আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৩২. শরীকী কারবারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ১৪০১
শরীকী কারবারের অধ্যায়
১৪. শরীকী কারবারের হিসাব
রেওয়ায়ত ১৫. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি ব্যবসায়ী ব্যবসা করিয়া লাভ করিল আর পুঁজি বিনিয়োগকারীর অনুপস্থিতিতে নিজের লভ্যাংশ লইতে ইচ্ছা করিল তবে ইহা বৈধ হইবে না, যতক্ষণ না অর্থ বিনিয়োগকারী উপস্থিত হয়। যদি তাহার অনুপস্থিতিতেই নিয়া নেয়, তবে সে ইহার জন্য দায়ী হইবে, উভয়ের মধ্যে বন্টনের সময় উক্ত মাল একত্রিত করা পর্যন্ত।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ পুঁজি বিনিয়োগকারীর জন্য ইহা বৈধ হইবে না যে, মাল না দেখিয়া লভ্যাংশের হিসাব করবে, বরং মাল উপস্থাপন প্রয়োজন হইবে। প্রথমে পুঁজি বিনিয়োগকারী মূলধন লইয়া লইবে। পরে শর্তানুযায়ী লভ্যাংশ ভাগ করিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি ব্যবসায়ী কোন সামগ্ৰী ক্রয় করে আর ব্যবসায়ীর ঋণদাতাগণ তাহা আটকাইয়া বলে, এই মাল বিক্রয় করিয়া যে লাভ হইবে তোমার অংশে উহা হইতে আমরা ঋণ নিয়া দেব। যদি পুঁজি বিনিয়োগকারীর অনুপস্থিতিতে এইরূপ করে তবে ইহা অবৈধ হইবে। পুঁজি বিনিয়োগকারী তাহার মূলধন বাহির করিয়া লওয়ার পর লভ্যাংশ ভাগ করা হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি ব্যবসায়ী ব্যবসা করিয়া লাভ করে এবং পুঁজি বিনিয়োগকারীর অবর্তমানে মূলধন পৃথক করিয়া লভ্যাংশ সাক্ষীদের সম্মুখে ভাগ করিয়া নেয় ইহা অবৈধ হইবে। যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী আসিবার পূর্বে এইরূপ করিয়াও ফেলে, তবে উহা ফেরত দিতে হইবে, পুঁজি বিনিয়োগকারী আসিয়া প্রথমে তাহার মূলধন পৃথক করিয়া লইবে, তারপর অবশিষ্ট লভ্যাংশ ভাগ করা হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ব্যবসায়ী ব্যবসা করিয়া লাভ করিল এবং সে পুঁজি বিনিয়োগকারীর লভ্যাংশ লইয়া উপস্থিত হইল এবং বলিতে লাগিল, ইহা তোমার লাভের অংশ। আমিও এইটুকু লইয়াছি। আর তোমার মূলধন আমার নিকট জমা রহিয়াছে, তবে এইরূপ করা অবৈধ হইবে, বরং সে সমস্ত মূলধন ও লাভ লইয়া পুঁজি বিনিয়োগকারীর সম্মুখে উপস্থিত করিবে। অতঃপর পুঁজির মালিকের ইখতিয়ার রহিয়াছে, হয় মূলধন লইয়া নিজে রাখিয়া দিকে বা পুনরায় ব্যবসায়ীকে দিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ পুঁজি বিনিয়োগকারীর জন্য ইহা বৈধ হইবে না যে, মাল না দেখিয়া লভ্যাংশের হিসাব করবে, বরং মাল উপস্থাপন প্রয়োজন হইবে। প্রথমে পুঁজি বিনিয়োগকারী মূলধন লইয়া লইবে। পরে শর্তানুযায়ী লভ্যাংশ ভাগ করিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি ব্যবসায়ী কোন সামগ্ৰী ক্রয় করে আর ব্যবসায়ীর ঋণদাতাগণ তাহা আটকাইয়া বলে, এই মাল বিক্রয় করিয়া যে লাভ হইবে তোমার অংশে উহা হইতে আমরা ঋণ নিয়া দেব। যদি পুঁজি বিনিয়োগকারীর অনুপস্থিতিতে এইরূপ করে তবে ইহা অবৈধ হইবে। পুঁজি বিনিয়োগকারী তাহার মূলধন বাহির করিয়া লওয়ার পর লভ্যাংশ ভাগ করা হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি ব্যবসায়ী ব্যবসা করিয়া লাভ করে এবং পুঁজি বিনিয়োগকারীর অবর্তমানে মূলধন পৃথক করিয়া লভ্যাংশ সাক্ষীদের সম্মুখে ভাগ করিয়া নেয় ইহা অবৈধ হইবে। যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী আসিবার পূর্বে এইরূপ করিয়াও ফেলে, তবে উহা ফেরত দিতে হইবে, পুঁজি বিনিয়োগকারী আসিয়া প্রথমে তাহার মূলধন পৃথক করিয়া লইবে, তারপর অবশিষ্ট লভ্যাংশ ভাগ করা হইবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ ব্যবসায়ী ব্যবসা করিয়া লাভ করিল এবং সে পুঁজি বিনিয়োগকারীর লভ্যাংশ লইয়া উপস্থিত হইল এবং বলিতে লাগিল, ইহা তোমার লাভের অংশ। আমিও এইটুকু লইয়াছি। আর তোমার মূলধন আমার নিকট জমা রহিয়াছে, তবে এইরূপ করা অবৈধ হইবে, বরং সে সমস্ত মূলধন ও লাভ লইয়া পুঁজি বিনিয়োগকারীর সম্মুখে উপস্থিত করিবে। অতঃপর পুঁজির মালিকের ইখতিয়ার রহিয়াছে, হয় মূলধন লইয়া নিজে রাখিয়া দিকে বা পুনরায় ব্যবসায়ীকে দিবে।
كتاب القراض
بَاب الْمُحَاسَبَةِ فِي الْقِرَاضِ
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا فَعَمِلَ فِيهِ فَرَبِحَ فَأَرَادَ أَنْ يَأْخُذَ حِصَّتَهُ مِنْ الرِّبْحِ وَصَاحِبُ الْمَالِ غَائِبٌ قَالَ لَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَأْخُذَ مِنْهُ شَيْئًا إِلَّا بِحَضْرَةِ صَاحِبِ الْمَالِ وَإِنْ أَخَذَ شَيْئًا فَهُوَ لَهُ ضَامِنٌ حَتَّى يُحْسَبَ مَعَ الْمَالِ إِذَا اقْتَسَمَاهُ قَالَ مَالِك لَا يَجُوزُ لِلْمُتَقَارِضَيْنِ أَنْ يَتَحَاسَبَا وَيَتَفَاصَلَا وَالْمَالُ غَائِبٌ عَنْهُمَا حَتَّى يَحْضُرَ الْمَالُ فَيَسْتَوْفِي صَاحِبُ الْمَالِ رَأْسَ مَالِهِ ثُمَّ يَقْتَسِمَانِ الرِّبْحَ عَلَى شَرْطِهِمَا قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ أَخَذَ مَالًا قِرَاضًا فَاشْتَرَى بِهِ سِلْعَةً وَقَدْ كَانَ عَلَيْهِ دَيْنٌ فَطَلَبَهُ غُرَمَاؤُهُ فَأَدْرَكُوهُ بِبَلَدٍ غَائِبٍ عَنْ صَاحِبِ الْمَالِ وَفِي يَدَيْهِ عَرْضٌ مُرَبَّحٌ بَيِّنٌ فَضْلُهُ فَأَرَادُوا أَنْ يُبَاعَ لَهُمْ الْعَرْضُ فَيَأْخُذُوا حِصَّتَهُ مِنْ الرِّبْحِ قَالَ لَا يُؤْخَذُ مِنْ رِبْحِ الْقِرَاضِ شَيْءٌ حَتَّى يَحْضُرَ صَاحِبُ الْمَالِ فَيَأْخُذَ مَالَهُ ثُمَّ يَقْتَسِمَانِ الرِّبْحَ عَلَى شَرْطِهِمَا قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا فَتَجَرَ فِيهِ فَرَبِحَ ثُمَّ عَزَلَ رَأْسَ الْمَالِ وَقَسَمَ الرِّبْحَ فَأَخَذَ حِصَّتَهُ وَطَرَحَ حِصَّةَ صَاحِبِ الْمَالِ فِي الْمَالِ بِحَضْرَةِ شُهَدَاءَ أَشْهَدَهُمْ عَلَى ذَلِكَ قَالَ لَا تَجُوزُ قِسْمَةُ الرِّبْحِ إِلَّا بِحَضْرَةِ صَاحِبِ الْمَالِ وَإِنْ كَانَ أَخَذَ شَيْئًا رَدَّهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَ صَاحِبُ الْمَالِ رَأْسَ مَالِهِ ثُمَّ يَقْتَسِمَانِ مَا بَقِيَ بَيْنَهُمَا عَلَى شَرْطِهِمَا قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا فَعَمِلَ فِيهِ فَجَاءَهُ فَقَالَ لَهُ هَذِهِ حِصَّتُكَ مِنْ الرِّبْحِ وَقَدْ أَخَذْتُ لِنَفْسِي مِثْلَهُ وَرَأْسُ مَالِكَ وَافِرٌ عِنْدِي قَالَ مَالِك لَا أُحِبُّ ذَلِكَ حَتَّى يَحْضُرَ الْمَالُ كُلُّهُ فَيُحَاسِبَهُ حَتَّى يَحْصُلَ رَأْسُ الْمَالِ وَيَعْلَمَ أَنَّهُ وَافِرٌ وَيَصِلَ إِلَيْهِ ثُمَّ يَقْتَسِمَانِ الرِّبْحَ بَيْنَهُمَا ثُمَّ يَرُدُّ إِلَيْهِ الْمَالَ إِنْ شَاءَ أَوْ يَحْبِسُهُ وَإِنَّمَا يَجِبُ حُضُورُ الْمَالِ مَخَافَةَ أَنْ يَكُونَ الْعَامِلُ قَدْ نَقَصَ فِيهِ فَهُوَ يُحِبُّ أَنْ لَا يُنْزَعَ مِنْهُ وَأَنْ يُقِرَّهُ فِي يَدِهِ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: