আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩৬. বিচার-আদালত সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৪৩১
১২. জন্তু রেহেন রাখার ফয়সালা
মালিক (রাহঃ) বলেন যে, আমাদের নিকট ইহা একটি মতবিরোধহীন মাসআলা। তাহা এই; যদি রেহেন রাখা জিনিস এমন হয় যাহা ক্ষতি হইলে বোঝা যায় যেমন জমি, ঘর ও জন্তু। অতঃপর উহা মুরতাহেন (যাহার নিকট রক্ষিত)-এর নিকট নষ্ট হইয়া যায়, তবে মুরতাহেনের প্রাপ্য ইহাতে কমিবে না, বরং ইহা রাহিনের (রেহেন যে দিয়াছে) ক্ষতি হইবে। আর যদি তাহা এমন জিনিস হয় যাহা নষ্ট হইলে শুধু মুরতাহেনের কথায়ই বোঝা যায় (যেমন কাপড়, স্বর্ণ, রূপা) তবে মুরতাহেনের ক্ষতি ধরা যাইবে এবং উহার মূল্যের জন্য সেই দায়ী হইবে। আর যদি রাহেন ও মুরতাহেনের মধ্যে মুল্য সম্বন্ধে ঝগড়া হয় তবে মুরতাহেনকে বলা হইবে যে, কসম করিয়া এ জিনিসের গুণ ও মূল্যের পরিমাণ বর্ণনা কর। যদি সে বর্ণনা করে তবে জ্ঞানী লোকগণ তাহা চিন্তা করিয়া মুরতাহেনের বর্ণনা অনুযায়ী মূল্য ধার্য করবেন। আর যদি মূল্য রাহেনের মূল্য হইতে অধিক হয় তবে রাহেন অধিক মূল্য গ্রহণ করবে। আর যদি উহার মূল্য রাহেনের মূল্য হইতে কম হয় তবে রাহেনকে কসম করানো হইবে। যদি সে কসম করে তবে মুরতাহেন রাহেনের মূল্য হইতে যতদূর বেশী বলিয়াছে তাহা তাহার দায়িত্ব হইতে নামিয়া যাইবে। আর যদি রাহেন কসম না করে তবে ঐ পরিমাণ মূল্য মুরতাহেনকে আদায় করিয়া দিবে। আর যদি মুরতাহেন বলে যে আমি ঐ জিনিসের মূল্য জানি না তবে রাহেনকে ঐ জিনিসের গুণাবলির উপর কসম দেওয়া হইবে, যদি সে কসম করে তবে তাহার বর্ণনা অনুযায়ী ফয়সালা করা হইবে, যদি সে অসঙ্গত কিছু না বলে।

মালিক (রাহঃ) বলেন যে, ইহা ঐ সময় হইবে যখন জিনিসটি মুরতাহেন নিজ অধিকারে আনয়ন করিয়াছে এবং সে অন্য কাহারো হাতে উহা রাখে নাই।
بَاب الْقَضَاءِ فِي الرَّهْنِ مِنْ الْحَيَوَانِ
قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا فِي الرَّهْنِ أَنَّ مَا كَانَ مِنْ أَمْرٍ يُعْرَفُ هَلَاكُهُ مِنْ أَرْضٍ أَوْ دَارٍ أَوْ حَيَوَانٍ فَهَلَكَ فِي يَدِ الْمُرْتَهِنِ وَعُلِمَ هَلَاكُهُ فَهُوَ مِنْ الرَّاهِنِ وَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَنْقُصُ مِنْ حَقِّ الْمُرْتَهِنِ شَيْئًا وَمَا كَانَ مِنْ رَهْنٍ يَهْلِكُ فِي يَدِ الْمُرْتَهِنِ فَلَا يُعْلَمُ هَلَاكُهُ إِلَّا بِقَوْلِهِ فَهُوَ مِنْ الْمُرْتَهِنِ وَهُوَ لِقِيمَتِهِ ضَامِنٌ يُقَالُ لَهُ صِفْهُ فَإِذَا وَصَفَهُ أُحْلِفَ عَلَى صِفَتِهِ وَتَسْمِيَةِ مَالِهِ فِيهِ ثُمَّ يُقَوِّمُهُ أَهْلُ الْبَصَرِ بِذَلِكَ فَإِنْ كَانَ فِيهِ فَضْلٌ عَمَّا سَمَّى فِيهِ الْمُرْتَهِنُ أَخَذَهُ الرَّاهِنُ وَإِنْ كَانَ أَقَلَّ مِمَّا سَمَّى أُحْلِفَ الرَّاهِنُ عَلَى مَا سَمَّى الْمُرْتَهِنُ وَبَطَلَ عَنْهُ الْفَضْلُ الَّذِي سَمَّى الْمُرْتَهِنُ فَوْقَ قِيمَةِ الرَّهْنِ وَإِنْ أَبَى الرَّاهِنُ أَنْ يَحْلِفَ أُعْطِيَ الْمُرْتَهِنُ مَا فَضَلَ بَعْدَ قِيمَةِ الرَّهْنِ فَإِنْ قَالَ الْمُرْتَهِنُ لَا عِلْمَ لِي بِقِيمَةِ الرَّهْنِ حُلِّفَ الرَّاهِنُ عَلَى صِفَةِ الرَّهْنِ وَكَانَ ذَلِكَ لَهُ إِذَا جَاءَ بِالْأَمْرِ الَّذِي لَا يُسْتَنْكَرُ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ إِذَا قَبَضَ الْمُرْتَهِنُ الرَّهْنَ وَلَمْ يَضَعْهُ عَلَى يَدَيْ غَيْرِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান