আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩৬. বিচার-আদালত সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৪৪২
২১. সন্তানকে তাহার পিতার সাথে সংযোগ করা
রেওয়ায়ত ২০. নবী করীম (ﷺ)-এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেন, উতবা ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) মৃত্যুর সময় তাহার ভাই সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাসকে বলিয়া গিয়াছিলেন যে, যামআ’-এর দাসীর সন্তান আমার, তুমি তাহাকে লইয়া আসিও। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন যে, মক্কা বিজয়ের দিন সা’দ ঐ সন্তানকে আনিলেন ও গ্রহণ করিলেন এবং তিনি বলিলেন, সে আমার ভাই-এর সন্তান। তিনি আমাকে মৃত্যুর সময় অঙ্গীকার করাইয়াছিলেন। এইদিকে আব্দ ইবনে যামআ (রাযিঃ) বলিলেন, সে আমার ভাই এবং আমার পিতার দাসীর ছেলে ও আমার পিতার ঘরে জন্মগ্রহণ করিয়াছে। অবশেষে দুইজন বিতর্ক করিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট আসিলেন। সা’দ বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ সে আমার ভাইয়ের সন্তান, মৃত্যুকালে আমার ভাই আমাকে অঙ্গীকার করাইয়া গিয়াছিল। অতঃপর আব্দ ইবনে যামআ’ বলিলেন, আমার ভাই আমার পিতার দাসীর গর্ভে ও আমার পিতার ঘরে জন্মগ্রহণ করিয়াছে। তাহার পর সব শুনিয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেন, ‘হে আব্দ ইবনে যামআ’, সে তোমারই ভাই, সে তোমারই কাছে থাকিবে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেন, সন্তান তাহার মাতার স্বামীর অথবা মনিবেরই হইয়া থাকে আর ব্যভিচারীর জন্য প্রস্তরই নির্ধারিত। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সাওদা বিনুত যামআকে বলেন, হে সাওদা! এই সন্তান হইতে পর্দা কর, কেননা তাহার আকৃতি উৎবার সদৃশ। অতঃপর সে আর সাওদাকে তাহার মৃত্যু পর্যন্ত দেখে নাই।
بَاب الْقَضَاءِ بِإِلْحَاقِ الْوَلَدِ بِأَبِيهِ
قَالَ يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ عَهِدَ إِلَى أَخِيهِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَنَّ ابْنَ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ مِنِّي فَاقْبِضْهُ إِلَيْكَ قَالَتْ فَلَمَّا كَانَ عَامُ الْفَتْحِ أَخَذَهُ سَعْدٌ وَقَالَ ابْنُ أَخِي قَدْ كَانَ عَهِدَ إِلَيَّ فِيهِ فَقَامَ إِلَيْهِ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ فَقَالَ أَخِي وَابْنُ وَلِيدَةِ أَبِي وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ فَتَسَاوَقَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ سَعْدٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ ابْنُ أَخِي قَدْ كَانَ عَهِدَ إِلَيَّ فِيهِ وَقَالَ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ أَخِي وَابْنُ وَلِيدَةِ أَبِي وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ لَكَ يَا عَبْدُ بْنَ زَمْعَةَ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ ثُمَّ قَالَ لِسَوْدَةَ بِنْتِ زَمْعَةَ احْتَجِبِي مِنْهُ لِمَا رَأَى مِنْ شَبَهِهِ بِعُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَتْ فَمَا رَآهَا حَتَّى لَقِيَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ
হাদীস নং:১৪৪৩
২১. সন্তানকে তাহার পিতার সাথে সংযোগ করা
রেওয়ায়ত ২১. আব্দুল্লাহ ইবনে আবী উমাইয়া (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত যে, এক স্ত্রীলোকের স্বামীর ইন্‌তিকাল হয়। অতঃপর চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করার পর অন্য একজনের নিকট তাহার বিবাহ হয়। বিবাহের পর সেই স্বামীর নিকট সাড়ে চার মাস অতিবাহিত করার পর তাহার একটি পূর্ণাঙ্গ সন্তান ভূমিষ্ঠ হইল। অতঃপর তাহার স্বামী উমর (রাযিঃ)-এর নিকট আসিয়া সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করিল। উমর (রাযিঃ) অন্ধকার যুগের কয়েকজন বৃদ্ধা স্ত্রীলোককে ডাকাইলেন এবং তাহাদিগকে এই সম্বন্ধে প্রশ্ন করিলেন। তখন তাহাদের একজন বলিল, আমি আপনাকে তাহার বৃত্তান্ত বলিতেছি। এই স্ত্রীলোকটি তাহার মৃত স্বামী হইতে গর্ভবতী হইয়াছিল। সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় তাহার রক্তস্রাব হইল, ইহাতে সন্তান শুকাইয়া যায়। অতঃপর দ্বিতীয় বিবাহের পর স্বামী তাহার সহিত সংগত হওয়ায় সন্তানের উপর পুরুষের বীর্য পতিত হয়। ইহাতে সন্তান নড়াচড়া করে এবং বড় হইতে থাকে। অতঃপর উমর (রাযিঃ) তাহাদের কথা সত্য বলিয়া মানিলেন এবং বিবাহ ভঙ্গ করিয়া দিলেন এবং বলিলেন যে, তোমাদের সম্বন্ধে কোন খারাপ কথা আমি শুনি নাই। অতঃপর সন্তানটি প্রথম স্বামীর ঔরসজাত বলিয়া সিদ্ধান্ত দিলেন।
بَاب الْقَضَاءِ بِإِلْحَاقِ الْوَلَدِ بِأَبِيهِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِي عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ أَنَّ امْرَأَةً هَلَكَ عَنْهَا زَوْجُهَا فَاعْتَدَّتْ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا ثُمَّ تَزَوَّجَتْ حِينَ حَلَّتْ فَمَكَثَتْ عِنْدَ زَوْجِهَا أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَنِصْفَ شَهْرٍ ثُمَّ وَلَدَتْ وَلَدًا تَامًّا فَجَاءَ زَوْجُهَا إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَدَعَا عُمَرُ نِسْوَةً مِنْ نِسَاءِ الْجَاهِلِيَّةِ قُدَمَاءَ فَسَأَلَهُنَّ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ أَنَا أُخْبِرُكَ عَنْ هَذِهِ الْمَرْأَةِ هَلَكَ عَنْهَا زَوْجُهَا حِينَ حَمَلَتْ مِنْهُ فَأُهْرِيقَتْ عَلَيْهِ الدِّمَاءُ فَحَشَّ وَلَدُهَا فِي بَطْنِهَا فَلَمَّا أَصَابَهَا زَوْجُهَا الَّذِي نَكَحَهَا وَأَصَابَ الْوَلَدَ الْمَاءُ تَحَرَّكَ الْوَلَدُ فِي بَطْنِهَا وَكَبِرَ فَصَدَّقَهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَفَرَّقَ بَيْنَهُمَا وَقَالَ عُمَرُ أَمَا إِنَّهُ لَمْ يَبْلُغْنِي عَنْكُمَا إِلَّا خَيْرٌ وَأَلْحَقَ الْوَلَدَ بِالْأَوَّلِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৪৪৪
২১. সন্তানকে তাহার পিতার সাথে সংযোগ করা
রেওয়ায়ত ২২. সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর (রাযিঃ) অন্ধকার যুগের সন্তানকে যদি কেহ ইসলামের যুগে দাবি করিত তবে তাহার সাথে মিলাইয়া দিতেন। একবার দুইজন লোক একটি সন্তানকে নিজের বলিয়া দাবি করে। অতঃপর উমর (রাযিঃ) কেয়াফাবিদকে (লক্ষণ দেখিয়া পরিচয় নির্ণয়কারী) ডাকিয়া পাঠাইলেন। কেয়াফাবিশারদ সন্তানকে দেখিয়া বলিল, সন্তান দুইজনেরই। অতঃপর উমর (রাযিঃ) তাহাকে দোররা দ্বারা আঘাত করিলেন। তাহার পর সম্ভানের মাতাকে ডাকাইয়া বলিলেন তোমার বৃত্তান্ত খুলিয়া বল। সে একজনের দিকে ইঙ্গিত করিয়া বলিল যে, সে আমার নিকট আসা-যাওয়া করিত এবং আমি আমার বাড়ির উটের ঘরের কাছে থাকিতাম। ঐ সময়ে সে আমার সাথে সঙ্গম করিত। অতঃপর সে যখন ধারণা করিতে পারিল যে, আমি গর্ভবতী হইয়াছি তখন সে আর কাছে আসিত না, আর আমার রক্তস্রাব দেখা যাইত। তারপর এই দ্বিতীয়জন তাহার পর আমার নিকট আসিল। সেও আমার সহিত সঙ্গম করিল। এখন আমি জানি না, এই সন্তান দুইজনের মধ্য হইতে কাহার। ইহা শুনিয়া কেয়াফাবিদ খুশিতে আল্লাহু আকবার (আল্লাহ্ মহান) বলিয়া উঠিল। অতঃপর উমর (রাযিঃ) সন্তানকে বলিলেন, যাহার সাথে খুশি তুমি যাইতে পার।
بَاب الْقَضَاءِ بِإِلْحَاقِ الْوَلَدِ بِأَبِيهِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ يُلِيطُ أَوْلَادَ الْجَاهِلِيَّةِ بِمَنْ ادَّعَاهُمْ فِي الْإِسْلَامِ فَأَتَى رَجُلَانِ كِلَاهُمَا يَدَّعِي وَلَدَ امْرَأَةٍ فَدَعَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَائِفًا فَنَظَرَ إِلَيْهِمَا فَقَالَ الْقَائِفُ لَقَدْ اشْتَرَكَا فِيهِ فَضَرَبَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ بِالدِّرَّةِ ثُمَّ دَعَا الْمَرْأَةَ فَقَالَ أَخْبِرِينِي خَبَرَكِ فَقَالَتْ كَانَ هَذَا لِأَحَدِ الرَّجُلَيْنِ يَأْتِينِي وَهِيَ فِي إِبِلٍ لِأَهْلِهَا فَلَا يُفَارِقُهَا حَتَّى يَظُنَّ وَتَظُنَّ أَنَّهُ قَدْ اسْتَمَرَّ بِهَا حَبَلٌ ثُمَّ انْصَرَفَ عَنْهَا فَأُهْرِيقَتْ عَلَيْهِ دِمَاءٌ ثُمَّ خَلَفَ عَلَيْهَا هَذَا تَعْنِي الْآخَرَ فَلَا أَدْرِي مِنْ أَيِّهِمَا هُوَ قَالَ فَكَبَّرَ الْقَائِفُ فَقَالَ عُمَرُ لِلْغُلَامِ وَالِ أَيَّهُمَا شِئْتَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৪৪৫
২১. সন্তানকে তাহার পিতার সাথে সংযোগ করা
রেওয়ায়ত ২৩. মালিক (রাহঃ) বলেন যে, উমর (রাযিঃ) অথবা উসমান (রাযিঃ) এই দুইজনের মধ্যে একজন এক স্ত্রীলোকের ফয়সালা করিয়াছিলেন। সেই স্ত্রীলোকটি ধোঁকা দিয়া একজনকে বলিল, আমি আযাদ এবং তাহার সহিত বিবাহ বন্ধনে আব্দ্ধ হইল। অতঃপর তাহাদের সন্তান হইয়াছিল। ফয়সালা দেওয়া হইয়াছিল, স্বামী তাহার সন্তানের মতো বালক-বালিকা স্ত্রীলোকটির মনিবকে দিবে এবং নিজের সন্তান মুক্ত করিয়া লইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেন, এই স্থানে মূল্য দান করিয়া দেওয়াই উত্তম।
بَاب الْقَضَاءِ بِإِلْحَاقِ الْوَلَدِ بِأَبِيهِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَوْ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ قَضَى أَحَدُهُمَا فِي امْرَأَةٍ غَرَّتْ رَجُلًا بِنَفْسِهَا وَذَكَرَتْ أَنَّهَا حُرَّةٌ فَتَزَوَّجَهَا فَوَلَدَتْ لَهُ أَوْلَادًا فَقَضَى أَنْ يَفْدِيَ وَلَدَهُ بِمِثْلِهِمْ قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ وَالْقِيمَةُ أَعْدَلُ فِي هَذَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান