আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩২. শরীকী কারবারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৩৯৫
৮. শরীকী কারবারের মালে সীমালংঘন
রেওয়ায়ত ৯. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি শরীকী কারবারে ব্যবসায়ী ব্যবসা করিয়া লাভ করিল। অতঃপর মূলধন বা লভ্যাংশ দ্বারা একটি দাসী খরিদ করিয়া তাহার সহিত সহবাস করিল। ইহাতে সে গর্ভবতী হইল, আর পরবর্তীতে ব্যবসায়ে ক্ষতি হইল তাহা হইলে ব্যবসায়ীর নিজস্ব মাল হইতে ঐ দাসীর মূল্য লইয়া ক্ষতিপূরণ করা হইবে। তারপর অতিরিক্ত মাল দুইজনের মধ্যে বন্টিত হইবে। আর যদি ক্ষতিপূরণ না হয় (ক্ষতিপূরণ করার মতো মাল তাহার না থাকে), তবে ঐ দাসী বিক্রয় করিয়া ক্ষতি পূরণ করা হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি ব্যবসায়ী মাল খরিদ করার সময় নিজের পক্ষ হইতে বিনা কারণে উহার মূল্য বাড়াইয়া দেয় তবে অর্থ বিনিয়োগকারীর ইচ্ছার উপর নির্ভর করিবে। সে হয় পণ্য সামগ্ৰী ঐভাবে থাকিতে দিবে বা মূলধন হইতে যাহা অতিরিক্ত দেওয়া হইয়াছে, উহা আদায় করিয়া দিবে অথবা ঐ মালে ব্যবসায়ীকে শরীক করিয়া লইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি ব্যবসায়ী অন্য কাহাকেও শরীকী কারবারে মাল দিয়া দেয় এবং অর্থ বিনিয়োগকারীর নিকট জিজ্ঞাসা না করিয়া থাকে, তবে সে মালের জন্য দায়ী হইবে। যদি উহাতে ক্ষতি হয়, তবে প্রথমে ব্যবসায়ী নিজের পক্ষ হইতে এই ক্ষতি পূরণ করিবে আর যদি লাভ হয় তবে অর্থ বিনিয়োগকারী লভ্যাংশ শর্ত মতো আদায় করবে। অতঃপর বাড়তি মালে প্রথম ব্যবসায়ী ও দ্বিতীয় ব্যবসায়ী উভয়ে শরীক হইবে।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি ব্যবসায়ী শরীকী কারবারের মালের দ্বারা নিজের জন্য কোন কিছু খরিদ করে, তবে অর্থ বিনিয়োগকারী ইচ্ছা করিলে উহাতে নিজেও শরীক হইতে পারে বা উহা ছাড়িয়া দিতে পারে এবং নিজের মূলধন ব্যবসায়ী হইতে ফিরাইয়া লইতে পারে। ব্যবসায়ী এই ধরনের যেকোন সীমালংঘন করিলে অর্থ বিনিয়োগকারীর মূলধন ফিরাইয়া লইবার অধিকার থাকিবে।
بَاب التَّعَدِّي فِي الْقِرَاضِ
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا فَعَمِلَ فِيهِ فَرَبِحَ ثُمَّ اشْتَرَى مِنْ رِبْحِ الْمَالِ أَوْ مِنْ جُمْلَتِهِ جَارِيَةً فَوَطِئَهَا فَحَمَلَتْ مِنْهُ ثُمَّ نَقَصَ الْمَالُ قَالَ مَالِك إِنْ كَانَ لَهُ مَالٌ أُخِذَتْ قِيمَةُ الْجَارِيَةِ مِنْ مَالِهِ فَيُجْبَرُ بِهِ الْمَالُ فَإِنْ كَانَ فَضْلٌ بَعْدَ وَفَاءِ الْمَالِ فَهُوَ بَيْنَهُمَا عَلَى الْقِرَاضِ الْأَوَّلِ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ وَفَاءٌ بِيعَتْ الْجَارِيَةُ حَتَّى يُجْبَرَ الْمَالُ مِنْ ثَمَنِهَا قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا فَتَعَدَّى فَاشْتَرَى بِهِ سِلْعَةً وَزَادَ فِي ثَمَنِهَا مِنْ عِنْدِهِ قَالَ مَالِك صَاحِبُ الْمَالِ بِالْخِيَارِ إِنْ بِيعَتْ السِّلْعَةُ بِرِبْحٍ أَوْ وَضِيعَةٍ أَوْ لَمْ تُبَعْ إِنْ شَاءَ أَنْ يَأْخُذَ السِّلْعَةَ أَخَذَهَا وَقَضَاهُ مَا أَسْلَفَهُ فِيهَا وَإِنْ أَبَى كَانَ الْمُقَارَضُ شَرِيكًا لَهُ بِحِصَّتِهِ مِنْ الثَّمَنِ فِي النَّمَاءِ وَالنُّقْصَانِ بِحِسَابِ مَا زَادَ الْعَامِلُ فِيهَا مِنْ عِنْدِهِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ أَخَذَ مِنْ رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا ثُمَّ دَفَعَهُ إِلَى رَجُلٍ آخَرَ فَعَمِلَ فِيهِ قِرَاضًا بِغَيْرِ إِذْنِ صَاحِبِهِ إِنَّهُ ضَامِنٌ لِلْمَالِ إِنْ نَقَصَ فَعَلَيْهِ النُّقْصَانُ وَإِنْ رَبِحَ فَلِصَاحِبِ الْمَالِ شَرْطُهُ مِنْ الرِّبْحِ ثُمَّ يَكُونُ لِلَّذِي عَمِلَ شَرْطُهُ بِمَا بَقِيَ مِنْ الْمَالِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ تَعَدَّى فَتَسَلَّفَ مِمَّا بِيَدَيْهِ مِنْ الْقِرَاضِ مَالًا فَابْتَاعَ بِهِ سِلْعَةً لِنَفْسِهِ قَالَ مَالِك إِنْ رَبِحَ فَالرِّبْحُ عَلَى شَرْطِهِمَا فِي الْقِرَاضِ وَإِنْ نَقَصَ فَهُوَ ضَامِنٌ لِلنُّقْصَانِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا فَاسْتَسْلَفَ مِنْهُ الْمَدْفُوعُ إِلَيْهِ الْمَالُ مَالًا وَاشْتَرَى بِهِ سِلْعَةً لِنَفْسِهِ إِنَّ صَاحِبَ الْمَالِ بِالْخِيَارِ إِنْ شَاءَ شَرِكَهُ فِي السِّلْعَةِ عَلَى قِرَاضِهَا وَإِنْ شَاءَ خَلَّى بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا وَأَخَذَ مِنْهُ رَأْسَ الْمَالِ كُلَّهُ وَكَذَلِكَ يُفْعَلُ بِكُلِّ مَنْ تَعَدَّى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান