকট তিনবার এইরূপ বলিল। তিনবারই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহা হইতে মুখ ফিরাইয়া লইলেন। অতঃপর যখন সে বলিতেই থাকিল তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহার পরিবারের নিকট লোক পাঠাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন : এ ব্যক্তি কি রোগাক্রান্ত? এ ব্যক্তি উন্মাদ তো হইয়া যায় নাই? তাহারা বলিলেনঃ এই ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ রহিয়াছে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করিলেন, তাহার বিবাহ হইয়াছে কি? রাবী বলেন, উপস্থিত লোকগণ বলিলঃ তাহার বিবাহ হইয়াছে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। অতঃপর তাহার সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রস্তরাঘাতের আদেশ করিলে তাহাকে প্রস্তরাঘাত করা হইল।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَسْلَمَ جَاءَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ فَقَالَ لَهُ إِنَّ الْأَخِرَ زَنَى فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ هَلْ ذَكَرْتَ هَذَا لِأَحَدٍ غَيْرِي فَقَالَ لَا فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ فَتُبْ إِلَى اللَّهِ وَاسْتَتِرْ بِسِتْرِ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهِ فَلَمْ تُقْرِرْهُ نَفْسُهُ حَتَّى أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ مَا قَالَ لِأَبِي بَكْرٍ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ مِثْلَ مَا قَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ فَلَمْ تُقْرِرْهُ نَفْسُهُ حَتَّى جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُ إِنَّ الْأَخِرَ زَنَى فَقَالَ سَعِيدٌ فَأَعْرَضَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ كُلُّ ذَلِكَ يُعْرِضُ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا أَكْثَرَ عَلَيْهِ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَهْلِهِ فَقَالَ أَيَشْتَكِي أَمْ بِهِ جِنَّةٌ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ إِنَّهُ لَصَحِيحٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبِكْرٌ أَمْ ثَيِّبٌ فَقَالُوا بَلْ ثَيِّبٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرُجِمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৫৪৮
১. প্রস্তরাঘাত করা
রেওয়ায়ত ৩. সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তিকে যাহার নাম হাযযাল ছিল, বলিলেন, “হে হাযযাল, যদি তুমি ঐ খবরটি (মাইয়ের ব্যভিচারের খবর) গোপন রাখিতে তাহা হইলে উহা তোমার জন্য ভালই হইত।”
ইয়াহইয়া ইবনে সায়ীদ (রাহঃ) বলেনঃ আমি এক সময় এক সভাস্থলে এই ঘটনা বর্ণনা করিলাম। তথায় ইয়াযীদ ইবনে নুয়াইম ইবনে হাযযালও উপস্থিত ছিল। তখন ইয়াযীদ বলিলঃ হাযযাল আমার পিতামহ ছিলেন। এই হাদীস সত্য।
ইয়াহইয়া ইবনে সায়ীদ (রাহঃ) বলেনঃ আমি এক সময় এক সভাস্থলে এই ঘটনা বর্ণনা করিলাম। তথায় ইয়াযীদ ইবনে নুয়াইম ইবনে হাযযালও উপস্থিত ছিল। তখন ইয়াযীদ বলিলঃ হাযযাল আমার পিতামহ ছিলেন। এই হাদীস সত্য।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِرَجُلٍ مِنْ أَسْلَمَ يُقَالُ لَهُ هَزَّالٌ يَا هَزَّالُ لَوْ سَتَرْتَهُ بِرِدَائِكَ لَكَانَ خَيْرًا لَكَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ فَحَدَّثْتُ بِهَذَا الْحَدِيثِ فِي مَجْلِسٍ فِيهِ يَزِيدُ بْنُ نُعَيْمِ بْنِ هَزَّالٍ الْأَسْلَمِيِّ فَقَالَ يَزِيدُ هَزَّالٌ جَدِّي وَهَذَا الْحَدِيثُ حَقٌّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৫৪৯
১. প্রস্তরাঘাত করা
রেওয়ায়ত ৪. ইবনে শিহাব যুহরী (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সময়ে এক ব্যক্তি নিজে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার কথা চারিবার স্বীকার করিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আদেশে তাহাকে প্রস্তরাঘাত করা হইল।
ইবনে শিহাব বলেনঃ এজন্যই কোন ব্যক্তি নিজ অপরাধ করিলে উহা দ্বারা তাহার শাস্তি হইয়া থাকে।
ইবনে শিহাব বলেনঃ এজন্যই কোন ব্যক্তি নিজ অপরাধ করিলে উহা দ্বারা তাহার শাস্তি হইয়া থাকে।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَجُلًا اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَشَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرُجِمَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَمِنْ أَجْلِ ذَلِكَ يُؤْخَذُ الرَّجُلُ بِاعْتِرَافِهِ عَلَى نَفْسِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৫৫০
১. প্রস্তরাঘাত করা
রেওয়ায়ত ৫. আব্দুল্লাহ ইবনে আবী মুলাইকা (রাহঃ) বলেনঃ এক স্ত্রীলোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খেদমতে উপস্থিত হইয়া ব্যভিচারের কথা স্বীকার করিল। সে মহিলা তখন অন্তঃসত্ত্বা ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহাকে বলিলেনঃ তোমার সন্তান প্রসবের পর আসিও। অতঃপর ঐ স্ত্রীলোকটি প্রসবের পর আসিল। এবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাকে বলিলেনঃ এখন যাও, সন্তানের দুধ ছাড়া হলে আসিও। সন্তানের দুধ ছাড়ানোর পর ঐ মহিলাটি আবার আসিল। এবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাকে বলিলেন, যাও, এই সন্তানকে কাহারও তত্ত্বাবধানে রাখিয়া আস। সে তাহাকে কাহারও তত্ত্বাবধানে রাখিয়া আসিল। অতঃপর তাহার আদেশে তাহাকে প্রস্তরাঘাত করা হইল।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ زَيْدِ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ أَبِيهِ زَيْدِ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ امْرَأَةً جَاءَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا زَنَتْ وَهِيَ حَامِلٌ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اذْهَبِي حَتَّى تَضَعِي فَلَمَّا وَضَعَتْ جَاءَتْهُ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اذْهَبِي حَتَّى تُرْضِعِيهِ فَلَمَّا أَرْضَعَتْهُ جَاءَتْهُ فَقَالَ اذْهَبِي فَاسْتَوْدِعِيهِ قَالَ فَاسْتَوْدَعَتْهُ ثُمَّ جَاءَتْ فَأَمَرَ بِهَا فَرُجِمَتْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৫৫১
১. প্রস্তরাঘাত করা
রেওয়ায়ত ৬. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ও খালিদ জুহানী (রাযিঃ) বলেনঃ দুই ব্যক্তির মধ্যে ঝগড়া হইয়া তাহারা উভয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হইল। তাহাদের একজন বলিলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ আল্লাহর কিতাবের আইন অনুসারে আমাদের মীমাংসা করিয়া দিন। দ্বিতীয় ব্যক্তি খুব চতুর ছিল, বলিতে লাগিল : ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আল্লাহর কিতাব অনুসারে মীমাংসা করুন এবং আমাকে কথা বলিতে দিন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ তুমি কি বলিতে চাও বল। সে বলিলঃ আমার ছেলে এই ব্যক্তির এখানে চাকর ছিল। সে এ ব্যক্তির স্ত্রীর সহিত ব্যভিচার করিয়াছে। অনেকে বলিলঃ তোমার ছেলেকে প্রস্তরাঘাত করা হইবে। আমি তাহার পক্ষ হইতে একশত বকরী এবং একটি দাসী ক্ষতিপূরণ হিসাবে দান করিলাম। অতঃপর আমি আলিমদের নিকট জিজ্ঞাসা করিলাম। তাহারা বলিলেনঃ তোমার ছেলেকে একশত বেত্ৰাঘাত করা হইবে এবং এ বৎসরের জন্য নির্বাসন দেওয়া হইবে। আর তাহার স্ত্রীকে প্রস্তরাঘাত করা হইবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ আল্লাহর কিতাব অনুসারেই আমি তোমাদের ফয়সালা করিব। তোমার বকরী ও দাসী তুমি ফেরত লইয়া যাও। ইহা তোমার মাল। অতঃপর তাহার ছেলেকে একশত বেত্ৰাঘাত লাগান হইল আর এক বৎসরের জন্য দেশ ত্যাগের আদেশ দিলেন এবং আনীস আসলামীকে দ্বিতীয় ব্যক্তির স্ত্রীকে হাযির করিতে নির্দেশ দেওয়া হইল। সেই স্ত্রীলোক অপরাধ স্বীকার করিলে তাহাকে প্রস্তারাঘাত করিতে বলা হইল। স্ত্রীলোকটি অপরাধ স্বীকার করায় তাহাকে প্রস্তরাঘাত করা হইল।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উক্ত হাদীসে যে আসীফ’ (العسيف) শব্দ রহিয়াছে, উহার অর্থ ভৃত্য।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ উক্ত হাদীসে যে আসীফ’ (العسيف) শব্দ রহিয়াছে, উহার অর্থ ভৃত্য।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ أَنَّهُمَا أَخْبَرَاهُ أَنَّ رَجُلَيْنِ اخْتَصَمَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَحَدُهُمَا يَا رَسُولَ اللَّهِ اقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ وَقَالَ الْآخَرُ وَهُوَ أَفْقَهُهُمَا أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَاقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ وَأْذَنْ لِي فِي أَنْ أَتَكَلَّمَ قَالَ تَكَلَّمْ فَقَالَ إِنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى هَذَا فَزَنَى بِامْرَأَتِهِ فَأَخْبَرَنِي أَنَّ عَلَى ابْنِي الرَّجْمَ فَافْتَدَيْتُ مِنْهُ بِمِائَةِ شَاةٍ وَبِجَارِيَةٍ لِي ثُمَّ إِنِّي سَأَلْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ فَأَخْبَرُونِي أَنَّ مَا عَلَى ابْنِي جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ وَأَخْبَرُونِي أَنَّمَا الرَّجْمُ عَلَى امْرَأَتِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللَّهِ أَمَّا غَنَمُكَ وَجَارِيَتُكَ فَرَدٌّ عَلَيْكَ وَجَلَدَ ابْنَهُ مِائَةً وَغَرَّبَهُ عَامًا وَأَمَرَ أُنَيْسًا الْأَسْلَمِيَّ أَنْ يَأْتِيَ امْرَأَةَ الْآخَرِ فَإِنْ اعْتَرَفَتْ رَجَمَهَا فَاعْتَرَفَتْ فَرَجَمَهَا قَالَ مَالِك وَالْعَسِيفُ الْأَجِيرُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৫২
১. প্রস্তরাঘাত করা
রেওয়ায়ত ৭. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত আছে, সা’দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলিলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আমি আমার স্ত্রীর নিকট কোন ব্যক্তিকে পাই, তবে কি চারজন সাক্ষী আনা পর্যন্ত তাহাকে সময় দিব? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ হ্যাঁ।
সা’দ বলিলেনঃ আমি ঐ আল্লাহর শপথ করিয়া বলিতেছি, যিনি আপনাকে নবী করিয়া পাঠাইয়াছেন, আমি তো তাহাকে দেখামাত্র তলোয়ার দ্বারা দ্বিখণ্ডিত করিয়া ফেলিব। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ হে আনসারগণ, তোমাদের নেতা কি বলিতেছে শোন, সে তাহাকে বড় আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মনে করে। আমি তো তাহা অপেক্ষা আত্মমর্যাদাসম্পন্ন আর আল্লাহ তাআলা আমা অপেক্ষা অধিক আত্মমর্যাদাসম্পন্ন।
সা’দ বলিলেনঃ আমি ঐ আল্লাহর শপথ করিয়া বলিতেছি, যিনি আপনাকে নবী করিয়া পাঠাইয়াছেন, আমি তো তাহাকে দেখামাত্র তলোয়ার দ্বারা দ্বিখণ্ডিত করিয়া ফেলিব। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ হে আনসারগণ, তোমাদের নেতা কি বলিতেছে শোন, সে তাহাকে বড় আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মনে করে। আমি তো তাহা অপেক্ষা আত্মমর্যাদাসম্পন্ন আর আল্লাহ তাআলা আমা অপেক্ষা অধিক আত্মমর্যাদাসম্পন্ন।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَأَيْتَ لَوْ أَنِّي وَجَدْتُ مَعَ امْرَأَتِي رَجُلًا أَأُمْهِلُهُ حَتَّى آتِيَ بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاءَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৫৩
১. প্রস্তরাঘাত করা
রেওয়ায়ত ৮. আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, আল্লাহর কিতাবে প্রস্তরাঘাতের যে বিধান রহিয়াছে উহা বাস্তব সত্য। যে ব্যক্তি ব্যভিচারে লিপ্ত হয় সে পুরুষ হউক অথবা নারী যদি বিবাহিত হয় আর চারজন সাক্ষী পাওয়া যায় অথবা তাহার পেটে বাচ্চা হয় বা স্বীকার করে, তবে প্রস্তরাঘাত করা হইবে।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ الرَّجْمُ فِي كِتَابِ اللَّهِ حَقٌّ عَلَى مَنْ زَنَى مِنْ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ إِذَا أُحْصِنَ إِذَا قَامَتْ الْبَيِّنَةُ أَوْ كَانَ الْحَبَلُ أَوْ الْاعْتِرَافُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৫৪
১. প্রস্তরাঘাত করা
রেওয়ায়ত ৯. আবু ওয়াকিদ লাইসী (রাহঃ) বর্ণনা করেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) যখন সিরিয়ায় ছিলেন এক ব্যক্তি তাহাকে বলিলঃ আমি আমার স্ত্রীর নিকট এক ব্যক্তিকে পাইলাম। উমর (রাযিঃ) আবু ওয়াকিদ লাইসীকে ঐ স্ত্রীলোকটির নিকট জিজ্ঞাসা করিতে পাঠাইলেন। আবু ওয়াকিদ তাহার নিকট যাইয়া দেখিলেন আরও কয়েকজন নারী বসিয়া আছে। আবু ওয়াকিদ স্ত্রীলোকটির নিকট তাহার স্বামী উমর (রাযিঃ)-এর নিকট যাহা বর্ণনা করিয়াছে তাহা বলিলেন। তিনি ইহাও বলিলেনঃ তোমার স্বামীর কথায় তোমাকে শাস্তি দেওয়া হইবে না, যদি না তুমি স্বীকার কর। অতঃপর আরও এই জাতীয় নানা কথা তাহাকে শিখাইতে লাগিলেন, যাহাতে সে স্বীকার না করে। কিন্তু সে ইহা মানিল না, বরং ব্যভিচারের কথা স্বীকার করিল। অতঃপর উমর (রাযিঃ)-এর আদেশে তাহাকে প্রস্তরাঘাত করা হইল।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَتَاهُ رَجُلٌ وَهُوَ بِالشَّامِ فَذَكَرَ لَهُ أَنَّهُ وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا فَبَعَثَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَبَا وَاقِدٍ اللَّيْثِيَّ إِلَى امْرَأَتِهِ يَسْأَلُهَا عَنْ ذَلِكَ فَأَتَاهَا وَعِنْدَهَا نِسْوَةٌ حَوْلَهَا فَذَكَرَ لَهَا الَّذِي قَالَ زَوْجُهَا لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَأَخْبَرَهَا أَنَّهَا لَا تُؤْخَذُ بِقَوْلِهِ وَجَعَلَ يُلَقِّنُهَا أَشْبَاهَ ذَلِكَ لِتَنْزِعَ فَأَبَتْ أَنْ تَنْزِعَ وَتَمَّتْ عَلَى الْاعْتِرَافِ فَأَمَرَ بِهَا عُمَرُ فَرُجِمَتْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৫৫৫
১. প্রস্তরাঘাত করা
রেওয়ায়ত ১০. সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব (রাহঃ) বর্ণনা করেন, উমর (রাযিঃ) যখন মিনা হইতে প্রত্যাবর্তন (২৩ হিজরী) করিলেন তখন তিনি (মক্কার অনতিদূরে) আবতাহ নাম স্থানে তাহার উট বসাইলেন। আর এদিকে কতকগুলি পাথর একত্র করিলেন। উহার উপর একখানা চাদর রাখিয়া চিৎ হইয়া শুইয়া পড়িলেন। অতঃপর আকাশের দিকে স্বীয় হস্তদ্বয় উত্তোলন করিয়া বলিতে লাগিলেনঃ হে আল্লাহ! আমার অনেক বয়স হইয়াছে। শক্তি রহিত হইয়া গিয়াছে, প্রজাবৃন্দ অনেক হইয়া গিয়াছে। এ সময় আপনি আমাকে আপনার সন্নিধানে ডাকিয়া লউন, যাহাতে আমা দ্বারা আপনার কোন আদেশ অমান্য না হইয়া যায় এবং আপনার ইবাদতে অনিচ্ছা প্রকাশ হইয়া পড়ে। অতঃপর তিনি মদীনা চলিয়া গেলেন, মদীনার লোকদের সম্মুখে খুতবা দিতে যাইয়া বলিলেনঃ হে উপস্থিত ভ্রাতৃবৃন্দ তোমাদের সম্মুখে সমস্ত পথই প্রকাশ হইয়া পড়িয়াছে; যত রকম ফরয কাজ ছিল সমস্তই নির্ধারিত হইয়া গিয়াছে। তোমরা পরিষ্কার সোজা পথে চালিত হইয়াছ। এখন তোমরা পথ ভুলিয়া যেন এদিক-ওদিক বিপথগামী না হইয়া যাও। তিনি তাহার এক হাত অন্য হাতের উপর রাখিয়া বলিলেনঃ দেখ, তোমরা প্রস্তরাঘাতের আয়াতটি ভুলিয়া যাইও না। কেহ যেন না বলে, আমরা আল্লাহর কিতাবে প্রস্তরাঘাতের আয়াত দেখিতেছি না। দেখ আল্লাহর রাসূল প্রস্তরাঘাত করিয়াছেন। ঐ আল্লাহর কসম, যাহার হাতে আমার প্রাণ রহিয়াছে, যদি মানুষ এ কথা না বলিত যে, উমর আল্লাহর কিতাবে অতিরিক্ত করিয়াছে তাহা হইলে আমি (الشَّيْخُ وَالشَّيْخَةُ فَارْجُمُوهُمَا الْبَتَّةَ) (অর্থাৎ যখন বিবাহিত পুরুষ অথবা নারী ব্যভিচার করে তবে তাহদেরকে প্রস্তরাঘাত কর) আয়াতটি কুরআনে লিখাইয়া দিতাম।
আমরা এই আয়াত পাঠ করিয়াছি। অতঃপর উহার তিলাওয়াত রহিত হইয়া গিয়াছে (কিন্তু ইহার হুকুম কিয়ামত পর্যন্ত থাকিবে)। সাঈদ বলেন, অতঃপর যিলহজ্জ মাস শেষ না হইতেই উমর (রাযিঃ) নিহত হইলেন।
আমরা এই আয়াত পাঠ করিয়াছি। অতঃপর উহার তিলাওয়াত রহিত হইয়া গিয়াছে (কিন্তু ইহার হুকুম কিয়ামত পর্যন্ত থাকিবে)। সাঈদ বলেন, অতঃপর যিলহজ্জ মাস শেষ না হইতেই উমর (রাযিঃ) নিহত হইলেন।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ لَمَّا صَدَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ مِنْ مِنًى أَنَاخَ بِالْأَبْطَحِ ثُمَّ كَوَّمَ كَوْمَةً بَطْحَاءَ ثُمَّ طَرَحَ عَلَيْهَا رِدَاءَهُ وَاسْتَلْقَى ثُمَّ مَدَّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ اللَّهُمَّ كَبِرَتْ سِنِّي وَضَعُفَتْ قُوَّتِي وَانْتَشَرَتْ رَعِيَّتِي فَاقْبِضْنِي إِلَيْكَ غَيْرَ مُضَيِّعٍ وَلَا مُفَرِّطٍ ثُمَّ قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَخَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ سُنَّتْ لَكُمْ السُّنَنُ وَفُرِضَتْ لَكُمْ الْفَرَائِضُ وَتُرِكْتُمْ عَلَى الْوَاضِحَةِ إِلَّا أَنْ تَضِلُّوا بِالنَّاسِ يَمِينًا وَشِمَالًا وَضَرَبَ بِإِحْدَى يَدَيْهِ عَلَى الْأُخْرَى ثُمَّ قَالَ إِيَّاكُمْ أَنْ تَهْلِكُوا عَنْ آيَةِ الرَّجْمِ أَنْ يَقُولَ قَائِلٌ لَا نَجِدُ حَدَّيْنِ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَقَدْ رَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَجَمْنَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْلَا أَنْ يَقُولَ النَّاسُ زَادَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي كِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى لَكَتَبْتُهَا الشَّيْخُ وَالشَّيْخَةُ فَارْجُمُوهُمَا أَلْبَتَّةَ فَإِنَّا قَدْ قَرَأْنَاهَا قَالَ مَالِك قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ فَمَا انْسَلَخَ ذُو الْحِجَّةِ حَتَّى قُتِلَ عُمَرُ رَحِمَهُ اللَّهُ قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ قَوْلُهُ الشَّيْخُ وَالشَّيْخَةُ يَعْنِي الثَّيِّبَ وَالثَّيِّبَةَ فَارْجُمُوهُمَا أَلْبَتَّةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৫৫৬
১. প্রস্তরাঘাত করা
রেওয়ায়ত ১১. মালিক (রাহঃ)-এর নিকট সংবাদ পৌছিয়াছে যে, উসমান (রাযিঃ)-এর নিকট একটি স্ত্রীলোককে আনা হইয়াছিল, ছয় মাসেই যাহার সন্তান প্রসব হইয়াছে। উসমান (রাযিঃ) তাহাকে প্রস্তরাঘাত করার আদেশ দিয়া দিলেন। আলী (রাযিঃ) তাহাকে বলিলেনঃ তাহার উপর প্রস্তরাঘাত করা যাইবে না। কেননা আল্লাহ তাআলা (وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلاَثُونَ شَهْرًا) “সন্তানের মাতৃগর্ভে অবস্থান এবং মাতৃস্তন ছাড়াইবার সময় ৩০ মাস।”
অন্য আয়াতে বলা হইয়াছেঃ “মা তাহার সন্তানকে পূর্ণ দুই বৎসর দুধ দান করিবে। (অতএব ৩০ মাস হইতে ২৪ মাস বাদ দিলে ৬ মাস থাকে) তাহা হইলে সন্তানের মাতৃউদরে অবস্থানকাল ৬ মাস হইল। অতএব তাহাকে প্রস্তরাঘাত করা যাইতে পারে না।
ইহা শুনিয়া উসমান (রাযিঃ) তাহার নিকট লোক পাঠাইয়া দিলেন। তাহারা যাইয়া দেখিল, ততক্ষণে তাহাকে প্রস্তরাঘাত করা হইয়াছে।
আলী (রাযিঃ)-এর এই ইজতিহাদ দ্বারা সন্তানের মাতৃউদরে অবস্থান সর্বদা ছয় মাস অনিবার্য হইয়া পড়ে, অথচ তাহা হইল সর্বনিম্ন সময়, বরং এই আয়াতের উদ্দেশ্য এই যে, পৌনে দুই বৎসর স্তন দানের এবং নয় মাস উদরে অবস্থানের সময় যে উহা পূর্ণ করিতে চায়। কেননা স্তন দান দুই বৎসরের অতিরিক্ত হওয়া প্রমাণিত নহে।
মালিক (রাহঃ) ইবনে শিহাবকে জিজ্ঞাসা করিলেন, পুং মৈথুন করিলে তাহার শাস্তি কি? তিনি বলিলেন, তাহাকেও প্রস্তরাঘাত করিতে হইবে, সে বিবাহিত হউক বা অবিবাহিত।*
অন্য আয়াতে বলা হইয়াছেঃ “মা তাহার সন্তানকে পূর্ণ দুই বৎসর দুধ দান করিবে। (অতএব ৩০ মাস হইতে ২৪ মাস বাদ দিলে ৬ মাস থাকে) তাহা হইলে সন্তানের মাতৃউদরে অবস্থানকাল ৬ মাস হইল। অতএব তাহাকে প্রস্তরাঘাত করা যাইতে পারে না।
ইহা শুনিয়া উসমান (রাযিঃ) তাহার নিকট লোক পাঠাইয়া দিলেন। তাহারা যাইয়া দেখিল, ততক্ষণে তাহাকে প্রস্তরাঘাত করা হইয়াছে।
আলী (রাযিঃ)-এর এই ইজতিহাদ দ্বারা সন্তানের মাতৃউদরে অবস্থান সর্বদা ছয় মাস অনিবার্য হইয়া পড়ে, অথচ তাহা হইল সর্বনিম্ন সময়, বরং এই আয়াতের উদ্দেশ্য এই যে, পৌনে দুই বৎসর স্তন দানের এবং নয় মাস উদরে অবস্থানের সময় যে উহা পূর্ণ করিতে চায়। কেননা স্তন দান দুই বৎসরের অতিরিক্ত হওয়া প্রমাণিত নহে।
মালিক (রাহঃ) ইবনে শিহাবকে জিজ্ঞাসা করিলেন, পুং মৈথুন করিলে তাহার শাস্তি কি? তিনি বলিলেন, তাহাকেও প্রস্তরাঘাত করিতে হইবে, সে বিবাহিত হউক বা অবিবাহিত।*
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجْمِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ أُتِيَ بِامْرَأَةٍ قَدْ وَلَدَتْ فِي سِتَّةِ أَشْهُرٍ فَأَمَرَ بِهَا أَنْ تُرْجَمَ فَقَالَ لَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ لَيْسَ ذَلِكَ عَلَيْهَا إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَقُولُ فِي كِتَابِهِ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا وَقَالَ وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ فَالْحَمْلُ يَكُونُ سِتَّةَ أَشْهُرٍ فَلَا رَجْمَ عَلَيْهَا فَبَعَثَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فِي أَثَرِهَا فَوَجَدَهَا قَدْ رُجِمَتْ
حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ عَنْ الَّذِي يَعْمَلُ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ فَقَالَ ابْنُ شِهَابٍ عَلَيْهِ الرَّجْمُ أَحْصَنَ أَوْ لَمْ يُحْصِنْ
حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ عَنْ الَّذِي يَعْمَلُ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ فَقَالَ ابْنُ شِهَابٍ عَلَيْهِ الرَّجْمُ أَحْصَنَ أَوْ لَمْ يُحْصِنْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: