আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩৬. বিচার-আদালত সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৪৬৫
৩২. কাপড় খরিদের পরে দোষ দেখা গেলে
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যখন কোন ব্যক্তি কাপড় খরিদ করার পর দোষ দেখে যেমন ফাটা বা অন্য কিছু এবং খরিদ্দার বিক্রেতাকে এই ব্যাপারে অবগত করায়, অতঃপর সেই ব্যাপারে সাক্ষী উপস্থিত করে ক্রেতা অথবা বিক্রেতা স্বীকার করে, তৎপর ক্রেতা যদি কাপড়ের মধ্যে কোন পরিবর্তন করিয়া থাকে যেমন কাপড় কাটিয়া ফেলে, যাহার ফলে কাপড়ের মূল্য কমিয়া যায় এবং সেই অবস্থায় বিক্রেতাকে কাপড়ের দোষ সম্বন্ধে অবহিত করা হয় তবে তাহা বিক্রেতা ফেরত নেবে এবং খরিদ্দারের উপর কাপড় কাটার জন্য জরিমানা হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেন যে, যদি কেহ কাপড় খরিদ করিয়া পরে দোষ দেখিতে পায় যেমন কাপড়ে ফাটা অথবা কাটা এবং বিক্রেতা বলে যে, কাপড়ের দোষ সম্বন্ধে আমার জানা ছিল না। কিন্তু এদিকে খরিদ্দার কাপড় কাটিয়া ফেলিয়াছে অথবা রংাইয়া ফেলিয়াছে তবে খরিদ্দারের ইখতিয়ার আছে, সে কাপড় রাখিয়া দোষের সমপরিমাণ মূল্য বিক্রেতার নিকট হইতে ফেরত নেবে অথবা কাপড় ফেরত দিয়া বিক্রেতাকে ঐ পরিমাণ মূল্য ফেরত দেবে, কাপড় কাটার দরুন যতদূর মূল্য কমিয়াছে অথবা রংানোর জন্য যতদূর মূল্য কমিয়াছে। আর যদি খরিদ্দার কাপড়ে এমন রং দিয়া থাকে যাহার দ্বারা কাপড়ের মূল্য অধিক হইয়া গিয়াছে তবেও খরিদ্দারের ইখতিয়ার সে ইচ্ছা করিলে দোষের মূল্য বিক্রেতার নিকট হইতে লইয়া কাপড় রাখিয়া দেবে অথবা বিক্রেতার শরীক হইবে। এখন দেখিতে হইবে যে, দোষের দরুন কাপড়ের মূল্য কতদূর হয়, যেমন কাপড় ″দশ দিরহাম″-এর ছিল এবং রংানোর কারণে “পাচ দিরহাম” মূল্য বৃদ্ধি হইয়াছে, এখন দুইজনেই কাপড়ে শরীক হইবে নিজ অংশ হিসাবে। যখন কাপড় বিক্রয় হইবে তখন যাহার যাহার অংশানুপাতে মূল্য ভাগ করিয়া লইয়া যাইবে।
بَاب الْقَضَاءِ فِيمَنْ ابْتَاعَ ثَوْبًا وَبِهِ عَيْبٌ
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ إِذَا ابْتَاعَ الرَّجُلُ ثَوْبًا وَبِهِ عَيْبٌ مِنْ حَرْقٍ أَوْ غَيْرِهِ قَدْ عَلِمَهُ الْبَائِعُ فَشُهِدَ عَلَيْهِ بِذَلِكَ أَوْ أَقَرَّ بِهِ فَأَحْدَثَ فِيهِ الَّذِي ابْتَاعَهُ حَدَثًا مِنْ تَقْطِيعٍ يُنَقِّصُ ثَمَنَ الثَّوْبِ ثُمَّ عَلِمَ الْمُبْتَاعُ بِالْعَيْبِ فَهُوَ رَدٌّ عَلَى الْبَائِعِ وَلَيْسَ عَلَى الَّذِي ابْتَاعَهُ غُرْمٌ فِي تَقْطِيعِهِ إِيَّاهُ قَالَ وَإِنْ ابْتَاعَ رَجُلٌ ثَوْبًا وَبِهِ عَيْبٌ مِنْ حَرْقٍ أَوْ عَوَارٍ فَزَعَمَ الَّذِي بَاعَهُ أَنَّهُ لَمْ يَعْلَمْ بِذَلِكَ وَقَدْ قَطَعَ الثَّوْبَ الَّذِي ابْتَاعَهُ أَوْ صَبَغَهُ فَالْمُبْتَاعُ بِالْخِيَارِ إِنْ شَاءَ أَنْ يُوضَعَ عَنْهُ قَدْرُ مَا نَقَصَ الْحَرْقُ أَوْ الْعَوَارُ مِنْ ثَمَنِ الثَّوْبِ وَيُمْسِكُ الثَّوْبَ فَعَلَ وَإِنْ شَاءَ أَنْ يَغْرَمَ مَا نَقَصَ التَّقْطِيعُ أَوْ الصِّبْغُ مِنْ ثَمَنِ الثَّوْبِ وَيَرُدُّهُ فَعَلَ وَهُوَ فِي ذَلِكَ بِالْخِيَارِ فَإِنْ كَانَ الْمُبْتَاعُ قَدْ صَبَغَ الثَّوْبَ صِبْغًا يَزِيدُ فِي ثَمَنِهِ فَالْمُبْتَاعُ بِالْخِيَارِ إِنْ شَاءَ أَنْ يُوضَعَ عَنْهُ قَدْرُ مَا نَقَصَ الْعَيْبُ مِنْ ثَمَنِ الثَّوْبِ وَإِنْ شَاءَ أَنْ يَكُونَ شَرِيكًا لِلَّذِي بَاعَهُ الثَّوْبَ فَعَلَ وَيُنْظَرُ كَمْ ثَمَنُ الثَّوْبِ وَفِيهِ الْحَرْقُ أَوْ الْعَوَارُ فَإِنْ كَانَ ثَمَنُهُ عَشَرَةَ دَرَاهِمَ وَثَمَنُ مَا زَادَ فِيهِ الصِّبْغُ خَمْسَةَ دَرَاهِمَ كَانَا شَرِيكَيْنِ فِي الثَّوْبِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِقَدْرِ حِصَّتِهِ فَعَلَى حِسَابِ هَذَا يَكُونُ مَا زَادَ الصِّبْغُ فِي ثَمَنِ الثَّوْبِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান