আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৩৯. মুকাতাবা-গোলামের আযাদীর জন্য অর্থ প্রদানের চুক্তি - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৫৩১
৭. মুকাতাবের আযাদী প্রসঙ্গ — যদি সে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করে
রেওয়ায়ত ৯. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তিনি রবী’আ ইবনে আবি ’আব্দির রহমান এবং আরও কিছু আলিমকে বলিতে শুনিয়াছেন, ফারাফিসা (فرافصة) ইবনে উমাইর আল হানাফী (রাহঃ)-এর একজন মুকাতাব ছিল। সে “বদলে কিতাবাতের” সম্পূর্ণ অর্থ যাহা তাহার জিম্মায় রহিয়াছে, তাহা এক সঙ্গে তাহার নিকট পেশ করিল। ফারাফিসা উহা গ্রহণ করিতে অস্বীকার করিল। মুকাতাব আমীরে মদীনা মারওয়ান ইবনে হাকামের নিকট উপস্থিত হইল এবং বিষয়টি তাহাকে জানাইল। মারওয়ান ফারাফিসা ইবনে উমাইরকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। তিনি উপস্থিত হইলে তাহাকে উহা গ্রহণ করার কথা বলিলেন, কিন্তু ফারাফিসা অস্বীকার করিল, মারওয়ান সেই মাল মুকাতাব হইতে গ্রহণ করিয়া বায়তুলমালে রাখার নির্দেশ দিলেন; এবং (সাথে সাথে) মুকাতাবকে বলিয়া দিলেন: যাও, তুমি আযাদ হইয়া গিয়াছ। ফারাফিসা ইহা লক্ষ্য করিয়া মাল (নিজে) গ্রহণ করিল।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহার মীমাংসা এই — মুকাতাব যদি তাহার জিম্মার সব কিস্তি উহার (নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে) আদায় করিয়া দেয় ইহা তাহার জন্য জায়েয হইবে, তাহার কর্তার পক্ষে ইহা অস্বীকার করিবার অধিকার নাই। ইহা এইজন্য যে, কর্তা ইহার দ্বারা মুকাতাবকে সর্বপ্রকার শর্ত অথবা খেদমত অথবা সফর হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতেছে। কারণ সামান্য দাসত্ব বহাল থাকিলেও কোন ব্যক্তির আযাদী পূর্ণ হয় না এবং (এমতাবস্থায়) উহার ব্যক্তিমর্যাদা পূর্ণতা লাভ করে না, আর উহার সাক্ষ্যও বৈধ হয় না, উহার জন্য মীরাস ওয়াজিব হয় না এবং এই জাতীয় আরও অন্যান্য আহকাম যাহা মুকাতাব সম্পর্কে রহিয়াছে। পক্ষান্তরে (ইহার পর) মুকাতাবের কর্তা কর্তৃক মুকাতাবের উপর কোন শর্ত আরোপ করা এবং আযাদীর পর কোন খেদমত গ্রহণ করা সঙ্গত নহে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে মুকাতাব গুরুতর অসুস্থ হইয়াছে সে তাহার যাবতীয় কিস্তি একত্রে কর্তাকে দিবার ইচ্ছা করিল, যেন তাহার আযাদ উত্তরাধিকারিগণ তাহার মীরাস লাভ করে এবং তাহার কোন সন্তান কিতাবাতে তাহার সঙ্গে শামিল নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহা তাহার জন্য জায়েয হইবে। কেননা ইহার দ্বারা তাহার ব্যক্তিমর্যাদা পূর্ণত্ব লাভ করিবে এবং তাহার সাক্ষ্য জায়েয হইবে, আর তাহার উপর লোকের যে সকল ঋণ রহিয়াছে সেই সকল ঋণের স্বীকারোক্তি করাও জায়েয হইবে এবং তাহার পক্ষে ওসীয়ত করাও জায়েয হইবে তাহার কর্তার পক্ষে ইহা অস্বীকার করার অধিকার নাই “যেমন সে ইহা বলে যে, তাহার মাল বাচাইবার প্রচেষ্টা করিয়াছে।”
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহার মীমাংসা এই — মুকাতাব যদি তাহার জিম্মার সব কিস্তি উহার (নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে) আদায় করিয়া দেয় ইহা তাহার জন্য জায়েয হইবে, তাহার কর্তার পক্ষে ইহা অস্বীকার করিবার অধিকার নাই। ইহা এইজন্য যে, কর্তা ইহার দ্বারা মুকাতাবকে সর্বপ্রকার শর্ত অথবা খেদমত অথবা সফর হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতেছে। কারণ সামান্য দাসত্ব বহাল থাকিলেও কোন ব্যক্তির আযাদী পূর্ণ হয় না এবং (এমতাবস্থায়) উহার ব্যক্তিমর্যাদা পূর্ণতা লাভ করে না, আর উহার সাক্ষ্যও বৈধ হয় না, উহার জন্য মীরাস ওয়াজিব হয় না এবং এই জাতীয় আরও অন্যান্য আহকাম যাহা মুকাতাব সম্পর্কে রহিয়াছে। পক্ষান্তরে (ইহার পর) মুকাতাবের কর্তা কর্তৃক মুকাতাবের উপর কোন শর্ত আরোপ করা এবং আযাদীর পর কোন খেদমত গ্রহণ করা সঙ্গত নহে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে মুকাতাব গুরুতর অসুস্থ হইয়াছে সে তাহার যাবতীয় কিস্তি একত্রে কর্তাকে দিবার ইচ্ছা করিল, যেন তাহার আযাদ উত্তরাধিকারিগণ তাহার মীরাস লাভ করে এবং তাহার কোন সন্তান কিতাবাতে তাহার সঙ্গে শামিল নাই।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ইহা তাহার জন্য জায়েয হইবে। কেননা ইহার দ্বারা তাহার ব্যক্তিমর্যাদা পূর্ণত্ব লাভ করিবে এবং তাহার সাক্ষ্য জায়েয হইবে, আর তাহার উপর লোকের যে সকল ঋণ রহিয়াছে সেই সকল ঋণের স্বীকারোক্তি করাও জায়েয হইবে এবং তাহার পক্ষে ওসীয়ত করাও জায়েয হইবে তাহার কর্তার পক্ষে ইহা অস্বীকার করার অধিকার নাই “যেমন সে ইহা বলে যে, তাহার মাল বাচাইবার প্রচেষ্টা করিয়াছে।”
باب عِتْقِ الْمُكَاتَبِ إِذَا أَدَّى مَا عَلَيْهِ قَبْلَ مَحِلِّهِ
حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ رَبِيعَةَ بْنَ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَغَيْرَهُ يَذْكُرُونَ أَنَّ مُكَاتَبًا كَانَ لِلْفُرَافِصَةِ بْنِ عُمَيْرٍ الْحَنَفِيِّ وَأَنَّهُ عَرَضَ عَلَيْهِ أَنْ يَدْفَعَ إِلَيْهِ جَمِيعَ مَا عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ فَأَبَى الْفُرَافِصَةُ فَأَتَى الْمُكَاتَبُ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَدَعَا مَرْوَانُ الْفُرَافِصَةَ فَقَالَ لَهُ ذَلِكَ فَأَبَى فَأَمَرَ مَرْوَانُ بِذَلِكَ الْمَالِ أَنْ يُقْبَضَ مِنْ الْمُكَاتَبِ فَيُوضَعَ فِي بَيْتِ الْمَالِ وَقَالَ لِلْمُكَاتَبِ اذْهَبْ فَقَدْ يُقْرَآنِ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ الْفُرَافِصَةُ قَبَضَ الْمَالَ
قَالَ مَالِك فَالْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ الْمُكَاتَبَ إِذَا أَدَّى جَمِيعَ مَا عَلَيْهِ مِنْ نُجُومِهِ قَبْلَ مَحِلِّهَا جَازَ ذَلِكَ لَهُ وَلَمْ يَكُنْ لِسَيِّدِهِ أَنْ يَأْبَى ذَلِكَ عَلَيْهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ يَضَعُ عَنْ الْمُكَاتَبِ بِذَلِكَ كُلَّ شَرْطٍ أَوْ خِدْمَةٍ أَوْ سَفَرٍ لِأَنَّهُ لَا تَتِمُّ عَتَاقَةُ رَجُلٍ وَعَلَيْهِ بَقِيَّةٌ مِنْ رِقٍّ وَلَا تَتِمُّ حُرْمَتُهُ وَلَا تَجُوزُ شَهَادَتُهُ وَلَا يَجِبُ مِيرَاثُهُ وَلَا أَشْبَاهُ هَذَا مِنْ أَمْرِهِ وَلَا يَنْبَغِي لِسَيِّدِهِ أَنْ يَشْتَرِطَ عَلَيْهِ خِدْمَةً بَعْدَ عَتَاقَتِهِ قَالَ مَالِك فِي مُكَاتَبٍ مَرِضَ مَرَضًا شَدِيدًا فَأَرَادَ أَنْ يَدْفَعَ نُجُومَهُ كُلَّهَا إِلَى سَيِّدِهِ لِأَنْ يَرِثَهُ وَرَثَةٌ لَهُ أَحْرَارٌ وَلَيْسَ مَعَهُ فِي كِتَابَتِهِ وَلَدٌ لَهُ قَالَ مَالِك ذَلِكَ جَائِزٌ لَهُ لِأَنَّهُ تَتِمُّ بِذَلِكَ حُرْمَتُهُ وَتَجُوزُ شَهَادَتُهُ وَيَجُوزُ اعْتِرَافُهُ بِمَا عَلَيْهِ مِنْ دُيُونِ النَّاسِ وَتَجُوزُ وَصِيَّتُهُ وَلَيْسَ لِسَيِّدِهِ أَنْ يَأْبَى ذَلِكَ عَلَيْهِ بِأَنْ يَقُولَ فَرَّ مِنِّي بِمَالِهِ
قَالَ مَالِك فَالْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ الْمُكَاتَبَ إِذَا أَدَّى جَمِيعَ مَا عَلَيْهِ مِنْ نُجُومِهِ قَبْلَ مَحِلِّهَا جَازَ ذَلِكَ لَهُ وَلَمْ يَكُنْ لِسَيِّدِهِ أَنْ يَأْبَى ذَلِكَ عَلَيْهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ يَضَعُ عَنْ الْمُكَاتَبِ بِذَلِكَ كُلَّ شَرْطٍ أَوْ خِدْمَةٍ أَوْ سَفَرٍ لِأَنَّهُ لَا تَتِمُّ عَتَاقَةُ رَجُلٍ وَعَلَيْهِ بَقِيَّةٌ مِنْ رِقٍّ وَلَا تَتِمُّ حُرْمَتُهُ وَلَا تَجُوزُ شَهَادَتُهُ وَلَا يَجِبُ مِيرَاثُهُ وَلَا أَشْبَاهُ هَذَا مِنْ أَمْرِهِ وَلَا يَنْبَغِي لِسَيِّدِهِ أَنْ يَشْتَرِطَ عَلَيْهِ خِدْمَةً بَعْدَ عَتَاقَتِهِ قَالَ مَالِك فِي مُكَاتَبٍ مَرِضَ مَرَضًا شَدِيدًا فَأَرَادَ أَنْ يَدْفَعَ نُجُومَهُ كُلَّهَا إِلَى سَيِّدِهِ لِأَنْ يَرِثَهُ وَرَثَةٌ لَهُ أَحْرَارٌ وَلَيْسَ مَعَهُ فِي كِتَابَتِهِ وَلَدٌ لَهُ قَالَ مَالِك ذَلِكَ جَائِزٌ لَهُ لِأَنَّهُ تَتِمُّ بِذَلِكَ حُرْمَتُهُ وَتَجُوزُ شَهَادَتُهُ وَيَجُوزُ اعْتِرَافُهُ بِمَا عَلَيْهِ مِنْ دُيُونِ النَّاسِ وَتَجُوزُ وَصِيَّتُهُ وَلَيْسَ لِسَيِّدِهِ أَنْ يَأْبَى ذَلِكَ عَلَيْهِ بِأَنْ يَقُولَ فَرَّ مِنِّي بِمَالِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: