আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩৮. আযাদ করা এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৪৯৮
১. যে ব্যক্তি গোলাম বা বাঁদীর মধ্যে তাহার নির্ধারিত অংশকে আযাদ করে তাহার মাসআলা
রেওয়ায়ত ১. আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি গোলামের মধ্যে তাহার নির্ধারিত অংশকে আযাদ করিয়া দেয় এবং তাহার রহিয়াছে মাল (সঙ্গতি) যাহা গোলামের মূল্য পরিমাণ হইবে, তবে তাহার উদ্দেশ্যে ন্যায়সঙ্গতভাবে মূল্য নিরূপণ করা হইবে, অতঃপর শরীকদিগকে তাহাদের স্ব-স্ব অংশ দেওয়া হইবে এবং তাহার পক্ষ হইতে গোলাম আযাদ হইয়া যাইবে। নতুবা [অর্থাৎ গোলামের মূল্য পরিমাণ অর্থ আযাদী প্রদানকারীর নিকট থাকিলে] যতটুকুর সে স্বত্বাধিকারী উহার সেই অংশ আযাদ হইয়াছে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ গোলামের ব্যাপারে আমাদের নিকট যাহা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত মত তাহা হইতেছে এই যে গোলামের কর্তা তাহার গোলামের এক-তৃতীয়াংশ অথবা এক-চতুর্থাংশ অথবা অর্ধেক অথবা অংশ হইতে যে কোন অংশ আযাদ করিয়াছে তাহার মৃত্যুর পর [অর্থাৎ জীবিতাবস্থায় বলিয়াছে যে তাহার মৃত্যুর পর গোলামের সেই অংশ আযাদ হইবে]। তবে কর্তা যতটুকু আযাদ করিয়াছে এবং যেই পরিমাণ অংশ নির্দিষ্ট করিয়াছে গোলাম-এর সেই পরিমাণ অংশই আযাদ হইবে। কারণ এই নির্ধারিত পরিমাণ বা অংশের আযাদী ওয়াজিব হইয়াছে কর্তার মৃত্যুর পর। পক্ষান্তরে তাহার কর্তা জীবিত থাকিতে এই ব্যাপারে তাহার ইখতিয়ার ছিল। অর্থ দ্বারা ক্রয় করিয়া অবশিষ্ট অংশ আযাদ করার ইখতিয়ারও তাহার ছিল। যখন ওসীয়াতকারী কর্তার ওসীয়্যত অনুসারে গোলাম মুক্তিপ্রাপ্ত হইয়াছে, তবে ওসীয়াতকারীর অধিকার শুধু সেই অংশে, যেই অংশ তিনি আযাদ করার জন্য নির্দিষ্ট করিয়াছেন, কারণ ঐ নির্ধারিত অংশ তাহার নিজস্ব সম্পদ। কাজেই গোলামের অবশিষ্ট অংশ আযাদ হয় নাই। কারণ তাহার মালে এখন অন্যের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। তবে অবশিষ্ট অংশ অন্যান্য লোকের পক্ষ হইতে কিরূপে আযাদ করা হইবে? যাহারা প্রথম আযাদ করে নাই, যাহারা উহাকে স্বীকৃতি প্রদান করে নাই, আর যাহারা স্বত্বেরও অধিকারী নহে ও স্বত্ব তাহদের জন্য প্রমাণিতও হয় নাই। ইহা করিয়াছেন মৃত ব্যক্তি — সেই আযাদ করিয়াছে স্বত্বাধিকার ও তাহার জন্য নির্ধারিত হইয়াছে। কাজেই অন্য কাহারো মালের উপর এই (গোলামের বাকী অংশ আযাদ করার) বোঝা চাপাইয়া দেওয়া হইবে না। অবশ্য সে যদি গোলামের অবশিষ্ট অংশ তাহার মাল হইতে আযাদ করার জন্য ওসীয়্যত করিয়া থাকে, তবে তাহার শরীক ও ওয়ারীসানদের উপর উহা জরুরী হইবে। শরীকগণ ইহা অস্বীকার করিতে পারবে না। ইহা প্রযোজ্য হইবে মৃত ব্যক্তির এক-তৃতীয়াংশ মাল হইতে। কারণ ইহাতে ওয়ারিসানদের কোন ক্ষতি নাই।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি পীড়িত অবস্থায় তাহার গোলামের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করে এবং সে আযাদ করিয়াছে পরিষ্কারভাবে। তবে সে ক্রীতদাসের সম্পূর্ণ আযাদ হইবে তাহার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হইতে। কারণ এই ব্যক্তি সেই ব্যক্তির মতো নহে, যে তাহার মৃত্যুর পর ক্রীতদাসের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করিয়াছে, কারণ সে ব্যক্তি মৃত্যুর পর ক্রীতদাসের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করিতেছে, সে জীবিত থাকিলে উহা হইতে ফিরিয়া যাইতে পারে, আযাদী কার্যকর নাও করিতে পারে। [ইহা হইতেছে ওসীয়্যত, ওসীয়্যাতে রুজু করার ইখতিয়ার থাকে অর্থাৎ ওসীয়্যত হইতে প্রত্যাবর্তনের স্বাধীনতা থাকে।]

আর যে ক্রীতদাসের কর্তা পীড়িতাবস্থায় উহার এক-তৃতীয়াংশ আষাদ করিয়াছে পরিষ্কাররূপে, সে জীবিত থাকিলে গোলাম পূর্ণ আযাদী লাভ করবে, আর মৃত্যু হইলে তাহার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হইতে তাহাকে আযাদ করা হইবে। ইহার কারণ এই যে, মৃত ব্যক্তির হুকুম বৈধ হয় তাহার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশে, যেমন সুস্থ ব্যক্তির হুকুম বৈধ হইবে তাহার সম্পূর্ণ সম্পদের মধ্যে।
بَاب مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي مَمْلُوكٍ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ فَكَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَةَ الْعَدْلِ فَأَعْطَى شُرَكَاءَهُ حِصَصَهُمْ وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ وَإِلَّا فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ
قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الْعَبْدِ يُعْتِقُ سَيِّدُهُ مِنْهُ شِقْصًا ثُلُثَهُ أَوْ رُبُعَهُ أَوْ نِصْفَهُ أَوْ سَهْمًا مِنْ الْأَسْهُمِ بَعْدَ مَوْتِهِ أَنَّهُ لَا يَعْتِقُ مِنْهُ إِلَّا مَا أَعْتَقَ سَيِّدُهُ وَسَمَّى مِنْ ذَلِكَ الشِّقْصِ وَذَلِكَ أَنَّ عَتَاقَةَ ذَلِكَ الشِّقْصِ إِنَّمَا وَجَبَتْ وَكَانَتْ بَعْدَ وَفَاةِ الْمَيِّتِ وَأَنَّ سَيِّدَهُ كَانَ مُخَيَّرًا فِي ذَلِكَ مَا عَاشَ فَلَمَّا وَقَعَ الْعِتْقُ لِلْعَبْدِ عَلَى سَيِّدِهِ الْمُوصِي لَمْ يَكُنْ لِلْمُوصِي إِلَّا مَا أَخَذَ مِنْ مَالِهِ وَلَمْ يَعْتِقْ مَا بَقِيَ مِنْ الْعَبْدِ لِأَنَّ مَالَهُ قَدْ صَارَ لِغَيْرِهِ فَكَيْفَ يَعْتِقُ مَا بَقِيَ مِنْ الْعَبْدِ عَلَى قَوْمٍ آخَرِينَ لَيْسُوا هُمْ ابْتَدَءُوا الْعَتَاقَةَ وَلَا أَثْبَتُوهَا وَلَا لَهُمْ الْوَلَاءُ وَلَا يَثْبُتُ لَهُمْ وَإِنَّمَا صَنَعَ ذَلِكَ الْمَيِّتُ هُوَ الَّذِي أَعْتَقَ وَأُثْبِتَ لَهُ الْوَلَاءُ فَلَا يُحْمَلُ ذَلِكَ فِي مَالِ غَيْرِهِ إِلَّا أَنْ يُوصِيَ بِأَنْ يَعْتِقَ مَا بَقِيَ مِنْهُ فِي مَالِهِ فَإِنَّ ذَلِكَ لَازِمٌ لِشُرَكَائِهِ وَوَرَثَتِهِ وَلَيْسَ لِشُرَكَائِهِ أَنْ يَأْبَوْا ذَلِكَ عَلَيْهِ وَهُوَ فِي ثُلُثِ مَالِ الْمَيِّتِ لِأَنَّهُ لَيْسَ عَلَى وَرَثَتِهِ فِي ذَلِكَ ضَرَرٌ قَالَ مَالِك وَلَوْ أَعْتَقَ رَجُلٌ ثُلُثَ عَبْدِهِ وَهُوَ مَرِيضٌ فَبَتَّ عِتْقَهُ عَتَقَ عَلَيْهِ كُلُّهُ فِي ثُلُثِهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ بِمَنْزِلَةِ الرَّجُلِ يُعْتِقُ ثُلُثَ عَبْدِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ لِأَنَّ الَّذِي يُعْتِقُ ثُلُثَ عَبْدِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ لَوْ عَاشَ رَجَعَ فِيهِ وَلَمْ يَنْفُذْ عِتْقُهُ وَأَنَّ الْعَبْدَ الَّذِي يَبِتُّ سَيِّدُهُ عِتْقَ ثُلُثِهِ فِي مَرَضِهِ يَعْتِقُ عَلَيْهِ كُلُّهُ إِنْ عَاشَ وَإِنْ مَاتَ عَتَقَ عَلَيْهِ فِي ثُلُثِهِ وَذَلِكَ أَنَّ أَمْرَ الْمَيِّتِ جَائِزٌ فِي ثُلُثِهِ كَمَا أَنَّ أَمْرَ الصَّحِيحِ جَائِزٌ فِي مَالِهِ كُلِّهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান