আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
كتاب الموطأ للإمام مالك
৩২. শরীকী কারবারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩৯০
৩. অবৈধ মুযারাবা
রেওয়ারত ৪. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কেহ কাহারও নিকট করযের টাকা পাওনা থাকে আর যাহার নিকট টাকা পাওনা রহিয়াছে সে বলিল, তোমার যে টাকা আমার নিকট রহিয়াছে, তাহা আমার নিকট শরীকী কারবারে থাকিতে দাও ইহা অবৈধ বরং প্রথমে টাকা উশুল করিয়া লওয়া উচিত, পরে তাহার ইচ্ছা হইলে শরীকী কারবারে ঐ টাকা দিতেও পারে, নাও দিতে পারে। কেননা টাকা উশুল করার পূর্বে উহাকে শরীকী কারবারে দিলে উহাতে সুদ হওয়ার আশঙ্কা রহিয়াছে, যেমন দাতা তাহাকে সময় দেওয়ার পরিবর্তে ঋণ বাড়াইয়া দিল।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কেহ কাহাকেও শরীকী কারবারের জন্য টাকা দেয় এবং ব্যবসা আরম্ভ করিবার পূর্বেই কিছু টাকা নষ্ট হইয়া যায়, অতঃপর বাকী টাকা দ্বারা ব্যবসা করিয়া ঐ অবশিষ্ট টাকাকেই মূলধন ধরিয়া লভ্যাংশের আধা-আধি ভাগ করিয়া নেয়, তবে ইহা অবৈধ বরং প্রথমে সম্পূর্ণ মূলধন তাহার পরিশোধ করিতে হইবে, পরে যদি কিছু টাকা অবশিষ্ট থাকে উহাকে মুনাফা ধরিয়া ভাগ করিয়া নিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ শরীকী কারবার স্বর্ণ, রৌপ্য ইত্যাদিতে জায়েয, অন্য আসবাব বৈধ নহে, কিন্তু যদি কারবারে বা ক্রয়-বিক্রয়ে কিছু অসুবিধা দেখা দেয় যাহা শোধরান কষ্টকর হয়, তবে বৈধ হইবে, কিন্তু সুদ ইহার ব্যতিক্রম, কেননা উহার কম-বেশী সবই হারাম, কোন প্রকারেই জায়েয নহে। আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেনঃ
وَإِن تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَالِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ
অর্থাৎ যদি তোমরা সুদের কারবার হইতে তওবা কর, তবে তোমাদের জন্য মূলধন রহিয়াছে। না তোমরা কাহারও উপর যুলুম করিবে, আর না কেহ তোমাদের উপর যুলুম করবে। (বাকারাঃ ২৭৯)
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যদি কেহ কাহাকেও শরীকী কারবারের জন্য টাকা দেয় এবং ব্যবসা আরম্ভ করিবার পূর্বেই কিছু টাকা নষ্ট হইয়া যায়, অতঃপর বাকী টাকা দ্বারা ব্যবসা করিয়া ঐ অবশিষ্ট টাকাকেই মূলধন ধরিয়া লভ্যাংশের আধা-আধি ভাগ করিয়া নেয়, তবে ইহা অবৈধ বরং প্রথমে সম্পূর্ণ মূলধন তাহার পরিশোধ করিতে হইবে, পরে যদি কিছু টাকা অবশিষ্ট থাকে উহাকে মুনাফা ধরিয়া ভাগ করিয়া নিবে।
মালিক (রাহঃ) বলেনঃ শরীকী কারবার স্বর্ণ, রৌপ্য ইত্যাদিতে জায়েয, অন্য আসবাব বৈধ নহে, কিন্তু যদি কারবারে বা ক্রয়-বিক্রয়ে কিছু অসুবিধা দেখা দেয় যাহা শোধরান কষ্টকর হয়, তবে বৈধ হইবে, কিন্তু সুদ ইহার ব্যতিক্রম, কেননা উহার কম-বেশী সবই হারাম, কোন প্রকারেই জায়েয নহে। আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেনঃ
وَإِن تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَالِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ
অর্থাৎ যদি তোমরা সুদের কারবার হইতে তওবা কর, তবে তোমাদের জন্য মূলধন রহিয়াছে। না তোমরা কাহারও উপর যুলুম করিবে, আর না কেহ তোমাদের উপর যুলুম করবে। (বাকারাঃ ২৭৯)
بَاب مَا لَا يَجُوزُ فِي الْقِرَاضِ
قَالَ مَالِك إِذَا كَانَ لِرَجُلٍ عَلَى رَجُلٍ دَيْنٌ فَسَأَلَهُ أَنْ يُقِرَّهُ عِنْدَهُ قِرَاضًا إِنَّ ذَلِكَ يُكْرَهُ حَتَّى يَقْبِضَ مَالَهُ ثُمَّ يُقَارِضُهُ بَعْدُ أَوْ يُمْسِكُ وَإِنَّمَا ذَلِكَ مَخَافَةَ أَنْ يَكُونَ أَعْسَرَ بِمَالِهِ فَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُؤَخِّرَ ذَلِكَ عَلَى أَنْ يَزِيدَهُ فِيهِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا فَهَلَكَ بَعْضُهُ قَبْلَ أَنْ يَعْمَلَ فِيهِ ثُمَّ عَمِلَ فِيهِ فَرَبِحَ فَأَرَادَ أَنْ يَجْعَلَ رَأْسَ الْمَالِ بَقِيَّةَ الْمَالِ بَعْدَ الَّذِي هَلَكَ مِنْهُ قَبْلَ أَنْ يَعْمَلَ فِيهِ قَالَ مَالِك لَا يُقْبَلُ قَوْلُهُ وَيُجْبَرُ رَأْسُ الْمَالِ مِنْ رِبْحِهِ ثُمَّ يَقْتَسِمَانِ مَا بَقِيَ بَعْدَ رَأْسِ الْمَالِ عَلَى شَرْطِهِمَا مِنْ الْقِرَاضِ قَالَ مَالِك لَا يَصْلُحُ الْقِرَاضُ إِلَّا فِي الْعَيْنِ مِنْ الذَّهَبِ أَوْ الْوَرِقِ وَلَا يَكُونُ فِي شَيْءٍ مِنْ الْعُرُوضِ وَالسِّلَعِ وَمِنْ الْبُيُوعِ مَا يَجُوزُ إِذَا تَفَاوَتَ أَمْرُهُ وَتَفَاحَشَ رَدُّهُ فَأَمَّا الرِّبَا فَإِنَّهُ لَا يَكُونُ فِيهِ إِلَّا الرَّدُّ أَبَدًا وَلَا يَجُوزُ مِنْهُ قَلِيلٌ وَلَا كَثِيرٌ وَلَا يَجُوزُ فِيهِ مَا يَجُوزُ فِي غَيْرِهِ لِأَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ فِي كِتَابِهِ وَإِنْ تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَالِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: